রংপুর
রংপুর বিভাগীয় ইজতেমায় ২ মুসল্লির মৃত্যু, অসুস্থ আরও ৯
রংপুর বিভাগীয় ইজতেমার প্রথম দিন বার্ধক্য ও ঠান্ডাজনিত কারণে এখন পর্যন্ত দুই মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আরও অন্তত ৯ জন অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইজতেমার মাঠের ৬ নম্বর হালকার জিম্মাদার আবুল হোসেন।
মারা যাওয়া মুসল্লিরা হলেন— রংপুর জেলার পীরগঞ্জ থানার সাঈদুর রহমান এবং টাঙ্গাইল জেলার তারা মিয়া। তারা মিয়া ৪০ দিনের চিল্লায় রংপুর এসে ইজতেমায় অংশ নিয়েছিলেন। ইজতেমা ময়দানেই বাদ জোহর মরহুমদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
আজ দুপুরে আবুল হোসেন বলেন, ইজতেমার মাঠে বার্ধক্য ও ঠান্ডাজনিত কারণে আজ দুপুর পর্যন্ত দুইজন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। বাদ জোহর ময়দানেই জানাজা শেষে তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইদুল ইসলাম বলেন, ইজতেমার মাঠে শ্বাসকষ্টজনিত কারণে দুজন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। তাদের দুজনের মৃত্যুই স্বাভাবিক। এখন পর্যন্ত মাঠে আরও ৯ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদের বিভিন্নভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
রংপুর নগরীর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আমাশু কুকরুল এলাকায় কয়েক লাখ মুসল্লি নিয়ে শুরু হয়েছে রংপুর বিভাগীয় ইজতেমা।
৫ দিন আগে
পরকীয়ার অভিযোগে শালিসে মারধর, পরে মিলল গৃহবধূর মরদেহ
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে পরকীয়ার অভিযোগে শালিস বৈঠকে এক গৃহবধূকে মারধরের পরদিন তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্যসহ কয়েকজনের নির্যাতন ও সামাজিক অপমান সহ্য করতে না পেরে তৃপ্তি রায় (২৩) নামের ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) উপজেলার বৈরচুনা ইউনিয়নের দক্ষিণ দোপাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ওই গ্রামের পবিত্র চন্দ্র রায়ের সঙ্গে একই এলাকার তৃপ্তি রায়ের প্রেমের সম্পর্ক আছে—এলাকায় এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। এর সূত্র ধরে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে পবিত্র রায়ের বাড়িতে তৃপ্তি রায়কে ডেকে নিয়ে বৈরচুনা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান টেলিনা সরকার হিমুর উপস্থিতিতে শালিস বসে।
শালিসে চেয়ারম্যান হিমু ও ইউপি সদস্য মুসলিম উদ্দিন পরকীয়ার অভিযোগ তুলে তৃপ্তিকে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন। এ সময় তাকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে অপমান করা হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। শালিস শেষে গৃহবধু তৃপ্তি রানীকে তার স্বামীর বাড়িতে পাঠানো হয়। তবে স্বামী যতীশ চন্দ্র রায় তাকে ঘরে তুলতে অস্বীকৃতি জানান।
পরদিন সকালে নওডাঙ্গা নয়াপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের পুকুরপাড়ের এক জাম্বুরা গাছে তৃপ্তি রায়ের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।
তৃপ্তির স্বামী যতীশ চন্দ্র রায় বলেন, স্ত্রীকে পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে দিনভর নির্যাতন করা হয়েছে। ঘটনার মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত আমি তাকে ঘরে তুলিনি। অপমান সইতে না পেরে হয়তো সে আত্মহত্যা করেছে।
তৃপ্তির বাবা শীরেন চন্দ্র রায় অভিযোগ করে বলেন, মেয়েকে শালিসের নামে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। এরপর থেকেই তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সকালে জামাই খবর দেয়, মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া গেছে।
দক্ষিণ দোপাইল গ্রামের বাসিন্দা দ্বীপঙ্কর রায় বলেন, এভাবে শালিস ডেকে একজন মেয়েকে চড়-থাপ্পড় মারা কোনোভাবেই ঠিক হয়নি। ঘটনার দিন অনেক লোক জড়ো হয়েছিল। সবাই চাপা গলায় কথা বলছিল। পরে শুনি মেয়েটা অপমান সহ্য করতে না পেরে লজ্জায় আত্মহত্যা করেছেন। খুব খারাপ লাগছে।
স্থানীয় মোসলেম উদ্দিন বলেন, শুনেছি সকাল থেকেই ওকে নিয়ে টানাটানি হচ্ছিল। বিকেলের দিকে শালিস বসে। যেভাবে গালিগালাজ আর মারধর করা হলো, মানুষ হলে তো কষ্ট লাগবেই। আত্মহত্যা করুক বা যাই হোক, খুব অন্যায় হয়েছে মেয়েটার সঙ্গে।
স্থানীয় কৃষক সাদেকুল বলেন, পরকীয়া নিয়ে গুঞ্জন ছিল, তাই বলে শালিসে মারধর করবে? ইউনিয়ন পরিষদ যদি বিচার করতে গিয়ে নিজেরাই অপমান করে, তাহলে মানুষ কোথায় যাবে?
ইমন আলী নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, আমরা খবর পাই যে মেয়েটাকে রাতে বাড়িতে নেয়নি তার স্বামী। দিনভর অপমান আর রাতে কোথাও যাওয়ার জায়গা না থাকলে যে কেউ ভেঙে পড়বে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে বৈরচুনা ইউপি চেয়ারম্যান টেলিনা সরকার বলেন, এ ব্যাপারে কিছু বলব না। থানায় এজাহার হয়েছে, পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্তেই সব বেরিয়ে আসবে।
ঘটনা সম্পর্কে পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এটি আত্মহত্যা নাকি কোনো ধরনের প্ররোচনা বা হত্যার ঘটনা—সবকিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
৮ দিন আগে
রংপুরে মুক্তিযোদ্ধা ও তার স্ত্রীকে ‘গলাকেটে হত্যা’
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় এক মুক্তিযোদ্ধা ও তার স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বৃদ্ধ এই দম্পতিকে কেন এমন নৃশংসভাবে খুন করা হলো, তা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের খিয়ারপাড়া গ্রামে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মুক্তিযোদ্ধা হলেন যোগেশ চন্দ্র রায় (৭৫) এবং তার স্ত্রী সুবর্ণা রায় (৬০)। যোগেশ চন্দ্র রায় ওই এলাকার রহিমাপুর নয়াহাট মুক্তিযোদ্ধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দা, পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, যোগেশ দম্পতির দুই ছেলে, তারা বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত। ফলে বাড়িতে একাই থাকতেন ওই দম্পতি। প্রতিদিনের মতো গতরাতেও তারা ঘুমাতে যান। এরপর আজ (রবিবার) সকালে দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকির পরও তাদের কোনো সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশী দীপক নামের এক ব্যক্তি বাড়ির গেটের সামনে মই লাগিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় তিনি সুবর্ণা রায়কে রান্নাঘরে এবং যোগেশ চন্দ্র রায়কে খাবার ঘরে গলা কাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি বিষয়টি স্থানীয়দের জানান।
ঘটনাটি এলাকায় শোক ও ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের কারণ এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু সাইয়ুম তালুকদার বলেন, ঘটনাস্থলে ক্রাইম সিনের সদস্যরা রয়েছেন। পাশাপাশি এই হত্যাকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে তদন্তে নেমেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।
৯ দিন আগে
দিনাজপুরে অটোরিকশায় গরুবাহী ট্রাকের ধাক্কা: ২ নারী নিহত, আহত ৭
দিনাজপুরের চুনিয়াপাড়া এলাকায় গরুবাহী ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার যাত্রী ২ নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৭ জন।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় হতাহতের ওই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— জেলা সদরের ননাম মেম্বারপাড়ার আজিজুর রহমানের স্ত্রী খতেজা বেগম (৬১) এবং একই গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী শেফালী বেগম (৩১)।
দিনাজপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার ওবায়দুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে উদ্ধার অভিযানে ছুটে যান তারা। দুর্ঘটনাস্থলেই খতেজা বেগম নিহত হন। বাকি আহতদের তারা দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
কোতয়ালী থানার উপপরিদর্শক সাজ্জাদ হোসেন জানান, আহতদের মধ্যে শেফালী বেগম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। অন্য ৭ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানান তিনি।
৯ দিন আগে
পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী—বিএসএফের গুলিতে সবুজ মিয়া (২৯) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ভোরে উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের শমসেরনগর সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সবুজ মিয়া ওই ইউনিয়নের পচাভান্ডার গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সীমান্ত সূত্রে জানা গেছে, আজ (বৃহস্পতিবার) ভোরে তিস্তা ব্যাটালিয়ন-৬১ বিজিবির অধীনস্ত শমশেরনগর সীমান্তের মেইন পিলার ৮৬৪/৫-এর বিপরীতে ভারতের ভেতরে কেনাকাটা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
শমসেরনগর বিওপি ক্যাম্প কমান্ডার কামাল উদ্দিন একজন বাংলাদেশি নিহত হওয়ার কথা নিশ্চিত করে জানান, বিএসএফকে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে চিঠি পাঠানো করা হয়েছে।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সীমান্তে এমন একটি ঘটনার খবর পেয়েছি। তবে বিজিবি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। শুনেছি এ ঘটনায় বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে।
১২ দিন আগে
ভারতের অনুমতি মেলেনি, বুড়িমারীতে আটকে ভুটানের ট্রানশিপমেন্ট চালান
বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে থাইল্যান্ড থেকে আনা ভূটানের প্রথম পরীক্ষামূলক চালান ভারতের অনুমতি না পাওয়ার কারণে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরে আটকা পড়ে আছে।
রবিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে পর্যন্ত সড়কপথ ব্যবহার করে ভুটানে ট্রানশিপমেন্ট পণ্য পরিবহনের অনুমতি দেয়নি ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। ফলে থাইল্যান্ড থেকে সমুদ্রপথে আসা ভুটানের পরীক্ষামূলক ট্রানশিপমেন্ট চালান বন্দরে আটকে রয়েছে।
জানা যায়, থাইল্যান্ডের ব্যাংক গত ৮ সেপ্টেম্বর ভুটানের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আবিত ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে কন্টেইনারে করে ছয় ধরনের পণ্য (ফল, জুস, জেলি, শুকনো ফল, লিচু স্বাদের ক্যান্ডি ও শ্যাম্পু) পাঠায়। ল্যাম চ্যাবাং বন্দর থেকে ছাড়ানো এসব পণ্য ২২ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে এসে পৌঁছায়। প্রথম কন্টেইনারটি সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান এনএম ট্রেডিং করপোরেশন ২৮ নভেম্বর বিকেল ৪টায় বুড়িমারী স্থলবন্দরে নিয়ে আসে।
বড়িমারী স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ থেকে ভারতের সড়কপথ হয়ে ভুটানে পৌঁছানোর জন্য যে অনুমোদন দরকার, চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ তা পায়নি। ফলে ট্রানশিপমেন্ট কন্টেইনারটি বুড়িমারী বন্দরের ইয়ার্ডে গাড়িসহ অবস্থান করছে।
বুড়িমারী সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ও বেনকো লিমিটেডের সত্ত্বাধিকারী ফারুক হোসেন জানান, চট্টগ্রাম থেকে আনা ভুটানের পরীক্ষামূলক ট্রানশিপমেন্ট চালান এখনও বুড়িমারীতেই আছে। ভারত অনুমোদন দেয়নি, তাই পাঠানো সম্ভব হয়নি। অনুমতি পেলে চালানটি ভুটানে পাঠানো হবে।
এ বিষয়ে বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার (এসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ভুটানের চালানের কাস্টমস আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। ভারতীয় কাস্টমস থেকে অনুমতি পেলে পণ্য ভুটানের দিকে পাঠাতে পারব।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ২০২৩ সালের ২২ মার্চ একটি প্রটোকল চুক্তি সই হয়। পরে গত বছরের এপ্রিলে ভুটানে দুই দেশের বাণিজ্য সচিব পর্যায়ে বৈঠক হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ও সড়কপথ এবং ভারতের সড়কপথ ব্যবহার করে ভুটানে পরীক্ষামূলকভাবে দুটি ট্রানশিপমেন্ট চালান পাঠানো হবে। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানো প্রথম কন্টেইনারটি সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান এনএম ট্রেডিং করপোরেশন গত ২৮ নভেম্বর বিকেল ৪টায় বুড়িমারী স্থলবন্দরে নিয়ে আসে। এরপর ২৮ ও ২৯ নভেম্বর বুড়িমারীর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট বেনকো লিমিটেড কয়েকবার চেষ্টা করলেও ভারতের চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে কন্টেইনারটি প্রবেশের অনুমতি পায়নি।
১৬ দিন আগে
লালমনিরহাটে জিমেইল হ্যাক করে টাকা আত্মসাৎ, দুই প্রতারক গ্রেপ্তার
লালমনিরহাটে জিমেইল আইডি হ্যাক করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাতে লালমনিরহাট জেলা ডিবির একটি দল ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার জাঙ্গালপাশা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তাররা হলেন— ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার জাঙ্গালপাশা গ্রামের মো. জোনায়েদ (৪০) এবং দুখাই মাতব্বর (৪৭)।
লালমনিরহাট ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, কালীগঞ্জ উপজেলার শাখাতি গ্রামের মৃত সোনা উল্লাহর ছেলে ব্যবসায়ী মো. জাবেদ আলী গত ৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে হাতীবান্ধা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, জাবেদ আলী পূর্ব সিন্দুর্ণা ইউসিবি ব্যাংকের লোন অ্যাকাউন্ট থেকে নিজের অ্যাকাউন্টে ৩০ লাখ টাকা স্থানান্তর করেন। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই অজ্ঞাত ব্যক্তি তার অনুমতি ছাড়াই পরপর পাঁচটি ট্রানজেকশনের মাধ্যমে ১৭ লাখ ৫৪ হাজার টাকা সিটি ব্যাংকের অন্য এক অ্যাকাউন্টে সরিয়ে নেন।
এ ঘটনায় হাতীবান্ধা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
লালমনিরহাট ডিবির পরিদর্শক সাদ আহম্মেদ জানান, ডিবি পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় প্রতারণার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের শনাক্ত করে শুক্রবার রাতে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার দুইজন আন্ত:জেলা প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে প্রতারণা করে আসছিল। জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন।’
সাদ আহম্মেদ আরও জানান, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
৩৮ দিন আগে
রংপুরে পাথর কুড়ানোয় ক্ষিপ্ত হয়ে দুই শিশুকে নৃশংসভাবে হত্যা, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
রংপুরে পাথর কুড়ানোয় ক্ষিপ্ত হয়ে দুই শিশুকে নৃশংসভাবে হত্যা, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান র্যাব-১৩-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী।
নিহত দুই শিশুর নাম হলো আব্দুর রহমান (৮) ও মারুফ (৬)। অভিযুক্ত আজহারুল গঙ্গাচড়ার সিট পাইকন গ্রামের বাসিন্দা।
র্যাব জানিয়েছে, গত ৫ আগস্ট সকালে প্রতিদিনের মতো গঙ্গাচড়ার ঘাঘট নদীসংলগ্ন এলাকায় বালু উত্তোলন পয়েন্টে পাথর কুড়ানোর উদ্দেশ্যে গিয়েছিল শিশু আব্দুর রহমান ও মারুফ। পাথর কুড়ানোর কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে আজহারুল ইসলাম তার সহযোগীদের নিয়ে নৃশংসভাবে শিশুদুটিকে হত্যা করেন। পরে গুম করার উদ্দেশ্যে বালু উত্তোলন পয়েন্টে বালুর নিচে মরদেহ চাপা দিয়ে রাখেন।
এদিকে, শিশুরা বাসায় সঠিক সময়ে না ফেরায় তাদের অভিভাবকরা খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে বালু উত্তোলন পয়েন্টে মাটি চাপা অবস্থায় তাদের মরদেহ খুঁজে পান। পরবর্তীতে ওই দুই শিশুর বাবা মো. আব্দুর রশিদ ও মো. জাকেরুল ইসলাম বাদী হয়ে রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বিপ্লব কুমার আরও বলেন, ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রাতে তথ্য ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৩ লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম থানার মোহাম্মদপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে আজহারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।
পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আজহারুল ইসলামকে গঙ্গাচড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
৪৫ দিন আগে
রংপুরে বিএনপি নেতার ওপর হামলা, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ
রংপুরের পীরগাছায় রাশেদুল ইসলাম রাশেদ নামে এক বিএনপি নেতাকে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। মারধরের প্রতিবাদে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) রাতে রংপুর-গাইবান্ধা আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেন তার অনুসারীরা।
আজ শনিবার সকালে পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে, এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থেকে অভিযোগ দেওয়া হয়নি।
অবরোধ চলাকালে উপজেলার দেউতি বাজারে পীরগাছা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মোস্তাফিজার রহমান রেজার ওপর হামলা চালানো হয় এবং তার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
জানা গেছে, বিএনপি নেতা রাশেদুল ইসলাম রাশেদের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ মামলা না নেওয়ায় শুক্রবার রাতে রংপুর-গাইবান্ধা আঞ্চলিক মহাসড়কের দেউতি বাজারে সড়ক অবরোধ করেন তার অনুসারীরা। এ সময় তারা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম রাঙ্গা এবং সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল মণ্ডলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এরপর রাতে পীরগাছা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মোস্তাফিজার রহমান রেজা রংপুর শহর থেকে পীরগাছা যাওয়ার পথে দেউতি বাজারে অবরোধের মুখে পড়েন। চেয়ারম্যান রেজা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম রাঙ্গার চাচাতো ভাই হওয়ায় অবরোধকারীরা তার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে স্থানীয় কয়েকজন চেয়ারম্যানের গাড়িকে ঘুরিয়ে অন্য একটি রাস্তায় পাঠালেও উত্তেজিত লোকজন তার গাড়ির পিছু ধাওয়া করেন। একপর্যায়ে প্রাণ বাঁচাতে চেয়ারম্যান রেজা নিরুপায় হয়ে একজনের বাড়িতে ঢুকে আশ্রয় নেন। এ সময় উত্তেজিত লোকজন ওই বাড়িটিতেও ঢোকার চেষ্টা করেন এবং চেয়ারম্যানের গাড়িটি ভাঙচুর করেন।
এদিকে, এ ঘটনার খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ দেউতি বাজারে গিয়ে অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রায় তিন ঘণ্টা পর সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক করে। তবে যেখানে চেয়ারম্যান রেজা অবরুদ্ধ ছিলেন, সেখানে তারা পৌঁছানি। পরে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতায় চেয়ারম্যান রেজাকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত কর হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বর্তমানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে পীরগাছা থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক করেছে। এখনো মোস্তাফিজার রহমান রেজার পক্ষ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতা রাশেদের ওপর হামলার ঘটনায় তারা একটি এজাহার পেয়েছেন এবং মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাতে পীরগাছা উপজেলা পরিষদ হলরুমে সদ্য প্রয়াত রংপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকুর স্মরণসভায় যোগ দিতে এসেছিলেন পারুল ইউনিয়ন বিএনপির নেতা রাশেদুল ইসলাম রাশেদ। এ সময় উপজেলা পরিষদ-সংলগ্ন বটতলায় দুর্বৃত্তরা তার ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল হোসেন মণ্ডলের অনুসারী বলে দাবি করছেন রাশেদের অনুসারীরা।
৫৯ দিন আগে
লালমনিরহাট, কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি লাখো মানুষ
টানা ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে উত্তরের দুই জেলা— লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এর ফলে ওই অঞ্চলের নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে হাজারো ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লাখো মানুষ।
লালমনিরহাটে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে
তিন দিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে লালমনিরহাট জেলার পাঁচ উপজেলার নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সেখানকার বাসিন্দারা পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন, রাত জেগে কাটছে তাদের নির্ঘুম সময়।
রোববার (৫ অক্টোবর) রাতে ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভাটির লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। এতে প্লাবিত হয় শত শত ঘরবাড়ি। আজ সোমবার সকাল ৯টায়ও পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
তীব্র স্রোতের কারণে এখনো পানি দ্রুত গতিতে লোকালয়ের ভেতর প্রবেশ করছে। তবে দুপুর ১২টার পর থেকে পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা।
এদিকে, পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার আদিতমারী, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, পাটগ্রাম ও সদর উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। নিচু এলাকার ঘরবাড়িতে বুকসমান পানি উঠেছে। অনেকে গবাদি পশু ও প্রয়োজনীয় মালামাল নিয়ে স্পার বাঁধ ও উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।
৭১ দিন আগে