খুলনা
শীতে বিপর্যস্ত চুয়াডাঙ্গা, শীতজনিত রোগে বেড়েছে ভোগান্তি
দেশের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা কমেই চলেছে। ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জেলার মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সকালবেলায় সূর্যের দেখা মিললেও শীতের তীব্রতা কমছে না। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষ। এরই মধ্যে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। চলতি মৌসুমে এটিই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
শীতের প্রভাবে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর চাপ বেড়েছে। রোটা ভাইরাসজনিত ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ জন বৃদ্ধ মানুষ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে চিকিৎসা নিচ্ছেন। পাশাপাশি ৩০০ থেকে ৪০০ শিশুও চিকিৎসা নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. আসাদুর রহমান মালিক খোকন।
গ্রাম থেকে জেলা শহরে কাজের সন্ধানে আসা শ্রমিকরা জানান, ভোর থেকে দুপুর ২টা–৩টা পর্যন্ত কাজ করতে হলেও প্রচণ্ড ঠাণ্ডার কারণে কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। হিমেল বাতাসে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে তাদের।
স্থানীয় কৃষক আজিম উদ্দিন জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানির রোগী। কৃষিকাজ করেই তার জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। সকালে মাঠে কাজ করতে পারেন না। ঠান্ডার মধ্যে কাজ করলে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। কিছু সময় বিশ্রাম নিয়ে আবার কাজে ফিরতে হচ্ছে। তবুও পেটের দায়ে কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে তাকে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান জানান, আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভবনা রয়েছে। মাসের শেষের দিকে কিংবা নতুন বছরের শুরুতে চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
খুঁড়িয়ে চলছে নড়াইলের বারুইপাড়া সেতুর কাজ, নির্মাণ ব্যয় বেড়ে দ্বিগুণ
নড়াইলের কালিয়ায় নবগঙ্গা নদীর ওপর বারুইপাড়া সেতুর নির্মাণ কাজ দেড় বছরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দফায় দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে প্রায় ৮ বছরেও তা শেষ হয়নি।
সেতুর নকশায় জটিলতায় ৬৫ কোটি টাকার সেতুর নির্মাণ ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৩৬ কোটি টাকা। নির্মাণ কাজে দীর্ঘসূত্রতায় ভোগান্তি চরমে, এতে ক্ষুব্ধ এ পথে চলাচলকারী লোকজন ও এলাকাবাসী। তবে সড়ক বিভাগ বলছে, নকশা জটিলতা কাটিয়ে কাজ শুরু হয়েছে, আগামী বছর জুনের মাঝেই সেতুর অবশিষ্ট কাজ শেষ হবে।
জানা গেছে, সড়ক পথে নড়াইল সদরের সঙ্গে কালিয়া উপজেলাসহ, আশপাশের অন্তত তিনটি জেলার সড়ক যোগাযোগ সহজীকরণে সড়ক বিভাগের তত্ত্বাবধানে ২০১৮ সালে শুরু হয় নবগঙ্গা নদীর ওপর কালিয়া-বারুইপাড়া সেতুর নির্মাণ কাজ। প্রায় ৮ বছরে কয়েক দফায় মেয়াদ বাড়ানো হলেও এখনো শেষ হয়নি সেতু নির্মাণের কাজ। সবশেষ চলতি বছরে সময় বাড়িয়ে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। নদীর দুই তীরবর্তী অংশের সংযোগ সড়কসহ ১১টি স্তম্ভ এবং ১১টি স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হলেও মধ্যবর্তী অংশের ৩টি স্তম্ভ ও ৩টি স্টিলের স্প্যান বসানোর কাজ এখনো বাকি। নকশা ত্রুটিতে নির্মাণ ব্যয় দুই গুণের বেশি বেড়েছে। একদিকে জনগণের অর্থ অপচয়, অন্যদিকে যাতায়াতে ভোগান্তি মিলেমিশে একাকার, এতেই ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
সড়ক বিভাগের তথ্যমতে, ৬৫১ দশমিক ৮৩ মিটার দীর্ঘ ও ১০ দশমিক ২৫ মিটার প্রস্থের পিসি গার্ডার সেতুরটির নির্মাণে চুক্তিমূল্য ৬৫ কোটি টাকা থাকলেও দফায় দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে আর নকশা জটিলতায় নির্মাণ ব্যয় ঠেকেছে ১৩৫ কোটি ৯২ লাখ ৩৫ হাজার টাকায়।
সেতু নির্মাণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জামিল ইকবাল অ্যান্ড মঈনুদ্দিন বাসী কনস্ট্রাকশন কোম্পানি ২০১৮ সালে ৬৫ কোটি টাকায় চুক্তিবদ্ধ হন। বাল্কহেডের ধাক্কায় ৯ নম্বর পিলারটি দুই বার নদীগর্ভে হারিয়ে যাওয়ার পর মূল অংশের ৪টি স্তম্ভ ও ৩টি স্প্যান বসানোর কাজ অসম্পূর্ণ রেখেই ৬১ কোটি টাকায় সড়ক বিভাগ কয়েক দফায় মেয়াদ বাড়ানোর পর প্রথম মেয়াদের চুক্তি শেষ করে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। পরে দ্বিতীয় মেয়াদে কংক্রিট অ্যান্ড স্টিল টেকনোলজিস্ট লিমিটেড ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সেতুর বাকি অংশ নির্মাণে চুক্তিবদ্ধ হন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দাবি, বিদেশ থেকে আমদানিকৃত ৮৬ দশমিক ৭৩ মিটার স্টিল আর্চ স্প্যানসহ আরও দুটি স্প্যান বসানোর কাজ শুরু হয়েছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুদ খান লিটন বলেন, বেশ কিছু জটিলতায় স্টিল স্প্যান বিদেশ থেকে আনতে কিছুটা দেরি হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যে দুটি স্প্যান বসানো শেষ হবে। আর মধ্যবর্তী আর্চ স্প্যানটি আমরা নির্দিষ্ট মেয়াদের আগেই স্থাপন করে কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে পারব বলে আশা করি।
নকশার ত্রুটি সংশোধনের মাধ্যমে কাজ শুরু হয়েছে, আগামী বছর জুনের মাঝেই কাজ শেষ করে সেতু ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম।
১২ ঘণ্টা আগে
খুলনায় এনসিপি নেতাকে গুলির পর সীমান্তে বিজিবির তৎপরতা জোরদার
খুলনায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে বিভাগীয় এনসিপি নেতা গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনার জেরে যশোরের সীমান্ত এলাকাগুলোতে তল্লাশি এবং টহল তৎপরতা জোরদার করেছে বিজিবি।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার সামনে দিয়ে যাওয়ার পথে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক উইংয় জাতীয় শ্রমিক শক্তির খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক ও এনসিপির কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মো. মোতালেব সিকদার (৪২) গুলিবিদ্ধ হন।
প্রকাশ্যে ওই নেতা গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবরে সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে বিজিবির যশোর ব্যাটালিয়ন (৪৯ বিজিবি)। এই ঘটনায় জড়িতরা যেন সীমান্ত পার হয়ে পালিয়ে যেতে না পারে, সে লক্ষ্যে ব্যাপক নজরদারি ও তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
বিজিবির যশোর ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বাড়ানো হয়েছে টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি। একইসঙ্গে সীমান্তে অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়াও যে সকল সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নেই সেসব জায়গা সিলগালা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
খুলনায় এনসিপির শ্রমিক সংগঠনের বিভাগীয় প্রধানকে গুলি
খুলনায় দুর্বৃত্তের গুলিতে এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠন জাতীয় শ্রমিক শক্তির কেন্দ্রীয় নেতা আহত হয়েছেন।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে মোতালেব শিকদার (৪২) নামের ওই ব্যক্তির মাথায় গুলি করে দুর্বৃত্তরা।
মোতালেব শিকদার জাতীয় শ্রমিক শক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক ও খুলনা বিভাগীয় প্রধান। খুলনা মহানগরীর শেখ পাড়া এলাকার মুসলিম শিকদারের ছেলে তিনি।
আহত অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) অনিমেষ মণ্ডল বলেন, গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর উপস্থিত জনতা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে খুমেক হাসপাতাল নিয়ে যায়। পরে তার মাথার সিটি স্ক্যান করার জন্য সেখান থেকে শেখপাড়া সিটি ইমেজিং সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।
তবে থানার কোন এলাকায় তার ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটেছে, তা তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি। গুলিবিদ্ধ মোতালেবের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
২ দিন আগে
কুষ্টিয়ায় নির্বাচন অফিসে আগুন
কুষ্টিয়া জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে অফিস ভবনের পেছনের জানালা দিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয় বলে জানিয়েছেন অফিসের কর্মকর্তারা।
নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা জানান, খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নির্বাচন অফিসে আসেন জেলা প্রশাসক ইকবাল হোসেন। এরপর এ ঘটনায় সকাল ১০টার দিকে সেখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন তিনি।
নির্বাচন অফিসের নিরাপত্তারক্ষী রাজ্জাক বলেন, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আমি তখন দ্বিতীয় তলায় ছিলাম। ধোঁয়া ও আগুনের গন্ধ পেয়ে নিচে নেমে আগুন দেখতে পাই।
জেলা নির্বাচন অফিসের হিসাবরক্ষক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, যে কক্ষে আগুন দেওয়া হয়েছে, সেটি সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসের স্টোর রুম। এখানে ভোটারদের সমস্ত তথ্য জমা রাখা হয়। আগুন লাগায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কিনা, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। জেলা প্রশাসকও দেখতে গিয়েছেন। এখানে স্টোর রুমে একটি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। কীভাবে আগুন লেগেছে কিংবা কারা দিয়েছে সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
৪ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় রোটা ভাইরাসের তাণ্ডব, ডায়রিয়া নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ১৩৬৬
চুয়াডাঙ্গা জেলাজুড়ে রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ডায়রিয়া পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। গত ১৬ দিনে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালেই শিশুসহ ১ হাজার ৩৬৬ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছে। প্রতিদিন হাসপাতালের আউটডোরে গড়ে আরও ৩০০ থেকে ৪০০ রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন।
শীতের শুরুতে আবহাওয়া পরিবর্তন এবং স্বাস্থ্যবিধি অবহেলা করাকেই রোগ বিস্তারের অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন চিকিৎসকেরা। তবে আতঙ্কিত না হয়ে অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
রোগীর চাপ এতটাই বেড়েছে যে সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ধারণক্ষমতার তুলনায় কয়েকগুণ বেশি রোগী ভর্তি হতে দেখা যাচ্ছে। পর্যাপ্ত শয্যা না থাকায় অনেক শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক রোগীকে ঠান্ডা মেঝেতেই শুয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
৪ দিন আগে
বিএনপি সরকারে গেলে প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধ করা হবে: অমিত
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠন করতে পারলে দেশ থেকে প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধ হবে বলে মন্তব্য করেছেন যশোর-৩ (সদর) আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে শহরের একটি অভিজাত হোটেলে যশোর প্রেসক্লাব আয়োজিত এক সভায় এ কথা বলেন তিনি।
অনিন্দ্য ইসলাম বলেন, নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারলে তরিকুল ইসলামের সন্তান হিসেবে, আপনাদের ভাই হিসেবে, আমি এমন কোনো কাজ করবো না যাতে মাথা হেট হয়ে যায়। সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থানই ছিল যশোরের রাজনীতির ঐতিহ্য। বিগত দেড় দশকে সেই ঐহিত্যকে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে। বিজয়ী হতে পারলে সেই ঐহিত্য পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ ও উন্নত যশোর উপহার দেওয়া হবে আমার প্রাথমিক দায়িত্ব।
নির্বাচনে প্রার্থীদের ঝুঁকির বিষয়ে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি স্রষ্টায় বিশ্বাস করি। আমি বিশ্বাস করি, তিনি যা কপালে লিখবেন, তা-ই হবে। আর রাজনীতি মানেই হলো ঝুঁকি। বিগত ১৬ বছর আমিসহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা চরম ঝুঁকি নিয়েই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক সংগ্রামে রাজপথে থেকেছি। এখন নির্বাচনের সময় এসে সেই বিষয় নিয়ে ভাবলে হবে না। আপনারা শুধু দোয়া করবেন।
প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান ও সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সাধারণ সম্পাদক এসএম ফরহাদের সঞ্চালনায় এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মো. ইসহক, অ্যাডভোকেট জাফর সাদিক, গোলাম রেজা দুলু, লোকসমাজের প্রকাশক শান্তনু ইসলাম সুমিত, যশোর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার রবিউল ইসলাম, নগর সভাপতি চৌধুরী রফিকুল ইসলাম মুল্লুক চাঁদ, সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আঞ্জারুল হক খোকন।
সাংবাদিকদের মধ্যে সভায় আলোচনা করেন যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিন, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি আকরামুজ্জামান, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সাজেদ রহমান, যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শেখ দিনু আহমেদ, লোকসমাজের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আনোয়ারুল কবির নান্টু, প্রেসক্লাব যশোরের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান কবীর প্রমুখ।
৭ দিন আগে
খুলনায় যুবকের মরদেহ উদ্ধার
খুলনা নগরীর দোলখোলা ইসলামপুর মোড়ের একটি আবাসিক হোটেল থেকে তানভীর কবির তপু (৩০) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে হোটল বিলাসী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
হোটেল কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে স্থানীয়রা জানান, হোটেল বিলাসীর দুই তলার একটি কক্ষে দুইজন ভাড়া থাকতেন। দুই দিন আগে ওই কক্ষের অপরজন বাড়িতে চলে যান। রাতে তানভীর কক্ষের ভেতর থেকে আটকিয়ে দিয়ে সেখানে অবস্থান করেন। গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে খবার দিতে গিয়ে দরজায় আঘাত করে ভেতর থেকে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে স্থানীয়দের ডাকে হোটেল কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে স্থানীয়রা খবর পেয়ে দরজা ভেঙ্গে ওই যুবকের মরদেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে সেখান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তার মৃত্যুর কারণ জানতে পুলিশ তদন্ত করছে।
৭ দিন আগে
কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য নিহত
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় একটি কাভার্ড ভ্যানের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে লালন শাহ সেতুর আগে কুষ্টিয়ামুখী সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— পরিদর্শক মোজাহারুল ইসলাম ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কয়েদ উদ্দিন। তারা পাবনা জেলার ঈশ্বরদী ডিএসবি’তে কর্মরত ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চৌড়হাস হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ওবায়েদ জানান, ঈশ্বরদী থেকে কুষ্টিয়ার দিকে আসছিলেন ওই দুই পুলিশ সদস্য। লালন শাহ সেতু পার হয়ে এসে কুষ্টিয়ামুখী সড়কে অজ্ঞাত একটি কাভার্ডভ্যান পেছন থেকে তাদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তারা।
নিহতদের মরদেহ ২৫০ সংখ্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানান আবু ওবায়েদ।
৮ দিন আগে
আগামীকাল বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আগামীকাল (মঙ্গলবার) যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। সেই সঙ্গে বন্ধ থাকবে বেনাপোল কাস্টমস হাউস ও বন্দরের কার্যক্রম। তবে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও সাধারণ যাত্রীদের যাতায়াত চালু থাকবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেনাপোল বন্দরের পরিচালক শামীম হোসেন বলেন, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি হবে না। বন্দর ও কাস্টমসের সকল কার্যক্রমও বন্ধ থাকবে। তবে আগামী বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকে পুনরায় এই বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলবে বলে জানান তিনি।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন জানান, বিজয় দিবসের ছুটিতে দু-দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও বেনাপোল দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে।
৯ দিন আগে