বিজ্ঞান-ও-প্রযুক্তি
বাদী পক্ষে লড়তে আদালতে এআই-উকিল!
আদালতে উপস্থিত হয়ে বিচারকরা এক ব্যক্তির আপিলের শুনানি শুরু করলেন। বাদী পক্ষের উকিল হাজির হলেন ভিডিওতে। কিন্তু মজার বিষয় হলো, এই উকিলের কোনো পেশাগত ডিগ্রি নেই। এর চেয়েও আশ্চর্যের বিষয় হলো বাস্তবেই তার কোনো অস্তিত্ব নেই, তিনি কোনো মানুষই নয়!
তিনি মূলত কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সহায়তায় তৈরি করা এক এভাটার (কোনো মানুষের প্রতিকৃতি)।
এমনই চমকপ্রদ একটি ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে। স্থানীয় সময় গেল ২৬ মার্চ জেরোমি ডিওয়াল্ড নামে এক ব্যক্তির চাকরি সংক্রান্ত একটি আপিল শুনানিকালে এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি।
নিজের পক্ষে কোনো উকিল না থাকায় তিনি এআইয়ের সহায়তায় একটি এভাটার বানিয়ে তাকেই আদালতের সামনে উপস্থাপন করেছেন। তবে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই তার চালাকি ধরে ফেলেন বিচারকরা।
আপিলের শুনানির সময় নিজের পক্ষে কথা বলার জন্য একটি ভিডিও উপস্থাপন করার অনুমতি চেয়েছিলেন ডিওয়াল্ড। শুনানির দিন বিচারক স্যালি মানজানেট ডানিয়েল বলেন, ‘আপিলকারী তার বক্তব্য উপস্থাপনের একটি ভিডিও দিয়েছেন, ভিডিও এখন চালু করা হবে।’
আরও পড়ুন: ডিপসিক: এআইয়ের দুনিয়ায় চ্যাটজিপিটি ও জেমিনির লড়াকু প্রতিপক্ষ
ভিডিওটি চালু হলে স্ক্রিনে (পর্দায়) বেশ গোছালো ও পরিপাটি পোশাক পরিহিত এক সুদর্শন যুবককে দেখা যায়। তিনি বলেন, ‘আদালতের সদয় বিবেচনার জন্য জানাচ্ছি, আমি বিচারকদের সামনে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বাদীর পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরতে উপস্থিত হয়েছি।’
সঙ্গেই সঙ্গেই তাকে থামিয়ে দিয়ে বিচারক জানতে চান, ‘এই ব্যক্তি মামলার কোনো আইনজীবী কিনা? বাদী ডিওয়াল্ড জানান, ‘ভিডিওর ব্যক্তি আসলে মানুষ নন, এআইয়ের সহায়তায় একে তিনি তৈরি করেছেন আাদলতে তার পক্ষে কথা বলার জন্য।’
এ কথা শুনে রেগে আগুন হয়ে বিচারক বললেন, ‘আমি প্রতারিত হতে পছন্দ করি না।’ ডিওয়াল্ডকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনি যখন আবেদন করেছেন, এই বিষয়ে তখনই আদালতকে অবগত করা প্রয়োজন ছিল।’
এরপরে বিচারকদের কাছে ক্ষমা চান মামলার বাদী ডিওয়াল্ড। তিনি জানান, ‘কোনো খারাপ উদ্দেশ্যে তিনি এই কাজ করেননি। তার আইনি বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য কোনো আইনজীবী পাননি। এ কারণে তার আইনি বক্তব্য তুলে ধরতে এই এভাটার বানিয়েছেন তিনি।’
ডিওয়াল্ড সাধারণত কথা বলার সময় তোতলান, তার উচ্চারণে অস্পষ্টতা রয়েছে। তিনি আশা করেছিলেন এ ধরনের কোনো সীমাবদ্ধতা ছাড়াই আদালতে কথা বলতে পারবে ওই এভাটার। তবে তার আশার গুড়ে বালি পড়তে লেগেছে মাত্র কয়েক সেকেন্ড। বিচারক ধরে ফেলেন ভিডিওর ব্যক্তি আসল নন।
বার্তা সংস্থা এসোসিয়েট প্রেসের (এপি) এক খবরে বলা হয়েছে, সান ফ্রান্সিসকোর এক টেক কোম্পানি থেকে একটি এআই টুল কিনে ওই এভাটার তৈরি করেছিলেন ডিওয়াল্ড। তিনি তার চেহারার অনুরূপ করেই ওই এভাটার বানাতে চেয়েছিলেন। তবে শুনানির আগে তা সম্ভব হয়নি।
যেহেতু তিনি কোনো উকিল পাননি, তাই তার নিজেকেই এই বক্তব্য উপস্থাপন করতে হত। এ কারণেই ঠিকঠাকভাবে কথা বলার জন্য তিনি এআইয়ের দিয়ে ওই ভিডিও তৈরি করে আদালতে পাঠান। তবে যে উদ্দেশ্যে তিনি এই কাজ করেছিলেন সেক্ষেত্রে সফল তো হননি, বরং আদালতে রীতিমতো বিচারকের ঝাড়ি খেয়েছেন ওই ব্যক্তি।
আরও পড়ুন: ওপেনএআই কিনতে প্রায় ১০ হাজার কোটি ডলার প্রস্তাব মাস্কের
তবে বিচারিক কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে কিন্তু প্রথম নয়, খোদ আইনজীবীরাই এর ব্যবহার করে সমস্যায় পড়েছেন।
এর আগে ২০২৩ সালের জুনে একটি মামলায় এআইয়ের ব্যবহার করে ৫ হাজার ডলার জরিমানা গুনতে হয়েছিল নিউ ইয়র্কের দুই আইনজীবীকে। তারা এআইয়েরর সহায়তা নিয়ে কয়েকটি মামলার উদ্ধৃতি ব্যবহার করেছিলেন, তবে বাস্তবে ওই ধরনের কোনো মামলার অস্তিত্বই ছিল না।
জরিমানা দেওয়া ওই দুই আইনজীবী জানান, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা যে কৃত্তিম মামলার বিবরণ তৈরি করবে এটি তারা বুঝতেই পারেননি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক আইনজীবী মাইকেল কোহেনও একই ধরনের সমস্যায় পড়েছিলেন। ভুল মামলার তথ্য দিয়েছিল এআই।
তবে ডিওয়াল্ড ভুলে এই এভাটার ব্যবহার করলেও অ্যারিজনার সুপ্রিমকোর্ট কিন্তু বিভিন্ন আদালতের বিধিনিষেধগুলো সাধারণ জনগণকে জানানোর জন্য অনেকটা একই রকম এভাটার ব্যবহার করে থাকে। কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা যে কতদ্রুত এগিয়ে চলছে তারই জ্বলন্ত প্রমাণ এসব ঘটনা।
ডিওয়াল্ডের মামলাটি এখনও চলমান রয়েছে।
৭ দিন আগে
স্টারলিংক কী? কীভাবে কাজ করে ইলন মাস্কের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা
প্রথিতযশা মার্কিন উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের মস্তিষ্ক প্রসূত প্রযুক্তি সেবা ‘স্টারলিংক’। ছোট্ট এই শব্দটি সমগ্র বিশ্ব জুড়ে তথ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক অদেখা ভূবনের বার্তা দিয়ে চলেছে। চলমান দশকে ইন্টারনেট ব্যবস্থার মধ্যমণি হওয়ায় প্রযুক্তিগত বিবর্তনটিকে ঘিরে চলছে সমূহ উদ্দীপনা। অধিকাংশ উন্নত দেশগুলোতে বিস্তার লাভের পর উন্নয়নশীল অঞ্চল পরিক্রমায় স্টারলিংকের এবারের গন্তব্য বাংলাদেশ। এই প্রেক্ষাপটে চলুন জেনে নেওয়া যাক- কী এই স্টারলিংক, আর এর কার্যপদ্ধতিই-বা কী।
স্টারলিংক কী
পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ চালু করা প্রথম বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক সার্ভিসেস, এলএলসি। পরিচালনা প্রতিষ্ঠানের নামানুসারেই উপগ্রহ ক্লাস্টারের নাম হয়েছে স্টারলিংক। আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানটি এই স্যাটেলাইটগুলোর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপি ইন্টারনেট সেবা দিয়ে থাকে। গোটা বিশ্ব জুড়ে ইলন মাস্কের এই প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক রয়েছে ১০০টিরও বেশি দেশে।
স্টারলিংকের যাত্রা শুরু হয় ২০১৯ সালের মে মাসে ৬০টি স্যাটেলাইটের চালুর মাধ্যমে। বর্তমানে এই সংখ্যা দাড়িয়েছে ৭ হাজারেরও বেশি এবং এগুলো খুব কাছাকাছি কক্ষপথে থেকে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে। ভূপৃষ্ঠ থেকে এই অবস্থানটি প্রায় ৩৫ হাজার ৭৮৬ কিলোমিটার উপরে। এগুলো পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে (এমনকি প্রত্যন্ত অঞ্চলেও) উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা দিতে সক্ষম।
আরো পড়ুন: দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর এসি চালুর পূর্বে যে সতর্কতা জরুরি
২০২১ সালের শুরুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা কেন্দ্রিক এর প্রথম বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়। সে সময় প্রথম জনসাধারণের কাছ থেকে প্রি-অর্ডার নেওয়া হয়েছিলো।
স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা কীভাবে কাজ করে
.
ইন্টারনেট সংযোগের প্রক্রিয়া
শহরাঞ্চলের পাশাপাশি অনুন্নত এলাকাগুলোতেও সমানভাবে কার্যকর স্টারলিংক পরিষেবা। স্টারলিংক গ্রাহকের কম্পিউটার বা অন্য কোনও ডিভাইস থেকে ডাটা রিকোয়েস্ট প্রথমে নিকটতম স্যাটেলাইটে পৌঁছায়। সেই রিকোয়েস্ট পরবর্তীতে প্রেরিত হয় উদ্দিষ্ট গন্তব্যের কাছাকাছি আরেকটি স্যাটেলাইটে। তারপর রিকোয়েস্টটি সেই স্যাটেলাইটের অধীনে থাকা সুনির্দিষ্ট ডাটা সার্ভারে প্রবেশ করে। এরপর কাঙ্ক্ষিত তথ্যটি নিয়ে একই ভাবে গ্রাহকের কম্পিউটার বা অন্য কোনও মোবাইল ডিভাইসে ফিরে আসে। এভাবে পৃথিবীর দুই প্রান্তে থাকা ডিভাইসের মধ্যে ইন্টারনেট নির্ভর যোগাযোগ স্থাপন করা হয়।
স্যাটেলাইটগুলোর মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ রক্ষার্থে গেটওয়ে হিসেবে বসানো হয় গ্রাউন্ড স্টেশন। এগুলো উপগ্রহ থেকে ডেটা গ্রহণ করে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানোর পথ সুগম রাখে।
আরো পড়ুন: অনলাইন বই বাজার: ঘরে বসেই যে ১০ ওয়েবসাইট থেকে কিনতে পারেন পছন্দের বই
একটি গ্রাউন্ড স্টেশন সাধারণত ৪ হাজার ৩০৬ বর্গফুট জায়গা জুড়ে প্রশস্ত হয়। এখানে বন্ধনীতে ঘেরা থাকে ৯ দশমিক ৪ ফুট উচ্চতার ৯টি অ্যান্টেনা।
উন্নত প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য
স্টারলিংকের প্রদক্ষিণরত উপগ্রহগুলোর অবস্থান আদর্শ জিওস্টেশনারি কক্ষপথের উচ্চতার ১/১০৫ থেকে ১/৩০ অংশের মধ্যে। কক্ষপথটি নন-জিওস্টেশনারি হিসেবে অভিহিত এবং এখানে স্যাটেলাইটগুলো ২৪ গিগা হার্টজ-এর উপরে উচ্চ-ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডে কাজ করবে। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে তুলনামূলক ভাবে কাছাকাছি হওয়ায় এই ব্যান্ডে বিস্তৃত কভারেজ পাওয়া যাবে। একই সাথে স্যাটেলাইট ও গ্রাউন্ট স্টেশনের মধ্যকার যোগাযোগটিও হবে অধিক কার্যকর।
পৃথিবী থেকে স্যাটেলাইট যোগাযোগের লেটেন্সি বা বিলম্ব থাকে প্রায় ২৫ থেকে ৩৫ মিলি সেকেন্ড। এই মাত্রা বর্তমান কেবল ও ফাইবার নেটওয়ার্কের তুলনায় অনেক কম। এই গতিতে ভিডিও কনফারেন্সিং ও অনলাইন গেমিং-এ অভূতপূর্ব রিয়েল-টাইম অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে।
আরো পড়ুন: ছোটদের বাংলা ভাষা শেখার ১০টি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ
পিয়ার-টু-পিয়ার প্রোটোকল ব্যবহার করায় স্টারলিংক বর্তমান সময়ের আইপিভি৬ (ইন্টারনেট প্রোটোকল ভার্সন ৬) থেকে অধিক সহজ। এই প্রোটোকল মূলত ইন্টারনেটের আওতায় একত্রে কতগুলো ডিভাইস সংযুক্ত হতে পারবে এবং সেগুলোর মধ্যে তথ্যের লেনদেন কতটুকু নিরাপদ হবে তা নির্দেশ করে। এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো নেটিভ এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন। এই প্রক্রিয়ায় প্রেরকের ডিভাইসে এনক্রিপ্ট করা ডাটা শুধুমাত্র প্রাপকের ডিভাইসে ডিক্রিপ্ট করা হয়। ফলে পরিষেবা প্রদানকারীসহ তৃতীয় কোনও পক্ষের কাছে সেই ডাটা উন্মুক্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
এই সর্বক্ষেত্রে পিয়ার-টু-পিয়ারের অবস্থান আইপিভি৬-এর ওপরে।
এছাড়া স্টারলিংকের আরও আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে দ্রুতগতির ডাউনলোড। সম্প্রতি ঢাকায় এর পরীক্ষামূলক ব্যবহার করা হয়েছে। এ সময় ডাউনলোড গতি ছিলো ২৩০ এমবিপিএস (মেগাবিট্স পার সেকেন্ড) এবং আপলোড ২০ এমবিপিএস।
আরো পড়ুন: কীভাবে জানবেন ঢাকার যানজটের সর্বশেষ অবস্থা?
সংযোগের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী
স্টারলিংকের ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য গ্রাহককে টেলিভিশনের ডিশ অ্যান্টেনার মতো একটি যন্ত্র বসাতে হবে। এটি সেই স্যাটেলাইটগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে। যন্ত্রটি ক্রয়ের সময় এর সাথে পুরো একটি টুলকিট দেওয়া হয়। এতে স্টারলিংক অ্যান্টেনা ছাড়াও থাকে স্ট্যান্ড, স্টারলিংক কেবল, জেন থ্রি রাউটার, এসি কেবল এবং পাওয়ার অ্যাডাপ্টার। অ্যান্টেনা যে কোনও জায়গায় মাউন্টের জন্য উপযোগী। এমনকি ট্রেনের মতো দ্রুতগামী কোনও বস্তুর ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য। তবে শর্ত হচ্ছে- আকাশ ও অ্যান্টেনার মাঝে কোনও প্রতিবন্ধকতা থাকা যাবে না।
এই অ্যানটেনার সঙ্গে স্টারলিংকের রাউটারটি যুক্ত করে গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। এই টুলকিট এবং গ্রাউন্ড স্টেশন সম্মিলিত ভাবে স্টারলিংককে সম্ভাবনাময় করে তুলেছে। কেননা এতে করে দুর্গম পাহাড় বা জঙ্গলেও উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন সম্ভব হবে।
এই রাউটারে এক সাথে ২৫৪টি ডিভাইস যুক্ত হতে পারে। অবশ্য কোম্পানির পক্ষ থেকে ৫০টির কম ডিভাইস ব্যবহারের পরামর্শ রয়েছে।
আরো পড়ুন: ডিপসিক: এআইয়ের দুনিয়ায় চ্যাটজিপিটি ও জেমিনির লড়াকু প্রতিপক্ষ
ইন্টারনেট পরিষেবার লাইসেন্স
আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্টারলিংককে বিশ্বের যে কোনও অঞ্চলে সেবা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের বিধি-নিষেধ মেনে চলতে হয়। সেখানকার জাতীয় টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষের অনুমতির পরেই সেবার বিপণন শুরু হয়।
এর জন্য স্টারলিংক নির্দিষ্ট দেশের সাথে দীর্ঘস্থায়ী আন্তর্জাতিক চুক্তিতে যায়। এই চুক্তির মধ্যে অন্তর্ভূক্ত থাকে লাইসেন্সিং-এর সাধারণ সময়সীমা এবং করনীতি।
স্টারলিংক ব্যবহারের নানা ক্ষেত্র
আবাসিক চাহিদার পাশাপাশি করপোরেট ক্লায়েন্টও রয়েছে স্টারলিংকের। ইতোমধ্যে তারা বিস্তৃত পরিসরে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে তাদের সেবা রয়েছে এয়ারলাইনস, জাহাজ, বিনোদনমূলক যানবাহন, ও ট্রাকসহ নানা ধরণের পরিবহনে।
আরো পড়ুন: লেখকদের সৃজনশীলতায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব: ব্যবহারের সুবিধা-অসুবিধা
এছাড়া বিভিন্ন দেশের মিলিটারি বা প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট চাহিদার ভিত্তিতে তারা বিশেষ সেবা দিয়েছে।
১৮ দিন আগে
১০ শতাংশ দাম কমছে ইন্টারনেটের
বাংলাদেশে সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির সব ধরনের ইন্টারনেটের দাম ১০ শতাংশ কমছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
শনিবার (২২ মার্চ) কোম্পানির বোর্ড সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। এর ফলে মোবাইল ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড সার্ভিস দুই ক্ষেত্রেই কোম্পানিগুলোর খরচ কমে আসবে বলে জানান তিনি।
ফয়েজ আহমদ জানান, ইন্টারনেটের দাম কমানোর জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। মানুষ যেন সাশ্রয়ে ইন্টারনেট পায় সেজন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: আর কোনো পরিস্থিতিতে যাতে ইন্টারনেট বন্ধ না হয়, সেই নীতিমালা হচ্ছে: ফয়েজ আহমদ
পাইকারি পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম কমানো এই উদ্যোগগুলোর মধ্যে অন্যতম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ সিদ্ধান্তের ফলে ইন্টারনেটের আন্তর্জাতিক গেটওয়ে লেভেলে সব ব্যান্ডউইথের দাম ১০ শতাংশ কমে আসবে। এছাড়া ব্যাকবোন পর্যায়ে মোবাইল কোম্পানিগুলোকে ডিডাব্লিউডিএম সুবিধা দেওয়ার কথা হচ্ছে।’
এতে ট্রান্সমিশন বাবদ টেলিকম কোম্পানিগুলোর খরচ ৩৯ শতাংশ কমে যাবে বলে মত দেন প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী।
তিনি বলেন, 'ইতোমধ্যে টেলিকম অপারেটরদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। অপারেটররা ভোক্তা পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।'
তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ আরও জানান, আগামী বছরের মাঝামাঝিতে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সিমিউই-৬ এর সঙ্গে যুক্ত হবে বাংলাদেশ।
২২ দিন আগে
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর এসি চালুর পূর্বে যে সতর্কতা জরুরি
বছর জুড়ে গরমের তুলনায় শীতের আধিক্য যারপরনাই কম। এরপরেও ঠান্ডা মৌসুমে একটানা বেশ কিছু দিন যাবত এয়ার কন্ডিশনার (এসি) বন্ধ থাকে। এই স্বল্প বিরতির পর গ্রীষ্মের শুরুতে এসি চালু করার আগে কিছু সতর্কতা অবলম্বন জরুরি। অন্যান্য বৈদ্যুতিক ও গৃহস্থালির যান্ত্রিক আসবাবপত্রের মতো এসিরও নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন। সেখানে দীর্ঘদিন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকার কারণে খুটিনাটি ত্রুটির অবকাশ থাকে। বন্ধ থাকা এসির ভেতরে জমে যাওয়া ধুলোবালির স্তর ও ছত্রাকের কারণে হতে পারে শাসকষ্ট। এমনকি রয়েছে এয়ার কন্ডিশনার বিস্ফোরণের ঝুঁকি। চলুন, উষ্ণ মৌসুমের শুরুতে স্বাস্থহানী ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়িয়ে এসি ব্যবহার নিশ্চিত করতে জরুরি বিষয়গুলো বিস্তারিত জেনে নেই।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা এয়ার কন্ডিশনার নিরাপদে চালানোর জন্য ১০টি করণীয়
.
ইভাপোরেটর কয়েল ও ব্লোয়ার মোটর নিরীক্ষণ
এই সরঞ্জাম দুটি থাকে এসি সিস্টেমের অভ্যন্তরীণ ইউনিটে। অনেক দিন বন্ধ থাকার ফলে ইভাপোরেটর কয়েলে ময়লা জমে থাকলে তাপ স্থানান্তর প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়।
ব্লোয়ার মোটরে ময়লা জমলে এটি সঠিকভাবে ঘুরতে পারে না। ফলে সিস্টেমের উপর এটি অতিরিক্ত চাপ ফেলে।
সামগ্রিক ভাবে এমন পরিস্থিতি এসির কার্যকারিতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এছাড়া কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ায় পরবর্তীতে বিদ্যুৎ খরচ বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই এসি ছাড়ার পূর্বে এই সরঞ্জামগুলো যথাযথ ভাবে পরিষ্কার করে নেওয়া আবশ্যক।
আরো পড়ুন: মোবাইল ফোন বিস্ফোরণ: কারণ ও বাঁচার উপায়
ডাক্ট, ভেন্ট এবং এয়ার ফিল্টার পরীক্ষা
শীতল বায়ু ডাক্ট ও ভেন্টের মাধ্যমে ঘরের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছায়। দিনের পর দিন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকলে এগুলোতে ধুলো, ময়লা বা ছাঁচ জমে যায়। এগুলো এসির বাতাসকে বিষাক্ত করে, যা অ্যালার্জি বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা সৃষ্টির কারণ হতে পারে।
এয়ার ফিল্টার এসির বায়ু থেকে ধুলো, ময়লা এবং অন্যান্য কণাকে ফিল্টার করে। আর এই ফিল্টারেই ময়লা জমে যাওয়া মানে বাতাসের গুণমান কমে যাওয়া। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে ময়লার আস্তর জমে ফিল্টার বন্ধ হয়ে বায়ুপ্রবাহেও বাধা সৃষ্টি হয়। এছাড়া ময়লা ফিল্টার ব্যাকটেরিয়া ও ছাঁচের বৃদ্ধি বাড়ায়, যা স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। তাই এগুলো অপরিষ্কার রেখে এসি ব্যবহার করা একদমি উচিত নয়।
কন্ডেন্সার কয়েল পরিষ্কার করা
এসির বাইরের ইউনিটে থাকা এই সরঞ্চামটি তাপ স্থানান্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এসির দীর্ঘ সময়ের নিষ্ক্রিয়তায় এই কয়েলেও ধুলো, ময়লা বা আবর্জনা জমা হতে পারে। এর ফলে গোটা কন্ডেন্সারসহ কম্প্রেসরের উপরও অতিরিক্ত চাপ পড়ে। ক্রমান্বয়ে এটি সিস্টেমের আয়ু কমিয়ে দেয় এবং পরবর্তীতে ব্যয়বহুল মেরামতের প্রয়োজন পড়ে।
কন্ডেন্সার কয়েল পরিষ্কার করার জন্য নরম ব্রাশ বা কম প্রেশারের পানি ব্যবহার করা যেতে পারে।
আরো পড়ুন: টপ লোড বনাম ফ্রন্ট লোড ওয়াশিং মেশিন: জেনে নিন সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ
রেফ্রিজারেন্টের মাত্রা নিরীক্ষণ
এসির শীতলকরণ প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত যে তরল বা গ্যাসীয় পদার্থটি এসির মধ্যে তাপ স্থানান্তরিত করে তার নাম রেফ্রিজারেন্ট। সঠিক সময়ে পরিষ্কারের দীর্ঘসূত্রিতায় রেফ্রিজারেন্টের মাত্রা কমে যেতে পারে। এ অবস্থায় এসি ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে চললেও ঠান্ডা বাতাস তৈরি করতে পারে না।
এমন পরিস্থিতিতে কন্ডেন্সার ও কম্প্রেসর উভয়েই অতিরিক্ত চাপের সম্মুখীন হয়। এমনকি এতে অন্যান্য যন্ত্রাংশও দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে।
রেফ্রিজারেন্ট লিকের ফলে অনেক সময় এসির অদ্ভূত শব্দ করে। তাই এসি চালানোর সময় যে কোনও অস্বাভাবিক শব্দকে গুরুত্বের সাথে দেখা উচিত।
এর বাইরে রেফ্রিজারেন্ট লেভেল যাচাইয়ের কাজটি নিজে করা কঠিন। তাই এক্ষেত্রে সরাসরি পেশাদার ইলেক্ট্রিশিয়ানের সরণাপন্ন হওয়া উচিত। উপরন্তু, মাত্রা কম থাকলে তা বাড়ানোর জন্যও তাদেরকেই ডাকতে হবে।
আরো পড়ুন: এয়ার পিউরিফায়ার: প্রয়োজনীয়তা, দাম, জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ও নতুন মডেল
কম্প্রেসর পরীক্ষা করা
এসির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই উপাদানটির কাজ হচ্ছে রেফ্রিজারেন্টকে সংকুচিত করে শীতলকরণ প্রক্রিয়ায় সহায়তা করা। তাই এই কার্যটি সঠিক ভাবে সম্পাদিত হচ্ছে কিনা তা যাচাই করা নিতান্তই জরুরি।
কম্প্রেসর অতিরিক্ত গরম হয়ে গেলে বা এর মধ্যে অস্বাভাবিক শব্দ হলে বুঝতে হবে এতে সমস্যা আছে। এই সমস্যা এড়াতে কম্প্রেসরের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ জরুরি, আর এর জন্য একজন পেশাদারের প্রয়োজন পড়বে।
থার্মোস্ট্যাট সেটিংস যাচাই করা
এসির শীতলকরণ প্রক্রিয়ার আরও একটি প্রয়োজনীয় যন্ত্র থার্মোস্ট্যাট, যেটি মূলত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। সঠিক পদ্ধতিতে কাজ করার জন্য এসির একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রা প্রয়োজন হয়। এর কমবেশি হলে নিয়মিত ঠান্ডা বাতাস পাওয়া যায় না। তাই থার্মোস্ট্যাট সেটিংস যথাযথ হওয়া জরুরি।
ভুল সেটিংস দীর্ঘ মেয়াদে এসির কার্যকারিতায় বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। এর দরূণ ভবিষ্যতে ঘন ঘন মেরামতেরও প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে। আর বারবার মেরামত মানেই অতিরিক্ত খরচের ধকল।
আরো পড়ুন: কীভাবে জানবেন ঢাকার যানজটের সর্বশেষ অবস্থা?
বৈদ্যুতিক সংযোগ ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা পরীক্ষা
এসি সিস্টেমের সাথে সংশ্লিষ্ট পাওয়ার লাইন ও সার্কিট ব্রেকার ঠিক মত কাজ করছে কিনা তা পরীক্ষা করা জরুরি। ভোল্টেজে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে তারতম্য ঘটা সিস্টেমে সঠিক বিদ্যুৎ প্রবাহে বাধা আরোপ করতে পারে। সার্কিট ব্রেকার পাওয়ার লাইনকে ব্যাকআপ দিতে না পারলে পুরো যন্ত্রের ভয়াবহ ক্ষতি সাধনের আশঙ্কা থাকে।
প্রায় সময় ঘরের ভেতরে যন্ত্রকে পরিপাটি করে রাখা হলেও বাইরে অংশে একদমি ভ্রূক্ষেপ করা হয় না। চোখের আড়ালে থাকায় এই যন্ত্রাংশটির কথা অনেকেই এড়িয়ে যান। অথচ এর আশেপাশে অনুপযুক্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত বিড়ম্বনার দিকে ধাবিত করতে পারে।
তাই বছরের কিছু নির্দিষ্ট সময়ে রুটিন মেনে এই আভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক উভয় যন্ত্র সংলগ্ন জায়গাগুলো পরিষ্কার করা উচিত।
প্রথমবার ফ্যান মুডে চালানো
অনেক দিন বন্ধ থাকা এসি প্রথম চালোনার সময় সরাসরি কুলিং মুডে দেওয়া উচিত নয়। কেননা এতে সিস্টেমের ভেতর অনাকাঙ্ক্ষিত ত্রুটির কারণে যান্ত্রিক গোলযোগের দেখা দিতে পারে।
আরো পড়ুন: শিশুদের টিকটক আসক্তি: ঝুঁকি থেকে যেভাবে বাঁচবেন
আগে ফ্যান মুডে চালিয়ে সিস্টেমের ভেতরে জমে থাকা আর্দ্রতা শুকিয়ে নিতে হবে। ফ্যান মুডে এসি শুধু সিস্টেমের আভ্যন্তরীণ ফ্যানটি চালায়। এতে ময়লা বা ছাঁচের বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং বাতাসের গুণমান উন্নত করে। কয়েক ঘন্টা ফ্যান মুডে রাখার পর কুলিং মুডে সুইচ করা যেতে পারে।
টেস্ট রান
গরমের শুরুতে প্রথম এসি চালুর উদ্দেশ্য হতে হবে টেস্ট রান। শীতল হওয়ার উদ্দেশ্যে এসি ছেড়ে দিয়ে অন্য কাজ করা যাবে না। বরং এই টেস্ট রানের পুরোটা সময় মনোন্নিবেশ এসির দিকে রাখতে হবে।
সূক্ষভাবে খেয়াল করতে হবে কোনও অস্বাভাবিক শব্দ আসছে কিনা, বায়ুপ্রবাহ কিভাবে হচ্ছে, এবং সারা ঘর ঠান্ডা হতে কেমন সময় লাগছে। কোনও অসংলগ্নতা দেখা দিলে উপরোক্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে। কোনও কিছু নিয়ে সন্দেহ থাকলে সরাসরি বিশেষজ্ঞ ইলেক্ট্রিশিয়ানের সরণাপন্ন হতে হবে।
পেশাদার টেকনিশিয়ানের সাহায্য নেওয়া
উপরোক্ত পদক্ষেপগুলো ব্যাপারে যথাযথ নিশ্চিত হয়ে তবেই নিজে নিজে এসি যাচাইয়ের দিকে যাওয়া উচিত। কারিগরি বিষয়গুলোর বোঝাপড়া নিয়ে কোনও সমস্যা থাকলে সর্বোত্তম পন্থা হলো পেশাদারদের দ্বারস্থ হওয়া। নতুবা না বোঝার কারণে অসাবধানে যে কোনও ভুলে হিতে বিপরীত হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
আরো পড়ুন: নতুন স্মার্টফোন কিনছেন, জেনে নিন সেটি আসলেই নতুন কিনা!
রক্ষণাবেক্ষণের পুরো সময়টাতে টেকনিশিয়ানের সাথে থেকে সব বুঝে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। কি সমস্যা হয়েছিলো, কেন হয়েছিলো, এবং ভবিষ্যতে এ ধরণের সমস্যা এড়াতে করণীয়সমূহ তাকে জিজ্ঞেস করে জেনে নিতে হবে।
এক্ষেত্রে প্রথমে যে কোম্পানির নিকট থেকে এসিটি কেনা হয়েছিলো তাদেরকে কল করা উত্তম। তারা তাদের নিজস্ব পণ্যের ব্যাপারে জানে এবং একই ধরণের ত্রুটির সমাধান অন্যান্য গ্রাহকদেরও দিয়ে থাকে। তাই তাদের কাছ থেকে এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ও অভিজ্ঞ পরিষেবাটি পাওয়া যাবে। গ্যারান্টি ও পার্ট্স ওয়ারেন্টি থাকলে বিনামূল্যে সেবার ও পার্ট্স বদলে দেওয়া হবে। আর গ্যারান্টি-ওয়ারেন্টি না থাকলে সেবার জন্য নির্দিষ্ট ফি দিতে হবে।
তাছাড়া অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান থেকে প্রদত্ত টেকনিশিয়ানরা পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে থাকে। যন্ত্রের যে কোনও সমস্যার ব্যাপারে তারা স্বপ্রণোদিত হয়েই গ্রাহকদের যাবতীয় জিজ্ঞাসার জবাব দিয়ে থাকে।
শেষাংশ
গরমের শুরুতে এয়ার কন্ডিশনার চালনার আগে এই সতর্কতাগুলো অনুসরণ করা মানে নানা বিড়ম্বনা থেকে রেহাই পাওয়া। এসির বাইরের ও ভেতরের প্রতিটি সরঞ্জাম সূক্ষ্মভাবে পরিদর্শন করা অপরিহার্য। ডাক্ট ও ভেন্ট থেকে শুরু করে কম্প্রেসার পর্যন্ত যে কোনওটিতে কিঞ্চিত ত্রুটি পরবর্তীতে সমূহ ঝামেলার সৃষ্টি করতে পারে। সরঞ্জামগুলো পরিষ্কারের পর উৎকৃষ্ট উপায় হচ্ছে ফ্যান মুডে চালিয়ে একবার টেস্ট রান করে দেখা। উপরুন্তু, যান্ত্রিক বিষয়াদি নিয়ে সন্দেহের অবকাশ থাকলে পেশাদার টেকনিশিয়ানের সাহায্য নেওয়া উত্তম।
আরো পড়ুন: রাতে বাসে বা গণপরিবহনে নিরাপদে ভ্রমণে কিছু সতর্কতা
৩২ দিন আগে
স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত কে এই জামাল নজরুল
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল অবদানের কৃতিত্বস্বরূপ প্রতি বছরের মতো এবারও সাতজনকে স্বাধীনতা পদকের জন্য মনোনীত করেছে বাংলাদেশ সরকার। এই সাতজনের মধ্যে অন্যতম অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম।
২০২৫ সালে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগে স্বাধীনতা পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন জামাল নজরুল।
কে এই অধ্যাপক জামাল নজরুল
শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা পৃথিবীর প্রথম সারির পদার্থবিজ্ঞানীদের সঙ্গে সমস্বরে উচ্চারিত হয় জামাল নজরুলের নাম। বলা হয়ে থাকে, মৌলিক পদার্থবিজ্ঞানে জামাল নজরুলের মতো অবদান এ দেশের আর কোনো বিজ্ঞানীর নেই।
১৯৩৯ সালে বিচারক বাবার কর্মস্থল ঝিনাইদহে জন্ম নেওয়া এই বিজ্ঞানীর শিক্ষাজীবন শুরু হয় কলকাতায়। সেখান থেকে ফিরে কিছুদিন চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে পড়াশোনা করেন। পরে কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন শেষে উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান জামাল। সেখানে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন তিনি।
এই কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ই বদলে দিয়েছে জামালের জীবনকে। বিশ্বখ্যাত এই বিদ্যাপীঠে গণিত ট্রাইপজের তিন বছরের কোর্স দুই বছরে শেষ করেন তিনি। গণিত ও তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে পিএইচডির পাশাপাশি লাভ করেন ডক্টর অব সায়েন্স ডিগ্রি। বলা বাহুল্য, বিশ্বের হাতে গোনা কয়েকজন বিজ্ঞানী কেবল এই ডিগ্রি অর্জনের সম্মান লাভ করেছেন।
জামাল নজরুলের শিক্ষক, বন্ধু আর সহপাঠীদের নাম শুনলে চক্ষু ছানাবড়া হয়ে যেতে পারে কারও কারও।
কেমব্রিজে নজরুলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন বিশ্বখ্যাত পদার্থ ও মাহাকাশবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং। এছাড়া শিক্ষক ফ্রিম্যান ডাইসন, পদার্থবিজ্ঞানী রিচার্ড ফাইনম্যান, ভারতের সুব্রহ্মনিয়াম চন্দ্রশেখর, পাকিস্তানের আবদুস সালাম, ভারতীয় অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন ও অমিয় বাগচী, সহপাঠী জয়ন্ত নারলিকার, ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ জিম মার্লিস—এরা সবাই ছিলেন জামাল নজরুলের ঘনিষ্ঠজন ও শুভাকাঙ্ক্ষী।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন ৭ জন, প্রজ্ঞাপন জারি
১৯৮৩ সালে জামাল নজরুলের বিখ্যাত গবেষণা নিবন্ধ দ্য আল্টিমেট ফেইট অব দ্য ইউনিভার্স প্রকাশিত হলে কেমব্রিজ-পাড়ায় রীতিমতো সাড়া পড়ে যায়। এই গবেষণাকে বলা হয় আইনস্টাইন-পরবর্তী ধ্রুপদী ধারার সবচেয়ে সফল গবেষণার একটি।
কেমব্রিজে জামাল নজরুলের যখন জয় জয়কার, ঠিক তখনই এক মারাত্মক সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। বিদেশে তিন দশকের বিলাসী জীবন ছেড়ে বাংলাদেশে ফিরে আসেন প্রখ্যাত এ বিজ্ঞানী।
১৯৮৪ থেকে ২০১৩ সাল, জীবনের শেষ ২৯ বছর দেশের মানুষের কল্যাণে বিজ্ঞান সাধনা আর অধ্যাপনায় নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন তিনি। তার হাতেই গড়ে উঠেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক গণিত ও ভৌতবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট। ১৯৮৭ সালে এই বিভাগ উদ্বোধনে বাংলাদেশে এসেছিলেন নজরুলের প্রিয়জন পাকিস্তানের নোবেল বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী অধ্যাপক আব্দুস সালাম।
২০০৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অধ্যাপক হিসেবে অবসর গ্রহণের পরও ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে জামাল নজরুল আমৃত্যু সংযুক্ত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে।
বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সের স্বর্ণপদক, একুশে পদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পুরস্কারের পাশাপাশি এবার স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত এ মহান বিজ্ঞানীর জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন দেশের প্রতি উদার মমত্ববোধ আর দেশের মানুষের থেকে পাওয়া আকুণ্ঠ ভালোবাসা।
৩৩ দিন আগে
নিজের তৈরি উড়োজাহাজ নিয়ে উড়াল দিলেন জুলহাস
উড়োজাহাজ তৈরি করে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন মানিকগঞ্জের ষাইটঘর তেওতা এলাকার জুলহাস। নিজের তৈরি করা আরসি বিমানে আকাশে উড়াল দিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এই যুবক।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে জেলা প্রশাসক ড. মানেয়ার হোসেন মোল্লার উপস্থিতিতে যমুনার চরে বিমানটি নিয়ে ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৫০ ফুট উচ্চতায় ওড়েন জুলহাস। এ সময় বিরল এই ঘটনার সাক্ষী হতে সেখানে ভিড় জমান অসংখ্য মানুষ।
জুলহাসের বাড়ি দৌলতপুর উপজেলার বাঘুটিয়া এলাকায় হলেও নদীভাঙনে সব হারিয়ে তার পরিবার বর্তমানে শিবালয় উপজেলার ষাইটগর তেওতা এলাকায় বসবাস করছে। ৬ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে জুলহাস পঞ্চম।
জুলহাস ২০১৪ সালে জিয়নপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করলেও অর্থাভাবে পড়ালেখা আর চালিয়ে যেতে পারেননি তিনি। ২৮ বছরের এই তরুণ বর্তমানে ঢাকায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রির কাজ করছেন।
৪০ দিন আগে
পবিত্র রমজানে কোরআন তেলাওয়াত শোনার ১০ মোবাইল অ্যাপ
সিয়াম সাধনার মাসে প্রতিদিন কোরআন তেলাওয়াত শোনার মাধ্যমে প্রতিটি মুহূর্তে ইবাদতে মশগুল থাকা সম্ভব। রমজানের মাহাত্ম্য অর্জনের এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করা যেতে পারে স্মার্টফোনে কুরআন তেলাওয়াত শোনার মাধ্যমে। অ্যান্ড্রয়েড ও অ্যাপল উভয় প্ল্যাটফর্মের জন্যই রয়েছে দারুণ কিছু অ্যাপ— যেগুলো এই ইবাদতের জন্য সহায়ক হতে পারে। চলুন, স্মার্টফোনে কোরআন তেলাওয়াত শোনার শীর্ষ-রেটিংপ্রাপ্ত অ্যাপগুলো দেখে নেওয়া যাক।
রমজানে যে ১০টি মোবাইল অ্যাপ হতে পারে কোরআন তেলাওয়াত শোনার উৎকৃষ্ট উপায়
.
কোরআন মাজিদ (Quran Majeed - القران الكريم / Quran Majeed - Ramadan 2025)
গুগল প্লে স্টোরে ৪.৬-স্টার এবং অ্যাপেল অ্যাপ স্টোরে ৪.৮-স্টার রেটিংপ্রাপ্ত এই অ্যাপটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান পাকডাটা। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করা গেলেও প্রিমিয়াম ফিচারগুলোর জন্য ন্যূনতম ৮০ টাকা খরচ করতে হবে। অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের জন্য অ্যাপটির সাইজ ৮৩ এমবি (মেগাবাইট) এবং অ্যাপেল ডিভাইস বা আইওএস-এর জন্য ১১০.৭ এমবি।
‘Quran Majeed - Ramadan 2025’-এ আছে আব্দুর রাহমান আল-সুদাইসের মতো বিখ্যাত সব ক্বারিদের তেলাওয়াত। দেশ-বিদেশের নানান ধরণের ভাষার পাশাপাশি পুরো ইন্টারফেসটি বাংলাতে এবং অফলাইনে চালানো যাবে।
অ্যান্ড্রয়েড: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.pakdata.QuranMajeed
অ্যাপল: https://apps.apple.com/us/app/quran-majeed-ramadan-2025/id365557665
আরো পড়ুন: নারীর নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত সুরক্ষায় মোবাইল অ্যাপ
আল কোরআন (তাফসির অ্যান্ড বাই ওয়ার্ড) | Al Quran (Tafsir and By Word)
গ্রীন্টেক অ্যাপ্স ফাউন্ডেশনের সরবরাহ করা এই সেবাটি কেবল শোনার জন্য নয়, কোরআন অধ্যয়নের জন্যও উপযোগী। অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের জন্য জায়গা নিবে মাত্র ৪১ এমবি এবং আইওএস ডিভাইসের জন্য ২৬.২ এমবি।
সম্পূর্ণ ফ্রি অ্যাপটিতে আছে তাফসির ইবনে কাসির, তাজবীদ এবং বিভিন্ন ক্বারিদের তেলাওয়াতের অডিও— যেগুলো একাধিক ভাষায় অনুবাদকৃত। এর মধ্যে বাংলাও আছে।
‘Al Quran (Tafsir and By Word)’-এর গুগল প্লে স্টোরে সংগৃহীত রেটিং ৪.৮-স্টার এবং অ্যাপেল অ্যাপ স্টোরে ৪.৯-স্টার।
অ্যান্ড্রয়েড: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.greentech.quran&hl=en
অ্যাপল: https://apps.apple.com/us/app/al-quran-tafsir-by-word/id1437038111
আরো পড়ুন: ছোটদের বাংলা ভাষা শেখার ১০টি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ
তার্তিল - মেমোরাইজ কোরআন (Tarteel ترتيل - Memorize Quran)
পবিত্র কোরআনভিত্তিক অ্যাপ তার্তিলের বিশেষ দিক হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। সুরা সঠিক পদ্ধতি অনুসারে মুখস্ত করার জন্য এটি ব্যবহারকারীর উচ্চারণ শুনে তা যাচাই করতে পারে। এই কারণে অ্যাপটি তার্তিল এআই নামেও পরিচিত।
অ্যাপটি ডাউনলোড করার জন্য অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের ডিভাইসে জায়গা থাকতে হবে ন্যূনতম ১৬৩ এমবি। আর আইফোন ব্যবহারকারিদের প্রয়োজন হবে কমপক্ষে ২৩৩.২ এমবি স্টোরেজ। প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান তার্তিল ইনকরপোরেশন উদ্ভাবনী অ্যাপটিকে ফ্রিতে ডাউনলোডের সুযোগ দিচ্ছে।
এখন পর্যন্ত গুগল প্লে স্টোরে ‘Tarteel ترتيل - Memorize Quran’-এর রেটিং ৪.৭-স্টার, আর অ্যাপেলের অ্যাপ স্টোরে ৪.৮-স্টার।
অ্যান্ড্রয়েড: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.mmmoussa.iqra&hl=en
অ্যাপল: https://apps.apple.com/us/app/tarteel-%D8%AA%D8%B1%D8%AA%D9%8A%D9%84-ai-quran/id1391009396
আরো পড়ুন: কীভাবে জানবেন ঢাকার যানজটের সর্বশেষ অবস্থা?
মুসলিম প্রো: কোরআন আযান নামাজ / Muslim Pro: Prayer Times Qibla
অডিও তেলাওয়াত, নামাজের ওয়াক্তের নোটিফিকেশন, এবং কিবলার দিকনির্দেশ ফিচারের সমন্বয়ে পূর্ণাঙ্গ একটি অ্যাপ ‘Muslim Pro: Prayer Times Qibla’। বিটসমিডিয়া পিটিই লিমিটেডের তৈরি অ্যাপটিতে আরও রয়েছে বঙ্গানুবাদের সুবিধা।
এখন পর্যন্ত আইফোন ব্যবহারকারীদের নিকট থেকে অ্যাপের প্রাপ্ত রেটিং ৪.৭-স্টার এবং অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা দিয়েছে ৪.২ স্টার।
বিনামূল্যে ডাউনলোডের জন্য সরবরাহকৃত অ্যাপটির সাইজ আইফোনের জন্য ৩৯৭.৮ এমবি এবং অ্যান্ড্রয়েডের জন্য ৬৫ এমবি।
অ্যান্ড্রয়েড: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.bitsmedia.android.muslimpro&hl=en
অ্যাপল: https://apps.apple.com/us/app/muslim-pro-prayer-times-qibla/id388389451?platform=iphone
আরো পড়ুন: নতুন স্মার্টফোন কিনছেন, জেনে নিন সেটি আসলেই নতুন কিনা!
আয়াত - কোরআন অ্যাপ (Ayah - Quran App)
আইওএস সমর্থিত ডিভাইসে ১৮৮.৯ এমবি এবং অ্যান্ড্রয়েডে ১৪৫ এমবি সাইজের এই অ্যাপটি ডেভেলপ করেছে আয়াত অ্যাপ। এতে আছে একাধিক ক্বারির কণ্ঠে সবগুলো সুরার অডিও প্লেব্যাক, বঙ্গানুবাদ এবং তাফসির। আয়াত শোনার সময় বুকমার্ক করার ফিচারটির মাধ্যমে পরবর্তীতে কতটুকু শোনা হয়েছে তা বোঝা যায়।
অ্যাপল অ্যাপ এবং গুগল প্লে উভয় স্টোরে ‘Ayah - Quran App’-এর রেটিং ৪.৮-স্টার। সহজাত ইন্টারফেসের এই ডিজিটাল পণ্যটি স্টোরগুলো থেকে বিনামূল্যেই ডাউনলোড করা যাবে।
অ্যান্ড্রয়েড: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.ayah
অ্যাপল: https://apps.apple.com/us/app/ayah-quran-app/id706037876?platform=iphone
আরো পড়ুন: শিশুদের টিকটক আসক্তি: ঝুঁকি থেকে যেভাবে বাঁচবেন
ইসলাম৩৬০: কোরআন, হাদিস, ক্বিবলা (Islam360: Quran, Hadith, Qibla)
জাহিদ হোসেন চিহ্পা এবং ইসলাম৩৬০ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট নির্মিত এই অ্যাপটি সব ধরণের ডিভাইস ব্যবহারকারীদের জন্য ফ্রি। ডাউনলোড সাইজ অ্যান্ড্রয়েডের ক্ষেত্রে ১৮০ এমবি এবং আইফোনের জন্য ৬১১.৬ এমবি।
অ্যাপেল অ্যাপ স্টোর থেকে ‘Islam360: Quran, Hadith, Qibla’-এর অর্জিত রেটিং ৪.৯-স্টার আর অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের কাছে ৪.৮-স্টার। এতে একাধিক ভাষায় অনুবাদ, বিভিন্ন ক্বারিদের তেলাওয়াত, নামাজের ওয়াক্ত ও কিবলা দিকনির্দেশনার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে হাদিস সংকলন। এর কার্যকারিতার আরও একটি দিক হলো এর বুকমার্কিং এবং সার্চ ফিচার।
অ্যান্ড্রয়েড: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islam360
অ্যাপল: https://apps.apple.com/us/app/islam360-quran-hadith-qibla/id1006098149
আরো পড়ুন: লেখকদের সৃজনশীলতায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব: ব্যবহারের সুবিধা-অসুবিধা
এমপিথ্রি কোরআন (MP3 Quran القرآن الكريم)
অফলাইনে ইন্টারনেটের সাহায্য ছাড়াই ব্যবহারযোগ্য অ্যাপগুলোর মধ্যে এটি বেশ জনপ্রিয়। সহজ ইন্টার্ফেসের আওতায় এখানে উন্মুক্ত রয়েছে কোরআনের সবকটি সুরার অডিও লাইব্রেরি। এই সংগ্রহশালাকে সমৃদ্ধ করেছে বিশ্বজুড়ে খ্যাতিমান সব ক্বারিদের কণ্ঠ। এছাড়াও রয়েছে সার্চ, বুকমার্ক, ও স্লিপ টাইমারের ফিচার।
সম্পূর্ণ ফ্রি অ্যাপ ‘MP3 Quran القرآن الكريم’ সংরক্ষণের জন্য অ্যান্ড্রয়েড ফোনগুলোতে জায়গা থাকতে হবে ৪৬ এমবি এবং আইফোনে ১৫৪.৭ এমবি। ডিভাইস নির্বিশেষে সব ব্যবহারকারীরা অ্যাপটিকে ৪.৮-স্টার রেটিং দিয়েছে।
অ্যান্ড্রয়েড: https://play.google.com/store/apps/details?id=my.smartech.mp3quran
অ্যাপল: https://apps.apple.com/us/app/mp3quran/id533029431
আরো পড়ুন: ডিপসিক: এআইয়ের দুনিয়ায় চ্যাটজিপিটি ও জেমিনির লড়াকু প্রতিপক্ষ
আব্দুর রাহমান আল-সুদাইস - ফুল (Abdul Rahman Al-Sudais - Full)
বিশ্ববরেণ্য ক্বারি মক্কার পবিত্র মাসজিদুল হারামের ইমাম শেখ আবদুর রাহমান আল-সুদাইস। তার তেলাওয়াতকৃত সম্পূর্ণ কোরআনকে একীভূত করা হয়েছে এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে।
শুধু অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্মে বিনামূল্যে ব্যবহারের জন্য অ্যাপটি ডেভেলপ করেছে লাফ্জ অ্যাপ্স। ১২০ এমবির এই অ্যাপটি ইন্টারনেটের সংযোগ ছাড়াই চালানো যায়। এর ব্যাকগ্রাউন্ড প্লে ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ফোনের অন্যান্য অ্যাপ চালানোর সময়েও তেলাওয়াত শুনতে পারেন।
রিভিউদাতাদের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ‘Abdul Rahman Al-Sudais - Full’ অ্যাপ ৪.৮-স্টার রেটিং অর্জন করেছে।
অ্যান্ড্রয়েড: https://play.google.com/store/apps/details?id=rooh.apps.naaz.com.quran.al.sudais.offline
আরও পড়ুন: অনলাইন বই বাজার: ঘরে বসেই যে ১০ ওয়েবসাইট থেকে কিনতে পারেন পছন্দের বই
ফুল কোরআন শরীফ অফলাইন অ্যাপ (Full Quran Sharif Offline App)
অফলাইনে কোরআন পড়া ও শোনার জন্য আরও একটি কার্যকরি অ্যাপ ‘Full Quran Sharif Offline App’। কেবল অ্যান্ড্রয়েডের জন্য প্রযোজ্য ৪৯ এমবি সাইজের অ্যাপটি বানিয়েছে ডিকশনারী ওয়ার্ল্ড১১। ইতোমধ্যে ব্যবহারকারীদের নিকট থেকে বিনামূল্যে ডাউনলোডযোগ্য এই অ্যাপের সংগ্রহ ৪.৫-স্টার রেটিং।
অনলাইনে পরিচালিত অন্যান্য অ্যাপগুলোর মতো এতেও আছে বিখ্যাত সব ক্বারিদের তেলাওয়াত, একাধিক ভাষায় অনুবাদ, সার্চিং ও বুকমার্কিং ফিচার।
অ্যান্ড্রয়েড:
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.fullquransharif.quranpak.translation.qibladirection&hl=en&gl=US
আরো পড়ুন: এয়ার পিউরিফায়ার: প্রয়োজনীয়তা, দাম, জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ও নতুন মডেল
ইজি কোরআন এমপিথ্রি অডিও অফলাইন (Easy Quran Mp3 Audio Offline)
অফলাইন কোরআন শোনার এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মটি সংক্ষেপে ইজি কোরআন নামেও পরিচিত। মুসলিম ওয়ার্ল্ডঅ্যাপ নির্মিত অ্যাপটি এর সহজ ইন্টারফেসের জন্য ব্যাপকভাবে স্বীকৃত। ব্যবহারকারীদের পর্যালোচনায় মাত্র ৪২ এমবির অ্যাপটি ৪.৫-স্টার রেটিং পেয়েছে।
‘Easy Quran Mp3 Audio Offline’ অ্যাপ শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্মের জন্য এবং তা বিনামূল্যেই ডাউনলোড করা যায়। এটি একদম পৃথক আয়াত পর্যন্ত সার্চ করার সুবিধা দেয়। একই সঙ্গে বারবার শোনার জন্য অন্যান্য অ্যাপের তুলনায় বেশ সহজভাবে একই আয়াতের পুনরাবৃত্তি করা যায়।
অ্যান্ড্রয়েড:
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.muslimappassistant.Islampro.qiblafinder.quranprayerdua
আরো পড়ুন: ভিডিও গেম খেলে অর্থ উপার্জনের উপায়
পরিশিষ্ট
কোরআন তেলাওয়াত শোনার এই ১০টি মোবাইল অ্যাপ হচ্ছে সর্বাধিক ব্যবহৃত এবং স্টোরগুলোতে সর্বোচ্চ রেটিংপ্রাপ্ত। তন্মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে ‘ইসলাম৩৬০’ এবং ‘আল কোরআন (তাফসির অ্যান্ড বাই ওয়ার্ড)’, ডিভাইস ভেদে যেগুলোর রেটিং ৪.৮ থেকে ৪.৯। ‘আয়াত’, ‘এমপিথ্রি কোরআন’, এবং ‘আব্দুর রাহমান আল-সুদাইস - ফুল’ অ্যাপগুলোর প্রত্যেকটির অর্জন ৪.৮। ৪.৭ থেকে ৪.৮-এ রয়েছে ‘তার্তিল’, ৪.৬ থেকে ৪.৮-এ ‘কোরআন মাজিদ’, এবং ৪.২ থেকে ৪.৭-এ ‘মুসলিম প্রো’। সর্বনিম্ন ৪.৫ রেটিং সংগ্রহে থাকা অ্যাপ দুটি হচ্ছে ‘ফুল কুরআন শরীফ অফলাইন’ এবং ‘ইজি কুরআন এমপিথ্রি অডিও অফলাইন’।
এই ডিজিটাল সেবাগুলোর যেকোনোটি হতে পারে পুরো রমজান মাসে রোযাকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলার উৎকৃষ্ট উপায়।
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালে যে প্রযুক্তিগত দক্ষতাগুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকবে
৪৪ দিন আগে
বাংলাদেশসহ ১৪১টি দেশে যুক্তরাজ্যের ভিসার জন্য এআই চ্যাটবট চালু
যুক্তরাজ্যে ভ্রমণকারীদের জন্য গ্রাহক সেবা উন্নত করতে সম্প্রতি একটি নতুন জেনারেটিভ এআই-চালিত চ্যাটবট চালু করেছে ভিএফএস গ্লোবাল। ১৪১টি দেশের গ্রাহকদের উন্নত সেবা দিতে এই সেবা চালু করেছে সংস্থাটি।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ভিএফএস গ্লোবাল।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এআই চ্যাটবট প্রযুক্তি জার্মানি, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ভারতে অবস্থিত ভিএফএস গ্লোবালের এআই সেন্টারে তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশসহ ১৪১টি দেশে যুক্তরাজ্যের ভিসা গ্রাহকদের সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছে। জেনারেটিভ এআই-চালিত চ্যাটবটটি কথোপকথনে পারদর্শী, যা মানবসদৃশ কথোপকথন সেবা দিয়ে থাকে।
এটি ভয়েস এবং টেক্সট ইনপুটের মাধ্যমে কাজ করতে সক্ষম, যা নানা ধরনের সেবা গ্রহীতাকে কার্যকরভাবে সেবা দেয়। এটি টেক্সট ও ভয়েস কমান্ডের মাধ্যমেও কাজ করে।
আরও পড়ুন: অনলাইন বই বাজার: ঘরে বসেই যে ১০ ওয়েবসাইট থেকে কিনতে পারেন পছন্দের বই
যুক্তরাজ্যে ভ্রমণকারী গ্রাহকদের জন্য তাৎক্ষণিক, নির্ভুল ও সহজলভ্য তথ্য সরবরাহ করে থাকে এই চ্যাটবট।
কাস্টমার সার্ভিসেস গ্রুপ, ইউকে ভিসা অ্যান্ড ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তা জেন ভিডলার বলেছেন, ভিএফএস গ্লোবালের এআই-চালিত চ্যাটবটটি আমাদের ভিসা পরিষেবাগুলোকে আরও সহজ, কার্যকর ও সব ধরনের গ্রাহকের চাহিদা পূরণের প্রতিশ্রুতি হিসেবে চালু করা হয়েছে।
৪৬ দিন আগে
অনলাইন বই বাজার: ঘরে বসেই যে ১০ ওয়েবসাইট থেকে কিনতে পারেন পছন্দের বই
যানজট ঠেলে সময় ও শ্রম নষ্ট করে দোকানে যেয়ে বই কেনার দিন শেষ। নানান উপলক্ষ এমনকি বইপ্রেমিদের বৃহৎ উৎসব বইমেলার জন্যও আকর্ষণীয় পসরা সাজিয়ে বসে বই কেন্দ্রিক ই-কর্মাস সাইটগুলো। অন্যান্য পণ্যের মতো এখন অর্ডার করা কাগুজে বইও এসে হাজির হয় বাড়ির দোরগোড়ায়। চলুন, ঘরে বসে প্রিয় বইটি কেনার জন্য বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ কয়েকটি ওয়েবসাইটের ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
অনলাইনে বই কেনার জন্য সেরা ১০টি ওয়েবসাইট
.
রকমারি
সাইট লিঙ্ক: https://rokomari.com/
বর্তমান সময়ে বইয়ের অনলাইন স্টোরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত নাম রকমারি। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিস্তৃত পরিসরে সমৃদ্ধ এই ডিজিটাল সংগ্রহশালায় সার্বক্ষণিক আনাগোনা থাকে দেশীয় পাঠকদের।
আরো পড়ুন: ছোটদের বাংলা ভাষা শেখার ১০টি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ
এখানে বই অর্ডারের প্রক্রিয়া শুরু হয় অ্যাকাউন্ট তৈরির মধ্য দিয়ে। এক বা একাধিক পছন্দসই বই নিয়ে কার্ট তৈরি করে চেকআউট দিলেই সম্পন্ন হয় কাঙ্ক্ষিত অর্ডারটি। ব্যাংকিং সিস্টেম, মোবাইল গেটওয়ে, এবং ক্যাশ অন ডেলিভারিসহ দেশের প্রায় সব প্রচলিত পরিষেবা রয়েছে মূল্য পরিশোধের জন্য।
রকমারি বই ডেলিভারি সেবা ছড়িয়ে রয়েছে সারা দেশব্যাপী। ঢাকার মধ্যে হলে ডেলিভারিতে সময় লাগবে ২ থেকে ৩ দিন, আর বাইরে হলে ৩ থেকে ৫ দিন সময় নেয়। পণ্যের ধরন, পরিমাণ, ওজন এবং ডেলিভারি অবস্থানের উপর ভিত্তি করে শিপিং চার্জ ন্যূনতম ৪৮ টাকা থেকে শুরু হয়।
অফিসের ঠিকানা: ২/১/ই, ইডেন সেন্টার, আরামবাগ, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.rokomari
অ্যাপেল অ্যাপ: https://apps.apple.com/us/app/rokomari-trusted-online-store/id1493045502
আরো পড়ুন: অভ্র কি-বোর্ড: বাংলা ভাষার ডিজিটাল রূপান্তরে মেহেদী হাসান ও নেপথ্য কুশলীরা
পিবিএস
সাইট লিঙ্ক: https://pbs.com.bd
পাঞ্জেরি বুক শপ সংক্ষেপে পিবিএস অনেক আগে থেকে দেশের সর্বস্তরের পাঠকদের নিকট একটি স্বনামধন্য প্রকাশনা। প্রথমদিকে ছোট্ট বইয়ের দোকান থেকে শুরু করা এই প্রতিষ্ঠানের বর্তমানে অনলাইনে রয়েছে সরব উপস্থিতি। ওয়েবসাইটে নিবন্ধনের মাধ্যমে খুব সহজেই গ্রাহকরা তাদের কাঙ্ক্ষিত বইটির জন্য কার্ট তৈরি করতে পারেন। চেকআউট শেষে মোবাইল বা কম্পিউটারের মাধ্যমে ঘরে বসেই বইয়ের দাম পরিশোধ করা যায়। অগ্রিম পেমেন্টের পাশাপাশি আছে ক্যাশ অন ডেলিভারি ব্যবস্থা।
পিবিএস’র বই ডেলিভারি পরিষেবা সারা বাংলাদেশ জুড়ে বিস্তৃত। ডেলিভারি চার্জ, সময়সীমা পণ্যের পরিমাণ ও লোকেশন ভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে।
অফিসের ঠিকানা: ৪৩ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন সড়ক (পুরাতন ১৬ শান্তিনগর), ঢাকা-১২১৭
আরো পড়ুন: নতুন স্মার্টফোন কিনছেন, জেনে নিন সেটি আসলেই নতুন কিনা!
পাঠক সমাবেশ
সাইট লিঙ্ক: https://pathakshamabesh.com/
৩৮ বছরের পুরোনো সংগঠন পাঠক সমাবেশ এখন দেশি-বিদেশি বইয়ের একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম। এর মেম্বারশিপ থেকে শুরু করে যাবতীয় কার্যক্রম অনলাইনে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে গ্রাহকরা চাইলে সশরীরেও যেতে পারেন এর সুদৃশ্য লাইব্রেরিতে।
বর্তমানে কম্পিউটার এবং মোবাইল উভয় মাধ্যমেই পাঠক সমাবেশের জন্য নিবন্ধন পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। একই সঙ্গে বই ক্রয়, প্রি অর্ডার, পেমেন্ট, এবং মেম্বারশিপ সব কার্যকলাপ সম্পন্ন করা যায় এই অ্যাকাউন্টের অধীনে। এর বিষয়ভিত্তিক হেডার মেনু, ক্যাটাগরি, লেখক, এবং শিরোনামকেন্দ্রিক সার্চ অপশন গোটা ইন্টারফেসকে দিয়েছে সহজবোধ্যতা। এতে গ্রাহকরা সহজেই এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে চেকআউটের সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেন।
আরো পড়ুন: শিশুদের টিকটক আসক্তি: ঝুঁকি থেকে যেভাবে বাঁচবেন
পাঠক সমাবেশের সেবার পরিধি বিস্তৃত রয়েছে গোটা দেশে। অর্থপ্রদানের একাধিক বিকল্প রয়েছে, তবে ক্যাশ অন ডেলিভারি শুধুমাত্র ঢাকার জন্য প্রযোজ্য।
অফিসের ঠিকানা: পাঠক সমাবেশ প্রাইভেট লিমিটেড, বিল্ডিং নং ৪, ১ম তলা, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর (আজিজ মার্কেটের বিপরীতে) শাহবাগ, ঢাকা-১০০০
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.pathak.shamabesh
অ্যাপেল অ্যাপ: https://apps.apple.com/us/app/pathak-shamabesh/id1571038621
আরো পড়ুন: লেখকদের সৃজনশীলতায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব: ব্যবহারের সুবিধা-অসুবিধা
বই বাজার
সাইট লিঙ্ক: https://www.boibazar.com/
বৈচিত্র্যপূর্ণ সংগ্রহের দিক থেকে বই কেন্দ্রিক একটি প্রসিদ্ধ ই-কমার্স সাইট বই বাজার। যেকোনো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মতো এখানে গ্রাহকরা নিজেদের ই-মেইল বা মোবাইল নাম্বার দিয়ে সহজেই নিবন্ধন করতে পারেন।
কার্টে বই সংযুক্ত করা থেকে শুরু করে চেকআউট পর্যন্ত সার্বিক প্রক্রিয়া অত্যন্ত সাবলীল। অর্থপ্রদানের মাধ্যমগুলোর মধ্যে থেকে ক্রেতারা নিজের পছন্দ মতো পরিষেবাটি বেছে নিতে পারেন। এছাড়া বই বুঝে নিয়েও মূল্য পরিশোধের সুযোগ রয়েছে।
বই বাজার সমগ্র বাংলাদেশে হোম ডেলিভারি করে থাকে। বইয়ের ধরণ, পরিমাণ ও লোকেশনের উপর নির্ভর করে ডেলিভারি চার্জ এবং সময়সীমা কমবেশি হয়ে থাকে।
অফিসের ঠিকানা: লেভেল: ১৪, সাত্তারা সেন্টার ৩০/এ ভিআইপি রোড, নয়া পল্টন, ঢাকা-১০০০
আরো পড়ুন: ডিপসিক: এআইয়ের দুনিয়ায় চ্যাটজিপিটি ও জেমিনির লড়াকু প্রতিপক্ষ
বুকস ডট কম ডট বিডি
সাইট লিঙ্ক: https://books.com.bd
শুরুতে বই-মেলা ডট কম (boi-mela.com) হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলেও বর্তমানে এই সাইটটির ডোমেইন নাম বুকস ডট কম ডট বিডি। পাঠক, লেখক, ও প্রকাশকদের ভিন্ন ভিন্ন সাইটসহ এই অনলাইন লাইব্রেরিটি একটি সমন্বিত মঞ্চ। প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা অ্যাকাউন্ট সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে।
গ্রাহকরা তাদের কাঙ্ক্ষিত বইটি সার্চ করে খুঁজে বের করে শপিং কার্টে যুক্ত করতে পারেন। কার্ট চূড়ান্ত হলে চেকআউটের পর ডেলিভারি এবং অর্থপ্রদানের জন্য বিশদ তথ্য প্রদান করতে হয়। অগ্রিম ও ক্যাশ অন ডেলিভারি উভয় পদ্ধতিতেই মূল্য পরিশোধের সুযোগ আছে। তবে উভয় ক্ষেত্রেই ঘরে বসেই পরিশোধ করা যায়।
নির্দিষ্ট চার্জের বিনিময়ে বুকস ডট কম ডট বিডি সারা দেশে হোম ডেলিভারি সেবা প্রদান করে। ঢাকার ভেতরে ও বাইরের অঞ্চলভেদে ডেলিভারি চার্জ এবং সময়সীমার মধ্যে তারতম্য হয়ে থাকে।
অফিসের ঠিকানা: নোয়াখালী টাওয়ার, ৯/সি (৮ম তলা), ৫৫/বি পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০
আরো পড়ুন: কীভাবে জানবেন ঢাকার যানজটের সর্বশেষ অবস্থা?
বাতিঘর
সাইট লিঙ্ক: https://baatighar.com
বাংলাদেশের বইপ্রেমিদের নিকট প্রিয় একটি গন্তব্য এই বাতিঘর। অফলাইনের মতো অনলাইনেও রয়েছে এর ব্যাপক পরিচিতি।
ইন্টারফেস যথেষ্ট সুবিধাজনক হওয়ায় গ্রাহকরা লেখক ও জনরা ভেদে বই অনুসন্ধানের সুযোগ পান। নিজস্ব অ্যাকাউন্ট পরিচালনার ব্যবস্থা থাকায় কার্ট থেকে চেকআউট পর্যন্ত পুরো অর্ডার পদ্ধতিতে কোনো জটিলতার অবকাশ থাকে না।
ডেলিভারি পেয়ে ক্যাশ দেওয়াসহ অর্থ পরিশোধের জন্য বিভিন্ন ধরণের মোবাইল ও ব্যাংকিং সেবা সংযুক্ত আছে। ফলে মূল্য পরিশোধ নিয়ে কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় না।
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত হোম ডেলিভারি চালু রাখায় বাতিঘর এখন সর্বস্তরের পাঠককের কাছে একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান। ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, সিলেট, ও রাজশাহীতে এর শাখা রয়েছে।
হেড অফিসের ঠিকানাঃ সপ্তম তলা, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ভবন, ১৭ ময়মনসিংহ রোড/বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র গোলি, ঢাকা-১২০৫
আরো পড়ুন: ভিডিও গেম খেলে অর্থ উপার্জনের উপায়
ওয়াফিলাইফ
সাইট লিঙ্ক: https://www.wafilife.com
ইসলামী বইয়ের এক অনন্য ডিজিটাল সংগ্রহশালা ওয়াফিলাইফ। দেশের প্রথম সারির বই ভিত্তিক অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোর মতো এতেও রয়েছে অত্যাধুনিক ফিচার। এর মধ্যে জনরা ভিত্তিক মেনু ও সার্চ সিস্টেম, পছন্দনীয় লিস্ট, অ্যাকাউন্ট, শপিং কার্ট এবং একাধিক পেমেন্ট সিস্টেম অন্যতম।
মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে অগ্রিম এবং ক্যাশ অন ডেলিভারি উভয় সুবিধাই দেওয়া হয়। অ্যাকাউন্ট, বই সার্চ, এবং অর্ডারের প্রক্রিয়া মোবাইল থেকেও সম্পন্ন করা যায়।
ঢাকা ও ঢাকার বাইরে সর্বত্র ওয়াফিলাইফের হোম ডেলিভারি সেবা রয়েছে।
অফিসের ঠিকানা: বাড়ি ৩১০, রোড ২১, মহাখালী ডিওএইচএস, ঢাকা-১২০৬
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.wafilife.app&utm_source=website
আরো পড়ুন: এয়ার পিউরিফায়ার: প্রয়োজনীয়তা, দাম, জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ও নতুন মডেল
ই-বইঘর
সাইট লিঙ্ক: https://eboighar.com
শিক্ষাগত ও কর্মজীবনের সকল গুরুত্বপূর্ণ বইয়ের জন্য ওয়ান-স্টপ-পয়েন্ট বলা যেতে পারে ই-বইঘরকে। সাধারণ সার্চ ফিচার ছাড়াও এতে রয়েছে লেখক ও পাবলিশার সহ বিভিন্ন ক্যাটাগরি ভিত্তিক মেনু। পৃথক অ্যাকাউন্টের ব্যবস্থা ইতিপূর্বে অর্ডারকৃত বইগুলো পুনরায় কেনার জন্য নতুন করে খুঁজে বের করতে হয় না।
তাছাড়া সহজাত ইন্টারফেস নিয়মিত কার্ট পরিচালনা, চেকআউট, এবং অর্থ পরিশোধের পদক্ষেপগুলোকে ঝামেলাহীন করে তুলেছে।
ই-বইঘরের সেবার পরিধি সারা দেশে বিস্তৃত এবং সব অঞ্চলের গ্রাহকরাই ডেলিভারি পরবর্তী অথবা অগ্রিম পেমেন্টের সুবিধা পান।
অফিসের ঠিকানা: ২১৫/এ আউটার সার্কুলার রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭
আরো পড়ুন: ২০২৫ সালে যে প্রযুক্তিগত দক্ষতাগুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকবে
দারাজ বুকস অ্যান্ড ম্যাগাজিন্স
সাইট লিঙ্ক: https://www.daraz.com.bd/books-magazines
দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম দারাজও দীর্ঘ দিন ধরে বইপ্রেমিদের আস্থার জায়গা তৈরি করেছে। কম্পিউটারের জন্য এর ওয়েব ভার্সন এবং মোবাইল অ্যাপ দুটোতেই সমানভাবে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে গ্রাহকরা। তাই অ্যাকাউন্ট তৈরি, কার্ট সম্পাদনা, এবং অর্থ পরিশোধ; কোনো ক্ষেত্রেই তেমন ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয় না। এরপরেও কোনো কিছু বুঝতে সমস্যা হলে ‘দাজ’ (Daz) নামক চ্যাটবটের সাহায্য নেওয়া যায়।
বিশেষ করে কেনার আগে নির্দিষ্ট বইটির জন্য প্রয়োজনীয় রিভিউ দেখার ক্ষেত্রে এই সাইটের জুড়ি মেলা ভার। ডেলিভারি হাতে পেয়ে মূল্য পরিশোধসহ বিভিন্ন ধরণের অর্থ পরিশোধের পদ্ধতির সঙ্গে রয়েছে বৈচিত্র্যপূর্ণ ডেলিভারি সেটিং। দারাজের সেবার ব্যাপ্তি ছড়িয়ে রয়েছে দেশের প্রতিটি প্রান্তে।
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.daraz.android
অ্যাপেল অ্যাপ: https://apps.apple.com/gb/app/daraz-online-shopping-app/id978058048
আরো পড়ুন: আইফোন চুরি প্রতিরোধে অ্যাপলের গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা
বুক হাউস
সাইট লিঙ্ক: https://bookhousebd.com
বয়স ও পেশা নির্বিশেষে সব ধরণের পাঠকদের কাছে প্রিয় ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে অন্যতম এই বুক হাউস। বই কেনাবেচার ক্ষেত্রে দেশের প্রসিদ্ধ অনলাইন সাইটগুলোর মতো এর ইন্টারফেসও যথেষ্ট সহজবোধ্য। অর্ডারের সঙ্গে সম্পর্কিত অ্যাকাউন্ট, শপিং কার্ট, চেকআউট, ডেলিভারি ও পেমেন্ট-সংক্রান্ত তথ্য প্রদান প্রতিটি বিষয় বেশ নিরবচ্ছিন্ন।
বুক হাউসের সেবার পরিব্যাপ্তি দেশ জুড়ে বিস্তৃত। শিপমেন্ট ব্যবস্থায় একাধিক অপশন না থাকলেও বিভিন্ন ধরণের পেমেন্ট ক্যাটাগরির সুবিধা প্রত্যেক অঞ্চলের গ্রাহকরাই পেয়ে থাকেন।
অফিসের ঠিকানা: প্রীতম ভবন, ২১৫, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, নিচতলা, রুম নং: ৩২-৩৬, (পুরানা পল্টন), ঢাকা-১০০০
আরো পড়ুন: টপ লোড বনাম ফ্রন্ট লোড ওয়াশিং মেশিন: জেনে নিন সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ
পরিশিষ্ট
অনলাইনে বই কেনার জন্য এই ১০টি ওয়েবসাইট পাঠকদের বই বিপণীর বিড়ম্বনাকে কমিয়েছে। এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে ইতোপূর্বে স্বনামধন্য এবং সাহিত্যানুরাগীদের প্রিয় গন্তব্য ‘পিবিএস’ পাঠক সমাবেশ, এবং ‘বাতিঘর’। অনলাইন বই বিপণীর এই বিপ্লবে ‘রকমারি’র সহযোদ্ধারা হলো ‘বুক্স ডট কম ডট বিডি’, ‘বই বাজার’, এবং ‘ই-বইঘর’। পাশাপাশি দ্রুত সময়ের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা ডিজিটাল স্টোরগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘ওয়াফিলাইফ’ এবং ‘বুক হাউস’। এমনকি দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স সাইট ‘দারাজ’ও সমান আস্থা নিয়ে বইপ্রেমিদের চাহিদা পূরণ করে আসছে। সামগ্রিকভাবে এই প্ল্যাটফর্মগুলো বাংলাদেশিদের বইপ্রীতি বাড়াতে ব্যাপক অবদান রাখছে।
আরো পড়ুন: রয়্যাল এনফিল্ড ৩৫০ সিসির নতুন চারটি মোটরবাইক মডেলের আকর্ষণীয় সব ফিচার
৪৮ দিন আগে
স্টারলিংকের ২৩ ইন্টারনেট স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ
যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি মহাকাশ কোম্পানি স্পেসএক্স ২৩টি স্টারলিংক স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠিয়েছে। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) স্যাটেলাইটগুলো উৎক্ষেপণ করা হয়।
স্পেসএক্স জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ১৯ মিনিটে ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশন থেকে ফ্যালকন ৯ রকেটে করে স্যাটেলাইটগুলো উৎক্ষেপণ করা হয়।
এটি ছিল ফ্যালকন ৯ রকেটের ৪৫০তম মিশন।
আরও পড়ুন: পৃথিবীতে ফিরছেন মহাকাশে আটকে পড়া সেই দুই নভোচারী
স্পেসএক্স পরে ২৩টি স্টারলিংক স্যাটেলাইট স্থাপনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এসব স্যাটেলাইটের মধ্যে ১৩টির ডিরেক্ট টু কল সক্ষমতা রয়েছে।
স্পেসএক্সের মতে, স্টারলিংক এমন জায়গাগুলোতে উচ্চ-গতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সরবরাহ করবে যেখানে অ্যাক্সেস অনির্ভরযোগ্য, ব্যয়বহুল বা সম্পূর্ণ অকার্যকর।
৫১ দিন আগে