সারাদেশ
সিলেটে ধর্ষণের অভিযোগে কবিরাজ গ্রেপ্তার
সিলেটের গোলাপগঞ্জে ধর্ষণের অভিযোগে এক কবিরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে বিয়ানীবাজার উপজেলার দুবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার সুহেল মিয়া গোলাপগঞ্জ উপজেলার আমুড়া ইউনিয়নের উত্তর ধারাবহর গ্রামের সইর আলির ছেলে।
আরও পড়ুন: শৈলকুপায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, কানাইঘাট উপজেলা থেকে কবিরাজী চিকিৎসা নেয়ার জন্য এক নারী গত ১ সেপ্টেম্বর সুহেল মিয়ার কাছে আসলে তিনি বিভিন্ন টালবাহানায় নারীকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আটকে রাখে। এরপর সন্ধ্যা ৭টার দিকে অপর আরেক আসামিসহ কবিরাজ সুহেল নারীকে জোরপূর্বক পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে চলন্ত বাসে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৫
এই ঘটনার পর ওই ভুক্তভোগী নারী গত ৪ সেপ্টেম্বর গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
আরও পড়ুন: বিয়ের আশ্বাসে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, সিলেটে গ্রেপ্তার ৩
ওসি জানান, আসামিকে শনিবার আদালতে পাঠানো হবে।
খুলনায় ২ ভাইয়ের লাশ উদ্ধার
খুলনার ডুমুরিয়ায় এক সঙ্গে দুই ভাইয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাতে উপজেলার সেনপাড়া গ্রামে মাছের ঘের থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে আবর্জনা থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
তারা হলেন-সেনপাড়া গ্রামের মলঙ্গী বাড়ির মৃত হাছেন মলঙ্গীর ছেলে নাজমুল মলঙ্গী (৩০) ও তার ভাই এনামুল মলঙ্গী (২৫)।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় নদী থেকে নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার
ডুমুরিয়া উপজেলার শরাফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ রবিউল ইসলাম রবি জানান, বিকালে নাজমুল ও এনামুল দুই ভাই মাছের ঘেরে যান। রাতে তারা বাসায় না ফেরায় বাড়ির লোকজন তাদের খুঁজতে বের হয়। পরে রাত ১০টার দিকে ঘেরের পাশে তাদের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে ইবি শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
সন্ধ্যায় বৃষ্টির সময় বজ্রপাত হয়। তাদের শরীরে বজ্রপাতের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বজ্রপাতে তারা মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যাত্রাবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
নগরীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নীরব (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার ভোরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নীরবের বাড়ি ভোলায়।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্র নিহত, আহত ৫
তিনি জানান, শুক্রবার ভোরে যাত্রাবাড়ীর কাজলা ভাঙ্গা নামক স্থানে দ্রুতগামী একটি গাড়ি নিরবকে চাপা দেয়।
পরে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে সকাল ৬টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তার লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোলায় সড়ক দুর্ঘটনায় মাদরাসা শিক্ষকের মৃত্যু
গোপালগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ১০
চুয়াডাঙ্গায় নদী থেকে নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গায় পুলিশের হাত থেকে পালাতে গিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয়ার একদিন পর মাথাভাঙ্গা নদী থেকে ২৫ বছর বয়সী এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত টোকন আলী আলমডাঙ্গা উপজেলার নতুনপাড়া এলাকার অদুচ্ছ উদ্দিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: শ্বশুরবাড়ির টয়লেট থেকে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর যুবকের লাশ উদ্ধার
হাটবোয়ালিয়া পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জাহিদুল হক জানান, বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ভাঁবাড়িয়া গ্রামের নদীর তীরে ঝোপের নিচে তাস খেলায় চারজনকে ধাওয়া করে তারা। চারজনের মধ্যে দুজনকে আটক করা হলেও বাকি দুজন নদীতে ঝাঁপ দেন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে আবর্জনা থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
এএসআই জানান, টোকন আলী নামে এক সবজি বিক্রেতা সাঁতার না জানার কারণে প্রবল জোয়ারে ভেসে যান। আর অন্য একজন সাঁতরে নিরাপদে স্থানে যেতে সক্ষম হন। পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন বুধবার নদীতে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে সারাদিন তাকে খুঁজে পায়নি।
বেআইনি কিছু না পাওয়ায় আটক দুজনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: যমুনায় নিখোঁজের দুই দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার
পরে বৃহস্পতিবার বিকালে খুলনা ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল নতিডাঙ্গা ঘাট সংলগ্নের নদী থেকে নিখোঁজ যুবকের লাশটি উদ্ধার করে।
এই ঘটনাকে অপ্রত্যাশিত বলে উল্লেখ করেছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার আনিসুজ্জামান লালন।
সীতাকুণ্ডে বস্তিবাসীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে আনসার সদস্যসহ আহত ১০
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার জঙ্গল সলিমপুরে বৃহস্পতিবার অবৈধ দখলদারদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে আনসার সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, সলিমপুরের আলী নগরে র্যাবের একটি ক্যাম্প হবে। মূলত জায়গাটা দেখার জন্য বৃহস্পতিবার বিকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে গেলে সংঘর্ষের এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: হালচাষকে কেন্দ্র করে পঞ্চগড়ে তীরধনুক নিয়ে সংঘর্ষ: আহত ৩
আহতদের মধ্যে ছয়জন হলেন- আনসার সদস্য বাবলু মন্ডল (২৮), বস্তিবাসী মো. আলীরাজ হোসেন (২৬), আমেনা বেগম (৩৫), আমেনা বেগম (৫০), মো. পারভেজ ও মো. রসুল (২০)। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: মাগুরায় আ.লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০
ওসি আবুল কালাম বলেন, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জায়গা পরিদর্শনে এলে তাদের ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে শুরু করে আলীনগরের অবৈধ বাসিন্দারা। এরপর আত্মরক্ষার্থে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুঁড়ি।
আরও পড়ুন: বরিশালে শোক সভায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
গত ৩০ আগস্ট জঙ্গল সলিমপুরে অবৈধ বসবাসকারীদের সরে যেতে মাইকিং করা হয়। একইসঙ্গে নিজ দায়িত্বে মালামাল সরিয়ে জায়গা খালি না করলে আইন অনুযায়ী উচ্ছেদ করা হবে বলে আল্টিমেটাম দেয় জেলা প্রশাসন।
ফরিদপুরে শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
ফরিদপুরে এক শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানা এলাকা থেকে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার মো. স্বাধীন শেখ (২৪) ফরিদপুর সদরের চাঁদপুর ইউনিয়নের ধোপাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২২ আগস্ট রাত সাড়ে নয়টার দিকে ফরিদপুর সদরের একটি বাজার থেকে চিকিৎসক দেখিয়ে বাড়ি ফিরছিল পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া শিশুটি। পথে মো.স্বাধীনসহ আরও ৩-৪ জন তরুণ ওই শিশুর পথ রোধ করে। তারা তাকে একটি পিকআপে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরে তাকে ভ্যানগাড়ি দিয়ে চাপা দিয়ে হত্যাচেষ্টাও করা হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা
বিষয়টি জানাজানি হলে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে গত ২৬ আগস্ট ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। এ মামলায় মো. স্বাধীন শেখসহ চার জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং একজনকে অজ্ঞাতনামা দেখানো হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল খায়ের বলেন, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামি মো.স্বাধীনকে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে ফরিদপুরের এক নম্বর আমলি আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত রিমান্ডের শুনানির দিন পরে ধার্য করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে আসামিকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন।
পরিদর্শক আরও জানান, ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশুটির শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। এছাড়া আদালত ওই শিশুটির জবানবন্দি নথিভূক্ত করেছেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে নাতনীকে ধর্ষণের অভিযোগে দাদা গ্রেপ্তার!
খুলনায় কিশোরী সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
মোংলা বন্দর এলাকায় সড়ক ও ফেরিঘাট নির্মাণ দু’টি এলপিজি প্লান্টের কার্যক্রম ঝুঁকিতে ফেলবে
মোংলা বন্দর শিল্প এলাকায় দুটি এলপিজি প্ল্যান্টের মাঝখানে একটি ফেরি ঘাট ও সংযোগ সড়ক নির্মাণ স্পর্শকাতর স্থাপনা দুটি জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) বৃহত্তম দু’টি বেসরকারি অপারেটর - ওমেরা এলপিজি এবং যমুনা এলপিজি মোংলা বন্দর এলাকায় তাদের প্ল্যান্টের মধ্য দিয়ে রাস্তা এবং লাউডোবা ফেরিঘাট নির্মাণের বিরোধিতা করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বিদেশি এলপিজি পরিবহনের জন্য তাদের প্ল্যান্টে চলাচল যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, সেজন্য বিকল্প স্থানে সড়ক ও ফেরি ঘাট নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছে তারা।
এলপিজি অপারেটররা দাবি করছে যে সড়ক ও জনপথ বিভাগ মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের (এমপিএ) ভূমি নীতি লঙ্ঘন করে সড়কটি নির্মাণ করছে।
তারা অভিযোগ করে বলেন, এ ধরনের নির্মাণের ফলে মোংলা বন্দরের নৌ চলাচল এবং সড়কের দুই পাশে স্থাপিত দু‘টি প্ল্যান্টে মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষও পশুর চ্যানেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বন্দরের শিল্পাঞ্চল হয়ে এ সড়ক নির্মাণ করা দেখে খুশি নন।
যমুনা ও ওমেরা এলপিজি প্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে এই সড়ক নির্মাণের বিরোধিতা করে মোংলা বন্দরসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছে।
দাকোপ উপজেলা থেকে খুলনা পর্যন্ত স্থানীয় জনগণের চলাচলের সুবিধার্থে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এক কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে এই সড়ক ও ফেরিঘাট নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ অভিযোগ পাওয়ার পর প্রাথমিকভাবে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু পরে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মৌখিক অনুমতির নিয়ে আবারও নির্মাণ কাজ শুরু করে।
এদিকে, এলপিজি অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এলওএবি) সভাপতি ও ওমেরা পেট্রোলিয়ামের মালিক আজম জে চৌধুরী বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম মুসার সঙ্গে দেখা করে বন্দর শিল্প এলাকায় ওমেরা ও যমুনা এলপিজি প্ল্যান্টের মধ্য দিয়ে প্রস্তাবিত সড়ক ও ফেরি ঘাট নির্মাণের অনুমতি না দেয়ার জন্য চিঠি দিয়ে অনুরোধ জানিয়েছেন।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা জানান, বাগেরহাটে বন্দর শিল্প এলাকা দিয়ে কোন স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি দেননি তারা।
তারা বলেন, প্রস্তাবিত সড়ক ও ফেরিঘাট নির্মাণ করা হলে বন্দরের পশুর নদী চ্যানেলের নৌ চলাচল ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়বে এবং সেখানকার নাব্যতা কমে যাবে।
সব দেশেই সেন্সর বোর্ড আছে, বাংলাদেশেও থাকবে:তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশের সিনেমা শিল্পের জন্মের পর থেকে সেন্সর বোর্ড ছিলো। সেন্সর বোর্ড থাকতে হবে। বোর্ড যাতে অহেতুক কিছু না করে সেটি আমি নজরে রাখি, তবে সেগুলো নিয়ে প্রশ্ন উঠছে সেগুলো আমরা দেখেছি। সেখানে আমরা যা পেয়েছি সেটা সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও শিল্পীদের সঙ্গে এক বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নেরে উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নির্মিত শনিবার বিকেল সহ বেশ কয়েকটি সিনেমা বছরের পর বছর সেন্সর বোর্ডে আটকে থাকার পরেও মুক্তি না পাওয়ায়-এ সময় সেন্সর বোর্ডের প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভারত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সিনেমা শিল্প, সেখানেও সেন্সর বোর্ড আছে প্রত্যেকটা রাজ্যের সিনেমার জন্য সেন্সর আছে এটা থাকতে হব। যারা বলে থাকার দরকার নাই, তারা বুঝে বলে নাকি না বুঝে বলে সেটি আমার প্রশ্ন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘কেউ যদি একটি সিনেমা বানায়, যেটি আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং সেটা যদি সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরির কথা বলে যদি পুরো সত্য ঘটনা না আসে, তাহলে তো সেন্সর বোর্ড প্রশ্ন রাখবেই।’
তিনি বলেন, ‘আশার কথা হলো চলচ্চিত্র শিল্প এখন ভালোর দিকে যাচ্ছে, আমরা অনুদানের পরিমাণ দ্বিগুণ করেছি। আগে যেখানে ১০ কোটি টাকা দেয়া হতো, এখন ২০ কোটি দেয়া হয়। আমি যখন এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করি তখন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা আমার কাছে আসেন। তারা আমাকে বললেন, অনুদান যেগুলো দেয়া হয় সেগুলোর অনেকগুলো হলে মুক্তি পায় না। অনেকগুলো আর্ট ফিল্মের জন্য অনুদান দেয়া হয়, তারা সেগুলো বানায় না।’
আরও পড়ুন:মাজহারুল আনোয়ার তার কাজের মাঝে যুগ যুগ বেঁচে থাকবেন: তথ্যমন্ত্রী
তিনি জানান, তিনি দেখেছেন যে আসলেই অনেক ছবি (অনুদানপ্রাপ্ত) বানানো হয়নি।
হাছান মাহমুদ বলেন, সেগুলোর বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেয়া শুরু করেছি, অনেকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তারপর বাণিজ্যিক ছবির ক্ষেত্রেও যেগুলো বানানো হয়েছে সেগুলো হলে রিলিজ দেয়া হয়নি, কাউকে স্বত্ব বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। এ কারণে আমরা নতুন নীতিমালা করেছি যে কমপক্ষে ১০ টি হলে মুক্তি দিতে হবে পরে এটি বাড়িয়ে ২০ টি করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এক কোটি টাকার নিচে কোনো সিনেমা হয় না, ভালো সিনেমা বানাতে মিনিমাম দুই কোটি লাগে। সেক্ষেত্রে তারা পরামর্শ দিলেন অনুদান যেন শুধু বাণিজ্যিক ছবিতে না দেয়া হয়। আমরা এরপর থেকে বাণিজ্যিক ও আর্ট ছবিতে জোর দেই, ডকুমেন্টারিতেও দেয়া হচ্ছে। কিন্তু বাণিজ্যিকে অনুদান বাড়ানোর ওপর আমরা জোর দিয়েছি, সেটার সুফলও আমরা পাচ্ছি। ৬৫টি টাতে নেমে এসেছিলো হল, সেখান থেকে ২১০ টা হয়েছে। আর এক বছরের মধ্যে আরও ১০০টা বাড়বে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সিনেপ্লেক্স হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী এক হাজার টাকার বিশেষ ঋণ তহবিল করেছেন, সেখান থেকে ঋণ নেয়ার জন্য অনেক দরখাস্ত ইতোমধ্যে জমা পড়েছে বিভিন্ন ব্যাংকে।
এটা অনুদান নয় ব্যাংকিং চ্যানেলে ঋণ দেয়া হচ্ছে। যখন করোনা ছিলো তখন ভয়ে কেউ দরখাস্তই করেনি কারণ তখন হল বন্ধ ছিল, পরে করোনা কমে আসার পর দরখাস্ত শুরু করলো তারপরে ব্যাংক গুলোকে আমাদের বোঝাতে হয়েছে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সাথে আমরা বসেছি। এরপর দরখাস্ত বেড়েছে। এখন আস্তে আস্তে ডিসপার্স হচ্ছে। এখন যেহতু ভালো সিনেমা হচ্ছে তাই দরখাস্ত বাড়ছে। এটা একটা রিভলভিং ফান্ড। এটা দিয়ে অনেক হল রেনোভেট করা যাবে। নতুন হল করা যাবে। প্রথমে ৫ কোটি টাকার কথা বলা হয়েছিলো, আমরা দেখেছি এতে কোয়ালিটি হল হয়না এজন্য টাকার অংক বাড়িয়ে সেটা ১০ কোটি করা হয়েছে।
অনুদান বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শুধু আর্ট ফিল্মে অনুদান দেবো আর মেইনষ্ট্রিমে দেবো না অনুদান তো এ জন্য নয়, অনুদান তো সব ধরনের সিনেমার জন্য। সব ধরনের মধ্যে মুলধারা তো হচ্ছে বাণিজ্যিক ছবি এটা তো সবাইকে স্বীকার করতে হবে।
যারা চলচ্চিত্রের অনুদান নিয়ে নির্মান করেননি তাদের সবার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। প্রথমে নোটিশ দেয়া হয়, এরপর যখন কমপ্লাই করে না তখন মামলা করা হয়। এটার প্রেক্ষিতে অনেকে টাকা ফেরত দিয়েছে এবং দিচ্ছে, আবার অনেকে বানাচ্ছে যারা করতে পারেনি।
আরও পড়ুন:২ মাসের মধ্যে চট্টগ্রামে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ গঠিত হবে:তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি বিশৃঙ্খলা করলে আ.লীগ প্রতিহত করবে: তথ্যমন্ত্রী
সিরাজগঞ্জে ধানখেতে বজ্রপাত, ৯ কৃষি শ্রমিক নিহত
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বজ্রপাতে ৯ কৃষি শ্রমিক নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের মাটিকোড়া দক্ষিণপাড়া গ্রামে ধানখেতে এ দুর্ঘটনায় আরও সাতজন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- ওই উপজেলার শিবপুর গ্রামের মোবারক (৪০), মোন্নাফ হোসেন (১৯), শমসের আলী (৬২), আফসার (৬৩), শাহিন (২১), মাটিকোড়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস (৬০), শাহ আলম (৪২), রিতু খাতুন (১৫) এবং অপর জনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে পৃথক বজ্রপাতে নিহত ২, আহত ৭
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকালে মাটিকোড়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের মাঠে কৃষি শ্রমিকরা রোপা ধানের চারা উত্তোলন এবং রোপন করছিলেন। বিকালে আকাশে কালো মেঘের তর্জন গর্জনের পর বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় তারা ওই মাঠে অবস্থিত একটি শ্যালো ঘরে গিয়ে ওঠে। কিছুক্ষণ পর ওই শ্যালো ঘরের ওপর বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই পাঁচ শ্রমিক নিহত হয় এবং আটজন আহত হয়। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিশোরীসহ চার শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের উদ্ধার অভিযান শুরু করে এবং এ পর্যন্ত ৯ জনের লাশ উদ্ধার করেছে। এ মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বজ্রপাতে নিহত ২, আহত ৫
সহকারী পুলিশ সুপার (উল্লাপাড়া সার্কেল) মাহফুজ বলেন, বজ্রপাতে নিহত ৯ জনের মধ্যে আটজনের পরিচয় মিললেও অপর জনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। তবে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ তাদের লাশ খুঁজছে। অভিযোগ না থাকলে নিহতদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. উজ্জল হোসেনসহ অনান্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং জেলা প্রশাসক ডা. ফারুক আহাম্মদ বজ্রপাতে নিহতদের পরিবারকে ২৫ হাজার করে টাকা দেয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে স্থানীয় এমপি তানভীর ইমাম বজ্রপাতে নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে ঘাস কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে নারীর মৃত্যু
আখাউড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে এবং আরেকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার ধাতুর পহেলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত সৃজন মোল্লা (২৪) ধাতুরপহেলা গ্রামের বাহার মোল্লার ছেলে। আহত এমরান মোল্লা (১৯) মুজিবুর রহমান মোল্লার ছেলে ও নিহত সৃজন মোল্লার চাচাতো ভাই। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
স্থানীয়রা জানান, সৃজন মোল্লা ও এমরান মোল্লা ধাতুরপহেলা গ্রামের একটি ওয়ার্কশপে কাজ করতেন। বৃহস্পতিবার সকালে ওয়ার্কশপে কাজ করার সময় হঠাৎ করে এমরান মোল্লা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। তাকে বাঁচাতে গিয়ে সৃজন মোল্লাও আহত হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদেরকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সৃজন মোল্লাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সজীব দেবনাথ বলেন, স্বজনেরা সৃজন মোল্লার লাশ নিয়ে গেছে। আহত এমরান মোল্লার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নারীর মৃত্যু
চান্দিনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
যশোরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ইলেকট্রিক মিস্ত্রির মৃত্যু