বাংলাদেশ
বহিষ্কৃত ৬ শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের হল কমিটিতে
সিনিয়র ছাত্রকে মারধরের ঘটনায় ছয় শিক্ষার্থী হল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলের ছাত্রলীগের হল কমিটিতে তাদের পদ দেয়া হয়েছে।
বহিষ্কৃত ছয় ছাত্র মাসফি-উর রহমানকে পরিকল্পনা ও কর্মসূচি উপসম্পাদক, শফিউল্লাহ সুমনকে সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপসম্পাদক, নাইমুর রশিদকে গণযোগাযোগ ও উন্নয়ন সম্পাদক, সাব্বির আল হাসান কাইয়ুমকে দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক, মোহাম্মদ ফিরোজ আলম অপিকে প্রশিক্ষণ বিষয়ক উপসম্পাদক এবং আবদুল্লাহ আল মারুফকে ছাত্র বৃত্তি উপসম্পাদক পদ দেয়া হয়েছে।
বহিষ্কৃতরা সবাই বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের সভাপতি সজিবুর রহমান সজীবের অনুসারী।
যোগাযোগ করা হলে বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের সভাপতি সজিব বলেন, হল কর্তৃপক্ষ তাদের হল থেকে বের করে দেয়নি। শুধু তাদের আসন বাতিল করা হয়েছে। এখনও তারা হলের মধ্যে সংযুক্ত। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে তাদের হলের ছাড়পত্র প্রয়োজন। আমি যতদূর জানি, ভুক্তভোগী এবং অভিযুক্তরা প্রভোস্ট অফিসে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। আমি আশা করি পরবর্তী আসন বণ্টন ব্যবস্থায় হলে তাদের আসন দেয়া হবে।
তিনি বলেন, সর্বোচ্চ সেরা কমিটি করার চেষ্টা করেছি এবং আশা করি সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।
পড়ুন: ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত, ১৬ নেতাকর্মী স্থায়ী বহিষ্কার
যোগাযোগ করা হলে প্রভোস্ট স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও বিজয় একাত্তর হলের প্রভোস্ট ইউএনবিকে বলেন, ‘ছয় শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী কথা বলার পর শাস্তি পুনর্বিবেচনা করার প্রক্রিয়া রয়েছে এবং শাস্তি কমানোর জন্য অভিযুক্তদের আবেদন জানানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘তবে আখলাকুজ্জামানকে মারধরের ঘটনায় ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত ছয় নেতাকর্মীর শাস্তি পুনর্বিবেচনা করার জন্য এমন কোনো আনুষ্ঠানিক অনুরোধ করা হয়নি এবং এখন পর্যন্ত তারা হলের অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে।’
এর আগে চলতি বছরের ৪ এপ্রিল দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় ছয় শিক্ষার্থীকে হল থেকে আজীবন বহিষ্কার করে বিজয় একাত্তর হল কর্তৃপক্ষ।
পড়ুন: ইডেন কলেজে ছাত্রলীগের দ্বিতীয় দফা সংঘর্ষ, আহত ৮
ইডেন কলেজে ছাত্রলীগের কোন্দল: সহ-সভাপতি আহত
রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে জাপানের সমর্থন চায় বাংলাদেশ
বর্তমান পরিস্থিতি ও সমস্যার কথা তুলে ধরে রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত ও স্থায়ী সমাধানে জাপানের সহযোগিতা কামনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সোমবার জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হায়াশি ইয়োশিমাসার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ অনুরোধ জানান।
জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হায়াশি বাংলাদেশের প্রতি তার দেশের সমর্থন অব্যাহত রাখার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের মঙ্গলবারের রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বর্তমানে জাপান সফর করছেন।
দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ সমসাময়িক আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সৌদি কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করে: সৌদি রাষ্ট্রদূত
জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউক্রেন, উত্তর কোরিয়া এবং ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ে জাপানের অবস্থানের রূপরেখা তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন।
মোমেন বিশ্ব শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় বাংলাদেশের অবদান, শান্তির সংস্কৃতি গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন।
বৈঠকের শুরুতে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সম্মানে বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় শোক পালন এবং সংসদে শোক প্রস্তাব গৃহীত হওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি ঢাকায় জাপান দূতাবাসে শোক বইতে সই করায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: শিগগিরই বাংলাদেশ সফরে আসবেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, শিনজো আবে দীর্ঘদিন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং তার সময়ে ‘ব্যাপক অংশীদারিত্বে’ দুই দেশের একটি সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বর্তমান সুসম্পর্ক বাড়াতে জাপানের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
জাপানকে বৃহত্তম দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করে মোমেন বাংলাদেশে আরও জাপানি বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।
মোমেন জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী দু’দেশের মধ্যে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সেলিমা আহমেদ এমপি ও জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ এবং দূতাবাসের কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি কর্মী নেবে মলদোভা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সিলেটে ‘নারীর ছদ্মবেশে থাকা যুবক’ খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৬
সিলেটে নারীর ছদ্মবেশে থাকা যুবক তুষার আহমদকে (২০)হত্যার অভিযোগে তৃতীয় লিঙ্গের ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হচ্ছেন- সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার ছোটদেশ গ্রামের মৃত মনাই মিয়ার সন্তান হৃদয় (২৮), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থানার মৃত সিদ্দিক মিয়ার সন্তান তানহা (২৫), সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই থানার হোসেনপুর গ্রামের মৃত এমরাজুল হকের সন্তান সুমি উজ্জল (১৮), হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট থানার পাঁচগাঁও গ্রামের মৃত কনাই মিয়ার সন্তান চাঁদনী সজল (৩০), পাপ্পু পাপিয়া ও হৃদয় রুপা।কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানান, রবিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন তুষারের ভাই হিমেল আহমদ রাফি। তার মামলার প্রেক্ষিতে সোমবার তৃতীয় লিঙ্গের ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।ওসি বলেন, আমরা বিশেষ অভিযান পরিচালনা করি। প্রথমে চারজনকে গ্রেপ্তার করি, তাদের দেয়া তথ্যমতে পরিকল্পনাকারী দুজনকে গ্রেপ্তার করি।
আরও পড়ুন: সিলেটে ‘নারী সেজে থাকা’ যুবককে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা!তিনি আরও জানান, প্রথমে গ্রেপ্তার করা চারজন ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে আমাদের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। তাদের সোমবার বিকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আর বাকি দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হবে। এর আগে রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সোবহানীঘাট পুলিশ ফাঁড়ির খবরের ভিত্তিতে সিলেট মহানগরীর সোবহানীঘাটস্থ বনফুল এন্ড কোম্পানির দোকানের ২য় তলায় উঠার সিঁড়ির সামনে (নিচ তলায়) থেকে তুষারের লাশ উদ্ধার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। খবর পেয়ে তুষারের মা নাছিমা বেগম ঘটনাস্থলে গিয়ে ছেলের লাশ শনাক্ত করেন। ময়নাতদন্ত শেষে রবিবার বিকালে নগরীর মানিকপীর টিলায় তুষারের লাশ দাফন করা হয়।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে খুলনার নিখোঁজ নারীর লাশ পাওয়ার বিষয়ে পরিবারের সন্দেহ প্রকাশ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্বামীর হাতে নারী খুনের অভিযোগ
ই-সিগারেট নিষিদ্ধের দাবি বীরেন শিকদারের
ই-সিগারেট মানবদেহের জন্য সমানতালে ক্ষতিকর বলে এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বীরেন শিকদার।
সোমবার ঢাকায় ন্যাম ভবনে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের (ড্যাম) তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ দাবি জানান।
ড্যামের প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা (মিডিয়া ম্যানেজার) রেজাউর রহমান রিজভী এবং প্রকল্প কর্মকর্তা শারমিন আকতার রিনি সাক্ষাৎ করেন।
বীরেন শিকদার বলেন, ই-সিগারেট নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে।
আরও পড়ুন: টেক্সট নেক সিন্ড্রোম: অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলাফল
তিনি আরও বলেন, ‘এটি মানবদেহের জন্য প্রচলিত সিগারেটের মতোই সমান ক্ষতিকর। সুতরাং, এটি অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা উচিত।’
তিনি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনীতে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানান।
বিদ্যমান আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী সংসদে পাস হলে ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন প্রাপ্তবয়স্কদের নিয়মিত উদ্বেগ মূল্যায়ন করা উচিত: বিশেষজ্ঞ দল
বীরেন শিকদার এমপি বলেন, সিগারেট কোম্পানিগুলো নিজেদের স্বার্থে তরুণদের ধূমপানে উৎসাহিত করে। কিন্তু এটি অনেক রোগের একটি প্রধান কারণ।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু ধূমপানে কোনো লাভ নেই, তাই অধূমপায়ীরা পরোক্ষভাবে ধূমপায়ীদের দ্বারা সমানভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’
প্রতিনিধি দলটি সংসদে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের আরও সংশোধনের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা আইনের খসড়া পাসের জন্য তার সমর্থন চেয়েছে। বীরেন শিকদার এমপি প্রতিনিধিদলকে তাদের কার্যক্রমের জন্য অভিনন্দন জানান এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: অ্যান্টিবায়োটিক-এর অপপ্রয়োগ: কেন অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ করছে না?
অবশেষে সংশোধন হলো সেই এসএসসি পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র
অবশেষে সংশোধন হলো কুষ্টিয়ার কুমারখালীর এসএসসি পরীক্ষার্থী মো. শিপনের প্রবেশপত্র। বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র হলেও শিপন মানবিক বিভাগের প্রবেশপত্র নিয়ে পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। এই ঘটনা সারা দেশে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
মো. শিপন উপজেলার জে এন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি-২০২২ এ অংশগ্রহণ করেছে। সে পৌরসভার কাপড়ের ব্যবসায়ী মো. শাহিন মন্ডলের ছেলে।
শিপন কুমারখালী সরকারি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে। সোমবার দুপুরে তার প্রবেশপত্র সংশোধনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব মো. আবুল কাশেম।
তিনি বলেন, রোল নম্বর অনুযায়ী সিটপ্ল্যান করা হয়ে থাকে। প্রথম পাঁচদিন আবশ্যিক বিষয়গুলোর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় প্রবেশপত্রের ভুল টের পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: এসএসসি প্রশ্নপত্র ফাঁস: কুড়িগ্রামে গ্রেপ্তার আরও ৩
পরে বিভাগ ভিত্তিক পরীক্ষার আগের রাতে ভুল ধরা পড়ে এবং ইউএনও স্যারের মাধ্যমে ভুল প্রবেশপত্রে পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। এখন প্রবেশপত্র সংশোধন করা হয়েছে।
এছাড়া সোমবার সংশোধিত প্রবেশপত্রে রসায়ন পরীক্ষা দিয়েছে ওই ছাত্র।
জানা গেছে, ভুল প্রবেশপত্রে পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষা দিলেও শিক্ষার্থী, শিক্ষক, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, অভিভাবক কেউ টের পাইনি। হঠাৎ পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষার আগের রাতে (শুক্রবার) এ বিষয়ে টের পান ওই পরীক্ষার্থী। টের পেয়ে দুশ্চিন্তায় মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
বিষয়টি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জানালে শিক্ষকরা মানবিক বিষয়ে পরীক্ষার জন্য পরামর্শ দেন। এতে আরও ভেঙে পড়েন ওই শিক্ষার্থী।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে শনিবার পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষা দেয় সে।
আরও জানা গেছে, গত রবিবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক যশোর বোর্ড থেকে প্রবেশপত্রের ভুল সংশোধন করে এনে দেন।
এ বিষয়ে পরীক্ষার্থী মো. শিপন বলেন, আমার ভুল প্রবেশপত্রটি সংশোধন করা হয়েছে। আমি বিজ্ঞান বিভাগের প্রবেশপত্রে রসায়ন পরীক্ষা দিয়েছি। এখন আর চিন্তা হচ্ছেনা, আমি খুব খুশি।
ইউএনও স্যারকে ধন্যবাদ।
জে এন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মকছেদ আলী বলেন, টেকনিক্যাল ভুলে শিপনের প্রবেশপত্র ভুল হয়েছিল। রবিবার ভুল সংশোধন করা হয়েছে। এখন আর সমস্যা নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মন্ডল বলেন, শিপন সোমবার বিজ্ঞান বিভাগের প্রবেশপত্রে পরীক্ষা দিয়েছে। এসএসসি পরীক্ষা ছাত্রজীবনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা।
এই ভাল কাজে সহযোগিতা করতে পারায় আমি আনন্দিত।
আরও পড়ুন: এসএসসি পরীক্ষা : দিনাজপুর বোর্ডে স্থগিত চার পরীক্ষা ১০-১৩ অক্টোবর
এসএসসি প্রশ্নপত্র ফাঁস: প্রধান শিক্ষকসহ আটক ৩
যুক্তরাজ্যে বিমানের সাবেক কান্ট্রি ম্যানেজারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
প্রায় এক কোটি টাকা ক্ষতির অভিযোগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের লন্ডন স্টেশনের সাবেক কান্ট্রি ম্যানেজার আখতারউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
তদন্ত শেষে ঢাকা সমন্বিত কার্যালয়, দুদক-১ এ মামলাটি দায়ের করা হয়।
সোমবার দুদকের জনসংযোগ দপ্তরের উপপরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেক ইউএনবিকে জানান, উপপরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, লন্ডনের সিটি অফিসে অফিসের যন্ত্রপাতি ও টেলিফোন সংযোগ প্রদানের জন্য তিনটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে বিমান বাংলাদেশ।
অবসরপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস) আখতারউদ্দিন বিমানের হেড অফিসের কোনো অনুমোদন ছাড়াই সব চুক্তি নবায়ন করেন, যার ফলে প্রায় ৯৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরের মাস্টার অপারেটর ও তার স্ত্রীর হিসাব জমার নির্দেশ দুদকের
দুর্নীতি মামলার আসামিদের অব্যাহতি, দুদকের আইওকে হাইকোর্টে তলব
খুলনায় গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন চালিয়ে স্ত্রী ফারহানা বেগম পান্নাকে হত্যার দায়ে স্বামী শাহজাহান প্রধানকে মৃত্যুদণ্ড এবং একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদানের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার বিকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জান্নাতুল ফেরদাউস চৌধুরী এই রায় প্রদান করেন।
নিহত ফারহানা বেগম পান্না একই ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ীর মো. আলী আকবর পাটওয়ারীর মেয়ে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে প্রতিবন্ধী শিশু হত্যা মামলায় চাচাসহ ২ জনের যাবজ্জীবন
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শাহজাহান প্রধান একই উপজেলার ভাটরা গ্রামের প্রধানিয়া বাড়ীর মৃত আব্দুস ছাত্তারের ছেলে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০০৫ সালে ফারহানা ও শাহজাহানের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসার জীবন ভালই চলছিল। ঘটনার সময় তাদের মাহবুব (৩) নামে পুত্র ও মীম নামে দেড় বছর বয়সী কন্যা সন্তান ছিল। ঘটনার কিছুদিন পূর্ব থেকে শাহজাহান সৌদি আরব যাওয়ার জন্য স্ত্রীকে বাবার বাড়ি থেকে তিন লাখ টাকা যৌতুক এনে দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। ২০০৯ সালের ৭ জুন বিকালে নিজ বসতঘরে শাহজাহান আবারও যৌতুকের টাকা না আনায় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্ত্রীকে শারিরীক নির্যাতন ও সজোরে তার তলপেটে লাথি মারে। তাৎক্ষণিক ফারহানা মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ে এবং অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় ফারহানার ভাই ফারুক আহম্মদ পাটওয়ারী বাদী হয়ে শাহাজাহান প্রধানকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের বিরুদ্ধে হাজীগঞ্জ থানায় মামলা করেন।পরবর্তীতে ওই মামলাটি ২০০৯ সালের ১০ ডিসেম্বর চাঁদপুর নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে দায়ের হয়। বিচারক মামলাটি তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেন সিআইডি চাঁদপুরের তৎকালীন সময়ের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আলমগীরকে। তিনি তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ২৭ মার্চ শাহজাহানকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. সাইয়্যেদুল ইসলাম বাবু বলেন, দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছর মামলাটি চলমান অবস্থায় আদালত ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। সাক্ষ্য ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে আসামির উপস্থিতিতে এই রায় দেন।
মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন আবদুল মান্নান খান মহিন।
আরও পড়ুন: রংপুরে ধর্ষণের দায়ে ২ জনের যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ায় বাড়িওয়ালাকে হত্যার দায়ে দম্পতির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
দুর্গা পূজায় দুর্ভেদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে পুলিশ: আইজিপি
দেশে দুর্গাপূজা উদযাপনকালে দুর্ভেদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন বিদায়ী পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি)ড. বেনজীর আহমেদ।
সোমবার নগরীর পুলিশ সদর দপ্তরে দুর্গাপূজা উদযাপন সংক্রান্ত নিরাপত্তা বিষয়ক এক সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, পূজার আগে ও পূজা উদযাপনের সময় এবং পূজার পরে পুলিশ তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে৷
আরও পড়ুন: সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে দেশগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা দরকার: আইজিপি
পূজা উদযাপন কমিটিগুলোকে পূজা মণ্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, হাতে ধরা মেটাল ডিটেক্টর এবং আর্চওয়ে গেট, সার্বক্ষণিক স্বেচ্ছাসেবকদের ব্যবস্থা, পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক প্রবেশ ও প্রস্থান, মণ্ডপ ও বিসর্জনের স্থানে যথাযথ আলোকসজ্জা নিশ্চিত করতে জেনারেটর প্রস্তুত রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া মসজিদে নামাজ ও আযানের সময় উচ্চ শব্দ ব্যবহার না করার কথাও বলেন তিনি।
পূজা উদযাপনের সময় যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি পরিষেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করার জন্য জনগণকে অনুরোধ করা হয়েছে।
আইজিপি কমিউনিটি পুলিশ সদস্যদের এবং দাঙ্গা পুলিশ কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট পূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করার অনুরোধ জানান।
এ বছর সারাদেশে ৩২ হাজার ১৬৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে।
আরও পড়ুন: পাহাড়ে পর্যটন শিল্প বিকাশের অফুরান সম্ভাবনা আছে: আইজিপি
র্যাবের বর্তমান ডিজি চৌধুরী আবদুল্লাহ নতুন আইজিপি
নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে নীতিমালা করছে ইউজিসি
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) দেশে নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পর শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে একটি নীতিমালা তৈরি করতে যাচ্ছে। সোমবার ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সম্প্রতি ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীরকে আহবায়ক করে পাঁচ সদ্যস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫ শর্তে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া যাবে: ইউজিসি
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন-বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের সদস্য প্রফেসর ড. সঞ্জয় কুমার অধিকারী, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য প্রফেসর ড. মাহবুবা নাসরীন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. আফরোজা পারভীন এবং ইউজিসি’র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপপরিচালক মৌলি আজাদ।
কমিটিকে শিগগিরই এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
নীতিমালা প্রণয়ন কমিটির বিষয়ে ইউজিসি জানায়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে,অধিকাংশ নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হওয়ার পর কোন ধরনের প্রস্তুতি ছাড়াই শিক্ষা কার্যক্রম চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করছে।
এছাড়া,ভাড়া করা ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এতে, শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষা কার্যক্রমেও ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। শিক্ষার মান ঠিক রাখা যাচ্ছে না। এজন্য নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হওয়ার পর একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করার বিষয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা জরুরি।
নীতিমালা প্রণয়ন কমিটির সভায় ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. আলমগীর বলেন, অবকাঠামো ও কারিকুলাম চূড়ান্ত না করে নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। শিক্ষার্থীরাও উচ্চ শিক্ষার পরিবেশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ বিষয়টি সমাধানের জন্য নীতিমালা করা অত্যন্ত জরুরি।
তিনি আরও বলেন, নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা কার্যক্রম কিভাবে শুরু করবে সে বিষয়ে একটি নীতিমালা করা হলে দেশে গুণগত উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ নিশ্চিত হবে এবং মানসম্পন্ন গ্রাজুয়েট তৈরি হবে। এছাড়াও তারা বৈশ্বিক বাজার উপযোগী হিসেবেও গড়ে উঠবে।
সভায় কমিটির সদস্যরা জানান, নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের সংকট রয়েছে এবং জুনিয়র শিক্ষকদের দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক মাস্টারপ্লান তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
নীতিমালাটির খসড়া তৈরি হবার পর কমিটি নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে সভা ও সেমিনারের আয়োজন করবে।
আরও পড়ুন: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে অভিন্ন নীতিমালা তৈরি
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চার হাজার ১৫০টি শিক্ষকের পদ শূন্য: দীপু মনি
করতোয়ায় ট্রলারডুবি: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬, এখনও নিখোঁজ ৪০
পঞ্চগড়ে করতোয়া নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও ১০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার বোদা উপজেলা থেকে এ লাশগুলো উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যদিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মাহাবুবুল ইসলাম জানান, আজ সকাল ৬টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের ডুবুরিরা নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে ১০টি লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় ট্রলারডুবি: নিহত বেড়ে ৩৬
নিহতদের মধ্যে কবিতা রানী (৫০) নামে একজনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। অপর ৯জনের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
পঞ্চগড় জেলা পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা জানান, নিহত ৪৬ জনের মধ্যে ১৯ জন নারী ও ১২ জন শিশু।
তিনি বলেন, তারা তাদের স্বজনদের কাছ থেকে নিখোঁজ ৪০ জনের তালিকা পেয়েছেন।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার তদন্তে ইতোমধ্যে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) দীপঙ্কর রায়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে মহালয়া উপলক্ষে বধেশ্বর মন্দির থেকে ৬০ থেকে ৭০ জন যাত্রী নিয়ে ফেরার সময় ট্রলারটি নদীর মাঝখানে ডুবে যায়। যাত্রীদের বেশিরভাগই হিন্দু পুণ্যার্থী ছিল।
সেদিন নদী থেকে ২৫টি লাশ উদ্ধার করা হয় এবং অনেকে সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হয়।
নিখোঁজদের সন্ধানে এখনও অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় ট্রলারডুবি: নিহত বেড়ে ২৫
পঞ্চগড়ে করতোয়া নদীতে নৌকাডুবে ১৫ জন নিহত, নিখোঁজ ২৫