%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6
চাঁদপুরে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার সুবিদপুর গ্রামে একটি আমগাছ থেকে ওই যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলছিল ইমানার লাশ!
নিহত সৌরভ হোসেন কাঁকন (১৮) পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের ভোটাল গ্রামের অলি আহমেদের ছেলে।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ মণ্ডল জানান, পারিবারিক হতাশা থেকে ওই যুবক আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। এছাড়া ওই যুবক মানসিকভাবেও কিছুটা অসুস্থ ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় ফরিদগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ফ্ল্যাটে ঝুলছিল নারী ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়ের লাশ, স্বামী আটক
ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলছিল গৃহবধূর লাশ!
সিলেটে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
সিলেটে উত্তম নামে মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে নগরীর ফাজিল চিশত এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত উত্তম জালালবাদ থানাধীন করেরপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মইন উদ্দিন শিপন।
তিনি জানান, রবিবার বিকালে ফাজিল চিশত এলাকার ফুটপাতে লাশ পড়ে আছে দেখে বিমানবন্দর থানা পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
আরও পড়ুন: কর্ণফুলী নদী থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামে স্কুল শিক্ষিকার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
দিনাজপুরে হাসপাতালের দুই ভবনের মাঝ থেকে রোগীর লাশ উদ্ধার
সিলেটে প্রাইভেটকার চাপায় মা-ছেলে নিহত
সিলেটের ওসমানীনগরে রাস্তা পার হওয়ার সময় প্রাইভেটকার চাপায় মা ও ছেলে নিহত হয়েছেন। রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ইলাশপুর ভার্ড চক্ষু হাসপাতালের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কামাল বাজার এলাকার শুক্কুর আলীর স্ত্রী সালমা বেগম (৫২) এবং তার ছেলে আব্দুল কাইয়ুম (৩২)। তারা ভার্ড চক্ষু হাসপাতালের পাশে একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাসের হেলপার নিহত
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, রাত সাড়ে ৮টার দিকে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা প্রাইভেটকার উপজেলার ইলাশপুর নামক স্থানের ভার্ড চক্ষু হাসপাতালের সামনে মহাসড়ক পারাপারের সময় মা ও ছেলেকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
সিলেট জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. সম্রাট তালুকদার জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ও তাজপুর ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতাল মর্গে পাঠান।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
ভারতে ৩ বছর কারাভোগের পর দেশে ফিরলেন ১৬ বাংলাদেশি
ভারতে ৩ বছর কারাভোগের পর বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন ১৬ বাংলাদেশি। রবিবার সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটের দিকে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
ফেরত আসা যুবকরা হচ্ছেন- বুলবুল আহমেদ, মহসিন শেখ, আবুল হোসেন, মাসুম বিল্লাহ, রেজাউল খান, শাহজালাল, হাসান হালদার, নাজমুল ইসলাম, মাসুদ তালুকদার, জুলহাস শেখ, রাশেদ মোড়ল, রাশেদুল ইসলাম, সাইদুজ্জামান, আবু মুসা, মিজানুর রহমান ও মাহবুল শিকদার। তাদের বাড়ি সাতক্ষীরা, খুলনা ও মাদারীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায়।
আরও পড়ুন: সাজাভোগ শেষে ভারত থেকে দেশে ফিরলেন ৩ বাংলাদেশি নারী
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ কামরুজ্জামান জানান, ভালো কাজের সন্ধানে চোরাই পথে দালালদের মাধ্যমে সাড়ে ৩ বছর আগে ভারতের তামিলনাড়ু গিয়েছিলেন ওই বাংলাদেশিরা। সেখানে বিভিন্ন দোকান ও হোটেলে কাজ করার সময় পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। পরে আদালত তাদের ৩ বছরের সাজা দিয়ে জেলে পাঠায়।
সাজার মেয়াদ শেষে ২ দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্থক্ষেপে রবিবার সন্ধ্যায় তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়। ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদেরকে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়। এনজিও সংস্থা জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার তাদের নিজ বাড়িতে পৌছে দেওয়ার জন্য থানা থেকে তাদের গ্রহণ করে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূইয়া বলেন, ফেরত আসা যুবকরা গত সাড়ে তিন বছর আগে চোরাই পথে দালালদের মাধ্যমে ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে যায়। সেখানে পুলিশ তাদের আটক করে আদালতের সোপর্দ করলে, তাদের ৩ বছর সাজা হয়। রবিবার তাদের বিশেষ ট্রাভেল পারমিট এর মাধ্যেমে বাংলাদেশে ফেরত আনা হয়।
আরও পড়ুন: ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে সাজাভোগের পর দেশে ফিরলেন ১০ বাংলাদেশি
সুদান থেকে দেশে ফিরলেন আরও ২৬২ বাংলাদেশি
চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে আওয়ামী লীগ নেতা নিহত
চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী থানার সরাইপাড়া এলাকায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে ছুরিকাঘাতে মোহাম্মদ হোসেন মান্না (৪৬) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা খুন হয়েছে। এ ঘটনায় মান্নার ছেলেও ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সরাইপাড়া হাজী আশরাফ আলী রাস্তার উপর এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পাহাড়লী থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গেছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় কাভার্ডভ্যান চাপায় ব্যবসায়ী নিহত
নিহত মান্না স্থানীয় হাজী আব্দুস সালাম দফাদার বাড়ির মৃত নূর মিয়ার পুত্র এবং ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।
পুলিশ জানায়, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পাহাড়তলী-ডবলমুরিং সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে নির্বাচনী প্রচারের টাকার ভাগভাটোয়ারা নিয়ে স্থানীয় যুবলীগ নেতা জসিম ও আওয়ামী লীগ নেতা মান্নার মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এনিয়ে স্থানীয় ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূরুল আমিন শালিশ করে বিরোধ মিটানোর চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। জসিমের দাবি মান্না নির্বাচনী কর্মীদের জন্য আনা ৮ হাজার টাকা নিজেই আত্মসাৎ করেন। বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনাও ঘটে। এনিয়ে পাহাড়তলী থানায় মামলা করেছিল মান্না।
রবিবার দুপুরে পুলিশ মামলার বিষয়ে তদন্তে এলে দুইজনের মধ্যে আবার ঝগড়ার সৃষ্টি হয় এবং পুলিশ চলে যাওয়ার পরপরই ছুরিকাঘাত করে মান্না ও তার ছেলেকে আহত করেন যুবলীগ কর্মী জসিম। দুজনকে চমেক হাসপাতালে নেওয়ার পর মান্নাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
এ ব্যাপারে পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) রোজিনা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নির্বাচনী টাকা নিয়ে আওয়ামীলীগ কর্মীদের মধ্যে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
তিনি আরও বলেন, এক পক্ষ বেশি নিয়েছে অপরপক্ষ কম পেয়েছে এসব নিয়ে বিরোধ ছিল। থানায় মামলাও হয়েছিল। পুলিশ টিম ঘটনাস্থলে গেছে। পরে বিস্তারিত জানা যাবে।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে সুপারি গাছ কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ১
নরসিংদীতে নৌকা ঘাটের ইজারা নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩
গাজীপুরে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় যুবক নিহত
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের গাছা থানার বড়বাড়ি এলাকায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় ইব্রাহীম (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ইব্রাহীম পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ থানার কিসমত রামপুর এলাকার মজিদ হাওলাদারের ছেলে। বড়বাড়ি এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে ইব্রাহীম গাড়ির হেলপার হিসেবে কাজ করতেন।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাসের হেলপার নিহত
এলাকাবাসী জানান, রবিবার সকালে তিনি টঙ্গীর বিসিক এলাকায় যেতে বাসা থেকে বের হন। বড়বাড়ি এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে পৌঁছালে একটি প্রাইভেটকার তাকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে তাইরুন্নেসা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক ইব্রাহীমকে মৃত ঘোষণা করেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের গাছা থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) তরুণ কুমার জানান, এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
গোবিন্দগঞ্জে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ২১
গোবিন্দগঞ্জে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে কমপক্ষে ২১ জন আহত হয়েছেন। রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দগঞ্জ থানার পরিদর্শক বুলবুল ইসলাম।
স্থানীয়রা জানান, রবিবার গ্রামের যুবকরা মাঠে ক্রিকেট খেলতে যায়। খেলার এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। পরে এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দরে শ্রমিকদের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৩
পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে উভয় পক্ষই লাঠিসোটা ও ধারাল অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অবস্থান নিয়ে আছেন। যেকোনো মুহূর্তে আবারও বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনার ঘটতে পারে।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ জানান, ক্রিকেট খেলার সময় জিরাই পান্তমারী ও গোপালপুর গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার পরিদর্শক বুলবুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সংঘর্ষে ও ইটপাটলের আঘাতে ২১ জন আহত হয়। তারা বিভিন্ন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে চিকিৎসকের অবহেলায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ, ইন্টার্ন ও স্বজনদের সংঘর্ষে আহত ১০
কুমিল্লায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৩
খাগড়াছড়িতে আত্মহত্যার চেষ্টা: প্রেমিকের মৃত্যু, প্রেমিকা হাসপাতালে
খাগড়াছড়ির গুইমারার সিন্ধুকছড়িতে একসঙ্গে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন প্রেমিকযুগল। এ ঘটনায় প্রেমিক তমেজয় ত্রিপুরা (১৮) মারা গেলেও বেঁচে যান প্রেমিকা। রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালের দিকে গুইমারার সিন্ধুকছড়িরর মুরাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে একে অপরকে ভালোবাসতেন তারা। বিষয়টি জানাজানি হলে কোনো পরিবারই তাদের এ সম্পর্ক মেনে নিতে সম্মত হয়নি।
আরও পড়ুন: মায়ের বকুনিতে কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যার অভিযোগ
এ পরিস্থিতিতে রবিবার সকালের দিকে প্রেমিক যুগল সিন্ধুকছড়ি মুরাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের জঙ্গলে আম গাছের সঙ্গে প্রেমিকার ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। এ সময় ওই তরুণ মারা গেলেও ওড়না ছিঁড়ে মাটিতে পড়ে যান তরুণী।
এ সময় আশেপাশের লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে মহালছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে পুলিশকে খবর দিলে গুইমারা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত তরুণের লাশ উদ্ধার করেন।
গুইমারা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজীব চন্দ্র কর বলেন, মৃত ওই তরুণের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে তথ্য সম্প্রচার বিভাগের অফিস সহকারীর আত্মহত্যা
পঞ্চগড়ে নিজ বন্দুকের গুলিতে পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা
এক যুগ ধরে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল উদ্বোধনের সময়সীমা পেছাচ্ছে
গত এক দশক ধরে নির্মাণ কাজের ধীর গতির কারণে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (কেএমসিএইচ) উদ্বোধন।
এদিকে হাসপাতালের নির্মাণকাজ শেষ না হলেও বিদেশ থেকে আমদানি করে আনা হয়েছে ৬৫ কোটি টাকার চিকিৎসা সরঞ্জাম। মূল্যবান এসব চিকিৎসা সরঞ্জাম অরক্ষিত অবস্থায় দিনের পর দিন হাসপাতাল ভবনে পড়ে রয়েছে।
দফায় দফায় নবনির্মিত এই হাসপাতাল ভবনের বর্হিবিভাগ চালু করার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করা হলেও, বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
সর্বশেষ গত ৩০ জুন হাসপাতালের বর্হিবিভাগ চালু হওয়ার কথা থাকলেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় স্বপ্নের মেডিকেল কলেজ নিয়ে হতাশ কুষ্টিয়াবাসী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১২-১৩ অর্থ বছরে ২৭৫ কোটি টাকা প্রাক্কলন ব্যয় ধরে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৮ সালের ৩০ জুন।
কিন্তু নির্মাণকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সমূহের নানা অনিয়ম ও জটিলতা সৃষ্টির কারণে ধাপে ধাপে একাধিকবার প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় ও ব্যয় বৃদ্ধির ফলে সর্বশেষ এই প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
দফায় দফায় সময় বাড়িয়ে সর্বশেষ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত।
আরও জানা যায়, ২০০৮ সালে প্রকল্পটি অনুমোদনের পর ২০১১ সালে কুষ্টিয়া মেডিকেল ট্রেনিং সেন্টার ম্যাটসে অস্থায়ীভাবে মেডিকেল কলেজের যাত্রা শুরু হয়। অস্থায়ী ভবন থেকে স্থানান্তরের পর ২০২২ সালের ৩ মার্চ মূল ক্যাম্পাসে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চালু হয়।
প্রথম দফায় ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে এবং দ্বিতীয় দফায় ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়।
এরপর ২০১৯ সালে নির্মাণাধীন হাসপাতাল ভবনের ছাদ ধসে এক শ্রমিক নিহত হলে কাজ আবার বাধাগ্রস্ত হয়। ছাদ ধসে মৃত্যুর ঘটনায় সে সময় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
ওই সময় তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে দুর্ঘটনার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করা হয় এবং তিন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়।
এরপর ২০২১ সালের ৫ অক্টোবর একনেক সভায় এই প্রকল্পের সংশোধিত ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল (ডিপিপি) অনুমোদন করা হয়।
তখন এই প্রকল্পের ব্যয় ২০৬ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬৮২ কোটি টাকা ধরা হয়। আর সময় সীমা বেঁধে দেওয়া হয় ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত।
সুন্দরবনে বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্প, ব্যয় হবে প্রায় ৩৬ কোটি টাকা
সুন্দরবনের বাঘ রক্ষা ও বাঘের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য বিশেষ প্রকল্প হাতে নিয়েছে বনবিভাগ। ৩৫ কোটি ৯০ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে “সুন্দরবন বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্প” নামে প্রকল্পটি ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।
প্রকল্পের আওতায় সুন্দরবনের জীবিত বাঘ ও মৃত বা শিকারীদের হাতে হত্যার শিকার বাঘের জরিপ, উঁচু টিলা ও ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হবে। বাঘের ক্যানাইন ডিস্টেম্পার ভাইরাস নিয়ে হবে গবেষণা। সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে ভিটিআরটি ও সিপিজি সদস্যদের।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে মানুষের হাতে সুন্দরবনের বাঘ হত্যা কমবে এবং বাঘের সংখ্যা বাড়বে বলে আশা বনবিভাগের।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে মাছ ধরা ও পর্যটনে ৩ মাসের নিষেধাজ্ঞা ১ জুন থেকে
প্রকল্প কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে শুরু হওয়া প্রকল্পটি ২০২৫ সালের মার্চ মাসে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এই প্রকল্পের মূল কাজ হচ্ছে বাঘ ও মৃত বা শিকারীদের হাতে হত্যার শিকার বাঘের জরিপ করা।
ইতোমধ্যে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের খুলনা ও সাতক্ষীরা রেঞ্জের ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের মাধ্যমে বাঘ, শিকার করা প্রাণী ও খাল জরিপ সম্পন্ন করা হয়েছে। নভেম্বর মাসে সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জে জরিপ শুরু হবে। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
বন্যা, জলোচ্ছ্বাস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় যাতে বাঘগুলো আশ্রয় নিতে পারে এজন্য সুন্দরবনের অভ্যন্তরে ১২টি উঁচু টিলা তৈরি করা হবে। শরণখোলা রেঞ্জের ধানসাগর এলাকায় বাঘের আশ্রয়স্থলে দুর্বৃত্তের আগুন নিয়ন্ত্রণে একটি টাওয়ার নির্মাণ করা হবে। এই টাওয়ার থেকে ওই এলাকায় সুন্দরবনের অভ্যন্তরে লাগা আগুন দেখে দ্রুত নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নিতে পারবেন বনরক্ষী ও স্বেচ্ছাসেবকরা।
এ ছাড়া সুন্দরবন থেকে লোকালয়ে যাতে বাঘ প্রবেশ না করতে পারে সেজন্য প্রথমে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ৪ থেকে ৫ কিলোমিটার এলাকায় নাইলোনের বেড়া (ফেন্সিং) দেওয়া হবে। এটি সফল হলে পরে ৬০ কিলোমিটার ফেন্সিং করা হবে।
প্রকল্পের আওতায় বাঘের ক্যানাইন (মুখে থাকা সামনের বড় দুটি দাঁত) ডিস্টেম্পার ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করা হবে। এজন্য সুন্দরবন থেকে বাঘের মল সংগ্রহ করা হবে। এই মলের মাধ্যমেই বাঘের দাঁতে সংক্রমিত ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করবেন দেশীয় গবেষকরা।
অন্যদিকে সুন্দরবনে বাঘ লোকালয়ে ঢুকে পড়ার ফলে মানুষ ও বিভিন্ন প্রাণীর প্রাণহানী নিরসনে ৩৪০ জন ভিটিআরটি (ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিম) সদস্য ও ১৮৪ জন সিপিজি (কমিউনিটি পেট্রল গ্রুপ) সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
এর সঙ্গে লোকালয়ে আসা দুটি বাঘের শরীরে স্যাটেলাইট ট্রাকার লাগানো হবে। বাঘের অবস্থান নির্ণয়ের জন্য বনকর্মী-কর্মকর্তা সিপিজি ও ভিটিআরটি সদস্যদের দেওয়া অ্যাপস দেওয়া হবে।
তারা এই অ্যাপসের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে বাঘের গতিবিধি দেখতে পারবেন। এর ফলে লোকালয়ে বাঘ এলে তারা দ্রুত সুন্দরবনে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পারবে।
সুন্দরবন পূর্ব ও পশ্চিম বন বিভাগের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাঘ সংরক্ষণ বিষয়ে দক্ষতা বাড়ানোর জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ৩ মাস পর পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হলো সুন্দরবন
এ ছাড়া এই প্রকল্প বাস্তবায়নে, ড্রোন ক্যামেরা, স্যাটেলাইট ট্রাকার, নাইলোনের বেড়া, জিপিএস, বাঘ অজ্ঞানের জন্য ট্রাংকুলাইজিং গান, ক্যামেরা, ভিটিআরটি ও সিপিজি সদস্যদের জন্য পোশাক ও প্রশিক্ষণ উপকরণসহ বেশকিছু আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি কেনা হবে।
প্রকল্প শেষে প্রকল্পের সব কার্যক্রম নিয়ে ভিডিও ডকুমেন্টারি ফিল্ম করা হবে। যা পরে সুন্দরবন ও সুন্দরবনের বাঘ রক্ষার দায়িত্বে আসা কর্মকর্তা ও স্বেচ্ছাসেবকদের কাজে লাগবে।
তবে প্রকল্প প্রস্তাবে বাঘ না থাকা এলাকায় বাঘ স্থানান্তরের মাধ্যমে বাঘের আবাসস্থল সংরক্ষণের কথা ছিল। তবে খুলনা ও সাতক্ষীরা রেঞ্জে ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের সময় বাঘের উপস্থিতি পাওয়ায় বাঘ না থাকা এলাকায় বাঘ স্থানান্তরের বিষয়টি প্রকল্প থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে “সুন্দরবন বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্প”- এর আওতায় সুন্দরবন ও বাঘ নিয়ে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণের বিষয়টিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। এই প্রশিক্ষণের ফলে নিজেদের দক্ষতা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাঘ রক্ষায় কাজের আন্তরিকতা বাড়বে বলে জানিয়েছেন তারা।
সুন্দরবন সুরক্ষায় কাজ করা ভিটিআরটির সদস্য মোরেলগঞ্জ উপজেলার গুলিশাখালী এলাকার লাকি বেগম বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে বাঘ ও সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী রক্ষায় কাজ করি। আমাদের এ বিষয়ে একাডেমিক জ্ঞান খুবই কম। শুনেছি আমাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এই প্রশিক্ষণ দিলে আমরা আরও ভালোভাবে কাজ করতে পারব।
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ও সুন্দরবন বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, সুন্দরবন বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ খুব ভালোভাবে চলছে। সাতক্ষীরা ও খুলনা রেঞ্জের বাঘ জরিপের জন্য ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সিপিজি, ভিটিআরটি প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হবে। সর্বোপরি বাঘ সংরক্ষণ ও বাঘ বাড়ানোর জন্য বেশকিছু কাজ করা হবে।
এ ছাড়া পুরো প্রকল্পের কার্যক্রম ভিডিও করা হবে। যা দিয়ে ভিডিও ডকুমেন্টারি ফিল্ম তৈরি করা হবে। এই ফিল্মটি পরবর্তীকালে সুন্দরবন ও বাঘ রক্ষায় কাজ করা কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্বেচ্ছাসেবকদের কাজে লাগবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে গত ৫ বছরে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে