%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6
জিন তাড়ানোর নামে কিশোরীর শ্লীলতাহানি, গ্রেপ্তার ১
চট্টগ্রামে ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে জিন তাড়ানোর নামে এক কিশোরীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন পেয়ে নগরীর সদরঘাট থানা পুলিশ সদরঘাট দারোগারহাট এলাকা থেকে ভুক্তভোগী কিশোরীকে উদ্ধার করে ও অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার মো.আশিকুল ইসলাম (৩৪) জেলার বাঁশখালীর সরল ইউনিয়নের মো.হাবীবুল আলমের ছেলে এবং নগরীর হাজী নসু মালুম মসজিদের মোয়াজ্জিন হিসেবে কর্মরত বলে পুলিশ জানায়।
এর আগে স্থানীয় জনগণ অশিকুলকে আটক করে রেখে ৯৯৯- এ ফোন করে জানায়। পুলিশ জানায়, ১৬ বছর বয়সী ওই কিশোরী গত তিন মাস যাবৎ অসুস্থ ছিল। বিভিন্ন সময় চিকিৎসা করেও সুস্থ না হওয়ায় তার বাবা মুয়াজ্জিন মো.আশিকুল ইসলামের শরণাপন্ন হন। আশিকুল বলেন তার মেয়ের ওপর জিন ভর করেছে, দ্রুত ঝাড়ফুঁকের চিকিৎসা না করলে তিনদিনের মধ্যে তার মৃত্যু হবে। এমনকি চিকিৎসার জন্য তিনি ২১ হাজার টাকা দাবি করেন। ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা আশিকুলকে ১০ হাজার টাকা দেন। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে দরজা-জানালা বন্ধ করে সন্ধ্যা সোয়া ৬টা পর্যন্ত ঝাড়ফুঁকের চিকিৎসার নামে আশিকুল ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কোতোয়ালি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. মুজাহিদুল ইসলাম জানান, জিন তাড়ানোর চিকিৎসার নামে ওই স্কুলছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে তার বাবা ও আশেপাশের লোকজন আশিকুল ইসলামকে আটক রেখে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত আশিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।
তিনি আরও জানান, আশিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে সদরঘাট থানায় মামলা হয়েছে। এই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চলন্ত বাসে তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টা: বাসচালকসহ গ্রেপ্তার ২
বিয়ের আশ্বাসে তরুণীকে ধর্ষণ, পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা
দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ শিক্ষিকা নিহত
দিনাজপুরের পুলহাট পুলিশ ফাঁড়ির সামনে ট্রাক্টর চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী সৈয়দপুর হোমিও কলেজের এক শিক্ষিকা নিহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শামীম আক্তার পান্না (৩২) দিনাজপুর জেলা সদরের দক্ষিণ ফরিদপুর কবিরাজপাড়ার বাসিন্দা হোমিও চিকিৎসক মাঈনুদ্দিনের মেয়ে। হোমিও চিকিৎসকের পাশাপাশি তিনি সৈয়দপুর হোমিও কলেজের একজন শিক্ষিকা।
পুলহাট পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক আব্দুল জলিল জানান, স্বামী আব্দুল মোতালেব মোল্লার সাথে মোটরসাইকেলযোগে শহরের বাসা থেকে ফরিদপুর কবিরাজপাড়া গ্রামে বাবার বাড়িতে যাচ্ছিলেন তারা। পথিমধ্যে পুলহাট পুলিশ ফাঁড়ির সামনে মোটরসাইকেলটিকে একটি ধানবোঝাই ট্রাক্টর ধাক্কা দেয়। এসময় রাস্তায় ছিটকে পড়েন পান্না।
পরে তাকে উদ্ধার করে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, দুর্ঘটনায় আহত তার স্বামী মোটরসাইকেল চালক আব্দুল মোতালেব মোল্লাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ট্রাকটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
পড়ুন: কেরানীগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫
৩ জেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১০
রংপুরে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর থানায় গিয়ে স্বামীর আত্মসমর্পণ
রংপুরের পীরগাছায় স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন স্বামী। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টায় উপজেলার অন্নদা নগর ইউনিয়নের খামার নয়াবাড়ি গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম আয়শা বেগম (৩৬) এবং অভিযুক্তের নাম মাইনুদ্দিন মিয়া (৩৬)।
রংপুর জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল-সি) আশরাফুল আলম পলাশ জানান, নিহতের স্বামীর অভিযোগ-তার স্ত্রীর সঙ্গে পীরগাছা উপজেলার মমিন বাজার জগজীবন গ্রামের ফারুক হোসেনের (২৬) দু’বছর ধরে পরকীয়া সম্পর্ক চলছিল। এর আগে একবার গ্রামের লোকজন ওই দু’জনকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছিল বলেও জানান তিনি। এ ঘটনার পর মাইনুদ্দিন তার স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় চলে যান। গত ২৯ মে তারা গ্রামের বাড়িতে আসেন। বৃহস্পতিবার রাতেও মুঠোফোনে ফারুকের সঙ্গে তার স্ত্রীর কথা হয়। বিষয়টি জানার পর রাত ৩টার দিকে শাবল ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে আয়শাকে হত্যা করেন মাইনুদ্দিন।
তিনি বলেন, শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে পীরগাছা থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতসহ আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান সহকারী পুলিশ সুপার।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মসমর্পণ
সিলেটে শিশুসন্তানকে হত্যা করে থানায় মায়ের আত্মসমর্পণ!
দিনাজপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলছাত্র নিহত
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের কাটা পড়ে এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে।
নিহত হৃদয় বাবু (১৪) উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের ভদরা গ্রামের বাদল হোসেনের ছেলে ও স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ট্রেনে কাটাপড়ে মা-ছেলে নিহত
রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদ হোসেন জানান, পার্বতীপুরের কাউগা এবং চিরিরবন্দরের মধ্যবর্তী স্থানে কানে হেডফোন লাগিয়ে মোবাইল ফোনে গেম খেলতে খেলতে রেল লাইনের ওপরে হাটছিল স্কুল ছাত্র হৃদয় বাবু। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল সোয়া ১০টার দিকে উক্ত স্থান অতিক্রমের সময় হৃদয় বাবু ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে নিহত হয়।
বিশ্বনাথে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত আ’লীগ নেতার মৃত্যু
সিলেটের বিশ্বনাথে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে সিলেট ওসমানী হাসপতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত শেখ গয়াছ মিয়া (৫৫) উপজেলার বরুনী গ্রামের মৃত শেখ ইছকন্দর আলীর ছেলে ও উপজেলার দশঘর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ প্রচার সম্পাদক।
আরও পড়ুন: আ’লীগ নেতাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন: ছেলেসহ ইউপি চেয়ারম্যান আটক
গত ২৮ মে (শনিবার) রাতে উপজেলার পীরের বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে বরুনী গ্রামের রাস্তায় প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হন। এসময় তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনরা। ওই হাসপাতালে প্রায় ৬ দিন চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি মারা যান।
এই ঘটনায় নিহতের ছেলে মাজেদ আহমদ বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার ২০ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আট জনকে অজ্ঞাতনামা রাখা হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় আওয়ামী লীগের আরেক নেতা ও বরুনী গ্রামের মৃত জমির আলীর ছেলে মাসুক মিয়াকে।
আরও পড়ুন: আ’লীগ নেতা বদিউল আলমের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত জাহিদুল ইসলাম বলেন, মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করবো। মামলায় প্রকৃত আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
চলন্ত বাসে তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টা: বাসচালকসহ গ্রেপ্তার ২
চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলন্ত বাসে গার্মেন্টস তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় বাস চালকসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর চান্দগাঁও এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে বন্দর থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- বাসচালক মো. গিয়াস উদ্দিন নয়ন (২১) ও তার সহকারি সীমান্ত দত্ত (২২)।
বন্দর থানা পুলিশ জানায়, নগরীর বন্দর থানায় দায়ের হওয়া একটি ছিনতাই মামলায় চালক ও তার সহকারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনার আগে একই বাসে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছিল।
আরও পড়ুন: শিশু ধর্ষণের অভিযোগে সিরাজগঞ্জে রিকশাচালক গ্রেপ্তার
বন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কিশোর মজুমদার জানান, পলাশ কান্তি দে নামে এক ব্যক্তি বৃহস্পতিবার ছিনতাইয়ের অভিযোগে বন্দর থানায় একটি মামলা করেন। অভিযোগে বলা হয়, গত ২০ মে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিনি ইপিজেড এলাকার বে শপিং সেন্টারের সামনে থেকে বাসে ওঠেন। নিমতলা বিশ্বরোডে বাস পৌঁছার পর তাকে নামিয়ে দেয়ার জন্য বললে চালক দ্রুতগতিতে বাসটি বড়পোলের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। এ সময় তিনি চিৎকার করলে বাসে যাত্রীবেশে থাকা তিন জন তাকে ছুরিকাঘাত করে নগদ ১০ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এরপর বাসটি সিটি গেট এলাকায় নিয়ে জোরপূর্বক পিন নম্বর নিয়ে তার বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে ৪০ হাজার ৮০০ টাকা তুলে নেয়। পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে লালখান বাজার এলাকায় ফ্লাইওভারে পলাশকে নামিয়ে দেয়া হয়। আহত পলাশ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে মামলা করেন।
তিনি বলেন, ‘নিমতলাসহ আশপাশের এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে আমরা দেখি, একই বাসে গার্মেন্টস ফেরত এক তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল।’
প্রসঙ্গত, গত ১৯ মে রাতে নগরীর বাকলিয়া থানার রাহাত্তারপুল এলাকা থেকে ২০ বছর বয়সী এক তরুণীকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। এ ঘটনার পরে পুলিশ অনুসন্ধানে নামে। পাঁচ দিন সংজ্ঞাহীন থাকার পর ২৪ মে তার জ্ঞান ফেরে। পরদিন ২৫ মে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি নগরীর বাকলিয়া থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে সৎ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে একজন গ্রেপ্তার
তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, গত ১৯ মে রাত ৯টার দিকে কারখানা ছুটি হলে তিনি বাসায় ফেরার জন্য একই কারখানার আরও ১০-১২ জন শ্রমিকের সঙ্গে বাসে ওঠেন। বাস বহদ্দারহাট এলাকায় পৌঁছার পর অন্য শ্রমিকরা দ্রুত নেমে যান। পেছনের আসন থেকে উঠে নামার জন্য এগিয়ে আসতে তাকে নিয়ে বাস দ্রুত রাহাত্তার পুলের দিকে চলে যায়। এসময় বাস চালাচ্ছিল সহকারী আর চালক তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তখন তরুণী নিজেকে বাঁচাতে চলন্ত বাস থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন।
বিএসএফের গ্রেনেডে আহত শিশু বাড়ি ফিরতে চায়
ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় বিএসএফ’র ছোঁড়া স্টান গ্রেনেডের আঘাতে আহত বাংলাদেশি শিশু রমজান আলী (১০) এখন ভারতের দিনহাটা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বাবা-মা জানে না তাদের সন্তানের অবস্থা। অপরদিকে আহত রমজান আলীও জানে না বাবা-মায়ের ভাগ্যে কি জুটেছে। এমন পরিস্থিতিতে দিশেহারা রমজান বাড়ি ফেরার আঁকুতি জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে।
ভারতের কোচবিহার জেলার বিশিষ্ট সাংবাদিক খাজা মাইনুদ্দিন চিশতীর এক প্রতিবেদনে শিশু রমজান আলীর বিষয়টি সকলের নজরে আসে। তিনি জানান, গত ১৭ মে কোচবিহার জেলার দিনহাটা থানার ২ নম্বর ব্লক দিয়ে বাংলাদেশের খুলনা জেলার বাগেরহাটের রায়ান্দা শরণখোলার উপজেলার খোন্তাকাটা গ্রামের বাসিন্দা মুনির শরীফ, তার স্ত্রী ও ছেলে রমজান আলীসহ ১০-১৫ জনের একটি দল কাজ শেষে অবৈধভাবে দালালের মাধ্যমে গোপনে বাংলাদেশে প্রবেশ করছিল। এসময় বিএসএফ টহলদল বিষয়টি টের পেয়ে স্টান গ্রেনেড ছুঁড়ে । এসময় স্টান গ্রেনেড রমজান আলীর শরীরের উপর এসে পরলে তার পাজরে ও পেটে আঘাত লাগে। অপরদিকে রমজান আলীর বাবা-মা ও অন্যান্যরা কাটাতারের বেড়া টপকিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। পরে বিএসএফ আহত শিশুটিকে উদ্ধার করে দিনহাটা হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে সে ভারতীয় পুলিশি হেফাজতে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রাম: অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ৫ ভারতীয়কে দেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ
শিশু রমজান আলী জানায়, বাবা-মায়ের সঙ্গে কাজের সন্ধানে তারা ভারতে যায়। এরপর তার বাবা শরীফ মুনির বেঙ্গালুরুতে কাজ পেয়ে সেখানে পরিবারসহ অবস্থান নেয়। দীর্ঘদিন ভারতে অবস্থানের পর গত ১৭ মে ঝড়-বৃষ্টির রাতে দিনহাটা থানা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় রমজান আহত অবস্থায় বিএসএফ’র কাছে ধরা পরে।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রামের বিশিষ্ট আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মী ও বর্ডার ভিকটিমস রেসকিউ লিগ্যাল এসিসট্যান্স ফোরামের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এস. এম আব্রাহাম লিংকন জানান, আমরা উভয় পক্ষ শিশুকে দেশে ফেরাতে ভারত সরকার, দিল্লি, কলকাতা ও আসামস্থ বাংলাদেশের সহকারি হাইকমিশনারের দ্বারস্থ হয়েছি। এছাড়াও পশ্চিম বাংলার মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ মাসুম, ভারতীয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ উভয় দেশের গণমাধ্যমের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
মানবিক বিষয় বিবেচনা করে শিশুটিকে জেলে না রেখে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয়া উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে অনুপ্রবেশকালে ঝিনাইদহে আটক ১০
ভোগাই নদী থেকে নারীর লাশ উদ্ধার, অভিযুক্ত ছেলে আটক
শেরপুরে নালিতাবাড়ীতে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মাকে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ঘের ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার আড়াইআনি বাজারের জেলখানা এলাকায় ভোগাই নদী থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত নূরভানু (৫৫) নালিতাবাড়ী শহরের নিজপাড়া এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী এবং পেশায় দিনমজুর।
আটক ফারুক আহমদকে (৩৫) অনেকটা মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ইজিবাইক চালকের লাশ উদ্ধার
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে পুলিশ নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করে। নিহত নারীর শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছেলে ফারুক আহমদকে আটক করা হয়েছে।
মতলব দক্ষিণে খেলতে খেলতে খাদের পানিতে পড়ে ২ শিশুর মৃত্যু
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় বাড়ির ভেতর খাদের পানিতে ডুবে মিনহাজ ও হামজালা নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার মুন্সিরহাট দিঘলদী গ্রামের মিজি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
তিন বছরের মিনহাজ, এ গ্রামের মিজান মৃধার ছেলে এবং একই বয়সের পাশের বাড়ির হানজালা, মুক্তার মিজির ছেলে।
প্রতিবেশী আল আমিন জানান, মিনহাজ ও হানজালা উভয়েই উঠানে খেলছিল। তাদের মায়েরা নিজ নিজ ঘরে রান্নায় ব্যস্ত ছিলেন। দৌড়াদৌড়ির একপর্যায়ে শিশু দুটি বাড়ির উঠানের পাশে খাদের পানিতে পড়ে যায় সবার অজান্তে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাদেরকে খাদের পানি থেকে তুলে দ্রুত নিকটস্থ চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক পরীক্ষার পর উভয়কে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে নেয়ার আগেই দুই শিশুর মৃত্যু হয়। উভয়ের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
এ বিষয়ে মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন মিয়া অবগত হয়েছেন বলে জানান।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুকুরের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
বান্দরবানে পানিতে ডুবে ২ বোনের মৃত্যু
হাইমচরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে রাজ মিস্ত্রির মৃত্যু
চাঁদপুরের হাইমচরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আনোয়ার হোসেন (৫৫) নামে এক রাজমিস্ত্রী মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় উপজেলার ২নং আলগী উত্তর ইউনিয়নের ভিঙ্গুলিয়া গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃত আনোয়ারের বাড়ি একই গ্রামে।
স্থানীয়রা জানান, আনোয়ার এসডিএস (শরিয়তপুর ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি) অফিস ভবনের নির্মাণ কাজ করাকালে পানির পাম্পের মটরের বিদ্যুৎ লাইনের সঙ্গে হঠাৎ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে দুপুর ১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে এসডিএস হাইমচরের কো-অর্ডিনেটর নিগার সুলতানা জানান, আনোয়ার হোসেনকে অফিস ভবন নির্মাণের জন্য কাজের কন্ট্রাক্ট দিয়েছিলাম।আজ যথারীতি কাজ শুরু করে। কাজ করার সময়ে দুপুরে হঠাৎ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত হওয়ার খবর শুনে হাসপাতালে তাকে দেখতে যাই এবং চিকিৎসক ডা. অনিমেষ তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমরা তার পরিবারের জন্য এসডিএস এর পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা করবো।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু