সারাদেশ
রাজশাহীর পুলিশ লাইন্সে কনস্টেবলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
রাজশাহীর জেলা পুলিশ লাইন্সের একটি ব্যারাকসংলগ্ন শৌচাগার থেকে এক কনস্টেবলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (২০ এপ্রিল) সকালে শৌচাগারে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় মাসুদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের নাম মাসুদ রানা (৩৪)। তিনি নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার পাঁচশিশা গ্রামের বাসিন্দা এবং বাগমারা থানার যোগীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত ছিলেন।
আজ সকালে শৌচাগারে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় মাসুদের লাশ দেখতে পান পুলিশ সদস্যরা। তিনি চিকিৎসার জন্য সম্প্রতি বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে আসেন এবং জেলা পুলিশ লাইন্সের একটি ব্যারাকে অবস্থান করছিলেন।
রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম জানান, মাসুদ নিজের পরনের প্যান্ট দিয়ে শৌচাগারের এগজাস্ট ফ্যানের গ্রিলের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেন। ধারণা করা হচ্ছে, রাতের কোনো এক সময় তিনি আত্মহত্যা করেন।
আরও পড়ুন: নলছিটিতে একই গাছ থেকে ঝুলন্ত মা-ছেলের লাশ উদ্ধার
সকাল থেকে লাশ ঘটনাস্থলে থাকলেও সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে দুপুর দেড়টার দিকে তা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম জানান, মাসুদ রানা পারিবারিক টানাপড়েনের মধ্যে ছিলেন। স্ত্রীর সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
৪ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে জাহাজ থেকে পড়ে নাবিক নিখোঁজ
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে জাহাজ থেকে পা পিছলে পড়ে নিখোঁজ হয়েছেন দুলাল মিয়া নামের এক নাবিক। শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কর্ণফুলী নদীর বিএফডিসি ১ নম্বর জেটি থেকে জাহাজে ওঠার সময় এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ দুলাল নোয়াখালীর চরজব্বার থানার আবদুর রবের ছেলে। তিনি মাছ ধরার জাহাজ এফভি পারটেক্স-১ এ কর্মরত ছিলেন।
জানা যায়, রাতে বিএফডিসি ১ নম্বর জেটি থেকে এফভি পারটেক্স-১ জাহাজে ওঠার সময় অসাবধানতাবশত দুই জাহাজের ফাঁকে কর্ণফুলী নদীতে পড়ে যান ফিশ মাস্টার দুলাল মিয়া।
আরও পড়ুন: কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পের লোকসান কমাতে কাজ করছি: উপদেষ্টা ফাওজুল
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি, কোস্টগার্ড ও সদরঘাট নৌ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালায়।
তবে রবিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর পর্যন্ত ওই নাবিকের সন্ধান মেলেনি।
সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরাম উল্লাহ জানান, এক নাবিক জাহাজে ওঠার সময় নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয়েছেন। তার খোঁজে অভিযান চলছে।
৫ ঘণ্টা আগে
চাঁদপুরে মধ্যরাতের আগুনে পুড়ল ১১ দোকান, আহত ১০
চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের বহরিয়া বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ১১টি দোকান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন স্থানীয় বাসিন্দা।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চাঁদপুর (উত্তর) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক সৈয়দ মুহাম্মদ মোরশেদ হোসেন বলেন, খবর পাওয়া মাত্র দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আমিসহ আমাদের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে, তা এখনো সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট র্সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
বাজারের ব্যবসায়ীরা ইউএনবিকে জানান, কাপড়ের দোকান, খাবার হোটেল, স্বর্ণের দোকান, মাইক ও ব্যাটারি দোকান, টেইলার্স দোকানসহ ১১টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
তারা আরও বলেন, প্রথমে একজন সিএনজির ড্রাইভার দেখে বাজারে আগুন লেগেছে। পরে আমরা বাজারে আগুন লাগার বিষয়টি মাইকিং করি। এছাড়াও আমি সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দেই। পরে তারা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: নরসিংদীর দুই বাজারে আগুনে ছাই ২২ দোকান
চাঁদপুর পুরানবাজারের চাঁদপুর (দক্ষিণ) ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. সামছুল আলম ইউএনবিকে বলেন, আগুন লাগার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফরিদগঞ্জের ১টিসহ চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে। কাঠের দোকান, ফার্নিচার, ওষুধ, কাপড়ের দোকান ও স্বর্ণের দোকানসহ মোট ১১টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করার পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়ে দ্রুত আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে মালামাল ও টাকা পয়সাসহ সব ছাই হয়ে যায়।
এতে প্রায় কোটি টাকার মালামাল ও মূল্যবান সম্পদের ক্ষতি হয়েছে জানান ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।
৮ ঘণ্টা আগে
সিলেটে গাছ থেকে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সিলেটে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় হাকিম মিয়া নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে নগরীর মিরাপাড়া এলাকা থেকে ঐ যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
হাকিম মিয়া (৩৫) মিরাপাড়া এলাকার আবুল বাশারের ছেলে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহপরান (রহ.) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন।
তিনি জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করেছি। শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। লাশ ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
চুয়াডাঙ্গায় রেললাইনে কাটাপড়ে প্রাণ গেল যুবকের
চুয়াডাঙ্গা শহরের ঘোড়ামারা ব্রিজ এলাকায় রেললাইনে কাটা পড়ে মিনাল (২২) নামের এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক মারা গেছেন।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে খুলনাগামী রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
নিহত মিনাল চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ইসলামপাড়ার বাসিন্দা ও মৃত মিন্টু মিয়ার ছেলে।
চুয়াডাঙ্গা জিআরপি থানার ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) জগদীশ চন্দ্র বসু জানান, চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনটি চুয়াডাঙ্গা শহরের ঘোড়ামারা ব্রিজের ‘দশ পকেট’ এলাকায় পৌঁছালে মিনাল ট্রেনের নিচে কাটা পড়েন। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, লাশের সুরতহাল শেষে থানা ফাঁড়িতে নেওয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
১০ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের ড্রেনে নিখোঁজ শিশুর লাশ চাকতাই খাল থেকে উদ্ধার
চট্টগ্রামে রিকশা উল্টে সড়কের পাশের ড্রেনে পড়ে যাওয়ার ১৫ ঘণ্টা পরচাকতাই খাল থেকে ৬ মাস বয়সী এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিখোঁজ হওয়া স্থানের চার কিলোমিটার দূরে শনিবার স্থানীয়রা শিশু শেরিশের লাশ দেখতে পায় বলে জানায় পুলিশ।
ফায়ার সার্ভিসের সহকারীঢ পরিচালক আনোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা লাশটি উদ্ধার করেছে।
এর আগে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাতে নগরীর চকবাজারের কাপাসগোলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অটোরিকশায় থাকা ওই শিশুর মাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে রিকশা উল্টে নালায় শিশু নিখোঁজ
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে দ্রত সেখানে যান মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি উদ্ধার অভিযানে নির্দেশনা দেন।
মেয়র বলেন, শিশুটিকে উদ্ধারই প্রধান কাজ। ফায়ার সার্ভিস, ডুবুরি দল ও চসিকের পরিচ্ছন্নকর্মীরা কাজ করছেন। রিকশাযাত্রী মায়ের কোল থেকে ছয় মাসের শিশু নালায় ছিটকে পড়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। তখন পানিতে স্রোত ছিল।
১ দিন আগে
সুন্দরবনে করিম বাহিনীর ২ সহযোগী আটক, অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার
সুন্দরবনে কোস্ট গার্ডের অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ করিম শরীফ বাহিনীর দুই সহযোগীকে আটক করা হয়েছে। কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাতে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ১৭ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় সুন্দরবনের আদাচাই ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায় দুর্ধর্ষ ডাকাত করিম শরীফ বাহিনী তার দলবল নিয়ে অবস্থান করছে। পরে মধ্যরাতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বেইস মোংলা ও নৌবাহিনীর সমন্বয়ে ওই এলাকায় একটি যৌথ অভিযান চালিয়ে দুর্ধর্ষ ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর সহযোগী মো. আল আমিনকে একটি একনলা বন্দুক, এক রাউন্ড তাজা গোলা ও ৬ রাউন্ড ফাঁকা কার্তুজসহ আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: মেঘনায় জলদস্যুর দুদলের বন্দুকযুদ্ধে নিহত ২
পরে আটকদের জিজ্ঞেসাবাদের মাধ্যমে খুলনা হতে পুলিশ এবং কোস্ট গার্ডের সমন্বয়ে করিম শরীফ বাহিনীর আরেক সহযোগী রেজাউল গাজী বাবুকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন যাবৎ দুর্ধর্ষ ডাকাত করিম শরীফ এর সঙ্গে ডাকাতি এবং ডাকাত দলকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও রসদ দিয়ে সহযোগিতা করছে বলে জানা যায়।
উদ্ধার অবৈধ অস্ত্র ও অন্যান্য মালামালসহ আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।
১ দিন আগে
মানিকগঞ্জে শরীরে ভুল রক্ত পুশ করায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ
মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক রোগীর শরীরে ভুল রক্ত পুশ করায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকাল ৪টার দিকে ভুল করে ‘বি’ পজিটিভ রক্ত পুশ করার পর রাত ১০টার দিকে রোগীর মৃত্যু হয় অভিযোগ করছে স্বজনরা।
ভুক্তভোগী রোগী বিল্লাল হোসেন মানিকগঞ্জ সদর উপজেরার খাগড়াকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা। গত বুধবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে তিনি মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।
রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় গত বুধবার সকাল ১০টার দিকে তাকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসাধীন বিল্লাল হোসেনের শরীরে ‘ও+’ (পজিটিভ) রক্তের পরিবর্তে ‘বি+’ (পজিটিভ) রক্ত পুশ করার পর তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ
রোগীর স্বজনরা জানায়, হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংক থেকে আমাদের কাছে ভুল রক্ত দেওয়া হয়েছে। আমরা সেটি এনে নার্সের কাছে দেওয়ার পর নার্সরা বলে ডাক্তারের অর্ডারপত্র লাগবে। চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পর রক্ত দেখে অনুমতি পত্র দিয়েছেন। এরপর নার্সরা রোগীর শরীরে সেটি পুশ করেছে। এরপর থেকেই রোগীর সারা শরীর ঠান্ডা হয়ে যায়। আমরা তখনও বুঝিনি যে রোগীকে ভুল রক্ত দেওয়া হয়েছে। পরে বাইরের একজন লোক দেখে আমাদের বলে রোগীকে ভুল রক্ত দেওয়া হচ্ছে। এরপর আমরা হাসপাতালের নার্স ও চিকিৎসকদের অনেক ডাকাডাকি করলেও তারা এসে রোগীর কোনো চিকিৎসা দেয়নি। তারা তড়িঘড়ি করে সেই রক্তের ব্যাগ ও রক্ত সংক্রান্ত কাগজপত্র নিয়ে চলে যায়। পরে রাত ৮টার দিকে আরেকজন চিকিৎসক এসে আমাদের রোগীকে ঢাকায় নিয়ে যেতে বলে। আমরা বলেছি, রোগীকে ঢাকায় নেওয়ার মতো অবস্থা আমাদের নেই। এটা একটা সরকারি মেডিকেল কলেজ, আমাদের রোগীর চিকিৎসা এখানেই করেন। তারপর তারা রোগীকে আর কোনো চিকিৎসা দেয়নি। আপনারা আসার পর হাসপাতালের লোকজন রোগী নিয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু করেছে। আপনারা আসার আগে আমাদের কথা তারা আমলেই নেয়নি।
বিষয়টি নিয়ে মানিকগঞ্জ মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ইশতিয়াক আহমেদ জানান, বিকাল ৪টার দিকে ডিউটিতে ছিলেন ইন্টার্ন চিকিৎসক ঐশি ও মেডিকেল অফিসার ডা. নূরজাহান। সেসময় রোগীর শরীরে ‘ও’ পজিটিভ রক্তের পরিবর্তে ‘বি’ পজিটিভ রক্ত পুশ করা হয়েছে। এরপর থেকেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। আমি রাত ৮টায় ডিউটি শুরু করেছি। আমি ডিউটি শুরু করার পর যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করেছি। এরপরও রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও বলেন, রোগীর শরীরে খুব বেশি রক্ত যায়নি। তবে কাগজপত্র না দেখে রক্ত পুশ করা ঠিক হয়নি। এটি একটি মারাত্মক ভুল। রোগীর মৃত্যু সনদে মৃত্যুর কারণ উল্লেখ করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ওই চিকিৎসক বলেন, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা উল্লেখ করা হয়েছে। ভুল রক্ত পুশ করার বিষয়টি উল্লেখ না করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এটি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসক ঐশি ও কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নূরজাহানকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
১ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ১২ কেজি রূপার গয়না জব্দ
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী মুন্সীপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ভারতে তৈরি ১২ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের রূপার গয়না উদ্ধার করেছে বিজিবি।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাতে রূপার তৈরি গয়নাগুলো উদ্ধার করা হয়। জব্দ করা গয়নার আনুমানিক বাজারমূল্য ২৭ লাখ ১৯ হাজার ৪৭০ টাকা।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হাসান জানান, মুন্সীপুর সরদার পাড়া সীমান্ত দিয়ে চোরাকারবারীরা ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচারের চেষ্টার সময় রূপার গয়নাগুলো জব্দ করা হয়। স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো ২১টি প্যাকেটে ছিল এসব গয়না, যার ওজন ১২ কেজি ২০০ গ্রাম। জব্দ করা গয়নার আনুমানিক বাজারমূল্য ২৭ লাখ ১৯ হাজার ৪৭০ টাকা।
আরও পড়ুন: ছাতক সীমান্তে ভারতীয় ৬৫ দুম্বা ও ছাগল জব্দ
এ ঘটনায় সুবেদার আবুল বাশার বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করেছেন। জব্দ করা রূপার গয়নাগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়া হবে।
১ দিন আগে
সিলেটে সিএনজি ছিনতাই চক্রের ৮ সদস্য গ্রেপ্তার
যাত্রীবেশে সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া নিতো তারা। পরে সুযোগ বুঝে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যেতো। অবশেষে এই চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- উপশহর এলাকার বাসিন্দা এবং কানাইঘাট তালবাড়ী খারপাড় এলাকার বাবুল আহমেদের ছেলে মো. সাইফুল (২৮), কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম গ্রামের আব্দুল মোতালেবের ছেলে মো. নাঈম (২৪), মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার মুসলিমবাগ গ্রামের সামান আলীর ছেলে মো. শওকত (২৮), সিলেট নগরীর বালুচর এলাকার কাদির মিয়ার ছেলে আলী হোসেন ওরফে মাইল্লা (৩২), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর থানার শ্রীঘর গ্রামের সালেক উদ্দিনের ছেলে সাদিউর রহমান সোহেল (২৮), একই গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে মো. শুভ মিয়া (২২), হবিগঞ্জের লাখাইয়ের হরিনাকোনা গ্রামের নুরুল হকের ছেলে মোবাশ্বির আহমদ (২৪) এবং বুল্লা গ্রামের টিটু মিয়ার ছেলে এখলাছ (২৫)।
আরও পড়ুন: সিলেটে যুবককে খুন করে টাকা ও মোটরসাইকেল ‘ছিনতাই’
এতে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত সিএনজি অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়েছে। ওই অটোরিকশার মালিক এয়ারপোর্ট থানার মেঘালয় চা বাগান এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে তজন মিয়া।
পুলিশ জানায়, গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় নগরীর মেজরটিলা বাজার এলাকা হতে যাত্রীবেশে ৫ জন তজন মিয়ার সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করে দলদলি চা-বাগান এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে তারা ধারালো ছুরি দিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করে অটোরিকশা, একটি বাটন ফোন, নগদ ২ হাজার টাকা, রুপার চেইন, গাড়ির মূল কাগজপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ৩০ ডিসেম্বর এয়ারপোর্ট থানায় মামলা করেন তজন মিয়া।
মামলার পর চক্রটিকে ধরতে অভিযানে নামে পুলিশ। তবে ঘটনার পর আসামিরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় একের পর এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানায়, গত ২০ মার্চ প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয় সাইফুলকে। পরে তার মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে দীর্ঘ একমাস দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের সক্রিয় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে।
১ দিন আগে