%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6
নাটোরে 'অভ্যন্তরীণ বিরোধের' জেরে ৩ শ্রমিক লীগ কর্মীকে কুপিয়ে আহত
নাটোরে 'অভ্যন্তরীণ বিরোধের' জেরে ৩ শ্রমিক লীগ কর্মীকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের চকবৈদ্যনাথ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- চঞ্চল (৩২), আল আমিন (২২) ও স্বপন শেখ (৩০)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ২টার দিকে একদল যুবক শহরের চকবৈদ্যনাথ এলাকায় তেবাড়িয়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগ অফিসে ঢুকে চঞ্চল, আল আমিন ও স্বপন শেখ নামে ৩ শ্রমিক লীগ কর্মীকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: নাটোরের লালপুরে আ. লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
পরে তাদের উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ বলেন, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে স্থানীয় শ্রমিক লীগ কর্মী পায়েলের সঙ্গে চঞ্চলের বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ঘুমন্ত বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, ছেলে আটক
১৫ বছরে খুলনায় ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে ২২ গুণ
খুলনায় মৎস্য কর্মকর্তাদের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে গত ১৫ বছরে খুলনায় ইলিশের উৎপাদন প্রায় ২২ গুণ বেড়েছে।
এ ছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির চিংড়ি, কার্প জাতীয় (ফিন ফিশ) মাছ, ক্যাট ফিশ (মাগুর ও শিং জাতীয়), কাঁকড়া, কুচিয়া ও শুঁটকির উৎপাদনও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
খুলনা জেলার মৎস্য অফিসের কর্মকর্তারা বলছেন, সরকারের নানান পদক্ষেপের ফলে এই উল্লেখযোগ্য পরিমাণে মৎস্য উৎপাদন বেড়েছে। এর ফলে দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি মৎস্য রপ্তানিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে খুলনা।
এতে স্থানীয়দের জীবনমানেরও ব্যাপক উন্নতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
খুলনা জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, দেড় দশক আগে ২০০৬-০৭ অর্থবছরে খুলনায় ইলিশ আহরণ হয় ১১৫ টন। গেল ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা ২ হাজার ৫৫৫ টনে উন্নীত হয়েছে। উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে চিংড়ির উৎপাদনও। ২০০৬-০৭ বাগদা, গলদা, হরিণাসহ বিভিন্ন প্রজাতির চিংড়ি উৎপাদন হয় ১৮ হাজার ২৫৫ টন। আর সবশেষ অর্থবছরে ২০২২-২৩ তা দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার ৩৭৫ টনে।
আরও পড়ুন: খুলনায় পুকুরে ধরা পড়ল ২০ ইলিশ
একইভাবে বেড়েছে কার্প জাতীয় মাছের উৎপাদনও। ২০০৬-০৭ অর্থবছরে এ ধরনের মাছের উৎপাদন ছিল ৬৬ হাজার ২৬৫ টন। আর সবশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা উন্নীত হয়েছে ১ লাখ ২১ হাজার ৭৫০ টনে। ক্যাট ফিশের উৎপাদন ২০০৬-০৭ অর্থবছরে ছিল ২ হাজার ৭৫০ মেট্রিক টন। গেল ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা উন্নীত হয়েছে ১২ হাজার ৮২৫ টনে।
সূত্রটি আরও জানিয়েছে, ২০০৬-০৭ অর্থবছরে কাঁকড়ার উৎপাদন ছিল ৪ হাজার ২৫০ টন। গেল ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা উন্নীত হয়েছে ৭ হাজার ৮৬০ টনে। এই অঞ্চলে ২০০৬-০৭ অর্থবছরে কুচিয়ার উৎপাদন ছিল ২৩ টন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭ টনে।
খুলনার জেলেরা ২০০৬-০৭ অর্থবছরে সমুদ্র থেকে মাছ আহরণ করেছেন ৬৮৯ টন, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৩৩ টনে। সুন্দরবন এলাকায় ২০০৬-০৭ অর্থবছরে মাছ আহরণ হয়েছিল ৫৭৭ টন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৮৫ টনে।
এ ছাড়াও এই অঞ্চলে ২০০৬-০৭ অর্থবছরে শুঁটকির উৎপাদন ছিল ২১৮ টন, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরে বেড়ে ১ হাজার ১৭০ টনে দাঁড়িয়েছে।
খুলনার মৎস্য অফিসের দাবি, মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ও জাটকা সংরক্ষণ কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নের ফলে মৎস্য উৎপাদন বিপুল পরিমাণ বেড়েছে। করোনাকালে মৎস্য উৎপাদন সহনশীলমাত্রায় রাখতেও পদক্ষেপ নিয়েছিল সরকার। করোনার প্রভাবে খুলনা জেলায় ৯ হাজার ৮৬৩ জন ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষিকে ১৪ কোটি ৭৯ লাখ ৪৫ হাজার টাকা প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে, যা মৎস্য উৎপাদন ও আহরণ বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।
অফিসের কর্মকর্তারা বলছেন, মাছের সুষ্ঠু প্রজনন নিশ্চিত করতে প্রতি বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে দুই মাসের জন্য মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার, যা মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির একটি কার্যকর পদক্ষেপও বটে।
চিংড়ির উৎপাদন বাড়াতে সরকার একটি ক্লাস্টার সিস্টেম চালু করেছে এবং ইতোমধ্যে আর্থিক সহায়তার জন্য খুলনা জেলায় ৯৪টি ক্লাস্টার তৈরি করা হয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল বলেন, মৎস্য খাতের উন্নয়নে সরকার ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং চিংড়ি চাষে পাইলট প্রকল্পটি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
এ ছাড়া নিষেধাজ্ঞাকালীন জেলেদের জন্য দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা ও খাদ্য সহায়তা কর্মসূচিসহ সরকারের কার্যকর পদক্ষেপের কারণে ইলিশের উৎপাদনও বেড়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে সরবরাহ বাড়লেও ইলিশ এখনও সাধারণ ক্রেতার নাগালের বাইরে
কুড়িগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের বৈদ্যেরবাজার নামক এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উলিপুর পৌর শহরের সরদারপাড়ার মৃত শের আলীর ছেলে মনিরুজ্জামান পাভেল (৩১) এবং হোছেন আলী (৩৪) উলিপুর উপজেলার দলদলিয়া ও মারজান পৌর শহরের হায়াৎ খাঁ এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পাভেলসহ তিন আরোহী একই মোটরসাইকেলে রাজারহাট হয়ে লালমনিরহাটের বড়বাড়ি সেলিমনগর সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন। দ্রুতগতির মোটরসাইকেলটি উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের বৈদ্যের বাজার এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন তারা।
এ সময় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতাল নেওয়ার পথে পাভেল মারা যান এবং হোছেন আলী রমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
রাজারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ-হিল জামান জানান, দুর্ঘটনা কবলিত মোটরসাইকেলটি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেট-তামাবিল সড়কে দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
খুলনায় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
চাঁদপুরে সিএনজি-পিকআপের সংঘর্ষে কলেজছাত্র নিহত, আহত ৩
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ সড়কে সিএনজি ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে সিএনজি চালকসহ আরও তিনজন।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে সড়কের হাজীগঞ্জের সেন্দ্রা এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত কলেজছাত্র রাশেদুল ইসলাম (২৪) ফরিদগঞ্জের শ্রীকালীয়া গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে ও হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের ছাত্র।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলে বন্যায় নিহত ৩১, বাস্তুচ্যুত ২৩০০
আহতরা হলেন- সিএনজি চালক মনিহাজ (২৬), যাত্রী ফরিদগঞ্জের দুলাল কর্মকারের ছেলে বিজয়(২০) এবং আইয়ুব আলীর ছেলে শহীদুল ইসলাম (২৭)। আহতরা সবাই হাজীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ রশিদ বলেন, দুর্ঘনার শিকার সিএনজি এবং পিক-আপ জব্দ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র রাশেদসহ আহত হয় চারজন। বুধবার রাতে হাজীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাশেদ মারা যায়। অন্যরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে রাশেদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে রাস্তা পার হওয়ার সময় বাসচাপায় বৃদ্ধা নিহত
খুলনায় পুলিশ কনস্টেবলের মায়ের লাশ উদ্ধার
খুলনা মহানগরী থেকে পুলিশ কনস্টেবলের মায়ের লাশ উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ। বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে পশ্চিম টুটপাড়া ফরিদ মোল্লার মোড় এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহতের ছেলে পুলিশ কনস্টেবল সুভেন্দু নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার ওসি’র বডিগার্ড।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান আল মামুন জানান, সুভেন্দু’র মা অনিমা দাস তার ৮ বছরের নাতি তীর্থকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন ফরিদ মোল্লার মোড়ের খান মঞ্জিলে। সকালে সুভেন্দুকে তার বোন ফোন করে জানায় যে তার মা ফোন রিসিভ করছে না। এরপর তিনি ওই বাড়িতে গিয়ে মায়ের লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে খুলনা সদর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠান।
তিনি জানান, বিছানার উপর পড়ে থাকা লাশের নাক-মুখ রক্তাক্ত ছিল। এ ছাড়া তার গলা ও কানের স্বর্ণালংকার এবং আলমারিতে থাকা গহনাগুলো নিয়ে গেছে ঘাতক।
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: যশোরের চৌগাছায় কলেজছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সিলেটে মসজিদের পুকুর থেকে ইমামের লাশ উদ্ধার
সীতাকুণ্ডে ঝর্ণার পানিতে ডুবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মৃত্যু
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে পাহাড়ি ঝর্ণার পানিতে ডুবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) উপজেলার বাঁশবাড়িয়ায় দুপুর পৌনে ১টার দিকে ঝর্ণার পানির নিচ থেকে তার লাশটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
নিহত শিক্ষার্থী একেএম নাইমুল হাসান (২০) চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী থানার দক্ষিণ কাট্টলী উত্তর নাথ পাড়া শাহানা ভবন এলাকার মো.আবুল কাশেমের ছেলে।
চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (আইআইইউসি)র অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন নাইমুল।
আরও পড়ুন: যশোরের চৌগাছায় কলেজছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
কুমিল্লা ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা মো. ফিরোজ মিয়া জানান, আমরা সকাল সাড়ে ১১টার দিকে খবর পেয়ে ঘটাস্থলে পৌঁছালে বাঁশবাড়িয়ায় ফায়ার কর্মীরা ঝর্ণায় আভিযান শুরু করে ১২টা ৪০ মিনিটে নিখোঁজ নাইমুলের লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। পরে সীতাকুণ্ড থানায় পুলিশের কাছে লাশটি হস্তান্তর করা হয়েছে।
জানা গেছে, নাইমুল, ওমর ও আজহারুল নামে তিনজন চট্টগ্রাম শহর থেকে বাঁশবাড়িয়া থেকে ঝর্ণায় ঘুরতে আসেন। এর পরে তারা ঝর্ণায় গোসল করতে নামলে নাইমুল ১১টার দিকে নিখোঁজ হয়। পরে আমরা তার লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত নাইমুল হাসানের সঙ্গী আজহারুল হক ভূঁইয়া বলেন, সকালে চট্টগ্রাম শহর থেকে আমরা চারজন বাঁশবাড়িয়ায় বিরাশি ঝর্ণা দেখতে যাই। আমরা সবাই ঝর্ণায় গোসল করতে নামি। তবে নাঈমুল সাঁতার জানতো না। তাছাড়া সে যেদিক দিয়ে নামে সেদিকে সম্ভবত গভীর গর্ত ছিল। ঝর্ণায় নামার সঙ্গে সঙ্গে সে নিচে তলিয়ে যায়। তখন আমরা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করলে কিছুক্ষণ পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে তার লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: সিলেটে মসজিদের পুকুর থেকে ইমামের লাশ উদ্ধার
ঢাকার যেসব অঞ্চলে বৃহস্পতিবার ৪ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
ঢাকা মহানগরীর উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় বৃহস্পতিবার ৪ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: জুরাইনে গ্যাস বিস্ফোরণে বাবা-মায়ের পর মেয়ের মৃত্যু
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোনারগাঁ-জনপথ রেলক্রসিং এলাকায় জরুরি লাইন স্থানান্তরের কাজে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত উত্তরখান, দক্ষিণখান, উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টর এবং উত্তরা সেক্টর ৮-এ সব ধরনের গ্রাহকদের জন্য গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ আরও বলেছে যে, এ সময়ে আশেপাশের এলাকায় গ্যাসের চাপ অল্প থাকবে।
আরও পড়ুন: ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের মাঝে কাতার চ্যারিটির গ্যাস সিলিন্ডার বিতরণ
সীতাকুণ্ডে রাস্তা পার হওয়ার সময় বাসচাপায় বৃদ্ধা নিহত
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে রাস্তা পার হওয়ার সময় বাসচাপায় এক বৃদ্ধা মারা গেছেন।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দক্ষিণ বাইপাস এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাসের হেলপার নিহত
নিহত মায়া নন্দী (৬৫) সীতাকুণ্ড পৌর সদরের পশ্চিম মহাদেবপুর এলাকার সুনীল নন্দীর স্ত্রী। তিনি যমুনা ডায়াগনস্টিক ল্যাবের কর্মচারী ছিলেন।
কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন বলেন, সকালে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে রাস্তা পার হতে গিয়ে চট্টগ্রামমুখী একটি বাস তাকে ধাক্কা দেয়। তিনি পড়ে গেলে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মাথা থেঁতলে যায়।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মায়া নন্দীকে মৃত ঘোষণা করেন।
সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ বলেন, বাসচাপায় নিহত ওই নারীকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু
ঢাকা থেকে কক্সবাজার নিয়ে ২ নৃত্যশিল্পীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, আটক ১
কক্সবাজার শহরের কলাতলীর কটেজ জোনে দুই নৃত্যশিল্পীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে এই ঘটনা ঘটে। তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি প্রকাশ পায়।
ধর্ষণের শিকার দুই কিশোরী ঢাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রিয়াদ (৩০) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে ওই দুই কিশোরীর মধ্যে একজন কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ধর্ষণের দুই মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশের দেওয়া তথ্য মতে, কলাতলী এলাকার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের বিপরীতে অবস্থিত রাজন কটেজে সোমবার রাতে দুই কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। কয়েকদিন আগে তাদের দুজনকে একটি অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশনের জন্য ঢাকা থেকে কক্সবাজারে আনা হয়েছিল। যার মাধ্যমে তারা আসেন সেই ব্যক্তি তাদের একটি চক্রের হাতে তুলে দেয়।
ওই চক্রের সদস্যরা রাজন কটেজে নিয়ে তাদের ধর্ষণ করেন। মঙ্গলবার সকালে তাদের ঢাকার একটি বাসে তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু ভুক্তভোগী এক কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে বাস থেকে রামু বাইপাস এলাকায় নেমে যায়। অপরজন ঢাকায় চলে যায়। রামুতে নেমে যাওয়া কিশোরীকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার সময় চিকিৎসক ঘটনার বিস্তারিত জেনে পুলিশকে জানান। পুলিশ তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।
রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা নোবেল কুমার বড়ুয়া জানান, সকালে ওই কিশোরীকে চিকিৎসা দিয়েছেন চিকিৎসক নুরুল হুদা শাওন। কিশোরীর বক্তব্য পাওয়ার পর তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, পুলিশ ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিয়েছেন।একজন চিকিৎসাধীন। পুলিশ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে পেরেছে। একজন আটক হয়েছে। অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, ৫ আসামির যাবজ্জীবন
পিরোজপুরে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। তবে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক আছে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব জন্মাষ্টমীর ছুটির কারণে বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: এই বছরের জুলাই-আগস্টে আরএমজি রপ্তানি ১২.৪৬% বেড়েছে: রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো
এদিকে, উভয় দেশের এই বন্দর এলাকায় পচনশীল পণ্যসহ কয়েক হাজার পণ্যবোঝাই ট্রাক বেনাপোল অতিক্রমের অপেক্ষায় আছে।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল বলেন, শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারি কার্যক্রম।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে স্বাভাবিক নিয়মে এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান তিনি।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার রবিন্দ্র সিংহ বলেন, শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবারও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
আগস্টে রপ্তানি আয় বেড়ে হয়েছে ৪.৭৮ বিলিয়ন ডলার