%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6
কুড়িগ্রামে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা, বিএসএফের বিরুদ্ধে মামলা
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় সীমান্তে গুলিতে নিহতের ঘটনায় বিএসএফ এর বিরুদ্ধে মামলা করেছে নিহতের বাবা মো. আব্দুল বাতেন।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) আব্দুল বাতেন বাদী হয়ে রৌমারী থানায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদিকে ওই যুবকের লাশ ময়না তদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, রোবরার ৩ সেপ্টেম্ব রাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে মানিক মিয়া নামের এক গরু ব্যবসায়ী নিহত হয়। নিহত মানিক মিয়া উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের বেহুলারচর গ্রামের আব্দুল বাতেনের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে পুলিশ জানায়, রবিবার রাতে মোল্লারচর সীমানা পিলারের পাশে টহলরত কুচনিমারা ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা পরপর ৪ রাউন্ড গুলি ছুড়লে মানিক মিয়ার বুকে ও কোমড়ে গুলিবিদ্ধ হন।
সঙ্গে থাকা লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
রবিবার বিকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং সোমবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য লাশ কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠায়।
এ ব্যাপারে সোমবার নিহতের পিতা আব্দুল বাতেন বাদী হয়ে ভারতীয় বিএসএফের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহতের বাবা মো. আব্দুল বাতেন বলেন, সীমান্তে শুধু আমার ছেলে নয় আমার ছেলের মত অনেককে ওরা গুলি করে হত্যা করেছে। আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপ কুমার সরকার বলেন, ভারতীয় সীমান্তে মানিক মিয়া হত্যার ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে বিএসএফের নামে হত্যা মামলা করেছে। লাশের সুরতহাল রিপোর্টে প্রাথমিকভাবে বাঁ পাঁজরে একটি ছোট ফুটো এবং বুকের ডান দিকে আরেকটি ফুটো ছিল। লাশের ময়না তদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জামালপুর বিজিবি-৩৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবদুল্লাহ আল মাশরুকি বলেন, সীমান্তে গুলির ঘটনায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী(বিএসএফ) এর সঙ্গে পতাকা বৈঠক করেছি। বিএসএফ এর পক্ষ থেকে গুলির ঘটনা স্বীকার করেছে। আমরা সীমান্ত হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছি। নিহতের পিতা বিএসএফ এর নামে হত্যা মামলা করেছে এমন তথ্য আমার কাছে নেই। যদি মামলা করে থাকে, তাহলে আমি আমার হেড কোয়ার্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ায় যাবো।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৩ নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিন নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকালে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের তেরকান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত নির্মাণ শ্রমিকেরা হলেন- লোকমান মিয়া (২৯), আমজাদ (১৮) ও শরীফ (১৫)। এদের মধ্যে লোকমান ও আমজাদের বাড়ি সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের নিজসরাইল এবং শরীফের বাড়ি ঝিলুকদার পাড়া গ্রামে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দুপুরে নির্মাণ শ্রমিক লোকমান তার দুই সহযোগী আমজাদ ও শরীফকে নিয়ে তেরকান্দা গ্রামের বরকত আলীর বাড়িতে নির্মাণাধীন সীমানা প্রাচীরে রডের কাজ করছিলেন। রডের পিলার দাঁড়া করানোর সময় উপরে থাকা হাই ভোল্টেজের বিদ্যুতের তারে রড লেগে যায়। এ সময় বিদ্যুতের তার রডে জড়িয়ে গেলে তারা তিনজনই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরে তাদেরকে মুমূর্ষু অবস্থায় সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনজন মারা গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: চৌগাছায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ছেলে নিহত, বাবা আহত
কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে গৃহবধূর মৃত্যু
মাদারীপুরে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
মাদারীপুরের শিবচরে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের মফিতুল্লাহ হাওলাদারকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে পানিতে ডুবে যুবকের মৃত্যু
মৃত শিশুরা হলো- স্থানীয় সুরুজ মুন্সীর ছেলে হুজাফা (৫) এবং পাকের মিয়ার ছেলে হামীম (৯)।
স্থানীয়রা জানায়, দুপুরে হুজাফা ও হামীম মরা পদ্মা নদীর উপর নির্মিত একটি সেতুর পিলারের কাছে সাঁতার কাটার সময় পানিতে ডুবে যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাফলংয়ে পানিতে ডুবে পর্যটকের মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
চাঁদপুরে স্বর্ণের দোকান থেকে ৪৬ লাখ টাকার সোনা ও হীরা লুট
চাঁদপুর শহরের আ. করিম পাটোয়ারী সড়কের একটি স্বর্ণের দোকান থেকে ৪৬ লাখ টাকার সোনা ও হীরা লুট হয়েছে। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) আনুমানিক ভোর ৬টার দিকে ঘোষপাড়া পোলের পাশে ‘স্বর্ণভূবন’ নামের দোকানে এই ঘটনা ঘটেছে।
সংঘবদ্ধ চোর চক্র দোকানের তালা ভেঙে ভেতর থেকে প্রায় ৪০ ভরি স্বর্ণালংকারসহ ৫ লাখ টাকার হীরা লুটে নেয়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ডিবি পরিচয়ে প্রবাসীর গাড়ি আটকে ১০ লাখ টাকার মালামাল লুটের অভিযোগ
ওই দোকানের মালিক মানিক লাল মজুমদার ইউএনবিকে জানান, প্রতিদিনের মতো গতরাতে তারা দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যায়। সকালে দোকান খুলতে এসে তালা ভাঙা দেখেন তারা। দোকানের ভেতরের সবকিছু এলোমেলো দেখতে পেয়ে তারা চুরির বিষয়টি বুঝতে পারেন। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি তারা পুলিশকে জানান।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, ৭ থেকে ৮ সদস্যের একটি চোর চক্র ভোরে মার্কেটের সামনে আসে। এদের কেউ বাইরে পাহারা দেয় এবং কেউ দোকানের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে।
এ বিষয়ে চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মহসিন আলম জানান, বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছি। আপাতত এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।
আরও পড়ুন: কানাইঘাটে ব্যবসায়ীর ১৩ লাখ টাকা লুট, যুবক খুন
নড়াইলে আ.লীগ নেতার বাড়িতে ডাকাতি, ৪০ লাখ টাকার মালামাল লুট
গাইবান্ধায় গাড়ির ওয়ার্কশপ থেকে ‘মানসিক প্রতিবন্ধী’ যুবকের লাশ উদ্ধার
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে একটি গাড়ির ওয়ার্কশপের চৌবাচ্চা থেকে অনাথ শীল (৪০) নামে মানসিক প্রতিবন্ধী এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) উপজেলার পান্থপাড়া এলাকার ‘সোহেল ড্রাইভিং’ নামের একটি গাড়ির ওয়ার্কশপ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে স্কুল শিক্ষিকা, গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার নিয়ে রহস্য!
নিহত অনাথ শীল রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার সাধবী গ্রামের রাজেন্দ্রনাথ শীলের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, অনাথ শীল মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলেন। বেশ কয়েক ধরে গোবিন্দগঞ্জ শহরে তাকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। সোমবার সকালে সোহেল ড্রাইভিংয়ের চৌবাচ্চায় তার লাশ ভাসতে দেখা গেছে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ বলেন, খবর পেয়ে চৌবাচ্চা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে একটি ইউডি মামলা করা হয়েছে। মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার করল পিবিআই
তুরস্কে আরও ৪ জনের লাশ উদ্ধার করল বাংলাদেশ সম্মিলিত দল
ঢাকা বিমানবন্দরে কাস্টমসের লকার থেকে ৫৫ কেজি সোনা উধাও
ঢাকা বিমানবন্দরের ভেতরের কাস্টমসের লকার থেকে ৫৫ কেজি সোনার বার নিখোঁজের রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছে, ওই এলাকার ভিতরে বা আশেপাশে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকায় প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করা খুবই কঠিন হবে।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (এইচএসআইএ) ভেতরের পুরো এলাকা সিসিটিভি কভারেজের আওতায় থাকলেও রহস্যজনকভাবে গুদামের ভেতরে এমন কোনো ক্যামেরা বসানো হয়নি। এমনকি গুদামের বাইরে একটি সিসিটিভি ক্যামেরা পাওয়া গেলেও সেটি নিষ্ক্রিয় পাওয়া গেছে। যার কারণে সোনা চুরির সঙ্গে কারা সরাসরি জড়িত তা খুঁজে বের করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গা মুন্সিপুর সীমান্তে ৬ স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
একটি শীর্ষস্থানীয় গোয়েন্দা সংস্থার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেছেন, বিমানবন্দরের ভেতরের পুরো এলাকা চব্বিশ ঘন্টা সিসিটিভি ক্যামেরা কভারেজের আওতায় রাখা হয়েছে।
এছাড়া বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার সদস্যদের কঠোর নজরদারিতে রয়েছে পুরো এলাকা।
এমন নিরাপত্তার মধ্যে গুদাম থেকে সোনা চুরি এবং গুদামে সিসিটিভি ক্যামেরার উপর কাস্টমস হাউসের নিয়ন্ত্রণ না থাকার বিষয়টি প্রশ্রেন জন্ম দিয়েছে।
ঢাকা কাস্টমস হাউস সূত্র জানায়, গত শনিবার সোনা চুরির ঘটনা ঢাকা কাস্টমস বিভাগের নজরে আসে। তবে পরের দিন রবিবার বিষয়টি ব্যাপকভাবে প্রকাশ্যে আসে। ঢাকা কাস্টমস হাউস সঠিকভাবে তালিকা করার পর নিশ্চিত হয় তার নিজস্ব বিমানবন্দরের গোডাউন থেকে প্রায় ৫৫ কেজি সোনা চুরি হয়েছে।
ঢাকা কাস্টমস হাউসের একটি সূত্র জানায়, গুদামে আনুমানিক ২০০ কেজির বেশি সোনা ছিল। পুরো ঘটনা তদন্তে ঢাকা কাস্টমস হাউস তাদের যুগ্ম কমিশনার (শুল্ক) মিনহাজ উদ্দিনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে ৪ স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ৩
এছাড়া, রবিবার রাতে ঢাকা কাস্টমস হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে বিমানবন্দর থানায় মামলা করেন।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ১৫ মিনিট থেকে রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে গুদামের ভিতরে আলমারির তালা ভেঙে কেউ ৫৫ কেজি সোনা নিয়ে যায়।
শুল্ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চুরি যাওয়া এই সোনার মূল্য প্রায় ৪৫ কোটি টাকা।
মামলার এজাহারে উল্লিখিত তথ্য অনুযায়ী, শুল্ক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গুদামের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাকে গুদাম থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি হয়েছে কি না তা নিশ্চিত করার জন্য মৌখিক নির্দেশনা দেন।
পরে রবিবার গুদামের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা দেখতে পান যে আটক রসিদ (ডিএম) অনুসারে ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে জব্দ করা ৫৫ কেজি ৫১ গ্রাম সোনা চুরি হয়েছিল।
যোগাযোগ করা হলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (ডিসি-উত্তরা বিভাগ) মোরশেদ আলম ইউএনবিকে বলেন, পুলিশ ইতোমধ্যে মামলার তদন্ত শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা কাস্টমস হাউসের চার সিপাহী যারা বিমানবন্দর কাস্টমসের গুদামের নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন ছিল তাদের এখন ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি আরও বলেন, নিখোঁজ সোনা ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ৪৩৭ ডিটেনশন মেমো (ডিএম) এর অধীনে বিমানবন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ উদ্ধার করেছিল।
নিয়ম অনুযায়ী এই স্বর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও কেন নিয়ম মানা হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বলেও জানান ডিসি।
তিনি আরও বলেন, তারা স্বর্ণের গুদাম পরিদর্শন করে দেখেন, এত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা সিসিটিভির আওতায় নেই। তাই কে স্বর্ণ চুরি করেছে তা তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করা কঠিন। গুদামে নজরদারির জন্য সক্রিয় সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলে কারা সোনা নিয়ে গেছে তা খুঁজে বের করা সহজ হতো।
আরও পড়ুন: শাহ আমানত বিমানবন্দরে আধা কেজি স্বর্ণ জব্দ, প্রবাসী আটক
ঢাকা কাস্টমস হাউসের কমিশনার নুরুল হুদা আজাদ রবিবার গণমাধ্যমকে বলেন, বিষয়টি তদন্তে ইতোমধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শৈলকুপায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১ জনের মৃত্যু
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ফরিদপুরে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মৃত বিল্লাল হোসেন ভাটই আদর্শপাড়ার মৃত নুর ইসলামের ছেলে। সে ভারতের ব্যাঙ্গালুরে মুদি ব্যবসা করতেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ছেলের লাশ দেখে বাবার মৃত্যু
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার দুপুরে ঝিনাইদহ শহরে ভাটই গ্রামের যুবক শাকিল হোসেনকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারধর করে একই গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ভাগ্নে সাগরের বন্ধুরা। এ নিয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় বাকবিতণ্ডা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এরই জের ধরে রবিবার বিকালে উভয় পক্ষের লোকজন মারামারিতে লিপ্ত হয়। এতে আহত হয় বিল্লাল হোসেন। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুরে নেওয়ার পথে মারা যায় বিল্লাল। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ভাটই পুলিশ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বলেন, বিল্লাল হোসেনের মৃত্যু আঘাতজনিত নাকি হার্টঅ্যাটাক তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।
আরও পড়ুন: নাটোরে ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত যুবকের মৃত্যু
কক্সবাজারে ট্রলারে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত ১ জনের মৃত্যু
পোশাক রপ্তানির নামে ৩০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ ১০ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পোশাক রপ্তানির আড়ালে জালিয়াতির মাধ্যমে ৩০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ উঠেছে ঢাকার ১০ গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গণমাধ্যমকে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বশির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর জানান, ব্যাপক অনুসন্ধ্যানে টাকা পাচারের বিষয়টি প্রমাণ পেয়েছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। এসব কারসাজির সঙ্গে জড়িত আছে চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি সিএন্ডএফ এজেন্ট।
আরও পড়ুন: স্বর্ণ চোরাচালানে বছরে ৭৩ হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে: বাজুস
রপ্তানিকারক ১০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে-
ঢাকা সাভারের প্রজ্ঞা ফ্যাশন লিমিটেড, গুলশানের ফ্যাশন ট্রেড, ঢাকা উত্তরার এমডিএস ফ্যাশন, গাজীপুরের হংকং ফ্যাশনস লিমিটেড, বনানীর থ্রী স্টার ট্রেডিং, মিরপুরের ফরচুন ফ্যাশন, কচুক্ষেতের অনুপম ফ্যাশন ওয়্যার লিমিটেড, গাজীপুরের পিক্সি নিটওয়্যারস লিমিটেড, ঢাকা শাহবাগের স্টাইলাইজ বিডি লিমিটেড ও খিলখেতের ইডেন স্টাইল টেক্স।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, অভিনব কায়দায় রপ্তানি জালিয়াতির মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পণ্যচালান বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে কিন্তু কিছু বৈদেশিক মুদ্রা প্রত্যাবাসিত হচ্ছে না এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস গোয়েন্দা পরিচালনা করেছে।
রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো বিল অব এক্সপোর্ট জালিয়াতি করে অন্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশ ব্যাংকের এক্সপোর্ট মনিটরিং সিস্টেম (ইএক্সপি) ব্যবহার করে পণ্য রপ্তানি করেছে। যার বিপরীতে কোনো অর্থ দেশে ফিরে আসেনি বা সমুদয় রপ্তানি মূল্য বাবদ অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে।
তদন্তকালে ১০টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বিগত সময়ে ১ হাজার ২৩৪টি পণ্য চালান এমন জালিয়াতি করেছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। চালানের বিপরীতে পণ্যের পরিমাণ ১ হাজার ৯২১ মেট্রিক টন যার বিপরীতে ফেরতযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রার সম্ভাব্য পরিমাণ ৩ কোটি ৫৩ লাখ ৬৬ হাজার ৯১৮ মার্কিন ডলার।
প্রতিষ্ঠানগুলোর সংশ্লিষ্ট দলিলাদি পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানসমূহ টি-শার্ট, টপস, লেডিস ড্রেস, ট্রাউজার, বেবি সেট, পোলো শার্ট, প্রভৃতি পণ্য সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, কাতার, সৌদি আরব ও নাইজেরিয়া প্রভৃতি দেশে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে রপ্তানি দেখিয়ে অর্থ পাচার করেছে।
প্রতিষ্ঠানগুলো মূলত বিল অব এক্সপোর্টের কোড ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছে বলে প্রমাণ পেয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা।
১০ প্রতিষ্ঠানের বিল অব এক্সপোর্ট ও ইএক্সপি তথ্যের মধ্যে মিল পাওয়া যায়নি এবং সাউথ ইস্ট ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত ১০ প্রতিষ্ঠানের কোনোটিই ওই ব্যাংকে লিয়েন করা নয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির কারণে টাকা পাচার কমবে: মোমেন
সরকারের গণতন্ত্র হচ্ছে চুরি, লুট, টাকা পাচার ও মানুষ হত্যা করার গণতন্ত্র: ফখরুল
ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০জন আহত হয়েছেন। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার রামচন্দ্রপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ওই গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা আহম্মদ আলী ও ইউপি সদস্য চান্নুর সমর্থকদের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
আরও পড়ুন: সিলেটে পশুর হাট নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪
সোমবার সকালে রামচন্দ্রপুর বাজারে আহম্মদ আলী বিশ্বাসের এক সমর্থককে মারধর করে চান্নু মেম্বর ও তার সমর্থকরা। এরই জের ধরে সকালে দু’পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, দুই দলের বিরোধে সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে দুজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০
ভোলায় আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, একজন গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০
বেনাপোল বন্দরে শ্রমিকদের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৩
যশোরের বেনাপোল বন্দরে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শ্রমিকদের দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সংঘর্ষের ঘটনায় শ্রমিকদের একটি অংশ বন্দরে মালামাল লোড-আনলোড ও পণ্য খালাস বন্ধ করে দেয়।
আরও পড়ুন: বরিশালে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫
আহত শ্রমিকরা হলেন- বেনাপোল বন্দর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রাজু আহম্মেদ (৪৫), শ্রমিক নেতা হাসেম (৩৩) ও গোলম মোস্তফা (৩৪)।
জানা যায়, সোমবার সকালে হঠাৎ করে শ্রমিকদের দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এসময় দুই শ্রমিক নেতাসহ আরও কয়েকজন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে বন্দরের মধ্য থেকে শ্রমিকদের বের করে দেয়।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন বলেন, সকালে শ্রমিকদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৩
ভোলায় আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, একজন গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০