ফুটবল
কনকাকাফ গোল্ড কাপে খেলবে সৌদি আরব!
উত্তর ও মধ্য আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলের ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট কনকাকাফ গোল্ড কাপে অংশ নিতে চলেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব।
বৃহস্পতিবার পৃথক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে সৌদি ফুটবল ফেডারেশন ও কনকাকাফ কর্তৃপক্ষ।
বিবৃতিতে সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০২৫ ও ২০২৭ সালের কনকাকাফ গোল্ড কাপ টুর্নামেন্টে অংশ নিতে সৌদি আরবকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
কনকাকাফের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অতিথি দেশকে টুর্নামেন্টে আমন্ত্রণ জানানোর ঐতিহ্য ধরে রাখার অংশ হিসেবে আগামী দুই আসরের জন্য সৌদি আরবকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
উত্তর আমেরিকা, মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের ফুটবল সংস্থা কনকাকাফের (CONCACAF) টুর্নামেন্টে এই অঞ্চলের বাইরের দেশগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো নতুন কিছু নয়। সবশেষ দুই আসরে এই টুর্নামেন্টে অতিথি দেশ হিসেবে অংশগ্রহণ করে কাতার।
এর আগে, ব্রাজিল (১৯৯৬, ১৯৯৮, ২০০৩), কলম্বিয়া (২০০০, ২০০৩, ২০০৫), ইকুয়েডর (২০০২), পেরু (২০০০), দক্ষিণ আফ্রিকা (২০০৫) ও দক্ষিণ কোরিয়াও (২০০০, ২০০২) অতিথি দেশ হিসেবে এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছে।
২০২৫ সালের ১৪ জুন শুরু হতে যাচ্ছে কনকাকাফ গোল্ড কাপের পরবর্তী আসর যা চলবে ৬ জুলাই পর্যন্ত।
১৬ দলের এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৯ বার শিরোপা জিতেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মেক্সিকো। ৭ বার চ্যাম্পিয়ন হয়ে এই তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া একবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে কানাডা। ফলে মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রই টুর্নামেন্টের ঐতিহ্যবাহী প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।
এই তিন দেশ ছাড়াও আসন্ন গোল্ড কাপ আসরে ইতোমধ্যে জায়গা করে নিয়েছে ডমিনিকান রিপাবলিক, এল সালভাদর, কুরাসাও, হাইতি ও পানামা। বাকি দলগুলো চূড়ান্ত হওয়ার পর আগামী ১০ এপ্রিল এবারের আসরের ড্র অনুষ্ঠিত হবে।
৩ দিন আগে
পগবাকে অপহরণ মামলায় ভাইয়ের ৩ বছরের জেল
নিজের ভাইকে অপহরণ ও চাঁদাবাজির দায়ে ফরাসি ফুটবলার পল পগবার ভাই মাথিয়াস পগবাকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) প্যারিসের অপরাধ আদালত মাথিয়াসকে মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে এ রায় দেয়।
আগে থেকেই জেলে থাকা মাথিয়াসকে অবশ্য তিন বছরই শাস্তি ভোগ করতে হচ্ছে না। দুই বছর তিনি জেল খাটায় বাকি এক বছর এখন তাকে গৃহবন্দি ও ইলেকট্রনিক মাধ্যমে পুলিশি নজরদারিতে থাকতে হবে।
ঘটনাটি ২০২২ সালের। ওই বছরের মার্চে বন্দুকের মুখে পগবাকে তুলে নেয় কয়েক ব্যক্তি। এরপর তার কাছে ১৩ মিলিয়ন ইউরো দাবি করে তারা।
ফরাসি গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, মাথিয়াস এবং পগবার শৈশবের বন্ধুরা মিলে তাকে অপহরণ ও চাঁদাবাজির ষড়যন্ত্র করে। এরপর তিনি তাদের ১ লাখ ইউরো দিলেও তারা আরও টাকার জন্য তাকে চাপ দিতে থাকে।
এমনকি ভাইয়ের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করে দেবেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে হুমকিও দেন মাথিয়াস। শেষ পর্যন্ত পুলিশের দ্বারস্থ হন ফরাসি মিডফিল্ডার।
আরও পড়ুন: আমি প্রতারক নই: ডোপ নিষেধাজ্ঞা নিয়ে পগবা
এ ঘটনায় মাথিয়াস ছাড়া আরও পাঁচজনের নামে মামলা হয়। দুই বছর পর ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাদের মধ্যে থেকে রুশদেন নামের একজনকে প্রধান ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত করে ৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। অন্য চার অভিযুক্তকেও চার থেকে আট বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ওই ঘটনায় পল পগবা আর্থিক ক্ষতিরও সম্মুখীন হয়েছে বলে জানায় আদালত। আদালতের রায় অনুযায়ী, সে সময় তার মোট ১ লাখ ৯৭ হাজার ইউরো আর্থিক ক্ষতি হয়। এছাড়া যে মানসিক যন্ত্রণার ভেতর দিয়ে তাকে ওই সময় পার করতে হয়েছে, আর্থিক মূল্যে তার পরিমাণ ৫০ হাজার ইউরো নির্ধারণ করেছে আদালত। এই অর্থের মোট অঙ্ক মাথিয়াস ছাড়া বাকি পাঁচজনকে পরিশোধ করারও আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলার শুনানিতে প্রকাশ পায়, মাথিয়াস ওই ষড়যন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
অবশ্য মাথিয়াসের আইনজীবী এই শাস্তিকে অত্যন্ত কঠোর বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তারা রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
আইনজীবীর দাবি, মাথিয়াসকে এই ষড়যন্ত্রে জড়িত হতে প্রলুব্ধ করা হয়েছিল।
২০২৩ সালে ডোপ টেস্টের ফল পজিটিভ আসায় পেশাদার ফুটবলে নিষিদ্ধ হন পল পগবা। তারপর সম্প্রতি তার শাস্তি কমানো হলেও এরই মধ্যে তার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে ইউভেন্তুস।
তবে সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে শিগগিরই মাঠে ফেরার প্রত্যয় ঝরেছে ২০১৮ বিশ্বকাপ জয়ী এই তারকা ফুটবলারের কণ্ঠে।
৩ দিন আগে
আপিল খারিজ, সবার জন্য সমান বিচার চাইলেন ফ্লিক
রেফারির প্রতি আপত্তিকর প্রতিক্রিয়া জানানোর শাস্তি হিসেবে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা মেনে নিয়েছেন বার্সেলোনা কোচ হান্সি ফ্লিক। তবে একই ধরনের আচরণে অন্য কোচদের প্রতিও সমান বিচার করতে রেফারিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
গত শনিবার রিয়াল বেতিসের মাঠে খেলতে গিয়ে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় বার্সেলোনার জার্মান কোচকে। ২-২ গোলে ড্র হওয়া ম্যাচের ৬৬তম মিনিটে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিতর রকেকে ডি-বক্সের মধ্যে ফাউল করে বেতিসকে পেনাল্টি দেন ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং।
ভিএআর মনিটরে অনেকটা সময় নিয়ে রিভিউ দেখে এই সিদ্ধান্ত নেন রেফারি। তখন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখানোয় লাল কার্ড দেখেন ফ্লিক।
ম্যাচ শেষে রেফারি আলেহান্দ্রো মুনিয়েস রুইস অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, ফ্লিক চিৎকার ও আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গি করে তার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে অবশ্য বার্সা কোচ বলেন, তার ওই প্রতিক্রিয়া রেফারির উদ্দেশে ছিল না।
‘আমি কাউকে কিছু বলিনি। এটি কেবল আমার নিজের একটি প্রতিক্রিয়া ছিল।’
তবে তাতে মুক্তি মেলেনি এই কোচের। লাল কার্ডে পর লিগের পরবর্তী দুই ম্যাচের জন্যও তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় লা লিগায় কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: এক ম্যাচ পর ফের বার্সেলোনার হোঁচট
এই শাস্তি থেকে রেহাই পেতে আপিল করেছিল বার্সেলোনা, কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে ফ্লিকের ওপর শাস্তি বহাল রেখেছে লিগ কর্তৃপক্ষ। ফলে আগামীকাল লেগানেস ও তার পরের ম্যাচে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ডাগআউটে দেখা যাবে না বার্সা বসকে।
লেগানেস ম্যাচের আগে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলন চলাকালে ফ্লিকের শাস্তির প্রসঙ্গটি তোলেন এক সাংবাদিক। উত্তরে নিজের শাস্তি মাথা পেতে গ্রহণ করেছেন বলে জানান এই জার্মান কোচ।
তিনি বলেন, ‘আমার প্রতিক্রিয়া যে সঠিক ছিল না, তা আমি মেনে নিচ্ছি। মৌসুমের শুরুতে আমি নিজেই বলেছিলাম, রেফারির সঙ্গে তর্ক করা ঠিক নয়। কারণ রেফারি যখন কোনো সিদ্ধান্ত নেন, তা আর পরিবর্তন হয় না। ফলে তর্ক করে শক্তি ও সময় নষ্ট করার কোনো মানে হয় না।’
‘তাই লাল কার্ড ও শাস্তি মেনে নিচ্ছি। (লা লিগায়) আসার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই লাল কার্ড খেয়ে বসলাম। বিষয়টি নিয়ে আর কিছু বলার নেই। আমার হয়তো নিজের আচরণের ওপর কাজ করতে হবে।’
শাস্তি মেনে নিলেও একই ধরনের কর্মকাণ্ডে অন্য কোচদের সঙ্গেও যেন সমান বিচার করা হয়, সেই আবেদনও জানিয়ে রাখলেন ৫৯ বছর বয়সী এই কোচ।
‘আমি চাই, অন্য দলগুলোর সঙ্গেও রেফারিরা একই কাজ করুক। তবে (এক্ষেত্রে) রেফারিদেরও উন্নতি করার সুযোগ রয়েছে। আমরা সবাই মানুষ এবং ভুল করে থাকি। আমি লাল কার্ড দেখেছি এবং তা মেনে নিয়েছি। আবেগের ওপর আমার আরও নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে।’
আরও পড়ুন: দ্বিতীয়ার্ধের চরম নাটকীয়তা শেষে ডর্টমুন্ড বধ বার্সেলোনার
ফ্লিকের অধীনে দুর্দান্তভাবে মৌসুম শুরু করলেও সম্প্রতি সেই ছন্দ হারিয়েছে বার্সেলোনা। লা লিগায় সবশেষ পাঁচ ম্যাচের মাত্র একটিতে জিততে পেরেছে তারা, বাকি চার ম্যাচের দুটি হেরেছে ও দুটি ড্র করেছে।
তারপরও লিগ টেবিলে শীর্ষে রয়েছে কাতালান ক্লাবটি। ১৭ ম্যাচে ১২ জয় ও দুই ড্রয়ে ৩৮ পয়েন্ট অর্জন করেছে কাতালান জায়ান্টরা। এক ম্যাচ কম খেলা রিয়াল মাদ্রিদ রয়েছে মাত্র দুই পয়েন্ট পেছনে।
আজ রাতে রায়ো ভায়েকানোর বিপক্ষে মাঠে নামবে বর্তমান লা লিগা চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচতি জিতলে ১ পয়েন্টের ব্যবধানে বার্সাকে টপকে শীর্ষস্থান দখল করবে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।
১ সপ্তাহ আগে
বেনজেমার চোখে মৌসুম-সেরা ফরাসি ফুটবলার নন এমবাপ্পে!
টানা দ্বিতীয়বারের মতো মৌসুমের সেরা ফরাসি ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। ফরাসি ক্রীড়া সাময়িকী ফ্রান্স ফুটবল গত সপ্তাহে তাকে এই সম্মানে ভূষিত করেছে।
অতীতে এই পুরস্কার জেতা ফুটবলারদের ভোটে প্রতি বছর দেশের সেরা ফুটবলার নির্বাচন করে থাকে ফ্রান্স ফুটবল।
২০২৩-২৪ মৌসুমের সেরা ফুটবলার নির্বাচনে মাত্র ৫ ভোটের ব্যবধানে আর্সেনাল অধিনায়ক উইলিয়াম সালিবাকে (৫১ ভোট) হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার সেরা হয়েছেন এমবাপ্পে (৫৬ ভোট)। এ নিয়ে মোট চারবার দেশের সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হলেন পিএসজি থেকে চলতি মৌসুমে রিয়ালে যোগ দেওয়া এই ফুটবলার।
২০১৮ বিশ্বকাপ জয়ের পর সে বছর প্রথমবার ফ্রান্স-সেরা হন ২৫ বছর বয়সী এমবাপ্পে। এরপর ২০১৯ ও ২০২৩ সালেও এই খেতাব জেতেন তিনি।
আরও পড়ুন: এমবাপ্পেকে নিয়ে রোনালদোর ২ মাস আগের মন্তব্য আলোচনায়
তবে এবারের ভোটে বেশ কয়েকজন তারকা ফুটবলারের ভোটন পাননি এমবাপ্পে। তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক ফরোয়ার্ড করিম বেনজেমা। দেশসেরা ফুটবলার নির্বাচন করতে তিনজনকে ভোট দিতে পারেন সাবেক বিজয়ীরা। বেনজেমার পছন্দের তালিকায় এই তিনজনের মধ্যে জায়গা হয়নি এমবাপ্পের।
গত মৌসুমে পিএসজিতে খেলা এমবাপ্পের পরিবর্তে বেনজেমার প্রথম পছন্দ ছিলেন তারই রিয়াল মাদ্রিদ সতীর্থ এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা। এছাড়া পিএসজির প্রতিভাবান তরুণ ব্রাদলে বারকোলা ও ওয়ারেন জাইরে-এমেরিকে বাকি দুই ভোট দিয়েছেন তিনি।
শুধু তা-ই নয়, তাকে ভোট দেননি বেনজেমার বর্তমান ক্লাব সতীর্থ এন’গলো কান্তেও। আল-ইত্তিহাদের এই মিডফিল্ডার ভোট দিয়েছেন যথাক্রমে সালিবা, বার্সেলোনা ফুলব্যাক জুল কুন্দে ও কামাভিঙ্গাকে।
এই তালিকায় রয়েছেন আন্তোয়ান গ্রিজমানও। তবে আতলেতিকো মাদ্রিদের এই ফুটবলার এমবাপ্পেকে ভোট দিয়েছেন তার দ্বিতীয় পছন্দ হিসেবে। তার প্রথম ও তৃতীয় পছন্দ ছিলেন ফরাসি ক্লাব ব্রেস্তের আলেকজান্ডার লাকাসেত ও দেল কাস্তিয়ো।
আরও পড়ুন: এবার এমবাপ্পেকেই ছাড়াই ফ্রান্সের দল ঘোষণা
অন্যদিকে, সালিবার সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও আর্সেনাল মিডফিল্ডারকেই সেরার ভোট দিয়েছেন এমবাপ্পে। তার বাকি দুই ভোট ছিল ক্লাব সতীর্থ কামাভিঙ্গা ও অরেলিয়েঁ চুয়ামেনির জন্য।
গত মৌসুমের সেরাদের তালিকায় এমবাপ্পে ও সালিবার পর রয়েছেন যথাক্রমে এসি মিলান গোলরক্ষক মাইক মাইনিয়ঁ (২৪), কামাভিঙ্গা (১৭) ও চুয়ামেনি (১৬)। আর ১৫ পয়েন্ট নিয়ে ব্রেস্তের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার পিয়েরে লিস-মেলুর সঙ্গে যৌথভাবে ষষ্ঠ স্থান অর্জন করেছেন গ্রিজমান।
১ সপ্তাহ আগে
অবশেষে ইউরোপের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ড্র অনুষ্ঠিত
বেশ আগে থেকে ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের খেলা শুরু হয়ে গেলেও ইউরোপ অঞ্চলের খেলা তো দূরের কথা, এ বিষয়ে কোনো আলোচনাই ছিল না। অবেশেষে এই অঞ্চলের বাছাইপর্বের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সুইজারল্যান্ডের জুরিখে বিশ্বকাপের ইউরোপ অঞ্চলের বাছাই পর্বের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২০২৬ সালে প্রথমবার আয়োজন করা হবে ৪৮ দলের বিশ্বকাপ। এর মধ্যে ইউরোপ থেকে মোট ১৬টি দেশ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করবে। এই ১৬টি স্পটের জন্য ১২টি গ্রুপে ভাগ হয়ে লড়বে ৫৩টি দেশ।
১২টি গ্রুপের সব গ্রুপে অবশ্য সমান প্রতিপক্ষ নেই। ছয়টি গ্রুপ সাজানো হয়েছে চারটি করে দল নিয়ে। অন্য ছয়টি গ্রুপে রাখা হয়েছে পাঁচটি করে দল। গ্রুপের প্রতিটি দল নিজেদের মধ্যে একটি করে হোম ও অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে। গ্রুপের শীর্ষ ১২টি দল সরাসরি বিশ্বকাপের মূলপর্বের টিকিট পাবে।
আরও পড়ুন: ২০২৬ বিশ্বকাপের ফাইনালের ভেন্যুতেই হবে ২০২৫ ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনাল
বাকি চার দল বাছাই করতে গ্রুপগুলোর দ্বিতীয় সেরা ১২ দলের সঙ্গে যুক্ত হবে উয়েফা নেশন্স লিগ খেলা চার দল। নেশন্স লিগের গ্রুপ বিজয়ীদের মধ্যে সেরা, কিন্তু বিশ্বকাপ বাছাইয়ে প্রথম বা দ্বিতীয় স্থান অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে- এমন চারটি দলসহ মোট ১৬ দলের প্লে-অফ অনুষ্ঠিত হবে।
এই ১৬টি দলকে চারটি গ্রুপে ভাগ করে নকআউট পদ্ধতিতে প্রতিটি গ্রুপ থেকে সেমিফাইনাল ও ফাইনালের মাধ্যমে বিশ্বকাপের জন্য একেকটি দল নির্বাচিত করা হবে।
বাছাইপর্বের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছরের ২১-২৫ মার্চ, ৬-১০ জুন, ৪-৯ সেপ্টেম্বর, ৯-১৪ অক্টোবর এবং ১৩-১৮ নভেম্বর। ২০২৬ সালের ২৬ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্লে-অফ পর্বের ম্যাচগুলো আয়োজন করা হবে। এরপর ওই বছরের ১১ জুন শুরু হবে বিশ্বকাপের মূল আসর।
২০১৬ সালের ১৯ জুলাই নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচের মাধ্যমে বিশ্ব ফুটবলের এই সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ আসরের পর্দা নামবে।
আরও পড়ুন: ২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজনে ১ বিলিয়ন ইউরো ঋণ নেবে মরক্কো
এক নজরে ইউরোপ অঞ্চলের গ্রুপগুলো
গ্রুপ এ: জার্মানি/ইতালি (নেশন্স লিগের ম্যাচ জয়ী), স্লোভাকিয়া, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড ও লুক্সেমবার্গ।
গ্রুপ বি: সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, স্লোভেনিয়া ও কসোভো।
গ্রুপ সি: পর্তুগাল/ডেনমার্ক (পরাজিত), গ্রিস, স্কটল্যান্ড ও বেলারুশ।
গ্রুপ ডি: ফ্রান্স/ক্রোয়েশিয়া (জয়ী), ইউক্রেন, আইসল্যান্ড ও আজারবাইজান।
গ্রুপ ই: স্পেন/নেদারল্যান্ডস (জয়ী), তুরস্ক, জর্জিয়া ও বুলগেরিয়া।
গ্রুপ এফ: পর্তুগাল/ডেনমার্ক (জয়ী), হাঙ্গেরি, আয়ারল্যান্ড ও আর্মেনিয়া।
গ্রুপ জি: স্পেন/নেদারল্যান্ডস (পরাজিত), পোল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া ও মাল্টা।
গ্রুপ এইচ: অস্ট্রিয়া, রোমানিয়া, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, সাইপ্রাস এবং সান মারিনো।
গ্রুপ আই: জার্মানি/ইতালি (পরাজিত), নরওয়ে, ইসরায়েল, এস্তোনিয়া ও মলদোভা।
গ্রুপ জে: বেলজিয়াম, ওয়েলস, নর্থ মেসিডোনিয়া, কাজাখস্তান ও লিখটেনস্টেইন।
গ্রুপ কে: ইংল্যান্ড, সার্বিয়া, আলবেনিয়া, লাটভিয়া ও অ্যান্ডোরা।
গ্রুপ এল: ফ্রান্স/ক্রোয়েশিয়া (পরাজিত), চেক প্রজাতন্ত্র, মন্টিনিগ্রো, ফারাও আইল্যান্ড ও জিব্রাল্টার।
১ সপ্তাহ আগে
লামিনের মাঝে নিজের কৈশোর দেখতে পান মেসি
বাঁ পায়ের জাদু দিয়ে ইতোমধ্যে ফুটবল বিশ্বে নিজের উপস্থিতি জানান দিয়েছেন বার্সেলোনার তরুণ স্প্যানিশ প্রতিভা লামিন ইয়ামাল। অসাধারণ ড্রিবলিং, ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাঁকানো শটে গোলের জন্য বেশ আগে থেকে অনেকেই তাকে বার্সেলোনার ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসির সঙ্গে তুলনা করতে শুরু করেছেন। এবার সেই কথায় সমর্থন দিলেন খোদ মেসি।
সম্প্রতি জার্মানিতে ক্রীড়া সামগ্রী নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাসের সদর দপ্তরে একটি ইভেন্টে মেসির কাছে নতুন প্রজন্মের একজন খেলোয়াড়ের নাম জানতে চাওয়া হয়। সেখানে লামিন ইয়ামালের সম্পর্কে বলতে গিয়ে মেসি জানান, তার মধ্যে নিজের ছোটবেলার ছায়া দেখতে পান তিনি।
‘তরুণ ফুটবলারদের দারুণ একটি প্রজন্ম উঠে এসেছে, যাদের সামনে অনেক বছর পড়ে আছে। যদি কাউকে বেছে নিতে হয়, আর সেটা তার বয়স ও ভবিষ্যত বিবেচনায়, আমি শুনেছি অনেকেই লামিন ইয়ামালকে বেছে নিয়েছে। কোনো সন্দেহ নেই আমিও তা–ই নেব, (এ বিষয়ে) আমি একমত।’
তিনি বলেন, ‘তবে এটি শুধু তার ওপর নয়, আরও অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করছে। কারণ, ফুটবল এমনই। কিন্তু সে-ই (ফুটবলের) বর্তমান এবং নিঃসন্দেহে দারুণ ভবিষ্যৎ তার সামনে রয়েছে।’
আরও পড়ুন: বার্সার বিশেষ দিনে নিজের ‘বিশেষ দিন’ কোনটি, জানালেন মেসি
মেসির মতোই লা মাসিয়া ফুটবল অ্যাকাডেমিতে বেড়ে উঠে বার্সেলোনার জার্সিতে পেশাদার ফুটবলে হাতেখড়ি হয়েছে লামিনের। মাত্র ১৫ বছর বয়সে সিনিয়র ফুটবলে নাম লেখানোর পর থেকে যেখানেই খেলছেন, একের পর এক রেকর্ড নিজের নামে করে নিচ্ছেন গত জুলাইতে ১৭ বছরে পা দেওয়া এই উইঙ্গার।
বার্সেলোনার জার্সিতে অভিষেকের দিন ক্লাবটির ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ (১৫ বছর ২৯০ দিন) ফুটবলার হিসেবে মাঠে নামেন তিনি। এরপর স্পেন জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নেমেই দেশটির ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলারদের অন্যতম বনে যান তিনি। তার চেয়ে কম বয়সে লা রোহাদের জার্সিতে মাঠে নেমেছেন মাত্র চারজন খেলোয়াড়।
গত বছরের অক্টোবরে গ্রানাদার বিপক্ষে প্রথম জালের দেখা পেয়ে লা লিগার ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে (১৬ বছর ৮৭ দিন) গোল করার কীর্তি গড়েন এই তরুণ প্রতিভা। এরপর ২০২৪ সালের ইউরো আসরেও চোখধাঁধানো পারফরম্যান্স উপহার দেন বাঁ পায়ের এই প্রতিভাবান ফুটবলার। টুর্নামেন্টের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ড গড়ার পর স্পেনকে রেকর্ড চতুর্থবার ইউরোপসেরার মুকুট পরাতে রাখেন বড় অবদান। একটি গোল ও চারটি অ্যাসিস্টে টুর্নামেন্টের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতার আগে টুর্নামেন্টটির ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ গোল ও অ্যাসিস্টদাতার স্বীকৃতি অর্জন করেন তিনি।
এরপর চলতি বছরের ব্যালন দ’র অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েও নতুন ইতিহাস গড়েন লামিন। সেখানে সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে বর্ষসেরা তরুণ ফুটবলারের পুরস্কার কোপা ট্রফি জেতেন তিনি। সব মিলিয়ে এই তরুণ এখন শুধু বার্সেলোনারই নন, বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি পাচ্ছেন।
তবে লিওনেল মেসির সঙ্গে নিজের তুলনা শুনতে ভালো লাগলেও আর্জেন্টাইন মায়েস্ত্রোর পর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব নয় বলে মত তার।
সম্প্রতি একটি স্প্যানিশ টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লামিন বলেন, ‘আমাকে ফুটবল ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়ের সঙ্গে তুলনা করা হয়, বিষয়টি মন্দ লাগে না। তবে মেসির পর্যায়ে পৌঁছানো অসম্ভব।’
আরও পড়ুন: লিওনেল মেসির পর্যায়ে পৌঁছানো অসম্ভব: ইয়ামাল
১ সপ্তাহ আগে
সিটির পারফরম্যান্স নিয়ে মুখোমুখি গুন্ডোগান-গার্দিওলা
দুঃসময়ের চক্র থেকে যেন বেরই হতে পারছে না গত কয়েক মৌসুম ধরে ইউরোপীয় ফুটবলে প্রতাপ দেখানো ম্যানচেস্টার সিটি। সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ইউভেন্তুসের কাছেও বিধ্বস্ত হয়েছে পেপ গার্দিওলার দল।
তুরিনের আলিয়ান্স স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ষষ্ঠ রাউন্ডের ম্যাচে গত রাতে সিটিকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ইউভেন্তুস। ম্যাচে বল দখলের লড়াইয়ে আধিপত্য বিস্তার করলেও আক্রমণ ও গোলের সুযোগ তৈরিতে সিটির খেলোয়াড়দের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাব ছিল চোখে পড়ার মতো। পাশাপাশি ফিনিশিংয়ের অভাবে প্রতিপক্ষের বক্সের সামনে গিয়ে বারবার খেই হারিয়েছে তারা।
তবে এত কিছুর পরও শিষ্যদের মাঝে কোনো ত্রুটি দেখতে পাচ্ছেন না সিটি বস গার্দিওলা। বরং দলের প্রচেষ্টার প্রশংসা করলেন এই স্প্যানিশ কোচ।
‘আমরা ভালো খেলেছি, সত্যিই ভালো খেলেছি। তবে (ফিনিশিংয়ে) শেষ পাসটি আমরা ঠিকঠাক দিতে পারিনি। এই কাজটি আমরা ভালোভাবে করতে পারিনি। তবে ছেলেদের নিয়ে আমি গর্বিত। ওরা সবটুকু উজাড় করে দিয়েছে; চেষ্টার কমতি রাখেনি।’
তিনি বলেন, ‘এখন আমরা এই বাস্তবতায় আছি। আশা করি, সামনে (পরিস্থিতি) বদলে ফেলতে পারব এবং প্রত্যাশিত ফলও পাব। জানি, কাজটা কঠিন। ইউরোপে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লড়াইটা আরও কঠিন। তবে, আমরা আসলেই ভালো খেলেছি।’
কোচের এমন প্রশংসার পরও দলের পারফরম্যান্স নিয়ে মোটেও সন্তুষ্ট নন সিটি অধিনায়ক ইলকাই গুন্ডোগান।
ম্যাচ শেষে টিএনটি স্পোর্টসকে তিনি বলেন, ‘ওদের প্রতিটি আক্রমণই ছিল ভয়ঙ্কর। ওয়ান-অন-ওয়ানেও আমরা খামখেয়ালি ছিলাম, ফলে সহজ ম্যাচটি নিজেরাই জটিল করে ফেলেছি।’
আরও পড়ুন: ক্যারাবাও কাপ: এক রাতে বিদায় সিটি, ভিলা ও চেলসির
সতীর্থদের আত্মবিশ্বাসের অভাবের কারণেই মাঠের পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়ছে জানিয়ে এই জার্মান বলেন, ‘(ভালো খেলতে) আত্মবিশ্বাস খুব গুরুত্বপূর্ণ, এটি (আমাদের) মানসিক সমস্যা। একবার আমরা বলের নিয়ন্ত্রণ হারালে কিংবা ভুল পাস দিলে তারপর থেকে দিতেই থাকি। ফলে আমাদের ছন্দহীন করতে প্রতিপক্ষের বেশিকিছু করা লাগে না।’
‘আত্মবিশ্বাস ফেরাতে আমাদের আবারও সহজ ফুটবলে মনোযোগ দিতে হবে। দলের প্রতি আরও নিবেদন কীভাবে দেওয়া যায়, তার জন্য প্রত্যেক খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথা বলা দরকার।’
গুন্ডোগানের এমন মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিষয়টি একদমই মানতে নারাজ বলে জানান গার্দিওলা। তিনি বলেন, ‘না না। বিষয়টি বরং একেবারেই উল্টো। আজকে আমরা সত্যিই ভালো খেলেছি, খুব খুব ভালো খেলেছি।’
‘ইতালিয়ান দলের বিপক্ষে খেলা সবসময়ই কঠিন। এই ধরনের পরিস্থিতি সামলাতে ওরা ওস্তাদ। মাঠে আমরা নিজেদের সবটা দিয়েছি। হ্যাঁ, কিছু ভুলত্রুটি ছিল বটে, তবে ছেলেদের নিয়ে আমি গর্বিত।’
চোটের কারণে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হারানোয় ভালোভাবে চলতি মৌসুম শুরু করলেও সম্প্রতি খেই হারিয়েছে সিটি। কমিউনিটি শিল্ড জিতে মৌসুম শুরু করে গত ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত সব মিলিয়ে টানা ১৪ ম্যাচ অপরাজিত ছিল গার্দিওলার শিষ্যরা। প্রিমিয়ার লিগ টেবিলেও বেশ কয়েক পয়েন্টের ব্যবধানে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছিল তারা। তবে তারপর থেকেই নিজেদের খুঁজে চলেছে টানা চারবার প্রিমিয়ার লিগ জিতে রেকর্ড গড়া বর্তমান লিগ চ্যাম্পিয়নরা।
আরও পড়ুন: অবশেষ জয়যাত্রা থামল সিটির
৩১ অক্টোবর থেকে টানা পাঁচ ম্যাচ হারা সিটি সবশেষ দশ ম্যাচে মাত্র একবার জয়ের দেখা পেয়েছে, আর ড্র করেছে মাত্র দুটি ম্যাচে। বাকি সাতটি ম্যাচই হেরেছে ম্যানচেস্টারের নীল জার্সিধারীরা।
টানা ছন্দপতনে প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষস্থান থেকে চতুর্থ স্থানে নেমে গেছে ক্লাবটি। পাশাপাশি, চূড়ায় থাকা লিভারপুলের সঙ্গে তাদের পয়েন্ট ব্যবধান বেড়ে হয়েছে ৮। ক্যারাবাও কাপের চতুর্থ রাউন্ড থেকে বাদ তো পড়েছেই, এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম পর্ব থেকে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে তাদের।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ৬ ম্যাচে দুটি করে জয় ও ড্রয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ২২তম অবস্থানে রয়েছে ২০২৩ সালের চ্যাম্পিয়নরা, যা সরাসরি বাদ পড়ার তালিকা থেকে মাত্র এক পয়েন্ট দূরে। এমতাবস্থায় অবশিষ্ট দুই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই তাদের।
আগামী ২২ জানুয়ারি পিএসজি ও ২৯ জানুয়ারি ক্লাব ব্রুজের মুখোমুখি হবে সিটিজেনরা। শক্ত এই দুই প্রতিপক্ষের বাধা অতিক্রম করতে পারলেই দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে প্লে-অফে খেলার স্বপ্ন বেঁচে থাকবে তাদের।
আরও পড়ুন: সিটিই শেষ ক্লাব, জানিয়ে দিলেন গার্দিওলা
১ সপ্তাহ আগে
ধর্ষণ মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন এমবাপ্পে
দুঃসময় একটু একটু করে পিছু ছাড়ছে রিয়াল মাদ্রিদের ফরাসি স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পের। মৌসুমের শুরু থেকে ক্লাব ও ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হলেও মাঠের খেলায় ছন্দে ফিরছেন তিনি। এবার মাঠের বাইরেও পেলেন সুখবর।
ছুটি কাটাতে সুইডেন গিয়ে যে আইনি জটিলতায় পড়েছিলেন ২৫ বছর বয়সী এই ফুটবল তারকা, তা থেকে অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন তিনি।
ঘটনাটি গত অক্টোবর মাসের। চোটের কারণে ফ্রান্স দলের সঙ্গে নেশন্স লিগের ম্যাচ না খেলে আন্তর্জাতিক বিরতির সময়টুকুতে ছুটি কাটাতে সুইডেন গিয়েছিলেন এমবাপ্পে। সেখানে যে হোটেলে তিনি উঠেছিলেন, মাদ্রিদে ফেরার পর ওই হোটেলে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। তিনি যে সময় হোটেলে ছিলেন, ঠিক সেই সময়ই ওই ঘটনা ঘটে। ফলে সুইডিশ পুলিশের গোয়েন্দা নজরদারিতে পড়েন মেসি-রোনালদো-পরবর্তী যুগে ফুটবল বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়া এই ফুটবলার।
এ নিয়ে ফরাসি সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলে বিষয়টি ‘ভুয়া’ বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খোভ ঝাড়েন এমবাপ্পে। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিজেদের নতুন পোশাকের ব্র্যান্ড ‘আর্টিস্ট প্যাক’-এর প্রোমোশন থেকে সে সময় এমবাপ্পেকে সরিয়ে দেয় রিয়াল মাদ্রিদ।
তবে সুইডিশ পুলিশের তদন্ত শেষে স্বস্তি পেয়েছেন এই মাদ্রিদ স্টার। পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে তদন্ত বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘ধর্ষণ অভিযোগের’ তদন্তের মধ্যে এমবাপেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
এ বিষয়ে প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা মারিনা চিরাকোভা বলেন, ‘তদন্ত এগিয়ে নেওয়ার মতো যথেষ্ট প্রমাণ আমাদের কাছে নেই।’
‘ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে একজন সুপরিচিত ব্যক্তিকে সন্দেহ করা হয়েছিল। তবে আমার মূল্যায়ন হচ্ছে, প্রমাণ ছাড়াই (তার বিরুদ্ধে) তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া অনর্থক।’
বিবৃতি দেওয়ার সময় একবারও অভিযুক্তের নাম উল্লেখ করেননি চিরাকোভা। তবে একাধিক সুইডিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন ওই ‘সুপরিচিত’ ব্যক্তি আসলে কিলিয়ান এমবাপ্পেই।
এরপর এমবাপ্পের আইনজীবী মারি-আলিক্স কানু-বেরনার্দ ও তার প্রতিনিধির কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তাদের কেউই মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে, কয়েকদিন আগে ফরাসি টেলিভিশন কানাল প্লাসের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হলে এমবাপ্পে বলেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগে আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, (খবর) দেখে আমি অবাকই হয়েছিলাম। সুইডিশ কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে আমার সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ পর্যন্ত করেনি!’
তিনি বলেন, ‘এসব (গুজব) এভাবে না জানিয়েই ছড়িয়ে পড়ে। তবে বিষয়টি আমাকে একেবারেই প্রভাবিত করেনি।’
ফর্মহীনতা কাটিয়ে সম্প্রতি ছন্দে ফিরতে শুরু করেছেন এমবাপ্পে। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে সর্বশেষ দুই ম্যাচে গোল পেয়েছেন তিনি।
১ সপ্তাহ আগে
দ্বিতীয়ার্ধের চরম নাটকীয়তা শেষে ডর্টমুন্ড বধ বার্সেলোনার
বার্সেলোনা-ডর্টমুন্ড ম্যাচ মানেই যেন সুন্দর ফুটবল, আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ পসরা ও গোলের উচ্ছ্বাসের সমন্বয়ে জমজমাট এক লড়াই। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। তবে উপভোগ্য ফুটবল উপহার দিয়েও নিয়তি মেনে শেষ পর্যন্ত ব্যথার মালা গলায় পরতে হয়েছে কালো-হলুদ জার্সিধারীদেরই।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সেলোনা ও ডর্টমুন্ডের মুখোমুখি হওয়া সাম্প্রতিক মৌসুমগুলোতে নিয়মিত ঘটনা হয়ে গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় জিগনাল ইদুনা পার্কে স্বাগকিতদের ৩-২ গোলে হারিয়েছে কাতালান জায়ান্টরা।
ম্যাচের নাটক, উত্তেজনা, উল্লাস- সবই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। তাই বলে প্রথমার্ধ যে ম্যাড়মেড়ে ছিল, মোটেও তা নয়।
এদিন ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই পরপর দুটি দারুণ সুযোগ পায় বার্সেলোনা। তবে ফিনিশিংয়ের অভাবে সুযোগগুলো মাঠে মারা যায়।
আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে ম্যাচ এগিয়ে যাওয়ার মাঝে ত্রয়োদশ মিনিটে ফের আরেকটি সুযোগ তৈরি করে কাতালানরা। পাল্টা আক্রমণে উঠে বিপরীত পাশ ধরে অনেকটা ফাঁকায় এগোতে থাকা রাফিনিয়ার উদ্দেশে পায়ের পাতা দিয়ে বাঁকানো সিগনেচার পাস দেন লামিন ইয়ামাল। তবে সেবারও ফিনিংশের অভাবে সুযোগ হারায় দলটি।
চার মিনিট পর গোল করতে পারতেন মার্সেল জাবিৎসার, তবে সতীর্থের পাসে গতি থাকায় সুবিধা করতে পারেননি ডর্টমুন্ডের এই অস্ট্রিয়ান মিডফিল্ডার।
ম্যাচের শুরুতে বার্সাকে চেপে ধরার চেষ্টা করলেও সময় অতিবাহিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। আর তটস্থ হয়ে তাদের স্পেস কমিয়ে দিতে এবং সুযোগ পেলেই ক্ষিপ্র গতিতে আক্রমণে ওঠার চেষ্টায় থাকে নুরি সাহিনের শিষ্যরা।
ভুগতে ভুগতে ৪০তম মিনিটের শুরুতে দারুণ একটি আক্রমণে উঠে গোল পেয়েই গিয়েছিল ডর্টমুন্ড, কিন্তু সতীর্থের কাছ থেকে আসা উড়ন্ত ক্রসে মাথা লাগিয়েও ইনিয়াকি পেনিয়াকে পরাস্ত করতে ব্যর্থ হন সেরহু গিরাসি।
প্রথমার্ধে বলের ওপর একক আধিপত্য ধরে রাখলেও আক্রমণে খানিকটা নিষ্প্রভ ছিল বার্সা। ফলে গোলের উদ্দেশ্যে ৮টি শট নিয়ে তার তিনটি লক্ষ্যে রেখেও কাজের কাজ করতে ব্যর্থ হয় তারা।
অপরদিকে, প্রায় পুরোটা সময়জুড়ে রক্ষণ সামলানো ডর্টমুন্ড মাঝেমধ্যে দুয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও বার্সার অফসাইড ফাঁদ কিংবা ডিফেন্ডারদের নৈপুণ্যে বারবারই হতাশ হয়। ফলে স্কোরলাইনে কোনো পরিবর্তন না আনতে পেরেই বিরতিতে যায় দুদল।
১ সপ্তাহ আগে
ঝুঁকি নিয়ে মাঠে নামছেন ভিনিসিউস
নতুন আঙ্গিকের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের লিগ পর্বের প্রথম পাঁচ ম্যাচের তিনটিই হেরে শীর্ষ আটে থাকা নিয়ে সংশয়ে পড়ে গেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। এমতাবস্থায় চোট থেকে পুরোপুরি সেরে না উঠলেও মঙ্গলবার রাতে রিয়ালের হয়ে মাঠে নামতে চান ক্লাবের আক্রমণভাগের সবচেয়ে বড় আস্থার নাম ভিনিসিউস জুনিয়র।
মঙ্গলবার রাতে ইতালির গেভিস স্টেডিয়ামে জিয়ান পিয়েরো গাস্পেরিনির শিষ্যদের মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ।
ঘরোয়া ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মিলিয়ে চলতি মৌসুমে যেন উড়ে চলেছে আতালান্তা। সেরি-আয় ১৫ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চূড়ায় রয়েছে দলটি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এখনও হারেনি তারা। পাঁচ ম্যাচের তিনটি জিতে এবং বাকি দুটি ড্র করে টেবিলের পঞ্চম স্থানে রয়েছে ক্লাবটি। এমন পারফরম্যান্স দিয়ে চলা আতালান্তার সামনে এবার চলতি মৌসুমে ভুগতে থাকা রিয়াল মাদ্রিদ।
মাত্র ৬ পয়েন্ট নিয়ে বাদ পড়াদের তালিকা থেকে মাত্র দুই পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছে কার্লো আনচেলত্তির দল। ফলে ষষ্ঠ ম্যাচে আতালান্তাসহ বাকি দুই ম্যাচেও জয়ের বিকল্প নেই তাদের। দলের এমন অবস্থায় অস্বস্তি নিয়েও ফিরতে হচ্ছে ভিনিসিউসকে।
আন্তঃমহাদেশীয় কাপের পর তার ফেরার কথা থাকলেও আতালান্তা ম্যাচের জন্য বিশ্রামের সময় দশ দিন ছেঁটে ফেলেছেন ভিনি। এতে লস ব্লাঙ্কোসদের প্রতি তার অশেষ নিবেদন প্রকাশ পেলেও স্বাস্থ্য নিয়ে ঝুঁকি নিতে চলেছেন এই ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড।
ফুটবল বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চোট থেকে পুরোপুরি সেরে না উঠে ফের মাঠে নেমে যদি তিনি একই স্থানে আঘাত বা টান পান, সেক্ষেত্রে পরবর্তী চোটে তাকে আর দীর্ঘ সময় ধরে ভুগতে হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের এমন সতর্কবাণী ভিনিকে ভাবাতে না পারলেও কোচ আনচেলত্তি নিশ্চিয়ই বিষয়টি মাথায় রেখে শিষ্যের সময় ব্যবস্থাপনা করবেন।
১ সপ্তাহ আগে