সামাজিক-যোগাযোগমাধ্যম
শিশুদের টিকটক আসক্তি: ঝুঁকি থেকে যেভাবে বাঁচবেন
ডিজিটাল বিনোদনের জগতে এক শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে টিকটক। অতি স্বল্প সময়ের এই ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটি এখন কোটি মানুষের বিস্তর সময় কাটানোর জায়গা। বিশ্ব জুড়ে এই বিপুল গ্রাহকের একটা বড় শ্রেণী হচ্ছে শিশুরা। খুব কম সময়ের মধ্যে শত শত ভিডিও কন্টেন্ট দেখার সুবিধা দীর্ঘক্ষণ যাবত শিশুদের আকর্ষণ ধরে রাখে। এই আসক্তি তাদের মানসিক ও শারীরিক উভয় ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলে, যা বর্তমানে বাবা-মায়েদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। চলুন, শিশুদের এই টিকটক আসক্তির কারণ, এর ক্ষতিকর প্রভাব এবং এ থেকে মুক্তির উপায় নিয়ে বিশদ পর্যালোচনা করা যাক।
টিকটকের প্রতি শিশুদের আকৃষ্ট হওয়ার কারণ
কারিগরি দিক থেকে টিকটক এমন ভাবে তৈরি যে, এর ছোট ছোট প্রত্যেকটি ভিডিও ট্যাপ করে না থামানো পর্যন্ত চলতেই থাকে। এক আঙ্গুলে মোবাইল স্ক্রিনে নিচ থেকে ওপরে স্লাইড করে এক ভিডিও থেকে আরেক ভিডিওতে যাওয়া যথেষ্ট ইউজার ফ্রেন্ডলি। সেই সাথে কন্টেন্টগুলো বৈচিত্র্যপূর্ণ হওয়ায় দীর্ঘক্ষণ ধরে মনোযোগ ধরে রাখে। প্ল্যাটফর্মের শক্তিশালী অ্যাল্গরিদম ইউজারের বিগত দেখা কন্টেন্টগুলো যাচাই করে তার পছন্দ মতো বিষয়গুলো তার সামনে মেলে ধরে। তাছাড়া অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমের মতো লাইক, কমেন্ট ও শেয়ারের মাধ্যমে সৃষ্টি হওয়া ভাইরাল কন্টেন্টের সয়লাব তো আছেই।
এই অবিরাম প্রবাহের মাঝে পড়ে যায় শিশুরাও। সৃজনশীল স্বাধীনতায় মোহাবিষ্ট হয়ে কোনও রকম বিবেচনার তোয়াক্কা না করেই নাচ, গান আর গল্প বলাতে উদ্যত হয়। তাৎক্ষণিক পরিতৃপ্তির দৌলতে স্মার্টফোনের ছোট্ট স্ক্রিন জুড়ে শিশুদের জন্য তৈরি হয় রীতিমত এক দূর্ভেদ্য বন্দিশালা।
আরো পড়ুন: ডিপসিক: এআইয়ের দুনিয়ায় চ্যাটজিপিটি ও জেমিনির লড়াকু প্রতিপক্ষ
টিকটক আসক্তি কেন শিশুদের জন্য ক্ষতিকর
.
মানসিক সুস্বাস্থ্যের অন্তরায়
বিভিন্ন বয়সের কন্টেন্ট নির্মাতাদের জীবনের নানা ক্ষেত্রের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনুভূতি উঠে আসে ভিডিওগুলোতে। একমাত্র উদ্দেশ্য থাকে লাইক ও ফলোয়ার বাড়ানো। সঙ্গত কারণেই কন্টেন্টগুলোতে অগ্রাধিকার পায় জনসাধারণের মাঝে বহুল সমালোচিত বিষয়গুলো। সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হলো অনুকরণপ্রিয় বাচ্চারা এগুলোকে অনুসরণীয় হিসেবে দেখতে শুরু করে।
এই বিপথগামীতা শিশুদের মূল্যবোধকে নষ্ট করে। জীবনের শুরুতেই তারা অভিজ্ঞতা নিতে শুরু করে হতাশা, অপ্রতুলতা, ও আত্মম্ভরীতার মতো অনুভূতিগুলোর। সময়ের সাথে সাথে এগুলো তাদের মন-মেজাজ এবং আচরণের উপর প্রভাব ফেলে।
উপরন্তু, সারাক্ষণ স্মার্টফোন নিয়ে পড়ে থাকার কারণে এই শিশুরা সামাজিক মিথস্ক্রিয়া থেকে বঞ্চিত হয়। মোট কথা তাদের সমগ্র জগতটাই বিকশিত হতে থাকে এই প্ল্যাটফর্মকে ঘিরেই।
আরো পড়ুন: কীভাবে জানবেন ঢাকার যানজটের সর্বশেষ অবস্থা?
স্বাস্থ্যকর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটা
টিকটক স্ক্রলিং চলতে থাকে গভীর রাত অবধি। এতে করে শিশুদের রাতের স্বাস্থ্যকর ঘুম নষ্ট হয়। ফোনের স্ক্রিন থেকে নির্গত নীল আলো মস্তিষ্কে মেলাটোনিন উৎপাদনকে দমন করে। ফলে শিশুদের ঘুমিয়ে পড়াটা ক্রমেই জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠতে থাকে। দীর্ঘমেয়াদে এটি শিশুর সার্কেডিয়ান চক্রকে ব্যাহত করে। এর প্রভাবে শিশুর একাগ্রতা, স্মৃতিশক্তি এবং সংবেদনশীল নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা হুমকির মুখে পড়ে। শিশু খিটখিটে মেজাজ এবং অবসাদগ্রস্ততার দিকে ধাবিত হতে শুরু করে।
অপর্যাপ্ত ঘুম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও দুর্বল করে দেয়। কোনও ধরণের রোগের প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই দেহের স্বাভাবিক ক্রমবিকাশের জন্য এই ক্ষমতা অত্যন্ত জরুরি।
শিক্ষাগত মানোন্নয়নের প্রতিবন্ধকতা
অন্যান্য আকর্ষণীয় খেলার মতো এই ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটিও রীতিমত নেশা সৃষ্টি করে শিশুদের মধ্যে। ভিডিও স্ক্রলিং-এর কাছে যাবতীয় কাছ গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে। এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ দিক হলো পড়াশোনা বিমুখ হয়ে পড়া।
আরো পড়ুন: ভিডিও গেম খেলে অর্থ উপার্জনের উপায়
নতুন নোটিফিকিশেন আসা মাত্র তা চেক করতে গেলেই চলে যায় ঘন্টার পর ঘন্টা। এতে করে পড়াশোনার প্রতি মনোন্নিবেশ ক্ষুণ্ন তো হয়ই, সেই সাথে পরবর্তীতে আবার পড়তে বসাতে নিরুৎসাহ কাজ করে। পরিণতিতে দেখা দেয় হোমওয়ার্ক ফেলে রাখা, ক্লাসে অমনোযোগ, এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে পরীক্ষায় খারাপ রেজাল্ট।
অনুপযুক্ত বিনোদন
টিকটকে ভিডিও প্রদর্শনে বয়সের কোনও সীমারেখা থাকে না। তাই অপরিণত মস্তিষ্ক নিয়ে এগুলোর সম্মুখীন হওয়াতে বিভ্রান্তি ও ভারসাম্যহীনতার ঝুঁকি থাকে। এমনকি অনেক অপ্রাপ্ত বয়স্কদেরও এমন কন্টেন্ট বানাতে দেখা যায়, যা তাদের জন্যই অনুচিত। তাছাড়া টিকটক-এর অ্যাল্গরিদম উপযুক্ত ও অনুপযুক্ত বিষয়ের সাথে বয়সের সীমারেখার সামঞ্জস্য বিধান করতে সক্ষম নয়।
মাইক্রোসফ্টের প্রতিষ্ঠাতা খ্যাতিমান ব্যবসায়ী বিল গেট্স সম্প্রতি ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদেরকে টিকটক থেকে দূরে রাখার প্রতি জোর দিয়েছেন। কারণ হিসেবে তিনি সামনে এনেছেন এই অনুপযুক্ত কন্টেন্টের ঝুঁকিকে।
আরো পড়ুন: এয়ার পিউরিফায়ার: প্রয়োজনীয়তা, দাম, জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ও নতুন মডেল
টিকটকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শিশুকে নিরাপদ রাখার উপায়
.
অফলাইন কার্যকলাপ চর্চা
যে কাজগুলোতে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের উপর্যুপরি নাড়াচাড়া হয়, সে কাজগুলো স্বাস্থ্যের জন্য উত্তম। অনলাইন নির্ভর জীবন ব্যবস্থার প্রসারের ফলে কাজগুলো শুধুমাত্র মস্তিষ্ক কেন্দ্রিক হয়ে গেছে। কিন্তু শিশুদের সর্বাঙ্গীন ক্রমবিকাশের জন্য ন্যূনতম কায়িক পরিশ্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা দরকার।
বাইরে খোলা আকাশের নিচে ক্রিকেট, ফুটবল বা র্যাকেটের মত খেলাধুলায় যথেষ্ট শ্রম প্রয়োজন হয়। নিদেনপক্ষে প্রতিদিন পড়ন্ত বিকেলে সবুজ উদ্যানে হাটাহাটি করাটাও শরীর ও মনকে প্রফুল্ল রাখে। মাঝে মধ্যে দূরে কোথাও ঘুরতে যাওয়া যেতে পারে। সপ্তাহান্তে পরিবারের সবাই মিলে একসাথে রান্না করা যায়, যেখানে ছোট ছোট কাজে অংশ নেবে শিশুরাও। এছাড়া কবিতা আবৃতি, ছবি আঁকা, বা গান গাওয়ার মতো শখগুলোর প্রতি উদ্বুদ্ধ করা সুস্থ মনস্তত্ত্ব চর্চারই নামান্তর।
ইন্টারনেটের ক্ষতিকর বিষয়গুলো বুঝিয়ে বলা
তথ্য-প্রযুক্তির যুগে সবার হাতে স্মার্টফোন পৌঁছে যাওয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ার বাইরে থাকাটা বেজায় কঠিন। তাই নেতিবাচক প্রভাব থেকে মুক্তির জন্য শিশুদেরকে ইন্টারনেটের ক্ষতিকর বিষয়গুলো ভালোভাবে বুঝিয়ে বলতে হবে। এই মুক্ত আলোচনা শিশুদের মুক্ত বিবেচনার মাপকাঠি নির্ধারণের জন্যও জরুরি।
আরো পড়ুন: ২০২৫ সালে যে প্রযুক্তিগত দক্ষতাগুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকবে
মূলত কৌতূহল ও উদ্দীপনার বিষয়গুলোতে শাসন বা ভয় প্রদর্শন অধিকাংশ ক্ষেত্রে শিশুদের মধ্যে জেদ সৃষ্টি করে। যারা ভয় পেয়ে শান্ত হয়ে যায় তাদের মধ্যে কেউ কেউ ভাবে যে তাদেরকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আর কোনও কোনও শিশু ভয় নিয়ে বেড়ে উঠার কারণে নতুন কোনও কিছুকে আলিঙ্গন করার সাহস হারিয়ে ফেলে।
তাই অভিভাবক ও শিক্ষকদের এক্ষেত্রে খুব সতর্ক থাকতে হবে। শুরু থেকেই শিশুদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলাটা একটি কার্যকরি উপায়। এতে করে তারা নির্বিঘ্নে যে কোনও কিছু শেয়ার করতে পারে। হঠাৎ করে অনুপযুক্ত কোনও প্রশ্নে বিরূপ মনোভাব ব্যক্ত না করে স্বাভাবিক থেকে সেটা বুঝিয়ে দিলে তা অতিরিক্ত কৌতূহলের দিকে ধাবিত হয় না।
স্ক্রিন টাইম লিমিট সেট করা
উপরোক্ত দুটি পদক্ষেপ গ্রহণের পর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা জোরদার করতে এই প্রযুক্তিগত সুবিধাটি ব্যবহার করা যায়। এখন অ্যাপেল ও অ্যান্ড্রয়েড সহ যে কোনও স্মার্টফোনেই নির্দিষ্ট অ্যাপগুলোতে দৈনিক স্ক্রিন টাইম লিমিট করার ফিচার রয়েছে। এতে একটি নির্দিষ্ট সময় পর সেই অ্যাপটি আর ব্যবহার করা যায় না। টিকটকের মতো অ্যাপগুলোতে এই ফিচার নিয়মিত ব্যবহারের মাধ্যমে শিশুদেরকে দীর্ঘ সময়ের বন্দিদশা থেকে মুক্ত করা যাবে। শরীর ও মনের সঠিক ক্রমবিকাশের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে শিশুর স্মার্টফোন ব্যবহারে বাবা-মায়ের এই নিয়ন্ত্রণটুকু অতীব জরুরি।
আরো পড়ুন: শীতে ঘরের শুষ্কতা দূর করতে হিউমিডিফায়ার: জনপ্রিয় ব্র্যান্ড, মডেল ও দাম
স্মার্টফোনের ইন্টারনেট ব্রাউজারের প্রাইভেসি ফিচার ব্যবহার
ডেস্কটপ ও ল্যাপটপ কম্পিউটারের পাশাপাশি এখন স্মার্টফোনেও ইন্টারনেট ব্রাউজারে প্রাইভেসি ফিচার সক্রিয় করা যায়। এখানে অভিভাবকরা অনুপযুক্ত ওয়েবসাইট ও কন্টেন্টগুলো ফিল্টারের মাধ্যমে প্রাইভেসি সেট করে রাখতে পারে। এই ফিল্টার এমনকি একটি-দুটো শব্দের জন্যও সেট করে রাখা যায়।
ফ্যামিলি পেয়ারিং-এর ফিচারটিতে অভিভাবক তার সন্তানের সাথে টিকটক অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক করতে পারেন। ফলে সন্তান কি ধরণের কন্টেন্ট দেখছে তা অভিভাবকও জানতে পারেন। এ সময় অনুপযুক্ত কিছু ধরা পড়লে তারা সেই ভিডিওর জন্য প্রাইভেসি সেট করে দিতে পারেন।
এই পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়াটি অবশ্যই আক্রমণাত্মক হওয়া উচিত নয়। বরং উন্মুক্ত কথোপকথনের মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা করা হলে শিশুর সুস্থ অনলাইন উপস্থিতি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
আরো পড়ুন: আইফোন চুরি প্রতিরোধে অ্যাপলের গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা
শেষাংশ
টিকটকের চিত্তাকর্ষক স্বল্পদৈর্ঘ্যের ভিডিও কন্টেন্ট শিশুদের নিমেষেই এর প্রতি আসক্ত করে তোলে। এতে করে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য বিপর্যয়, ঘুমের ব্যাঘাত, শিক্ষাগত অবনতি এবং অনুপযুক্ত বিনোদনের সরণাপন্ন হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। এই সমস্যা দূরীকরণে গঠনমূলক কৌশর হতে পারে অফলাইন কার্যকলাপ চর্চা করা এবং ইন্টারনেটের নেতিবাচক দিকগুলো বুঝিয়ে বলা। পাশাপাশি স্ক্রীন টাইম লিমিট সেট করা এবং ইন্টারনেট ব্রাউজারের প্রাইভেসি ফিচারগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। এই পদক্ষেপগুলো শিশুদের সুস্থ ক্রমবিকাশ অব্যাহত রেখে প্রযুক্তির ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
আরো পড়ুন: লেখকদের সৃজনশীলতায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব: ব্যবহারের সুবিধা-অসুবিধা
৬৭ দিন আগে
অনিশ্চয়তা কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরেছে টিকটক
নির্বাচিত-প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আশ্বাসের পর যুক্তরাষ্ট্রের ফের কার্যক্রম পুনর্বহাল করেছে টিকটক। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) থেকেই দেশটিতে টিকটক ফিরেছে।
এরআগে ট্রাম্প বলেন, সোমবার (২০ জানুয়ারি) প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপটিতে প্রবেশ পুনর্বহাল করবেন।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার অভিষেকের আগে একটি শোভাযাত্রায় তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমাদের হাতে কোনো বিকল্প নেই। যে কারণে এটিকে রক্ষা করতে হবে। সতেরো কোটি আমেরিকান এই অ্যাপটি ব্যবহার করেন।’
এক বার্তায় টিকটক জানিয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে টিকটিক ফিরেছে।’ অথচ রবিবার সন্ধ্যায়ও মার্কিন অ্যাপ স্টোরে টিকটিক ছিল না।
চীনা মালিকানাধীন অ্যাপটিতে মার্কিন ব্যবহারকারীরা প্রবেশ শুরু করলে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমাদের সেবাদাতাদের সঙ্গে একটি চুক্তি অনুসারে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক আবার পুনর্বহাল হচ্ছে। এছাড়া টিকটককে কার্যক্রম চালাতে দিলে সেবাদাতাদের কোনো ধরনের সাজার মুখে পড়তে হবে না; এমন আশ্বাস দিয়েছেন ট্রাম্প। টিকটকের পক্ষ থেকে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে।
এরআগে চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন টিকটক নিষিদ্ধ করার একটি আইন গত শুক্রবার মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট বহাল রাখেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রে এটি বন্ধ হয়ে যায়। এমন অবস্থায় টিকটক ও যুক্তরাষ্ট্রে তাদের ১৭ কোটি গ্রাহক অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েন।
আইন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে ১৯ জানুয়ারির মধ্যে টিকটকের মালিকানা বিক্রি না করলে কোম্পানিটির ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার কথা। গত বছরের এপ্রিলে মার্কিন কংগ্রেসে পাস হওয়া আইনটির বিষয়ে টিকটক, বাইটড্যান্স ও কিছুসংখ্যক ব্যবহারকারী চ্যালেঞ্জ করেন। এরপর শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের ৯ জন বিচারপতি সর্বসম্মতিক্রমে ওই আইন বহাল রাখার আদেশ দেন।
বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন অ্যাপটির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ হলো, এটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে।
৮৪ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হলো টিকটক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটকের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। টিকটককে নিষিদ্ধ করে ফেডারেল আইন কার্যকর হওয়ায় শনিবার সন্ধ্যায় টিকটকের অ্যাপটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপ স্টোর থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
এর মধ্যদিয়ে কার্যত চীনভিত্তিক অ্যাপটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেল।
পূর্বাঞ্চলীয় স্থানীয় রাত ১০টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত অ্যাপটি অ্যাপল এবং গুগলের অ্যাপ স্টোরগুলোতে পাওয়া যায়নি।
এর আগে মার্কিন আদালতের নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়েছিল, টিকটকের চীন-ভিত্তিক প্যারেন্ট কোম্পানি বাইটড্যান্সকে প্ল্যাটফর্মটি বিক্রি করতে হবে। আর তা না করলে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হবে। চীন-ভিত্তিক প্যারেন্ট কোম্পানি বাইটড্যান্স এটিতে রাজি হয়নি। ফলে প্ল্যাটফর্মটি যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হলো।
তবে টিকটক মার্কিন আইনটিকে চ্যালেঞ্জ করে যুক্তি দেখিয়েছে যে, এই সিদ্ধান্তটি দেশটিতে তার ১৭ কোটি ব্যবহারকারীর বাক স্বাধীনতার সুরক্ষার লঙ্ঘন করে।
মার্কিন যু্ক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী সোমবার। ওই দিনই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, তাই আইনটি কার্যকর করার দায়িত্ব নতুন প্রেসিডেন্টের উপর বর্তাবে।
প্রাথমিকভাবে এই পদক্ষেপকে সমর্থন করলেও ট্রাম্প ইঙ্গিত হলো তিনি এই নিষেধাজ্ঞার পক্ষে নন।
শুক্রবার তিনি বলেছেন, ‘টিকটক নিয়ে আমার সিদ্ধান্ত অদূর ভবিষ্যতে নেওয়া হবে। তবে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য আমার অবশ্যই সময় থাকতে হবে।’
অন্যদিকে বাইটড্যান্স টিকটক বিক্রি না করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে, যেকোনো প্রতিকার না পাওয়া পর্যন্ত রবিবার অ্যাপটির মার্কিন কার্যক্রম বন্ধ করার পরিকল্পনা করেছে তারা।
ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা গত বছর ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপটি নিষিদ্ধ করার পক্ষে ভোট দেন। টিকটক বারবার বলেছে, তারা বেইজিংয়ে তথ্য পাচার বা পাঠায় না।
আরও পড়ুন: টিকটক বন্ধ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে!
৮৫ দিন আগে
টিকটক বন্ধ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে!
নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার আগে মার্কিন সরকার পদক্ষেপ না নিলে আগামী রবিবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ভিডিও প্ল্যাটফর্ম টিকটক আর কার্যক্রম চালাবে না।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) টিকটক কর্তৃপক্ষের বরাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
এক বিবৃতিতে টিকটক কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘বাইডেন প্রশাসন এবং বিচার বিভাগ উভয়ই টিকটকের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার জন্য অপরিহার্য পরিষেবা সরবরাহকারীদের প্রয়োজনীয় স্পষ্টতা এবং আশ্বাস দিতে ব্যর্থ হয়েছে।’
এতে আরও বলা হয়, সরকার যদি অবিলম্বে ভিডিও অ্যাপটিকে নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের জন্য তাদের শাস্তি দেওয়া হবে না এমন নিশ্চয়তা দিতে পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে এটি ‘১৯ জানুয়ারি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে’।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর টিকটকের এই বিবৃতি প্রকাশ করা হলো। এতে বলা হয়েছে, চীনভিত্তিক মূল কোম্পানি বাইটড্যান্স রবিবারের মধ্যে অ্যাপটি বিক্রি না করলে যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপটি নিষিদ্ধ করার আইন বহাল রেখেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
টিকটক এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করে যুক্তি দেখিয়েছে যে, এই সিদ্ধান্তটি দেশটিতে তার ১৭ কোটি ব্যবহারকারীর বাক স্বাধীনতার সুরক্ষার লঙ্ঘন করে।
কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের ফলে আগামী দিনগুলোতে যদি কোনো ক্রেতা না পাওয়া যায়, তাহলে অ্যাপটির মার্কিন সংস্করণ অ্যাপ স্টোর এবং ওয়েব হোস্টিং সেবা থেকে সরিয়ে ফেলা হবে।
ধারণা করা হচ্ছিল, যাদের ফোনে টিকটক অ্যাপটি ডাউনলোড করা আছে, এই নিষেধাজ্ঞা সেই ব্যবহারকারীদের ওপর প্রভাব ফেলবে না।
আরও পড়ুন: সংবাদ-রাজনৈতিক বিষয়বস্তু কমিয়ে দেওয়ায় ফেসবুক নিউজ ট্যাব থাকছে না
কিন্তু শুক্রবার টিকটকের নতুন বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এটি তাৎক্ষণিকভাবে বিদ্যমান ব্যবহারকারীদের পাশাপাশি যারা এটি ডাউনলোড করতে চান— তাদের জন্যও অবিলম্বে এটি সহজপ্রাপ্য হবে না।
মার্কিন যু্ক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী সোমবার। ওই দিনই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, তাই আইনটি কার্যকর করার দায়িত্ব নতুন প্রেসিডেন্টের উপর বর্তাবে।
প্রাথমিকভাবে এই পদক্ষেপকে সমর্থন করলেও ট্রাম্প ইঙ্গিত হলো তিনি এই নিষেধাজ্ঞার পক্ষে নন।
শুক্রবার তিনি বলেছেন, ‘টিকটক নিয়ে আমার সিদ্ধান্ত অদূর ভবিষ্যতে নেওয়া হবে। তবে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য আমার অবশ্যই সময় থাকতে হবে।’
অন্যদিকে বাইটড্যান্স টিকটক বিক্রি না করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে, যেকোনো প্রতিকার না পাওয়া পর্যন্ত রবিবার অ্যাপটির মার্কিন কার্যক্রম বন্ধ করার পরিকল্পনা করেছে তারা।
ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা গত বছর ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপটি নিষিদ্ধ করার পক্ষে ভোট দেন। টিকটক বারবার বলেছে, তারা বেইজিংয়ে তথ্য পাচার বা পাঠায় না।
আরও পড়ুন: ভিডিও গেম খেলে অর্থ উপার্জনের উপায়
৮৬ দিন আগে
ফেসবুক কবে চালু হবে, জানা যাবে বুধবার
ফেসবুকসহ সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কবে ও কখন থেকে ফের চালু হবে, তা আগামীকাল (বুধবার) বেলা ১১টার পর জানা যাবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ ও আইসিটিপ্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ৭ মন্ত্রী, ৪ সচিব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী।
সামাজিকমাধ্যমগুলো কবে চালু করা হবে, জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামীকাল (বুধবার) বেলা ১১টার পর জানাতে পারব। টিকটক, ইউটিউব ও ফেসবুকের কাছে একটি ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। মৌখিক ও লিখিতভাবে জবাব দিতে বলা হয়েছে তাদের। এরইমধ্যে টিকটক আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের জানিয়েছে, তারা উপস্থিত হয়ে মৌখিক ও লিখিতভাবে জবাব দিতে চায়।’
তিনি বলেন, ‘তবে ফেসবুক ও ইউটিউব বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) কোনো জবাব দেয়নি। যে কারণে আগামীকাল এই তিন প্রতিষ্ঠানকে যথাক্রমে সকাল ৯টা, ১০টা ও বেলা ১১টায় বিটিআরসিতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাই আগামীকাল বেলা ১১টার পর তাদের কাছ থেকে ব্যাখ্যা পেয়ে তা বিশ্লেষণ করে, আর না পেলেও আমরা আলোচনাসাপেক্ষে সিদ্ধান্ত জানাতে পারব।’
২৫৭ দিন আগে
সংবাদ-রাজনৈতিক বিষয়বস্তু কমিয়ে দেওয়ায় ফেসবুক নিউজ ট্যাব থাকছে না
সংবাদ ও রাজনৈতিক বিষয়বস্তুকে ভবিষ্যতে কম গুরুত্ব দেওয়ার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এপ্রিলের শুরুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার ব্যবহারকারীদের জন্য ফেসবুকে খবর প্রচার বন্ধ করবে মেটা। গত বছর যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানিতে ফিচারটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ফেসবুকে ২০১৯ সালে চালু হওয়া নিউজ ট্যাবটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের পাশাপাশি ছোট ও স্থানীয় প্রকাশনাগুলোর শিরোনামগুলো ব্যবসায়িকভাবে ব্যবহার করেছে।
মেটা বলছে, ব্যবহারকারীরা সংবাদ নিবন্ধের লিংক দেখতে সক্ষম হবেন। সংবাদ সংস্থাগুলো তাদের লেখা ও ওয়েবসাইটগুলো পোস্ট ও প্রচার করতে পারবে, যেমনটি অন্য কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা ফেসবুকে করতে পারে।
ভুল তথ্য কীভাবে ছড়ানো হয় এবং এটি রাজনৈতিক মেরুকরণে অবদান রাখে কি না, তা নিয়ে বছরের পর বছর ধরে সমালোচনার পরে মেটা তার প্ল্যাটফর্মগুলোতে সংবাদ ও রাজনৈতিক উপাদান হ্রাস করার চেষ্টার পরে এই পরিবর্তন আসে।
মেটার মুখপাত্র ড্যানি লিভার বলেছেন, ‘এই পরিবর্তন গ্রাহকের অনুসরণ করা অ্যাকাউন্টের পোস্টে প্রভাব ফেলবে না। এটি সিস্টেমের সুপারিশগুলোকে প্রভাবিত করে এবং ব্যবহারকারীরা যদি আরও বেশি চায়, তবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।’ ‘ঘোষণাটি এমন সময় আসছে, যখন ব্যবহারকারীরা বছরের পর বছর আমাদের কাছে জানতে চেয়েছিল যে আমরা কীভাবে রাজনৈতিক বিষয়বস্তুগুলো পরিচালনা করি তার উপর ভিত্তি করে।’
আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপে এইচডি ছবি যেভাবে পাঠাবেন
মেটার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিউজ ট্যাবে এই পরিবর্তন তাদের ফ্যাক্ট-চেকিং নেটওয়ার্ক এবং ভুল তথ্যের পর্যালোচনায় কোনো প্রভাব ফেলবে না।
কিন্তু ভুল তথ্য প্রতিষ্ঠানটির জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়েই গেছে, বিশেষ করে যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং অন্যান্য প্রতিযোগিতা চলছে।
কর্নেল ব্রুকস স্কুল অব পাবলিক পলিসির টেক পলিসি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও প্রযুক্তি নীতি গবেষক সারাহ ক্রেপস বলেছেন, ‘ফেসবুক নিজেকে রাজনৈতিক প্লাটফর্ম হিসেবে মনে করে না। এটি চালান প্রযুক্তিবিদরা। তারপর হঠাৎ এটি মূল্যায়ন শুরু করে এবং তারা নিজেদের রাজনীতিতে নিমজ্জিত দেখতে পায় এবং তারা নিজেরাই শিরোনাম হয়ে ওঠে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি এই বছর অনেকগুলো বড় নির্বাচন আসছে, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে ফেসবুক রাজনীতি থেকে আরও এক ধাপ দূরে সরে যাচ্ছে, যাতে তারা অসাবধানতাবশত নিজেরাই রাজনৈতিক শিরোনাম হতে না পারে।’
পয়েন্টারের মিডিয়া বিশ্লেষক রিক অ্যাডমন্ডস বলেন, নিউজ ট্যাবের বিলুপ্তি সংবাদ সংস্থাগুলোর জন্য আশ্চর্যজনক নয়। বেশ কয়েক বছর ধরে তাদের ওয়েবসাইটগুলোতে ফেসবুক ট্র্যাফিক হ্রাস পাচ্ছে। ফলে সংস্থাগুলোকে দর্শকদের আকৃষ্ট করার অনুসন্ধান ও নিউজলেটারের মতো অন্যান্য উপায়গুলোতে মনোনিবেশ করতে উৎসাহিত করছে।
অ্যাডমন্ডস বলেন, ‘আমি বলব আপনি যদি খেয়াল করতেন, তাহলে আপনি দেখতে পেতেন এটি আসছে। তবে এটি সংবাদের ব্যবসার জন্য আরও একটি খুবই দুঃসংবাদ।’
আরও পড়ুন: কিছু ফিলিস্তিনি ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীর বায়োতে 'সন্ত্রাসী' উল্লেখ করায় ক্ষমা চেয়েছে মেটা
মেটা জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী ব্যবহারকারীরা তাদের ফেসবুক ফিডে যা দেখেন তার চেয়ে তিন শতাংশেরও কম সংবাদ তৈরি হয়। অস্ট্রেলিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফেসবুক সংবাদ ব্যবহারকারীর সংখ্যা গত বছর ৮০ শতাংশেরও বেশি হ্রাস পেয়েছে।
তবে ২০২৩ সালের পিউ রিসার্চ স্টাডি অনুসারে, মার্কিন প্রাপ্তবয়স্কদের অর্ধেক অন্তত মাঝে মাঝে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে খবর পান। ফেসবুকের মতো একটি প্ল্যাটফর্ম অন্যান্য মাধ্যমকে ছাড়িয়ে গেছে।
পিউ জানিয়েছে, প্রতি ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক মার্কিন নাগরিকের মধ্যে তিনজন বলেছেন যে তারা নিয়মিত ফেসবুক থেকে খবর পান এবং ১৬ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মার্কিন নাগরিক বলেছেন যে, তারা নিয়মিত ইনস্টাগ্রাম থেকে খবর পান। এই দুটো মাধ্যমেরই মালিকানা মেটার।
ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীরা সম্প্রতি ব্যবহারকারীদের অনুসরণ করেন না এমন অ্যাকাউন্টগুলোতে পোস্ট করা রাজনৈতিক বিষয়বস্তুর ‘সক্রিয়ভাবে’ সুপারিশ করা বন্ধ করার জন্য অ্যাপটির প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কারণ, ফিল্টার বন্ধ করার অপশন সবসময় ইউজার সেটিংসে থাকলেও মেটা যে এই পরিবর্তন করেছে তা অনেকেই জানতেন না।
আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপে আরও সহজে অডিও বার্তা যেভাবে পাঠাবেন
৩৮১ দিন আগে
হোয়াটসঅ্যাপে আরও সহজে অডিও বার্তা যেভাবে পাঠাবেন
অফিসের কাজে বা পরিবার-বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপ একটি অন্যতম অনুষঙ্গ। ছবি ও ভিডিওর পাশাপাশি যে কোনো ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিতে অডিও বার্তা বেশ কাজের। দীর্ঘ অডিও বার্তা এখন আরও সহজে পাঠানো যায় ফেসবুকের প্রধান কোম্পানি মেটা প্ল্যাটফর্মসের মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপের মুঠোফোন অ্যাপে।
আগে অডিও বার্তা পাঠানোর জন্য কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তি বা গ্রুপে মাইক্রোফোন আইকনটি চেপে ধরে প্রয়োজনীয় বার্তা রেকর্ড করতে হতো। এরপর আইকন ছেড়ে দিলেই তা চলে যেত। রেকর্ড করার সময় যদি তা বাদ দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে তাহলে মাইক্রোফোনের আইকনটি ঠিক বাম দিকে স্লাইড করলেই তা মুছে যেত। সুবিধাটি এখনও আছে। তবে যোগ করা হয়েছে নতুন কিছু।
আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপে এইচডি ছবি যেভাবে পাঠাবেন
৩৮৯ দিন আগে
রিয়েলমির ইয়ার-এন্ড সেল-ব্রেশন ক্যাম্পেইন শুরু
২০২৩ সালকে বিদায় জানানোর আর অল্প কিছুদিন বাকি। আর বছরের শেষ সময় স্মরণীয় করে রাখতে রিয়েলমি নিয়ে এসেছে তাদের দুর্দান্ত নতুন ক্যাম্পেইন– ইয়ার-এন্ড সেল-ব্রেশন!
ক্যাম্পেইনের আওতায় রিয়েলমির নির্ধারিত কিছু ডিভাইসে ক্রেতারা আকর্ষণীয় সেল অর্থাৎ ছাড় উপভোগ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করুন: টিআইবি
শুধু রিয়েলমির নিজস্ব স্টোর থেকে স্টক শেষ হওয়া পর্যন্ত এই ছাড় চলবে।
বছর শেষের ছুটির দিনগুলো জমিয়ে উদযাপন করতে রিয়েলমি সি৫৫ (৬+১২৮ জিবি) স্মার্টফোনটি ইয়ার-এন্ড সেল-ব্রেশনের ছাড়মূল্যে এখন পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১৯ হাজার ৯৯৯ টাকায়!
যারা দ্রুত চার্জিং সুবিধা সম্পন্ন একটি ডিভাইস খুঁজছেন, তাদের জন্য ক্যাম্পেইনের বিশেষ মূল্যে রিয়েলমি সি৫৩ (৬+১২৮ জিবি) স্মার্টফোনটি রয়েছে মাত্র ১৫ হাজার ৯৯৯ টাকায়।
ডিভাইসটির অনন্য চার্জিং সুবিধার কারণে মাত্র ৪৬ মিনিটের মধ্যেই ব্যবহারকারীরা ১০০ শতাংশ চার্জ উপভোগ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ৩ বছর পর দেশে শাবনূর, ‘মাতাল হাওয়ায়’ থাকছেন তিনি
বিশেষ এই অফারের আওতায় আরও রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেল এআই ক্যামেরা যুক্ত রিয়েলমি সি৫১ (৪+৬৪ জিবি)। যার মূল্য এখন মাত্র ১২ হাজার ৯৯৯ টাকা।
এ ছাড়াও শক্তিশালী প্রসেসর যুক্ত রিয়েলমি সি৩০এস এর দুটি ভ্যারিয়েন্ট ইয়ার-এন্ড সেল-ব্রেশনের ছাড়মূল্যে এখন পাওয়া যাচ্ছে ৮ হাজার ৯৯৯ টাকা (২+৩২ জিবি) এবং ১০ হাজার ৯৯৯ টাকায় (৩+৬৪ জিবি)।
ক্যাম্পেইনের আওতাভুক্ত প্রতিটি স্মার্টফোনের রয়েছে অনন্য সব ফিচার, যা তরুণ আর প্রযুক্তিপ্রেমীদের জন্য সেরা আকর্ষণ।
আরও পড়ুন: অপু বিশ্বাসের ভুল স্বীকার
৪৮১ দিন আগে
দেশের প্রতিটি ডায়াবেটিস হাসপাতাল ইন্টারনেটের আওতায় আসবে: পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশের প্রতিটি ডায়াবেটিস হাসপাতালকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, শুরুতে দুই শতাধিক ডায়াবেটিস হাসপাতাল ও প্রতিটি কেন্দ্রে অল্প দিনের মধ্যেই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে সংযুক্ত করে স্মার্ট টেলিমেডিসিন সুবিধা চালু করা হবে।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে ডায়াবেটিস ফেডারেশন আয়োজিত ‘ডায়াবেটিসের ঝুঁকি জানুন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন’ বিষয়ক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিভিন্ন দেশের যৌথ সহযোগিতা ছাড়া সাইবার স্পেস সুরক্ষিত রাখা সম্ভব নয়: পলক
পলক বলেন, স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করেন।
তিনি আরও বলেন, কমিউনিটি পর্যায়ে গ্রামীণ হাসপাতাল স্থাপন করেছিলেন। তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ইন্টারনেটের সেবা দিয়ে প্রতিটি গ্রামকে শহরে পরিণত করছেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সারা বাংলাদেশে গত ১৪ বছরের স্বাস্থ্যকে জনগণের হাতের নাগালে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। উপজেলা পর্যায়ে ৫০ শয্যার হাসপাতাল, সাড়ে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক, ২৭ ধরনের ওষুধ বিনামূল্যে গ্রামের সাধারণ জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের বিভিন্ন সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল এবং অর্থনৈতিকভাবে মর্যাদাশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের সর্বত্র ইন্টারনেটকে সুলভ এবং সহজলভ্য করা হয়েছে।
বাংলাদেশের ১৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা টেলিমেডিসিন সেবা দূরবর্তী জায়গা থেকেও পাচ্ছে বলেও তিনি জানান।
পলক বলেন, ২০৪১ সাল নাগাদ দেশের প্রত্যেক নাগরিককে সুস্থ-সবল, প্রগতিশীল ও উদ্ভাবনী স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতনতার পাশাপাশি নিয়মিত ডায়াবেটিস পরীক্ষা, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ও নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন করতে হবে।
বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতি’র সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ. কে. আজাদ খানের সভাপতিত্বে অন্যান্যোর মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিকস ম্যালার, নভো নরডিস্ক এর ভিপি ও জিএম রাজর্ষি দে সরকার।
অনুষ্ঠানে অল্পবয়সে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ্য হওয়া বেশ কয়েকজন তরুণ-তরুণীদের পুরস্কৃত করা হয়।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশের রোল মডেল হবে ডিজিটাল সেন্টার: পলক
ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের আমন্ত্রণে বেলজিয়াম গেলেন পলক
৫১৬ দিন আগে
কিছু ফিলিস্তিনি ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীর বায়োতে 'সন্ত্রাসী' উল্লেখ করায় ক্ষমা চেয়েছে মেটা
নিজেদের ফিলিস্তিনি হিসেবে পরিচয় দেওয়া কিছু ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীর ‘বায়ো’তে 'সন্ত্রাসী' উল্লেখ করার জন্য ক্ষমা চেয়েছে টেক জায়ান্ট ফেসবুকের প্রধান কোম্পানি মেটা।
মেটা বলেছে, মাধ্যমটির কিছু ক্ষেত্রে ‘অনুপযুক্ত আরবি অনুবাদের কারণে’ সৃষ্ট সমস্যার সমাধান করা হয়েছে।
তারা ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে জানিয়েছে, ‘আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত যে এটি ঘটেছে।’
ইসরায়েল-গাজা সংঘাতের সময় ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানানো কনটেন্ট সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে প্ল্যাটফর্মটির বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: গাজায় 'মানবিক বিরতির' আহ্বান জানিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবের ব্যর্থতায় ফ্রান্সের দুঃখ প্রকাশ
কিছু ব্যবহারকারী বলছেন, ফিলিস্তিনপন্থী পোস্টের জন্য ইনস্টাগ্রামে তাদের 'শ্যাডো ব্যান' (ব্যবহারকারীকে না জানিয়েই তার কনটেন্ট নিউজফিডে দেখানো থেকে বিরত রাখা) করা হয়েছে।
ব্যবহারকারীরা দাবি করেছেন, সংঘাতের কথা উল্লেখ করে স্টোরিজের ২৪ ঘণ্টার পোস্টে অন্যদের তুলনায় কম ভিউ পেয়েছেন তারা এবং অনুসন্ধানে তাদের অ্যাকাউন্টগুলো সহজে খুঁজে পাওয়া যায় না।
প্রযুক্তি জায়ান্ট মেটা স্বীকার করেছে, একটি বাগ (ত্রুটি) স্টোরিজকে প্রভাবিত করেছে। তবে বিষয়বস্তুর সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের জন্য বিশেষ দোয়া বাংলাদেশে
ইসরায়েলের হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের জন্য শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
৫৪১ দিন আগে