অন্যান্য
কবি হেলাল হাফিজ মারা গেছেন
দ্রোহ আর প্রেমের কবি হেলাল হাফিজ মারা গেছেন। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) শাহবাগের সুপার হোম হোস্টেল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
সুপার হোস্টেলের ওয়াশরুমের দরজা খুলে মৃত অবস্থায় দেখতে পাওয়া গেছে। দুপুর সোয়া ২টার দিকে ওয়াশরুমের দরজা খোলা হয়।
জানা যায়, পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন, এতে রক্তক্ষরণও হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে তার মরদেহ আছে বলে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, ‘বেলা আড়াইটার দিকে হোটেলের লোকজন তাকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসেন। পুলিশ বিষয়টি তত্বাবধায়ন করছে।’
আরও পড়ুন: জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার আর নেই
গত কয়েক বছর ধরে গ্লুকোমা, কিডনি জটিলতা, ডায়াবেটিস ও স্নায়বিক ব্যাধিসহ একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিলেন প্রতিভাধর এই কবি।
সাংবাদিক মাহমুদ হাফিজ জানিয়েছেন, আগামীকাল (শনিবার) বাদ জোহর জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে কবির জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
কবি হেলাল হাফিজ ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোণার আটপাড়া উপজেলার বড়তলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা খোরশেদ আলী তালুকদার পেশায় ছিলেন স্কুলশিক্ষক আর মা কোকিলা বেগম গৃহিণী।
অনেকটা বোহেমিয়ান জীবন কাটালেও সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন কবি হেলাল হাফিজ।
সাংবাদিক ও সাহিত্য সম্পাদক হিসাবে বিভিন্ন দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় কাজ করেছেন তিনি। সর্বশেষ দৈনিক যুগান্তরে কর্মরত ছিলেন কবি।
হেলাল হাফিজের প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'যে জলে আগুন জ্বলে' প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৮৬ সালে। তার দ্বিতীয় এবং শেষ কাব্যগ্রন্থ 'বেদনাকে বলেছি কেঁদো না' প্রকাশিত হয় ২০১৯ সালে।
সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৩ সালে তিনি কবিতায় বাংলা একাডেমী পুরস্কার পান।
৪ দিন আগে
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার আর নেই
বাংলাদেশের কিংবদন্তি রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
তার স্বামী সারোয়ার আলম গণমাধ্যমকে জানান, বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
তিন বছর ধরে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে চলা একুশে পদকপ্রাপ্ত এই সংগীতশিল্পীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বুধবার তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
মৃত্যুকালে তিনি স্বামী ও দুই মেয়ে জারা সারোয়ার ও জিশা সরওয়ার পাপিয়াকে রেখে গেছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় সংক্ষিপ্ত সফরে সঙ্গীতশিল্পী রাহুল আনন্দের স্টুডিও পরিদর্শন করবেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ
২১ নভেম্বর বরিশালের এক সংগীতপ্রেমী পরিবারে জন্ম নেওয়া পাপিয়া সরওয়ার ভারত সরকারের বৃত্তির মাধ্যমে ১৯৭৩ সালে শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রসংগীত শেখেন।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনিই প্রথম এই বৃত্তি লাভ করেন।
এর আগে তিনি ১৯৬৬ সালে ছায়ানটে প্রখ্যাত গুরু আতিকুল ইসলাম, ওয়াহিদুল হক, সন্জীদা খাতুন এবং জাহিদুর রহিমের কাছ থেকে তার প্রাথমিক সংগীত প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। পরে বুলবুল একাডেমি অব ফাইন আর্টসে (বাফা) নিয়মিত ছিলেন।
পাপিয়া সারোয়ার তার বর্ণাঢ্য সংগীত জীবনে রবীন্দ্রসংগীতে দক্ষতার জন্য ব্যাপক প্রশংসা এবং অসংখ্য স্বীকৃতি অর্জন করেছেন।
১৯৯৬ সালে, তিনি উচ্চাকাঙ্ক্ষী শিক্ষার্থীদের মাঝে তার জ্ঞান বিতরণের জন্য গীতোসুধা নামে একটি সংগীত দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
তার গাওয়া আধুনিক গান 'নাই টেলিফোন নে রে পিঁও নেই রে টেলিগ্রাম' বাংলা সংগীতপ্রেমীদের মাঝে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
এছাড়া নিয়মিত সঙ্গীত পরিবেশনার মাধ্যমে টেলিভিশন জগতে সুপরিচিত ও প্রিয় ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠেন তিনি।
দেশের সঙ্গীতে অসামান্য অবদানের জন্য পাপিয়া সারোয়ার ২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কার, ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ এবং ২০২১ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন।
আরও পড়ুন: ম্যাজিকাল নাইট ২.০ আতিফ আসলাম: অব্যবস্থাপনায় বিপর্যস্ত এক সঙ্গীতানুষ্ঠান
৫ দিন আগে
বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার লাইফ সাপোর্টে
একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ারকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। গত তিন বছর ধরে ক্যান্সারে ভোগা এই শিল্পী রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন বলে জানিয়েছেন তার স্বামী সারোয়ার আলম।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, জীবনের শেষ প্রান্তে পাপিয়া। আমাদের দুই মেয়ে জারা সারোয়ার ও জিশা সারোয়ার যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় বসবাস করছে। তারা ফেরার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
দীর্ঘদিন ধরেই জটিল রোগে ভুগছিলেন পাপিয়া সারোয়ার। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত বছর তাকে দিল্লিতেও নিয়ে যাওয়া হয়।
পাপিয়া সারোয়ারের জন্ম বরিশালে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। পরে ১৯৭৩ সালে ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রসংগীতে ডিগ্রি নিতে ভারত যান।
তার আগে তিনি ১৯৬৬ সালে ছায়ানটে ওয়াহিদুল হক, সানজীদা খাতুন ও জাহেদুর রহিমের কাছে এবং পরবর্তীতে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে সংগীতদীক্ষা নেন।
দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে রবীন্দ্রসংগীতের জন্য কোটি শ্রোতার ভালোবাসা পেয়েছেন। আধুনিক গানেও তিনি সফল। ‘নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম’ গানটি তাকে আপামর বাংলা গানের শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয়তা দেয়।
পাপিয়া সারোয়ার ২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ লাভের পর ২০২১ সালে একুশে পদক পান এই সংগীত শিল্পী।
৬ দিন আগে
পঞ্চম সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিচ্ছে ৬৮ দেশ
পঞ্চম সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৪ অধিবেশনে অংশগ্রহণ করবে ৬৮টি দেশের প্রায় দুই শতাধিক চলচ্চিত্র।
উৎসবের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো- ২৬ দেশের ৫২টি বিশ্ববিদ্যালয় ও চলচ্চিত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নির্মিত চলচ্চিত্র ও অংশগ্রহণে ‘ইন্সটিটিউট ফোকাস’ সেকশন।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে পঞ্চম সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের পোস্টার উন্মোচন করা হয়েছে।
এবার উৎসবের স্লোগান হয়েছে ‘রক্তের ঋণে স্বাধীনতা/জাগ্রত হোক মানবতা।’
পোষ্টারে তুলে ধরা হয়েছে জুলাই ৩৬ বিপ্লবের রক্তাক্ত জমিন। পোস্টারে স্থান দেওয়া পেয়েছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ আবু সাইদের স্কেচ।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে শহীদ আবু সাইদের এই স্কেচটি করেছিলেন ভারতীয় চিত্রকর কৌশিক সরকার।
কৌশিক বলেন, উৎসব কর্তৃপক্ষ আমার স্কেচটি সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের পোস্টারে ব্যবহারের জন্য অনুমতি নিয়েছিলেন।
এছাড়া পৃথিবীর বহুদেশে আমার স্কেচ উৎসবের মাধ্যমে পৌঁছাবে এটা আমার জন্য আনন্দের বলে জানান ভারতীয় চিত্রকর কৌশিক সরকার
সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের (সিআইএফএফ) প্রতিষ্ঠাতা ও উৎসব পরিচালক মনজুরুল ইসলাম মেঘ বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ তৈরি করেছেন তরুণ শিক্ষার্থীরা ও গণতন্ত্রকামী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করলেও দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে।
এছাড়া চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বহুদেশীয় সম্পর্ক স্থাপন এবং সারা বিশ্বে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে কাজ করে যাচ্ছে সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব বলে জানান সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের প্রতিষ্ঠাতা।
তিনি আরও বলেন, পঞ্চম সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ৬৮টি দেশের চলচ্চিত্র সিলেকশন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফিল্মফেয়ার ওটিটি অ্যাওয়ার্ডস-২০২৪: চলচ্চিত্রে সেরা দিলজিৎ-কারিনা
আমেরিকার- নিউইর্য়ক ফিল্ম একাডেমি, চায়নার-বেইজিং ফিল্ম একাডেমি, রাশিয়ার-মস্কো স্টেট ইন্সটিটিউট অফ কালচার, ভারতের-সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইন্সটিটিউট, কাতারের-নর্দান ইস্ট ইউনিভার্সিটি ইন কাতার, ইন্দোনেশিয়ার-ইন্দোনেশিয়ান এডুকেশন ইউনির্ভাসিটিসহ ২৬টি দেশের ৫২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণদের এবার অংশগ্রহণের সুযোগ থাকছে উৎসবে।
মনজুরুল বলেন, তরুণরা আগামী পৃথিবীর নির্মাতা। আশা করছি এই উৎসবের মাধ্যমে বাংলাদেশের তরুণদের সঙ্গে সারা পৃথিবীর তরুণদের একটি সেতুবন্ধন তৈরি হবে। বাংলাদেশের তরুণরা জুলাই ৩৬ বিপ্লবে একটি উজ্জল দৃষ্টান্ত। আমরা তরুণদের এই সাহসিকতা পৃথিবীর তরুণদের কাছে তুলে ধরতে চাই। জুলাই ৩৬ বিপ্লবের গণহত্যা তুলে ধরে সারা পৃথিবীতে হানাহানি, যুদ্ধ ও নৃশংসতা বন্ধ করে শান্তির আহ্বাবান করছি আমরা।
তিনি বলেন, উৎসবে উদ্বোধনী চলচ্চিত্র হিসেবে থাকছে বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস উদ্ভাবিত তথ্যের ওপর বেলজিয়ামের চলচ্চিত্র পরিচালক আনি ক্লার্ক, মিশেল ভ্যান ডের ভেকেন পরিচালিত ‘এ ওয়ার্ল্ড অফ থ্রি জিরোস, জিরো নেট কার্বন ইমিশন, জিরো প্রভারটি, জিরো আনএমপ্লাইমেন্ট’ প্রদর্শিত হবে।
এছাড়া পরিচালকরা উৎসবে অংশগ্রহণ করে একটি মাস্টার ক্লাস পরিচালনা করবেন বলে জানান মনজুরুল ইসলাম মেঘ।
উল্লেখ্য, পঞ্চম সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব-২০২৪ এ ইউরোপ, আমেরিকার ও এশিয়ার ত্রিশের অধিক চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, অভিনেতা-অভিনেত্রী ও কলাকুশলী সরাসরি অংশগ্রহণ করবে। এইবার উৎসব অনুষ্ঠিত হবে অনলাইন ও অফলাইন অধিবেশনে। অনলাইন অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২১ ডিসেম্বর, দ্বিতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে ২২ ফেব্রুয়ারি হতে ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।
এই অধিবেশনে বিদেশি অতিথিরা উপস্থিত থাকবেন এবং চলচ্চিত্রের বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক কর্মশালা, সেমিনার, মাস্টার ক্লাসে অংশগ্রহণ করবেন।
এই অধিবেশনে ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশি চলচ্চিত্র বিনিময় বিষয়ক বেশ কয়েকটি পদক্ষেপও গ্রহণ করা হবে।
উৎসব আয়োজক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন উৎসবে চলচ্চিত্র প্রদর্শন ছাড়াও থাকবে ‘ফ্যাসিবাদের কবলে চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতি’, ‘মানবিক পৃথিবী প্রতিষ্ঠায় চলচ্চিত্রের ভূমিকা’, ‘জুলাই ৩৬ প্রেক্ষিত কালচারাল পলিটিক্স’।
দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা সেমিনারে অংশগ্রহণ করবেন।
উৎসবের সমাপনী চলচ্চিত্র হিসেবে প্রদর্শিত হবে- জুলাই ৩৬ গণহত্যার তথ্যচিত্র নির্ভর পূর্ণদৈর্ঘ্য ডকুমেন্টারি চলচ্চিত্র ‘নেক্সট জেনারেশন লিডার’।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ইরানি চলচ্চিত্র উৎসব শুরু ৩ ডিসেম্বর
১ সপ্তাহ আগে
‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ গানের রচয়িতা আবু জাফর আর নেই
‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ ‘তোমরা ভুলেই গেছো মল্লিকাদির নাম’-এক সময়ের ব্যাপক জনপ্রিয় এসব গানের গীতিকার ও সুরকার আবু জাফর আর নেই।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
তার কন্যা জিহান ফারিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুই ছেলে এক কন্য সন্তানের জনক আবু জাফর বেশ কিছু দিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।
তিনি একাধারে গীতিকার, সুরকার, কবি ও সংগীতশিল্পী ছিলেন। পেশাগত জীবনে তিনি ছিলেন একজন শিক্ষক। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ও কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। ২০০০ সালে এই কলেজ থেকে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।
জানা যায়, আবু জাফর ১৯৪৩ সালের ১৫ মে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের গড়ের বাড়ি কাঞ্চনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম খোন্দকার মো. জমির উদ্দিন। কুষ্টিয়া শহরের আডুয়াপাড়ায় তিনি বসবাস করতেন।
আবু জাফর রাজশাহী ও ঢাকা বেতার এবং টেলিভিশনের নিয়মিত সংগীতশিল্পী ও গীতিকার ছিলেন। তার রচিত দেশাত্মবোধক ও আধুনিক গান তুমুল আলোড়ন তুলেছিল। একাধিক কালজয়ী গানের স্রষ্টা তিনি। এর মধ্যে ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ ‘তোমরা ভুলেই গেছো মল্লিকাদির নাম’, ‘নিন্দার কাঁটা যদি না বিঁধিল গায়ে’ উল্লেখযোগ্য।
এছাড়াও বেশ কিছু বই লিখেছেন আবু জাফর। এর মধ্যে নতুন ‘রাত্রি পুরোনো দিন’ (কাব্য), ‘বাজারে দুর্নাম তবু তুমিই সর্বস্ব’ (কাব্য), ‘বিপ্লবোত্তর সোভিয়েত কবিতা’ (অনুবাদ কাব্য) ‘তুমি রাত আমি রাতজাগা পাখি’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
আবু জাফরের বিখ্যাত গানের মধ্যে ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ গানটি বিবিসির জরিপে সর্বকালের সেরা ২০টি গানের মধ্যে স্থান দখল করে। তার রচিত সব গানের বাণীতে অসামান্য সুর সংযোজনও করেন তিনি। এছাড়াও নিজের রচিত ও সুর সংযোজিত বেশির ভাগ গানে তিনি নিজেই কণ্ঠ দিয়েছেন। কোনো কোনো তার সঙ্গে যুগলে কণ্ঠ দিয়েছেন তার সাবেক স্ত্রী লালন সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন।
তার জানাজা শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বাদ আসর কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। জানাজা শেষে তাকে কুষ্টিয়া পৌরগোরস্থানে সমাহিত করা হবে।
১ সপ্তাহ আগে
ফিল্মফেয়ার ওটিটি অ্যাওয়ার্ডস-২০২৪: চলচ্চিত্রে সেরা দিলজিৎ-কারিনা
রবিবার (১ ডিসেম্বর) মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ফিল্মফেয়ার ওটিটি অ্যাওয়ার্ডসের পঞ্চম আসর।
সেখানে বিনোদন জগতের তারকা-নক্ষত্ররা উপস্থিত হয়েছিলেন। এই বছরের অনুষ্ঠানে ওয়েব সিরিজ ও চলচ্চিত্র বিভাগের পুরস্কার দেওয়া হয়। এসব ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ৩৯টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পান নির্বাচিতরা।
অনুষ্ঠানে ওটিটি ইন্ডাস্ট্রির অভিনেতা, পরিচালক, টেকনিক্যাল এক্সপার্টও উপস্থিত ছিলেন।
'অমর সিং চামকিলা' ওয়েব ছবিতে কিংবদন্তি গায়ক অমর সিং চামকিলার চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার জিতেছেন অভিনেতা-গায়ক দিলজিৎ দোসাঞ্জ।
ইমতিয়াজ আলী পরিচালিত 'অমর সিং চামকিলা' পাঞ্জাবের আসল রকস্টারের অকথিত সত্য কাহিনী উপস্থাপন করা হয়েছে এই সিনেমায়।
অন্যদিকে 'জানে জান' ছবিতে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন কারিনা কাপুর খান।
সুজয় ঘোষ পরিচালিত ছবিটি কালিম্পং ভিত্তিক এবং কেইগো হিগাশিনোর সর্বাধিক বিক্রিত উপন্যাস 'ডেভিশন অব সাসপেক্ট এক্স' এর অফিসিয়াল রিমেক।
যারা পেলেন পুরস্কার
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ২০২৪ ফিল্মফেয়ার ওটিটি অ্যাওয়ার্ডস ফিল্মস ক্যাটাগরি থেকে বিজয়ীদের সম্পূর্ণ তালিকা:
সেরা চলচ্চিত্র (ওয়েব অরিজিনাল): অমর সিং চামকিলা
সেরা পরিচালক (ওয়েব অরিজিনাল ফিল্ম): ইমতিয়াজ আলি (অমর সিং চমকিলা)
সেরা অভিনেতা (ওয়েব অরিজিনাল ফিল্ম): দিলজিৎ দোসাঞ্জ (অমর সিং চামকিলা)
সেরা অভিনেত্রী (ওয়েব অরিজিনাল ফিল্ম): কারিনা কাপুর খান (জানে জান)
সেরা পার্শ্ব অভিনেতা (ওয়েব অরিজিনাল ফিল্ম): জয়দীপ আহলাওয়াত (মহারাজ)
সেরা পার্শ্ব অভিনেতা (ওয়েব অরিজিনাল ফিল্ম): ওয়ামিকা গাব্বি (খুফিয়া)
সেরা সংলাপ (ওয়েব ছবি): ইমতিয়াজ আলি ও সাজিদ আলি (অমর সিং চমকিলা)
সেরা মৌলিক চিত্রনাট্য (ওয়েব অরিজিনাল ফিল্ম): ইমতিয়াজ আলি ও সাজিদ আলি (অমর সিং চমকিলা)
সেরা চিত্রগ্রাহক (ওয়েব অরিজিনাল ফিল্ম): সিলভেস্টার ফনসেকা (অমর সিং চামকিলা)
সেরা প্রোডাকশন ডিজাইন (ওয়েব অরিজিনাল ফিল্ম): সুজান ক্যাপলান মেরওয়ানজি (দ্য আর্চিস)
সেরা সম্পাদনা (ওয়েব অরিজিনাল ফিল্ম): আরতি বাজাজ (অমর সিং চামকিলা)
সেরা ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক (ওয়েব অরিজিনাল ফিল্ম): এ আর রহমান (অমর সিং চামকিলা)
সেরা সাউন্ড ডিজাইন (ওয়েব অরিজিনাল ফিল্ম): ধীমান কর্মকার (অমর সিং চামকিলা)
সেরা কাহিনী ও ওয়েব অরিজিনাল ফিল্ম: জোয়া আখতার, অর্জুন বরাইন সিং ও রিমা কাগতি (খো গায়ে হাম কাহাঁ)
সেরা মিউজিক অ্যালবাম (ওয়েব অরিজিনাল ফিল্ম): এ আর রহমান (অমর সিং চামকিলা)
সেরা নবাগত পরিচালক (ওয়েব ফিল্ম): অর্জুন বরায়ন সিং (খো গায়ে হাম কাহাঁ)
সেরা ডেবিউ মেল (ওয়েব ফিল্ম): বেদাং রায়না।
২ সপ্তাহ আগে
ঢাকায় ইরানি চলচ্চিত্র উৎসব শুরু ৩ ডিসেম্বর
আর একদিন পরই ঢাকায় শুরু হচ্ছে ইরানি চলচ্চিত্র উৎসব।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আগামী মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় এ্ উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে।
এই চলচ্চিত্র উৎসব চলবে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজাউল করিম।
এছাড়া অনুষ্ঠানে থাকবেন বাংলাদেশে ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশি এবং ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সেলর সাইয়্যেদ রেজা মির মুহাম্মদী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. শাহ মোহাম্মদ নিস্তার খান কবিরসহ আরও অনেকে।
উদ্বোধনী দিনে প্রদর্শন করা হবে ইবরাহিম হাতামি কিয়া পরিচালিত বডিগার্ড।
উৎসবের অন্য দিনে ইরানের বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মাজিদ মাজিদির দি চিল্ড্রেন অব হ্যাভেন, দি সংস অব স্প্যারো, দি কালার অব প্যারাডাইস, আব্বাস কিয়ারোস্তামির টেস্ট অব চেরি এবং সাইফুল্লাহ দাদ পরিচালিত চলচ্চিত্র দি সারভাইভার দেখানো হবে।
২ সপ্তাহ আগে
বলিউড অভিনেতা শরদ কাপুরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ
সম্প্রতি টলিউডে এক পরিচালকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠে। এরপর ডিরেক্টরস গিল্ড থেকে তাকে নিষিধ্ধ করা হয়। এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনার রেশ না কাটতেই এবার বলিউডে বলিউডে আলোচনায় এসেছে যৌন হয়রানি।
বলিউড অভিনেতা শরদ কাপুরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন এক তরুণী।
সামাজিক মাধ্যম থেকে শরদের সঙ্গে তার পরিচয়। এরপর অভিনয়ের সুযোগ দেওয়ার কথা বলে বাড়িতে ডাকেন অভিনেতা।
৩২ বছর বয়সি ওই তরুণী জানান, তার সঙ্গে শরদের আলাপ হয়েছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বেশ কিছু দিন কথাবার্তার পর শরদ নতুন ছবি নিয়ে কথা বলার জন্য নিজের কার্যালয়ে ডেকে পাঠান তরুণীকে।
তিনি জানান, গত ২৬ নভেম্বর শরদের দেওয়া ঠিকানায় পৌঁছে যান। কিন্তু গিয়ে বুঝতে পারেন, সেটি আসলে শরদের অফিস নয়, বাড়ি! তরুণীর দাবি, দরজা খুলতেই শরদের গলা ভেসে আসে। তিনি পরিচারককে নির্দেশ দেন, তরুণীকে শোয়ার ঘরে পৌঁছে দিতে।
সেখানে যাওয়ার পর আপত্তিকর স্পর্শ করেন শরদ। সেখান থেকে কোনোরকমে বেরিয়ে আসেন ওই তরুণী। তবে সন্ধ্যায় শরদ আবার তাকে অশ্লীল বার্তা পাঠান।
এরপর ২৭ নভেম্বর মুম্বাইয়ের খার থানায় তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই তরুণী।
পুলিশ ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানায়, শরদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা ৭৪, ৭৫ ও ৭৯ অনুযায়ী এফআইআর দায়ের হয়েছে।
তরুণী বলেন, বলিউডে পরিচিত নাম শরদ কাপুর। ‘জোশ’, ‘এলওসি কারগিল’, ‘লক্ষ্য’, ‘দস্তক’ এর মতো ছবিতে তাকে দেখেছেন তিনি। এছাড়া একাধিক জনপ্রিয় হিন্দি ধারাবাহিকেও দেখা গিয়েছে তাকে। এ কারণেই শরদকে উপেক্ষা করতে পারেননি তিনি।
সূত্র: ভারতীয় গণমাধ্যম
২ সপ্তাহ আগে
ম্যাজিকাল নাইট ২.০ আতিফ আসলাম: অব্যবস্থাপনায় বিপর্যস্ত এক সঙ্গীতানুষ্ঠান
শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর শুক্রবার রাতে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী আতিফ আসলামকে নিয়ে বহুল প্রত্যাশিত কনসার্ট ‘ম্যাজিকাল নাইট ২.০’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আতিফ আসলাম ছাড়াও পাকিস্তানের হালের জনপ্রিয় গায়ক আবদুল হান্নান, বাংলাদেশের হার্টথ্রব তাহসান, কাকতাল ব্যান্ড এবং বাংলাদেশের ইডিএম ও ডিজে জুটি অ্যাপেরুসকে নিয়ে করা এই আয়োজন থেকে মনোমুগ্ধকর অভিজ্ঞতার আশা করলেও আশাহত হয়েছে দর্শক।
বাংলাদেশি ব্যান্ড কাকতালের পারফরম্যান্সের মাধ্যমে কনসার্ট শুরু হয়। তাদের ‘রক্ত গরম মাথা ঠান্ডা’সহ আরও কয়েকটি গান হতে না হতেই দর্শকে পরিপূর্ণ হয়ে যায় স্টেডিয়াম।
সন্ধ্যা ৭টার দিকে মঞ্চে উঠে দর্শকদের অভিবাদন জানিয়ে আবদুল হান্নান বলেন, ‘আপনাদের এমন সাড়ায় আমি অভিভূত। আমার কনসার্টে এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় জমায়েত।’
তার জনপ্রিয় গান ‘ইরাদে’র পাশাপাশি এ বছরের কোক স্টুডিও পাকিস্তানে হ্যারি স্টাইলের ‘অ্যাজ ইট ওয়াজ’ ও জনপ্রিয় পাকিস্তানি ব্যান্ড কাভিশের সঙ্গে গাওয়া ‘ও ইয়ারা’ গানটি পরিবেশন করেন তিনি।
সন্ধ্যা ৭টা ৪২ মিনিটে ‘এখোনো’ গান দিয়ে পারফরম্যান্স শুরু করেন তাহসান। এরপর তার বেশ কয়েকটি গান দর্শকদের উপহার দেন এই গায়ক।
রাত পৌনে ৯টার দিকে মঞ্চে ওঠেন আতিফ আসলাম। তবে পারফরম্যান্স শুরু করার পর হঠাৎ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তাকে থামতে হয়। তবে যান্ত্রিক ত্রুটি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় এই শিল্পীর উচ্ছ্বাস থামাতে পারেনি। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে দর্শকদের ওপর সূরের জাদু প্রয়োগ করতে থাকেন তিনি।
‘দিল দিয়া গল্লা’, ‘তেরা হোনে লাগা হুঁ’, ‘পেহলি নাজার মে’, ‘তেরে লিয়ে’, ‘জিনা জিনা’, ‘ও লামহে’, ‘তাজদার-এ-হারাম’, ‘কুছ ইস তারাহ’, ‘আওগে জাব তুম মেরে সাজনা’, ‘কুন ফায়া কুন’, ‘পেহলা নাশা’, ‘এক পেয়ার কা নাগমা’, ‘মেরে পিয়া ঘর আয়া’ ও ‘দুরি’সহ একের পর এক জনপ্রিয় বলিউড, হিন্দি ও উর্দু গান পরিবেশন করে ভক্তদের একটি স্মরণীয় রাত উপহার দেন তিনি।
উপস্থিত ভক্তদের অভিবাদন জানিয়ে এ সময় আতিফ বলেন, ‘বাংলাদেশকে সবসময় আমার দ্বিতীয় বাড়ি মনে হয়।’
২ সপ্তাহ আগে
কোন নাটকের মাধ্যমে নির্দেশনায় ইতি টানছেন অঞ্জন দত্ত
শিল্প জগতে পা রেখেছিলেন অভিনেতা হতে। তবে কপালের রেখা খানিকটা পাল্টে দিয়েছেন ভাগ্যদেবতা। অভিনেতা তিনি হয়েছেন, তবে তার চেয়ে বেশি হয়েছেন সংগীতশিল্পী তারপরও দাপিয়ে বেড়িয়েছেন সিনেমা ও মঞ্চ নাটকের জগতে। তিনি ভারতীয় অভিনেতা, নির্দেশক, পরিচালক ও সংগীতশিল্পী অঞ্জন দত্ত।
কয়েক মাস আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, তিনি আর একটি নাটকে নির্দেশনা দেবেন। এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে থাকে ইন্ডাস্ট্রিতে।
জীবনের শেষ নাটকের জন্য অঞ্জন উইলিয়াম শেক্সপিয়রের শরণাপন্ন হয়েছেন। ব্রিটিশ নাট্যকারের ‘কিং লিয়র’কে সমকালীন প্রেক্ষাপটে পুনর্নির্মাণ করেছেন অঞ্জন। নাম দিয়েছেন ‘আরও একটা লিয়র’।
কিং লিয়রের প্রযোজনা করছেন তিনি নিজেই। নাটকে অন্ধকার একটি জগৎকে তুলে ধরেছেন তিনি।
কিং লিয়রের মেয়েদের চরিত্রে রয়েছেন যথাক্রমে সুদীপা বসু, কমলিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও পর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্লস্টারের চরিত্রে লোকনাথ দে এবং কেন্টের চরিত্রে সুপ্রভাত দাস। এডমন্ডের চরিত্রে রয়েছেন শুভ্রসৌরভ দাস।
অঞ্জন শুরু থেকেই থিয়েটারে অভিনয়ের ক্ষেত্রে শরীরী ভাষা এবং বয়স অনুযায়ী চরিত্র নির্বাচনকে গুরুত্ব দিয়েছেন।
৭১ বছর বয়সি অভিনেতা জানান, এরপর তিনি আর নাটকে অভিনয় করতে পারবেন না।
ভারতীয় গণমাধ্যমকে অঞ্জন বলেন, ‘এক সময় বাদল সরকার আমাকে তৈরি করেছিলেন। গ্যালিলিও যখন করেছি, তখন আমি মধ্য-পঞ্চাশে। কিন্তু এ বার রিহার্সাল করতে গিয়ে বুঝেছি, এরপর আর মঞ্চে অভিনয় করতে পারব না।’
কিন্তু শেষ নাটক হিসেবে ‘কিং লিয়র’কেই বেছে নেওয়া প্রসঙ্গে অঞ্জন বলেন, ‘ব্রেখ্ট ও রবীন্দ্রনাথের নাটক করেছি। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত শেক্সপিয়র করিনি। আর কিং লিয়রের কোনো বিকল্প নেই।’
এ নাটকে নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন অঞ্জন দত্ত।
বাঙালি নাট্যপ্রেমীদের কাছে কিং লিয়র হিসেবে এখনও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয় উজ্জ্বল। সেখানে কোনো রকম তুলনায় যেতে রাজি নন এ নির্দেশক ও অভিনেতা।
তিনি বলেন, ‘আগেই বলেছি, আমার নাটকটাই আলাদা। আমার লিয়র তো বদ্ধ উন্মাদ এবং বদমায়েশ এক চরিত্র। তাই তুলনা করার অবকাশ কম। তবুও দর্শক যদি তুলনা করেন, সেটা তাদের বিষয়।’
অঞ্জন জানান, আগামী কয়েক মাসে ‘আরও একটা লিয়র’-এর বেশ কয়েকটি শো মঞ্চস্থ হবে।
সম্প্রতি চলচ্চিত্র পরিচালক মৃণাল সেন স্মরণে চালচিত্র এখন সিনেমা পরিচালনা করেছেন অঞ্জন দত্ত। সেখানে তিনি পরিচালক মৃণাল সেনের ভূমিকায় অভিনয়ও করেছেন।
সমালোচক মহলে ব্যাপক প্রসংশিত হয়েছে তার এ সিনেমা। এছাড়াও রঞ্জনা আমি আসব না, দত্ত ভার্সেস দত্ত, দ্য বং কানেকশন সহ আরও কয়েকটি সিনেমা পরিচালনা করেছেন।
সূত্র: ভারতীয় গণমাধ্যম
৩ সপ্তাহ আগে