ইউএস-ও-কানাডা
শুল্ক এড়াতে ইইউকে যুক্তরাষ্ট্রের তেল গ্যাস কিনতে হবে: ট্রাম্প
বাণিজ্য শুল্ক এড়াতে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্র থেকে বড় অঙ্কের তেল ও গ্যাস কেনার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শুক্রবার নিজের ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ইউরোপীয় ইউনিয়নকে বলেছি, বড় আকারে আমাদের তেল ও গ্যাস কিনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের বিশাল (বাণিজ্য) ঘাটতি পূরণ করতে হবে। অন্যথায় সবকিছুতে শুল্ক দিতে হবে।’
দ্বিতীয় মেয়াদে জানুয়ারি মাসে দায়িত্ব নেওয়ার আগেই ইইউসহ যুক্তরাষ্ট্রের সব বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর শুল্ক আরোপের হুঁমকি দিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও এলএনজি কেনার প্রস্তাব দেওয়ার পরও ইইউকে হুমকি দিলেন তিনি।
ইউরোস্ট্যাটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ৫০২ বিলিয়ন ইউরো মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে ইইউ।
প্রথম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি ইইউ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ওপর যথেষ্ট চাপ সৃষ্টি করে। সে সময় বাণিজ্য শুল্ক, ন্যাটো তহবিল ও প্যারিস জলবায়ু চুক্তির মতো যুগান্তকারী চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিয়ে তিনি বিরোধ সৃষ্টি করেছিলেন।
৩ দিন আগে
ক্যালিফোর্নিয়ায় ৭.০ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের কিছু অংশে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এর ফলে সুনামি সতর্কতা জারি করেছে দেশটির জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা (এনডব্লিউএস)।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৪৪ মিনিটে উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ার হামবোল্ট কাউন্টির ফার্নডেল শহর থেকে ১০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে উপকূলীয় অঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
প্রাথমিকভাবে ৬ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প হিসেবে জানালেও পরে এটিকে ৭.০ মাত্রায় উন্নীত করে ইউএসজিএস। সমূদ্রপৃষ্ঠের ৬০০ মিটার গভীরে কম্পনের উৎসস্থল চিহ্নিত করা হয়।
ভূমিকম্প আঘাত হানার কয়েক মিনিট পর এনডব্লিউএসের সুনামি সতর্কতার আওতায় পড়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার অন্তত ৫৩ লাখ মানুষ। এরপর ওই এলাকা ও সান ফ্রান্সিসকো উপকূল থেকে স্থানীয়দের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ডেল নর্টে, হামবোল্ট ও মেন্ডোসিনো কাউন্টিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম।
উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ায় এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি স্বল্প মাত্রার আফটারশক হয়েছে।
হামবোল্ট কাউন্টির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের পর ওই অঞ্চলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি এবং ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন চলছে।
২ সপ্তাহ আগে
ইউক্রেনকে আরও ৭২৫ মিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র
রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধরত ইউক্রেনের জরুরি প্রয়োজন মেটাতে দেশটিকে আরও ৭২৫ মিলিয়ন বা ৭২ কোটি ৫০ লাখ ডলার সামরিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সর্বশেষ প্যাকেজে থাকা রসদের মধ্যে রয়েছে বিমান প্রতিরক্ষা সক্ষমতা, রকেট সিস্টেম এবং আর্টিলারি ও ট্যাংক বিধ্বংসী অস্ত্র।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনকে জরুরি প্রয়োজনীয় অস্ত্র ও সরঞ্জামের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্যাকেজ সরবরাহ করবেন বলে ঘোষণা দেওয়ার পর এই তথ্য প্রকাশ করা হলো।
সোমবার মার্কিন প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র দপ্তরের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে অজ্ঞাত সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলো এ তথ্য জানায়।
২ সপ্তাহ আগে
২০ জানুয়ারির মধ্যে জিম্মিদের মুক্তি না দিলে হামাসের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা: ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আগে অর্থাৎ আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে জিম্মিদের মুক্তি না দিলে হামাসকে কঠোর পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ১,২০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হন। এছাড়া ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়েছিল।
ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টে ট্রাম্প সেসব বন্দিদের মুক্তির বব্যস্থা নিতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে সমালোচনা করেন।
ট্রাম্প বন্দিদের পরিস্থিতির নিন্দা জানিয়ে তাদের প্রতি আচরণকে সহিংস ও অমানবিক বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, তাদের মুক্তি না দিলে অভূতপূর্ব প্রতিশোধ নেওয়া হবে এবং অপহরণের জন্য দায়ীদের কঠোর পরিণতি হবে।
সম্প্রতি হামাস একটি ভিডিও প্রকাশ করে। তাতে ২০ বছর বয়সি ইসরায়েলি-আমেরিকান জিম্মি এডান আলেকজান্ডারকে দেখা যায়। গত বছরের ৭ অক্টোবরের হামলার সময় তাকে অপহরণ করা হয়। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় আলেকজান্ডার নিজের মুক্তির আবেদন জানান এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও ট্রাম্পের উদ্দেশ্যে বার্তা দেন।
নেতানিয়াহু বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তি প্রক্রিয়া চলছে। তা সত্ত্বেও যুদ্ধ শুরুর এক বছরেরও বেশি সময় পরে এটি নাগালের বাইরেই রয়ে গেছে। গাজায় ইসরাইলি সামরিক অভিযানও অব্যাহত।
এদিকে, নভেম্বরে লেবাননের হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি এরই মধ্যে লঙ্ঘন করেছে ইসরায়েল।
সোমবার হিজবুল্লাহ দুটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে বলে অভিযোগ করেছে ইসরায়েল। যদিও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতি কার্যকর এবং হিজবুল্লাহর যেকোনো লঙ্ঘনের জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
২ সপ্তাহ আগে
নিলামে ৬২ লাখ ডলারে বিক্রি হলো সেই কলা
জনপ্রিয়তার পারদ চড়াতে চড়াতে তা এবার আকাশে তুললেন প্রখ্যাত ইতালীয় শিল্পী মাউরিৎসিও কাত্তেলান। ২০১৯ সালে শিল্পাঙ্গনে একটি কলা নিয়ে এসে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন তিনি, এবার সেই ‘কলা শিল্প’ বিক্রি হলো আকাশছোঁয়া মূল্যে।
শিল্প হলেও তা আসলে একটি কলাই; হ্যাঁ, যে কলা আমরা খেয়ে থাকি। কিন্তু তাই বলে একটি কলা ৬২ লাখ ডলারে বিক্রি হবে? অথচ হয়েছে তা-ই।
স্থানীয় সময় বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের সদেবিজ-এর নিলামে কলার ওই শিল্পকর্মটি বিক্রি হয়েছে ৬.২ মিলিয়ন ডলারে। নিলাম শুরু হওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে ছয় প্রতিদ্বন্দ্বীকে পেছনে ফেলে সেটি কিনে নেন চীনা বংশোদ্ভূত ক্রিপ্টো উদ্যোক্তা জাস্টিন সান।
এই শিল্পকর্মটি মূলত ২০১৯ সালের কনসেপ্ট আর্টওয়ার্ক। ‘কমেডিয়ান’ নামের এই শিল্পের স্রষ্টা মাউরিৎসিও কাত্তেলান। এটি মূলত ডাক্ট টেপ দিয়ে দেয়ালে আটকে রাখা একটি কলা, শিল্পীর নির্দেশনা অনুযায়ী যা প্রতিস্থাপনযোগ্য।
সে বছর আর্ট বাসেল মায়ামি বিচ প্রদর্শনীতে প্রথম ‘কমেডিয়ান’-এর প্রদর্শনী হয়। এরপর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে উঠে আসেন কাত্তেলান ও তার এই শিল্পকর্ম।
শিল্পপ্রেমীদের কাছে শিল্পের চিরাচরিত মাপকাঠি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেয় ‘কমেডিয়ান’। এর পক্ষে-বিপক্ষে ওঠে আলোচনার ঝড়। প্রথম কলাটি শত শত দর্শকের সামনে দেয়াল থেকে তুলে খেয়ে ফেলেন পারফর্ম্যান্স আর্টিস্ট ডেভিড ডাটুনা। এরপর তা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে।
ডাটুনা অবশ্য পরে দাবি করেন, কলা খাওয়ার কাজটি তার নিজস্ব আর্টিস্টিক পারফরম্যান্স ছিল। কোনো ধরনের উগ্রতা প্রদর্শনের ইচ্ছায় তিনি কাজটি করেননি।
পরে ফের আরেকটি কলা সেখানে সাঁটানো হলে সেটি দেখতে এত লোকের ভীড় হয় যে একপর্যায়ে মায়ামির প্রদর্শনী থেকে ‘কমেডিয়ান’ সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে তার আগেই সেখানে ১ লাখ ২০ হাজার থেকে দেড় লাখ ডলারের মধ্যে এর তিনটি সংস্করণ বিক্রি হয়।
১ মাস আগে
ধনকুবের গৌতম আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের
ভারতের ধনকুবের গৌতম আদানি বিশ্বের একজন শীর্ষ ব্যবসায়ী। উপমহাদেশে কোম্পানির বিশাল সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পটি ঘুষ প্রদানের মাধ্যমে সহজতর করার বিষয়টি গোপন করে তিনি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। আদানিকে এমন অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
৬২ বছর বয়সী গৌতম আদানির বিরুদ্ধে বুধবার (২১ নভেম্বর) সিকিউরিটিজ জালিয়াতি এবং ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই মামলায় আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেড এবং অন্য একটি সংস্থা ভারত সরকারের কাছে ১২ গিগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ বিক্রি করার জন্য একটি লাভজনক ব্যবস্থায় জড়িত। যা লাখ লাখ বাড়ি এবং ব্যবসার আলো জ্বালানোর জন্য যথেষ্ট।
আরও পড়ুন: নগদ অর্থ সংকটের মধ্যেই আদানি পাওয়ারের সঙ্গে চুক্তি পুনর্বিবেচনার আহ্বান
অভিযোগপত্রে আদানি ও তার সহ-আসামিরা চুক্তির দুটি পক্ষের ভূমিকা পালন করে।
ওয়াল স্ট্রিটের বিনিয়োগকারীরা গত পাঁচ বছরে এই প্রকল্পে কয়েক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছেন। অথচ ভারতে তারা শত শত কোটি ডলার মূল্যের চুক্তি ও অর্থায়ন সুরক্ষিত করতে সরকারি কর্মকর্তাদের প্রায় ২৬৫ মিলিয়ন ডলার ঘুষ দিচ্ছেন বা দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাটর্নি জেনারেল লিসা মিলার বলেন, ‘আদানি ও তার সহ-আসামিরা মার্কিন বিনিয়োগকারীদের অর্থায়নে দুর্নীতি ও জালিয়াতির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় জ্বালানি সরবরাহের বিশাল চুক্তি অর্জন ও অর্থায়ন করতে চেয়েছিলেন।’
মার্কিন অ্যাটর্নি ব্রেওন পিস বলেছেন, অভিযুক্তরা ‘একটি ব্যাপক পরিকল্পনা করেছে’ এবং ‘আমাদের আর্থিক বাজারের অখণ্ডতার ব্যয়ে নিজেদেরকে সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করেছে।’
একটি সমান্তরাল নাগরিক পদক্ষেপে, মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আদানি এবং দুই সহ-আসামির বিরুদ্ধে মার্কিন সিকিউরিটিজ আইনের জালিয়াতি বিরোধী বিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে। আর্থিক জরিমানা এবং অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা চেয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
দুটি মামলাই ব্রুকলিনের ফেডারেল আদালতে দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: আদানির সময়সীমা নিয়ে আমরা খুবই মর্মাহত: প্রেস সচিব
আদানির সঙ্গে আসামিদের মধ্যে রয়েছেন তার ভাগ্নে ও আদানি গ্রিন এনার্জির বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক সাগর আদানি এবং ২০২০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সংস্থার প্রধান নির্বাহী হিসেবে কাজ করা এবং বর্তমান বোর্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিনীত জেইন।
অনলাইন আদালতের রেকর্ডে আদানির পক্ষে কথা বলতে পারেন এমন কোনো আইনজীবীর তালিকা নেই। এ বিষয়ে মন্তব্য চেয়ে একটি ই-মেইল করা হয় তার গোষ্ঠী আদানি গ্রুপকে। তার সঙ্গের আসামিদের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবীদের কাছেও ইমেল পাঠানো হয়েছিল। সাগর আদানির আইনজীবী শন হেকার এই মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছেন। বাকিরা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি।
এসইসির এনফোর্সমেন্ট ডিভিশনের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক সঞ্জয় ওয়াধওয়া বলেছেন, গৌতম ও সাগর আদানির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে যে তারা বিনিয়োগকারীদের তাদের কোম্পানির বন্ড কিনতে প্ররোচিত করেছেন এই বলে যে, ‘আদানি গ্রিনের শুধু একটি শক্তিশালী ঘুষ বিরোধী শাখা আছে তা নয়, বরং কোম্পানির উচ্চ পর্যায়ের ব্যবস্থাপকও ঘুষ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় না এবং দেবে না।’
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ ভারতের ক্ষমতাধর কোম্পানি আদানি। নব্বইয়ের দশকে কয়লার ব্যবসায় নিজের ভাগ্য গড়ে তোলেন তিনি। প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরি থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট তৈরি, রান্নার তেল বিক্রিসহ ভারতীয়দের জীবনের অনেক দিককে জড়িত করে আদানি গ্রুপ বড় হয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, আদানি গ্রুপ নবায়ণযোগ্য শক্তিতে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে, টেকসই প্রবৃদ্ধির দর্শনকে গ্রহণ করেছে। যা তার স্লোগানে প্রতিফলিত হয়েছে: ‘ভালোর সঙ্গে বৃদ্ধি’।
আরও পড়ুন: আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ ক্রয়ের সব চুক্তি বাতিল চেয়ে রিট
দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুতে বিশ্বের বৃহত্তম সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর মধ্যে একটি সহ কোম্পানির ২০ গিগাওয়াটের একটি ক্লিন এনার্জি পোর্টফোলিও রয়েছে। আদানি গ্রুপ ২০৩০ সালের মধ্যে মহাকাশে দেশের বৃহত্তম ভূমিকা পালনকারী হওয়ার লক্ষের কথা জানিয়েছে। ২০২২ সালে গৌতম আদানি বলেন, ২০৩২ সালের মধ্যে ক্লিন এনার্জি প্রকল্পে ৭০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে তার প্রতিষ্ঠান।
গত বছর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি আর্থিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আদানি ও তার কোম্পানির বিরুদ্ধে 'নির্লজ্জ শেয়ার কেলেঙ্কারি' ও 'আর্থিক জালিয়াতির' অভিযোগ আনে। আদানি গ্রুপ এই দাবিগুলোকে ‘ষড়যন্ত্রমূলক ভুল তথ্য, পচা, ভিত্তিহীন এবং অসম্মানজনক অভিযোগের বিদ্বেষপূর্ণ সংমিশ্রণ’ বলে অভিহিত করেছে।
প্রশ্নবিদ্ধ ফার্মটি একটি খুচরা বিক্রেতা হিসাবে পরিচিত। ব্যবসায়ীদের জন্য একটি ওয়াল স্ট্রিট শব্দ যা মূলত নির্দিষ্ট শেয়ারের দর পতনের উপর বাজি ধরেছিল এবং এটি আদানি গ্রুপের সঙ্গে সম্পর্কিত এই জাতীয় বিনিয়োগ করেছিল। ফলস্বরূপ কোম্পানির শেয়ার কমে যায় এবং আগস্টে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ ফার্মটি আরও দুর্নীতির অভিযোগ আরোপ করলে আবারও শেয়ার কমে যায়।
জেইন গত বছর অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেছিলেন যে হিন্ডেনবার্গের অভিযোগগুলো তার চলমান প্রকল্পগুলোতে খুব কম প্রভাব ফেলেছে। যার মধ্যে উত্তর-পশ্চিম ভারতের খাভদা গ্রামে ২০ গিগাওয়াট সৌর ও বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ রয়েছে।
প্রসিকিউটররা অভিযোগ করেছেন যে আদানি এবং তার সঙ্গের আসামিরা ২০২০ বা ২০২১ সালে জাতীয় সরকারের সোলার এনার্জি করপোরেশন অব ইন্ডিয়ার জন্য উৎপাদন করার জন্য আদানি গ্রিন এবং অন্য একটি সংস্থার চুক্তির অধীনে থাকা জ্বালানির চাহিদা গ্যারান্টি দেওয়ার জন্য ঘুষের পরিকল্পনা শুরু করেছিলেন।
আদানি গ্রিন এবং অন্যান্য সংস্থার উচ্চ মূল্য ভারতের রাষ্ট্র পরিচালিত বিদ্যুৎ পরিবেশকদের বন্ধ করে দিয়েছে, যারা জাতীয় সরকারের কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনে এবং এটি বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করেছিল। কিন্তু প্রকল্পটি সার্থক করতে এবং বেশি লাভ ধরে রাখতে কোম্পানিগুলোর এসব চুক্তির প্রয়োজন ছিল। তাই তারা সেগুলো সম্পন্ন করার জন্য ঘুষের প্রস্তাব দিয়েছিল বলে জানান প্রসিকিউটররা।
প্রসিকিউটররা আরও জানান, আসামিরা সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া শুরু করার পর ২০২১ ও ২০২২ সালে ভারতের পাঁচটি রাজ্য বা অঞ্চলের বিদ্যুৎ বিতরণকারীরা তাদের জ্বালানি কেনার জন্য চুক্তি করে। এক বিবৃতিতে আদানির কোম্পানি চুক্তিগুলোকে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি হিসেবে ঘোষণা করেছে।
একই সময়ে, প্রসিকিউটররা বলেছিলেন, আদানি এবং জেইন বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীদের কাছে সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে আদানি গ্রিন ঘুষের সঙ্গে জড়িত ছিল না এবং কখনও জড়িত হবে না।
প্রসিকিউটররা বলেন, এই দাবিগুলো তাদের প্রকল্পটির জন্য কয়েক বিলিয়ন ডলার অর্থায়ন সুরক্ষিত করতে সক্ষম করেছিল যা জড়িত ‘সত্যিকারের ঝুঁকির জন্য দায়ী নয়’।আরও পড়ুন: আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠনের আদেশ হাইকোর্টের
১ মাস আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় বোম্ব
চলতি সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলে আঘাত হানতে চলেছে ক্যাটাগরি-৫ মাত্রার শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘বোম্ব’। হারিকেনে রূপ নিয়ে এটি সমতলে এটি বন্যা এবং পর্বতমালায় ব্যাপক তুষারপাত ঘটাতে পারে বলে জানিয়েছে ওয়েদার নেশন টিভি।
খবরে বলা হয়েছে, এই মধ্য-অক্ষাংশীয় ঝড়টি মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার মধ্যে আঘাত হানতে পারে। ওয়াশিংটন থেকে ওরেগন রাজ্য এবং উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ার লাখ লাখ বাসিন্দা এই ঘূর্ণিঝড়ে প্রভাবিত হতে পারেন।
ক্যালিফোর্নিয়া উপকূলের কিছু এলাকায় ক্যাটাগরি-৪ মাত্রার ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব দেখা যেতে পারে।
ঝড়ো বাতাসের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ায় ভারী বৃষ্টি, বড় বড় ঢেউ সৃষ্টির পাশাপাশি জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
১ মাস আগে
ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে মাস্কের দ্বারস্থ ইরান
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তেজনা কমানো ও সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে এবার মার্কিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও ধনকুবের ইলন মাস্কের সঙ্গে দেখা করেছেন ইরানের কর্মকর্তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জাতিসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির সাঈদ ইরাভানি সোমবার নিউইয়র্কে মাস্কের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, আলোচনায় ইরানের পরমাণু কর্মসূচি, মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইসরায়েলবিরোধী গোষ্ঠীগুলোর প্রতি দেশটির সমর্থন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনার মতো গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু বিষয়ে উঠে আসে।
তবে বৈঠকে দুপক্ষের মধ্যে কোনো বিষয়ে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ইরানের পক্ষ থেকেই মাস্কের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল।
ট্রাম্পের ট্রানজিশন টিম এই বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি, আবার অস্বীকারও করেনি। ইরানের জাতিসংঘ মিশনও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
নতুন প্রশাসনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সিনেটর মার্কো রুবিও এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে রিপাবলিকান নেতা মাইক ওয়াল্টজসহ পররাষ্ট্রনীতির গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে কঠিন ব্যক্তিত্বের নাম ঘোষণা করার পরপরই এ ধরনের পদক্ষেপ নিল ইরান।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় প্রশাসন গঠনে ট্রাম্পের ব্যাপক পরিকল্পনা
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের বিরোধিতা করে ইরান। এখন তিনিই নির্বাচিত হওয়ায় ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প প্রশাসনই ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি বাতিল করে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করে। পাশাপাশি প্রয়াত জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার নির্দেশ দেয়।
এদিকে, নির্বাচনি প্রচার চলাকালে ট্রাম্পকে হত্যা করতে ইরান থেকে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল বলে তথ্য প্রকাশ করেছে মার্কিন বিচার বিভাগ। এই অপরাধে এক ব্যক্তিকে অভিযুক্তও করা হয়েছে যার দাবি, ইরানের এক সরকারি কর্মকর্তা ট্রাম্পকে হত্যার করতে তাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন।
এই ‘ষড়যন্ত্রকে’ ট্রাম্পসহ মার্কিন সরকারি কর্মকর্তাদের লক্ষ্যবস্তু করতে ইরানের চলমান প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কর্মকর্তারা। উদাহরণস্বরূপ তারা বলেছেন, গত গ্রীষ্মেও আমেরিকান কর্মকর্তাদের হত্যার উদ্দেশ্যে ইরানের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এক পাকিস্তানি ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে মার্কিন বিচার বিভাগ।অবশ্য মার্কিনীদের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবরে বলা হয়েছে, ১৪ অক্টোবর এক লিখিত বার্তায় বাইডেন প্রশাসনকে ইরান জানায় যে তারা ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা করবে না।
ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা যুদ্ধ হিসেবে গণ্য করা হবে বলে এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল, এটি তারই প্রতিক্রিয়া ছিল বলে জানায় ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
আরও পড়ুন: চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক রক্ষায় তিন নীতি সমুন্নত রাখার আহ্বান
এ বিষয়ে জানতে ইরানের জাতিসংঘ মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা ‘দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক বার্তা বিনিময়ের’ বিষয়ে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয় না বলে জানায়।
পরে মিশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শহীদ জেনালের সোলাইমানিকে হত্যার বিচার করার অঙ্গীকার করেছে ইরান। তবে অবশ্যই তা আন্তর্জাতিক আইন মেনে বিচারিক উপায়ে সম্পন্ন করা হবে।’
রাষ্ট্রের সব বিষয়ে চূড়ান্ত মতামত দেওয়ার অধিকারী ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বারবার ট্রাম্পের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করলেও আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেতে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার দরজা খোলা রেখেছেন ইরানের নতুন সংস্কারবাদী প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান।
১ মাস আগে
হোয়াইট হাউজের সর্বকনিষ্ঠ প্রেস সেক্রেটারি হচ্ছেন লেভিট
দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে নতুন করে প্রশাসন সাজাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরবর্তী প্রশাসনে হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে তিনি বেছে নিয়েছেন ২৭ বছর বয়সী ক্যারোলিন লেভিটকে।
অ্যাসোসিয়েট প্রেসের খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় শুক্রবার হোয়াইট হাউসের নতুন প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে নিজের প্রচার শিবিরের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিটের নাম ঘোষণা করেন ট্রাম্প। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে হোয়াইট হাউজের সর্বকনিষ্ঠ প্রেস সেক্রেটারি হতে চলেছেন লেভিট।
এতদিন পর্যন্ত এই রেকর্ডটি ছিল রোনাল্ড জিগলারের দখলে। ১৯৬৯ সালে ২৯ বছর বয়সে রিচার্ড নিক্সনের প্রেস সেক্রেটারির দায়িত্ব গ্রহণ করেন জিগলার।
ক্যারোলিনকে প্রেস সেক্রেটারি নিয়োগের বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আমার ঐতিহাসিক প্রচারণায় জাতীয় প্রেস সচিব হিসেবে সে অসাধারণ কাজ করেছে। ফলে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে আনন্দের সঙ্গে আমি তার নাম ঘোষণা করছি।’
তিনি বলেন, ‘ক্যারোলিন স্মার্ট, কঠোর পরিশ্রমী এবং তার যোগাযোগ দক্ষতা অত্যন্ত সাবলীল। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, নিজের কাজে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে সে আমেরিকার জনগণের কাছে সঠিক বার্তা পৌঁছে দিতে সহায়তা করবে।’
আস্থা রাখায় ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে এক্সে লেভিট লিখেছেন, ‘আমি বিনীত ও সম্মানিত বোধ করছি। চলুন আমেরিকাকে আবার মহান রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলি।’
নিউ হ্যাম্পশায়ারের বাসিন্দা লেভিটকে কট্টর ও সবসময় প্রস্তুত এক রাজনৈতিক মুখপাত্র হিসাবে বিবেচনা করা হয়। সরাসরি ও টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন সময় রিপাবলিকানদের নিয়ে আক্রমণাত্মক প্রশ্নে তাকে সবসময় দ্রুত ও উপযুক্ত জবাব দিতে দেখা যায়।
নিউ হ্যাম্পশায়ারের ক্যাথলিক কলেজ সেন্ট অ্যানসেলম কলেজে যোগাযোগ ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছেন লেভিট।
পড়াশোনা চলাকালেই তিনি ফক্স নিউজে এবং ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে হোয়াইট হাউস প্রেস অফিসে ইন্টার্ন করেন। এরপর ২০১৯ সালে স্নাতক সম্পন্ন করার পরপরই হোয়াইট হাউজের প্রেস অফিসে কাজ নেন তিনি। হোয়াইট হাউজে প্রথমে তিনি ‘প্রেসিডেনশিয়াল রাইটার’ এবং পরে সহকারী প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করেন।
হোয়াইট হাউজ ছাড়ার পর লেভিট রিপাবলিকান দলের জ্যেষ্ঠ কংগ্রেসওম্যান এলিস স্টেফানিকের যোগাযোগ পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তারপর এ বছরের জানুয়ারিতে ট্রাম্পের প্রচার শিবিরের প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে যোগ দেন তিনি।
১ মাস আগে
ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত ইউক্রেনকে সমর্থন অব্যহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র
কিয়েভে রাশিয়ার অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার প্রশাসনের শেষ মাসগুলোতে ইউক্রেনে মার্কিন সামরিক সহায়তা জোরদার করতে চান।
ন্যাটো সদর দপ্তরে মিত্র দেশগুলোর দূত ও ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের আগে বুধবার ব্লিঙ্কেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইউক্রেন যাতে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কার্যকরভাবে আত্মরক্ষা করতে পারে তা নিশ্চিত করতে আমরা যা করে চলেছি, তা অব্যাহত থাকবে।
রুশ বাহিনীর পাশাপাশি ইউক্রেনে উত্তর কোরিয়ার সেনা পাঠানোর বিষয়ে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘এর কড়া জবাব দেওয়া হবে।’
যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থার সমীক্ষা বলছে, ইউক্রেনে উত্তর কোরিয়ার ১২ হাজার সেনা পাঠানো হয়েছে। এই সেনাদের বেশিরভাগই রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে মোতায়েন করা হবে বলে আশা করা হয়েছিল।’
এদিকে, ৭৩ দিনের মধ্যে কিয়েভে প্রথমবারের মতো ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।
এ বিষয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘ইউক্রেনীয়দের যুদ্ধ চালিয়ে যেতে নিরুৎসাহিত করার প্রয়াসে রাশিয়া হামলা জোরদার করছে।’
আগামী বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেয়ার পর ওয়াশিংটন ইউক্রেনের বিষয়ে নিজেদের যুদ্ধনীতিতে পরিবর্তন আনতে পারে বলে সংশয় দেখা দিয়েছে।
কিয়েভকে কয়েক বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা দেওয়ায় বাইডেন প্রশাসনের সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। পাশাপাশি দ্রুত সংঘাতের অবসান ঘটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
তবে ইউক্রেনের আন্তর্জাতিক সমর্থকদের আশঙ্কা, তাড়াহুড়া করে যেকোনো সমঝোতা হলে লাভবান হবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
১ মাস আগে