অন্যান্য
মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সেরা কাজগুলো: চলচ্চিত্র, ধারাবাহিক ও নাটক
২১ শতকে যে নির্মাতার হাত ধরে বাংলাদেশের নাট্য ও চলচ্চিত্রাঙ্গনে ভিন্ন ধারার অবতারণা হয়েছে তিনি হলেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। ছকে বাধা লিখিত চিত্রনাট্যের বাইরে থেকে গল্পকে নাট্যরূপ দেওয়ার ধারা শুরু হয়েছে তার মাধ্যমে। চিরাচরিত প্রথাকে পাশ কাটিয়ে জীবনের অনেক সমসাময়িক প্রেক্ষাপটকে অনবদ্যভাবে উপস্থাপন করেছেন এই শক্তিমান নির্মাতা। আলোচনার পাশাপাশি সমালোচনা থাকলেও এই নতুনত্বকে সাদরে গ্রহণ করেছে সর্বস্তরের দর্শক। শুধু তাই নয়, শুরু থেকেই তার কাজগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতি পেয়ে এসেছে। চলুন, মেধাবী এই পরিচালকের সেরা কিছু সিনেমা এবং নাটকের ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সেরা ১০টি কাজ
.
ব্যাচেলর / ২০০৪
কমেডি ও রোমান্টিক ঘরানার এই ছবিটি নির্মাণের মধ্য দিয়ে সিনেমা পরিচালনা শুরু করেন ফারুকী। মূল কাহিনী লিখেছিলেন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক। নানা আঙ্গিকে হাস্যরসের মধ্য দিয়ে এখানে প্রকাশ পেয়েছিলো তদানীন্তন তরুণ প্রজন্মের জীবনধারণের কথা। তরুণ সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল কয়েকজন বিভিন্ন বয়সের ব্যাচেলর বন্ধুকে। এদের নিত্যদিনের জীবনাচরণ, প্রেম, ও আবেগ নিয়ে এগোতে থাকে চলচ্চিত্রের গল্প।
এখানে অভিনয় করেছিলেন হুমায়ুন ফরীদি, ফেরদৌস আহমেদ, শাবনূর, ও আহমেদ রুবেলের মতো তারকারা। ‘ব্যাচেলর’-এর মাধ্যমে ফিল্ম ক্যারিয়ার শুরু হয়েছে অপি করিম, জয়া আহসান, আরমান পারভেজ মুরাদ, সুমাইয়া শিমু, মৌটুসি বিশ্বাস, হাসান মাসুদ, এবং মারজুক রাসেলের মতো তারকাদেরও।
আরো পড়ুন: ভূতের গল্পে পর্দায় আসছেন সত্যম, সন্দীপ্তা ও সুহত্র
চলচ্চিত্রটির অর্জনের মধ্যে রয়েছে নিউ জার্সি ইন্ডিপেন্ডেন্ট সাউথ এশিয়ান সিনে ফেস্ট, মুম্বাইয়ের থার্ড আই আইএফএফ, এবং ইতালির এশিয়াটিকা ফিল্মমিডিয়ালে অফিসিয়াল সিলেকশন।
মেড ইন বাংলাদেশ / ২০০৬
ফারুকী এই রাজনৈতিক ব্যঙ্গাত্মক ছবিটি বানিয়েছিলেন আনিসুল হকের ‘জিম্মি’ উপন্যাস অবলম্বনে। পুরো ছবিটি মূলত রাষ্ট্রের দুর্নীতির বিরুদ্ধে এক বেকার তরুণের দীর্ঘ দিনের সুপ্ত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।
খোরশেদ নামের এই বেকার যুবকের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন জাহিদ হাসান। তারকা নির্ভর এই সিনেমায় আরও ছিলেন শহীদুজ্জামান সেলিম, রোজী সিদ্দিকী, তারিক আনাম খান, শ্রাবস্তী দত্ত তিন্নি, তানিয়া আহমেদ, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, হাসান মাসুদ, মারজুক রাসেল, ফজলুর রহমান বাবু এবং রেদওয়ান রনি।
ছবিটি ২০০৮ সালে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব-এর জুরি বোর্ডে স্পেশাল মেনশন পেয়েছিল।
আরো পড়ুন: সুজিত সরকারের সঙ্গে অভিষেক বচ্চনের নতুন ছবি 'আই ওয়ান্ট টু টক'
ক্যারাম- ১ ও ২ / ২০০৬
দুই পর্বের এই টেলিফিল্মটির স্ক্রিপ্ট লিখেছিলেন ফারুকী এবং কচি খন্দকার।
আঙ্গুলে সমস্যা থাকা শফিকুলের ক্যারাম খেলা নিয়ে বেজায় বিড়ম্বনা। এ জন্য পাড়ায় প্রায় তাকে হাসির পাত্র হতে হয়। তাকে চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয় যে, সে যদি তপনকে ক্যারাম খেলায় হারাতে পারে, তাহলে তাকে নিয়ে আর কেউ হাসি-ঠাট্টা করবে না।
এমনি মজার গল্প নিয়ে ফারুকী পরিচালনা করেছিলেন টেলিফিল্মটি, আর এর মাধ্যমে সর্বপ্রথম লাইমলাইটে আসেন অভিনেতা মোশাররফ করিম।
এতে তার সহ অভিনয়শিল্পীরা ছিলেন নুসরাত ইমরোজ (তিশা), রিফাত চৌধুরী, কচি খন্দকার, বাপ্পি আশরাফ, ও ইশতিয়াক আহমেদ রুমেল।
আরো পড়ুন: মার্চে মুক্তি পাচ্ছে সি শঙ্করন নায়ারকে নিয়ে নির্মিত অক্ষয় ও করণ জোহরের ছবি
৪২০ / ২০০৭-২০০৮
ছোট পর্দায় ফারুকীর মাস্টারপিস হচ্ছে এই পলিটিক্যাল কমেডি সিরিজটি। ধারাবাহিক নাটকটিতে ছোট্ট পরিসরে হাস্যরসের নেপথ্যে দেখানো হয়েছে বাংলদেশের রাজনীতিবিদদের উত্থান-পতন। নাটকের গল্পে দেখা যায় চুরি করে গ্রাম থেকে পালিয়ে শহরে আসা দুই ভাই ঘটনাক্রমে জড়িয়ে পড়ে রাজনীতিতে। নানা চড়াই-উৎড়াই পেরিয়ে ক্রমশ তারা এলাকার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিতে পরিণত হয়। কিন্তু তাদের আভিজাত্য বেশি দিন স্থায়ী হয় না।
নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিলেন মোশাররফ করিম ও লুৎফর রহমান জর্জ। এছাড়াও গোটা ধারাবাহিক জুড়ে ছিলেন তিশা, সোহেল খান, মারজুক রাসেল, রিফাত চৌধুরী, কচি খন্দকার, এবং সিদ্দিকুর রহমান।
সিক্সটি নাইন / ২০০৮-২০০৯
রচয়িতা আনিসুল হক এবং নির্মাতা ফারুকীর সমন্বয়ে নির্মিত জনপ্রিয় মেগাসিরিজগুলোর একটি এই ফ্যামিলি ড্রামা। এটি বাবা-মা এবং ছয় সন্তান বিশিষ্ট এক পরিবারের গল্প। নিজস্ব অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ে থাকার পরেও, একসঙ্গে সুন্দর সময় কাটানোর জন্য তারা কখনোই একত্রিত হতে পারে না।
এখানে শ্রেষ্ঠাংশে ছিলেন তিশা, শহীদুজ্জামান সেলিম, হাসান মাসুদ, জয়া আহসান, শ্রাবন্তী দত্ত তিন্নি, ফজলুর রহমান বাবু, আহমেদ রুবেল, মারজুক রাসেল, এবং রিফাত চৌধুরী।
আরো পড়ুন: অস্কারে যাচ্ছে লাপাতা লেডিস
১ দিন আগে
শাহরুখ খানকে হত্যার হুমকি: সন্দেহভাজন আটক
বলিউড নায়ক শাহরুখ খানকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে একজনকে আটক করেছে মুম্বাই পুলিশ।
মঙ্গলবার ভারতের ছত্তিশগড় থেকে তাকে আটক করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে পুলিশ কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
গত সপ্তাহে, মুম্বাইয়ের বান্দ্রা পুলিশ স্টেশনে ফোন করে কেউ শাহরুখ খানকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল। হুমকিদাতা ৫০ লাখ রুপি দাবি করে। এরপর পুলিশ একটি মামলা দায়ের করে এবং আরও তদন্তের জন্য রায়পুরে একটি দল পাঠায়।
সন্দেহভাজন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এখনও প্রকাশ করেনি পুলিশ।
সম্প্রতি বলিউড তারকা সালমান খানকেও একই ধরনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের পক্ষ থেকে এ হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তার কাছ থেকে ৫ কোটি রুপি দাবি করা হয়েছিল।
এঘটনার পর গত ২৪ অক্টোবর মুম্বাই পুলিশ জামশেদপুর থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করেছিল।
মুম্বাই ট্রাফিক পুলিশ হুমকি বার্তা পাওয়ার পর পুলিশ অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করে এবং তদন্ত শুরু করে।দীর্ঘ সময় ধরে দুই অভিনেতা নিরাপত্তা বেষ্টনীতে রয়েছেন। সালমান খানকে বিশেষভাবে চার স্তরের নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: শাহরুখ খানকে হত্যার হুমকি
এর আগে এপ্রিলে মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় সালমান খানের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের সামনে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল বিষ্ণোইয়ের ভূমিকা ছিল।
ভারতের রাজনীতিবিদ বাবা সিদ্দিকি ১২ অক্টোবর তার ছেলের বান্দ্রার অফিস থেকে বের হওয়ার সময় একাধিক গুলিবিদ্ধ হন। জাতীয় কংগ্রেস পার্টির নেতা ও সাবেক মন্ত্রী এই হামলার পর হাসপাতালে মারা যান। লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
বাবা সিদ্দিকির মৃত্যু এবং সালমান ও শাহরুখ খানের মতো তারকাদের হত্যার হুমকি ভক্তদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
৩ দিন আগে
শাহরুখ খানকে হত্যার হুমকি
বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানকে ৫০ লাখ রুপি মুক্তিপণ দাবি করে মোবাইল ফোনে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর ) মুম্বাই পুলিশ এই তথ্য জানিয়েছে।
ছত্তিশগড়ের রায়পুর থেকে যে ব্যক্তি ফোন করেছেন তার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি নিজেকে 'হিন্দুস্তানি' বলে পরিচয় দেন।
বান্দ্রা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি তদন্ত করছে।
কল করা ঐ ব্যক্তি ফৈজান খান বলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে। তবে তিনি দাবি করেন, ২ নভেম্বর তাঁর ফোন চুরি হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ধুম ৪-এ শাহরুখ খান: ঘটনা না কি রটনা?
৫ নভেম্বর দুপুর ১টা ২০ মিনিট নাগাদ ফোনটি আসে, যেখানে মুক্তিপণ না দিলে 'জওয়ান' তারকার ক্ষতি করার হুমকি দেওয়া হয়।
শাহরুখ খানকে এই প্রথম হুমকি দেওয়া হলো বিষয়টি এমন নয়। গত বছরের অক্টোবরে তাকে একইভাবে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এর ফলে কর্তৃপক্ষকে তার সুরক্ষা ওয়াই + স্তরে উন্নীত করেছিল। এই স্তরের সুরক্ষার আওতায় তাকে ২৪ ঘণ্টা ছয়জন সশস্ত্র কর্মী সরবরাহ করে। এই সুরক্ষা সুবিধা পাওয়ার আগে তার দু'জন সশস্ত্র সুরক্ষা প্রহরীর ছিল।
সম্প্রতি বলিউডের আরেক তারকা সালমান খানের একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে শাহরুখ খানকে এই হুমকি দেওয়া হয়।
লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের কাছ থেকে তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। হুমকি দিয়ে বলা হয়, তাকে পাঁচ কোটি টাকা দিতে হবে অথবা কৃষ্ণসার হরিণ হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। ভিখারাম জালারাম বিষ্ণোই নামে ওই গ্যাংয়ের এক সদস্য এই হুমকি দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এই গ্যাংয়ের নেতা কর্ণাটকে এখনো আটক রয়েছেন।
৩০ অক্টোবর আরেকটি ঘটনায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি সালমান খানের কাছ থেকে ২ কোটি রুপি মুক্তিপণ দাবি করে সতর্ক করেছিল। বারবার এরূপ হুমকির প্রেক্ষিতে সালমান খানের সুরক্ষাও জোরদার করা হয়। বিশেষ করে ১২ অক্টোবর মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকীর সাম্প্রতিক হত্যার পরে এই ব্যবস্থা নেয় কর্তৃপক্ষ।
মুম্বাই পুলিশ উভয় বলিউড তারকার সর্বশেষ হুমকির তদন্ত করার সময় উচ্চ সতর্কতা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। অভিনেতাদের ক্ষতির আশঙ্কা থেকে রক্ষায় এমন সুরক্ষা ব্যবস্থা যে রয়েছে তাএসব পদক্ষেপ নিশ্চিত করে।
আরও পড়ুন: পাঠান মুভি রিভিউ: বলিউড কিং শাহরুখ খানের অভিজাত প্রত্যাবর্তন
১ সপ্তাহ আগে
‘তোমাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি’: জন্মদিনে শাহরুখকে মেয়ে সুহানা
২ নভেম্বর (এএনআই/ইউএনবি)-সুপারস্টার শাহরুখ খান শনিবার ২ নভেম্বর) ৫৯তম জন্মদিন উদযাপন করছেন। এ উপলক্ষে মেয়ে সুহানা খান তাকে বিশেষ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে সুহানা ছোটবেলার কিছু মূল্যবান ছবি দিয়ে একটি কোলাজ শেয়ার করেছেন। যেখানে তিনি, তার বাবা শাহরুখ খান এবং ভাই আরিয়ান খানকে দেখা গেছে।
পোস্টটি শেয়ার করে সুহানা লিখেছেন, ‘শুভ জন্মদিন। পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি তোমাকে’।
শাহরুখ খানের ক্যারিশম্যাটিক ব্যক্তিত্ব তার বিপুল ভক্তদের প্রভাবিত করে। "বলিউড কিং" নামে পরিচিত শাহরুখের পথচলা শুরু হয় দিল্লিতে। ১৯৮৯ সালে টিভি সিরিজ ফৌজি দিয়ে তিনি প্রথম নজরে আসেন।
আরও পড়ুন: ১ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে যাত্রা উৎসব-২০২৪
তার চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার আকাশচুম্বী সাফল্য লাভ করে দেওয়ানা, ডর এবং বাজিগর এর মতো হিট সিনেমার মাধ্যমে। তবে দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে তাকে প্রকৃতপক্ষে সুপারস্টার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। দীর্ঘ বিরতির পর, তিনি পাঠান, জওয়ান ও ডানকি ’র মতো ব্লকবাস্টারের মাধ্যমে শক্তিশালী প্রত্যাবর্তন করেছেন। এটি আবারও তাকে "বলিউডের কিং" হিসেবে প্রমাণ করেছে।
ক্যারিয়ারের দিক থেকে সুহানারও শাহরুখ খানের সঙ্গে কিং সিনেমায় স্ক্রিন শেয়ার করার সম্ভাবনা রয়েছে।
আগস্ট মাসে লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসবের আর্টিস্টিক ডিরেক্টর জিওনা এ নাজারোর সঙ্গে এক আলোচনায় শাহরুখ খান তার ক্যারিয়ার এবং অর্জন নিয়ে কথা বলেন। তিনি তার পরবর্তী সিনেমা কিং নিয়ে প্রস্তুতি এবং নির্মাতা সুজয় ঘোষের সঙ্গে তার সহযোগিতার বিষয়ে বিস্তারিত জানান।
শাহরুখ বলেন, “নির্দিষ্ট কিছু সিনেমা রয়েছে, যেগুলো আমি করতে চাই। সম্ভবত এগুলো বয়সের সঙ্গে মানানসই এবং গত ৬-৭ বছর ধরে আমি এ বিষয়ে ভাবছি। একদিন সুজয় ঘোষের সঙ্গে বসে এ বিষয়ে কথা বলি। তিনি আমাদের অফিসে কাজ করেন এবং আমাদের জন্য কিছু সিনেমা বানিয়েছেন। তখন তিনি বললেন, ‘স্যার, আমার একটা বিষয় আছে।’”
শাহরুখ তার কিং সিনেমার জন্য ওজন কমানো সম্পর্কেও আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “আমার পরবর্তী সিনেমা কিং, এটির জন্য আমাকে কাজ শুরু করতে হবে, কিছুটা ওজন কমাতে হবে, কিছু স্ট্রেচিং করতে হবে।”
সিনেমাটি নিয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়নি।
সুহানা তার অভিনয় ক্যারিয়ারের সূচনা করেন গত বছর নেটফ্লিক্সের চলচ্চিত্র দ্য আর্চিস দিয়ে, যা পরিচালনা করেছিলেন জোয়া আখতার।
আরও পড়ুন: প্রখ্যাত অভিনেতা মাসুদ আলী খান আর নেই
১ সপ্তাহ আগে
১ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে যাত্রা উৎসব-২০২৪
‘যদি তুমি ভয় পাও, তবে তুমি শেষ, যদি তুমি রুখে দাঁড়াও তবে তুমি বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে শুক্রবার (১ নভেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে যাত্রা উৎসব ২০২৪।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্ত মঞ্চে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের ব্যবস্থাপনায় এ উৎসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। উৎসব চলবে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত। ৭ দিনব্যাপী এ আয়োজন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
এই উৎসবে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নিবন্ধিত ৭টি যাত্রা দল প্রতিদিন একটি করে ‘ঐতিহাসিক ও সামাজিক’ ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত যাত্রাপালা পরিবেশন করবে। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পালা পরিবেশন করা হবে।
৭ দিনব্যাপী উৎসব আয়োজন প্রসঙ্গে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেন, ‘শিল্পকলা একাডেমি মনে করে, শিল্পচর্চা জনজীবনের কেন্দ্রে অবস্থিত। শিল্পচর্চার অন্যতম মাধ্যম হিসেবে এবং গ্রামীণ জনসাধারণের বিনোদনের ঐতিহ্য বিবেচনায় আমরা এই যাত্রাপালার আয়োজন করেছি। আমরা চাই, আপনারা সবাই যাত্রা শিল্পীদের পাশে থাকুন।’
মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘শৈশবে আমরা নৈতিকতার শিক্ষা লাভ করেছি সামাজিক যাত্রাপালাগুলো দেখে। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় যাত্রাশিল্পকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা হয়েছে, সেই পরিস্থিতির আমাদের উত্তরণ ঘটাতে হবে। সুস্থ ধারার যাত্রাপালা পরিবেশনা, মানোন্নয়ন, চর্চা ও যাত্রাশিল্পীদের পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে ঐহিত্যবাহী যাত্রাপালাকে জনজীবনে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।’
উদ্বোধনী আয়োজন শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনা পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ইসরাফিল মজুমদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন বিশিষ্ট যাত্রা শিল্পী অনিমা দে। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক ফয়েজ জহির। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি মহাপরিচালক, নাট্য নির্দেশক ও শিক্ষক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ।
৭ দিনের যাত্রাপালা:
শুক্রবার: দলের নাম- সুরুভী অপেরা, পালাকার-আগন্তক, পালার নাম- নিহত গোলাপ; পালা নির্দেশক- কবির খান।
শনিবার: দলের নাম-নিউ শামীম নাট্য সংস্থা, পালাকার-প্রসাদ কৃষ্ণ ভট্টচার্য, পালার নাম- আনার কলি; পালা নির্দেশক- শামীম খন্দকার।
রবিবার: দলের নাম-বঙ্গবাণী অপেরা, পালাকার- রঞ্জন দেবনাথ, পালার নাম- মেঘে ঢাকা তারা; পালা নির্দেশক- মানস কুমার।
সোমবার: দলের নাম- নর-নারায়ণ অপেরা, পালাকার-দেবন্দ্রনাথ, পালার নাম- লালন ফকির; পালা নির্দেশক- ব্রোজেন কুমার বিশ্বাস।
মঙ্গলবার: দলের নাম-বন্ধু অপেরা, পালাকার- শামসুল হক, পালার নাম- আপন দুলাল; পালা নির্দেশক- মনির হোসেন।
বুধবার: দলের নাম-শারমিন অপেরা, পালাকার-পুর্নেন্দু রায়, পালার নাম- ফুলন দেবী; পালা নির্দেশক- শেখ রফিকুল।
বৃহস্পতিবার: দলের নাম-যাত্রাবন্ধু অপেরা, পালাকার- শ্রী শচীননাথ সেন, পালার নাম- নবাব সিরাজউদ্দৌলা পালা নির্দেশক- আবুল হাশেম।
২ সপ্তাহ আগে
বিবি টাঙ্গা, এরিক কেরিজ, মিঠুন চক্র ও সাদ চৌধুরী সমন্বিত ফিউশন পপ কনসার্টের আয়োজন
৬৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আফ্রো-বাংলা পপ সাউন্ডের ফিউশন উপস্থাপনায় ফিউশন পপ কনসারর্টের আয়োজন করেছে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ ডি ঢাকার (এএফডি)।
বৃহস্পতিবার রাতে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ প্রাঙ্গণে এ কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রখ্যাত ফরাসি সংগীতশিল্পী বিবি টাঙ্গা ও এরিক কেরিজের পাশাপাশি বাংলাদেশের সংগীত শিল্পী মিঠুন চক্র ও সাদ চৌধুরী সংগীত পরিবেশন করেন কনসার্টে।
বিশ্ববিখ্যাত শিল্পী বিবি টাঙ্গা আফ্রোবিট, ফাঙ্ক ও সোল সংগীতের মিশ্রণের জন্য পরিচিত। তিনি দুজন প্রতিভাবান বাংলাদেশি পপ শিল্পীর সঙ্গে মঞ্চে উঠেন। আফ্রো ও বাংলা পপের এই সংমিশ্রণ আফ্রিকান ও বাংলাদেশি সংগীত ঐতিহ্যের সমৃদ্ধ ছন্দ এবং সুরের মিশ্রণের মাধ্যমে সংগীত প্রেমীদের মুগ্ধ করেছিল।
আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের মতে, এটি কেবল একটি কনসার্ট নয়, এটি সেই সাংস্কৃতিক সংযোগের উদযাপন, যেখানে মহাদেশ থেকে মহাদেশের সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে সংগীত। বৈচিত্র্যময় শব্দগুলোকে একত্রিত করে এই কনসার্টে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ ডি ঢাকার চেতনাকে তুলে ধরা হয়েছে- যা বিভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি এবং সংগীতের সর্বজনীন ভাষার মাধ্যমে সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটায়।
মর্যাদাপূর্ণ ফরাসি শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি দেশে তার ৬৫তম বার্ষিকীর অংশ হিসেবে বেশ কয়েকটি আকর্ষণীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
৪ সপ্তাহ আগে
'আপনাকে অজ্ঞ বলতে বাধ্য করবেন না’: উপদেষ্টা নাহিদকে অভিনেতা সোহেল রানা
আট জাতীয় দিবস বাতিলের বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সোহেল রানা লিখেছেন, 'ভাই নাহিদ, আপনার জন্মই হয়নি এমন সময়ের দেশ ও নেতাদের নিয়ে কথা বলা আপনার জন্য বেমানান। আপনাকে অজ্ঞ বলতে বাধ্য করবেন না।’
শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ভাষণের স্মরণে এবং ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্যার দিনসহ আটটি জাতীয় দিবস বাতিলের বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার বিষয়ে গণমাধ্যমে নাহিদের মন্তব্যের পর তিনি এ পোস্ট দেন।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার নাগরিকদের ওপর বেশ কয়েকটি দিবস চাপিয়ে দিয়েছিল উল্লেখ করে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে স্বীকারন করে না।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনক মনে করে না এই সরকার: উপদেষ্টা নাহিদ
বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এ খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিনেতা-রাজনীতিবিদ সোহেল রানাসহ সর্বস্তরের মানুষের প্রতিক্রিয়ার বন্যা বয়ে যায়।
সেই পাবলিক পোস্টের কমেন্ট বক্সে জনপ্রিয় মঞ্চ অভিনেত্রী ও পরিচালক নূনা আফরোজ মন্তব্য করেন, ‘এ দেশের মাটিতে জন্ম নিয়ে কীভাবে ৭১, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলতে পারে! তারা আসলে কারা?’
এর পরপরই আরেকটি পোস্টে সোহেল রানা আরও লেখেন, ‘ইউটিউবার টেলিভিশন আপনার ইন্টারভিউ নিচ্ছে। ৭ মার্চের ভাষণের ব্যাপারে আপনার বক্তব্যের পর ওদের স্থান ত্যাগ করা উচিত ছিল।’
ঢালিউডের 'স্বর্ণযুগ'র খ্যাতিমান অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ সোহেল রানা সম্প্রতি 'বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি' নামে নতুন রাজনৈতিক দল চালু করেছেন।
আরও পড়ুন: ফ্যাসিস্ট ও গণহত্যার সমর্থক-জড়িত সাংবাদিকদের বিচার হবে: নাহিদ ইসলাম
৪ সপ্তাহ আগে
হোটেলের বারান্দা থেকে পড়ে ওয়ান ডিরেকশন ব্যান্ডের লিয়াম পেইনের মৃত্যু
হোটেলের বারান্দা থেকে পড়ে মারা গিয়েছেন ওয়ান ডিরেকশনের সাবেক সদস্য জনপ্রিয় গায়ক লিয়াম পেইন।
বুধবার আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্সের পালেরমো এলাকার কাসা সুর হোটেলের তৃতীয় তলার এক বারান্দা থেকে পড়ে ৩১ বছর বয়সি এই গায়কের মৃত্যু হয়।
চিকিৎসকরা ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলে এক বিবৃতিতে জানায় বুয়েন্স আয়ার্স পুলিশ।
বুয়েন্স আয়ার্সের নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগ পরিচালক পাবলো পোলিচিও বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, 'পেইন তার কক্ষের বারান্দা থেকে লাফিয়ে পড়েন। স্থানীয় সময় বিকেল ৫টার পর ‘মাদক বা অ্যালকোহলের প্রভাবে আক্রমণাত্মক অবস্থায় থাকা এক ব্যক্তির বিষয়ে খবর পেয়ে হোটেলটিতে যায় পুলিশ।
৯১১ নম্বরে কল করে পুলিশকে খবর দিয়েছিলেন হোটেল ম্যানেজার।
দেশটির টোডো নোটিসিয়াস টিভি চ্যানেলকে আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রীয় জরুরি চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রধান আলবার্তো ক্রিসেন্তি জানান, কর্তৃপক্ষ লিয়াম পেইনের মৃত্যুর বিষয়ে তদন্ত করছে। ময়নাতদন্তের পর আরও তথ্য পাওয়া যাবে।
মদ্যপানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বিষয়ে সোচ্চার ছিলেন পেইন। গত বছরের জুলাইয়ে তার ইউটিউব চ্যানেলে নিজেকে নিয়ন্ত্রণের বিষয় তুলে একটি ভিডিও শেয়ার করেছিলেন।
পেইনের মৃত্যুর বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে কাসা সুর হোটেলের সামনে ওয়ান ডিরেকশন ভক্তদের ভিড় জমে যায়, যা নিয়ন্ত্রণে পুলিশি পাহারা বসাতে হয়।
হোটেলের বাইরে একটি অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করে সারি সারি মোমবাতি ও ফুলের তোড়া দিয়ে পেইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানান ভক্তরা।
২০১০ সালে ব্রিটিশ গানের প্রতিযোগিতা সিরিজ ‘দ্য এক্স ফ্যাক্টর’ এ অডিশন দিতে যাওয়া পাঁচ জন- লিয়াম পেইন, জেইন মালিক, হ্যারি স্টাইলস, নিয়াল হোরান এবং লুই টমলিনসন মিলে গড়ে তুলেছিলেন ওয়ান ডিরেকশন।
ব্যান্ডটি পপ গানের ধরনের জন্য এবং ‘হোয়াট মেকস ইউ বিউটিফুল’, ‘নাইট চেঞ্জেস’ ও ‘স্টোরি অফ মাই লাইফ’ এর মতো রোমান্টিক গানগুলোর জন্য জনপ্রিয়তা পায়।
পেইনের ‘স্টোল মাই হার্ট’ ও ‘চেঞ্জ ইওর টিকিট’ সহ বেশকিছু গান জনপ্রিয়তা পায়। ২০১৬ সালে ভেঙে যাওয়ার আগে ওয়ান ডিরেকশনের ৬টি গান বিলবোর্ড চার্টের শীর্ষ দশে ছিল।
৪ সপ্তাহ আগে
'গানওয়ালাদের গান' কনসার্টে গাইবেন সাত গায়ক-গীতিকার
সাতজন জনপ্রিয় গায়ক-গীতিকারের সমন্বয়ে আগামী ২ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে 'গানওয়ালদের গান' শীর্ষক বিশেষ কনসার্ট।
কনসার্টের লাইন আপে থাকছেন রেজাউল করিম লিমন, জয় শাহরিয়ার, আহমেদ হাসান সানি, শুভেচ্ছা, শুভ্র, সুহৃদ স্বাগতা ও কাকতাল ব্যান্ড। এসব শিল্পী সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সংগীত প্রেমীদের মধ্যে বিশেষত তরুণ শ্রোতাদের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।
অংশগ্রহণকারী শিল্পীরা সবাই গায়ক-গীতিকার। তারা প্রত্যেকেই নিজের লেখা ও সুর করা সংগীতে কণ্ঠ দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে আয়োজক ও শিল্পীদের পক্ষ থেকে জয় শাহরিয়ার বলেন, 'সংগীতের জগতে যারা সুরকে নিজের ভাষায় ধারণ করেন এবং নিজের কণ্ঠে রেকর্ড করেন, তাদেরই বলা হয় 'গায়ক-গীতিকার'। আমরা তাদের নাম দিয়েছি 'গানওয়ালা'—এই শিল্পীরা একটু আলাদা।’
জয় বলেন, ‘এসব শিল্পী তাদের নিজস্ব গান পরিবেশন করেন কারণ প্রত্যেকেরই কথা বলা, দর্শন ও দৃষ্টিভঙ্গির একটি অনন্য পদ্ধতি রয়েছে। বাংলা সংগীতে এই শিল্পীদের যাত্রা শুরু থেকেই একই রকম এবং শ্রোতাদের মধ্যে এর প্রভাব ব্যাপক।’
জয় শাহরিয়ার জানান, জনপ্রিয় এই শিল্পী ও তাদের অসাধারণ সৃষ্টির ওপর আলোকপাত করতে এই বিশেষ কনসার্টের আয়োজন করছে আজব কারখানা।
'গানওয়ালাদের গান'-এর টিকিট পাওয়া যাচ্ছে getsetrock.com থেকে।
৪ সপ্তাহ আগে
সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে চলচ্চিত্র প্রদর্শন
সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস উপলক্ষে ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস আমেরিকান ফিল্ম শোকেসের (এএফএস) সহযোগিতায় আমেরিকান সেন্টারে তথ্যচিত্রের ‘ফিফটিন মিনিটস অব শেইম’ প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়।
এই আয়োজনে প্রযুক্তি শিক্ষার্থী, সুশীল সমাজের সদস্য, গণমাধ্যমকর্মী ও একাডেমিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। যা ডিজিটাল নিরাপত্তা ও দায়িত্বশীল অনলাইন আচরণ প্রসারে চলমান প্রচেষ্টার অংশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড চালু
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ডেপুটি পাবলিক এনগেইজমেন্ট ডিরেক্টর ব্রেন ফ্ল্যানিগ্যান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। তিনি তার বক্তব্যে অনলাইন হয়রানি ও পাবলিক শেইমিংয়ের বাস্তব জীবনের প্রভাবের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি ডিজিটাল গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জগুলোর কথা তুলে ধরেন। নিরাপদ ও দায়িত্বশীল অনলাইন আচরণের ওপর জোর দেন।
‘ফিফটিন মিনিটস অব শেইম’ তথ্যচিত্রটি মনিকা লিউইনস্কি এবং ম্যাক্স জোসেফ পরিচালিত। যা অনলাইন শেইমিং ও সাইবার হয়রানির ব্যক্তিগত প্রভাবকে কেন্দ্র করে তৈরি। এতে অনলাইনে অপব্যবহারের শিকার ব্যক্তিদের বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়েছে। প্রদর্শনী শেষে, মনের বন্ধু'র প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও তাওহিদা শিরোপা ডিজিটাল যুগে মানসিক স্বাস্থ্য এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষার গুরুত্ব নিয়ে একটি আলোচনা সেশন পরিচালনা করেন। এই আয়োজন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চলমান প্রতিশ্রুতির অংশ, যেখানে অনলাইন গোপনীয়তা, হয়রানি এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার সঙ্গে সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জগুলোকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আয়োজনটি ইন্টারনেটের সঙ্গে সচেতনভাবে যুক্ত থাকা, নিরাপদ ডিজিটাল স্পেস তৈরি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা ও সামাজিক পরিবর্তন নিয়ে গল্প বলার ভূমিকা তুলে ধরে। আমেরিকান ফিল্ম শোকেসের সহযোগিতায় এই আয়োজনটি যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেটের একটি প্রোগ্রামের অংশ, যা সাইবার হয়রানি ও মানবাধিকার সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে আন্তঃসাংস্কৃতিক সংলাপকে উৎসাহিত করে।
আরও পড়ুন: সেন্সরবোর্ড পুনর্গঠন করে হচ্ছে চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড
১ মাস আগে