বিএনপি
বিএনপি সংস্কার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে: সালাহউদ্দিন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, তার দল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গৃহীত সংস্কার উদ্যোগগুলোতে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করছে।
রবিবার (২০ এপ্রিল) সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার সংলাপে বিএনপি প্রতিনিধি দলের যোগ দেওয়ার আগে তিনি এ কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা সকল বিষয়ে স্বচ্ছতা, আন্তরিকতা এবং গুরুত্বের সঙ্গে সংস্কার উদ্যোগগুলোতে সহযোগিতা করছি।’
কমিশনের সঙ্গে আজকের সংলাপে অংশ নিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বিএনপি প্রতিনিধি দল।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে আলোচনা চলছে।
সংলাপে অংশ নেওয়া প্রতিনিধি দলে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, সাবেক সচিব আবু মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান এবং সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৩৫ মিনিট থেকে বিকাল পৌনে ৫টা পর্যন্ত কমিশনের সঙ্গে সংলাপ করে বিএনপি। তবে এই সময়ের মধ্যে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিও ছিল।
আরও পড়ুন: ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় বিএনপি
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রস্তাবগুলোতে একটি অংশীদারিত্বপূর্ণ অবস্থান তৈরির লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ২০ মার্চ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে।
এখন পর্যন্ত কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়েছেন ১৩টি রাজনৈতিক দল।
চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত এই কমিশনকে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের উপর একটি ঐক্যবদ্ধ জাতীয় অবস্থান তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় বিএনপি
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের সংলাপে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। রবিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে এই সংলাপ শুরু হয়।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেওয়া রাষ্ট্রীয় সংস্কার উদ্যোগের বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করছে কমিশন।
কমিশনের সঙ্গে আজকের সংলাপে অংশ নিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বিএনপি প্রতিনিধি দল।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে আলোচনা চলছে।
সংলাপে অংশ নেওয়া প্রতিনিধি দলে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, সাবেক সচিব আবু মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান এবং সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৩৫ মিনিট থেকে বিকাল পৌনে ৫টা পর্যন্ত কমিশনের সঙ্গে সংলাপ করে বিএনপি। তবে এই সময়ের মধ্যে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিও ছিল।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রস্তাবগুলোতে একটি অংশীদারিত্বপূর্ণ অবস্থান তৈরির লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ২০ মার্চ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: মে’র মাঝামাঝিতে ঐকমত্য কমিশনের প্রাথমিক আলোচনা শেষ হবে: আলী রীয়াজ
এখন পর্যন্ত, কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়েছেন ১৩টি রাজনৈতিক দল।
চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত এই কমিশনকে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের উপর একটি ঐক্যবদ্ধ জাতীয় অবস্থান তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক পর্যায়ে এটি পাঁচটি সংস্কার কমিশনের মূল সুপারিশগুলো প্রস্তুত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে সাংবিধানিক, জনপ্রশাসন, নির্বাচনী, বিচার বিভাগীয় এবং দুর্নীতিবিরোধী সংস্কারগুলো। মূল সুপারিশগুলোর ওপর মতামত চেয়ে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে এর স্প্রেডশিট পাঠানো হয়েছে।
এখন পর্যন্ত ৩৪টি দল তাদের মতামত জানিয়েছে।
কমিশন মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তার প্রথম দফার আলোচনা সম্পন্ন করবে। একই মাসের মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে দ্বিতীয় দফার আলোচনা শুরু করার কথা এবং জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে একটি জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
৭ ঘণ্টা আগে
বিভ্রান্তি তৈরি করলে পুনরায় ফ্যাসিবাদের উত্থান হতে পারে: সরকারকে রিজভী
সরকারের উদ্দেশে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘বিভ্রান্তি তৈরি করলে দেশে পুনরায় ফ্যাসিবাদের উত্থান হতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের বৈপরীত্য থাকলে আপনাদের প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট হবে। অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা, একটি অবাধ সৃষ্ট নির্বাচন করা। কারণ গত ১৫ বছরে দেশে নির্বাচন হয়নি।’
শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে নাটোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জিয়া পরিষদ আয়োজিত গণতন্ত্র ও জিয়াউর রহমান শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘অন্তবর্তী সরকারের কিছু কিছু উপদেষ্টা আছেন, তারা কার পারপাস সার্ভ করছেন আমরা জানি না। তারাও মাঝে মাঝে বিভিন্ন কথা বলার চেষ্টা করছেন। নানা কৌশলে নানা বিভ্রান্তি তৈরি করার জন্য নানা কথা বলা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: সরকার কি কোনো গোপন পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে, প্রশ্ন রিজভীর
৮ মাস হয়ে গেছে, সংস্কারে আর কত সময় লাগবে—প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘সংস্কার রাজনৈতিক এজেন্ডা, এটি চলমান প্রক্রিয়া। নির্বাচিত সরকার সংসদে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সংস্কার কার্যক্রম চালিয়ে নেবে।’
নাটোর জেলা জিয়া পরিষদের সভাপতি আহমেদুল হক চৌধুরির সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ড. এমতাজ হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি কাজী গোলাম মোর্শেদসহ জেলা বিএনপি নেতারা।
সেমিনারের আগে রিজভীর নেতৃত্বে নাটোর শহরে একটি র্যালি বের করা হয়।
১ দিন আগে
বিএনপিকে পাশ কাটাতেই নির্বাচনে বিলম্ব করছে সরকার, অভিযোগ দুদুর
বিএনপিকে পাশ কাটাতেই সরকার নির্বাচন আয়োজনে বিলম্ব করছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি যাতে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে, মানুষের সমর্থন আদায়ের মধ্য দিয়ে, ভোটের মধ্য দিয়ে সরকার গঠন করতে না পারে সেজন্য নির্বাচনকে এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে।’
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক যুব সমাবেশে তিনি এই অভিযোগ করেন। বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমসহ গুম হওয়া নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে সন্ধানের দাবিতে এই যুব সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পরিষদ।
এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে দুদু বলেন, ‘এই সরকারের কাজ-কামে দেশবাসী খুবই উদ্বিগ্ন। তারা (সরকার) কী চায়, সেটাও আমরা বুঝি না।’
নির্বাচন ইস্যুতে সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘কী করবেন, কী করবেন না—এটা বড় কথা না। একটি নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য অনতিবিলম্বে একটা রোড ম্যাপ ঘোষণা করেন। কবে নির্বাচন হবে, কোন মাসে হবে, কোন সালে হবে বলুন। আপনারা একবার ডিসেম্বরে, একবার জুন মাসে—এসব বাদ দেন। এগুলোর জন্য আমরা তৈরি না।’
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আপনাকে আগেও বলেছি, হাসিনাকে যখন তাড়াতে পেরেছি, অন্য ফ্যাসিবাদের যদি উদ্ভব ঘটে, তাদের তাড়ানোও বাংলাদেশের মানুষের ওয়ান-টুর ব্যাপার। সেটি মাথায় রেখে কার্যক্রম নেবেন। আপনাকে ফুলের মালা দিয়ে গ্রহণ করেছি, ফুলের মালা দিয়েই বিদায় জানাতে চাই—এটাই বিএনপির স্ট্যান্ড (অবস্থান) এখন পর্যন্ত।’
আরও পড়ুন: সরকার কি কোনো গোপন পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে, প্রশ্ন রিজভীর
গুমের বিচার অবিলম্বে দৃশ্যমান চেয়ে তিনি বলেন, ‘ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমসহ গুম হওয়া… কত মর্মান্তিক... ওদের রুহের মাগফেরাত কামনা করতে পারছি না, যেহেতু আমরা জানি না ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম মারা গেছেন, না এখনও জীবিত আছেন। তাদের পরিবার আল্লাহর কাছে কী প্রার্থনা করবে, তাদের উত্তরাধিকাররা কী দাবি করবে?’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘এই অচলাবস্থা যারা সৃষ্টি করেছে, বাংলাদেশের মানুষ জানে, শেখ হাসিনা তাকে (ইলিয়াস আলী) শুধু গুম করে নাই, তাকে অপহরণ করে নাই, তাকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছে। আমি এই সভায় দাবি জানাচ্ছি যে, ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমসহ হাজার হাজার যেসব জাতীয় নেতা, ছাত্রনেতা, যুবনেতা—যাদের আমরা এখনও সন্ধান পাই নাই, এই অপরাধের জন্য হাসিনার আমি ফাঁসি দাবি করছি। গুম-খুনের বিচারের উদ্যোগ নিন।’
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ১৩ বছর পরেও সন্ধান মেলেনি বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর
২ দিন আগে
সরকার কি কোনো গোপন পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে, প্রশ্ন রিজভীর
নির্বাচন বাদ দিয়ে সংস্কারকে গুরুত্ব দেওয়ায় মানুষ সরকারের গোপন পরিকল্পনার আশঙ্কা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াপল্টনে এম ইলিয়াস আলী গুম প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘এই সরকার কী কোনও পূর্বনির্ধারিত নকশা নিয়ে এগোচ্ছে? মানুষের মধ্যে এখন বড় প্রশ্ন সেটাই। এই কারণেই একটি ধোঁয়াশাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে।’
তিনি সরাসরি সতর্ক করে বলেন, ‘জনগণের সঙ্গে প্রতারণার চেষ্টা করলে এর পরিণাম শুভ হবে না!’
রিজভী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘নতুন সরকার গঠনের প্রায় নয় মাস পেরিয়ে গেলেও আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রায় ৬০ লাখ মামলার কোনও নিষ্পত্তি হয়নি।’
‘আমি বলব না সরকার কিছুই করছে না—হয়তো করছে। কিন্তু ভোটাধিকার, যার জন্য আমরা ১৫-১৬ বছর ধরে লড়েছি, তা আজও অধরাই রয়ে গেছে। কেন নির্বাচনের পরিবর্তে সংস্কারকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে,’ প্রশ্ন রাখেন এই বিএনপি নেতা।
রিজভীর মতে, ‘কোনও সংস্কারই গণতন্ত্রের বিকল্প হতে পারে না।’
‘গণতন্ত্র মানেই নির্বাচন, গণতন্ত্র মানেই বিচার ও ভোটাধিকার। কিন্তু আজ যখন আমরা সেই ভোটাধিকারের কথা বলছি, তখন সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বিকল্প প্রস্তাব তুলে ধরা হচ্ছে,’ তিনি বলেন।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সংস্কার নিয়ে সংলাপে অংশ নিচ্ছে এবং সেই প্রক্রিয়া এখন শেষের পথে।’
‘তবে প্রশ্ন থেকেই যায়—বাংলাদেশের নির্বাচন এখনও কেন ডিসেম্বর আর জুনের দোলাচলে ঝুলে আছে? এ বিষয়ে সরকারের একটি স্পষ্ট ব্যাখ্যা দরকার,’ রিজভীর দাবি।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘পুরনো সরকারের ঘনিষ্ঠ অনেক ব্যক্তি এখনো প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বিপরীতে, বিএনপির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাউকেই প্রশাসনের মূলস্রোতে স্থান দেওয়া হচ্ছে না।’
৩ দিন আগে
নিখোঁজের ১৩ বছর পরেও সন্ধান মেলেনি বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট-২ আসনের সাবেক এমপি এম ইলিয়াস আলীর ‘নিখোঁজ’ হওয়ার ১৩ বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল)। তাকে ফিরে পাওয়ার প্রতীক্ষা যেন শেষই হচ্ছে না পরিবারের। এমনকি তিনি জীবিত, না মৃত– সে রহস্যও কাটেনি। তাকে অক্ষতভাবে ফিরে পাওয়ার আশায় এখনও অপেক্ষার প্রহর গুনছে তার পরিবার ও নেতাকর্মীরা।
২০১২ সালের এই দিনে ঢাকার বনানীর বাসায় ফেরার পথে গাড়িচালক আনসার আলীসহ নিখোঁজ হন তিনি। এর পর তাকে ফিরে পাওয়ার দাবিতে শুরু হয় আন্দোলন। হরতাল, মিছিল-মিটিং চলে বছরের পর বছর। প্রিয় নেতাকে ফিরে পাওয়ার দাবিতে নিজ এলাকা বিশ্বনাথে গুলিতে প্রাণ দেন তিন নেতাকর্মী।
সরকারের পক্ষ থেকে কোনো তথ্য নিশ্চিত না করায় এখনও অপেক্ষায় রয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। মাঝেমধ্যে ইলিয়াস আলীর সন্ধান পাওয়া গেছে– এমন খবরে নতুন করে আশায় বুক বাঁধলেও পরক্ষণে তা ম্লান হয়ে যায়।
সর্বশেষ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ইলিয়াস আলীকে ফিরে পাওয়ার দাবি জোরালো হয়ে ওঠে। ‘আয়নাঘরে’ তাকে পাওয়া গেছে— এমন খবরও প্রচার করা হয়।
আরও পড়ুন: গুমে জড়িতদের বিচার অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই হবে: তথ্য উপদেষ্টা
এমনকি গত বছরের ১৯ আগস্ট সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার গহরপুর মাদ্রাসায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে ইলিয়াস আলী বেঁচে আছেন এবং বিদেশের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দাবি করে বক্তব্য দেন বিএনপির এক নেতা।পরে ইলিয়াসের স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা সেটিকে গুজব বলে মন্তব্য করেন।৫ আগস্ট হাসিনা সরকার পতনের পর স্বামীকে ফিরে পেতে গুম কমিশনে আবেদন করেন লুনা। কিন্তু সেই আবেদনেরও কোনো অগ্রগতি নেই দাবি করে হতাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
এদিকে, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ইলিয়াস আলীকে অক্ষতভাবে ফেরতের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তার গ্রামের বাড়ি বিশ্বনাথ উপজেলার রামধানায় পারিবারিকভাবে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
জেলা বিএনপি আজ (বুহস্পতিবার) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্টে মানববন্ধন ও দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেবে।
আরও পড়ুন: গুমের তদন্তকারীদের হত্যার জন্য বোমা পুঁতে রাখা হয়েছিল: চিফ প্রসিকিউটর
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী। এ ছাড়া সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে বাদ জোহর হজরত শাহজালাল (রহ.) মাজার মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আহ্বায়ক আবদুল আহাদ খান জামাল।
তিনি জানান, ‘১৩ বছর ধরে প্রিয় নেতাকে ফিরে পাওয়ার দাবি করা হচ্ছে। অতীতের ফ্যাসিস্ট সরকার তাঁকে গুম করে রাখে। কিন্তু আজও তার সন্ধান মেলেনি।’
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা এখনও আশা ছাড়িনি। ইলিয়াস আলীর প্রতীক্ষায় আছি। তিনি এমন এক নেতা, যার জন্য প্রাণ দিয়েছেন কর্মীরা।’
৩ দিন আগে
বিএনপি সংস্কারেরই দল, তবে সবকিছুর মূলে জনগণ: নজরুল ইসলাম খান
বিএনপি সংস্কারের বিপক্ষে নয় বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘বরং বিএনপি সংস্কারেরই দল, তবে সবকিছুর মূলে জনগণ। জনগণের সম্মতিতে যেন সব হয়।’
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপির আলোচনার শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, ‘আমরা গতকাল বুধবার প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, বিএনপি সংস্কারের বিপক্ষে নয়, বিএনপি সংস্কারেরই দল। কিন্তু কেউ কেউ নানান কথা বলেন। তারা যখন সংস্কারের দন্তস্য উচ্চারণ করেননি, তখন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ভিশন ২০৩০ দিয়েছেন।’
সংস্কারের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলো নিয়ে বিএনপির সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাতীয় সংসদের এলডি হলে শুরু হয়েছে।
গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ আন্দোলন–সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমাদের সামনে আরেকবার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, আমরা তা কাজে লাগাতে চাই। আমরা এই কমিশনকে সহযোগিতা করছি, এই সরকারকে সহযোগিতা করছি, সেই প্রত্যাশা নিয়েই।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে সন্তুষ্ট নয় বিএনপি: ফখরুল
যদি ঐকমত্য কমিশনের কোনো সনদ না-ও হয়, বিএনপির জন্য সংস্কারের সনদ রয়েছে বলে জানান নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, সবকিছুর মূলে জনগণ এবং জনগণের সম্মতিতে যেন সব হয়। তিনি আরও বলেন, ‘আর জনগণ কার মাধ্যমে সম্মতি জানায়, তা আমরা জানি।’
আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ, নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ,আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল, সাবেক সচিব নিরুজ্জামান খান অংশ নেন।
আজ দিনব্যাপী এই আলোচনা চলতে পারে বলে ঐক্য কমিশন সূত্রে জানা গেছে। আজ আলোচনা শেষ না হলে প্রয়োজনে আগামী সপ্তাহে আবারও বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বসবে কমিশন।
৩ দিন আগে
নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে সন্তুষ্ট নয় বিএনপি: ফখরুল
আগামী জাতীয় নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা না করায় বিএনপি একেবারেই সন্তুষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক শেষে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
বৈঠকে বিএনপির সাত সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন মির্জা ফখরুল। পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে আমাদের উদ্বেগের কারণগুলো তাকে জানিয়েছি। প্রধান যে বিষয়টি ছিল, নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ—যেটা আমরা বেশকিছুকাল থেকেই বলে এসেছি—সে বিষয়ে তার সঙ্গে আমরা কথা বলেছি।’আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধি দল
‘বর্তমানে যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি আছে এবং দেশের যে অবস্থা, তাতে করে আমরা বিশ্বাস করি, এখানে একটি অতি দ্রুত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সমস্যাগুলোর সমাধান করতে হবে। একইসঙ্গে চলমান যে সংস্কার কমিশনগুলো, সেগুলোতে আমরা সহযোগিতা করছি,’ বলেন তিনি।
‘নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো সুনির্দিষ্ট ডেডলাইন দেনটি প্রধান উপদেষ্টা। তিনি ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন শেষ করতে চান।’
আপনারা তাতে সন্তুষ্ট কিনা; জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা একেবারেই সন্তুষ্ট নই। আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না হলে দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক বলেও জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘গত কয়েকদিন আগে সংস্কার নিয়ে আমাদের মতামত দিয়েছি। আগামীকাল এ নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক আছে। আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, যে বিষয়গুলোতে সব দলের ঐকমত্য হবে, সেগুলো নিয়ে আমরা চার্টার করতে রাজি আছে।’
‘তার পরে সেটির ওপর ভিত্তি করে আমরা নির্বাচনের দিকে চলে যেতে পারি। বাকি সংস্কার, যেগুলোতে ঐকমত্য হবে—সেটা অবশ্যই আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যারা নির্বাচনে হয়ে ক্ষমতায় আসবেন—তারা বাস্তবায়ন করার ব্যবস্থা নেবে।’
বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন, দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দীন সরকার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সালাহউদ্দিন আহম্মেদ ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
৪ দিন আগে
নববর্ষে জাতির আকাঙ্ক্ষা মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া: রিজভী
আজকের নববর্ষে জাতির আকাঙ্ক্ষা অতিদ্রুত মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
সোমবার(১৪ এপ্রিল) দুপুরে নববর্ষ উপলক্ষে রাজধানীর সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে সতীর্থ স্বজনের উদ্যোগে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন,'যার জন্য আমরা গত ১৫ থেকে ১৬ বছর ধরে লড়াই করছি এখনও সেটি নিশ্চিত হয়নি। সেটি নিশ্চিত করার পথেই আমরা এগুচ্ছি। কিন্তু, এটি নিয়ে টালবাহানা করা চলবে না। চলবে না এই অর্থেই যে, এটার জন্যই তো সংগ্রাম হয়েছে—সেটা হলো গণতন্ত্র। সুতরাং নববর্ষে জাতির আকাঙ্ক্ষা মানুষের ভোটাধিকার ফিরেয়ে দেওয়া। কারণ, শেখ হাসিনা মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিল।
বিএনপির এই নেতা বলেন, এই ভোটাধিকার কেড়ে নিতে গিয়ে তিনি(হাসিনা) আজীবন ক্ষমতাবিলাসী চেতনা নিয়ে দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, দেশের ন্যায় বিচার, আদালত, আইন কানুন, গণমাধ্যম সবকিছু ভেঙেচুরে তছনছ করে দিয়ে একটা একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন।
রিজভী বলেন, 'শেখ হাসিনার এই ভয়ংকর থাবার মধ্যেও এদেশের মানুষ তার নিজস্ব চিন্তা তার নিজস্ব সংস্কৃতি তার গৌরবময় অতীত এবং তার আবহমান বাংলার প্রকৃত যে আদর্শ—সেটা বুকে ধারন করেই লড়াই করেছে। আর এই লড়াই করেছে বলেই আমরা আজকে বিজয়ী হয়েছি।
তিনি বলেন, এই বিজয়কে আরও দীর্ঘস্থায়ী করতে হবে। এই বিজয়কে একটি গণতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে অবশ্যই আমি যে কথাটি বললাম— আজকের নববর্ষের জাতির আকাঙ্খা হচ্ছে অতিদ্রুত ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া।
রিজভী প্রশ্ন রেখে বলেন, 'ভোটাধিকারকে কেন সংস্কারের সঙ্গে এক করে দেওয়া হচ্ছে? পৃথিবীর কোথাও তো এটা দেখা হয়নি। গণতন্ত্র মানেই সংস্কার। গণতন্ত্র মানে একটা নদীর প্রবল স্রোতের মতো একটা পদ্ধতি, একটি ধারাবাহিকতা। যে নদীর পানি যত খরস্রোতা, সেই নদীর পানি তত স্বচ্ছ। কারণ, সেখানে কোনো ধরনের আবদ্ধতা তৈরি হয় না ‘
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির বৈঠক ১৬ এপ্রিল
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, 'বিগত ১৫ থেকে ১৬ বছর অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে একটি বিদেশি সংস্কৃতির উপদানগুলো আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে কত পরিকল্পিত এবং সূক্ষ্মভাবে তারা যে মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে যে সমস্ত মুখোশ ব্যবহার করত, যে প্রতিকৃতিগুলো তারা ব্যবহার করত—সেখানে পরিকল্পিতভাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিকৃতভাবে চিহ্নিত করে একে সেটা নিয়ে তারা মঙ্গল শোভাযাত্রা করেছে।
তিনি বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশে প্রত্যেকের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত থাকতে হবে। সেখানে পরিকল্পিতভাবে দাড়িওয়ালা, টুপি ওয়ালাদেরকে বিকৃত করা হতো, কেন? সব দাড়িওয়ালা টুপিওয়ালারা তো স্বাধীনতা যুদ্ধে বিরোধিতা করেনি। দেশের প্রত্যেকটি মানুষ একটি পর্যায়ে বুঝতে পেরেছে আমরা একটি পরিকল্পিত আগ্রাসী শক্তির সাংস্কৃতিক আধিপত্যের মধ্যে পড়ে যাচ্ছি।
রিজভী বলেন, '৫ আগস্টের আন্দোলনের যে সফলতা, এই যে দুনিয়া কাঁপানো যে বিপ্লবের মধ্য দিয়ে শুধু একটি রাজনৈতিক দল বা ফ্যাসিস্টের পতন নয়—এটা ছিল আমাদের পদলিত করে রাখার যে সাংস্কৃতিক অর্থনৈতিক আধিপত্যবাদী চক্রান্ত, সেটার বিরুদ্ধেও কিন্তু এই লড়াইয়ে বিজয়ী হওয়া। শুধু হাসিনার পতন নয়, আমরা সমস্ত দিক থেকে বিজয়ী হয়েছি—এটার মধ্য দিয়ে।
এসময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, কবি রেজাবুদ্দৌলা স্টারলিন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান, যুবদল নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদল নেতা তৌহিদ আউয়াল, রাজু আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
৬ দিন আগে
সোমবার সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরছেন মির্জা ফখরুল
সিঙ্গাপুরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে সস্ত্রীক দেশে ফিরছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকালে ইউএনবিকে ফখরুল বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ আমরা ১৪ এপ্রিল (সোমবার) বিকালে দেশে ফিরব। আমাদের দুইজনেরই সবগুলো রিপোর্ট ভালো। আমার স্ত্রীর অবস্থাও ভালো। উনি সুস্থ ও ভালো আছেন।’
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গত ৬ এপ্রিল সিঙ্গাপুর যান মির্জা ফখরুল ও তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ফখরুলের নামে একটি ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেইজ থেকে তার স্ত্রীকে নিয়ে এক পোস্ট আলোচনার জন্ম দেয়।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন ফখরুল
৯ দিন আগে