আওয়ামী-লীগ
জিরো পয়েন্টে আ. লীগের সমাবেশ: নেতাকর্মীদের ৮ দফা নির্দেশনা
রবিবার ঢাকার গুলিস্তানে অনুষ্ঠেয় শহীদ নূর হোসেন দিবসের কর্মসূচিকে সামনে রেখে দলীয় কর্মীদের জন্য আট দফা নির্দেশনা দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
গণআন্দোলনের মাধ্যমে ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হওয়া দলটি রবিবার সকালে তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এসব নির্দেশনা শেয়ার করে।
কর্মীদের কর্মসূচিটি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে এবং কোনো ধরনের নাশকতার ফাঁদে পা না দিতে আহ্বান জানানো হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, ‘আমাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি, আমরা কোনো রকম নাশকতার ফাঁদে পা দেব না। কাউকে পুলিশ বা র্যাব বা সেনাবাহিনী আটক করতে গেলেই সমস্বরে জয় বাংলা স্লোগান দেবেন, আশেপাশের সবাই তাকে উদ্ধারের জন্য চলে যাবেন।’
আরও পড়ুন: জিরো পেয়েন্টে শিক্ষার্থীদের সমাবেশ: ফ্যাসিবাদ বিরোধী স্লোগানে মুখর
মোবাইল ব্যবহার প্রসঙ্গে নির্দেশনায় বলা হয়, ‘কোনো অবস্থাতেই নিজের মোবাইলে কোনো তথ্য রাখবেন না। পরিচিত সহযোদ্ধাদের নাম ভিন্ন নামে মোবাইলে সেইভ করে রাখবেন। সবাই সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন এবং কোড ওয়ার্ডে কথা বলবেন।’
জিরো পয়েন্টে আসার বিষয়ে বলা হয়, ‘যেখানে জমায়েত হওয়ার কথা ছোট ছোট গ্রুপে মুভ করবেন। বাধা এলে পুলিশকে স্মরণ করিয়ে দেবেন তারা কাদের পক্ষ নিচ্ছে! যারা তাদের রাস্তায় ঝুলিয়ে মেরেছে?’
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ‘সেনাবাহিনীর সাথে কোনো তর্ক-বিতর্কে যাবেন না, তারা মিছিল মিটিং এ বাধা দেবে না।’
১ মাস আগে
ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করল সরকার
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
আরও পড়ুন: সংবিধান সংশোধন ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধসহ ৫ দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
বুধবার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে গত ১৫ বছরে ছাত্রলীগ হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, ছাত্রাবাসে হয়রানি, টেন্ডারবাজিসহ জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করে এমন বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে বলে যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে।
ফলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ এর ১৮(১) ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
২ মাস আগে
৮ দিবস বাতিলের সিদ্ধান্তের নিন্দা সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ও ১৫ আগস্টসহ জাতীয় আট দিবস বাতিলের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) এক যুক্ত বিবৃতিতে সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এম. নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান বলেছেন, 'অপশক্তির অবৈধ সরকার কর্তৃক ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ও ১৫ আগস্টসহ জাতীয় আট দিবস বাতিলের সিদ্ধান্ত দেখে দেশের স্বাধীনতার পক্ষের মানুষের মতো আমরা প্রবাসীরাও অবাক হয়েছি।’
তারা বলেন, বাংলাদেশে পাকিস্তানের দোসররা মানুষ হত্যা ও জঙ্গি-সন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করে ৫ আগস্ট নির্বাচিত সরকার প্রধান শেখ হাসিনাকে জোর করে দেশ ত্যাগে বাধ্য করে। রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে তারা পাকিস্তানিদের মাস্টারপ্ল্যান মতো সর্ব প্রথম বাঙালির স্বাধিকার-স্বাধীনতা আন্দোলনের সূতিকাগার ঐতিহাসিক ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটি পুড়িয়ে দেয়। ঢাকাসহ সারা দেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ও ম্যুরাল এবং মুক্তি সংগ্রামের স্মৃতিস্তম্ভ ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও উপড়ে ফেলে।
বিবৃতিতে তারা বলেন, বাঙালির মুক্তি আন্দোলন ও স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশে শাখা কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন, হত্যা, সন্ত্রাস চলছে। আওয়ামী লীগ সভাপতিসহ দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে শতশত মিথ্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
তারা আরও বলেন, বাঙালির মুক্তি আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার নেতৃত্বেই আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি। এই অর্জনে বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে তাকে সাহস ও শক্তি যুগিয়েছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ পরিবারের সদস্যরা। তাদের অবদান মুছে ফেলা যাবে না। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ দিবস ও ১৭ মার্চের শিশু দিবস ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত। ১৫ আগস্ট বাঙালির সবচেয়ে বড় শোক দিবস। আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এইসব দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম।
'রিসেট বাটন চেপে ইতিহাস মুছার নজির বিশ্বে নাই। কাজেই বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও বাঙালির জাতীয় ইতিহাস মুছে ফেলা অসম্ভব,’ বলে উল্লেখ করেন নেতারা।
২ মাস আগে
১৫ আগস্ট, ৭ মার্চসহ জাতীয় দিবসে বাতিলের প্রতিবাদ আওয়ামী লীগের
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার 'রিসেট বোতাম’ টিপে বাংলাদেশ সৃষ্টির ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছে আওয়ামী লীগ।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) দলের ভ্যারিফায়েড ফেকবুক পেজে এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ করেছে আওয়ামী লীগ।
এতে বলা হয়, তারা ৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর সব ম্যুরাল ও ভাস্কর্য ভেঙেছে কারণ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানকে ভেঙেছিলেন। তারা ৭ মার্চ এর জাতীয় দিবস বাতিল করেছে, কারণ বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছে।
এতে আরও বলা হয়, ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস বাতিল করেছে তারা। কারণ তারা শেখ মুজিবকে জাতির পিতা স্বীকার করে না, বাংলাদেশে এখন পাকিস্তানের জাতির পিতার জন্মদিন পালিত হয়।
বিবৃতিতে দলটি বলেছে, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস বাতিল করেছে তারা, কারণ বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের সঙ্গে তাদের কর্মকাণ্ডের আদর্শিক মিল রয়েছে। তারা ৪ নভেম্বরের সংবিধান দিবস বাতিল করেছে, যে সংবিধান গড়ে উঠেছিল মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার উপর ভর করেই।
এসব কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে এতে বলা হয়, বাংলাদেশের মানুষ তীব্র ঘৃণাভরে অবধৈ সরকারের এই অবৈধ কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সোচ্চার।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল ও সহিংসতার অভিযোগ নানকের
২ মাস আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজন হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে মিরপুরে নিহত ফয়জুল ইসলাম রাজন হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা মো. শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) দিবাগত রাতে শাহআলী থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে শাহআলী থানার সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার শাহ আলম ৯৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক।
মিরপুর-১০ এলাকায় রাজন হত্যার ঘটনায় গত ১৬ আগস্ট মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই বিকেলে মিরপুর-১০ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সামনে আন্দোলনরত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এসময় ফয়জুল ইসলাম রাজন গুলিবিদ্ধ হয়। গুরুতর আহত রাজনকে মিরপুর-৬ এলাকার আজমল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলার তদন্তকালে গোয়েন্দা তথ্য ও ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ফয়জুল ইসলাম রাজন হত্যায় জড়িত মো. শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তার বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
২ মাস আগে
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল ও সহিংসতার অভিযোগ নানকের
ড. মুহাম্মদ ইউনূস অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সারা দেশে সহিংসতা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এই অভিযোগ তোলেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, সারাদেশে এক অকল্পনীয় দুঃশাসন চলছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে চলছে চাঁদাবাজি মহোৎসব। দেশের প্রায় প্রতিটি উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের উপর বিএনপি ও তাদের মিত্রদের অত্যাচার নির্যাতনের পাশাপাশি এখন নতুন করে যুক্ত হয়েছে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার। ১৫ বছরের কিশোর থেকে ৯০ বছরের বৃদ্ধ আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মী রেহাই পাচ্ছেন না গ্রেপ্তার থেকে।
নানক বলেন, আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে,দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের গলা কেটে হত্যা করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের, খুন,বাসাবাড়িতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট,অগ্নিসংযোগ করছে বিএনপি ও তার মিত্ররা। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক ঘটনা ঘটে যাচ্ছে কিন্তু অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হচ্ছে না গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ড. ইউনুস অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে হত্যা অগ্নিসংযোগ লুটপাট শুরু করেছে। সাধারণ মানুষের জীবনের শান্তি স্বস্তি কেড়ে নিয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য আকাশ ছোঁয়া। সেদিকে নজর না দিয়ে, আওয়ামী লীগ নিধনে নেমেছে অবৈধ সরকার। এ ছাড়াও আসন্ন দুর্গা পূজার মূর্তি ভাঙচুর করে হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিচ্ছে। থানা লুটপাটকারী ও অবৈধ অস্ত্রধারীদের ধরা হচ্ছে না ও গ্রেপ্তারও করা হচ্ছে না। এই জঙ্গি সন্ত্রাসী খুনিদেরকে অবাধে সাধারণ মানুষ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের খুন করতে এক রকম সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উস্কানি বা প্ররোচনার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সতর্কতা
২ মাস আগে
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনার ৭৮তম জন্মদিন পালনের আহ্বান আওয়ামী লীগের
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার ৭৮তম জন্মদিন যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী-সমর্থক এবং দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে দলের পক্ষ থেকে।
আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বলা হয়, এ উপলক্ষে দেশের সব মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জায় তার দীর্ঘায়ু এবং সুস্বাস্থ্য কামনা এবং দেশবাসীর জীবনে চলমান দুর্যোগ থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে দোয়া, মোনাজাত ও প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।
ওই পোস্টে আরও বলা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, উগ্রবাদী দেশি-বিদেশি চক্রের রক্তপাত, সন্ত্রাস, লুটতরাজের মাধ্যমে দেশধ্বংসের তৎপরতার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বর্তমানে প্রবাসে রয়েছেন। কিন্তু জাতির পিতা এবং বাঙালির স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রামের লাখো শহীদের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য তার আজীবনের সংগ্রাম কখনো বৃথা যাবে না।
শেখ হাসিনা এবং তার লাখ লাখ ভক্ত, অনুসারীর সংগ্রাম অব্যাহত। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা ১৯৭১ ও ১৯৭৫ সহ অতীতে বারবার হয়েছে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় সেই দুরভিসন্ধি সফল হয়নি বলে উল্লেখ করা হয় পোস্টে।
২ মাস আগে
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উস্কানি বা প্ররোচনার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সতর্কতা
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া কোনো ধরনের ভুয়া বার্তা, উস্কানি বা প্ররোচনামূলক পোস্টে বিভ্রান্ত না হতে নেতা-কর্মীদের সতর্ক করেছে আওয়ামী লীগ।
শনিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে নিজেদের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে এ নির্দেশনা দেয় দলটি।
নির্দেশনায় যেকোনো তথ্যের জন্য আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ইমেইলে ([email protected]) যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু পরিবারের নিরাপত্তা আইন বাতিলের নিন্দা জানিয়েছে অল ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ
পোস্টে আরও বলা হয়, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো প্রকার উস্কানি বা প্ররোচনার ফাঁদে পা দেবেন না। সারাদেশে জুলাই মাসের শেষ থেকে আগস্টের শুরু থেকেই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ওপর যত হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও হত্যাকাণ্ড হয়েছে সেগুলোর ছবি ও ভিডিও টুইটার[এক্স], ফেসবুক, ইউটিউবে প্রচার করুন। দেশবাসীকে জানাতে হবে কি নির্যাতন হয়েছে গত দেড় মাসে আওয়ামী লীগের ওপর।’
জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে তাই কোনো ধরনের উস্কানিমূলক পোস্ট বা ভুয়া বার্তায় বিভ্রান্ত না হতে দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়।
দলটি পোস্টে আরও নির্দেশনা দিয়েছে, ‘প্রতি মহানগর, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কার্যালয় ও নেতার কর্মীদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটে যে ক্ষতি হয়েছে তা দেশের মানুষকে জানান। বর্তমানে যারা দেশ চালাচ্ছে তাদের কাছেও আমরা দাবি জানাব সব হামলা, নির্যাতন, ভাঙচুর, লুটপাটের বিচার করতে হবে, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’
এছাড়াও দলের নেতাকর্মীদের তৃণমূলের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে আসতে আহ্বান জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ছাত্রলীগের সাবেক নেতার হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার দাবি জয়ের
৩ মাস আগে
বঙ্গবন্ধু পরিবারের নিরাপত্তা আইন বাতিলের নিন্দা জানিয়েছে অল ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ
বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য প্রণীত 'জাতির পিতা পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা আইন, ২০০৯' বাতিলের নিন্দা জানিয়েছে সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সংগঠনটির সভাপতি এম নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান গোলাপ গ্রেপ্তার
বিবৃতিতে তারা বঙ্গবন্ধুর পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ নিরাপত্তা আইন পুনর্বহালের জোর দাবি জানান।
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ সালের আইন বাতিল করে 'জাতির পিতা পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা (বিলোপ) অধ্যাদেশ, ২০২৪' জারি করেন।
এর আগে গত ২৯ আগস্ট উপদেষ্টা পরিষদে অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন করা হয়।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে করা রিট সরাসরি খারিজ
৩ মাস আগে
রাজশাহীতে ছাত্রলীগের সাবেক নেতার হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার দাবি জয়ের
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আবদুল্লাহ আল মাসুদের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
শনিবার রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে মাসুদের ওপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে থানায় সোপর্দ করা হয়। সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত সাড়ে ১২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সজীব ওয়াজেদ জয় তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র আব্দুল্লাহ আল মাসুদ। জামায়াত-শিবির তার এক পা কেটে নিয়েছে ২০১৪ সালে। তখন বাকি হাত-পা’গুলোর রগও কেটে দিয়েছিল। দশ বছর ধরে পঙ্গু জীবনযাপন করছিল। গত ৩ সেপ্টেম্বর একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের বাবা হয়েছিল। মেয়ের জন্য ওষুধ আনতে রাজশাহীতে বাড়ির পাশে ফার্মেসিতে গিয়েছিল। আর সেখানেই তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা। মৃত্যুর সময় এক ফোটা পানি চেয়েছিল, তাও দেয়নি। কাকুতি মিনতি করে বলেছিল ‘আমার চার দিনের একটি সন্তান আছে।’ কিছুই তাদের মন গলাতে পারেনি। কারণ মাসুদ এক সময় ছাত্রলীগের রাজনীতি করত।’
তিনি আরও লেখেন, ‘জানা গেছে, শিবির ক্যাডার ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার এই হত্যার নেতৃত্ব দিয়েছে।’
অবিলম্বে জড়িতদের শাস্তির দাবি করেন জয়। তিনি ওই পোস্টে লেখেন, ‘আমি মাসুদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং অবিলম্বে ঘাতকদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তূমলক শাস্তি দাবি করছি।’
৩ মাস আগে