বিজ্ঞান-ও-প্রযুক্তি
হোয়াটসঅ্যাপকে ২১৩.১৪ কোটি রুপি জরিমানা ভারতের
২০২১ সালের বিতর্কিত গোপনীয়তা সম্পর্কিত নীতিমালা লঙ্ঘনের দায়ে মেটার মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপকে ২১৩.১৪ কোটি রুপি জরিমানা করেছে ভারতের প্রতিযোগিতা কমিশন (সিসিআই)।
প্রযুক্তি সাইট টেকক্রাঞ্চের প্রতিবেদনে সোমবার এ খবর প্রকাশিত হয়েছে।
একইসঙ্গে পাঁচ বছরের জন্য মেসেজিং অ্যাপটিকে বিজ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে অন্যান্য মেটা ইউনিটের সঙ্গে ব্যবহারকারীদের ডেটা শেয়ার করা বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২০২১ সালে অভিযোগ ওঠার পর ওই বছরই এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করে সিসিআই।
আরও পড়ুন: আইফোন চুরি প্রতিরোধে অ্যাপলের গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা
অনুন্ধানে দেখা গেছে, ‘টেক ইট অর লিভ ইট’ গোপনীয়তা আপডেটে ব্যবহারকারীদের অস্বীকৃতি জানানোর কোনো সুযোগ না রেখেই ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করতে এই নীতি গ্রহণ করতে তাদের বাধ্য করে হোয়াটসঅ্যাপ।
হোয়াটসঅ্যাপের সংগৃহীত ব্যবহারকারীদের ডেটা মেটার অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার ফলে প্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্য বাধা তৈরি হয়েছে।
ভারতে মেটার মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপের মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪৫ কোটিরও বেশি।
১ দিন আগে
চাঁদের দূরবর্তী অংশের অজানা তথ্য দিলেন বিজ্ঞানীরা
নতুন একটি গবেষণা থেকে জানা গেছে, কোটি কোটি বছর আগে চাঁদের রহস্যময় দূরবর্তী অংশেও আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত হয়েছিল।
চীনের চ্যাং’ই-৬ প্রথম মহাকাশযান চাঁদের দূরবর্তী দিক থেকে পাথর ও ধুলা নিয়ে ফেরার পর তা বিশ্লেষণ করে গবেষকরা এ দাবি করেছেন। শুক্রবার নেচার অ্যান্ড সায়েন্স জার্নালে এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে।
পাথরগুলোর মধ্যে প্রায় ২৮০ কোটি বছরের পুরনো আগ্নেয়গিরির শিলার টুকরা খুঁজে পেয়েছে দুটি পৃথক গবেষক দল। সেগুলোর মধ্যে এমন একটি শিলার টুকরা পাওয়া গেছে যা ৪২০ কোটি বছর আগের।
অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রহ আগ্নেয়গিরি বিষয়ের বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টোফার হ্যামিল্টন বলেছেন, ‘(চাঁদের) ওই অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করা নমুনা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি এমন একটি অঞ্চল যেখানকার বিষয়ে আমাদের কাছে তেমন কোনো তথ্য নেই।’
আরও পড়ুন: ইসরো চন্দ্রযান-৩: ভারতের চন্দ্র বিজয়ে নারী বিজ্ঞানীদের সাফল্য
পৃথিবী থেকে চাঁদের যে অংশ দেখা যায়, অর্থাৎ নিকটবর্তী অংশে যে একসময় সক্রিয় আগ্নেয়গিরি ছিল, বিজ্ঞানীরা সে বিষয়ে আগেই জেনেছেন। ফলে একটি ধারণা সবসময়ই ছিল যে, দূরবর্তী অংশেও এমন আগ্নেয়গিরি থাকার সম্ভাবনা প্রবল। আর সাম্প্রতিক গবেষণা এ ধারণাকেই সত্যতা দিয়েছে।
চাইনিজ একাডেমি অব সায়েন্সেসের গবেষক কিউ-লি লি বলেন, নতুন অনুসন্ধানে চাঁদের দূরবর্তী অংশে ১০০ কোটি বছরেরও বেশি সময় ধরে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের তথ্য পাওয়া গেছে। এই প্রক্রিয়া কীভাবে এত দিন স্থায়ী হয়েছিল তা ভবিষ্যতের গবেষণায় জানা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
৫ দিন আগে
আইফোন চুরি প্রতিরোধে অ্যাপলের গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা
দৈনন্দিন জীবনে সবচেয়ে ব্যবহৃত বস্তুটি হওয়ায় ক্রমশ মূল্যবান হয়ে উঠছে স্মার্টফোনগুলো। বিশেষ করে পুনঃবিক্রয় মূল্য এবং জনপ্রিয়তার কারণে রীতিমতো সম্পদতুল্য বস্তু আইফোনগুলো। তাই ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এই ফোনগুলো চুরি হওয়ার পরিমাণ। এই সমস্যার নিরসনে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের রয়েছে অত্যাধুনিক সুরক্ষা ব্যবস্থা। এই প্রতিরক্ষামূলক ফিচারগুলো চুরি করা ডিভাইস ব্যবহার বা বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেয়। ফলশ্রুতিতে, ব্যবহারকারীর ডেটাগুলোর চূড়ান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। চলুন, আইফোন চুরি প্রতিরোধে অ্যাপলের কয়েকটি কার্যকরী ফিচার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আইফোন চুরি প্রতিরোধে কয়েকটি কার্যকরী নিরাপত্তা ফিচার
.
অ্যাক্টিভেশন লক
ইন্টারনেটের মাধ্যমে অ্যাপলের তথ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা বা ক্লাউড সার্ভিসটি আইক্লাউড নামে পরিচিত। এখানে আইফোনকে একটি অনন্য অ্যাপল আইডির সঙ্গে লিংক করা হয়। যখন ডিভাইসে থাকা ফাইন্ড মাই আইফোন ফিচারকে সক্রিয় করা হয়, তখন তার সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে যায় অ্যাক্টিভেশন লক। এর ফলে চুরির পর ডিভাইসটি পুরো ফর্মেট দেয়া বা রিসেট করা হলেও, আসল মালিকের অ্যাপল আইডি ও পাসওয়ার্ড ছাড়া ফোন খোলা যাবে না। সঙ্গত কারণেই কল করা বা এসএমএস পাঠানোসহ বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহারের মতো কাজগুলো করা সম্ভব হবে না। এতে করে বিক্রয়ের জন্য একের পর এক হাত বদল হলেও প্রান্তিক গ্রাহক পর্যায়ে ফোনটি আর বিক্রয় উপযোগী থাকে না।
ফেস ও টাচ আইডি
মুখের ছবি ও আঙ্গুলের ছাপ আইফোন আনলক করার সবচেয়ে নিরাপদ উপায়গুলোর শীর্ষে রয়েছে। এখান ফেস আইডি মূলত উন্নত ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করার মাধ্যমে প্রত্যেক ব্যবহারকারীর জন্য একটি অনন্য শারীরিক বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণ করে। বিষয়টি টাচ আইডির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, যেখানে আঙ্গুলের ছাপও প্রতিটি মানুষের জন্য ভিন্ন ভিন্ন হয়। তাই কোনোভাবে পিন কোড বা পাসওয়ার্ড যোগাড় করা সম্ভব হলেও এই বায়োমেট্রিক তথ্যগুলোর অভাবে ফোনটি আনলক করা দুষ্কর হয়ে পড়ে।
টপ লোড বনাম ফ্রন্ট লোড ওয়াশিং মেশিন: জেনে নিন সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ
ফাইন্ড মাই নেটওয়ার্ক
অ্যাপলের এই উদ্ভাবনী ব্যবস্থাটি হারিয়ে যাওয়া বা চুরি হওয়া আইফোন খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট কার্যকর। এমনকি অফলাইনে থাকলেও এই ট্র্যাকিং সিস্টেমটি চালু থাকে। অবশ্য এখানে ব্লুটুথ অন থাকার প্রয়োজন হয়। ফাইন্ড মাই নেটওয়ার্ক প্রধানত কাছাকাছি থাকা অ্যাপল ডিভাইসের ব্লুটুথ সংকেত ব্যবহার করে হারিয়ে যাওয়া আইফোনের অবস্থান চিহ্নিত করে। এই বেনামী ও এন্ক্রিপ্ট করা সংকেতগুলো চোরের অলক্ষ্যেই ফোনের অবস্থানটি আসল মালিককে জানিয়ে দিতে পারে।
দূর থেকে ডেটা মুছে ফেলা
এখানে আগে থেকে আইফোনে ফাইন্ড মাই আইফোন অ্যাপটি চালু বা আইক্লাউডের সঙ্গে ফোনকে লিংক করে রাখতে হয়। এতে করে পরবর্তীতে চুরি হলে ব্যবহারকারীরা দূর থেকেই ডিভাইসে থাকা যাবতীয় সংবেদনশীল তথ্য মুছে ফেলতে পারে। ফলে কোনোভাবে ফোনের নিরাপত্তা বূহ্য ভাঙা সম্ভব হলেও ফোনের আসল মালিকের গোপনীয়তাগুলো প্রকাশিত হয় না। ফোনের ডেটা নিয়মতি আইক্লাউডে ব্যাকআপ রাখা হলে, ডিভাইস পুনরুদ্ধারের পর সেই মুছে ফেলা তথ্যগুলোও ফিরে পাওয়া যেতে পারে।
টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন (টুএফএ)
পিন কোড বা পাসওয়ার্ডের ওপর নিরাপত্তার অতিরিক্ত স্তর যোগ করে এই টুএফএ সিস্টেম। এই পদ্ধতিতে অ্যাপল আইডিতে সফলভাবে সাইন ইন করার জন্য ডিভাইসে নিবন্ধিত ফোন নম্বরে একটি ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হয়। ফলে অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড জেনে যাওয়ার পরেও যাচাইকরণ কোড ছাড়া অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা সম্ভব হয় না। এই পদ্ধতিটি আইক্লাউড ও আইটিউন্সসহ অন্যান্য অ্যাপল পরিষেবাগুলোকে অননুমোদিত লগইন থেকে বিরত রাখে।
মোবাইল ফোন বিস্ফোরণ: কারণ ও বাঁচার উপায়
সিকিউর ইন্ক্লেভ
বর্তমানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিকশিত হওয়ার পাশাপাশি তথ্যচুরির মতো সাইবার অপরাধগুলোতেও ব্যবহৃত হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। ফলে প্রায় ক্ষেত্রে পেশাদার হ্যাকারদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারকারীরা। এই পেশাদার চৌর্যবৃত্তি থেকে সাধারণ আইফোন ব্যবহারকারীকে নিরাপত্তা দিতেই ডিজাইন করা হয়েছে সিকিউর ইন্ক্লেভের। এটি অনেকটা ব্যক্তিগত লকারের মতো কাজ করে, যেখানে সংরক্ষিত থাকে ফেস আইডি, টাচ আইডি এবং অ্যাপল পে-এর মতো বায়োমেট্রিক তথ্যাদি। প্রত্যেকটি গোপনীয় তথ্য এখানে এমনভাবে এন্ক্রিপ্ট করা থাকে যে আপাত অবস্থায় এগুলোকে কোনো পাসকোড বলে মনে হয় না। ফলে হ্যাকিংয়ের জন্য এগুলো খুঁজে বের করাটাই যথেষ্ট কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। অবশ্য এই প্রচেষ্টাটি একেবারে ব্যর্থ হয় না; তবে তাতে অনেক বেশি সময় লাগে। আর এই সময়টি অ্যাপলের ট্র্যাকিং সিস্টেম কাজে লাগিয়ে ফোনের অবস্থান শনাক্ত করার জন্য যথেষ্ট।
পরিশিষ্ট
আইফোন চুরি প্রতিরোধে এই নিরাপত্তা ফিচারগুলো সামগ্রিকভাবে ডিভাইসের সুরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তোলে। অ্যাক্টিভেশন লক, টুএফএ, এবং ফেস ও টাচ আইডি আইফোনকে অননুমোদিত অ্যাক্সেস থেকে রক্ষা করে। অপরদিকে ফাইন্ড মাই নেটওয়ার্ক ও রিমোট ডেটা ইরেজ ফোন চুরির পরেও ডেটা পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে। এগুলোর মধ্যে প্রায় সবগুলো ফিচারই আইফোন এক্স ও এর পরবর্তী মডেলগুলোতে পাওয়া যায়। তবে টাচ আইডি আইফোন ৬ থেকে ৮ এবং আইফোন এসই-এর ২য় প্রজন্ম ও তার পরবর্তী মডেলগুলোতে রয়েছে। উপরন্তু, সিকিউর এন্ক্লেভ ফিচারটি রয়েছে আইফোন ৫এসসহ তার পরবর্তী ভার্সনগুলোতে।
রয়্যাল এনফিল্ড ৩৫০ সিসির নতুন চারটি মোটরবাইক মডেলের আকর্ষণীয় সব ফিচার
৪ সপ্তাহ আগে
রয়্যাল এনফিল্ড ৩৫০ সিসির নতুন চারটি মোটরবাইক মডেলের আকর্ষণীয় সব ফিচার
নিত্য নতুন ফিচার এবং প্রযুক্তির সংযোজনে দেশের মোটরবাইকগুলো আরও উন্নত হচ্ছে; সেই সঙ্গে রাইডারদের অভিজ্ঞতাতেও আসছে বৈচিত্র্য। যন্ত্রকৌশলে এমন বৈপ্লবিক পরিবর্তন বিকশিত করছে দেশের সমগ্র অটোমোবাইল শিল্পকে। এই পরিবর্তনের প্রথম সারির অগ্রপথিক হচ্ছে নবাগত রয়্যাল এনফিল্ড। এর ৩৫০ সিসির চারটি ভিন্ন মডেলে সন্নিবেশ ঘটানো হয়েছে ঐতিহ্য ও আধুনিকতার। ক্লাসিক, বুলেট, হান্টার ও মিটিওর শিরোনামের মোটরযানগুলোকে দেশের রাস্তায় দেখার জন্য রীতিমতো মুখিয়ে আছেন বাইকপ্রেমীরা। চলুন, এই আইকনিক মডেলগুলোর প্রধান ফিচারগুলো সম্বন্ধে জেনে নেওয়া যাক।
রয়্যাল এনফিল্ড ক্লাসিক ৩৫০
আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে এনফিল্ড নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের ঐতিহ্যকে ধরে রাখার কারণেই মূলত এর জন্য ক্লাসিক নামটি বাছাই করা হয়েছে।
এর বিশেষ বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে ক্র্যাঙ্ক আর্মের ৬ হাজার ১০০ আরপিএম (রিভোলিউশ্যন পার মিনিট) ঘূর্ণন ক্ষমতা।
অপরদিকে,গতি নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা ২০ দশমিক ২ বিএইচপির (ব্রেক হর্সপাওয়ার)। এটি ৪ হাজার আরপিএমের প্রতি ফুট দূরত্বে সরবরাহ করবে ১৯ পাউন্ড টর্ক।
যানের বডিকে ঠান্ডা রাখার জন্য রয়েছে শীতলীকরণ প্রক্রিয়া সমৃদ্ধ একক সিলিন্ডার।
সজ্জাগত দিক থেকে সর্বাঙ্গে থাকা স্টিলের ফ্রেমটি কেবল নান্দনিকই নয়; যথেষ্ট উপকারীও বটে। কারণ এতে চালক ও যাত্রী দুজনের উচ্চতা ও বসার অবস্থানের সঙ্গে হ্যান্ডেলবার ও হ্যান্ড গ্রিপগুলোকে সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখে।
সামনের সাস্পেনশনে রয়েছে ৪১ মিলিমিটার টেলিস্কোপিক ফর্ক। আর পেছন থেকে একে সাপোর্ট দেয় টুইন সাইড সুইং আর্ম। সামনে ও পেছনে উভয় দিকেই আছে হাইড্রোলিক ডিস্ক ব্রেক, যেটি এবিএস (অ্যান্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম)-এর কাজ করবে।
যাবতীয় যান্ত্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে শক্তিশালী ৩৪৯ সিসির ইঞ্জিন।
রয়্যাল এনফিল্ড-৩৫০: বাংলাদেশের প্রথম ৩৫০ সিসি মোটরবাইক
রয়্যাল এনফিল্ড বুলেট ৩৫০
ইঞ্জিন ও ক্র্যাঙ্ক শিফটিং-এ বুলেট ক্লাসিকের মতোই। তবে পার্থক্য হচ্ছে গতি সামলানোর জন্য ক্র্যাঙ্কটি ৪ হাজার আরপিএম-এর প্রতি ফিট দূরত্বে ১৯ দশমিক ৯ পাউন্ড টর্ক পাবে।
১৩ লিটারের জ্বালানি ট্যাঙ্ক পুরোটা একবার ভরে নিলেই মাইলেজ পাওয়া যাবে ৩০০-এরও বেশি।
বুলেটের নকশার বিশাল অংশ জুড়ে রয়েছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনফিল্ডের ঐতিহাসিক ডিজাইন শৈলী। পুরো ভিন দেশি এই নকশাই মডেলের মূল আকর্ষণ। অবশ্য ইউএসবি চার্জিং পোর্টটিও আলাদাভাবে দৃষ্টি কাড়ে।
সিট সেট-আপ ডুয়্যাল এবং মোটা-প্যাডের হওয়ায় তা ৮০৫ মিলিমিটার উচ্চতায় চালক ও যাত্রীর বসার জায়গাকে আরামদায়ক করে তোলে।
রয়্যাল এনফিল্ড হান্টার ৩৫০
চার মডেলের মধ্যে প্রযুক্তিগত দিক থেকে সব থেকে এগিয়ে হান্টার। অন্য দুটোর মধ্যে এখানেও একক সিলিন্ডার আর ইঞ্জিন ৩৪৯ সিসির। গতির ক্ষেত্রে ৬ হাজার ১০০ আরপিএমের সঙ্গে ব্রেকিং ক্ষমতা ১৪ দশমিক ৮৭ কিলোওয়াট বা ১৯.৯ এইচপি (১ কিলোওয়াট = ১ দশমিক ৩ হর্সপাওয়ার)। হর্সপাওয়ারের হিসেবে এটি ক্লাসিক ও বুলেট থেকে কিছুটা কম। অবশ্য ৪ হাজার আরপিএমে সরবরাহ করা টর্ক ২৭ এনএম (নিউটন-মিটার)। প্রতি ফুট দূরত্বে পাউন্ডের হিসেবে এটি প্রায় ১৯.৯ পাউন্ড (১ পাউন্ড টর্ক = ১ দশমিক ৪ এনএম) অর্থাৎ বুলেটের টর্কের সমান।
অন্যগুলোর মতো এর বডিতেও স্টিলের ফ্রেম এবং সামনের সাস্পেনশনে টেলিস্কোপিক ফর্ক ও পেছনেরটিতে টুইন সাইড সুইং আর্ম। একই সঙ্গে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে সামনে ও পেছনের এবিস সমৃদ্ধ হাইড্রোলিক ডিস্ক ব্রেক।
হান্টারের ওজন সর্বোচ্চ ১৮১ কেজি এবং বসার জায়গাটির উচ্চতা ৭৯০ মিলিমিটার। অ্যালুমিনিয়ামের চাকাগুলোতে লাগানো টায়ারগুলো টিউবলেস। এ সবকিছুর মধ্যে ডিজিটাল পাওয়ার আউটলেটটি আলাদাভাবে নজর কাড়ে।
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমানোর ১০টি উপায়
রয়্যাল এনফিল্ড মিটিওর ৩৫০
ওজন, সিলিন্ডার ও ক্র্যাঙ্ক ঘূর্ণনের গতির ক্ষেত্রে মিটিওর অনুসরণ করেছে ক্লাসিক মডেলকে। আর গতি নিয়ন্ত্রণের টর্কের সাদৃশ্য রয়েছে হান্টারের সঙ্গে।
তবে যে বিষয়টি অন্যান্যগুলো থেকে একে আলাদা করেছে, তা হচ্ছে এর আরামদায়ক রাইডিং অভিজ্ঞতা। ইঞ্জিন ও গিয়ারের বোঝাপোড়াটা এতোটাই সঙ্গতিপূর্ণ যে,গতি ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে গেলেও চালক কম্পন অনুভব করবে না।
গ্রাউন্ড থেকে বসার অবস্থানের ডুয়্যাল সিট পর্যন্ত উচ্চতা ৭৬৪ দশমিক ৫ মিলিমিটার। বাকি বডি থেকে শুরু করে সাস্পেনশন ও হুইল আর্মার এবং ডিজিটাল যন্ত্রাংশ সব অন্য ৩ মডেলের মতোই।
মোটর বাইক রাইডারদের নিরাপত্তার জন্য সেফটি গিয়ার
শেষাংশ
বিভিন্ন ধরনের বাইক রাইডারদের পছন্দগুলোর এক অভাবনীয় সন্নিবেশ ঘটেছে রয়্যাল এনফিল্ড ৩৫০ সিসির চারটি মডেলে। তন্মধ্যে ‘ক্লাসিক’ শক্তিশালী যান্ত্রিক সজ্জার সঙ্গে দিচ্ছে পুরোনো ধাঁচের বৈশিষ্ট্য ফিরে পাওয়ার নস্টালজিয়া। ‘বুলেট’ তার অভূতপূর্ব ডিজাইন দিয়ে ইতোমধ্যেই দৃষ্টি কেড়েছে স্টাইল সচেতন ব্যক্তিদের। ঢাকার মতো জনাকীর্ণ শহরের জন্য একচেটিয়া অবস্থানে রয়েছে হাল্কা ওজনের প্রযুক্তি-বান্ধব ‘হান্টার’। ‘মিটিওর’-এর আরামদায়ক ও নিরাপদ দীর্ঘ ভ্রমণের ফিচারগুলো অনায়াসেই যেকোনো বাইকপ্রেমীর মন জয় করে নিতে সক্ষম।
উপরন্তু, ক্লাসিক, বুলেট, হান্টার বা মিটিওর; পছন্দ যেটাই হোক না কেন, তা দেশের রাস্তায় বাইক রাইডিং অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করবে।
সেকেন্ডহ্যান্ড মোটরসাইকেল কেনার আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি
৪ সপ্তাহ আগে
টপ লোড বনাম ফ্রন্ট লোড ওয়াশিং মেশিন: জেনে নিন সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ
প্রতিদিনের লন্ড্রির কাজে সময় ও শ্রম উভয়ই বাঁচাতে একটি অপরিহার্য গৃহস্থালি যন্ত্র ওয়াশিং মেশিন। কাজ ও গঠনের ভিত্তিতে মেশিনগুলো বিভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে। তাছাড়া নানা ধরণের পরিস্থিতিতেও এগুলোর উপযোগিতায় তারতম্য ঘটে। বর্তমান সময়ে বাসা-বাড়িতে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় টপ লোড ও ফ্রন্ট লোড ওয়াশিং মেশিন। বৈশিষ্ট্যগত ভিন্নতার কারণে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে দুটোরই রয়েছে কিছু সুবিধা-অসুবিধা। সেগুলো যাচাই করে চলুন দেখে নেই- সঠিক ওয়াশিং মেশিন নির্বাচনে কোন বিষয়গুলোতে গুরুত্বারোপ করা জরুরি।
টপ লোড বনাম ফ্রন্ট লোড ওয়াশার
টপ লোড মেশিনে কাপড় রাখার জন্য বৃত্তাকার ড্রামের ঢাকনা ওপর থেকে খোলা যায়। ড্রামের ভেতর কাপড় পরিষ্কার করার কাজটি করে কেন্দ্রে থাকা ফিনযুক্ত অ্যাজিটেটর নামের অংশটি। কিছু মেশিনে অ্যাজিজেটরের বদলে থাকে ইম্পেলার নামের একটি ফ্ল্যাট ডিস্ক।
অপরদিকে ফ্রন্ট লোডে কাপড় প্রবেশ করানোর জন্য ড্রামের দরজাটি সামনে থেকে খোলা হয়। এখানে পুরো ড্রামটি ঘূর্ণনের মাধ্যমে কাপড়গুলো পরিষ্কারে সাহায্য করে। এতে তুলনামূলক কম পানি ব্যবহার হয় কারণ এখানে শুধুমাত্র ড্রামের নীচের অংশ পানিতে পূর্ণ হয়। ধোয়ার পরে নোংরা
পানি একটি পাম্পের মাধ্যমে বের করে দেয়। অধিকাংশ টপ লোড-এ গরম পানি ব্যবহারের জন্য হিটার থাকে।
আরো পড়ুন: ডিপ ফ্রিজ খুঁজছেন? যেসব বিষয় জানা প্রয়োজন
টপ লোড ওয়াশিং মেশিনের সুবিধা-অসুবিধা
.
সুবিধা
ফাস্ট ওয়াশিং সাইকেল: টপ লোডিং ওয়াশিং মেশিনে খুব দ্রুত সময়ে কাপড় ধোয়ার কাজ সম্পন্ন হয়।
সাশ্রয়ী মূল্য: যারা কম দামে একটি কাপড় ধোয়ার মেশিন নিতে চাচ্ছেন, তাদের জন্য এই মেশিনগুলো উপযুক্ত। শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ফিচারগুলো থাকার কারণে এগুলোর দাম যথেষ্ট কম হয়ে থাকে।
দুর্গন্ধ নেই: টপ লোডের পানি নিষ্কাশন প্রক্রিয়াটি বেশ ভাল। এর ফলে ড্রামের ভিতরে ফাঙ্গাস বা অন্যান্য ময়লা জমে না। তাই দীর্ঘ দিন ব্যবহারে এ থেকে দুর্গন্ধের আশঙ্কা থাকে না।
ঘন ঘন বাসা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সহায়ক: যাদের ঘন ঘন বাসা পরিবর্তনের সম্ভাবনা থাকে, এই মেশিন তাদের জন্য। এগুলোর সংযোগ স্থাপন ও বিচ্ছিন্ন করা সহজ এবং ওজনে হাল্কা হওয়ায় পরিবহনেও কোনো বিড়ম্বনা হয় না। এই কারণে টপ লোডার কম বিদ্যুৎ ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এলাকায় বসবাসের জন্যও সহায়ক।
আরো পড়ুন: ডিএসএলআর ক্যামেরা খুঁজছেন? কেনার আগে জেনে নিন ফিচার ও দাম
অসুবিধা
পানি এবং বিদ্যুৎ খরচ বেশি হয়: টপ লোড ওয়াশিং মেশিনের কাপড় ধোয়ার জন্য বেশি পানি এবং বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয়। এটি সময়ের সঙ্গে ইউটিলিটি বিলের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
কাপড় নষ্ট হয়: ফিনযুক্ত অ্যাজিটেটরের কারণে অধিকাংশ ক্ষেত্রে কাপড়ে (বিশেষ করে সিল্ক বা লেসের মতো সূক্ষ্ম কাপড়গুলোর ক্ষেত্রে) ছিদ্র সৃষ্টি হয়। এছাড়া কাপড়ের গুনগত মানও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
ভাইব্রেশন ও শব্দ হয়: ঘোরার সময় টপ লোডারগুলোতে প্রচণ্ড কম্পন সৃষ্টি হয়। অনেক সময় ড্রামে জমাকৃত কাপড়ের ওজন যদি কমবেশি হয়, তখন এই কম্পন অতিরিক্ত শব্দের সৃষ্টি করে। বিশেষ করে সংকীর্ণ জায়গায় যেখানে একাধিক গৃহস্থালি যন্ত্রপাতি কাছাকাছি থাকে এমন পরিবেশে এই ঝামেলা হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
আরো পড়ুন: হ্যাকিং প্রতিরোধ: অনলাইন কেনাকাটায় ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে সাবধানতা
ফ্রন্ট লোড ওয়াশিং মেশিনের সুবিধা-অসুবিধা
সুবিধা
সীমিত পানি এবং বিদ্যুৎ খরচ: টপ লোডারের তুলনায় ফ্রন্ট লোডার কাপড় ধোয়ার জন্য কম পানি এবং বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। ফলে ইউটিলিটি বিলের ওপর খুব একটা চাপ পড়ে না।
কাপড় নষ্ট হয় না: পুরো ড্রামের ঘূর্ণনের ফলে ভেতরে থাকা কাপড়গুলোতে যে আন্দোলন হয় তাতে সেগুলোর তেমন ক্ষতি হয় না। তাই কোনো রকম ছিদ্র বা গুনগত মানের অবনতি ঘটার আশঙ্কা নেই। তবে এর জন্য সঠিক সেটিংসে মেশিন অপারেট করা প্রয়োজন। ভুল সাইকেল বা তাপমাত্রা সেট করা হলে কাপড় সঙ্কুচিত বা বিবর্ণ হয়ে যেতে পারে। তাই কেনার পরে প্রথম চালানোর সময় একটু সময় নিয়ে হলেও সেটিংসগুলো ভালভাবে জেনে নেওয়া উচিত।
ভাল পরিষ্কার হয়: টপলোডারের তুলনায় এই মেশিনে কাপড় ভালভাবে পরিস্কার হয়। শক্ত বা কালো দাগ মুছে ফেলার ক্ষেত্রে এগুলোর কার্যকারিতা বেশি।
উন্নত প্রযুক্তির ফিচার: ফ্রন্ট লোড ওয়াশারগুলোতে প্রায় ক্ষেত্রে উন্নত বৈশিষ্ট্যগুলো যোগ করতে দেখা যায়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ফোনের মাধ্যমে মেশিন নিয়ন্ত্রণ, বিভিন্ন ধরণের কাপড়ের জন্য কাস্টম ওয়াশ সেটিংস এবং শব্দহীন অপারেশনের জন্য ইনভার্টার মোটর।
হিটার এবং ঘূর্ণন নিয়ন্ত্রণের সুবিধা: বেশিরভাগ ফ্রন্ট লোডারে বিল্ট-ইন হিটার থাকে। শক্ত দাগ দূর করার ক্ষেত্রে হিটার যথেষ্ট কার্যকর। এছাড়া ড্রামের ঘূর্ণন গতি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাটি কাপড় শুকানোর জন্য সাহায্য করে। দীর্ঘক্ষণ যাবৎ একই গতিতে চালালে অনেক সময় সূক্ষ্ম যন্ত্রাংশগুলোর ক্ষতি হতে পারে। গতি নিয়ন্ত্রণ সুবিধাটি এই ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে পারে।
কম জায়গা নেয়: এই মেশিন স্থাপনের জন্য খুব বেশি জায়গার প্রয়োজন হয় না। তাই ছোট বাসার জন্য ফ্রন্ট লোডার বেশ উপযোগী।
চাইল্ড সেফটি ফিচার: ফ্রন্ট লোড ওয়াশিং মেশিনের বিল্ট-ইন চাইল্ড লক খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সুবিধা। এই নিরাপত্তা ব্যবস্থার মাধ্যমে মেশিন চালু থাকা অবস্থায় বাচ্চারা দুর্ঘটনাক্রমে মেশিনের দরজা খুলে ফেলতে পারে না।
আরো পড়ুন: স্মার্টফোনে ভূমিকম্প সতর্কতা চালু করবেন যেভাবে
অসুবিধা
খরচ বেশি: মেশিনের দক্ষতা বাড়ানো জন্য বিভিন্ন ধরণের ফিচার যুক্ত থাকায় স্বাভাবিকভাবেই এগুলোর দাম বেশি হয়ে থাকে।
পরিষ্কারে সময় বেশি নেয়: ফ্রন্ট লোডারে লন্ড্রির কাজ শেষ হওয়ার জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়।
ফাঙ্গাস জমতে পারে: রাবারের দরজার সিলে আর্দ্রতাজনিত কারণে প্রায়ই এই মেশিনগুলোতে ফাঙ্গাস জমে। তাই ব্যবহারের পর কিছু সময় দরজাটি খোলা রাখতে হয়। এছাড়া দীর্ঘ মেয়াদে কোনো দুর্গন্ধ ছাড়া ফ্রন্ট লোড ব্যবহার করতে হলে এটি নিয়মিত পরিষ্কার করা প্রয়োজন।
বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ঝামেলা: বিদ্যুৎ বিভ্রাট বা মেশিন চালু থাকার সময় মাঝে বন্ধ করার প্রয়োজন হলে, তা যথেষ্ট বিড়ম্বনার সৃষ্টি করে। বিশেষ করে ডিটারজেন্ট যোগ করতে ভুলে গেলে বা কোনো কারণে ভেতর থেকে কোনো কাপড় বের করতে হলে।
অতিরিক্ত ডিটারজেন্ট বেরিয়ে আসতে পারে: ভুলবশত খুব বেশি ডিটারজেন্ট যোগ করে ফেললে মেশিন চলার সময় তা দরজা গলে বাইরে বেরিয়ে আসতে পারে।
আরো পড়ুন: নারীর নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত সুরক্ষায় মোবাইল অ্যাপ
টপ বা ফ্রন্ট লোড ওয়াশিং মেশিন কেনার সময় কোন কোন বিষয়গুলো দেখা জরুরি
.
দিনে লন্ড্রি ব্যবহারের পরিমাণ
একটি যৌথ পরিবার থাকে সারা দিনে দুইয়ের অধিকবার কাপড় ধোয়ার প্রয়োজন পড়ে। প্রতিবারে বেশি সংখ্যক লোড ধারণের জন্য এ ক্ষেত্রে উপযুক্ত হতে পারে টপ লোডার মেশিন। অপরদিকে, নিয়মিত স্বল্প সংখ্যক কাপড় পরিষ্কারের জন্য ফ্রন্ট লোডারই যথেষ্ট।
ঘরের জায়গা এবং প্লাম্বিং সেটআপ
এ ধরণের মেশিনের জন্য বাসায় জায়গা সঙ্কুলান হওয়াটা একটু গুরুত্বপূর্ণ ব্যপার। বিশেষ করে স্থাপনের ক্ষেত্রে আগে থেকেই প্লাম্বিং-এর সেটআপ ঠিক করে রাখা দরকার হয়। ফ্রন্ট লোড ওয়াশার ছোট বাসাতে অনায়াসেই স্থাপন করা যায়। তবে ড্রেন পাইপটি মেঝে বরাবর সেট করা নিয়ে ঝামেলা হতে পারে। কম জায়গা লাগলেও দরজা সম্পূর্ণরূপে খোলার জন্য সামনে যথেষ্ট জায়গা রাখতে হবে।
কাপড়ের ওপর কেমন প্রভাব ফেলবে
শুধুমাত্র ধোয়া বা পরিষ্কার করাটাই মূখ্য বিষয় নয়। পরিষ্কার কাপড়টি কতটুকু ভালো থাকছে এবং তা পরবর্তীতে কতদিন পর্যন্ত পরিধান করা যাবে, সেটাও বিবেচনায় আনা আবশ্যক। তাই কোন ধরণের কাপড় বেশি পড়া হয় সেদিকে খেয়াল রেখে ওয়াশিং মেশিন কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
বাজেট এবং রক্ষণাবেক্ষণ
শুধুমাত্র ক্রয়মূল্যই নয়, কেনার পরে মেশিনের রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ খরচ এবং ইউটিলিটি বিলকেও বিবেচনায় আনা জরুরি। টপ লোডারগুলো শুরুতে বাজেট-বান্ধব হলেও দীর্ঘমেয়াদে অর্থ সাশ্রয় করে ফ্রন্ট লোডারগুলো। উপরন্তু, ফ্রন্ট লোডের মেশিনে ফাঙ্গাস বা দুর্গন্ধ রোধ করতে নিয়মিত পরিষ্কারের জটিলতা রয়েছে।
ঘন ঘন বাসা পরিবর্তন করা হয় কিনা
বাসা পরিবর্তন মানেই গৃহস্থালি যন্ত্রপাতির পুনঃস্থাপন এবং পরিবহন ঝামেলা পোহানো। এ ক্ষেত্রে সহজে স্থানান্তরযোগ্য হাল্কা টপ লোডারগুলো উত্তম। অপরদিকে, যারা নিজেদের অ্যাপার্টমেন্টে থাকেন তাদের জন্য ফ্রন্ট লোড ওয়াশার-ড্রায়ার কম্বোতে বিনিয়োগ করাটাই শ্রেয়।
আরো পড়ুন: অ্যাপলের আইফোন ১৬ সিরিজ উদ্বোধন: নতুন ফিচার ও মূল্য তালিকা
শেষাংশ
সর্বসাকূলে, কাপড় দ্রুত পরিষ্কারের ক্ষেত্রে এবং ভাড়াটে ব্যবহারকারীদের জন্য উপযুক্ত হবে সাশ্রয়ী টপ লোড ওয়াশিং মেশিন নেওয়া। অপরদিকে কাপড়ের যত্ন, স্বল্প জায়গা এবং পানি ও বিদ্যুৎ খরচের বিচারে এগিয়ে থাকবে ফ্রন্ট লোড ওয়াশিং মেশিনগুলো। এছাড়া প্রযুক্তি-বান্ধব উন্নত বৈশিষ্ট্যগুলো পেতে হলে ফ্রন্ট লোডের বিকল্প নেই। উপরুন্তু, কেনার পরে রক্ষণাবেক্ষণের খরচের সাথে দিনে কতটুকু লন্ড্রি ব্যবহার করা হচ্ছে সেই বিষয়টিও সম্পৃক্ত। সব মিলিয়ে, ওয়াশিং মেশিনটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া পরিবারের সুনির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তাকে মূল্যায়ন করা উচিত।
আরো পড়ুন: মোবাইল ফোন বিস্ফোরণ: কারণ ও বাঁচার উপায়
১ মাস আগে
পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেলেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিজ্ঞানী জিওফ্রে হিন্টন ও জন হপফিল্ড
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে মানব জ্ঞান এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের সীমানাকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেলেন ড. জিওফ্রে হিন্টন ও ড. জন হপফিল্ড।
মেশিন লার্নিংয়ের বিকাশে তাদের অবদানের জন্য এই সম্মাননা।
পদার্থবিজ্ঞান এবং কম্পিউটেশনাল স্নায়ুবিজ্ঞানের সুপরিচিত নাম এআইয়ের গডফাদারখ্যাত ড. হিন্টন এবং ড. হপফিল্ড মানব মস্তিষ্ক দ্বারা অনুপ্রাণিত জটিল গণনামূলক সিস্টেম কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্ক নিয়ে কাজ করেন।
এই পুরস্কারপ্রাপ্তি পদার্থবিজ্ঞানে এআইয়ের প্রভাবকে তুলে ধরে।
কানাডা ও যুক্তরাজ্যের দ্বৈত নাগরিক ড. জিওফ্রে হিন্টন বর্তমানে টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন।
তিনি ডিপ লার্নিং ও ব্যাকপ্রোপাগেশনের ক্ষেত্রে নিজের উদ্ভাবনী কাজের জন্য বিখ্যাত। এটি কম্পিউটারের একটি লার্নিং মেকানিজম যা কম্পিউটারগুলোকে নিজস্ব উন্নয়নে সাহায্য করে।
১৯৮০ এর দশকে তার যুগান্তকারী গবেষণা কেবল এআইয়ের গতিপথই পরিবর্তন করেনি বরং বিশ্বজুড়ে অগণিত গবেষক ও উদ্ভাবকদের জন্য আলোকবর্তিকা হিসেবেও কাজ করেছিল।
প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. হপফিল্ড মানব মনের সবচেয়ে জটিল ধাঁধা উন্মোচন করতে পদার্থবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান ও কম্পিউটার বিজ্ঞানের ক্ষেত্রগুলো নিয়ে দীর্ঘকাল ধরে কাজ করছেন।
আগামী ১০ ডিসেম্বর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে স্টকহোমে ড. হিন্টন ও ড. হপফিল্ডের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে নোবেল পুরস্কার অর্থাৎ এক কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার (৯ লাখ পাউন্ড) পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
১ মাস আগে
মোবাইল ফোন বিস্ফোরণ: কারণ ও বাঁচার উপায়
তথ্য ও প্রযুক্তির বিরামহীন বিকাশের যুগান্তকারী ফলাফল হচ্ছে স্মার্টফোন। উদ্ভাবনের পর থেকে কেবল দুটো মানুষের মধ্যে যোগাযোগের মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকেনি এই ছোট্ট ডিভাইসটি। চার দেয়ালের ভেতরে ও বাইরে স্থির বা চলমান প্রতিটি অবস্থায় এই মুঠোফোন মানুষের ২৪ ঘণ্টার সঙ্গী। প্রসঙ্গ যখন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিয়ে তখন স্বভাবতই সেখানে চলে আসে সঠিকভাবে তা ব্যবহারের বিষয়টি। কেননা অসাবধানতা বা অপব্যবহারে সময়ের এই আশীর্বাদটিই পরিণত হতে পারে মৃত্যুঝুঁকিতে। বিশেষ করে স্মার্টফোন বিস্ফোরণের মতো দুর্ঘটনাগুলো প্রায়ই ব্যবহারকারীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। চলুন, মোবাইল ফোন বিস্ফোরণের বিভিন্ন কারণ এবং এ থেকে বাচঁতে করণীয়গুলো সম্পর্ক জেনে নেওয়া যাক।
মোবাইল ফোন বিস্ফোরণের কারণসমূহ
দীর্ঘক্ষণ ব্যবহারের ফলে অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়া। নথি, হিসাব রক্ষণ, ই-মেইল বা ফাইল ব্যবস্থাপনার মতো হাল্কা অ্যাপগুলোতে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করলে নেতিবাচক প্রভাবটা বেশ হাল্কা থাকে। তবে ভিডিও স্ট্রিমিং এবং গেমের মতো ভারী অ্যাপগুলো অল্প সময় চালালেই ডিভাইস গরম হয়ে ওঠে। সেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এই অ্যাপগুলোতে ডুবে থাকলে ফোনের প্রসেসরের ওপর যথেষ্ট চাপ পড়ে। এতে করে ফোনের অভ্যন্তরে তাপ বাড়তে থাকে।
এই উত্তাপের সবচেয়ে বড় শিকার হয় ফোনের ব্যাটারি। তাপের পরিমাণ ধারণ ক্ষমতার বেশি হয়ে গেলে ব্যাটারি ফুলে গিয়ে বিস্ফোরণের ঝুঁকিতে পড়ে।
উন্নত প্রযুক্তির ফোন মানেই তাতে হাই-এন্ড প্রসেসরের উপস্থিতি। আর অবিরাম ফোন ব্যবহারের ফলে এই প্রসেসরগুলো মুহুর্তে উত্তপ্ত হয়ে যায়। প্রসেসরের একদম সংস্পর্শে থাকায় স্বাভাবিকভাবেই সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে ব্যাটারির।
আরও পড়ুন: অ্যাপল আইফোন ১৬ সিরিজে নতুন কি থাকছে
ওভারচার্জিং
ফোনের চার্জ ১০০ শতাংশের কোঠায় পৌঁছানোর পরেও দীর্ঘক্ষণ প্লাগ-ইন থাকলে ব্যাটারিতে লোড বাড়তে থাকে। অবশ্য বর্তমান সময়ের বেশিরভাগ স্মার্টফোনগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হয়, যেন একবার পূর্ণচার্জ হয়ে গেলে চার্জ হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু এরপরেও ক্রমাগত চার্জ গ্রহণেরও একটা লিমিট আছে। নিরবচ্ছিন্নভাবে প্লাগ-ইন অবস্থায় থাকলে সেই লিমিট অতিক্রান্ত হয়। আর তখনি ব্যাটারির কর্মক্ষমতা হ্রাস পেতে শুরু করে।
‘ব্যাটারি স্ট্রেস’ নামে পরিচিত এই প্রক্রিয়াটিতে অভ্যন্তরীণ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশগুলো একটু একটু করে তাপ জমা হতে শুরু করে। চক্রাকারে এই ঘটনা ঘটতে থাকলে এক সময় সেগুলো অতিরিক্ত উত্তপ্ত হয়ে বিস্ফোরণ ঘটার আশঙ্কা তৈরি হয়।
অনেকেরই মধ্যে রাতে ফোন চার্জে রেখে ঘুমাতে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এছাড়া ব্যাগের মধ্যে পোর্টেবল চার্জারে ফোন সংযুক্ত রেখে দীর্ঘক্ষণ ফেলে রাখলেও দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।
উত্তপ্ত বা উচ্চ আর্দ্রতার পরিবেশে রাখা
সরাসরি সূর্যের আলোতে, বদ্ধ স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ অথবা প্রচন্ড আঁটসাঁট চাপযুক্ত জায়গা ফোনের ব্যাটারির উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। পরিবেশের উচ্চ তাপ ফোনের কেসিং হয়ে ব্যাটারিতে প্রবেশ করে। এই প্রক্রিয়ার পুনরাবৃত্তি হতে থাকলে ব্যাটারি তাপ ধারণ করার জন্য প্রসারিত হওয়ার চেষ্টা করে। এভাবে এটি ক্রমশ নিরাপদ সীমার বাইরে পরিচালিত হয়ে বিস্ফোরণের দিকে ধাবিত হয়।
আরও পড়ুন: ডিএসএলআর ক্যামেরা খুঁজছেন? কেনার আগে জেনে নিন ফিচার ও দাম
উচ্চ আর্দ্রতা যুক্ত পরিবেশ ব্যাটারির জন্য যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। নিত্যনৈমিত্তিক জীবনে ফোন বহনের ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে এমন পরিবেশের সৃষ্টি হয়ে থাকে। যেমন-
- গরমের দিনে পার্ক করা গাড়ির ভেতরে ফোন রাখা
- বালিশ বা কম্বলের নিচে ফোন রেখে ঘুমানো
- ফোন টেবিলের কোণে বইয়ের স্তুপ বা জঞ্জালের মাঝে রাখা
- ফোন একসঙ্গে কয়েকটি হাই-ভোল্টেজের যন্ত্রপাতির সঙ্গে রাখা
- গাড়ির ইঞ্জিন বা গিয়ারের কাছাকাছি প্রচন্ড ভিড়ের মাঝে আঁটসাঁট কোনও ব্যাগে ফোন বহন করা
নকল বা নিম্নমানের চার্জার বা কেবল ব্যবহার করা
সস্তা ও অনিবন্ধিত অধিকাংশ ফোনেই চার্জার বা কেবলগুলোতে কোনও নিরাপত্তার মান থাকে না। এক্ষেত্রে চার্জার বা তার ক্যাবল ফোনের রেটিংকৃত বিদ্যুৎ পরিবহনের জন্য উপযুক্ত থাকে না। ফলে ব্যাটারির ধারণ ক্ষমতার সঙ্গে ক্যাবল বা চার্জারটি থাকে একদমি অসামঞ্জস্যপূর্ণ। এতে করে প্রয়োজনের তুলনায় কম অথবা বেশি পরিমাণে ফোনে বিদ্যুৎ ঢুকতে পারে।
আরও পড়ুন: হ্যাকিং প্রতিরোধ: অনলাইন কেনাকাটায় ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে সাবধানতা
কম হলে ফোনের আভ্যন্তরীণ সরঞ্জামাদি দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। এ ছাড়া এতে আর তেমন কোনো ভয় থাকে না। কিন্তু বিদ্যুৎ পরিবহন বেশি হলে তাপ বৃদ্ধির মাধ্যমে আগুন ধরে যাওয়ার ভয় রয়েছে।
বাহ্যিক আঘাত থেকে ব্যাটারি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া
ব্যাটারি যদি নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে তৈরি হয় তাহলে শর্ট সার্কিটের মতো বিপজ্জনক পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। বড় রকমের দুর্ঘটনার জন্য একটি শর্ট সার্কিট-ই যথেষ্ট।
একটি দুর্বল মানের ফোন হাত থেকে পড়ে যাওয়া কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয় এর ব্যাটারি। খুব ভালো বিল্ট কোয়ালিটির ফোনও দুই-তিনবার ধাক্কা লাগার ফলে এর আভ্যন্তরীণ কাঠামো নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
প্রতিবার আঘাতে একটি-দুটি করে চিড় বা কাঠামো-বিকৃতি দীর্ঘ মেয়াদে ফোনের স্থায়িত্বের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। প্রচন্ড সংঘর্ষ বা আঘাতে অভ্যন্তরীণ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উপকরণগুলো নষ্ট হতে থাকলে সার্কিট পূরণ সংক্রান্ত সংকট তৈরি হয়। এরপরেও এমন ক্ষতিগ্রস্ত ফোন নিয়ে চলাফেরা করা মানেই যে কোনো সময় আকস্মিক বিপদের সম্মুখীন হওয়া।
আরও পড়ুন: স্মার্টফোনে ভূমিকম্প সতর্কতা চালু করবেন যেভাবে
১ মাস আগে
রবিবার ৪ ঘণ্টার জন্য ইন্টারনেট ধীরগতির থাকবে
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা স্টেশনে সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেমের রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য বাংলাদেশে রবিবার চার ঘণ্টার জন্য ইন্টারনেট ধীরগতির থাকবে।
এ অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসির (এসসিপিএলসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক (অপারেশনস অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) সাইদুর রহমান জানান, রবিবার রাত ২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত কুয়াকাটায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেমে লাইটিং ফিল্টার স্থাপন করবে সি-মি-উই-৫ (এসএমডব্লিউ৫) কনসোর্টিয়াম।
আরও পড়ুন: পার্বত্য চট্টগ্রামে ইন্টারনেট বন্ধের অভিযোগ অস্বীকার উপদেষ্টা নাহিদের
এ সময়ের মধ্যে এসএমডব্লিউ৫ ক্যাবলের মাধ্যমে কুয়াকাটা ল্যান্ডিং স্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত সব সার্কিটে প্রভাব পড়বে।
তবে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশনে সি-মি-উই-৪ (এসএমডব্লিউ৪) সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে সংযুক্ত সার্কিটগুলো চালু থাকবে।
রক্ষণাবেক্ষণের সময়কালে ব্যবহারকারীরা ধীর সংযোগ বা অস্থায়ী বিঘ্নের সম্মুখীন হতে পারেন বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট চালুর আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
১ মাস আগে
অ্যাপলের আইফোন ১৬ সিরিজ উদ্বোধন: নতুন ফিচার ও মূল্য তালিকা
প্রযুক্তি উৎসাহীদের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর অ্যাপল সাম্রাজ্যে শুরু হলো আইফোন ১৬-এর যুগ। ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বেসিকের পাশাপাশি এবারও উন্মোচিত হয়েছে প্লাস, প্রো ও প্রো ম্যাক্স ব্র্যান্ড বিভাজনগুলো। তন্মধ্যে প্রো ও প্রো ম্যাক্সের সজ্জায় দেখা গেছে কালো, সাদা, গোলাপি ও আল্ট্রামেরিন রঙ। বাকি দুটোতে ফুটে রয়েছে কালো, ন্যাচারাল, সাদা ও ডেজার্ট টাইটেনিয়াম। নতুন কি কি ফিচার থাকছে, আর কেমনই বা দাম হতে চলেছে অ্যাপলের আইফোন ১৬ সিরিজের এই নতুন ফোন গুলোর, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
আইফোন ১৬ সিরিজের ফিচারগুলো
ডিসপ্লে
নতুন আইফোনে সবচেয়ে বড় পরিবর্তনটি হলো এর অতিকায় লম্বা স্ক্রিন। এর প্রো ম্যাক্সের স্ক্রিনটি ৬ দশমিক ৯ ইঞ্চির, যা পূর্ববর্তী ১৫ সিরিজের সবচেয়ে বড় স্ক্রিনের (৬ দশমিক ৭-ইঞ্চি) মডেল প্রো ম্যাক্স থেকেও বড়। অবশ্য উভয় সিরিজের স্ক্রিনেই রয়েছে সুপার রেটিনা এক্সডিআর প্যানেল, যা ১২০ হার্ট্জ রিফ্রেশ রেট এবং ২ হাজার নিট্সের সর্বোচ্চ উজ্জ্বলতা দিতে সক্ষম। অর্থাৎ সামগ্রিক অর্থে ডিসপ্লে প্রযুক্তি মূলত একই, নতুনটাতে শুধু আকারটা বেড়েছে।
ক্যামেরা
এবারের প্রো ম্যাক্স ভ্যারিয়েন্টের আল্ট্রা-ওয়াইড ক্যামেরা আগের সিরিজগুলো থেকে অনেকটা এগিয়ে। ল্যান্ডস্কেপ ও ম্যাক্রো শট নেওয়ার ক্ষেত্রে এখানে ক্যামেরার গুণগত মানকে দ্বিগুণ করা হয়েছে। বিগত প্রো ম্যাক্সের ১২ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা-ওয়াইড লেন্সের জায়গায় এবার যুক্ত হয়েছে ৪৮ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা-ওয়াইড লেন্স। অ্যাপলের ইমেজ প্রসেসিং প্রযুক্তির কারণে এর নতুন সেন্সরটি অল্প আলোয় ফটোগ্রাফির জন্য যথেষ্ট উপযোগী।
আরো পড়ুন: কীভাবে বুঝবেন ছবিটি এআই দিয়ে বানানো কিনা
আগের বছরের প্রো ম্যাক্স-এ ফোর কে রেজুলেশনের ভিডিও নেওয়া যেত সর্বোচ্চ ৬০ এফপিএস (ফ্রেম-পার-সেকেন্ড)-এ। সেখানে এ বছরে উন্মোচিত একই ভ্যারিয়েন্টটি স্ট্যান্ডার্ড ও স্লো-মোশন দুই মোডে ১২০ এফপিএস-এ ফোর কে ভিডিও করতে সক্ষম। এছাড়া অতিরিক্ত যুক্ত হয়েছে ফুটেজ ক্যাপচার করার পর প্লেব্যাকের গতি সামঞ্জস্য করার অপশন।
প্রসেসর
১৫ সিরিজের মতো এবারের ফোনগুলোতেও মূল শক্তি হিসেবে থাকছে ২য় প্রজন্মের ৩ ন্যানোমিটার প্রযুক্তি। তবে অ্যাপল চিপসেট এ১৭ থেকে উন্নীত করা হয়েছে এ১৮-এ। স্পষ্টত বেসিক মডেলে এ১৮ বেসিক, প্লাস-এ এ১৮ বায়োনিক এবং প্রো ও প্রো ম্যাক্সে দেওয়া হয়েছে এ১৮ প্রো। এগুলোর মধ্যে এ১৮ প্রো ফোনের সিপিইউর (সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট)-এর কার্যক্ষমতাকে ১৫ শতাংশ এবং জিপিইউকে (গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট) ২০ শতাংশ দ্রুততর করতে পারে।
নতুন চিপসেটে একটি ১৬-কোর নিউরাল ইঞ্জিনও রয়েছে, যেটি ফোনের বুদ্ধিমত্তাকেন্দ্রিক বৈশিষ্ট্যগুলোকে আগের তুলনায় আরও দক্ষ করে তোলে।
অবশ্য স্মার্টফোনের দৈনন্দিন সাধারণ কাজকর্মে এ১৭ এবং এ১৮-এর সূক্ষ্ম পার্থক্যগুলো তেমন দৃষ্টিগোচর হবে না।
আরো পড়ুন: নারীর নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত সুরক্ষায় মোবাইল অ্যাপ
গেমিং
প্রসেসরের দুই প্রজন্মের মধ্যকার সুক্ষ্ম তারতম্যগুলো খুব ভালোভাবে বোঝা যাবে এএএ তথা হাই প্রোফাইল গেমগুলো খেলার সময়। ‘ডেথ স্ট্র্যান্ডিং’ ও ‘অনার অফ কিংস: ওয়ার্ল্ড’ গেমগুলোর ব্যাপারে নিরবচ্ছিন্ন অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে নতুন প্রো ম্যাক্সে। কেননা পারফরমেন্স বৃদ্ধির পাশাপাশি নতুন এ১৮ চিপের আরও একটি বিশেষত্ব হচ্ছে অতিরিক্ত ব্যাটারি লাইফ।
তাছাড়া হার্ডওয়্যারভিত্তিক রে ট্রেসিংয়ের দৌলতে গতানুগতিক সফ্টওয়্যারভিত্তিক রে ট্রেসিংয়ের তুলনায় ৫ গুণ পর্যন্ত ফ্রেম রেট পাওয়া যাবে। এর ফলে গেমের ভিজুয়ালে আলোর কারসাজিগুলো আরও নিখুঁতভাবে বোঝা যাবে।
ব্যাটারি
প্লাস ভ্যারিয়েন্ট বাদে বাকি সবগুলোর ব্যাটারি ক্ষমতা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বাড়ানো (প্রায় ৬ শতাংশ) হয়েছে স্ট্যান্ডার্ড মডেলের ব্যাটারিতে। যেখানে আগে ছিলো ৩ হাজার ৩৪৯ এমএএইচ (মিলি অ্যাম্পিয়ার পার আওয়ার), সেখানে বর্তমানে যুক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৫৬১ এমএএইচের ব্যাটারি। সবচেয়ে কম (২ দশমিক ৫ শতাংশ) প্রো-তে; ৩ হাজার ২৭৪ থেকে ৩ হাজার ৩৫৫ এমএএইচ। আর প্রো ম্যাক্সে ৪ হাজার ৪২২ এমএএইচ থেকে ৫ শতাংশ বাড়িয়ে যুক্ত হয়েছে ৪ হাজার ৬৭৬ এমএএইচের ব্যাটারি।
আরো পড়ুন: স্মার্টফোনে ভূমিকম্প সতর্কতা চালু করবেন যেভাবে
১৫ সিরিজের ফোনগুলো যেখানে সারাদিন ব্যবহারে ২০ ঘণ্টা চলতো, সেখানে ১৬ সিরিজের ভ্যারিয়েন্টগুলো প্রায় ২২ ঘণ্টা পর্যন্ত সক্রিয় থাকে। ব্যাটারিগুলো কেবল দীর্ঘায়ুর দিক থেকে নয়, দ্রুত চার্জিংয়ের ক্ষেত্রেও বিগত বছরের থেকে অনেকটা এগিয়ে। ঐতিহ্যবাহী ইউএসবি-সি টাইপসমৃদ্ধ নতুন সেটগুলোতে তারযুক্ত চার্জিং ক্ষমতা ২৭ ওয়াট এবং তারবিহীন ১৫ ওয়াট।
সফটওয়্যার ও এআই
আইফোন ১৬-এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিকটি হলো অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স। এর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা চ্যাটজিপিটির সাহায্যে জেনারেটিভ এআই ব্যবহার করতে সক্ষম। অবশ্য এই সুবিধা শুধুমাত্র প্রো এবং প্রো ম্যাক্সের জন্য সংরক্ষিত।
আইওএস (আইফোন অপারেটিং সিস্টেম)-১৮-এর আপডেটসহ এখানে বিভিন্ন ধরনের এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) ফিচার রয়েছে। যেমন গুরুত্বপূর্ণ নোটিফিকেশনগুলো ফিডের শীর্ষে রাখা বা বড় নোটিফিকেশনগুলোর সারাংশ দেখানো এবং ছোট নোট বা ই-মেইল লেখা। তবে সবচেয়ে আকর্ষণীয় হচ্ছে এআই ছবি তৈরি এবং অডিও থেকে স্বয়ংক্রিয় ভাবে টেক্সট লেখা। এছাড়া অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহারকারীদের জন্য থাকবে নিজস্ব প্রাইভেট ক্লাউড কম্পিউট, যা তাদের যাবতীয় ব্যক্তিগত তথ্যাবলি সুরক্ষিত রাখবে।
আরো পড়ুন: হ্যাকিং প্রতিরোধ: অনলাইন কেনাকাটায় ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে সাবধানতা
২ মাস আগে
বন্যাকবলিত ১১ জেলায় ৪১৬টি মোবাইল টাওয়ার এখনও অকেজো
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১১টি জেলার ১৪ হাজার ৫৫১টি মোবাইল টাওয়ারের মধ্যে ৪১৬টি মোবাইল টাওয়ার অকেজো হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
জেলাগুলো হলো- নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, কক্সবাজার ও সিলেট।
এরইমধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মোবাইল অপারেটর ও টাওয়ার অপারেটরদের সরঞ্জাম, জ্বালানি ও জেনারেটর বহনের জন্য নৌযান, ট্রাক ও স্পিডবোটসহ প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দিয়েছে।
২ মাস আগে