স্থানীয়-ব্যবসা-বাণিজ্য
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রার শর্ত শিথিল করল আইএমএফ
বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রার শর্ত শিথিল করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
এর আগে আইএমএফ ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ ন্যূনতম নিট রিজার্ভ ১ হাজার ৯৪৩ কোটি ডলার রাখার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। সেই লক্ষ্যমাত্রা এখন কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলারে।
এ ছাড়া চলতি ডিসেম্বর শেষে ১ হাজার ৫৩০ কোটি ডলার বজায় রাখার শর্ত ছিল। গত সোমবার পর্যন্ত রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৯০ কোটি ডলার, যা আইএমএফের পরবর্তী ঋণের কিস্তি পরিশোধে কোনো বাধা হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা।
আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল সম্প্রতি বাংলাদেশের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের শর্তের অগ্রগতি পর্যালোচনা শেষ করেছে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দলের সমাপনী সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আইএমএফ মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজন এমন মূল ক্ষেত্রগুলো তুলে ধরেছে।
বিনিময় হার নির্ধারণে বাংলাদেশকে আরও বাজারভিত্তিক পদ্ধতি অবলম্বন করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। এটি সহজতর করতে বিনিময় হার নির্ধারণের জন্য শিগগিরই একটি নতুন পদ্ধতি চালু করা হবে। আইএমএফ দুর্বল ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম স্থিতিশীল করতে তারল্য সহায়তা হিসেবে ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা পর্যায়ক্রমে ঋণ দেওয়ার সুপারিশ করেছে।
আরও পড়ুন: ডলার বিনিময় হার সংস্কার নিয়ে ভাবছে বাংলাদেশ ব্যাংক-আইএমএফ
এছাড়া, এটি জোর দেয় যে, এমন কোনো নতুন ব্যবস্থা নেওয়া উচিত নয়, যা অর্থ সরবরাহ বাড়াবে এবং মুদ্রাস্ফীতিকে আরও বাড়াবে।
আইএমএফ তার সুপারিশে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বাড়ানোর লক্ষ্যে একটি পুনর্গঠিত মুদ্রানীতি কাঠামোর প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মূল্যস্ফীতির চাপ কমানো এবং আর্থিক খাতে আরও ভালো স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।
এই পদক্ষেপগুলোর বেশিরভাগই ২০২৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে আর্থিক তদারকি বাড়াতে হালনাগাদ অর্থনৈতিক সূচক ও নিয়ন্ত্রক তথ্যের সময়মতো প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছে আইএমএফ।
৪ দিন আগে
ডিএসইতে মূল্যসূচক বাড়ল ১৪. ৪৮ পয়েন্ট
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বৃহস্পতিবার প্রথম ঘণ্টায় সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন চলছে।
ডিএসইতে লেনদেন রেকর্ডে দেখা যায়, ৩ হাজার ২৮টি লেনদেনের মাধ্যমে ৩ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট বিনিময় হয়েছে।
এ সময়ে কেনাবেচা হওয়া শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মূল্য ৮৯ কোটি টাকা।
মোট ৩৬৪টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর
ডিএসইতে লেনদেন করা কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৯৮টির, কমেছে ৮৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৮১টি কোম্পানির শেয়ারমূল্য।
বৃহস্পতিবার প্রথম এক ঘণ্টায় ডিএসইএক্সের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৪ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ১৩৮ দশমিক ৯৮ পয়েন্টে, ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ৪ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট কমে এক হাজার ১৪৬ দশমিক ৭৪ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ বিশেষ ব্লু চিপ ৫ দশমিক ১২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৯৪ দশমিক ৫৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিএসইতে ১ ঘণ্টায় সূচক কমল ১০.৭১ পয়েন্ট
১ সপ্তাহ আগে
শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ডের যন্ত্রপাতিতে ভ্যাট অব্যাহতি দিল সরকার
সরকার বৈশ্বিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পরিবেশগতভাবে টেকসই অনুশীলনের উন্নয়নে শিপ-রিসাইক্লিং ইয়ার্ডের জন্য মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে অগ্রিম করসহ ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) অব্যাহতি দিয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব (মূসক নীতি) মশিউর রহমানের সই করা এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং ২০২৫ সালের ২৬ জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
আদেশে বলা হয়, সরকার ২০২৫ সালের ২৬ জুনের মধ্যে সব শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ডকে গ্রিন শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ডে রূপান্তর করতে বদ্ধপরিকর।
এই রূপান্তর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অর্জনে ব্যর্থ হলে নির্ধারিত সময়ের পরে বাংলাদেশে রিসাইক্লিং করার জন্য জাহাজ আমদানি নিষিদ্ধ হবে।
ফলে মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ৪৭ নম্বর আইন) এর ১২৬ ধারার উপধারা (৩) অনুযায়ী মূসক অব্যাহতি প্রদান করা হলো।
অব্যাহতির শর্তাবলি
আমদানিকৃত মূলধনী যন্ত্রপাতি কেবল জাহাজ ভাঙা এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য ইয়ার্ডগুলোর বিকাশের জন্য ব্যবহার করতে হবে।
কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সের সময় আমদানিকারকদের শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পদমর্যাদার নিচে নয় এমন কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। এটি নিশ্চিত করবে যে যন্ত্রপাতিটি কেবল এই উদ্দেশে ব্যবহার করা হবে।
আরও পড়ুন: বাজেটে মেট্রোরেলের টিকিটে ভ্যাট ছাড় ঘিরে অনিশ্চয়তা
এনবিআর সুনির্দিষ্ট করে দিয়েছে, রেয়াতি মূল্যে আমদানিকৃত যন্ত্রপাতি আমদানির পাঁচ বছরের মধ্যে বিক্রি বা হস্তান্তর করা যাবে না। এ সময়ের আগে কোনো যন্ত্রপাতি বিক্রি বা স্থানান্তর করা হলে ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) ছাড় প্রত্যাহার করা হবে এবং অগ্রিম করসহ প্রযোজ্য সব কর পরিশোধ করতে হবে।
এছাড়া ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট রাজস্ব কর্মকর্তা উভয়ই জাহাজ ভাঙা ও রিসাইক্লিং ইয়ার্ডে এককভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং নির্ধারিত পাঁচ বছরের মধ্যে বিক্রি বা হস্তান্তর করা হয়নি- তা নিশ্চিত করতে কমপ্লায়েন্স তদারকি করবেন।
এছাড়া আমদানিকারকদের ৩০০ টাকা মূল্যের নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যন্ত্রপাতি বিক্রি বা হস্তান্তর না করার অঙ্গীকারনামা দাখিল করতে হবে। ছাড়পত্রের সময় এই অঙ্গীকারনামা কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ভোজ্যতেল আমদানিতে ভ্যাট কমাল সরকার
১ সপ্তাহ আগে
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে কোটিপতির অ্যাকাউন্টের সংখ্যা কমেছে: বাংলাদেশ ব্যাংক
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ব্যাংক ব্যবস্থায় এক কোটি বা তার বেশি টাকার হিসাবধারীর সংখ্যা কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের জুলাই-সেপ্টেম্বর তিন মাসের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, অন্তত ২৬ হাজার কোটটি টাকা তুলে নিয়েছেন মানুষ। যাদের সবাই এক কোটিপতি অর্থ উত্তোলন করেছেন।
এসব টাকা উত্তোলনের কারণে ব্যাংক হিসাবের ব্যালেন্স দেড় হাজারের বেশি মানুষের কোটি টাকার নিচে নেমেছে।
দেশে প্রকৃত কোটিপতির সঠিক সংখ্যা অনিশ্চিত থাকলেও ব্যাংকে কোটি টাকার হিসাবের সংখ্যা থেকে একটি আনুমানিক সংখ্যা বলা যেতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ মহামারির পর থেকে এসব অ্যাকাউন্ট উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
আরও পড়ুন: ডলার বিনিময় হার সংস্কার নিয়ে ভাবছে বাংলাদেশ ব্যাংক-আইএমএফ
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ১৯৭৫ সালে এক কোটি টাকার বেশি হিসাব ছিল মাত্র ৪৭টি।
২০১৫ সালে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৭ হাজার ৫১৬ জনে। ২০২০ সালের মার্চে কোভিড-১৯ মহামারির শুরুতে এ ধরনের অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ছিল ৮২ হাজার ৬২৫টি, যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজারে।
অর্থনীতিবিদরা সাম্প্রতিক উত্তোলনের জন্য রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরে ক্ষুদ্র আমানতকারীদের মধ্যে আতঙ্ককে দায়ী করেছেন।
তাদের মতে, দুর্বল ব্যাংকগুলো কোটিপতিদের বড় অঙ্কের অর্থ বিতরণ করতে হিমশিম খায়। যার ফলে অনেকে তাদের মূলধন শক্তিশালী ব্যাংকে স্থানান্তর করতে বাধ্য হয়।
ফলে শক্তিশালী ব্যাংকগুলোতে একক হিসাবে একীভূত তহবিল এক কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
এই প্রবণতার ভিত্তিতে এক কোটি টাকা বা তদূর্ধ্ব হিসাবের সংখ্যা বাড়বে বলে আশা করা হয়েছিল।
কিন্তু প্রত্যাশার বিপরীতে সংখ্যাটা কমেছে।
আরও পড়ুন: নতুন নকশার নোট বাজারে ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক
১ সপ্তাহ আগে
নতুন নকশার নোট বাজারে ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক
বহুল আলোচিত বাংলাদেশি ২০ টাকা, ১০০ টাকা, ৫০০ টাকা ও এক হাজার টাকা মূল্যমানের নতুন নোট আগামী ছয় মাসের মধ্যে বাজারে আসবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক এই তথ্য প্রকাশ করার পর আসন্ন নোটের নকশার উপাদান নিয়ে ব্যাপক কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা বলেন,নতুন নোট আসা নিশ্চিত। তবে নকশার সঠিক উপাদানগুলো নিশ্চিত করার সময় এখনও আসেনি।
মুজিব থাকছে কিনা?
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো নকশায় সম্ভাব্য পরিবর্তনের ইঙ্গিতে দিয়েছেন। নতুন নোটে শেখ মুজিবুর রহমানের আইকনিক প্রতিকৃতি আর নাও থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা।
ধারণা করা হচ্ছে, নতুন মুদ্রায় বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক বা জুলাই বিপ্লবের দেয়ালচিত্র তুলে ধরা হতে পারে, যা একটি স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক মূল্যবোধকে তুলে ধরবে।
তারা বলেন, সরকার নতুন নোট মুদ্রণের অনুমোদন দিয়েছে এবং প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষ করার পরে ছয় মাসের মধ্যে সেগুলোর প্রচলন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আইসিবিকে স্বল্প সুদে ৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
নকশা সংস্কার
সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত অন্তর্দৃষ্টি থেকে বোঝা যায় যে, প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলো বাংলাদেশের ব্যাংক নোটের দৃশ্যমান পরিচয়কে নতুন আকার দিতে প্রস্তুত।
যদি এটি বাস্তবায়িত হয়, তবে নকশাগুলো শেখ মুজিবুর রহমানের স্থলে ধর্মীয় স্থান, ঐতিহ্যবাহী বাংলা মোটিফ এবং কৌতূহলের জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতির উদ্দীপক চিত্রগুলো স্থান পাবে।
এই পুনর্বিন্যাসটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গোটা সম্প্রদায় থেকে জাতির পিতার প্রতিকৃতি পর্যায়ক্রমে বাদ দেওয়ার একটি বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ।
এই মাসে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে, আগামী বছরের জুনের মধ্যে এই নোটগুলো প্রচলনের পরিকল্পনা রয়েছে।
উত্তরাধিকারের রূপান্তর
বাংলাদেশে ২ টাকা থেকে ১০০০ টাকা মূল্যমানের প্রতিটি কাগজের নোটে বর্তমানে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি এবং নোটের উভয় পাশে তার প্রতিকৃতি রয়েছে।
এমনকি ধাতব মুদ্রাতেও তার ছবি রয়েছে। এটি তার স্থায়ী উত্তরাধিকারকে তুলে ধরে। নতুন নোট চালু করা হলেও বাংলাদেশ ব্যাংক জনগণকে আশ্বস্ত করেছে যে, বিদ্যমান সমস্ত মুদ্রার প্রচলন থাকবে।
জাতি যখন অধীর আগ্রহে এই বিশাল পরিবর্তনের জন্য অপেক্ষা করছে। আসন্ন নোটগুলো বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যকে একটি নতুন আখ্যানের সঙ্গে একত্রিত করার প্রতিশ্রুতি দেয়। এটি দেশের এগিয়ে যাওয়ার যাত্রাকে তুলে ধরে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংকের সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকার তারল্য সহায়তা
২ সপ্তাহ আগে
ডিএসইতে দেড় ঘণ্টায় লেনদেন ১১৩ কোটি ৮ লাখ টাকা
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বৃহস্পতিবার প্রথম দেড় ঘণ্টায় সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন হয়েছে।
ডিএসইতে বাজারের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেলেও সকালের দিকে লেনদেনের গতি ধীর ছিল।
আরও পড়ুন: আইসিবিকে স্বল্প সুদে ৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
৪০ হাজার একটি লেনদেনের মাধ্যমে ৫ কোটি ৮ হাজার শেয়ার ও ইউনিট বিনিময় হয়েছে। এ সময়ে ১১৩ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বিনিময় হয়েছে।
ডিএসইতে লেনদেনে মোট ৩৬৮টি কোম্পানি অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫১টি কোম্পানির, কমেছে ১৩১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৮৬টি কোম্পানির শেয়ার মূল্য।
বৃহস্পতিবার প্রথম দেড় ঘণ্টায় ডিএসইএক্সের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ২৪৩ দশমিক ৭৩ পয়েন্টে দাঁড়ায়, ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ১ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ১৭৩ দশমিক ৮৯ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ স্পেশাল ব্লু চিপ শূণ্য দশমিক ৫২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯২৪ দশমিক ৪০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিএসইর সূচক বেড়েছে ১৬.৪১ পয়েন্ট, এক ঘণ্টায় ১৪৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা লেনদেন
২ সপ্তাহ আগে
ডিএসইর সূচক বেড়েছে ১৬.৪১ পয়েন্ট, এক ঘণ্টায় ১৪৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা লেনদেন
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বুধবার প্রথম ঘণ্টায় সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন চলছে।
দিনের ডিএসইতে লেনদেনের তথ্যে দেখা যায়, ৪ হাজার ৩৩৩টি লেনদেনের মাধ্যমে ৭ কোটি ৮০ লাখ শেয়ার ও ইউনিট বিনিময় হয়েছে। এ সময় মোট ১৪৩ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে।
আরও পড়ুন: রবিবার প্রথম ১ ঘণ্টায় ডিএসইর সূচক কমেছে ৪২.৪৯ পয়েন্ট
প্রথম ঘণ্টায় ৩৮০টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নেয়। এর মধ্যে ডিএসইতে দাম বেড়েছে ২৩২টি কোম্পানির শেয়ারের, কমেছে ৮৭টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬১টি কোম্পানির শেয়ারমূল্য।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) প্রথম ১ ঘণ্টা ৫০ মিনিটে ডিএসইএক্সের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৬ দশমিক ৪১ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ২৪২ দশমিক ৪৬ পয়েন্টে দাঁড়ায়। এছাড়া ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক শূন্য দশমিক ১৯ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৭৬ দশমিক ৮৮ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ স্পেশাল ব্লু চিপ ৬ দশমিক ৮২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯২৭ দশমিক ৯৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: সূচকের উত্থানে ডিএসইতে লেনদেন চলছে
২ সপ্তাহ আগে
আইসিবিকে স্বল্প সুদে ৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) জন্য প্রাথমিক সুদহার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪ শতাংশ নির্ধারণ করে ৩ হাজার কোটি টাকা ঋণের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) আইসিবির চেয়ারম্যান আবু আহমেদ জানান, ঋণের দুই-তৃতীয়াংশ করপোরেশনের বিদ্যমান ঋণ পরিশোধে ব্যয় করা হবে এবং অবশিষ্ট অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা হবে।
আরও পড়ুন: বিবিসি বাংলার প্রয়াত পাঁচ সাংবাদিককে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ
এর আগে গত ১৩ নভেম্বর ঋণ সহজীকরণে সার্বভৌম গ্যারান্টি দেয় সরকার।
এই গ্যারান্টির ভিত্তিতে গত ২৭ নভেম্বর আইসিবিকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়ে ১০ শতাংশ সুদে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
পরে আইসিবি বাংলাদেশ ব্যাংককে জানায় ১০ শতাংশ সুদের হার প্রতিষ্ঠানটির জন্য টেকসই নয় এবং তা কমিয়ে ৪ শতাংশ করার অনুরোধ করে।
ওই প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংশোধিত সুদহারে ঋণ অনুমোদন করে।
আবু আহমেদ বলেন, বৃহত্তর অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ জোরদার করার পাশাপাশি ঋণ পরিশোধে আইসিবির সক্ষমতা বৃদ্ধি করাই এই আর্থিক সহায়তার লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: বিবিএসের তথ্য জালিয়াতির অভিযোগের মধ্যেই নতুন 'পরিসংখ্যান নীতিমালা' বাস্তবায়নের উদ্যোগ সরকারের
২ সপ্তাহ আগে
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকার তারল্য সহায়তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকার তারল্য সহায়তা
তারল্য সংকটে পড়া কয়েকটি ব্যাংককে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা তারল্য সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সদর দপ্তরের জাহাঙ্গীর আলম সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই পদক্ষেপের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করেন গভর্নর।
ব্যাংকিং খাতে তারল্য বাড়াতে টাকা না ছাপানোর সিদ্ধান্ত থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক সাময়িকভাবে সরে এসেছে বলে স্বীকার করেছেন ড. মনসুর।
আরও পড়ুন: জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পর মুডির অবনমন অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রতিফলন নয়: বাংলাদেশ ব্যাংক
তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই পদক্ষেপ সাময়িক। এটি খাতটির স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে এবং আর্থিক প্রবাহ বজায় রাখার জন্য নেওয়া হয়েছে। ‘কঠোর আর্থিক নীতি অপরিবর্তিত রয়েছে এবং বাজারে অতিরিক্ত তারল্য কমানোর জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
নতুনভাবে সংযোজন করা তহবিলের সম্ভাব্য অপব্যবহার নিয়ে উদ্বেগের বিষয়ে গভর্নর বলেন, বর্তমান পদক্ষেপগুলো সাম্প্রতিক অতীতে যা দেখা গিয়েছিল তার পুনরাবৃত্তি নয়। সেসময় অর্থ মুদ্রণের ফলে অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল।
ড. মনসুর বলেন, 'চুরির সুযোগ দূর করে স্বচ্ছ ও নিরাপদে তহবিল বরাদ্দের বিষয়টি এবার নিশ্চিত করেছি আমরা।’
আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির ওপরও জোর দেন গভর্নর।
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি ব্যাংকে প্রত্যেক মানুষের আমানত নিরাপদ ও সুরক্ষিত। আমানতকারীদের আস্থা ধরে রাখতে অবিরাম প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘ব্যাংকগুলোতে নগদ অর্থের সাময়িক ঘাটতি মেটাতে গ্রাহকদের প্রয়োজনীয় অর্থ উত্তোলনের সুযোগ করে দিতে তারল্য সহায়তা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ সহায়তা সহজতর করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের অস্থায়ী প্রয়োজন মেটাতে সাময়িকভাবে অর্থ মুদ্রণ করবে।’
ব্যাংকে সব আমানত সুরক্ষিত রয়েছে বলে জনগণকে আশ্বস্ত করেছেন গভর্নর। জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়া বা অযথা অর্থ উত্তোলন না করার আহ্বান জানান তিনি।
বাজারে প্রবর্তিত অতিরিক্ত তারল্য মুদ্রাস্ফীতির চাপ রোধে বিভিন্ন ধরনের বন্ডের মাধ্যমে পরিচালনা করা হবে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে এস আলম গ্রুপের হুঁশিয়ারি
৩ সপ্তাহ আগে
সূচকের উত্থানে ডিএসইতে লেনদেন চলছে
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বৃহস্পতিবার সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন চলছে।
লেনদেনের প্রথম আড়াই ঘণ্টায় ৮৮ হাজার ৫৩৯টি লেনদেনের মাধ্যমে মোট ৯৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে। এই সময়ে মোট লেনদেনের পরিমাণ ২৫৯ কোটি টাকা। এটি বাজারে শক্তিশালী কার্যকলাপকে তুলে ধরে।
এ সময়ে লেনদেন করে মোট ৩৮৯টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৫০টির, কমেছে ৭০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইর প্রধান সূচকগুলোতেও বেড়েছে। ডিএসইএক্স সূচক ২৬ দশমিক ৪১ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ২২৪ দশমিক ৩৫ এবং শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএস সূচক ৭ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ১৭৪ দশমিক ১৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এছাড়া, ব্লু-চিপ শেয়ারগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী ডিএস৩০ সূচক ১০ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯২৭ দশমিক ৮১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: রবিবার প্রথম ১ ঘণ্টায় ডিএসইর সূচক কমেছে ৪২.৪৯ পয়েন্ট
৩ সপ্তাহ আগে