শোক
নরসিংদীতে সাংবাদিক তাহেরের জীবনাবসান
নরসিংদীর প্রবীণ সাংবাদিক মো. আবু তাহের দুনিয়ার সংক্ষিপ্ত সফর শেষে চলে গেলেন অনন্ত পথের যাত্রী হয়ে।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) ভোর ৪টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) আইসিইউতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
তিনি নরসিংদী প্রেসক্লাবের সাবেক আহ্বায়ক ও বাসস নরসিংদী জেলা প্রতিনিধির দায়িত্বে ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, দুই মেয়ে, নাতী—নাতনী ও অসংখ গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
বাদ জোহর চিনিশপুর ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে তাকে গাবতলি কবরস্থানে দাফন করা হয়।
তিনি দীর্ঘদিন বাসসের জেলা প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করে গেছেন। পাশাপাশি ইংরেজি জাতীয় দৈনিক দ্য নিউজ টুডে পত্রিকার জেলা প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া নরসিংদী প্রেসক্লাবের একজন জ্যেষ্ঠ সদস্য এবং দুবার আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।
২১ ঘণ্টা আগে
একুশে পদকপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. আহমদ শামসুল ইসলামের ইন্তেকাল
একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, গবেষক ও লেখক অধ্যাপক ড. আহমদ শামসুল ইসলাম ইন্তেকাল করেছেন। সোমবার (১৪ এপ্রিল) ভোরে ইন্তেকাল করেন তিনি।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১০০ বছর। তিনি দুই পুত্র, এক কন্যা, ১৪ জন নাতি-নাতনিসহ বহু আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী ও ছাত্রছাত্রী রেখে গেছেন।
তার জ্যেষ্ঠ পুত্র অধ্যাপক ড. ইউসুফ ইসলাম সাউথ-ইস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য, একমাত্র কন্যা ড. জেবা ইসলাম ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশনের একজন অধ্যাপক এবং কনিষ্ঠ পুত্র ইঞ্জিনিয়ার খালিদ ইসলাম যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালিতে আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত।
অধ্যাপক ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪০ বছরেরও অধিক সময় বোটানি (উদ্ভিদবিজ্ঞান) পড়িয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সুপারনিউমারারি অধ্যাপক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
গবেষণা জীবনে তিনি প্রথমবারের মতো দুটি বাণিজ্যিক পাট জাতের মধ্যে সফল সংকরায়ণ সম্পন্ন করেন। এছাড়াও, তিনি পাটের টিস্যু কালচার ও মাইক্রোপ্রপাগেশন কৌশল সফলভাবে প্রতিষ্ঠা করেন।
দেশীয় অর্কিড ও আলু থেকে ভাইরাসমুক্ত গাছ উৎপাদনের লক্ষ্যে সোমাক্লোনাল ভ্যারিয়েশন, মেরিস্টেম কালচার ও মাইক্রোপ্রপাগেশনসহ নানা টিস্যু কালচার কৌশল তিনি উন্নয়ন ও প্রয়োগ করেন।
আরও পড়ুন: সাবেক সিইসি বিচারপতি আবদুর রউফের ইন্তেকাল
তার উল্লেখযোগ্য পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে- প্রেসিডেন্ট’স গোল্ড মেডেল ইন অ্যাগ্রিকালচার (১৯৮৪), একুশে পদক (শিক্ষা, ১৯৮৬), বিএএস গোল্ড মেডেল ইন বায়োলজি (১৯৮৭), বাংলাদেশ বোটানি অ্যাসোসিয়েশন স্বর্ণপদক (১৯৯৭), জিএনওবিবি প্রদত্ত লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড (২০১৭)।
কুরআনের শিক্ষাকে কোমলমতি শিশুদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে তিনি ১৯৮০ সালে 'কুরআনিক স্কুল সোসাইটি' প্রতিষ্ঠা করেন।
তার রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- স্মৃতির পটে জীবন ছবি, রাইমস অব দ্য হার্ট, বংশগতিবিদ্যার মূলকথা ও জিন প্রকৌশল। বাংলাদেশের শিক্ষা ও গবেষণাক্ষেত্রে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
৬ দিন আগে
কোকোর শাশুড়ি এসইউএফ মুকরেমা রেজা মারা গেছেন
খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর শাশুড়ি এসইউএফ মুকরেমা রেজা ইন্তেকাল করেছেন।
শনিবার (৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
পরিবার সূত্র জানায়, ভোর ৩টা ৪৫ মিনিটে তিনি মারা যান। গত এক সাপ্তাহ আগে নানা জটিলতা নিয়ে তিনি এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
হাসপাতালে মায়ের ভর্তির খবর পেয়ে ঈদের আগের দিন ৩০ মার্চ লন্ডন থেকে ঢাকায় আসেন তার মেয়ে কোকোর সহধর্মিনী সৈয়দ শামিলা রহমান সিঁথি।
মালয়েশিয়ার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ২০১৫ সালে কোকো মারা যাওয়ার পর মেয়ে জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমানকে নিয়ে লন্ডনে থাকেন সিঁথি।
আরও পড়ুন: একুশে পদকপ্রাপ্ত লোকশিল্পী সুষমা দাশ আর নেই
পরিবারের সদস্যরা জানান, মরহুমার নামাজের জানাজা বাদ আসর পুরাতন বনানী ডিওএইচএস মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
মৃত্যুকালে মরহুমা মুকরেমা রেজা দুই ছেলে এবং এক মেয়ে রেখে গেছেন।
মুকরেমা রেজার স্বামী এইচ এম হাসান রেজা ২০১৭ সালে মারা যান। তিনি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সাবেক ডিআইটি‘র প্রকৌশলী ছিলেন।
এক শোকবার্তায় মরহুমার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
১৪ দিন আগে
একুশে পদকপ্রাপ্ত লোকশিল্পী সুষমা দাশ আর নেই
একুশে পদকপ্রাপ্ত লোকশিল্পী সুষমা দাশ শেষ মারা গেছেন। বুধবার (২৬ মার্চ) সিলেট নগরীর হাওলাদার পাড়ার নিজ বাসভবনে নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। বেশ কিছুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন অসুস্থতায় ভুগছিলেন এই গুণী শিল্পী।
পরিবার জানায়, গত ১৩ মার্চ অসুস্থ হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে চলে যান তিনি। এরপর অবস্থার অবনতি হলে বাসাতেই রাখা হয়।
লোকসংগীতে অবদানের জন্য ২০১৭ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন সুষমা দাশ। এ ছাড়াও অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন লোকসংগীতের এই সাধক শিল্পী।
সুষমা দাশ ১৯২৯ সালে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার শাল্লা থানার পুটকা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। এই মহিয়সীর পিতা ছিলেন প্রখ্যাত লোককবি রশিকলাল দাশ এবং মাতা লোককবি দিব্যময়ী দাশ।
আরও পড়ুন: ছায়ানটের সভাপতি সন্জীদা খাতুন আর নেই
ছয়-ভাইবোনের মধ্যে সুষমা দাশ ছিলেন সবার বড়। তার ছোটভাইও একুশে পদকপ্রাপ্ত পণ্ডিত রামকানাই দাশ। উপমহাদেশের শাস্ত্রীয় সংগীতের এক মহাপুরুষ ছিলেন তিনি। এ ছাড়াও পরিবারের অনেক সদস্যই সঙ্গীতের সঙ্গে জীবনযাপন করছেন।
এদিকে, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের নাগরিকদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার লাশ আনা হয়।
২৪ দিন আগে
ছায়ানটের সভাপতি সন্জীদা খাতুন আর নেই
দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব, সংগীতজ্ঞ, ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি সন্জীদা খাতুন আর নেই। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বেলা ৩টা ১০ মিনিটে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
এক সপ্তাহ ধরে ওই হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পর তার জীবনাবসান হলো বলে তার পারিবারিক একটি সূত্র ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে সন্জীদা খাতুন ডায়াবেটিস, নিউমোনিয়া ও কিডনি রোগে ভুগছিলেন। এর আগেও একই অসুস্থতায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন।
আগামীকাল (বুধবার) দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর ধানমণ্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনে সদ্যপ্রয়াত এই সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের প্রতি সর্বজনের শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠিত হবে।
সন্জীদা খাতুনের বর্ণাঢ্য কর্মজীবন সামগ্রিকভাবে বাঙালির মানস ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে।
আরও পড়ুন: ঢাবির সাবেক ভিসি আরেফিন সিদ্দিক আর নেই
সন্জীদা খাতুনের জন্ম ১৯৩৩ সালের ৪ এপ্রিল। তার বাবা কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক। মা সাজেদা খাতুন গৃহিণী।
সন্জীদা খাতুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৪ সালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক, ১৯৫৫ সালে ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর এবং ১৯৭৮ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
শিক্ষকতা দিয়েই তার কর্মজীবন শুরু। ঢাবির বাংলা বিভাগে দীর্ঘকাল অধ্যাপনা করেছেন তিনি।
২৬ দিন আগে
ঢাবির সাবেক ভিসি আরেফিন সিদ্দিক আর নেই
লাইফ সাপোর্ট থেকে ফেরা হলো না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের। অসংখ্য ভক্ত, অনুরাগী, সহকর্মী, ছাত্র-ছাত্রী, স্বজন এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাঁদিয়ে পরপারে পাড়ি জমালেন জনপ্রিয় এ শিক্ষক।
ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে তিনি মারা যান বলে নিশ্চিত করেছেন তার ভাই সাইফুল্লাহ সিদ্দিক ইউএনবিকে জানান।
আরও পড়ুন: লাইফ সাপোর্টে ঢাবির সাবেক ভিসি আরেফিন সিদ্দিক
এর আগে ৬ মার্চ দুপুরে ব্যাংকের বুথ থেকে টাকা তুলেন এবং রমনার ঢাকা ক্লাবে যান আরেফিন সিদ্দিক। সেখানে দাঁড়িয়ে কথা বলতে বলতেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এরপর তাকে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছে তার পরিবারের সদস্যরা।
তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে টানা লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল তাকে। চিকিৎসকদের সূত্রে জানা গেছে, হঠাৎ ব্রেইন স্ট্রোকের কারণে মস্তিষ্ক অকার্যকর হয়ে পড়ে আরেফিন সিদ্দিকের।
দেশের এই শিক্ষাবিদ ১৯৫৩ সালের ২৬ অক্টোবর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈত্রিক নিবাস নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলায়।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান আরেফিন সিদ্দিক ২০০৯ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৭তম উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। উপাচার্যের মেয়াদ শেষে আবারও নিজ বিভাগে অধ্যাপনায় ফিরে আসেন তিনি। ২০২০ সালের জুন মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা থেকে অবসরে যান আরেফিন সিদ্দিক।
শিক্ষকতার পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ছিলেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এবং জাতীয় জাদুঘরের ট্রাস্টি।আরও পড়ুন: আরেফিন সিদ্দিকের সার্বিক অবস্থা ‘খুবই ঝুঁকিপূর্ণ’
৩৭ দিন আগে
মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির মৃত্যুতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার শোক
মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) এক শোকবার্তায় মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তিনি।
এরআগে দুপুর ১টার দিকে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) দুপুর ১টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে শিশুটি (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিএমএইচ জানিয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ দুপুর ১টায় সিএমএইচে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে।
‘সিএমএইচ সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ চেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃদস্পন্দন ফিরে আসেনি।’
গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে। যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে তারা। বাং
৩৮ দিন আগে
মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশুটির মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেসসচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর এমন তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আসামিদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
এরআগে দুপুর একটায় ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) দুপুর ১টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে শিশুটি (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশুটি আর নেই
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিএমএইচ জানিয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ দুপুর ১টায় সিএমএইচে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে।
‘সিএমএইচ সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ চেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃদস্পন্দন ফিরে আসেনি।’
গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে। যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে তারা। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।
৩৮ দিন আগে
শিল্পপতি সৈয়দ মনজুর এলাহীর মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (১২ মার্চ) এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, ‘সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী বাংলাদেশের উদ্যোক্তা জগতে এক অনন্য ব্যক্তিত্ব। তিনি একজন দেশপ্রেমিক ব্যবসায়ী ছিলেন। দেশের চামড়া শিল্পকে এগিয়ে নিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তার একান্ত পরিশ্রমে অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার দেশের শীর্ষস্থানীয় জুতা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠে।’
১৯৯৬ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারে সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী যোগাযোগ, নৌপরিবহণ, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারে কৃষি, নৌপরিবহণ, মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
আরও পড়ুন: অ্যাপেক্সর চেয়ারম্যান মঞ্জুর এলাহী আর নেই
দায়িত্ব পালনকালে তার দক্ষতার প্রশংসা করে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সংগঠক হিসেবেও তার অসামান্য কৃতিত্ব রয়েছে। তিনি মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) ঢাকার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন, বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যও ছিলেন তিনি।’
প্রফেসর ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশের উদ্যোক্তা জগতে সকলের শ্রদ্ধাভাজন, দেশপ্রেমিক শিল্পপতি সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর মৃত্যুতে আমি গভীর শোক জানাই। আমি তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি।’
৩৯ দিন আগে
অ্যাপেক্সর চেয়ারম্যান মঞ্জুর এলাহী আর নেই
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, অ্যাপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।
সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্থানীয় সময় আজ বুধবার (১১ মার্চ) সকাল ৯টা ৩১ মিনিটে, অর্থাৎ বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টা ৩১ মিনিটে সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী মারা যান। সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী বেশ কিছুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক মোস্তফা কাজলের মৃত্যুতে সিজেএফডির শোক
বহুজাতিক কোম্পানির চাকরি ছেড়ে চামড়ার ব্যবসায় যুক্ত হওয়া সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী ছিলেন এই খাতের সফল ব্যবসায়ী। তার হাত ধরেই বাংলাদেশে উৎপাদিত চামড়ার জুতার বিদেশযাত্রা (রপ্তানি) শুরু। রপ্তানির পাশাপাশি দেশের জুতার বাজারেও অন্যতম শীর্ষস্থানে আছে তার প্রতিষ্ঠান অ্যাপেক্স।
১৯৭২ সালে ‘মঞ্জুর ইন্ডাস্ট্রিজ’ নামে কোম্পানি করে কমিশনের ভিত্তিতে চামড়া বিক্রির ব্যবসা শুরু করেন তিনি। চার বছর পর ১৯৭৬ সালে ১২ লাখ ২২ হাজার টাকায় রাষ্ট্রমালিকানাধীন ওরিয়েন্ট ট্যানারি কিনে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন অ্যাপেক্স ট্যানারি। তারও ১৪ বছর পর যাত্রা শুরু করা অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার এখন দেশের শীর্ষ জুতা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান।
৩৯ দিন আগে