%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6
ময়মনসিংহে প্রতিবেশীকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় রফিজ উদ্দিন হত্যা মামলায় একব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সুদিপ্তা সরকার আসামির উপস্থিতিকে এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থী খুনের মামলায় ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সাজাপ্রাপ্ত শামসুদ্দিন (৫৫) মুক্তাগাছা উপজেলার তারাঢি ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের মৃত জয়নুদ্দিনের ছেলে।
প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি সঞ্জিব সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার নথির বরাত দিয়ে তিনি বলেন, নিহত রফিজ উদ্দিন ও আসামি শামসুদ্দিন জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার তারাঢি ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশি।
ঘটনার দিন ২০১৫ সালের ১০ মে রফিজ উদ্দিন আসামি প্রতিবেশী শামসুদ্দিনের বাড়ির সামনে তুচ্ছ ঘটনায় রফিজ উদ্দিনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শামসুদ্দিন লোহার শাবল দিয়ে রফিজ উদ্দিনের মাথায় বেশ কয়েকটি আঘাত করে। এতে রফিজ উদ্দিন ঘটনাস্থলেই মারা যান।
পরে শামসুদ্দিন শাবল নিয়ে পালাতে চাইলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। ঘটনার পর ওই দিন শামসুদ্দিনকে আসামি করে মুক্তাগাছা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
এরপর থেকে শামসুদ্দিন কারাগারেই ছিলেন। মামলার সাত বছর পর আসামির উপস্থিতিতে আদালত শামসুদ্দিনকে যাবজ্জীবন সাঁজা দেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
কুষ্টিয়ায় ডাকাতির সময় হত্যার দায়ে ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সংসদে সার্বজনীন পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তন বিল পাস
দেশের ক্রমবর্ধমান প্রবীণ জনসংখ্যাকে সর্বজনীন পেনশন প্রকল্পের আওতায় আনার লক্ষ্যে ইউনিভার্সাল পেনশন ম্যানেজমেন্ট বিল-২০২৩ সংসদে পাস হয়েছে।
মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিলটি উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
বিল অনুসারে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সকল বাংলাদেশি নাগরিক এই পেনশন পদ্ধতিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। প্রবাসী বাংলাদেশিরাও এ সুবিধা পাওয়ার যোগ্য হবেন।
ক্রমবর্ধমান প্রবীণ জনগোষ্ঠীকে টেকসই সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় আনতে বিলের খসড়া তৈরি করেছে অর্থ বিভাগ।
এটির মাধ্যমে মূলত বয়স্ক জনগোষ্ঠী অবসরে বা বেকার হয়ে যাওয়ার পর উপকৃত হবেন। এছাড়া রোগ, পক্ষাঘাত, বার্ধক্য বা অন্যান্য অনুরূপ পরিস্থিতিতে বা উচ্চ আয়ু হারের মধ্যে চরম দারিদ্র্য হলেও তারা সুবিধা পাবেন।
খসড়া আইন অনুসারে একজন ব্যক্তিকে ৬০ বছর বয়স থেকে মৃত্যু পর্যন্ত পেনশন পেতে কমপক্ষে ১০ বছর বিরতিহীনভাবে প্রিমিয়াম প্রদান করতে হবে।
৭৫ বছর বয়সের আগে একজন বয়স্ক ব্যক্তি মারা গেলে মনোনীত ব্যক্তি অবশিষ্ট সময়ের জন্য পেনশন পাবেন।
তবে প্রিমিয়ামের পরিমাণ প্রস্তাবিত আইনের অধীনে একটি নিয়ম দ্বারা নির্ধারিত হবে।
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী একজন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ থাকবে এবং অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ১৫ সদস্যের একটি গভর্নিং বডি থাকবে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন: স্পিকারের সাক্ষাৎ চেয়েছেন সিইসি
সরকার চেয়ারম্যান এবং বাকি চার সদস্যকে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ নিয়োগ দেবে।
অর্থমন্ত্রী গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান থাকবেন যেখানে অন্য সদস্যরা হবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ সচিব, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, এনবিআর চেয়ারম্যান, সমাজকল্যাণ সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের
সচিব, প্রধামন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, বিএসইসি চেয়ারম্যান, এফবিসিসিআই সভাপতি, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি, বিডব্লিউসিসিআই সভাপতি এবং নির্বাহী চেয়ারম্যান।
গভর্নিং বডি প্রতি বছর কমপক্ষে তিনটি সভা করবে।
কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় হবে এবং পূর্বানুমতি সাপেক্ষে দেশের যেকোনো স্থানে এর শাখা স্থাপন করা যাবে।
এই পেনশন প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তি স্বেচ্ছায় হবে, যদি না সরকার এটিকে বাধ্যতামূলক করার জন্য কোনো গেজেট জারি না করে।
জমাকৃত ফিকে তিনি বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য করবেন এবং কর মওকুফের জন্য প্রযোজ্য হবে যখন পেনশনটি করমুক্ত হবে।
বিলে বলা হয়েছে যে বিনামূল্যের একটি অংশ সরকার সর্বনিম্ন আয়ের স্তরের নীচে বা যারা দেউলিয়া তাদের জন্য দিতে পারে।
একটি সর্বজনীন পেনশন তহবিল জমাকৃত অর্থ সঠিকভাবে পরিচালনা করবে। এক বা একাধিক তফসিলি ব্যাংক তহবিলের ব্যাংকার হিসেবে কাজ করবে।
নির্দিষ্ট সময়ে স্থানান্তর নিশ্চিত করতে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার সিস্টেমের মাধ্যমে তহবিল স্থানান্তর করা হবে এবং এর জন্য একটি কেন্দ্রীভূত এবং স্বয়ংক্রিয় পেনশন বিতরণ কাঠামো গঠন করা হবে।
সরকারি, আধা-সরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলোকে এই পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত করতে সরকার গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করবে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান বিলটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সরকারের একটি চমৎকার উদ্যোগ বলে অভিহিত করেন।
তবে, তিনি বলেন যে এই পেনশন ব্যবস্থা সাধারণ মানুষের সাড়া পাবে না। কারণ সরকারি কর্মচারীরা যেভাবে পেনশন পান তার সঙ্গে অনেক কিছুই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
তিনি বলেন, ‘মানুষ কীভাবে লাভ বা সুবিধা পাবে তা পরিষ্কার নয়। এটা অনেকটা ব্যাংকিং প্যাকেজের মতো। এই বিল পাশ হওয়ার আগে জনগণের মতামত নেয়া উচিত।’
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম বলেছেন, এই বিল সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
তিনি বলেন, সংবিধানে বলা হয়েছে, বেকারত্ব, অসুস্থতা বা দুর্বলতা বা বিধবা, পিতামাতাহীনতা বা বার্ধক্য বা অন্যান্য অনুরূপ পরিস্থিতির মতো অনিয়ন্ত্রিত কারণে সরকারের কাছ থেকে জনগণের সহায়তা পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
আরও পড়ুন: শপথ নিলেন নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্য মোছা. ডরথী রহমান
তিনি বলেন, ‘সরকার জনগণের কাছ থেকে ফি নেবে এবং ফেরত দেবে। এই বিল পাশ হওয়ার কোনও সুযোগ নেই।’
জাতীয় পার্টির আরেক সংসদ সদস্য মুজিবুল হক প্রশ্ন রেখে বলেন, বিলের কথাগুলো ভালো। ‘কিন্তু এই পেনশন স্কিমে সরকারের অংশগ্রহণ কি?
পেনশনে সরকারের কোনও সম্পৃক্ততা নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এটা ব্যাংকের ডিপিএস স্কিমের মতো। গুজব আছে যে সরকারের অর্থের অভাব থাকায় জনগণের কাছ থেকে টাকা নিতে বাধ্য হচ্ছে?
অর্থমন্ত্রীর মৌন অবস্থান নেয়ার সমালোচনা করে মুজিবুল হক বলেন, অর্থমন্ত্রী বেশি কথা বলেন না।
তিনি বলেন, ‘বোবার কম শত্রু আছে। কিন্তু কথাগুলো অর্থমন্ত্রীর কানে পৌঁছেছে কি না তা জানা যায়নি। তার কাছ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া বা উদ্যোগ দেখা যায় না।’
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, আপাতদৃষ্টিতে আইন ভালো। কিন্তু বিভিন্ন প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের দেয়া পথের বাইরে কিছু আছে বলে মনে হয় না।
‘সরকার কী লাভ দেবে তা পরিষ্কার নয়।’
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেছেন, এটা শেয়ালের কাছে মুরগি পালনের মতো।
‘মানুষ ব্যাংকে টাকা রাখবে এবং ব্যাংকগুলো টাকা বিদেশে পাচার করবে। ব্যাংকগুলো মানুষের আস্থা হারিয়েছে। এক ব্যাংকের পরিচালক অন্য ব্যাংক থেকে টাকা নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, ঋণ খেলাপিরা সব সুবিধা পাচ্ছে।
বিদেশে অর্থ পাচারের বিষয়ে একটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, বিষয়টি দেখার কেউ নেই।
যারা অর্থ পাচার করছে তাদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।
বিরোধী দলের সদস্যদের সমালোচনার জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এই বিল আনার আগে অনেক আলোচনা হয়েছে।
‘যারা লিখিত মন্তব্য জমা দিয়েছেন তাদের বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। সংসদীয় কমিটিতেও বিলটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বিলটি গ্রহণযোগ্যতার লক্ষ্যে সংসদে আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
ভোলার গ্যাস আগামী মাসেই আসবে: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আগামী মাসের শুরু থেকেই ভোলার গ্যাস আনা হবে।
তিনি বলেন, তবে পাইপলাইনে নয়, আপাতত সিএনজিতে রূপান্তর করে কনটেইনারে ভরে মূল ভূখণ্ডে এনে জাতীয় গ্রিডে এ গ্যাস যুক্ত করা হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আয়োজিত জেলাপ্রশাসক সম্মেলন-২০২৩ এর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী করোনায় আক্রান্ত
তিনি বলেন, জেলাপ্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের প্রতি বলব যে এই বছরটি আমাদের জন্য বড় প্রতিকূলতার। সব উন্নয়নের পেছনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির নিরবচ্ছিন্নতা অপরিহার্য। এছাড়া আমাদের সেচ মৌসুম শুরু হচ্ছে। সামনে আমাদের রোজার মাস শুরু হবে। বৈশ্বিক জ্বালানির চ্যালেঞ্জ মাথায় নিয়ে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জেলা ও বিভাগ অনুসারে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে।
নসরুল হামিদ বলেন, বিদ্যুতের স্থগিত বিলগুলো, বিশেষ করে আমাদের জেলা পর্যায়ের সরকারি অফিসগুলোর বিলগুলো নিয়মিত করতে বলা হয়েছে। সামনের মাস থেকে যেহেতু সেচ শুরু হবে, তারা যাতে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি পেতে পারে, সেদিকেও নজর দিতে হবে।
তিনি বলেন, স্ব স্ব জেলা ও বিভাগীয় কমিশনাররা যাতে আমাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখেন, সেই জন্য কমিটি করে দেয়া আছে। বিদ্যুতের ব্যাপারে যদি চ্যালেঞ্জিং কিছু থাকে, কোনো ঘাটতি যদি থাকে, সেই বিষয়গুলো সুরাহা করার ব্যাপারে সার্বিকভাবে আমাদের সহযোগিতা থাকতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিদ্যুৎ নিরবচ্ছিন্ন রাখার ক্ষেত্রে কিছু বিষয়কে অগ্রাধিকারে রাখা হয়েছে। যেমন হাসপাতাল,শিল্পকারখানা ও কৃষি ইত্যাদি। এসব খাতগুলোতে যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, সে বিষয়ে বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জেলা পর্যায়ের যেসব পরিত্যক্ত জমি আছে সেগুলো সোলারের আওতায় আনা যায় কিনা তা ভেবে দেখতে বলা হয়েছে। এছাড়া জেলা পর্যায়ে যত সরকারি ভবন আছে সবগুলোর ছাদে এবং সরকারি স্কুলগুলোতেও সোলারের ব্যবস্থা করা যায়।
গরমে বিদ্যুৎ চাহিদা মোকাবিলার ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা নিজস্ব কিছুটা গ্যাস বৃদ্ধি করেছি। এছাড়া স্পট থেকে কিছু কেনার ব্যবস্থা করেছি। আমরা শিল্পে গ্যাসের দামে সমন্বয় করেছি। শিল্পতে নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ রাখা চ্যালেঞ্জ। আমরা অন্য ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারভিত্তিতে কীভাবে নিরাবচ্ছিন্ন করা যায়, তা নিয়ে ভাবছি।
দাম বাড়ানোর ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা বলছি, প্রতি মাসে একটি সমন্বয়ে যাবো। সেটা নির্ভর করে জ্বালানির মূল্যের ওপর। সেভাবেই ব্যবস্থা নেব।
গ্যাসের দাম পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে তিনি বলেন, সেটা এখন বলতে পারছি না। দাম কমতেও পারে।
আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে কাজ করছে সরকার: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
প্রকল্প পরিচালকদের ব্যর্থতার দায় মন্ত্রণালয় নেবে না: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
সংসদে শীর্ষ ২০ ঋণ খেলাপির তালিকা দিলেন অর্থমন্ত্রী
দেশের শীর্ষ ২০ খেলাপির মোট ঋণের পরিমাণ ১৯ হাজার ২৮৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা এবং খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১৬ হাজার ৫৮৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার সংসদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এই অর্থের পরিমাণ প্রকাশ করেন।
অর্থমন্ত্রী তালিকায় শীর্ষ ২০ ঋণ খেলাপির নাম, মোট ঋণের পরিমাণ এবং তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: পাচারকৃত অর্থ দেশে আনার আইনি প্রক্রিয়া চলছে: অর্থমন্ত্রী
তিনি সংসদকে আরও জানান, দেশে মোট খেলাপির সংখ্যা ৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬৫ জন।
তালিকা অনুযায়ী, শীর্ষ ২০ ঋণ খেলাপির মধ্যে সিএলসি পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ৭৩২ কোটি ৯২ লাখ টাকা এবং তাদের খেলাপি ঋণ ১ হাজার ৬৪৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।
অন্যান্য ১৯ জনের ঋণের পরিমাণ এবং খেলাপি ঋণের পরিমাণ হল-ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড ১ হাজার ৮৫৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা এবং খেলাপি ঋণ ১ হাজার ৫২৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা; রিমেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ৭৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, এর সমস্তটাই খেলাপি ঋণ; রাইজিং স্টিল কোম্পানি লিমিটেড ১ হাজার ১৪২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা এবং খেলাপি ঋণ ৯৯০ কোটি ২৮ লাখ টাকা; মোহাম্মদ ইলিয়াস ব্রাদার্স (প্রা.) লিমিটেড ৯৬৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা, এর সমস্ত পরিমাণই খেলাপি ঋণ।
রূপালী কম্পোজিট লেদার ওয়্যার লিমিটেডের ঋণ ও খেলাপি ঋণের পরিমাণ একই। তাদের খেলাপি ঋণ ৮৭৩ লাখ ২৯ হাজার টাকা।
ক্রিসেন্ট লেদারস প্রোডাক্টস লিমিটেডের ঋণ ও খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৮৫৫ কোটি ২২ লাখ টাকা।
কোয়ান্টাম পাওয়ার সিস্টেম লিমিটেডের ঋণের পরিমাণ ও খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৮১১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
সাদ মুসা ফেব্রিক্স লিমিটেডের ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ১৩১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা এবং তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৭৭৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
বিআর স্পিনিং মিলস লিমিটেডের ঋণের পরিমাণ ও খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৭২১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।
এসএ অয়েল রিফাইনারি লিমিটেডের ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ১৭২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা এবং তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৭০৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল অংশীদার: অর্থমন্ত্রী
মাইশা প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের ঋণের পরিমাণ ৬৮৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা এবং তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৬৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
রেডিয়াম কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেডের ঋণের পরিমাণ ৭৭০ কোটি ৪৮ লাখ টাকা এবং তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৬০ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
সামনাজ সুপার অয়েল লিমিটেডের ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ১৩০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা এবং তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৫১ দশমিক ৭ কোটি টাকা।
মানহা প্রিকাস্ট টেকনোলজি লিমিটেডের ঋণের পরিমাণ এবং খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৪৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
এশিয়ান এডুকেশন লিমিটেডের ঋণের পরিমাণ ৬৫৩ কোটি টাকা এবং তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৩৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
এসএম স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেডের ঋণের পরিমাণ ৮৮৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা এবং তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৩০ কোটি ২৬ লাখ টাকা।
অ্যাপোলো স্টিল কমপ্লেক্স লিমিটেডের ঋণের পরিমাণ ৮৭২ কোটি ৭২ লাখ টাকা এবং তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬২৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
এহসান স্টিল রি-রোলিং লিমিটেডের ঋণের পরিমাণ ৬২৪ কোটি ২৭ লাখ টাকা এবং তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৫৯০ কোটি ২৩ লাখ টাকা। সিদ্দিকী ট্রেডার্সের ঋণের পরিমাণ ৬৭০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা এবং তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৫৪১ কোটি ২০ লাখ টাকা।
ক্ষমতাসীন দলের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য নাজমা আক্তারের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী সংসদে বলেন, কৃষি ঋণের সুদ মওকুফের কোনো পরিকল্পনা নেই।
এর কারণ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ব্যাংকগুলো আমানতকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা টাকা দিয়ে কৃষকদের ঋণ দেয়। আমানতকারীদের সুদ দিতে হয় বলে কৃষকদের দেয়া ঋণের সুদ মওকুফ করা ব্যাংকের পক্ষে সম্ভব নয়।
সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে কামাল বলেন, চলতি অর্থবছরে (২০২২-২৩) আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ঋণ পাওয়া যায়নি, ঋণ নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
তিনি বলেন, ‘চলতি অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক থেকে ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ পাওয়া গেছে। এই ঋণটি ৩০ বছরে পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ পরিশোধযোগ্য।’
চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য মো. আব্দুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে জাপান সরকার ৯২১ দশমিক ৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড় দিয়েছে।
গত অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কর রাজস্ব কম ছিল উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেনের এক প্রশ্নের জবাবে কামাল বলেন, কোভিড-পরবর্তী অর্থনৈতিক মন্দা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বৈশ্বিক মুদ্রানীতি এবং কঠোরতা নীতির কারণে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব সংগ্রহ ব্যর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন: চলতি অর্থবছরে বাজেটের প্রথম ত্রৈমাসিক কর্মক্ষমতা সন্তোষজনক: অর্থমন্ত্রী
সরকার প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক সুসংহত করতে কাজ করছে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, অংশীদারিত্বমূলক সমৃদ্ধি এবং পারস্পরিক উন্নয়নের জন্য প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক সুসংহত করতে অবিরাম কাজ করছে।
তিনি বলেন, অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা বৃদ্ধি, ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি, পানি ও বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতার অনুসরণ, সংযোগ বৃদ্ধি, জনগণের মধ্যে যোগাযোগের জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতার মাধ্যমে প্রতিবেশীদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার এবং মানবিক সহায়তার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) ‘বিবর্তিত বৈশ্বিক ব্যবস্থায় প্রতিবেশীদের সঙ্গে বাংলাদেশের বৈদেশিক সম্পর্ক শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক আয়োজিত সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার ইস্যু’র রাজনৈতিক ব্যবহার হিতে বিপরীত হতে পারে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূলনীতি হলো-সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বিদ্বেষ নয়- বৈশ্বিক শৃঙ্খলা যে দিকেই অগ্রসর হচ্ছে তা অক্ষুণ্ণ থাকবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মৌলিক অবস্থান হলো- সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো প্রতি বিদ্বেষ নয়, এটি অক্ষত থাকবে না, যাই ঘটুক না কেন।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ কখনোই আপস করবে না।
তিনি বলেন, ‘এগুলো অক্ষত রেখে, বাংলাদেশ তার সম্পদ অব্যাহত রাখবে ... আমাদের প্রচুর বাংলাদেশি প্রবাসী রয়েছে .. আমাদের অবশ্যই কিছু নমনীয় শক্তি আছে।’
আলম বলেন, বাংলাদেশ তার প্রতিবেশী এলাকায় একটি ভালো প্রতিবেশী হিসেবে গড়ে ওঠা সম্পর্ক সম্প্রসারণ অব্যাহত রাখবে।
‘আমরা (এছাড়াও) আশা করি যে আমাদের প্রতিবেশীরা তাদের সর্বোত্তম ক্ষমতা দিয়ে এটির প্রতিদান দেয়ার চেষ্টা করবে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্ব যখন একটি জটিল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তখন এগুলো আরও প্রাসঙ্গিক।
বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের (বিইআই) সভাপতি এম হুমায়ুন কবির সভাপতিত্ব করেন এবং বিআইআইএসএস-এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শেখ পাশা হাবিব উদ্দিন স্বাগত বক্তব্য দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারপার্সন ডক্টর লাইলুফার ইয়াসমিন ‘বিবর্তিত বৈশ্বিক ব্যবস্থায় প্রতিবেশীদের সঙ্গে বাংলাদেশের বৈদেশিক সম্পর্ক স্থাপন’ শীর্ষক একটি উপস্থাপনা করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক(দক্ষিণ এশিয়া)এটিএম রোকেবুল হক ‘প্রতিবেশীদের প্রতি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি: অংশীদারিত্বে সমৃদ্ধির বন্ধুত্ব’ শীর্ষক উপস্থাপনা করেন।
বিআইআইএসএস’র গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবির, ‘প্রতিবেশীদের সঙ্গে সহযোগিতার নতুন উপায় অন্বেষণ’ শীর্ষক উপস্থাপনা করেন।
বিআইএসএস’র সিনিয়র রিসার্চ ফেলো এম আশিক রহমান ‘প্রতিবেশীদের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্প্রসারিত সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা’ বিষয়ে উপস্থাপনা করেন।
মেজর জেনারেল শেখ পাশা হাবিব উদ্দিন বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এশিয়ার পুনঃউত্থানের কথা তুলে ধরেন।
তিনি উভয় ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী এবং বর্ধিত প্রতিবেশীদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার ওপর জোর দেন এবং আঞ্চলিক সমস্যার শান্তিপূর্ণ ও টেকসই সমাধান খুঁজে বের করতে বহুপাক্ষিকতাকে উন্নীত করার ওপর জোর দেন।
বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের (বিইআই) সভাপতি হুমায়ুন কবির উল্লেখ করেছেন যে পরিবর্তিত বৈশ্বিক ব্যবস্থায় বিশ্বের দেশগুলো প্রতিবেশীদের সঙ্গে তাদের বৈদেশিক নীতি প্রণয়নের জন্য লড়াই করছে এবং বাংলাদেশকে সতর্কতার সঙ্গে এর মধ্য দিয়ে চলাচল করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, সাবেক কূটনীতিক, ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, গবেষক, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, বিভিন্ন থিংক ট্যাংক, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে আমরা আরও ভালোভাবে প্রস্তুত: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
সীমান্ত হত্যা কারোই কাম্য নয়: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
টাঙ্গাইলে মহিষের আক্রমণে আ.লীগ নেতাসহ নিহত ৩
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে পাগলা মহিষের আক্রমণে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।
সোমবার রাতে ঢাকার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন এবং ঢাকায় নেয়ার পথে আরেকজনের মৃত্যু হয়। এর আগে মহিষের আক্রমণে রবিবার বিকালে হাজেরা বেগম নামের এক নারীর মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন-উপজেলার লাউহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও তারুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা হাসমত আলী খান, একই এলাকার কিতাব আলী এবং আজগর আলীর স্ত্রী হাজেরা বেগম।
আরও পড়ুন: মহিষের গুঁতোয় আহত সাবেক এমপি বদি
স্থানীয়রা জানায়, দেলদুয়ারের এলাসিন ইউনিয়নের বারপাখিয়া গ্রামের শরিফ মিয়া কৃষিকাজের জন্য এক জোড়া মহিষ কেনেন। রবিবার একটি মহিষ দড়ি ছিঁড়ে পালিয়ে যায়।
এ সময় লাউহাটি ইউনিয়নের তারুটিয়া গ্রামের মানুষের ওপর হামলা চালায়। পরে মহিষটিকে ধরতে গিয়ে দুই ঘণ্টায় নারী-পুরুষসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির আলী মৃধা বলেন, সোমবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজন মারা গেছেন। এর আগে রবিবার বিকালে এক নারী মারা গেছেন।
এ নিয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে জোয়ারের পানিতে ভেসে এলো দেড় শতাধিক মহিষ!
বরিশালে চুরি যাওয়া ৭৪টি গরু মহিষ উদ্ধার
বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় আ.লীগ নেতার মৃত্যু
বগুড়ার শাজাহানপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় খলিলুর রহমান (৫৫) নামে এক উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে। এসময় তার ছেলে মমেত (২৫) গুরুতর আহত হন। তাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার সাজাপুর এলাকার ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: যশোরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
খলিলুর রহমান বগুড়া সদর উপজেলার পল্লী মঙ্গল এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সুফিয়ান শফিক বলেন, খলিলুর রহমান সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ছিলেন।
শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) কাজী রজিবুল ইসলাম জানান, খলিলুর রহমান ও তার ছেলে মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। এসময় বড় কোনো গাড়ির ধাক্কায় খলিলুর রহমান ঘটনাস্থলেই নিহত হন।স্থানীয়রা সঠিকভাবে বলতে পারছেন না সেটি বাস নাকি ট্রাক ছিল।
তিনি আরও বলেন, লাশ শজিমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহত ব্যক্তির অবস্থা আশংকাজনক। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। পরিবারের সদস্যরা এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
শরীয়তপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে একজন পরোপকারী বরিশালের সাংবাদিক মাসুদ
স্বাস্থ্যের ডিজিকে সেবা নিশ্চিত করতে বললেন হাইকোর্ট
চিকিৎসকরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সেবা দেয়ার পরও নাগরিকদের সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছেন হাইকোর্ট।
সারা দেশের কারাগারগুলোতে শূন্যপদে চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশনা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন না করায় তলবাদেশে তিনি হাজির হওয়ার পর মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব কথা বলেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. জে আর খান রবিন।
ডিজির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন।
আরও পড়ুন: কারাগারে শূন্য পদে চিকিৎসক নিয়োগ না দেয়ায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজিকে হাইকোর্টের তলব
এর আগে তলবাদেশে হাজির হওয়ার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে উদ্দেশ করে আদালত বলেন, এই বিষয়টি অনেকবার এসেছে। কারাগারে থাকা মানুষদেরও স্বাস্থ্যসেবার অধিকার আছে। সেবাটা দেয়া দরকার। আমাদের তো কাউকে ডাকতে (তলব) লজ্জা লাগে। এটা শোভনীয় না। আমরা বাধ্য হয়ে ডাকি।
এ সময় ডিজির পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘এটা কনসিডার (বিবেচনা) করেন। স্বাস্থ্যের সমস্যা কোভিডের জন্য হয়েছে।’
তখন আদালত বলেন, সরকার তো কোনও খাতেই টাকা কম দেয় না।
আদালত ফরিদপুর মেডিকেলের দুর্নীতির বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, ৪০০ গুণ একটি জিনিসের দাম হতে পারে না। বিদেশিরা দেশ চালায় না?
এসময় অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘সব জায়গায় ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হয়েছে।’
আদালত বলেন, গরিব দেশ হিসেবে যথেষ্ট টাকা স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ দেয় সরকার। ডিজিকে উদ্দেশ করে আদালত বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস থেকে কোনও কিছু (আদেশ) গেলে রেসপন্স করবেন।
পরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম আদালতে বলেন, ‘কারাগারে চিকিৎসক নিয়োগ দিতে যে বিলম্ব হয়েছে, এটা অনিচ্ছাকৃত। আমার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আমি খুবই দুঃখিত। আমি ক্ষমাপ্রার্থী। ভবিষ্যতে এমন হবে না।’
আরও পড়ুন: সন্তানের অভিভাবক হিসেবে মায়ের স্বীকৃতি দিলেন হাইকোর্ট
পরে আদালত এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২ মে দিন ঠিক করে দেন এবং ডিজিকে তার ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন।
রিটকারী আইনজীবী জে আর খান রবিন পরে সাংবাদিকদের বলেন, ডিজি আদালতে হাজির হয়ে জানিয়েছেন তিনি সব শূন্য পদে ইতোমধ্যে চিকিৎসক নিয়োগ করেছেন। ১৪১ জন নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ১৩৬ জন যোগদান করেছেন। বাকি পাঁচজন শিগগিরিই যোগদান করবেন।
এছাড়া আদেশ বাস্তবায়নে বিলম্বের জন্য ডিজি নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেন।
এছাড়া আদালত ডিজিকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যহতি দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, এতদিন কারাগারে চিকিৎসক নিয়োগ সরাসরি হয় না। প্রেষণে নিয়োগ হত। এখন সরাসরি নিয়োগের জন্য একটি কসড়া নীতিমালা তৈরি হচ্ছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে এই খসড়া নীতিমালার বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষকে অগ্রগতি জানাতে নির্দেশ দিয়ে ২ মে পরবর্তী শুনানির জন্য ধার্য করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৫ নভেম্বর দেশের সব কারাগারে শূন্যপদে ডাক্তার নিয়োগ দিতে কারা কর্তৃপক্ষ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে গত ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে বলা হয়।
অন্যথায়, সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হলেও সে আদেশ বাস্তবায়ন না করায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজিকে তলব করেন হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, কারা চিকিৎসক সংকট নিয়ে দেশের কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে আদালতে রিট দায়ের করেছিলেন আইনজীবী মো. জে আর খাঁন (রবিন)।
পরে ২০১৯ সালের ২৩ জুন জারি করা রুলে কারাগারে আইনগত অধিকার নিশ্চিত, মানসম্মত থাকার জায়গা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না এবং বন্দিদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে কারা চিকিৎসকের শূন্যপদে নিয়োগ দিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলবদের খুঁজে বের করতে স্বাধীন কমিশন কেন নয়: হাইকোর্ট
আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (সুরক্ষা বিভাগ), স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ও কারা মহাপরিদর্শককে এসব রুলের জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
এছাড়াও অপর এক আদেশে আদালত সারা দেশের সব কারাগারে বন্দিদের ধারণক্ষমতা, বন্দি ও চিকিৎসকের সংখ্যা এবং চিকিৎসকের শূন্যপদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী শিশুদের অর্ধেকেরও বেশি স্কুলে যায় না, উদ্বেগ ইউনিসেফের
জাতীয় পর্যায়ের নতুন তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী শিশুদের অর্ধেকেরও বেশি কোনো আনুষ্ঠানিক শিক্ষায় নথিভুক্ত নয়।
ইউনিসেফের সহায়তায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিচালিত ‘জাতীয় প্রতিবন্ধী ব্যক্তি জরিপ (এনএসপিডি) ২০২১’-এ এই তথ্য উঠে এসেছে।
জরিপ বলছে, প্রতিবন্ধী শিশুদের (৫-১৭ বছর বয়সী) মধ্যে মাত্র ৬৫ শতাংশ শিশু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং মাত্র ৩৫ শতাংশ শিশু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নথিভুক্ত আছে।
আরও পড়ুন: ইউনিসেফের মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১১ সাংবাদিক
মোট ৬০ শতাংশ প্রতিবন্ধী শিশু আনুষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে।
সমীক্ষায় আরও উঠে এসেছে যে, প্রতিবন্ধী শিশুদের মধ্যে যারা আনুষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ করছে তারা তাদের বয়স অনুপাতে শিক্ষাগতভাবে গড়ে দুই বছরের বেশি পিছিয়ে।
এছাড়া এই প্রথম বিবিএস প্রতিবন্ধী ব্যক্তি সংক্রান্ত একটি জাতীয় জরিপ পরিচালনা করেছে। এই জরিপ থেকে পাওয়া তথ্য প্রতিবন্ধী শিশুরা বেড়ে ওঠার সময় কত প্রকার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয় তা তুলে ধরেছে।
বিবিএসের প্রকল্প পরিচালক ইফতেখাইরুল করিম বলেন, রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্য-উপাত্ত বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য পরিকল্পনা ও উদ্যোগ প্রণয়নে সরকারকে সহায়তা করবে।
জরিপের তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশের ১.৭ শতাংশ শিশু ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩’-এ সংজ্ঞায়িত ১২ ধরনের প্রতিবন্ধিতার অন্তত একটি প্রতিবন্ধিতা নিয়ে বেঁচে আছে।
অন্যদিকে ৩.৬ শতাংশ শিশুর অন্তত এক ধরনের ‘ফাংশনাল ডিফিকাল্টি’ রয়েছে।
ফাংশনাল ডিফিকাল্টির বিভিন্ন ধরনের মধ্যে রয়েছে দেখা, শোনা, হাঁটা, আঙ্গুল ব্যবহার করে কাজ করা, যোগাযোগ, শেখা, খেলা বা আচরণ নিয়ন্ত্রণ।
আরও পড়ুন: সার্বজনীন জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিতে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা ইউনিসেফের
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি মি. শেলডন ইয়েট বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী শিশুদের মধ্যে কতজন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তা তুলে ধরেছে নতুন এই তথ্য। এই শিশুদের জন্য আমাদের আরও অনেক কিছু করা দরকার। আমাদেরকে তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা ও সেবাসমূহ প্রদান করতে হবে এবং এমন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ তৈরি করতে হবে যেখানে তারা উন্নতি করতে পারে।
এছাড়া প্রতিবন্ধী শিশুরা বড় হওয়ার পর প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে যে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয় তার ওপরও আলোকপাত করেছে জরিপ থেকে উঠে আসা তথ্য।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে যারা কাজ করার বয়সী তাদের মাত্র এক তৃতীয়াংশ কর্মরত, যেখানে পুরুষদের তুলনায় নারীদের কাজে নিযুক্ত না থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
আর যদিও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে যারা সরকারিভাবে নিবন্ধিত, তাদের ৯০ শতাংশ সামাজিক সুরক্ষা হিসেবে ভাতা পান, বেশিরভাগ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি-প্রায় ৬৫ শতাংশ-অনিবন্ধিত থেকে যায়।
প্রতিবন্ধিতা নিয়ে বেড়ে ওঠা শিশুদের মাঝে থাকা সম্ভাবনার সর্বোচ্চ বিকাশের জন্য শৈশবকালীন দ্রুত শনাক্তকরণ ও যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়া একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ তৈরি করাও গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে পরিবার ও সেবা প্রদানকারীরা প্রতিবন্ধী শিশুদের জীবনের সকল ক্ষেত্রে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে সহায়তা করতে পারে।
শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থানে প্রতিবন্ধী শিশুদের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে এবং সামাজিক নেতিবাচক ধ্যানধারণা ও কুসংস্কার দূর করতে ইউনিসেফ বাংলাদেশ সরকার ও অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হলেন বিদ্যা সিনহা মিম
জেএমবি সদস্যদের সঙ্গে কারাগারে দেখা হওয়ার পর জঙ্গি নেতা হয়ে ওঠেন ডাকাত
গ্রেপ্তার নতুন জঙ্গি গোষ্ঠী জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়া’র সশস্ত্র শাখার প্রধান এবং কাউন্সিল (শুরা) সদস্য রণবীর ডাকাতির অভিযোগে জেলে থাকাকালীন জেএমবি জঙ্গিদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে নতুন এই গ্রুপের শীর্ষ নেতা হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন: নীলফামারীতে ‘জেএমবি সদস্য’ সন্দেহে গ্রেপ্তার ২
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সোমবার কক্সবাজারের একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে নতুন জঙ্গি সংগঠনের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, গতকাল মাসুকুর রহমান ওরফে রণবীর ওরফে মাসুদ ও বাশারকে গ্রেপ্তারের পর র্যাব জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায়।
রণবীরের সহযোগী বাশার বোমা তৈরিতে বিশেষজ্ঞ।
রণবীর পোস্ট অফিসে চাকরি করতেন। তিনি একটি সশস্ত্র ডাকাত দলের নেতৃত্ব দেন এবং গ্রেপ্তার হন।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, কারাগারে থাকাকালীন তিনি জেএমবির নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাদের সঙ্গে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
তিনি আরও বলেন, মুক্তির পর তিনি কারাগারে জেএমবি সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে থাকেন। তাদের পরিবারের সঙ্গেও তার যোগাযোগ ছিল।
শুরা সদস্য রাকিবের সঙ্গে ২০১৭ সালে তিনি দেখা করেন এবং পরে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়ার অর্থ ও মিডিয়া শাখার প্রধান এবং একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হন।
র্যাবের সদস্যরা সোমবার(২৩ জানুয়ারি) কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বন্দুকযুদ্ধের পর রনবীর ও বাশারকে গ্রেপ্তার করে।
বন্দুকযুদ্ধের পর ক্যাম্পের একটি আস্তানা থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ দু’জনকে আটক করে র্যাব।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নৌ ঘাঁটিতে বোমা হামলা: ৫ জেএমবি সদস্যের মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামে গ্রেনেড উদ্ধার মামলায় জেএমবি সদস্যের সাড়ে ৫ বছর কারাদণ্ড