সিলেট
৪ ঘণ্টা পর সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মল্লিকপুর এলাকায় তেলবাহী মালগাড়ি ৯৫২-এর একটি ওয়াগন লাইনচ্যুত হওয়ার চার ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওয়াগনটি লাইনচ্যুত হওয়ায় সিলেটের সঙ্গে ঢাকা ও চট্টগ্রামের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরে কুলাউড়া থেকে রিলিফ ট্রেন এসে লাইনচ্যুত তেলবাহী ওয়াগন ট্রেনটি উদ্ধার করার পর রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা ও চট্টগ্রামগামী দুটি ট্রেন ছেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন সিলেট রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল কুদ্দুস।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম থেকে শনিবার ভোরে সিলেটে পৌঁছে তেল আনলোড করা বিশেষ ট্যাংক ট্রেনটি চট্টগ্রামের উদ্দেশে ফিরছিল। রাত সাড়ে ৯টায় মল্লিকপুর এলাকায় পৌঁছালে একটি ওয়াগনের চাকা লাইনের বাইরে চলে যায়।
৪ দিন আগে
তিন ঘণ্টা পর সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ইটাখোলা স্টেশনের কাছে সিলেট থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এতে করে সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
এ বিষয়ে নোয়াপাড়া স্টেশনের মাস্টার মো. মনির হোসেন জানান, সকাল সোয়া ১০টার দিকে সিলেট থেকে ঢাকাগামী ট্রেনটি নোয়াপড়া স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। পরবর্তীতে ইটাখোলা স্টেশনের অদূরে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এতে অন্য কোনো ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হয়নি।
আখাউড়া থেকে রিলিফ ইঞ্জিন এনে বেলা দেড়টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয় বলে জানান তিনি।
৭ দিন আগে
সিলেট নগরীর অতি ঝুঁকিপূর্ণ ২৩ ভবন ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত
সিলেট নগরীর চিহ্নিত ২৩টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙ্গে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিতে থাকা ভবনগুলো আগামী সপ্তাহ থেকেই ভাঙার কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে নগর ভবনে অনুষ্ঠিত `ভূমিকম্পের পূর্বপ্রস্তুতি ও পরবর্তী করণীয়’ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা উন-নবী। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম, সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা।
জেলা প্রশাসক সারওয়ার আলম বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ এসব ভবনে এখনো অনেক মানুষ বসবাস ও ব্যবসা করছেন, যা বড় ধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি করছে। নাগরিকদের সুরক্ষার স্বার্থেই দ্রুত ভবনগুলো ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, নগরের সংকীর্ণ রাস্তাগুলো দুর্যোগের সময় উদ্ধার কাজ ব্যাহত করতে পারে। এ বিষয়ে বিশেষ সতর্কতার প্রয়োজন রয়েছে।
অন্যদিকে, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিতকরণ কাজে নেতৃত্ব দেওয়া শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. জহির বিন আলম বলেন, আমাদের দল নগরের ৬ হাজার ভবন জরিপ করে ২৩টি ভবনকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে পেয়েছি।
তবে প্রকৃত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সংখ্যা আরও অনেক বেশি।
এই অধ্যাপকের মতে, ‘নগরে এখন প্রায় ৪৪ হাজার ভবন আছে। প্রতিটি ভবন সার্ভে না করলে সঠিক ঝুঁকি নিরূপণ করা সম্ভব নয়।’
জানা যায়, ২০১৯ সালের ভূমিকম্পের পর এসব ভবন ভেঙে ফেলার নির্দেশনা থাকলেও রহস্যজনক কারণে সিসিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি সুরমা মার্কেট, সিটি সুপার মার্কেটসহ সাতটি শপিং সেন্টার ১০ দিন বন্ধ রেখে কেবল রঙের কাজ শেষে পুনরায় চালু করা হয়। ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও তালিকাভূক্ত বহু ভবন এখনও অতি ঝুঁকির তালিকায় রয়ে গেছে।
সিসিকের তালিকাভুক্ত অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো হচ্ছে:
১. কালেক্টরেট ভবন-৩, ২. সমবায় ব্যাংক ভবন মার্কেট, ৩. মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার সাবেক কার্যালয়, ৪. সুরমা মার্কেট, ৫. সিটি সুপার মার্কেট, ৬. মিতালী ম্যানশন, ৭. আজমীর হোটেল, ৮. মধুবন মার্কেট, ৯. মান্নান ভিউ, ১০. শুভেচ্ছা-২২৬, ১১. চৌকিদেখী ৫১/৩ সরকারি ভবন, ১২. নবপুষ্প-২৬/এ, ১৩. রাজা ম্যানশন, ১৪. কিবরিয়া লজ, ১৫. মিতালী-৭৪,১৬. মেঘনা-এ-৩৯/২, ১৭. পাঠানটুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৮. ওয়ারিছ মঞ্জিল, ১৯. হোসেইন মঞ্জিল, ২০. শাহনাজ রিয়াজ ভিলা, ২১. নূরানি-১৪, ২২. পৌর বিপণি ও শপিং সেন্টার, ২৩. লেচুবাগান এলাকার প্রভাতী ও শ্রীধরা হাউস।
সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার জানান, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর বিষয়ে গঠিত কমিটি কাজ করছে। যেসব ভবনে পূর্বে সংস্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সেগুলোর কাগজপত্র পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৯ দিন আগে
হবিগঞ্জে বিয়েবাড়িতে গিয়ে পুকুরে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার চান্দপুর চা-বাগানে একটি বিয়েবাড়িতে গিয়ে পানিতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার চান্দপুর চা-বাগানে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তিন শিশু হলো— উপজেলার রামগঙ্গা এলাকার সেলিম মিয়ার কন্যা মোছকান আক্তার (১০), সাজিদ আলীর কন্যা শামীমা আক্তার (১০) এবং মজিদ আলীর কন্যা ছানিয়া আক্তার (৯)।
আরও পড়ুন: মিরপুরে গার্মেন্টস কারখানা ও রাসায়নিকের গুদামে অগ্নিকাণ্ড, ৯ জনের মৃত্যু
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিশুগুলোর পরিবার স্থানীয় এক আত্মীয়ের বিয়েতে গিয়েছিল। মঙ্গলবার বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল।
এই সময় শিশুরা খেলতে খেলতে এক পর্যায়ে গোসল করার জন্য পাশ্ববর্তী পুকুরের পানিতে নেমে যায়। সাঁতার না জানায় একে একে তিন শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়।
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল ইসলাম জানান, স্থানীয়রা শিশু তিনটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
৫০ দিন আগে
সিলেটে ‘ডেভিল হান্টে’ সাত মাসে গ্রেপ্তার ৭১০
সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকায় শুরু হওয়া ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এর আওতায় এখন পর্যন্ত মোট ৭১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রাজনৈতিক সহিংসতা, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার উদ্দেশ্যে এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে শুরু হয় অপারেশন ডেভিল হান্ট।
সিলেট মহানগর পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, প্রায় সাত মাসে বিভিন্ন স্থান থেকে মোট ৭১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অভিযোগে ৩৪১ জন এবং ৩৬৯ জনকে অন্যান্য অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অপারেশন ডেভিল হান্ট: খুলনায় আটক ১৮
তিনি জানান, গ্রেপ্তার হওয়া অনেকে আগেই বিভিন্ন মামলার পলাতক আসামি ছিলেন। আবার কেউ কেউ সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সহিংসতা, আগুন-সন্ত্রাস বা জ্বালাও-পোড়াও কর্মকাণ্ডে সরাসরি যুক্ত ছিলেন।
সাইফুল ইসলাম বলেন, সন্ত্রাস দমনের পাশাপাশি সামাজিক স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্যও এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। অপরাধে যুক্ত যেকোনো ব্যক্তিকে তাদের রাজনৈতিক পরিচয় নির্বিশেষে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।
অভিযান অব্যাহত রয়েছে, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
৯০ দিন আগে
সিলেট-তামাবিল সড়কে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত, আহত ৫
সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের জৈন্তাপুরে বাসচাপায় তালহা (১৭) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার সারীঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল (শুক্রবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জাফলং থেকে ছেড়ে আসা একটি সিলেটগামী বাসের সঙ্গে দরবস্ত থেকে আসা জৈন্তাপুরগামী দুটি মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন এবং অপর পাঁচজন গুরুতর আহত হন।
ঘটনার পরপরই চালক বাস নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যান। ঘটনার পর সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে প্রায় ১ ঘণ্টা যান চলাচল বন্দ ছিল।
নিহত তালহা জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের কাঞ্জরগ্রামের তাজউদ্দিনের ছেলে।
আহতরা হলেন— উপজেলার সারীঘাট ডৌডিক গ্রামের শুক্কুর মিয়ার ছেলে শাকিল (২০), একই গ্রামের মাওলানা আব্দুল ওয়াহিদ এর ছেলে জুনেদ আহমদ (১৮), মনির আলীর ছেলে শাহরিয়ার (২০), আরফান আলীর ছেলে ইব্রাহীম আহমদ (২২) এবং উপজেলার গুজ্ছগ্রামের জিয়া উদ্দিনের ছেলে ফরহাদ আলী (১৫)।
আরও পড়ুন: ত্রিশালে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার দুই আরোহী নিহত
দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুরুতর অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদিকে, খবর পেয়ে তামাবিল হাইওয়ে থানার একটি পুলিশ টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত তালহার মরদেহ উদ্ধার করে এবং দুর্ঘটনাকবলিত দুটি মোটরসাইকেল জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।
তামাবিল হইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান জানান, ঘাতক বাসটিকে আটকের চেষ্টা চলছে। আহতদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
৯৬ দিন আগে
তামাবিল কাস্টমসের নিলামকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল-শ্রমিক সংঘর্ষ, আহত বেশ কয়েকজন
সিলেটের গোয়াইনঘাটের তামাবিল কাস্টমসের জব্দ করা পণ্যের নিলামকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও স্থলবন্দর শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের একাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে তামাবিল শুল্ক স্টেশনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে তামাবিল স্থলবন্দর শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের (রেজি নং: চট্ট-২২১৪) সভাপতি মনির হোসেনও রয়েছেন।
ঘটনার পরপরই শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। অভিযোগে আট জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রতিপক্ষের হামলায় ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি মনির হোসেনসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। হামলাকারীরা প্রায় দেড় লাখ টাকা লুটে নিয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, তামাবিল শুল্ক স্টেশনে গতকাল (বুধবার) জব্দ করা ভারতীয় মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য পণ্যের নিলাম চলছিল। এ সময় জৈন্তাপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক বদরুল আলম শাওন, সদস্য সচিব এম শাহীন আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ ইলিয়াস নিলামের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাদের আটকে রাখেন।
পরে ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুলেমান আহমেদ ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি মনির হোসেনসহ উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমদ বলেন, নিলামে দুইটি গ্রুপ ছিল। একটি গ্রুপের পক্ষে নিলাম পাইয়ে দেওয়ার পক্ষে ছিলেন জৈন্তাপুর ছাত্রদল এবং অন্য গ্রুপে ছিলেন শ্রমিক সংগঠনের নেতা। ছাত্রদলের নিলাম নিয়ন্ত্রণের কথা তিনি জানেন না। তবে শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি একটি গ্রুপের পক্ষে ছিলেন বলে উল্লেখ করেন। এ নিয়ে সংঘর্ষ হয় এবং শ্রমিক সংগঠনের সভাপতিসহ আরও অনেকে আহত হয়েছেন। অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে ১২টি ভারতীয় গরু জব্দ করেছে বিজিবি
জৈন্তাপুর উপজেলা ছাত্রদলের বদরুল আলম শাওন গণমাধ্যমকে জানান, তামাবিল স্থলবন্দর এখনো আওয়ামী লীগের দোসরদের নিয়ন্ত্রণে। নূর উদ্দীন, জালাল উদ্দীন ও তার সহযোগীরামাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা নিলামে অংশ নিতে গেলে নূর উদ্দীনরা আমাদের বাঁধা দেয়। বাগবিতণ্ডায় লিপ্ত হন তারা। পরে আপোস মিমাংসায় বসা হলে শ্রমিক নেতা মনির উদ্দীন টেবিলে থাপ্পড় দিয়ে কীসের আপোস বলে উসকে দেন।’
নূর উদ্দীন, জালাল উদ্দীন ও মনির উদ্দীনদের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন শাওন। তারাও মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
৯৮ দিন আগে
হবিগঞ্জে মাদরাসা ছাত্র খুন, অভিযোগের তীর সহপাঠীর দিকে
হবিগঞ্জের মাধবপুরে হাফিজিয়া মাদরাসার আট বছর বয়সী এক ছাত্রকে ছুরির আঘাতে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে তারই এক সহপাঠীর বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার মাদরাসার পাশের একটি ঝোপ থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ছাত্র আশরাফুল ইসলাম রাফি (৮) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার চাপড়তলা গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে। সে মাধবপুরের ইটাখোলাস্থ আলহাজ ইয়াসমিন ফয়সল দারুল কোরআন হাফিজিয়া মাদরাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত, গুরুতর আহত ১
স্থানীয়রা জানান, আজ (মঙ্গলবার) ফজরের নামাজ ও সকালের পড়া শেষে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা ঘুমিয়ে পড়লে, নবীন (৯) নামের এক সহপাঠী সবার চোখে ফাঁকি দিয়ে পরিকল্পিতভাবে রাফিকে জুতা আনার কথা বলে মাদরাসা প্রাঙ্গণের দক্ষিণ পাশে একটি ঝোপে নিয়ে ছুরি দিয়ে উপুর্যপুরি আঘাত করে রাফিকে হত্যা করে এবং লাশ কাদামাটির ভেতর ফেলে চলে আসে।
পরবর্তীতে মাদরাসার দুই শিক্ষার্থী বিষয়টি জানতে পেরে নবীনকে আটক করে শিক্ষকদের খবর দেয়। এরপর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ আতাউল মোস্তফা সুহেল পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
মাধবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কবির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
১০০ দিন আগে
সুনামগঞ্জে ১২টি ভারতীয় গরু জব্দ করেছে বিজিবি
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাঁশতলা সীমান্ত এলাকা থেকে ১২টি ভারতীয় গরু জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গরুগুলোর আনুমানিক মূল্য ১১ লাখ ২০ হাজার টাকা।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) ভোরে সুনামগঞ্জ ২৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদস্যরা বাঁশতলা বিওপি এলাকায় দক্ষিণ কলোনি থেকে গরুগুলো জব্দ করে।
বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাঁশতলা সীমান্তে বিজিবির সুনামগঞ্জ ২৮-ব্যাটালিয়নের অভিযানে চোরাচালানের ভারতীয় অবৈধ ১২টি গরু জব্দ করা হয়েছে। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। জব্দের ১২টি ভারতীয় গরুর আনুমানিক মূল্য ১১ লাখ ২০ হাজার টাকা।
২৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ কে এম জাকারিয়া কাদির বলেন, ‘বাঁশতলা সীমান্ত এলাকা থেকে ১২টি ভারতীয় গরু জব্দ করা হয়েছে। গরুগুলো সুনামগঞ্জ শুল্ক কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।
১০০ দিন আগে
মরদেহ নিয়ে মায়ের মহাসড়ক অবরোধ: সেই ছেলে জীবিত উদ্ধার
সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় নিখোঁজের পর লাশ শনাক্ত করে দাফন করা হলেও ১৭ দিন পর রবিউল ইসলাম নাইম (১৪) নামের ওই কিশোরকে জীবিত উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
নাইম ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার এলাকার গদিয়াচর গ্রামের কনাই মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, নাইম ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার-সংলগ্ন ব্রাহ্মণগ্রাম সুপ্রিম ফিলিং স্টেশন মার্কেটের বগুড়া রেস্টুরেন্টের কর্মচারী ছিল। গত ২৬ জুলাই ওই রেস্তোরাঁ থেকে নিখোঁজ হয় সে। এরপর গত ৩ আগস্ট মৌলভীবাজারের কুলাউড়া রেলস্টেশনের পাশের একটি ডোবা থেকে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। খবর পেয়ে রবিউলের পরিবার লাশটি তাদের ছেলের বলে শনাক্ত করে এবং পরবর্তীতে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার লাশ দাফন করা হয়।
সে সময় রবিউলের পরিবারের অভিযোগ ছিল, বগুড়া রেস্টুরেন্টের মালিক বুলবুল মিয়া তাদের ছেলে রবিউলকে হত্যা করে কুলাউড়ায় লাশ ফেলে রেখেছেন।
লাশ উদ্ধারের পর ওসমানীনগর ও কুলাউড়া থানায় মামলা করতে চাইলে প্রথমে দুটি থানাই গড়িমসি করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ৬ আগস্ট লাশ নিয়ে রবিউলের মা ও স্বজনরা সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেন। কিন্তু লাশ দাফন করা হলেও গেল শুক্রবার (২২ আগস্ট) সৈয়দপুর এলাকায় রবিউলকে জীবিত অবস্থায় পাওয়া যায়। অর্থাৎ, নিখোঁজের ১৭ দিন পর রবিউলকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, সৈয়দপুর এলাকায় রবিউলের নানার বাড়ি। রবিউল তার নানার বাড়িতে আত্মগোপনে ছিল। শুক্রবার হঠাৎ তার পরিবারের লোকজনই তাকে খুঁজে পেয়ে কুলাউড়া থানাপুলিশকে খবর দিলে পুলিশ রবিউলকে হেফাজতে নিয়ে শনিবার মৌলভীবাজার আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য পাঠায়। ঠিক কি কারণে সে আত্মগোপনে ছিল, তা সে আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে জানিয়েছে।
পুলিশের ধারণা, রেস্তোরাঁর মালিকের সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে সে আত্মগোপনে ছিল।
আরও পড়ুন: সিলেটে ছেলের মরদেহ নিয়ে মহাসড়কে মায়ের বিচার দাবি
এদিকে, কুলাউড়া রেলস্টেশনের পাশের ডোবা থেকে যে কিশোরের লাশ উদ্ধার করে সেটি রবিউলের বলে করে দাফন করা হয়েছে, এখন পর্যন্ত ওই কিশোরের পরিবার বা অন্য কোনো পক্ষ থেকে খোঁজ নেওয়া হয়নি। তবে যদি কেউ ওই কিশোরের খোঁজ নিতে আসেন, কিংবা দাবি করেন, তাহলে আগের ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তার লাশ পরিবারের হেফাজতে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর ফারুক কওমি বলেছেন, রবিউলের পরিবার থেকে যে মামলাটি করা হয়েছে তা হয়তো নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। যেহেতু এটি হত্যা মামলা ছিল এবং এখন রবিউলকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে তাই মামলাটি শেষ হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আগের লাশ উদ্ধার ও দায়েরকৃত মামলার বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
১০৩ দিন আগে