খুলনা
শার্শায় ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই, আটক ২
যশোরের শার্শায় ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া টাকা, একটি দেশীয় হাসুয়া ও একটি চাকু উদ্ধার করা হয়।
রবিবার (২০ এপ্রিল) সকালে দুই ছিনতাইকারীর আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম। এর আগে শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে উপজেলার গোড়পাড়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- গোঁড়পাড়া (সর্দারপাড়া) গ্রামের মৃত মকছেদ আলীর ছেলে সবুজ হোসেন (২৮) ও একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে টিটু মিয়া (২৩)।
পুলিশ জানায়, উপজেলার গোঁড়পাড়া বাজারের পান ব্যবসায়ী তবিবার রহমান শনিবার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে ফকিরতলা বিশ্বাসবাড়ি সংলগ্ন পাকা রাস্তায় দুই ছিনতাইকারী তার পথ গতিরোধ করে। এসময় দেশীয় অস্ত্র হাসুয়া ও চাকুর ভয় দেখিয়ে তার কাছে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেয়।
আরও পড়ুন: ডিবি পুলিশ পরিচয়ে স্বর্ণের দোকানে চাঁদাবাজি, আটক ২
পরে খবর পেয়ে গোঁড়পাড়া ফাঁড়ির পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছিনতাই হওয়া নগদ ১০ হাজার ৫৬০ টাকা, একটি হাসুয়া ও একটি চাকুসহ সবুজ হোসেন ও টিটু মিয়াকে আটক করে।
ওসি রবিউল ইসলাম জানান, আটকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ শেষে আদালতে পাঠানো হবে।
৬ ঘণ্টা আগে
দৌলতপুর সীমান্তে মাদকসহ তিন ভারতীয় আটক
কুষ্টিয়াার দৌলতপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের দায়ে তিন ভারতীয় চোরাকারবারিকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৬৯ বোতল ফেন্সিডিল জব্দ করা হয়।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকালে বিজিবির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
কুষ্টিয়ার বিজিবি-৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহাবুব মুর্শেদ রহমান সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার সকালে দৌলতপুর উপজেলার চরচিলমারী ইউনিয়নের ৮৪/২ সীমান্ত পিলার-সংলগ্ন ডিগ্রিরচর এলাকার মো. নিজাম মণ্ডলের (৪৫) বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার বাসিন্দা মো. জুয়েল মণ্ডল (২৫), মো. রাকিবুল মণ্ডল (৩৫) ও মো. বাপন মণ্ডলকে (৩২) ৬৯ বোতল ফেন্সিডিলসহ আটক করা হয়। তবে অভিযান চলাকালে কৌশলে দুই বাংলাদেশি নাগরিক মো. নিজাম মণ্ডল ও মো. শরীফ মণ্ডল (২৫) পালিয়ে যান।
অন্যদিকে, সীমান্তের হাটপাড়া এলাকা থেকে মালিকবিহীন অবস্থায় ১৪ কেজি ভারতীয় গাঁজা এবং চরচিলমারী আকন্দপাড়া এলাকা থেকে ৪৮৫ পিস ভারতীয় ইয়াবা উদ্ধার করেছে বিজিবি।
বিজ্ঞপ্তিতে উদ্ধার করা এসব মাদকদ্রব্যের বাজারমূল্য প্রায় ২ লাখ ২২ হাজার ১০০ টাকা বলে জানানো হয়েছে।
আটক ভারতীয় নাগরিকদের নামে মামলা দিয়ে দৌলতপুর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এছাড়া উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ধ্বংসের লক্ষ্যে ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরের মাদক স্টোরে সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহাবুব মুর্শেদ রহমান।
১ দিন আগে
নীরবে চলে গেল কাঙাল হরিনাথের ১২৯তম প্রয়াণ দিবস
গ্রামীণ সাংবাদিকতার পথিকৃৎ সাংবাদিক কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের ১২৯তম প্রয়াণ দিবস আজ শুক্রবার (১৮ এপ্রিল)। ১৮৯৬ সালের এই দিনে তিনি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন।
কাঙাল হরিনাথ ছিলেন একাধারে সাংবাদিক, সমাজ সংস্কারক, নারী শিক্ষার পথিকৃৎ, বাউল, সাধক ও সাহিত্যিক। তবে বিশিষ্ট এই ব্যক্তিত্বের প্রয়াণ দিবসে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে অবস্থিত কাঙাল হরিনাথ স্মৃতিজাদুঘরে এবার নেই কোনো আয়োজন। উপজেলা প্রশাসন বা কোনো প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে এবার কোনো আয়োজন করা হয়নি।
শুধু জাদুঘরে অবস্থিত তার ম্যুরালে জাদুঘরের কর্মচারীরা দায়সারাভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফুলের মালা দিয়েছেন। এতে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন কাঙাল হরিনাথের বংশধররা।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সরেজমিন কুমারখালী পৌরসভা কার্যালয়ের পাশেই অবস্থিত সাংবাদিক কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের স্মৃতি জাদুঘরে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে সুনসান নীরবতা। ফটকে ঝুলছে তালা। তবে চত্বরে অবস্থিত ম্যুরালে ফুলের মালা ও পুষ্পস্তবক রয়েছে।
জাদুঘরের নিরাপত্তাকর্মী রুহুল আমিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জাদুঘরের তত্ত্বাবধায়ক তাপস কুমার মণ্ডল এ মাসের ৫ তারিখে যোগদান করেছেন। আজ কাঙাল হরিনাথের প্রয়াণ দিন। আবার আজই স্যারের (তত্ত্বাবধায়ক) বিয়ে। সেজন্য আলোচনা সভা ও অন্যান্য অনু্ষ্ঠান পেছানো হয়েছে। পরে করা হবে।’
২ দিন আগে
দর্শনায় পুলিশ সদস্যের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় জয়নগর আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ব্যারাকের নিজ কোয়ার্টার থেকে শামীম রেজা সাজু (৩০) নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকালে চেকপোস্ট সংলগ্ন পুলিশ ব্যারাকের নিজ কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
শামীম কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানাধীন জুটিয়াডাঙ্গা গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে। তিনি কয়েক মাস আগে দর্শনা জয়নগর চেকপোস্টে ইমিগ্রেশন পুলিশে যোগদান করেন।
পুলিশ জানায়, শামীম ব্যারাকের একটি কক্ষে একাই থাকতেন। সকালে তিনি ডিউটিতে অনুপস্থিত থাকায় সহকর্মীরা তাকে ডাকাডাকি করেন। কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ফ্যানের সঙ্গে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। পরে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের একদিন পর পুকুর থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহীদ তিতুমীর বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে তিনি মানসিকভাবে হতাশ হয়ে পড়েন এবং আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময় তিনি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন।’
এছাড়া পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন বলে জানান দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহীদ তিতুমীর।
ঘটনার খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন ও বিস্তারিত খোঁজখবর নেন।
২ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ মহাসড়কের নয়মাইল বাজারে বাসের চাপায় পাখিভ্যানের চালকসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) ভোর ৫টার দিকে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামের পাখিভ্যান চালক আব্দুর রাজ্জাক (৬৫) ও মাহম্মদজমা গ্রামের খান্দারপাড়ার চাল ব্যবসায়ী সরোয়ার হোসেন (৭০)।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি যুবক নিহত
স্থানীয়রা জানান, রাজ্জাক ও সরোয়ার নয়মাইল বাজারের সিন্দুরিয়া রোড থেকে পাখিভ্যানে করে সরোজগঞ্জ বাজারের উদ্দেশে রওনা হন। পথে নয়মাইল এলাকায় পৌঁছালে চুয়াডাঙ্গা থেকে ছেড়ে আসা একটি বাস তাদের পাখিভ্যানটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
ওসি খালেদুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে সিন্দুরিয়া পুলিশ ক্যাম্প ও চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ দুটি উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠায়।’
২ দিন আগে
ধর্ষণের অভিযোগে যবিপ্রবির শিক্ষক বরখাস্ত
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) এক শিক্ষককে ধর্ষণের অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অভিযুক্ত শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সুজন চৌধুরী।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীবের সই করা এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানা গেছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ করেন এক নারী।
ভুক্তভোগী ওই নারীর অভিযোগ, ২০২৪ সালের ২২ অক্টোবর তার নিজের বাসাতে সুজন চৌধুরী তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। এরপর ভুক্তভোগী ৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে মামলা করেন।
ভুক্তভোগী জানান, মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুজন চৌধুরীকে কয়েক দফায় ডাকা হলেও তিনি বিভিন্ন টালবাহানায় বিষয়টি এড়িয়ে যান। এছাড়া বিভিন্ন সময় প্রাণনাশের হুমকিসহ মামলা তুলে নেওয়ার জন্য সুজন চৌধুরী তাকে চাপ দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ করেন ওই নারী।
এরপর গত মঙ্গলবার যবিপ্রবির রেজিস্ট্রার অফিসে অভিযোগ দিলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ওই শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাসে কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক-সহকারী গ্রেপ্তার
এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব বলেন, ‘আমার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ আছে । যেহেতু বিষয়টি বিচারাধীন, ভুক্তভোগীর অভিযোগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির সুপারিশে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।’
তবে ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সুজন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমাকে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা দাবি করছে ওই নারী। তার অভিযোগ মিথ্যা।’
এদিকে, সুজন চৌধুরীর বিরুদ্ধে নিজ বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়াও নারী শিক্ষার্থীদের হয়রানির অভিযোগ থাকলেও মুখ খোলেননি কোনো ভুক্তভোগী।
এছাড়া গত জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনের বিরোধিতা করেন সুজন চৌধুরী। পরে নিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাকে সব ধরণের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অপসারণের দাবি তুলে আন্দোলন করেন।
৩ দিন আগে
তালা ভেঙে হলে প্রবেশ আইনের লঙ্ঘন: কুয়েট প্রশাসন
শিক্ষার্থীরা তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করে বিশ্ববিদ্যালয় তথা দেশের আইন লঙ্ঘন করেছেন বলে মন্তব্য করেছে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) প্রশাসন। তাছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট দেখে বিভ্রান্ত না হয়ে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের প্রতি আস্থা রাখার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) কুয়েটের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে শিক্ষার্থীদের দেশের প্রচলিত আইন ও সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান ও আস্থা রাখার আহ্বান জানায় প্রশাসন।
এর আগে, মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বেলা পৌনে ২টার দিকে কুয়েট স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিকাল ৩টার দিকে তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করেন তারা।
এ ঘটনার পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম ভঙ্গ করেছেন। তাছাড়া এ ধরনের কাজ প্রচলিত আইনেরও পরিপন্থি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সংঘর্ষের ঘটনায় যে ৩৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তাদের নাম কোথাও প্রকাশ করা হয়নি।
তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের বিভ্রান্তিকর নামের তালিকা ও সংখ্যা দেখে উত্তেজিত না হতে শিক্ষার্থীদের সতর্ক করেছে প্রশাসন।
এ বিষয়ে তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের প্রতি ভরসা রাখার আহ্বান জানিয়েছে প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ হয়। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হলগুলো বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
তবে গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রবিবার দুপুর(১৩ এপ্রিল) ২টায় বন্ধ থাকা কুয়েট ক্যাম্পাসে ঢুকে হলে উঠার ঘোষণা দিয়ে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: তালা ভেঙে কুয়েট শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশ, ভিসির পদত্যাগ দাবি
ঘোষণা অনুযায়ী, অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু ও হল খুলে দেওয়ার দাবিতে রবিবার দুপুর থেকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে শিক্ষকরাও সেখানে যান। এরপর দুপক্ষের আলোচনা শেষে আইডি কার্ড যাচাই করে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।
এরপর, সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাতে কুয়েট সিন্ডিকেটের জরুরি সভা শেষে ঘোষণা দেওয়া হয়, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ শিক্ষা কার্যক্রম আগামী ৪ মে থেকে শুরু হবে এবং আবাসিক হলগুলো খুলবে ২ মে।
তার আগে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারির সংঘর্ষের ঘটনায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এই বহিষ্কারাদেশের প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। তারা শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার এবং প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। একই সঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু ও হল খুলে দেওয়ার দাবিও জানান তারা।
৪ দিন আগে
কুয়েটের সাবেক উপাচার্যসহ ১৫ জনের নামে মামলা
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সাবেক উপাচার্য, উপ-উপাচার্যসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী লুৎফর রহমান ও মাহদী হাসান বাদী হয়ে এই মামলা করেছেন।
সোমবার (১৪ই এপ্রিল) নগরীর খানজাহান আলী থানায় মামলা দুটি নথিভুক্ত করা হয়। তবে গতকাল (মঙ্গলবার) নথিপত্র আদালতে পাঠানো হলে মামলার বিষয়টি সামনে আসে। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন। তিনি জানান, ২০১৭ সালের ১ মে রাতে কুয়েটের লালন শাহ হলের গেস্ট রুমে মামলার এক বাদী লুৎফর রহমানকে রাতভর মারধর করা হয়। এতে ওই শিক্ষার্থীদের দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে যায়। একই রাতে বাদী মাহদী হাসানকেও মারধর করা হয়। এতে তার চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ওসি কবির হোসেন আরও জানান, চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগীরা খুলনা মহানগর হাকিমের আদালতে মামলার আবেদন করেন। পরে আদালত থানাকে মামলাটি গ্রহণের নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে সোমবার মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: তালা ভেঙে কুয়েট শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশ, ভিসির পদত্যাগ দাবি
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, লুৎফর রহমানের মামলায় সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সোবহান মিয়া, সাবেক রেজিস্ট্রার জি এম শহিদুল ইসলাম, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত হোসেন নয়ন, সাধারণ সম্পাদক আলী ইমতিয়াজ সোহান, ছাত্রলীগ কর্মী মো. আসাদুজ্জামান, লালন শাহ্ হলের তৎকালীন ছাত্রলীগ কর্মী ও পরবর্তী কুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি রুদ্রনীল সিংহ শুভ, ছাত্রলীগ নেতা এইচ এম তানভীর রেজওয়ান সিদিক, আল ইশমাম, রেশাদ রহমান, তারিকুল তিলক, পরিমল কুমার রায়, আলী ইবনুল সানি, তারিক আহমেদ শ্রাবন ও দৌলতপুর থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেনকে আসামি করা হয়েছে।
অন্যদিকে মাহদী হাসানের মামলায় সাবেক উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা আলী ইবনুল সানি, কুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান, বঙ্গবন্ধু হলের ছাত্রলীগ কর্মী আবির স্বপ্নিল, তাশরিফ সালেহ রাহুল, ফয়সাল, মশারুর আলম কৌশিক, আসাদুজ্জামান রিয়ান, পরিমল কুমার রায়, তারিক আহমেদ শ্রাবন ও দৌলতপুর থানার সাবেক সভাপতি এস এম আনোয়ার হোসেনকে আসামি করা হয়েছে।
৪ দিন আগে
মাগুরায় যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
মাগুরার শ্রীপুর থেকে আনন্দ কুমার (৩৫) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৪ এপ্রিল) উপজেলার বালিয়াঘাটা গ্রামের আমবাগান থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
আনন্দ কুমার উপজেলার বালিয়াঘাটা গ্রামের গৌর চন্দ্রের ছেলে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিশারুল ইসলাম বলেন, ‘আমগাছে ঝুলন্ত একটি লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। তারা শ্রীপুর থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।’
৫ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় বৈশাখে ইলিশ বিক্রিতে ভাটা, হতাশ ব্যবসায়ীরা
পহেলা বৈশাখ মানেই বাঙালির উৎসব আর পান্তা-ইলিশ। প্রতিবছর নববর্ষ ঘিরে ইলিশের বাজার থাকে জমজমাট। কিন্তু এবার চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারে ছিল একেবারেই ভিন্ন চিত্র।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ইলিশ বিক্রিতে নেই কোনো জোয়ার।
ব্যবসায়ীরা মাছ সাজিয়ে বসে থাকলেও ক্রেতা ছিলেন হাতে গোনা। দাম তুলনামূলক কম হলেও ইলিশ বিক্রি হয়নি বললেই চলে— ফলে চরম হতাশায় ভুগছেন বিক্রেতারা।
এদিকে চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারের মাছ বাজারে দেখা যায়, মাত্র চারজন বিক্রেতা ইলিশ বিক্রির চেষ্টা করছেন। তাদের একজন বলেন, ‘অন্যান্য বছর পহেলা বৈশাখের দুই থেকে তিন দিন আগেই ইলিশের ব্যাপক চাহিদা থাকত। হুড়োহুড়ি লেগে যেত। এবার মানুষ আসছেই না, আগ্রহও নেই।’
বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ইলিশের দাম তুলনামূলকভাবে ক। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ১৬০০ টাকার মধ্যে। কিন্তু এরপরও বিক্রিতে একেবারেই মন্দা।
একজন বিক্রেতা জানালেন, গত বছর এই সময়ে দিনে ২০ থেকে ৩০ কেজি বিক্রি হতো। এবার দিনে ৫ কেজিও বিক্রি হচ্ছে না। দাম কমিয়েও লাভ হচ্ছে না।
ইলিশ কিনতে আসা শাহারিয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রতিবছর বৈশাখে পান্তা-ইলিশ খাই। এবার বাজারে এসে দেখি মাছ কম, আর দাম বেশি। মাঝারি সাইজের ইলিশের দাম চাচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা। পরিবারের অন্য খরচ সামলে ইলিশ কেনা কঠিন। তাছাড়া ইলিশের স্বাদ নিয়েও অভিযোগ আছে। আগের মতো সুস্বাদু না। একটিমাত্র মাছ কিনেছি ৬০০ টাকায়, বাচ্চারা খেতে চেয়েছে তাই।’
আরও পড়ুন: ১১ হাজার টন ইলিশ রপ্তানি হবে সৌদি আরব ও আমিরাতে
মাছ ব্যবসায়ী সাহেব আলী বলেন, ‘গত ১০ বছর ধরে ইলিশ বিক্রি করি। এই সময়টায় ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়ে। এবার সেই চিত্র নেই। দাম কমিয়েও লাভ হচ্ছে না। কেউ বলছেন মাছের স্বাদ নেই, কেউ বলছেন দাম বেশি। বৈশাখে ইলিশ বিক্রি না হওয়ায় আমরা খুবই হতাশ।’
চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারের নিচের অংশে বাজার করতে আসা শিউলি আক্তার নামের এক চাকরিজীবী নারী বলেন, ‘ছুটির দিনে বিশেষ রান্না করব বলে বাজারে এসেছি। তবে পান্তা-ইলিশে আমাদের পরিবারের তেমন আগ্রহ নেই। বাচ্চারাও খেতে চায় না, তাই আয়োজন করিনি।’
বিক্রেতারা বলছেন, চুয়াডাঙ্গায় এবারের বৈশাখে ইলিশ বিক্রির বাজার ছিল একেবারেই মলিন।
৬ দিন আগে