রংপুর
দিনাজপুরে পিকআপের চাপায় এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত
দিনাজপুরের বিরামপুরে পিকআপের চাপায় হাসান নামে একজন এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।
রবিবার (২০ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে পল্লবী মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত হাসান আলী (১৫) বিরামপুর পৌর শহরের লিচু বাগান চকপাড়া এলাকার মিলন ইসলামের ছেলে। আমানুল্লা বিদ্যা নিকেতন থেকে চলতি এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: নাটোরে ৭ ঘণ্টার ব্যবধানে দুটি ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত
বিরামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমির বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর পিকআপসহ চালক পালিয়ে গেছে। এ ব্যপারে সড়ক আইনে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন নিহতের পরিবার।’
২ ঘণ্টা আগে
ভবেশ চন্দ্রের মৃত্যু অসুস্থতাজনিত, শূন্যে নেমেছিল রক্তচাপ: পুলিশ
দিনাজপুরের বিরলে ভবেশ চন্দ্র রায়ের মৃত্যু অসুস্থতাজনিত কারণে হয়েছে, তার ব্লাড প্রেশার শূন্যে নেমে গিয়েছিল— প্রাথমিক তদন্ত শেষে এই তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) তিনি মারা যান।
মৃত ভবেশ চন্দ্র রায় (৫৫) বিরল উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের মৃত তারক চন্দ্র রায়ের ছেলে।
এর আগে ভবেশ চন্দ্রকে বাসা থেকে তুলে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন,‘বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘু নেতা শ্রী ভবেশ চন্দ্র রায়ের অপহরণ ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।’
এছাড়া এই মৃত্যু নিয়ে একাধিক ভারতীয় মিডিয়ায় হত্যা সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়েছে। এতে এই মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। ভারতের এই বিবৃতি প্রত্যাখান করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
এরপর শনিবার( ১৯ এপ্রিল) ভবেশ চন্দ্রের মৃত্যু নিয়ে প্রেস ব্রিফিং করে দিনাজপুরের পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইন জানান, গত বৃহস্পতিবার বিকালে সঙ্গীদের ডাকে বাড়ি থেকে বের হন ভবেশ। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পথিমধ্যে মৃত্যু কোলে ঢুলে পড়েন তিনি।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে শিবিরের সাবেক নেতার উপর দুর্বৃত্তের হামলা
প্রাথমিক তদন্তের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে প্রতিবেশী রতন, আক্তারুল ইসলাম, রুবেল ইসলাম এবং মুন্না ইসলামের সঙ্গে দুইটি মোটরসাইকেলে নাড়াবাড়ী হাটে গিয়েছিলেন ভবেশ। বয়সের ব্যবধান থাকলেও তারা নিয়মিত আড্ডাবাজিসহ একসঙ্গে চলাচল করতেন।’
‘সন্ধ্যা ৭টার দিকে তারা একত্রে চা-সিগারেট ও পান খাওয়ার পর কিছুটা অসুস্থবোধ করেন ভবেশ। পরে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক লিটন ও আরেক পল্লী চিকিৎসক আব্দুর রহমানের কাছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয় তাকে। তার ব্লাড প্রেশার শুন্যে নেমে গিয়েছিল।’
পুলিশ সুপার জানান, বাবার অসুস্থতার খবর পেয়ে অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে তাকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন একমাত্র ছেলে স্বপন চন্দ্র রায়। সেখানে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ওইদিন মধ্যরাতেই সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে পুলিশ। পরে লাশ ময়না তদন্ত শেষে তার সৎকার করেছে পরিবার।
ভবেশের মৃত্যুকে ঘিরে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ অথবা মামলা করা হয়নি বলে জানান পুলিশ সুপার।
তিনি বলেন, পরিবার চাইলে মামলা করতে পারে। তাছাড়া ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে মৃত্যুর কারণ জানা সম্ভব হবে।
১০ ঘণ্টা আগে
পাটগ্রাম সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয়রা
লালমনিরহাট পাটগ্রাম সীমান্ত দিয়ে দেশে ঢুকে এক বাংলাদেশি যুবককে ধরে করে নিয়ে গেছে ভারতীয়রা। পরে তাকে কাঁটাতারের বেড়ায় বেঁধে নির্যাতন করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে পাটগ্রাম উপজেলার বাউড়া ইউনিয়নের জমগ্রাম ডাঙ্গার পাড় এলাকায় ৮০১ নম্বর মেইন পিলারের ১০/১১ সাব পিলারের মাঝামাঝিতে এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতনের শিকার আজিনুর রহমান জমগ্রাম ১ নম্বর ওয়ার্ডের নুর হোসেনের ছেলে। তিনি বর্তমানে বিএসএফ সদস্যদের হেফাজতে রয়েছেন বলে বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সীমান্ত সংলগ্ন ভুট্টাখেতে কাজ করতে যান আজিনুর রহমান। এ সময় ভারতীয় ১০৮ ছোট কুচলীবাড়ি এলাকার ৮-১০ জন লোক বাংলাদেশের ভেতরে প্রবেশ করে তাকে ধরে নিয়ে যান। পরে তাকে কাঁটাতারের বেড়ায় বেঁধে নির্যাতন করেন তারা। খবর পেয়ে স্বরস্বতী ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
ঠ্যাংঝাড়া বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আজিনুর রহমান নামের ওই যুবক সীমান্তের পাশে ঘোরাঘুরি করায় ভারতীয় লোকজন তাকে আটক করে বিএসএফের কাছে সোপর্দ করে। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের চেষ্টা চলছে।’
১ দিন আগে
কুড়িগ্রামে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, শ্রমিক নিহত
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে সাইদুল ইসলাম (৫০) নামের এক অটোরাইস মিলের শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে সাউদপাড়া এলাকায় ফুলবাড়ী-টু-খরিবাড়ী সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সাইদুল উলিপুর উপজেলার কাশেম বাজার এলাকার উমর আলীর ছেলে এবং ফুলবাড়ী সদরে জোবেদা অটোরাইস মিলের শ্রমিক ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, কাজ শেষে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে উপজেলা সদর ইউনিয়নের সাউদপাড়া এলাকায় ফুলবাড়ী-খরিবাড়ী সড়কে একটি পিকআপকে ওভারটেক করার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা অন্য মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই সাইদুল নিহত হন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে নারীসহ নিহত ৪, আহত ৫
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’
২ দিন আগে
ভুট্টা খেতে শিশুর লাশ, পরিবারের দাবি হত্যা
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে ভুট্টাক্ষেত থেকে একটি শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) উপজেলার ভোটমারি ইউনিয়নের একটি ভুট্টাক্ষেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মালিক।
শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার স্বজনরা। হত্যার আগে তাকে ধর্ষণ বা ধর্ষণচেষ্টা করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
জান্নাতি (১৩) নামে নিহত শিশুটি ভোটমারি ইউনিয়নের শৈলমারী এলাকার ফজু মিয়ার মেয়ে। সে চর শৌলমারির স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের অভিযোগে যবিপ্রবির শিক্ষক বরখাস্ত
এলাকাবাসী ও পরিবার জানায়, ‘বুধবার চারজনের একটি সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্ত দল তাকে রান্না ঘর থেকে তুলে নিয়ে হত্যার পর বাড়ির পাশের ভুট্টা খেতে ফেলে রেখে গেছে। তারা জানায়, শিশুটির দুই হাত ভাঙা ছিল। মুখে মাটি ঢুকিয়ে শ্বাসরোধ করা হয়েছে।’
জান্নাতির বাবা-মা জানায়, ওই দিন সন্ধ্যার সময় চুলায় রান্না বসিয়ে জান্নাতিকে রান্না ঘরে রেখে একই গ্রামের নানার বাড়িতে গিয়েছিলেন তার মা। সেখান থেকে আসার পর রান্নাঘরে মেয়েকে দেখতে না পেয়ে আশপাশে খোঁজ করেন তারা। এমন সময় বাড়ি থেকে একটু দূরে থাকা ভুট্টা খেতে গিয়ে মেয়ের লাশ দেখতে পান।
ওসি সেলিম মালিক জানান, কালিগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় ওই গ্রামের সন্দেহজনক একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। জান্নাতির বাবা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
৩ দিন আগে
ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দামের বাড়িতে ‘অগ্নিসংযোগ’
নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের বাড়ির একটি খড়ের ঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। তবে ঘরটি মূল বাড়ির সীমানার বাইরে হওয়ায় তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (১৫ এপ্রিল) গভীর রাতে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ সাতখামার এলাকায় সাদ্দামের গ্রামের বাড়ির প্রাচীর সংলগ্ন একটি খড়ের ঘরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট।
তবে কারা আগুন দিয়েছে—তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি বাড়ির সদস্যরা। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকেও আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে কোনো কারণ জানাতে পারেনি।
বোদা ফায়ার সার্ভিস অফিস জানায়, বাড়ির প্রাচীর সংলগ্ন একটি খড় ও খড়ি রাখার ঘরে অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ৩০ ফিট দৈর্ঘ্য ও ১০ ফিট প্রস্থের টিনশেডের ঘরটিতে খড় ও খড়ি রাখা ছিল। মধ্যরাতে ওই ঘরে আগুন দেখতে পেয়ে প্রতিবেশী ও স্থানীয়রা ছুটে আসেন এবং আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে এবং ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়।
সাদ্দাম হোসেনের মা আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘মধ্যরাতে কে বা কারা আমাদের খড়ের ঘরে আগুন দেয়। প্রতিবেশীরা আগুন দেখতে পেয়ে চিৎকার করে। আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। পরে সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। সময়মতো তারা না আসলে আগুন আমাদের থাকার ঘরেও লাগত।’
তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী ৩ বছর ধরে বিছানায় পড়ে রয়েছেন। আমরা এখন খুবই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা চাই, প্রশাসন এই ঘটনা তদন্ত করে কারা আগুন দিয়েছে তা খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করুক।’
বোদা ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর রায়হান ইসলাম বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আমাদের দুটি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ১ লাখ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে হিসাব করেছি। তবে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’
আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম সরকার বলেন, এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত ৫ আগস্ট নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষুব্ধরা। এ সময় তাদের কাছে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটপাট করা হয় বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল।
৪ দিন আগে
লালমনিরহাটে চার দিনব্যাপী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু
লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ীতে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে আবহমান গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিযোগিতাটি উপভোগ করতে এদিন বিভিন্ন বয়সী হাজার হাজার নারী-পুরুষ জড়ো হয়।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালে বড়বাড়ি শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয় মাঠে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই ঘোড়দৌড়ের উদ্বোধন করেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু।
এর আগে বিকালে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-এর আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে পান্তাভাত দিয়ে সবাইকে আপ্যায়ন করা হয়।
চার দিনের এ প্রতিযোগিতা শেষে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী ঘোড়ার মালিকদেরকে পুরস্কৃত করা হবে।
আরও পড়ুন: নববর্ষ ১৪৩২: পরিবর্তন ও নতুনত্বের আবহ
ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা ও মেলা উপভোগ করতে লালমনিরহাট জেলাসহ পার্শ্ববর্তী জেলা ও উপজেলা থেকে হাজার হাজার মানুষ মাঠে উপস্থিত হয় এদিন। এছাড়াও ভিড় করেন শিশু-কিশোর, নারী-পুরুষসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। অনেকে আবার ঘোড়াদৌড় দেখতে আগের দিনই স্থানীয় আত্মীয়-স্বজন এবং খেলার মাঠে এসে বসে থাকেন।
উৎসবমুখর পরিবেশে ঘোড়ার দৌড় ও সওয়ারিদের রণকৌশল উপভোগ করতে মাঠের চতুরদিকে হাজির হয় হাজার হাজার দর্শনার্থী। প্রথম দিন ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় ৩২টি ঘোড়া অংশ নেয়। গ্রাম-বাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিযোগিতা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন আগত দর্শকরা।
এসব সাওয়ারিদের মধ্যে সবার নজর ছিল সর্বকনিষ্ঠ ১২ বছরের হালিমা বেগমের ওপর। চারজনের ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় হালিমা প্রথম স্থান অধিকার করে নজরও কারেন সবার।
ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী হালিমা বেগম বলেন, আমি নাটোর থেকে বাবার সঙ্গে এই ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে এসেছি এবং এখানে খেলায় অংশ নিয়ে প্রথম স্থানও অধিকার করিছি। এখানে এই প্রতিযোগিতা খুবই আকর্ষণীয় এবং হাজার হাজার দর্শক হয় বাবার মুখে শুনেছি। এখানে এসে এর সত্যতা পেলাম।
ঘোড়াদৌড় দেখতে আসা সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি কালীগঞ্জ উপজেলা থেকে ঘোড়াদৌড় দেখতে এসেছি। প্রতি বছর এখানে ঘোড়াদৌড় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমি প্রতি বছর এখানকার ঘোড়াদৌড় দেখতে আসি। এবছরও এসেছি। আমি চাই প্রতি বছর যেন এখানে ঘোড়াদৌড় ও গ্রামীণ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এমন আয়োজনে হাজারো দর্শকের উপস্থিতিতে আবেগ আপ্লুত হয়েছি।
আরও পড়ুন: নববর্ষ উদ্যাপনে কোনো নিরাপত্তা হুমকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
৫ দিন আগে
দিনাজপুরে শিবিরের সাবেক নেতার উপর দুর্বৃত্তের হামলা
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতির উপর সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে হামলার ঘটনা ঘটে। তবে সোমবার দ্বিতীয় দিনেও হামলার কারণ জানতে পারেনি পুলিশ।
হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হলেও হামলার কারণ এবং জড়িতদের সবার পরিচয় তার কাছে থেকে জানতে পারেনি পুলিশ।
হাবিবুর রহমান হাবিব (৩২) চিরিরবন্দরের অমরপুর ইউনিয়নের মোস্তফাপুর গ্রামের আকাব উদ্দিনের ছেলে। তিনি বর্তমানে জামায়াতের অঙ্গ সংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উপজেলা কমিটির অফিস সম্পাদক।
জানা গেছে, রবিবার রাত ১১টার দিকে মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়িতে ফেরার সময় পথিমধ্যে তার উপর হামলা চালায় ৮ জনের একটি দুর্বৃত্ত চক্র। এসময় তার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হলেও মাথায় হেলমেট থাকায় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান তিনি। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসায় পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। তাকে রাতেই দিনাজপুরের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদিকে হামলার পরেই রাস্তার পাশের একটি বাড়িতে লুকানো অবস্থায় আমিনুল ইসলাম নামে একজনকে ধরে ফেলে স্থানীয়রা। তাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: যশোরে বিএনপি নেতার ওপর বোমা হামলা
চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল ওয়াদুদ জানান, হামলায় জড়িত সন্দেহে স্থানীয়রা আমিনুল ইসলাম নামে একজনকে আটক করে গণ ধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে তুলে দিয়েছে। তাকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে চিকিৎসাধীন থাকায় তার কাছে তথ্য পাওয়া যায়নি।
আটক আমিনুল কিছুটা সুস্থ হলে তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে আশা করছে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তে গ্রাম্য বিচার শালিসের জেরে হামলার ঘটনা বলে জানতে পেরেছেন তারা। ওই নেতার পক্ষে মামলার প্রস্তুতি রয়েছে।
৬ দিন আগে
ঝুলে থাকা বৈদ্যুতিক তার গলায় জড়িয়ে কৃষকের মৃত্যু
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ঘাস কাটতে গিয়ে ঝুলে থাকা বৈদ্যুতিক লাইনের তারে গলা আটকে গিয়ে আসাদুল ইসলাম (৪০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের খর্পদোলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত আসাদুল উপজেলার উত্তর গোতামারী এলাকার মৃত সামাদ আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, আসাদুল বাড়ির অদূরে ভারতীয় সীমান্তঘেষা খর্পদোলায় ঘাস কাটতে যান। সেখানে পানি সেচের জন্য বৈদ্যুতিক মোটরের সংযোগের লাইনের বাঁশের খুটি ভেঙে তার ঝুলে ছিল। একপর্যায়ে ওই ঝুলে থাকা তারে তার গলা জড়িয়ে যায়, আর তিনি সেখানেই পড়ে থাকেন। পরে দুপুরে স্থানীয়রা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে মৃত অবস্থায় বাড়িতে নিয়ে আসেন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে হত্যা মামলায় ১৬ বছর পর ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
গোতামারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোনাব্বেরুল হক মোনা বলেন, ‘ঘাস কাটতে গিয়ে ঝুলে থাকা বৈদ্যুতিক লাইনের তারে গলা আটকে আসাদুলের মৃত্যু হয়।’
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ-উন-নবী বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।’
৬ দিন আগে
উত্ত্যক্তের জেরে চিলমারীতে মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষ!
কুড়িগ্রামের চিলমারী ও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ সীমান্তে পূর্ব জের এবং ছেলে মেয়ের ছবি তোলা ও উত্যক্ত করাকে কেন্দ্র করে মাইকিং ও ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছে দুই এলাকার বাসিন্দারা। শহরের মোড় এলাকায় ঈদে চিলমারী-হরিপুর তিস্তা সেতুতে ঘুরতে যাওয়া মা-মেয়েকে উত্ত্যক্তের অভিযোগে মাইকিং করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকাল ১১টা থেকে কয়েক দফা চলা সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ থেকে ২৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের একজনকে প্রথমে চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। চিলমারী থানা পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের বাধা উপেক্ষা করে দুই পক্ষের প্রায় ২ শতাধিক লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পরে খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি টিম দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এলাকাবাসী সূত্র জানা যায়, গত শুক্রবার চিলমারী রমনা ইউনিয়নের দক্ষিণ খরখরিয়া গ্রামের পশির উদ্দিনের মেয়ে ও স্ত্রী দ্বিতীয় তিস্তা সেতুতে ঘুরতে গেলে গাইবান্ধার সুন্ধরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের শহরের মোড় এলাকার কয়েকজন যুবক গোপনে ছবি তোলেন এবং উত্যক্ত করার চেষ্টা করেন। পরে মা মেয়ে ওই ঘটনার প্রতিবাদ করার সময় ওই কিশোরেরা তাদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন।
এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত রমনা ইউনিয়নের ডাঙ্গার চর এলাকার সাজু ও মোতালেব মিয়া বিষয়টির প্রতিবাদ করে। এতে শহরের মোড় এলাকার বিজয়, পাভেল, সুমনসহ কয়েকজন মিলে চিলমারী উপজেলার এই দুই যুবকের উপর চড়াও হয় এবং তাদের মারধর করেন।
পরে তারা মারধরের বিষয়টি এলাকায় জানালে এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সকালে রমনা ইউনিয়নের দক্ষিণ খড়খড়িয়া এলাকার আলমগীর হোসেন (৩৫) তার ভুট্টা খেত দেখতে গেলে শহরের মোড় এলাকার মিস্টারসহ কয়েকজন ব্যক্তি মিলে তাকে মারধর করে। পরে খবর পেয়ে তার পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। প্রথমে চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়, পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়েছে।আরও পড়ুন: মাগুরায় সদস্য ফরম বিতরণ নিয়ে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০
ঘটনায় দুই গ্রামের মানুষ মাইকিং করে তাঁদের লোকজনকে ডেকে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে উভয় গ্রামের ২০ থেকে ২৫ জন আহত হয়েছেন।
খবর পেয়ে কুড়িগ্রাম থেকে কুড়িগ্রাম ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন সাফায়েত হোসেনের নেতৃত্বে সেনাবাহীনির টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এছাড়াও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সবুজ কুমার বসাক, চিলমারী থানা পুলিশ, রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রতিনিধি।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে রমনা মডেল ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম আশেক আকা বলেন, গত শুক্রবার দুই থানার মোড় চিলমারী এড়িয়ার একটি পরিবারকে উত্যক্ত করেন সুন্দরগঞ্জ এড়িয়ার শহরের মোড় এলাকার যুবক। এই ঘটনা ছাড়াও পূর্ব জের ধরে দুই এলাকায় মারামারি হবে ঘোষণা দেওয়া হয়। তা জেনেই চিলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহহ এসে সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হই।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার দুই পক্ষ সংঘর্ষের জন্য অবস্থান নেয় এবং ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়—তা জেনে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসি। এর পরেই সেনাবাহীনি ঘটনাস্থলে আসে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ব্যাপারে চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সবুজ কুমার বসাক বলেন, সেনাবাহিনী, পুলিশ প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের উপস্থিতিতে এলাকাবাসীকে নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, বর্তমানে পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে। কেউ আইনি সহায়তা চাইলে কিংবা কেউ পরিবেশ অস্থিতিশীল করতে চাইলে আইনগত প্রক্রিয়া মাধ্যমে বিষয়গুলো দেখা হবে।
১০ দিন আগে