রংপুর
দিনাজপুরে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে ১ জন নিহত, আহত ৩
দিনাজপুরের পাবর্তীপুরে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে একজন নিহত ও ৩ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে বদরগঞ্জ সড়কের ক্যানেল ব্রিজে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
দুর্ঘটনায় নিহত আসিফ ইকবাল (১৯) জেলার পলাশবাড়ীর উত্তর ধোবাকল গ্রামের মৃত আলমের ছেলে।
পাবর্তীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ফারুক জানান, ক্যানেল ব্রিজ এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা দুইটি দ্রুতগতির মোটরসাইকেলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে এক মোটরসাইকেলের চালক আসিফ ইকবাল দুর্ঘটনাস্থলে নিহত হন। মোটরসাইকেলে থাকা অপর যাত্রীরা আহন হন। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
সাত দিন সূর্যের দেখা নেই, লালমনিরহাটে জেঁকে বসেছে শীত
দেশের উত্তরাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাটে ঘন কুয়াশা ও তীব্র ঠান্ডায় শীত জেঁকে বসেছে। গত ৭ দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না। এতে খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষের জনজীবন চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।
শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। শীতবস্ত্রের অভাবে সবচেয়ে বেশি কষ্টে রয়েছে তিস্তা পাড়ের হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও স্বল্প আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। শীতের দাপটে প্রত্যন্ত গ্রাম ও চরাঞ্চলের মানুষ আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বেলা ১১টা পেরিয়ে গেলেও আজ সূর্যের দেখা মেলেনি।
রাজারহাট আবহাওয়া দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, সামনে শীতের প্রকোপ আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে ঠান্ডা ও কুয়াশার মাত্রা আরও বাড়তে পারে।
১ দিন আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে হাড় কাঁপানো শীত, বিপর্যস্ত জনজীবন
পৌষ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। গত কয়েকদিন যাবৎ গভীর রাত থেকে ভোররাত পর্যন্ত অনেকটা বৃষ্টির মতো ঝরছে ঘন কুয়াশা। চারদিক ঢেকে যাচ্ছে কুয়াশার চাদরে, ফলে সামান্য দূরের কিছুও দেখা যাচ্ছে না। এতে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জনজীবন।
গতকাল (শনিবার) ও আজ এক মুহূর্তের জন্য সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। সারা দিন সূর্য ঢাকা পড়ে আছে মেঘে ও কুয়াশায়।
ঠাকুরগাঁওয়ে কোনো আবহাওয়া অফিস নেই। তবে জেলা কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গত কয়েকদিন ধরে ভোরে ঠাকুরগাঁওয়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। এ সময়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি ওঠেনি।
মেঘে ও কুয়াশায় ঢাকা পড়ে থাকায় সূর্য তাপ ছড়াতো পারছে না। তাছাড়া ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডা বাতাসের কারণে শীতের তীব্রতা আরও বেড়ে গেছে।
এই শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ, দিনমজুর, ভ্যানচালক, কৃষিশ্রমিক ও খোলা আকাশের নিচে থাকা অসহায়রা। অনেকেই কাজে বের হতে পারছেন না, ফলে তাদের দৈনন্দিন আয় ব্যাহত হচ্ছে।
শীত থেকে রক্ষা পেতে শীতবস্ত্রের দোকান ও ফুটপাতে কম্বল, সোয়েটার ও জ্যাকেট কিনতে মানুষের ভিড় এখন অনেক বেশি।
ঘন কুয়াশার প্রভাব পড়েছে সড়ক-মহাসড়কেও। ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুরসহ বিভিন্ন সড়কে যান চলাচলে দেখা দিয়েছে ধীরগতি। দিনের বেলায়ও চালকদের হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. রকিবুল আলম (চয়ন) জানান, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঠাকুরগাঁওয়ের হাসপাতালগুলোতেও বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে প্রতিদিনই রোগীরা হাসপাতালে আসছেন।
তবে পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে শীতজনিত রোগের ঝুঁকি বেশি।
এ অবস্থায় শীতার্ত ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে প্রশাসনসহ সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা।
৩ দিন আগে
দিনাজপুরে বাসের ধাক্কায় ট্রাক্টরের চালকসহ নিহত ২
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ঢাকাগামী বাসের ধাক্কায় মেসি গাড়ির (ট্রাক্টর) চালকসহ দুইজন নিহত হয়েছেন।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের ঘোড়াঘাট উপজেলার ৩ নম্বর সিংড়া ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রাম এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন সেমি গাড়ির চালক জুহিন (৩৫)। তিনি ঘোড়াঘাটের রানীগঞ্জের দক্ষিণ দেবীপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। অন্যজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, ঢাকামুখী মোল্লা পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় বিপরীত দিক থেকে আসা মেসি পরিবহনের (ট্রাক্টর) চালকসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরেকজন নিহত হয়েছেন। তার পরিচয় উদ্ধারে আঙ্গুলের ছাপ পরীক্ষার জন্য সিআইডি টিম তলব করা হয়েছে।
তিনি জানান, ঘাতক বাসটিকে জব্দ করা গেলেও বাসের চালক, হেলপার ও সুপারভাইজার পালিয়ে গেছেন।
৪ দিন আগে
উত্তরের হিমেল হাওয়ায় জবুথবু লালমনিরহাট
শীতের ঠ্যালায় ঘর থাকি বাইরা বের হওয়া যায় না। বাইরা বের হইলে বাতাস গাত ফোরে ফোরে সোন্দায় (বাতাস গায়ের ভেতর ছুঁচের মত ফুঁড়ে যায়)।
কথাগুলো বলছিলেন লালমনিহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের চর ইচলি গ্রামের ৫৫ বছর বয়সী আরিফ নামের এক কৃষক। কথা বলার সময় কাঁপতে থাকা দুই হাত ঘষে শরীরে একটু উষ্ণতা ফেরানোর চেষ্টা করছিলেন তিনি।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় লালমনিরহাটের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বলে রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানিয়েছেন।
উত্তরের হিমেল বাতাসে জবুথবু হয়ে পড়েছে লালমনিরহাটের গ্রাম থেকে শহর সবখানে। এর মধ্যে আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা তিস্তা নদীর চরে শীত আরও নির্দয়। খোলা প্রান্তর, নদীর হাওয়া আর কুয়াশার ভেজা ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়েছে স্থানীয় জনজীবন। টানা তিন দিন সূর্যের দেখা নেই। রাতে কুয়াশা ঝরছে বৃষ্টির মতো।
সূর্যের আলোর বদলে লালমনিরহাটে সকাল হয় ধূসর কুয়াশায় ঢেকে। জানালার ফাঁক দিয়ে ঢুকে পড়া ঠান্ডা হাওয়া ঘুম ভাঙিয়ে দেয় আগেই। উঠোনের ভেজা মাটি আর কনকনে বাতাসে মনে হয় যেন পুরো জনপদ থমকে আছে। এই বৈরী আবহাওয়ার ভেতরই প্রতিদিন নতুন করে বাঁচার জন্য লড়াই করেন লালমনিরহাটের মানুষ। বিশেষ করে নদী তীরবর্তী চরাঞ্চল আর প্রান্তিক গ্রামগুলোতে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে বহুগুণ।
৪ দিন আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি: ২ জনের কারাদণ্ড
ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা প্রশাসকের নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে দুই পরীক্ষার্থীকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা চলাকালীন তাদের আটক করা হয়।
কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আসাদ আলী (২৫) এবং দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলার নুর আলম (৩৫)।
ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ কেন্দ্রে নুর আলম অন্য এক পরীক্ষার্থীর হয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। অপরদিকে আসাদ আলীকে ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের সময় আটক করে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশাদুল হক। তিনি বলেন, নুর আলমকে ১৫ দিনের এবং আসাদ আলীকে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এরপর তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অধীন রাজস্ব প্রশাসনের অফিস সহায়ক পদের এ নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিন জেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে অফিস সহায়ক পদের লিখিত পরীক্ষায় প্রায় সাড়ে চার হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নেন। পরীক্ষায় ৭০ নম্বরের প্রশ্নপত্র ছিল।
৫ দিন আগে
রংপুরে জেঁকে বসেছে শীত, হাসপাতালে বাড়ছে রোগী, ৬ শিশুর মৃত্যু
দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে ঝেঁকে বসেছে শীত। এরই সঙ্গে বেড়েছে শীতজনিত রোগের প্রকোপ। ২৪ ঘণ্টায় উত্তরাঞ্চলের ৮ জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে রোগাক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন অন্তত ৬ জন।
রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডাক্তার মেশকাতুল আবেদ বলেন, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগের প্রকোপও বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের ৮ জেলায় শিশু ও বৃদ্ধসহ আরও ৪৫৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। শীতে বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের সর্তক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এই চিকিৎসক।
এদিকে, রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডেই গত সাত দিনে ৬১৩ জন ভর্তি হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
রমেক হাসপাতালে বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিশুরা নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। তাছাড়া হাসপাতালে বেডের তুলনায় রোগী অনেক বেশি। দূর-দূরান্ত থেকে এই হাসপাতালে আসছেন রোগীরা। অন্যদিকে সংকট রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিকের। সরবরাহ না থাকার অজুহাতে এক বেলা পেলে আরেক বেলা কিনতে হচ্ছে রোগীর স্বজনদের। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
এদিকে, ওই হাসপাতালের ১০ নম্বর শিশু ওয়ার্ডে শয্যার তুলনায় চারগুণ শিশু রোগী ভর্তি হয়েছে। আজ (বুধবার) সকালে ওই ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, এক বেডে চারজন শিশু রাখা হয়েছে। ১০ নম্বর ওয়ার্ডে বেড রয়েছে ৪০টি। তার বিপরীতে রোগী ভর্তি রয়েছে ১৭৮ জন।
৭ দিন আগে
শীত ও কুয়াশায় বিপর্যস্ত লালমনিরহাট, চরম দুর্ভোগে জনজীবন
কনকনে ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে লালমনিরহাটের খেটে খাওয়া অসহায় মানুষের জীবন। ভোর হতেই জেলা সদরসহ পাঁচটি উপজেলাজুড়ে কুয়াশার ঘনত্ব কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে। রাস্তা, মাঠ ও বসতবাড়ি ঢেকে যাচ্ছে কুয়াশার চাদরে। উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীত এখানে শুধু একটি ঋতু নয়, বরং সাধারণ মানুষের জন্য টিকে থাকার কঠিন এক সংগ্রামে পরিণত হয়েছে।
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকেন্দ্রের তথ্যমতে, বুধবার সকাল ৬টায় লালমনিরহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল শতভাগ এবং গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় সাড়ে ৮ কিলোমিটার। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
শীত ও কুয়াশায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন তিস্তা নদীতীরবর্তী চরাঞ্চল ও খোলা প্রান্তরের বাসিন্দারা। টিনের চালাঘর, ফাঁকা দেওয়াল আর কয়েক টুকরো পুরোনো কাপড়ই তাদের শীত নিবারণের একমাত্র সম্বল। গভীর রাতে কুয়াশা শিশিরের মতো নয়, বরং বৃষ্টির মতো ঝরে পড়ছে এখানে। এতে ভিজে যাচ্ছে ঘরবাড়ি ও কাপড়চোপড়; বেড়ে যাচ্ছে শীতের তীব্রতা।
কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের চরের বাসিন্দা আব্দুল হাই বলেন, এত ঠান্ডায় হাত-পা শক্ত হইয়া যায়। রাইতে ঠিকমতো ঘুম আইসে না। নদীপাড়ের মানুষ, বড় কষ্টে আছি। আর খুব বেশি বাতাস আইছে বাহে।
জেলা সদর, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম, আদিতমারী, কালীগঞ্জ উপজেলাজুড়ে সকাল থেকেই কুয়াশার কারণে চারপাশের তেমন কিছুই দেখা যায় না। দিনের বেলায়ও যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এতে ভোরে কাজে বের হওয়া দিনমজুর, কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে।
আদিতমারী রেলওয়ে স্টেশন এলাকার অটোরিকশাচালক সামছুল হক (৫৭) বলেন, শীতে শরীর নড়ে না, তাও সকাল হইলেই গাড়ি নিয়ে বাহির হইতে হয়। কাজ না করলে খাবার জুটে না।
শীতের সঙ্গে সঙ্গে রোগবালাইও বাড়ছে জেলাজুড়ে। জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অনেকে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হচ্ছেন। তবে দরিদ্র পরিবারের অনেকেরই প্রয়োজনীয় ওষুধ কেনার সামর্থ্য নেই।
আদিতমারি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. আজমল বলেন, শীতে স্বাস্থ্যের পরিচর্যায় শিশু ও বয়স্কদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে। ঠান্ডা এড়িয়ে চলা এবং অসুস্থ হলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
৭ দিন আগে
সিলেটে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২
সিলেটের গোলাপগঞ্জে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে ২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের তেরমাইল নামক স্থানে এ মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটে।
দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই একজন এবং সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর অন্যজন মারা যান। এ ছাড়াও আরও দুইজন মোটরসাইকেলআরোহী গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহতরা হলেন— গোলাপগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোয়াসপুর গ্রামের আব্দুল আহাদ (৪২) এবং রানাপিং ছত্রিশ গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে সাব্বির আহমদ (২১)।
আহতরা হলেন— উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফাজিল পুর গ্রামের মৃত আব্দুল আলিমের ছেলে আরিফুল হক জয় (৩৫) এবং জুড়ি উপজেলার বাছিরপুর গ্রামের বাছিরপুর গ্রামের আকমল হোসেনের ছেলে জাকির আহমদ (২০)।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, মোটরসাইকেল দুটি একই দিক থেকে যাচ্ছিল। উপজেলার গোয়াসপুর এলাকায় পৌঁছানোমাত্র পেছন থেকে আসা মোটরসাইকেলটি সামনের মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে দুইটি মোটরসাইকেলের চালকসহ চারজন আরোহীই ছিটকে পড়লে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম।
১৩ দিন আগে
রংপুর বিভাগীয় ইজতেমায় ২ মুসল্লির মৃত্যু, অসুস্থ আরও ৯
রংপুর বিভাগীয় ইজতেমার প্রথম দিন বার্ধক্য ও ঠান্ডাজনিত কারণে এখন পর্যন্ত দুই মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আরও অন্তত ৯ জন অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইজতেমার মাঠের ৬ নম্বর হালকার জিম্মাদার আবুল হোসেন।
মারা যাওয়া মুসল্লিরা হলেন— রংপুর জেলার পীরগঞ্জ থানার সাঈদুর রহমান এবং টাঙ্গাইল জেলার তারা মিয়া। তারা মিয়া ৪০ দিনের চিল্লায় রংপুর এসে ইজতেমায় অংশ নিয়েছিলেন। ইজতেমা ময়দানেই বাদ জোহর মরহুমদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
আজ দুপুরে আবুল হোসেন বলেন, ইজতেমার মাঠে বার্ধক্য ও ঠান্ডাজনিত কারণে আজ দুপুর পর্যন্ত দুইজন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। বাদ জোহর ময়দানেই জানাজা শেষে তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইদুল ইসলাম বলেন, ইজতেমার মাঠে শ্বাসকষ্টজনিত কারণে দুজন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। তাদের দুজনের মৃত্যুই স্বাভাবিক। এখন পর্যন্ত মাঠে আরও ৯ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদের বিভিন্নভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
রংপুর নগরীর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আমাশু কুকরুল এলাকায় কয়েক লাখ মুসল্লি নিয়ে শুরু হয়েছে রংপুর বিভাগীয় ইজতেমা।
২০ দিন আগে