ব্যবসা-বাণিজ্য
মূল্যস্ফীতি রোধে নীতি সুদহার ১০ শতাংশ বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
বাজার থেকে অতিরিক্ত তারল্য তুলে নিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ হিসেবে আবারও নীতি সুদহার বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে, যা আগামী ২৭ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: বেক্সিমকো গ্রুপে রিসিভার হলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ইডি
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ৫০ শতাংশ পয়েন্ট বাড়িয়ে নীতি সুদহার (রেপো রেট) ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে সংশোধন করে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে যে অর্থ ঋণ নেবে, তার সুদের হার বাড়বে।
সাধারণত, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো প্রাথমিকভাবে মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলা এবং অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার জন্য নীতি সুদহার বাড়ায়। সুদের হার বাড়ানোর মাধ্যমে, ঋণের ব্যয়ও বাড়বে, যা ভোক্তাদের ব্যয় এবং বিনিয়োগ হ্রাস করে, শেষ পর্যন্ত মুদ্রাস্ফীতি কমাতে সহায়তা করে।
বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো দ্রুত বাড়তে থাকা মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলায় আর্থিক নীতিগুলো কঠোর করছে। এই পদক্ষেপটিও একটি বৃহত্তর প্রবণতাকে অনুসরণ করে নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পলিসি ইন্টারেস্ট করিডোরে স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটি (এসএলএফ) সুদের হারের ঊর্ধ্বসীমা ১১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১১ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হয়েছে।
এছাড়া পলিসি ইন্টারেস্ট করিডোরের স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি (এসডিএফ) সুদের হারের নিম্ন সীমা ৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৮ বেসিস পয়েন্ট করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা বাড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা জারি
শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্য আমদানি নীতিমালা শিথিল করল বাংলাদেশ ব্যাংক
৪ দিন আগে
এলএনজি প্রকল্পে বাংলাদেশের খরচ হবে ৫০ বিলিয়ন ডলার: রিপোর্ট
ধরা, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, মার্কেট ফোর্সেস এক প্রতিবেদনে বলেছে, নতুন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) বিদ্যুৎ প্রকল্প এবং আমদানি টার্মিনাল উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আনুমানিক ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি হতে পারে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এবং ধরা’র উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার এর সভাপতিত্বে এবং ধরা’র সদস্য সচিব শরীফ জামিলের সঞ্চালনায় প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন মার্কেট ফোর্সেসের এশিয়া অ্যানার্জি অ্যানালিস্ট মুনিরা চৌধুরী।
এতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মোশাহিদা সুলতানা, ইন্সটিটিউট ফর এনার্জি ইকোনোমিকস অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিসের এনার্জি ফর বাংলাদেশের লিড অ্যানালিস্ট শফিকুল আলম, মার্কেট ফোর্সেস’র এশিয়া এনার্জি ফাইন্যান্স ক্যাম্পেইনার মেগু ফুকুজাওয়া এবং থ্রিফিফটি ডট ওআরজি (350.org) সাউথ এশিয়ার মোবিলাইজেশন কো-অর্ডিনেটর আমানুল্লাহ পরাগ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: শিগগিরই আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেটের এলএনজি সরবরাহকারীদের তালিকা করবে পেট্রোবাংলা
প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, নতুন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) প্রকল্প এবং আমদানি টার্মিনালগুলোর জন্য বাংলাদেশকে প্রায় ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করতে হবে। এই প্রকল্পগুলোর কারণে দেশের অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়বে। একই সঙ্গে দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব যেমন বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে লাখ লাখ মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্মুখীন হবে।
এতে বলা হয়, বর্তমানে, বাংলাদেশের জনগণ বিদ্যুৎ খরচের চাপে রয়েছে। ব্যয়বহুল আমদানি করা এলএনজি’র ওপর নির্ভরতা অব্যাহত থাকলে এ পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। নতুন বিশ্লেষণে আরও প্রকাশ করা হয় যে, যখন দেশ তীব্র তাপপ্রবাহ এবং বিদ্যুতের চাহিদার সঙ্কটে রয়েছে, এলএনজির উপর ৫০ বিলিয়ন ডলারের এ বিনিয়োগের পরিবর্তে বাংলাদেশ ৬২ গিগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন সক্ষমতা অর্জন করতে পারে, যা দেশের বর্তমান বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার দ্বিগুণ।
‘ব্যয়বহুল এলএনজি সম্প্রসারণ’ শিরোনামে এই নতুন প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের জিই ভার্নোভা ও জাপানের জেরার মতো বহুজাতিক কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে এলএনজি প্রকল্প সম্প্রসারণে আগ্রহী, যা দেশটির পরিবেশ ও স্থানীয় জনগণের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির কারণ হতে পারে। জাপানের সরকারি সংস্থা জাইকা এবং এনার্জি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট অব এনার্জি ইকোনমিক্স জাপান (আইইইজে) বাংলাদেশে আমদানিনির্ভর ও এলএনজি-কেন্দ্রিক শক্তির মহাপরিকল্পনা তৈরি করেছে।
প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে যে, প্রস্তাবিত ৪১টি নতুন গ্যাস চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের মাধ্যমে বিষাক্ত গ্যাস নির্গমন হবে, যা শ্বাসযন্ত্রের সমস্যাগুলোর প্রকোপ বৃদ্ধি করবে এবং বায়ু দূষণের ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম খারাপ অবস্থানে থাকা বাংলাদেশের পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে নিয়ে যাবে।
ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, এই গ্যাস ও এলএনজি প্রকল্পগুলো আমাদের জনগণের সম্পদ দখল করে গড়ে উঠেছে। যারা এসব স্থাপনা গড়ে আমাদের সম্পদ দখল করে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে ফৌজদারি মামলা দিতে হবে। তাদের কাছ থেকে জবাবদিহিতা চাইতে হবে। জনগণের ক্ষতি করে এমন কোনো প্রকল্প আমরা চাই না। অনুমান বাদ দিয়ে, আমাদের চাহিদা অনুযায়ী বিনিয়োগ করতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ করে সরকারের নীতিমালায় এই দাবি অন্তর্ভুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
মার্কেট ফোর্সেসের এশিয়া এনার্জি বিশ্লেষক এবং প্রতিবেদনটির লেখক মুনিরা চৌধুরী বলেছেন, অন্যায্যভাবে বিদেশি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশকে দূষণকারী তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসে নির্ভরশীল করার চেষ্টা করছে, যা কোটি মানুষের স্বাস্থ্য ও পৃথিবীর জন্য ক্ষতিকর।
বাংলাদেশের জনগণ দূষিত জীবাশ্ম গ্যাস নয়, বরং পরিচ্ছন্ন, নির্ভরযোগ্য এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও শ্বাস নেওয়ার জন্য সুস্থ বায়ু প্রাপ্য। জাপানি কোম্পানি ও অর্থদাতাদের জন্য এটাই বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তর এবং গ্রিড আধুনিকায়নে সহায়তা করার একটি সুবর্ণ সুযোগ।
ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক এবং ধরা’র সদস্য সচিব শরীফ জামিল বলেন, জাইকা এবং আইইইজে’র প্রণীত ইন্টিগ্রেটেড এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার মাস্টার প্ল্যান (আইইপিএমপি) অবশ্যই সংশোধন করা উচিত। কারণ এটি বাংলাদেশকে এলএনজির ওপর নির্ভরশীল করার দিকে ঠেলে দিচ্ছে, যা দেশের জ্বালানি নিরাপত্তাকে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে।
এই প্রস্তাবিত এলএনজি প্রকল্পগুলো শুধু আর্থিকভাবে ক্ষতিকর নয় বরং আমাদের মূল্যবান বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশগত জীববৈচিত্র্যের জন্যও বিধ্বংসী, যার উপর লাখ লাখ মানুষের জীবিকা নির্ভরশীল। সৌর ও বায়ুবিদ্যুতের মতো নবায়নযোগ্য জ্বালানি বাংলাদেশের জন্য একটি নিরাপদ ভবিষ্যতের দিশা। যদিও জাপানি সংস্থাগুলোর বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ রয়েছে, জাইকা দ্বারা এই খাতে নীতি প্রণয়ন গুরুতর স্বার্থের দ্বন্দ্বের উদাহরণ।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, জীবাশ্ম জ্বালনি এবং এলএনজির আমদানি দেশের জন্য আর্থিক আর্থিক বোঝা এবং প্রাণ-প্রকৃতির বিনাশের সঙ্গে জড়িত। বিগত সরকারের সময়ে এনার্জি সেক্টরে পরিকল্পনা করা হয়। বিশ্বব্যাংক, এডিবি ট্রান্সন্যাশনাল পুঁজির পলিসি উন্নয়নে কাজ করে। বিগত সরকার যে এনার্জি পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে তা অনিবার্য ছিল না। এর পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রযুক্তিগত বিকাশ দামে সস্তা। জীবাশ্মজ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো জলবায়ু বিপর্যয় জন্য দায়ী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞদের বাদ দিয়ে বিদেশি বিশেষজ্ঞদেরকে দিয়ে বিগত সরকারের এই জ্বালানি মহাপরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। নীতিগত জায়গা থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এই মহাপরিকল্পনা বাতিল করতে হবে। পিএসসিসহ অন্যান্য সকল নীতির পরিবর্তন না হয়, তাহলে বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ গঠন করা যাবে না। এজন্য বাংলাদেশি পরিকল্পনাগুলো গ্রহণ করতে হবে আর বিদেশিদের প্রস্তুত সকল পরিকল্পনা বাতিল করতে হবে।
মার্কেট ফোর্সেস-এর এশিয়া এনার্জি বিশ্লেষক মুনিরা চৌধুরী বলেন,‘আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে যে এই ৫০ বিলিয়ন ডলারের পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে এলএনজি আমদানি টার্মিনাল এবং ৪১টি নতুন এলএনজি পাওয়ার প্ল্যান্টের নির্মাণ, যার সম্মিলিত ক্ষমতা দেশের বিদ্যমান বিদ্যুৎ উৎপাদন বহরের চেয়ে বেশি।’
এই প্রকল্পের বিপুল নির্মাণ ব্যয়ের বাইরে, বাংলাদেশকে গ্যাস আমদানি করতে প্রতি বছর ৭ থেকে ১১ বিলিয়ন ডলারের অর্থ ব্যয় করতে হবে।
বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য শক্তিতে ২৪০ গিগাওয়াট সৌর এবং ৩০ গিগাওয়াট উপকূলীয় বায়ুশক্তির বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। পরিকল্পিত এলএনজি প্রকল্পগুলোর তহবিল নবায়নযোগ্য শক্তি ও গ্রিড উন্নয়নের দিকে পুনঃনির্দেশ করার আহ্বান জানানো হয়।
আরও পড়ুন: এলএনজি-সার, সয়াবিন তেল, চিনি ও ছোলা আমদানির অনুমোদন
৬ দিন আগে
শেয়ার বাজারে মূলধনি মুনাফার ওপর কর কমিয়েছে এনবিআর
স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার বিক্রি থেকে অর্জিত মূলধনি মুনাফার ওপর করের হার কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সোমবার এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে এনবিআর।
এতে বলা হয়, স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত শেয়ার লেনদেন থেকে ৫০ লাখ টাকার অধিক অর্জিত মূলধনি মুনাফার ওপর করের হার ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। বিদ্যমান আইনে এর পরিমাণ ৩০ শতাংশ।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুসারে, করদাতার নিট সম্পদের পরিমাণ ৪ কোটি টাকার বেশি, ১০ কোটি টাকার বেশি, ২০ কোটি টাকার বেশি এবং ৫০ কোটি টাকার বেশি হলে প্রদেয় করের ওপর যথাক্রমে ১০, ২০, ৩০ এবং ৩৫ শতাংশ হারে সারসার্জ দিতে হবে।
আরও পড়ুন: কর ফাঁকিবাজদের চিহ্নিত করতে ডাটা অটোমেশনে ঝুঁকছে এনবিআর
নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, একজন করদাতার ৫০ কোটি টাকার বেশি নিট সম্পদ থাকলে, শেয়ার বাজার থেকে অর্জিত ৫০ লাখ টাকার অতিরিক্ত আয়ের ওপর তাকে ১৫ শতাংশ কর এবং প্রদেয় কর ১৫ শতাংশের ওপর ৩৫ শতাংশ অর্থাৎ ৫.২৫ শতাংশ সারচার্জসহ মোট ২০.২৫ শতাংশ কর ও সারচার্জ দিতে হবে। তবে করদাতার নিট সম্পদের পরিমাণ ৫০ কোটি টাকার কম হলে সারচার্জের হার ৩৫ শতাংশের পরিবর্তে কম হারে (১০%/২০%/৩০%) হতে পারে। সেক্ষেত্রে আয়কর ও সারচার্জের মোট হার নিট সম্পদের ভিত্তিতে ২০.২৫ শতাংশ থেকে আরও কম হবে।
স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাসহ অন্য সব করদাতার ১ জুলাই, ২০২৪ থেকে ৩০ জুন, ২০২৫ সময়কালে (করবর্ষ-২০২৫-২০২৬), স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সিকিউরিটিজ লেনদেন থেকে ৫০ লাখ টাকার বেশি অর্জিত মূলধনি মুনাফার ওপর প্রদেয় আয়কর ও সারচার্জ বাবদ সর্বোচ্চ করের হার ৪০.৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০.২৫ শতাংশ করায় দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের পুজিবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন বলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড মনে করছে।
উল্লেখ্য, বিদ্যমান আইনে শেয়ার ক্রয়ের ৫ বছরের মধ্যে ওই শেয়ার ১ জুলাই, ২০২৪ থেকে ৩০ জুন, ২০২৫ সময়কালে বিক্রি করে মূলধনি আয়ের ওপর সাধারণ হারে কর আরোপ করা হয়। বিদ্যমান আইন অনুসারে ৫০ লাখ টাকার বেশি মূলধনি আয়ের ওপর সর্বোচ্চ করের হার হলো ৩০ শতাংশ।
এছাড়া সম্পদশালী করদাতাদের প্রদেয় করের ওপর বিদ্যমান আইনে সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ হারে সারচার্জ দিতে হয়। এতে শেয়ার বাজার হতে অর্জিত মূলধনি মুনাফার ওপর বিদ্যমান আইন অনুসারে আয়কর ও সারসার্জ বাবদ মোট ৪০.৫০ শতাংশ কর প্রদেয় হয়।
আরও পড়ুন: এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর ও সাবেক সচিব আমিনুলের জামিন নামঞ্জুর
১ সপ্তাহ আগে
ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা বাড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা জারি
ব্যাংকিং খাতকে লক্ষ্যবস্তু করে সাইবার হামলা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যাওয়ায় সব তফসিলি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও পেমেন্ট সেবাদানকারীদের সতর্ক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ সাইবার সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্সের (বিসিএসআই) নিয়মিত তথ্য নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণের পরে শুক্রবার (১ নভেম্বর) এই সতর্কতামূলক নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিবিসি বাংলার প্রয়াত পাঁচ সাংবাদিককে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ
এতে বলা হয়েছে, কিছু ব্যাংক ডুয়াল-কারেন্সি কার্ডে ফেসবুক অ্যাড ম্যানেজার ব্যবহারের সঙ্গে সম্পর্কিত অবৈধ লেনদেনের শিকার হয়েছে, যা দেশব্যাপী সাধারণ গ্রাহকদের প্রভাবিত করছে।
নির্দেশনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় সাইবার অপরাধীদের ক্রমবর্ধমান কার্যকলাপকে তুলে ধরেছে, যারা অনবরত জনসাধারণ এবং ব্যাংক গ্রাহকদের একইভাবে হয়রানি করছে। সাইবার হামলার এই ঊর্ধ্বগতি শুধু বাংলাদেশেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি বিশ্বব্যাপী সাইবার হুমকি বৃদ্ধির প্রবণতাকে চিহ্নিত করে। বিশেষ করে ব্যাংকিং খাতে, যেখানে ম্যালওয়্যার আক্রমণ উদ্বেগজনকভাবে বার বার ঘটে থাকে।
এসব সাইবার হুমকি প্রতিরোধে তথ্য আদান-প্রদান, যাচাইকরণ বৃদ্ধি, ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) ব্যবহার, টু-ফ্যাক্টর/মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন, লগইন প্রচেষ্টার সংখ্যা সীমিত রাখাসহ বেশ কিছু জরুরি পদক্ষেপ বাস্তবায়নে ব্যাংকগুলোকে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যাংকটি বর্ণিত ঝুঁকির বিষয়ে সমস্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়নের বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের পরিচালক (আইসিটি)তদারকি করবেন বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিবিএসের তথ্য জালিয়াতির অভিযোগের মধ্যেই নতুন 'পরিসংখ্যান নীতিমালা' বাস্তবায়নের উদ্যোগ সরকারের
২ সপ্তাহ আগে
পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে চালের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করল সরকার
খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার ও সাধারণ মানুষের কাছে চাল সহজলভ্য করতে চালের আমদানি শুল্ক ও নিয়ন্ত্রণ শুল্ক প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এনবিআরের প্রধান কার্যালয় থেকে একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো বাজারে চালের সরবরাহ বৃদ্ধি করার মাধ্যমে ভোক্তাদের জন্য সাশ্রয়ী সীমার মধ্যে মূল্য রাখা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বন্যা: চালের আমদানি শুল্ক মওকুফের সুপারিশ
আগে চালের আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশের পাশাপাশি রেগুলেটরি ডিউটি ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছিল। নতুন বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে, এই শুল্কগুলো বাদ দিয়ে কেবল ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর রাখা হয়েছে। এই কৌশলগত হ্রাসের ফলে চালের আমদানি মূল্য কেজিপ্রতি প্রায় ৯ টাকা ৬০ পয়সা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এনবিআর আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছে, নীতি পরিবর্তনের ফলে বাজারে চালের প্রাপ্যতা বাড়বে। এতে ভোক্তারা লাভবান হবেন এবং সাধারণ ক্রেতার জন্য দাম স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করবে।
এই কার্যকরী পদক্ষেপটি বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের অঙ্গীকারের প্রতিফলন।
আরও পড়ুন: চাল আমদানিতে শুল্ক কমল
২ সপ্তাহ আগে
নভেম্বরে ডিজেল-কেরোসিনের দাম কমছে ৫০ পয়সা
সরকার নভেম্বর মাসে ডিজেল ও কেরোসিনের খুচরা মূল্য ১০৫ টাকা ৫০ পয়সা থেকে কমিয়ে ১০৫ টাকা করেছে। তবে অকটেন ও পেট্রোলের দাম যথাক্রমে ১২৫ ও ১২১ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ১ নভেম্বর থেকে খুচরা ক্রেতাদের আর্থিক সাশ্রয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একটি স্বয়ংক্রিয় পদ্ধিতিতে এই মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শ অনুযায়ী বিশ্ববাজার দরের সঙ্গে সমন্বয় রাখতে ২০২৩ সালের মার্চে স্বয়ংক্রিয় জ্বালানি মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি চালু করে।
আরও পড়ুন: ডিজেল-কেরোসিনের দাম কমিয়েছে সরকার
২ সপ্তাহ আগে
রিজার্ভ বাড়ছে, অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশীয় শিল্পের বিকাশে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ছে। আমাদের রিজার্ভও বাড়ছে, দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বিশেষ পর্যালোচনা সভায় একথা বলেন তিনি।পর্যালোচনা সভায় দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতা ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘তিন মাসের মধ্যে সব কিছু করা সম্ভব না। তবে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আজ হোক, কাল হোক রাষ্ট্র ক্ষমতায় রাজনৈতিক সরকার আসবে। আমরা যতটুকু সময় আছি, দেশের জন্য কাজ করে যাব।’
আরও পড়ুন: বাণিজ্য বহুমুখীকরণে চামড়া শিল্প গুরুত্বপূর্ণ: বাণিজ্য উপদেষ্টাতিনি আরও বলেন, ‘খাদ্য, জ্বালানি, সার ও কীটনাশক খাতকে সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এসব খাতে বেসরকারি খাতের জন্য সরকারের সহযোগিতা থাকবে। আমরা বেসরকারি খাতকে উন্নত করার চেষ্টা করছি।’
ব্যবসায়ী নেতারা সরকারের দেশীয় শিল্পের বিকাশে গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। তারা বেসরকারি খাতের সার্বিক উন্নয়নে ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার চালু, ওষুধ, চামড়া, গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত পণ্য আমদানিতে ডিউটি ট্যাক্স কমানোসহ নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতের আহ্বান জানান।অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহা. সেলিম উদ্দিন, স্কয়ার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালের চেয়ারম্যান আব্দুল মোক্তাদির, এপেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, প্রাণ গ্রুপের পরিচালক উজামা চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: সুলভ মূল্যে ভোক্তারা পাবেন ১০ কৃষিপণ্য: বাণিজ্য উপদেষ্টা
২ সপ্তাহ আগে
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে চায় সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
সরকার স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা ব্যবস্থার দিকে মনোনিবেশ করে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে বর্তমান বাজারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের অঙ্গীকার তুলে ধরেন ড. সালেহউদ্দিন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ব্যাংকিং, রাজস্ব আয় ও পুঁজিবাজার সংস্কারে সহায়তা দেবে যুক্তরাজ্য
তিনি বলেন, 'পুঁজিবাজারের বিদ্যমান ও অতীত সমস্যাগুলো সমাধানে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যাতে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীরা তাদের বিনিয়োগে নিরাপদ বোধ করেন। টেকসই ও শক্তিশালী পুঁজিবাজার গড়ে তুলতে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ ও দীর্ঘমেয়াদি দুই পরিকল্পনাই আমাদের হাতে রয়েছে।’
পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করতে তারল্য সংকট এবং মিউচুয়াল ফান্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বৈঠকে বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, ‘আমরা বেশ কিছু নীতিগত উদ্বেগ অর্থ উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরেছি। আশা করছি মন্ত্রণালয় এসব জরুরি সমস্যা সমাধানে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেবে।’
বাজারকে স্থিতিশীল করা এবং বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করার লক্ষ্যে এ বৈঠকে ঋণাত্মক ইক্যুইটি, তারল্য সহায়তা, কর সংস্কার, বাইব্যাক নীতি এবং ব্যাংকিং খাতের সংস্কারের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলো উঠে এসেছে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণের সমস্যাগুলো মোকাবিলায় পুঁজিবাজারের অনিয়ম তদন্তকারী কমিটিগুলোর সঙ্গেও পরামর্শ করেন অর্থ উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: সোম-মঙ্গল-বুধবার বন্ধ থাকবে ব্যাংক ও পুঁজিবাজার
২ সপ্তাহ আগে
সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ডিএসইতে প্রথম দেড় ঘণ্টায় ১৯২ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বুধবার সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। বুধবার সকালে প্রথম দেড় ঘণ্টায় ১৯২ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
ডিএসইতে লেনদেনের রেকর্ড অনুযায়ী, ৬৮ হাজার ৫৪৭টি লেনদেনের মাধ্যমে ৭ কোটি ৮২ লাখ শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। ওই দিনে প্রথম দেড় ঘণ্টায় ৮৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৪ মাসের মধ্যে ডিএসই সূচকের বড় পতনে উদ্বিগ্ন বিনিয়োগকারীরা
এ সময়ে মোট ৩৯৩টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নেয়। এর মধ্যে ডিএসইতে দাম বেড়েছে ৩৬৬টির, কমেছে ১৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের।
বুধবার প্রথম দেড় ঘণ্টায় ডিএসইএক্সের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১০০ দশমিক ১৯ পয়েন্ট বেড়ে ৫১১৭ দশমিক ৫১ পয়েন্টে, ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ১৭ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট বেড়ে ১১৩১ দশমিক ২২ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ স্পেশাল ব্লু চিপ সূচক ৩৯ দশমিক ৯২ পয়েন্ট বেড়ে ১৮৯৮ দশমিক ২০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আরও পড়ুন: মূলধন লাভের ওপর নতুন কর আরোপ না করতে ডিএসই চেয়ারম্যানের আহ্বান
২ সপ্তাহ আগে
বাংলাদেশে বন্যা: চালের আমদানি শুল্ক মওকুফের সুপারিশ
সাম্প্রতিক বন্যার কারণে চালের উৎপাদন ব্যাপকহারে কমে যাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ বাণিজ্য ও ট্যারিফ কমিশন স্থানীয় বাজারে সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখতে চালের বর্তমান আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে।
কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ মওকুফ করা হলে চালের দাম বৃদ্ধি রোধ করা সম্ভব হবে এবং থাইল্যান্ড ও ভারতের মতো আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমদানি উৎসাহিত হবে। যেখানে শুল্ক ছাড়াই প্রতি কেজির মূল্য যথাক্রমে ৬৬ টাকা ও ৫৪ টাকা হবে।
আরও পড়ুন: শিল্প কারখানায় গ্যাস সংযোগ পুনরায় চালু করার কথা ভাবছে সরকার
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আসন্ন উৎপাদন মৌসুমে বন্যার সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, দুই দফা বন্যায় ১৬ আগস্ট থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ৮ লাখ ৩৯ হাজার টন চাল উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে।
সরকার সম্প্রতি আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করলেও আমদানিকারকরা উচ্চ শুল্কের কারণে নিরুৎসাহিত। চালের সরবরাহকে সীমিত করছে এবং ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতাকে প্রভাবিত করছে।
আরও পড়ুন: সাংবিধানিক-রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টির প্রচেষ্টা বানচালে ঐক্যের আহ্বান বিএনপির
২ সপ্তাহ আগে