সামাজিক-যোগাযোগমাধ্যম
ফেসবুক কবে চালু হবে, জানা যাবে বুধবার
ফেসবুকসহ সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কবে ও কখন থেকে ফের চালু হবে, তা আগামীকাল (বুধবার) বেলা ১১টার পর জানা যাবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ ও আইসিটিপ্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ৭ মন্ত্রী, ৪ সচিব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী।
সামাজিকমাধ্যমগুলো কবে চালু করা হবে, জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামীকাল (বুধবার) বেলা ১১টার পর জানাতে পারব। টিকটক, ইউটিউব ও ফেসবুকের কাছে একটি ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। মৌখিক ও লিখিতভাবে জবাব দিতে বলা হয়েছে তাদের। এরইমধ্যে টিকটক আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের জানিয়েছে, তারা উপস্থিত হয়ে মৌখিক ও লিখিতভাবে জবাব দিতে চায়।’
তিনি বলেন, ‘তবে ফেসবুক ও ইউটিউব বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) কোনো জবাব দেয়নি। যে কারণে আগামীকাল এই তিন প্রতিষ্ঠানকে যথাক্রমে সকাল ৯টা, ১০টা ও বেলা ১১টায় বিটিআরসিতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাই আগামীকাল বেলা ১১টার পর তাদের কাছ থেকে ব্যাখ্যা পেয়ে তা বিশ্লেষণ করে, আর না পেলেও আমরা আলোচনাসাপেক্ষে সিদ্ধান্ত জানাতে পারব।’
৩ মাস আগে
সংবাদ-রাজনৈতিক বিষয়বস্তু কমিয়ে দেওয়ায় ফেসবুক নিউজ ট্যাব থাকছে না
সংবাদ ও রাজনৈতিক বিষয়বস্তুকে ভবিষ্যতে কম গুরুত্ব দেওয়ার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এপ্রিলের শুরুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার ব্যবহারকারীদের জন্য ফেসবুকে খবর প্রচার বন্ধ করবে মেটা। গত বছর যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানিতে ফিচারটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ফেসবুকে ২০১৯ সালে চালু হওয়া নিউজ ট্যাবটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের পাশাপাশি ছোট ও স্থানীয় প্রকাশনাগুলোর শিরোনামগুলো ব্যবসায়িকভাবে ব্যবহার করেছে।
মেটা বলছে, ব্যবহারকারীরা সংবাদ নিবন্ধের লিংক দেখতে সক্ষম হবেন। সংবাদ সংস্থাগুলো তাদের লেখা ও ওয়েবসাইটগুলো পোস্ট ও প্রচার করতে পারবে, যেমনটি অন্য কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা ফেসবুকে করতে পারে।
ভুল তথ্য কীভাবে ছড়ানো হয় এবং এটি রাজনৈতিক মেরুকরণে অবদান রাখে কি না, তা নিয়ে বছরের পর বছর ধরে সমালোচনার পরে মেটা তার প্ল্যাটফর্মগুলোতে সংবাদ ও রাজনৈতিক উপাদান হ্রাস করার চেষ্টার পরে এই পরিবর্তন আসে।
মেটার মুখপাত্র ড্যানি লিভার বলেছেন, ‘এই পরিবর্তন গ্রাহকের অনুসরণ করা অ্যাকাউন্টের পোস্টে প্রভাব ফেলবে না। এটি সিস্টেমের সুপারিশগুলোকে প্রভাবিত করে এবং ব্যবহারকারীরা যদি আরও বেশি চায়, তবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।’ ‘ঘোষণাটি এমন সময় আসছে, যখন ব্যবহারকারীরা বছরের পর বছর আমাদের কাছে জানতে চেয়েছিল যে আমরা কীভাবে রাজনৈতিক বিষয়বস্তুগুলো পরিচালনা করি তার উপর ভিত্তি করে।’
আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপে এইচডি ছবি যেভাবে পাঠাবেন
মেটার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিউজ ট্যাবে এই পরিবর্তন তাদের ফ্যাক্ট-চেকিং নেটওয়ার্ক এবং ভুল তথ্যের পর্যালোচনায় কোনো প্রভাব ফেলবে না।
কিন্তু ভুল তথ্য প্রতিষ্ঠানটির জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়েই গেছে, বিশেষ করে যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং অন্যান্য প্রতিযোগিতা চলছে।
কর্নেল ব্রুকস স্কুল অব পাবলিক পলিসির টেক পলিসি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও প্রযুক্তি নীতি গবেষক সারাহ ক্রেপস বলেছেন, ‘ফেসবুক নিজেকে রাজনৈতিক প্লাটফর্ম হিসেবে মনে করে না। এটি চালান প্রযুক্তিবিদরা। তারপর হঠাৎ এটি মূল্যায়ন শুরু করে এবং তারা নিজেদের রাজনীতিতে নিমজ্জিত দেখতে পায় এবং তারা নিজেরাই শিরোনাম হয়ে ওঠে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি এই বছর অনেকগুলো বড় নির্বাচন আসছে, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে ফেসবুক রাজনীতি থেকে আরও এক ধাপ দূরে সরে যাচ্ছে, যাতে তারা অসাবধানতাবশত নিজেরাই রাজনৈতিক শিরোনাম হতে না পারে।’
পয়েন্টারের মিডিয়া বিশ্লেষক রিক অ্যাডমন্ডস বলেন, নিউজ ট্যাবের বিলুপ্তি সংবাদ সংস্থাগুলোর জন্য আশ্চর্যজনক নয়। বেশ কয়েক বছর ধরে তাদের ওয়েবসাইটগুলোতে ফেসবুক ট্র্যাফিক হ্রাস পাচ্ছে। ফলে সংস্থাগুলোকে দর্শকদের আকৃষ্ট করার অনুসন্ধান ও নিউজলেটারের মতো অন্যান্য উপায়গুলোতে মনোনিবেশ করতে উৎসাহিত করছে।
অ্যাডমন্ডস বলেন, ‘আমি বলব আপনি যদি খেয়াল করতেন, তাহলে আপনি দেখতে পেতেন এটি আসছে। তবে এটি সংবাদের ব্যবসার জন্য আরও একটি খুবই দুঃসংবাদ।’
আরও পড়ুন: কিছু ফিলিস্তিনি ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীর বায়োতে 'সন্ত্রাসী' উল্লেখ করায় ক্ষমা চেয়েছে মেটা
মেটা জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী ব্যবহারকারীরা তাদের ফেসবুক ফিডে যা দেখেন তার চেয়ে তিন শতাংশেরও কম সংবাদ তৈরি হয়। অস্ট্রেলিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফেসবুক সংবাদ ব্যবহারকারীর সংখ্যা গত বছর ৮০ শতাংশেরও বেশি হ্রাস পেয়েছে।
তবে ২০২৩ সালের পিউ রিসার্চ স্টাডি অনুসারে, মার্কিন প্রাপ্তবয়স্কদের অর্ধেক অন্তত মাঝে মাঝে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে খবর পান। ফেসবুকের মতো একটি প্ল্যাটফর্ম অন্যান্য মাধ্যমকে ছাড়িয়ে গেছে।
পিউ জানিয়েছে, প্রতি ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক মার্কিন নাগরিকের মধ্যে তিনজন বলেছেন যে তারা নিয়মিত ফেসবুক থেকে খবর পান এবং ১৬ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মার্কিন নাগরিক বলেছেন যে, তারা নিয়মিত ইনস্টাগ্রাম থেকে খবর পান। এই দুটো মাধ্যমেরই মালিকানা মেটার।
ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীরা সম্প্রতি ব্যবহারকারীদের অনুসরণ করেন না এমন অ্যাকাউন্টগুলোতে পোস্ট করা রাজনৈতিক বিষয়বস্তুর ‘সক্রিয়ভাবে’ সুপারিশ করা বন্ধ করার জন্য অ্যাপটির প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কারণ, ফিল্টার বন্ধ করার অপশন সবসময় ইউজার সেটিংসে থাকলেও মেটা যে এই পরিবর্তন করেছে তা অনেকেই জানতেন না।
আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপে আরও সহজে অডিও বার্তা যেভাবে পাঠাবেন
৭ মাস আগে
হোয়াটসঅ্যাপে আরও সহজে অডিও বার্তা যেভাবে পাঠাবেন
অফিসের কাজে বা পরিবার-বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপ একটি অন্যতম অনুষঙ্গ। ছবি ও ভিডিওর পাশাপাশি যে কোনো ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিতে অডিও বার্তা বেশ কাজের। দীর্ঘ অডিও বার্তা এখন আরও সহজে পাঠানো যায় ফেসবুকের প্রধান কোম্পানি মেটা প্ল্যাটফর্মসের মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপের মুঠোফোন অ্যাপে।
আগে অডিও বার্তা পাঠানোর জন্য কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তি বা গ্রুপে মাইক্রোফোন আইকনটি চেপে ধরে প্রয়োজনীয় বার্তা রেকর্ড করতে হতো। এরপর আইকন ছেড়ে দিলেই তা চলে যেত। রেকর্ড করার সময় যদি তা বাদ দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে তাহলে মাইক্রোফোনের আইকনটি ঠিক বাম দিকে স্লাইড করলেই তা মুছে যেত। সুবিধাটি এখনও আছে। তবে যোগ করা হয়েছে নতুন কিছু।
আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপে এইচডি ছবি যেভাবে পাঠাবেন
৭ মাস আগে
রিয়েলমির ইয়ার-এন্ড সেল-ব্রেশন ক্যাম্পেইন শুরু
২০২৩ সালকে বিদায় জানানোর আর অল্প কিছুদিন বাকি। আর বছরের শেষ সময় স্মরণীয় করে রাখতে রিয়েলমি নিয়ে এসেছে তাদের দুর্দান্ত নতুন ক্যাম্পেইন– ইয়ার-এন্ড সেল-ব্রেশন!
ক্যাম্পেইনের আওতায় রিয়েলমির নির্ধারিত কিছু ডিভাইসে ক্রেতারা আকর্ষণীয় সেল অর্থাৎ ছাড় উপভোগ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করুন: টিআইবি
শুধু রিয়েলমির নিজস্ব স্টোর থেকে স্টক শেষ হওয়া পর্যন্ত এই ছাড় চলবে।
বছর শেষের ছুটির দিনগুলো জমিয়ে উদযাপন করতে রিয়েলমি সি৫৫ (৬+১২৮ জিবি) স্মার্টফোনটি ইয়ার-এন্ড সেল-ব্রেশনের ছাড়মূল্যে এখন পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১৯ হাজার ৯৯৯ টাকায়!
যারা দ্রুত চার্জিং সুবিধা সম্পন্ন একটি ডিভাইস খুঁজছেন, তাদের জন্য ক্যাম্পেইনের বিশেষ মূল্যে রিয়েলমি সি৫৩ (৬+১২৮ জিবি) স্মার্টফোনটি রয়েছে মাত্র ১৫ হাজার ৯৯৯ টাকায়।
ডিভাইসটির অনন্য চার্জিং সুবিধার কারণে মাত্র ৪৬ মিনিটের মধ্যেই ব্যবহারকারীরা ১০০ শতাংশ চার্জ উপভোগ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ৩ বছর পর দেশে শাবনূর, ‘মাতাল হাওয়ায়’ থাকছেন তিনি
বিশেষ এই অফারের আওতায় আরও রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেল এআই ক্যামেরা যুক্ত রিয়েলমি সি৫১ (৪+৬৪ জিবি)। যার মূল্য এখন মাত্র ১২ হাজার ৯৯৯ টাকা।
এ ছাড়াও শক্তিশালী প্রসেসর যুক্ত রিয়েলমি সি৩০এস এর দুটি ভ্যারিয়েন্ট ইয়ার-এন্ড সেল-ব্রেশনের ছাড়মূল্যে এখন পাওয়া যাচ্ছে ৮ হাজার ৯৯৯ টাকা (২+৩২ জিবি) এবং ১০ হাজার ৯৯৯ টাকায় (৩+৬৪ জিবি)।
ক্যাম্পেইনের আওতাভুক্ত প্রতিটি স্মার্টফোনের রয়েছে অনন্য সব ফিচার, যা তরুণ আর প্রযুক্তিপ্রেমীদের জন্য সেরা আকর্ষণ।
আরও পড়ুন: অপু বিশ্বাসের ভুল স্বীকার
১০ মাস আগে
দেশের প্রতিটি ডায়াবেটিস হাসপাতাল ইন্টারনেটের আওতায় আসবে: পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশের প্রতিটি ডায়াবেটিস হাসপাতালকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, শুরুতে দুই শতাধিক ডায়াবেটিস হাসপাতাল ও প্রতিটি কেন্দ্রে অল্প দিনের মধ্যেই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে সংযুক্ত করে স্মার্ট টেলিমেডিসিন সুবিধা চালু করা হবে।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে ডায়াবেটিস ফেডারেশন আয়োজিত ‘ডায়াবেটিসের ঝুঁকি জানুন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন’ বিষয়ক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিভিন্ন দেশের যৌথ সহযোগিতা ছাড়া সাইবার স্পেস সুরক্ষিত রাখা সম্ভব নয়: পলক
পলক বলেন, স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করেন।
তিনি আরও বলেন, কমিউনিটি পর্যায়ে গ্রামীণ হাসপাতাল স্থাপন করেছিলেন। তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ইন্টারনেটের সেবা দিয়ে প্রতিটি গ্রামকে শহরে পরিণত করছেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সারা বাংলাদেশে গত ১৪ বছরের স্বাস্থ্যকে জনগণের হাতের নাগালে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। উপজেলা পর্যায়ে ৫০ শয্যার হাসপাতাল, সাড়ে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক, ২৭ ধরনের ওষুধ বিনামূল্যে গ্রামের সাধারণ জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের বিভিন্ন সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল এবং অর্থনৈতিকভাবে মর্যাদাশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের সর্বত্র ইন্টারনেটকে সুলভ এবং সহজলভ্য করা হয়েছে।
বাংলাদেশের ১৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা টেলিমেডিসিন সেবা দূরবর্তী জায়গা থেকেও পাচ্ছে বলেও তিনি জানান।
পলক বলেন, ২০৪১ সাল নাগাদ দেশের প্রত্যেক নাগরিককে সুস্থ-সবল, প্রগতিশীল ও উদ্ভাবনী স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতনতার পাশাপাশি নিয়মিত ডায়াবেটিস পরীক্ষা, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ও নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন করতে হবে।
বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতি’র সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ. কে. আজাদ খানের সভাপতিত্বে অন্যান্যোর মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিকস ম্যালার, নভো নরডিস্ক এর ভিপি ও জিএম রাজর্ষি দে সরকার।
অনুষ্ঠানে অল্পবয়সে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ্য হওয়া বেশ কয়েকজন তরুণ-তরুণীদের পুরস্কৃত করা হয়।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশের রোল মডেল হবে ডিজিটাল সেন্টার: পলক
ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের আমন্ত্রণে বেলজিয়াম গেলেন পলক
১ বছর আগে
কিছু ফিলিস্তিনি ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীর বায়োতে 'সন্ত্রাসী' উল্লেখ করায় ক্ষমা চেয়েছে মেটা
নিজেদের ফিলিস্তিনি হিসেবে পরিচয় দেওয়া কিছু ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীর ‘বায়ো’তে 'সন্ত্রাসী' উল্লেখ করার জন্য ক্ষমা চেয়েছে টেক জায়ান্ট ফেসবুকের প্রধান কোম্পানি মেটা।
মেটা বলেছে, মাধ্যমটির কিছু ক্ষেত্রে ‘অনুপযুক্ত আরবি অনুবাদের কারণে’ সৃষ্ট সমস্যার সমাধান করা হয়েছে।
তারা ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে জানিয়েছে, ‘আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত যে এটি ঘটেছে।’
ইসরায়েল-গাজা সংঘাতের সময় ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানানো কনটেন্ট সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে প্ল্যাটফর্মটির বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: গাজায় 'মানবিক বিরতির' আহ্বান জানিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবের ব্যর্থতায় ফ্রান্সের দুঃখ প্রকাশ
কিছু ব্যবহারকারী বলছেন, ফিলিস্তিনপন্থী পোস্টের জন্য ইনস্টাগ্রামে তাদের 'শ্যাডো ব্যান' (ব্যবহারকারীকে না জানিয়েই তার কনটেন্ট নিউজফিডে দেখানো থেকে বিরত রাখা) করা হয়েছে।
ব্যবহারকারীরা দাবি করেছেন, সংঘাতের কথা উল্লেখ করে স্টোরিজের ২৪ ঘণ্টার পোস্টে অন্যদের তুলনায় কম ভিউ পেয়েছেন তারা এবং অনুসন্ধানে তাদের অ্যাকাউন্টগুলো সহজে খুঁজে পাওয়া যায় না।
প্রযুক্তি জায়ান্ট মেটা স্বীকার করেছে, একটি বাগ (ত্রুটি) স্টোরিজকে প্রভাবিত করেছে। তবে বিষয়বস্তুর সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের জন্য বিশেষ দোয়া বাংলাদেশে
ইসরায়েলের হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের জন্য শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
১ বছর আগে
হোয়াটসঅ্যাপে এইচডি ছবি যেভাবে পাঠাবেন
কোনো অনুষ্ঠান থেকে ঘরে ফিরেছেন। হোয়াটসঅ্যাপের নোটিফিকেশন বেজে উঠল। কাজে ব্যস্ত থাকায় হয়তো দেখা হলো না। একটু পর ফোন দিয়ে তাড়াতাড়ি অনুষ্ঠানের ছবিগুলো পাঠাতে বলল বন্ধু। শর্ত জুড়ে দিল, ছবির মান খারাপ হওয়া যাবে না।
এই পরিস্থিতিতে যে কাজ করা হয়- ছবিগুলো গুগল ড্রাইভে আপলোড করে লিংক শেয়ার অথবা হোয়াটসঅ্যাপের অ্যাটাচমেন্ট আইকন থেকে ডকুমেন্ট হিসেবে ছবিগুলো পাঠানো। উভয় প্রক্রিয়াই বেশ ঝামেলার।
এই ঝামেলার অবসান করা হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপে এখন উচ্চ মানের বা এইচডি ছবি পাঠানো যায়।
আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাট হিস্ট্রি আরও নিরাপদে স্থানান্তর যেভাবে করবেন
যেভাবে পাঠাবেন এইচডি ছবি
হোয়াটসঅ্যাপের কন্টাক্ট থেকে যাকে ছবি পাঠাবেন তা নির্বাচন করুন। অ্যাটাচমেন্ট আইকন থেকে গ্যালারিতে প্রবেশ করুন। আপনার পছন্দের ছবিগুলো নির্বাচন করে ডান পাশে নিচের দিকের টিক চিহ্ন চাপুন।
বাম পাশে উপরের দিকে এইচডি লিখা আইকন পাওয়া যাবে। এই আইকনটি শুধুমাত্র উচ্চ মানের ছবির ক্ষেত্রেই দেখা যাবে। আইকনটি চাপলেই ‘ফটো কোয়ালিটি’ দেখাবে। যেখানে ‘স্ট্যান্ডার্ড’ ও ‘এইচডি’ দুই ধরনের অপশন পাওয়া যাবে। এইচডি নির্বাচন করলেই হয়ে যাবে, উচ্চ মানে ছবি পাঠানোর জন্য প্রস্তুত।
১ বছর আগে
হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাট হিস্ট্রি আরও নিরাপদে স্থানান্তর যেভাবে করবেন
মেটা প্ল্যাটফর্মস-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ শুক্রবার হোয়াটসঅ্যাপে একটি নতুন ফিচারের ঘোষণা দিয়েছেন। যা ব্যবহারকারীদের একই অপারেটিং সিস্টেমের ডিভাইসগুলোর মধ্যে নিরাপদ উপায়ে চ্যাট হিস্ট্রি স্থানান্তর করার সুযোগ দেয়।
জাকারবার্গ নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক প্রোফাইলে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন এবং লিখেছেন, ‘আপনি যদি আপনার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট নতুন একটি মুঠোফোনে স্থানান্তর করতে চান, তাহলে চ্যাট না হারিয়েই আরও গোপনীয়তার সঙ্গে আপনি তা করতে পারবেন।’
হোয়াটসঅ্যাপ টিমের বিবৃতি অনুযায়ী, এই প্রথম একজন ব্যবহারকারী অ্যাপ থেকে বের না হয়েই সম্পূর্ণ চ্যাট ও মিডিয়া হিস্ট্রি সংরক্ষণ করতে পারবেন। হোয়াটসঅ্যাপ দাবি করছে যে তৃতীয় পক্ষের কোনো অ্যাপ বা ক্লাউড সেবা ব্যবহারের চেয়ে এটি হবে আরও নিরাপদ। কারণ, দুইটি ডিভাইসের মধ্যে হিস্ট্রি স্থানান্তরের সময় একটি কিউআর কোড অথেনটিকেটর (এক ধাপ বাড়তি নিরাপত্তা) হিসেবে কাজ করে এবং প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণভাবে এনক্রিপ্টেড। ফলে ডেটা শুধুমাত্র উক্ত দুই ডিভাইসের মধ্যে স্থানান্তরিত হবে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রাজ্য হিসেবে মন্টানায় ব্যক্তিগত ডিভাইসে নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে টিকটক
এর ফলে ব্যবহারকারীরা পূর্বে যেভাবে ‘ব্যাকআপ’ ও ‘রিস্টোর’ এর মাধ্যমে কাজটি করতেন, এখন তার চেয়ে দ্রুত করতে পারবেন। এর মাধ্যমে বড় আকারের ফাইল ও অ্যাটাচমেন্ট স্থানান্তর করা যাবে।
যেভাবে স্থানান্তর করা যাবে
এর জন্য মুঠোফোনে ওয়াইফাই ও লোকেশন অপশন চালু রাখতে হবে। হোয়াটসঅ্যাপের সেটিংস থেকে চ্যাটস অপশনের অধীনে এই সুবিধা রয়েছে। একটু নিচের দিকে আসলেই ‘ট্রান্সফার চ্যাটস’ অপশনটি পাওয়া যাবে। যে ডিভাইসে স্থানান্তর করতে হবে সেখানে হোয়াটসঅ্যাপ নামিয়ে নিয়ে একটি ফোন নম্বর দিয়ে রেজিস্টার করে নিতে হবে।
এরপর সেখানে দেখানো কিউআর কোডটি পূর্বের ডিভাইসের সাহায্যে স্ক্যান করলেই স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে।
সূত্র: এএনআই
আরও পড়ুন: পুনরায় হোয়াটসঅ্যাপ চালু
বার্তা আদানপ্রদান করতে না পারার অভিযোগ করেছেন হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা
১ বছর আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রাজ্য হিসেবে মন্টানায় ব্যক্তিগত ডিভাইসে নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে টিকটক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম অঙ্গরাজ্য হিসেবে চীনা মালিকানাধীন মিডিয়া জায়ান্ট টিকটককে ব্যক্তিগত ডিভাইস থেকে নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে মন্টানা।
বুধবার গভর্নর গ্রেগ জিয়ানফোর্ট এই নিষেধাজ্ঞা আইনে স্বাক্ষর করেছেন। যা ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।
ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটি বলেছে যে এই নিষেধাজ্ঞা ‘মন্টানার জনগণের প্রথম সংশোধনী অধিকার লঙ্ঘন করেছে’।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, চীন সরকারের কাছে তথ্য পাঠানো হতে পারে এই উদ্বেগের জন্য টিকটক বিশ্বজুড়ে কর্তৃপক্ষের তদন্তের আওতায় আসে।
রিপাবলিকান জিয়ানফোর্ট আইনপ্রণেতাদের বলেন, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নজরদারি থেকে মন্টানাবাসীদের রক্ষায় বৃহত্তর নিষেধাজ্ঞা আমাদের অভিন্ন অগ্রাধিকারকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।
টিকটকের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, মন্টানায় 'লাখ লাখ মানুষ' প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করে।
আরও পড়ুন: টিকটকে পরীক্ষামূলক ল্যান্ডস্কেপ ভিডিও মোড চালু
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা মন্টানাবাসীদের আশ্বস্ত করতে চাই যে তারা নিজেদের প্রকাশ করতে, জীবিকা উপার্জন করতে এবং নিজেদের সম্প্রদায় খুঁজে পেতে টিকটক ব্যবহার চালিয়ে যেতে পারে, কারণ আমরা মন্টানার ভেতরে ও বাইরে আমাদের ব্যবহারকারীদের অধিকার রক্ষার জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।’
টিকটক আইনটিকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গত মাসে মন্টানার আইনপ্রণেতারা ব্যক্তিগত ডিভাইসে টিকটক নিষিদ্ধ করার একটি বিল ৫৪ থেকে ৪৩ ভোটে পাস করেন।
আইনটি অ্যাপ স্টোরগুলোকে গ্রাহকদের টিকটক ডাউনলোড করার সুযোগ অবৈধ করবে। তবে ইতোমধ্যে টিকটক রয়েছে এমন ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে না।
মাত্র ১০ লাখ জনসংখ্যার মন্টানা গত ডিসেম্বরে সরকারি ডিভাইসে অ্যাপটি নিষিদ্ধ করে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যে শিশুদের গোপনীয়তা লঙ্ঘন, টিকটককে গুনতে হতে পারে বড় জরিমানা
১ বছর আগে
ইউটায় অপ্রাপ্তবয়স্কদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে লাগবে অভিভাবকের সম্মতি
ইউটা যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রাজ্য যেখানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে মা-বাবার সম্মতি নিতে হবে এবং ব্যবহারকারীদের কমপক্ষে ১৮ বছর বয়স যাচাই করতে হবে।
গভর্নর বলেন, তিনি রাজ্যের তরুণদের সুরক্ষার জন্য দুটি ব্যাপক পদক্ষেপে স্বাক্ষর করেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, নতুন এই পদক্ষেপের অধীনে মা-বাবাকে পোস্ট ও ব্যক্তিগত বার্তাসহ তাদের সন্তানদের অনলাইন অ্যাকাউন্টগুলোয় সম্পূর্ণ প্রবেশাধিকার দেবে।
শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যেই এই পদক্ষেপ নেয়া হল।
আরও পড়ুন: টুইটারের নিয়ন্ত্রণে ইলন মাস্ক, শীর্ষ কর্মকর্তাদের বরখাস্ত
বৃহস্পতিবার প্রণীত আইন অনুযায়ী, ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক ও টিকটকের মতো মাধ্যমগুলোতে শিশু-কিশোরদের অ্যাকাউন্ট তৈরি করার আগে তাদের মা-বাবা বা অভিভাবকের স্পষ্ট সম্মতি প্রয়োজন হবে।
উক্ত আইনে রাত সাড়ে ১০টা থেকে সকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত অপ্রাপ্তবয়স্কদের এই মাধ্যম বা অ্যাপলিকেশনগুলো ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে মা-বাবার পর্যবেক্ষণে ব্যতিক্রম হতে পারে।
এই আইন অনুযায়ী, সংস্থাগুলো আর কোনো শিশুর তথ্য সংগ্রহ করতে বা বিজ্ঞাপনের জন্য টার্গেট করতে পারবে না।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া আরও সহজ করার জন্য তৈরি করা দুটি বিল ২০২৪ সালের ১ মার্চ থেকে কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: টুইটারের ৭৫ শতাংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা ইলন মাস্কের
১ বছর আগে