বাংলাদেশ
নিজস্ব অর্থায়নে শাটল ট্রেন রাঙ্গাচ্ছেন জার্মান শিল্পী দম্পতি
শহর থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চলাচলকারী শিক্ষার্থীদের অন্যতম বাহন শাটল ট্রেন। ১৯৮০ সালে চালু হওয়া বাংলাদেশ রেলওয়ে সেই শাটল ট্রেন নতুন সাজে সাজতেছে। আর এই কাজটি করেছেন জার্মান আরইউএসবি আর্ট গ্রুপের প্রধান লুকাস জিলিঞ্জার ও তার স্ত্রী লিভিয়া জিলিঞ্জার।
জলবায়ু অভিবাসন মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান
জলবায়ুকেন্দ্রিক অভিবাসন মোকাবিলায় সমন্বিত পদক্ষেপ না নিলে বাংলাদেশ এবং বিশ্বের লাখ লাখ মানুষের ওপর তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা।
সোমবার (২৫ জুলাই) ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জলবায়ু পরিবর্তন ও অভিবাসন বিষয়ক নীতি সংলাপে এসব আশঙ্কা প্রকাশ করেন দেশী বিদেশী আলোচকরা। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) যৌথভাবে এই সংলাপের আয়োজন করে।
সংলাপে সরকার, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বেসরকারি সংস্থা, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিসহ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও অভিবাসন নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিরা অংশ নেন।
সংলাপের উদ্দেশ্য ছিল, জলবায়ু পরিবর্তন-অভিবাসন সংক্রান্ত বৈশ্বিক এজেন্ডাকে আরও গতিশীল করা। এছাড়া মিশরের শারম-এল-শেখ শহরে আসন্ন জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে অভিবাসন, পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে যাতে বাংলাদেশ নেতৃত্বে দিতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে আব্দুল মোমেন বলেন, জলবায়ু অভিবাসী ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গাফিলতি থাকা ঠিক না। তিনি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের গতিধারা বজায় রাখার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য একটি শালীন জীবনযাত্রার অবস্থা গড়তে সরকার যে চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হচ্ছে, তা তুলে ধরেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের নিরলস কূটনৈতিক প্রচেষ্টার কারণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ধীরে ধীরে জলবায়ু-সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি ও প্রয়োজনীয় অর্থায়নের ব্যবস্থা তৈরির মত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে মুখ খুলছে।
নীতি সংলাপের সূচনা বক্তব্যে পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন জলবায়ু পরিবর্তের কারণে সৃষ্ট অভিবাসন সমস্যা বিশ্বব্যাপী উত্থাপনে বাংলাদেশের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।
পররাষ্ট্র সচিব জোর দিয়ে বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের মতো দুর্বল দেশগুলোর পর্যাপ্ত অর্থ ও প্রযুক্তি প্রয়োজন।’
প্যারিস চুক্তির আলোকে এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে ২° সে. সেলসিয়াস-এর নিচে সীমিত করার লক্ষ্য পূরণের জন্য শক্তিশালী বৈশ্বিক পদক্ষেপের প্রয়োজন। সেই সাথে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং নীতিগুলিতে জলবায়ু অভিবাসনকে একীভূত করা দরাকার।
পড়ুন: জলবায়ু অভিবাসীদের ব্যাপারে অপর্যাপ্ত পদক্ষেপ বৈশ্বিক নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণ হতে পারে: ঢাকা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন ও অভিযোজনে সমন্বিত পদক্ষেপ, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নীতি ও পরিকল্পনা জলবায়ু অভিবাসন মোকাবিলায় সাহায্য করতে পারে৷ আজকে নেয়া নীতিগত সিদ্ধান্তগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, অভিবাসী এবং তাদের পরিবারের জন্য কতটা সহায়ক তা নির্ধারণ করবে।’
সংলাপে আইওএম-এর মাইগ্রেশন অ্যান্ড ক্লাইমেট অ্যাকশনের বিশেষ দূত মিস ক্যারোলিন ডুমাস 'গ্লোবাল অ্যান্ড রিজিওনাল কনসালটেটিভ প্রসেস অ্যান্ড পলিসি ফ্রেমওয়ার্কস'-এর উপর একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এছাড়া ক্লাইমেট ব্রিজ ফান্ড সচিবালয়ের প্রধান গোলাম রব্বানী বাংলাদেশে ’জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাবের প্রেক্ষাপটে মানব গতিশীলতা' বিষয়ে আরেকটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর ডেপুটি মহাপরিচালক উগোচি ডেনিয়েলস বলেন, ‘আইওএম অভিবাসন নীতিমালা এবং প্রায়গিক জ্ঞান সহায়তা প্রদানে বিশেষায়িত একটি প্রতিষ্ঠান। অভিবাসন, পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্রাতিষ্ঠানিক কৌশল ২০২১-২০৩০ এর প্রতিফলন হিসেবে জলবায়ু অভিবাসন নিয়ে আইওএম আহ্বায়ক সংস্থা হিসেবে কাজ করবে। জলবায়ু পরিবর্তনে যারা ইতোমধ্যে অভিবাসন করেছেন, করতে আগ্রহী এবং যারা অভিবাসন করেননি, সকলের জন্য সমাধান আনয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আইওএম।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস বলেছেন, ‘জলবায়ু অভিবাসন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় বাংলাদেশে জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন সহায়ক অবকাঠামো (ইউএনএসডিসিএফ) ২০২২-২০২৬-এ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে আলোচিত হয়েছে। জাতিসংঘ পরিবার জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূলতা মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা প্রদানে অঙ্গীকারবদ্ধ।’
এছাড়াও, বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, আন্তর্জাতিক জলবায়ু পরিবর্তন এবং উন্নয়ন কেন্দ্রের পরিচালক সালিমুল হক, দুর্যোগ অভিবাসন প্লাটফর্ম সচিবালয়ের প্রধান এটেল সোলবার্গ এবং ইউএন উইমেন-এর প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট দিলরুবা হায়দার সংলাপে কথা বলেন।
পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নতুন বৈশ্বিক উদ্যোগ চায় ঢাকা
রেলের অব্যবস্থাপনা: চলামান আন্দোলন স্থগিত করলেন রনি
বাংলাদেশ রেলওয়ের অনিয়মের প্রতিবাদে চলমান আন্দোলন স্থগিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি।
সোমবার রাতে রেলভবনে বাংলাদেশ রেলওয়ের সচিব ও মহাপরিচালক সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় বৈঠক করেন রনি।
রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসে মিটিং থেকে বেরিয়ে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন রনি।
আরও পড়ুন: রেলের প্রতিবাদ: কমলাপুর স্টেশনে ঢুকতে রনিকে বাধা
মহিউদ্দিন রনি বলেন, বৈঠকে রেলের যাবতীয় অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা উত্থাপন করেছি। তারা আমার দাবিগুলো বাস্তবায়ন করবেন বলে জানিয়েছেন। আমার আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে তৃতীয় কোনো পক্ষ যাতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে, সেজন্য আপাতত আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করছি।
রেলসচিব হুমায়ুন কবীর বলেন, রনির দাবির সঙ্গে রেলওয়েও একমত। রেলের টিকিট সিস্টেম আরও উন্নত করা হচ্ছে।। সিস্টেম উন্নত করার নির্দেশ দিয়ে সহজকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, রনিকে রেলের অংশীজন কমিটিতে রাখা হবে। যাতে তিনি তার পরামর্শ ফোরামে বলতে পারেন।
গত ৮ জুলাই ঈদুল আজহার ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার জন্য ট্রেনের টিকিট কিনে SOHOZ.com-এর কাছে প্রতারিত হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রনি ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।
আরও পড়ুন: সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর ঢাকা ও উত্তরাঞ্চলে রেল যোগাযোগ চালু
যাইহোক, তিনি এই প্রতারণার অভিযোগ ভোক্তা অধিকার সংগ্রাহক পরিষদের কাছে করলে, তারা এটি তদন্ত করে এবং SOHOZ.com-কে দুই লাখ টাকা জরিমানা করে। যার মধ্যে থেকে রনিকে ২০ জুলাই ৫০ হাজার টাকা দেয়া হয়।
Shohoz-Synesis-Vincen JV এ চলতি বছরের ২২মার্চ থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিটিং সিস্টেম পরিচালনা শুরু করে। গত চার মাসে, সফলভাবে লাখ লাখ টাকায় লেনদেন মাধ্যমে টিকিটিং প্ল্যাটফর্ম দ্বারা পরিচালিত হয়েছে।
ধর্ষণের বিচারকালে নারীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না
ব্রিটিশ আমলের সাক্ষ্যপ্রমাণ আইনের একটি সংশোধনী অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা । এর মাধ্যমে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের বিচারকালে অভিযোগকারী নারীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা এবং দুশ্চরিত্র প্রমাণের যে আইনি সুযোগ রয়েছে তা বাতিল হতে যাচ্ছে।
নারী অধিকার কর্মীদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিজয়। তারা দেশে বহুদিন ধরে এই ধারাটি বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এই বিধানকে ধর্ষণ শিকার নারীর জন্য অপমানজনক বলে মনে করেন তারা ।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়ক আইন এভিডেন্স অ্যাক্ট ২০২২-এর সংশোধনীর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে একটি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এই বৈঠকে যোগ দেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের মিডিয়া ব্রিফিং অনুসারে, প্রস্তাবিত সংশোধনীটি সাক্ষ্যপ্রমাণ আইনের ১৪৬ (৩) ধারাকে সীমাবদ্ধ করার চেষ্টা করে যাতে ভুক্তভোগীদের আদালতের অনুমতি ছাড়া তাদের চরিত্র সম্পর্কে ‘আপত্তিকর প্রশ্ন’ জিজ্ঞাসা করা না যায়।
তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল আদালতের স্বীকৃতি পাওয়ায় খসড়া আইনে কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রতিপক্ষের ভুক্তভোগীদের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলার প্রবণতা রয়েছে। ‘খসড়া আইনে এর ওপর সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কারও চরিত্র নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তোলার জন্য আদালতের অনুমতি নিতে হবে,’ বলেন তিনি।
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী ডিজিটাল রেকর্ডকে প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, তথ্যের পাশাপাশি ডেটাও ব্যবহার করা যাবে।
তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আইনটি (দ্য এভিডেন্স অ্যাক্ট, ১৮৭২) অবিলম্বে বাংলায় অনুবাদ করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা
ধর্ষণের শিকার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা, যুবক গ্রেপ্তার
চিরনিদ্রায় শায়িত ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি
গাইবান্ধায় পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় জেলার সাঘাটা উপজেলার গাটিয়া গ্রামে তৃতীয় নামাজে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।
ঢাকা বিমানবন্দর থেকে দুপুর ২টার দিকে সশস্ত্র বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারযোগে গাইবান্ধার বোনারপাড়া কাজী আজহার আলী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তার মরদেহ আনা হয়।
নিউইয়র্ক থেকে ফজলে রাব্বির মরদেহ নিয়ে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট সোমবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাতীয় ঈদগাহ প্রাঙ্গণে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
তার মরদেহ সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মানুষের শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য রাখা হয় যেখানে তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে পুলিশ ও স্থানীয় সরকার তাকে গার্ড অব অনার দেয়।
এরপর তার মরদেহ দাফনের আগে অন্য নামাজে জানাজার জন্য গোটিয়া গ্রামে তার পৈতৃক বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
ডেপুটি স্পিকারকে তার গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তার দুই ছেলের কবরের পাশে দাফন করা হয়।
অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি ২২ জুলাই নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে বিকাল ৩.৫৫ মিনিটে (নিউইয়র্ক সময়) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৭৬ বছর।
এই বীর মুক্তিযোদ্ধা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ১১ নম্বর সেক্টরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন।
গাইবান্ধা-৫ আসনের সাতবারের সংসদ সদস্য ফজলে রাব্বি তার তিন মেয়ে রেখে গেছেন। তার স্ত্রী আনোয়ারা রাব্বি ২০২০ সালের মে মাসে মারা যান।
তিনি একজন স্বনামধন্য সংগঠক ছিলেন এবং বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সৃষ্টিতে অনেক অবদান রেখেছেন।
ফজলে রাব্বি ১৯৮০ থেকে ৮১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর ভলান্টারি স্টেরিলাইজেশন (বিএভিএস), গাইবান্ধার চেয়ারপার্সন ছিলেন।
তিনি তার নিজ নির্বাচনী এলাকায় বেশ কয়েকটি স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন।
তিনি একজন স্বনামধন্য সংগঠক, যিনি বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত তৈরিতে অনেক অবদান রেখেছেন। ফজলে রাব্বী ১৯৪৬ সালের ১৬ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত গাইবান্ধা আইন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক এবং ১৯৭৮-৭৯ সাল পর্যন্ত গাইবান্ধা বারের নির্বাচিত সম্পাদক ছিলেন।
আরও পড়ুন: ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী জনগণের আইনজীবী ছিলেন: শেখ তাপস
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বির মরদেহ ঢাকায় পৌঁছেছে
শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ছুরিকাঘাতে শিক্ষার্থী নিহত
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাস এলাকায় ছুরিকাঘাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাশ্ববর্তী ‘নিউজিল্যান্ড’ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. বুলবুল আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, এদিন বিকালে বুলবুল ও তার বন্ধুরা নিউজিল্যান্ড এলাকায় ঘুরতে যান। ওই একই এলাকায় ঘুরতে যাওয়া অন্য শিক্ষার্থীরা ফেরার পথে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে তাকে আহত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় তার শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে বলেও জানান তারা।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির প্রক্টরিয়াল টিমে নতুন তিন সদস্য
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ইসরাত ইবনে ইসমাইল বলেন, ‘বুলবুলকে উদ্ধার করে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তার অবস্থা গুরুতর দেখে চিকিৎসক তাকে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন এবং সেখানে নিয়ে গেলে রাত ৮টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করতে ইতিমধ্যে পুলিশ পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সাবেক ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ হাইকোর্টের
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের হাইকোর্ট বেঞ্চ ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের প্রতি এ নির্দেশ দিয়েছেন।
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের মামলায় মিজানুরের জামিন আবেদনও খারিজ করে দেন আদালত।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাহবুব শফিক। দুর্নীতি দমন কমিশন -দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
পরে আইনজীবী মাহবুব শফিক বলেন, গত এপ্রিলে এ মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। তখন ওই আবেদনে বিরোধিতা করে শুনানিতে দুদক বলেছিল সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে থাকা মামলাটির বিচারকাজ তিন মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। ২৬ এপ্রিল আদালত আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু মামলাটির বিচারকাজ শেষ না হওয়ায় গত সপ্তাহে আবারও জামিনের আবেদন করা হয়। আদালত জামিন না দিয়ে মামলাটির বিচারকাজ ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন।
তিন কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তিন কোটি সাত লাখ পাঁচ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে গত বছর ২৪ জুন মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় ডিআইজি মিজান ছাড়া আসামি করা হয়- তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না ওরফে রত্না রহমান, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানকে। মাহমুদুল রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় উপ পরিরদর্শক (এসআই) ছিলেন। ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আসিফুজ্জামান এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি মিজানুর রহমান তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানের নামে ২৪ লাখ ২১ হাজার ২২৫ টাকায় গুলশান-১ এর পুলিশ প্লাজা কনকর্ডে ২১১ বর্গফুট আয়তনের একটি দোকান বরাদ্দ নেয়। মিজানুর রহমান নিজে নমিনি হয়ে ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানের নামে ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর একটি ব্যাংকে এফডিআর অ্যাকাউন্ট করে ৩০ লাখ টাকা জমা করেন। তবে দুদক অনুসন্ধান শুরু করলে সে টাকা ভাঙিয়ে সুদে আসলে ৩৮ লাখ ৮৮ হাজার ৫৭ টাকা তুলে ফেলেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলায় সাবেক ডিআইজি মিজানের জামিন আবেদন খারিজ
অভিযোগে আরও বলা হয়, মিজানুর রহমান তার স্ত্রী রত্না ২০১১ সালে কাকরাইলে এক হাজার ৭৭৬ বর্গফুটের একটি বাণিজ্যিক ফ্ল্যাট কিনে চুক্তিনামা করে বিভিন্ন সময় এক কোটি ৭৭ লাখ ৯৬ হাজার ৩৫০ টাকা নির্মাণ কোম্পানিকে পরিশোধ করেন। পরে ২০১৬ সালে ফ্ল্যাটটি ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানের নামে দলিল রেজিস্ট্রি করেন। এ মামলায় মিজান গত বছরের ১ জুলাই হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করলে তা নাকচ হয় এবং হাইকোর্ট তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। এরপর ৪ জুলাই তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানকেও জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এক নারীকে জোর করে বিয়ের পর নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠায় ২০১৯ সালে জানুয়ারিতে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয় মিজানুর রহমানকে। তার বৈধ সম্পদের অনুসন্ধান চলার মধ্যেই দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে ঘুষ দেয়ার অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই আরেকটি মামলা হয়। চলতি বছর ২৩ ফেব্রুয়ারি এ মামলা রায়ে ডিআইজ মিজানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট আপিল করার পর গত ১৩ এপ্রিল দুই মাসের জামিন পান তিনি। পরে জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়।
আরও পড়ুন: ডিআইজি মিজানের দণ্ড বাড়াতে হাইকোর্টের রুল, আপিলে জামিন বহাল
জনগণের অর্থ বাঁচাতে অপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনার কথা ভুলে যান: প্রধানমন্ত্রী
বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের মধ্যে সরকারের খরচ কমাতে কম গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র ক্রয় এড়াতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে একটি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্বকালে এই নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ‘দ্রুত প্রয়োজনীয় নয়, এমন জিনিসপত্রের ক্রয় এখন বন্ধ থাকবে।’
বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্য ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বিমানের উড়োজাহাজের সংঘর্ষ, প্রকল্পের ব্যয়, কর্মকর্তাদের গাড়ি ব্যবহারসহ বেশ কিছু বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বিস্তারিত তুলে ধরেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ইতোমধ্যেই সব প্রকল্পকে এ, বি এবং সি শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে। এ-ক্যাটাগরির প্রকল্পগুলো অবিলম্বে বাস্তবায়ন করা হবে এবং সেসব প্রকল্পের পুরো বরাদ্দ ব্যয় করা যাবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে জাপানের সহায়তা কামনা প্রধানমন্ত্রীর
বি-শ্রেণির প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রে, ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত খরচ করা যেতে পারে এবং সি-ক্যাটাগরির প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন এখন স্থগিত থাকবে বলে জানান তিনি।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কোনো মন্ত্রণালয় যদি মনে করে যে কোনো প্রকল্পকে আবার শ্রেণিবিভাগ করা দরকার, তাহলে তারা অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।
তিনি বলেন, বিদেশি সাহায্যে এবং ক্রয় সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরের সুযোগ এখনও রয়েছে। তবে অন্যান্য বিদেশ সফর সীমাবদ্ধ।
উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, সরকারের টাকা খরচ করে কোনো কর্মকর্তা স্টাডি ট্যুরে বিদেশে যেতে পারবেন না।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ফসলের উৎপাদন বাড়ানো এবং জ্বালানির সতর্ক ব্যবহারের ওপরও জোর দেন।
তিনি সকলকে জ্বালানির ব্যবহারে কঠোরতা প্রয়োগ করতে এবং পরিবহন যানবাহন - পাবলিক ও প্রাইভেট উভয় গাড়ির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে বলেন।
বিমান সম্পর্কে শেখ হাসিনা এর স্টাফদের দায়িত্ব আরও সুনির্দিষ্ট করার এবং যে কোনো দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্তদের দ্রুত খুঁজে বের করে দায়িত্বরত সকল কর্মীদের জবাবদিহি করার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রার আয় বাড়াতে মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প স্থাপনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
মন্ত্রিপরিষদের সভায় জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী আবের প্রতি শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা
জাপানের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে সবসময় বাংলাদেশের পাশে ছিলেন এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমি বুঝতে পারি না শিনজো আবের মতো এত ভালো ব্যক্তি কেন আক্রমণের শিকার হন এবং তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।’
সোমবার মন্ত্রিপরিষদের এক সভায় শিনজো আবের ওপর এক শোক প্রস্তাব আলোচনায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: আবের মৃত্যু: পুলিশের নিরাপত্তাকে দায়ী করলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী
সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ক্যাবিনেট রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং এতে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
আবেকে অত্যন্ত সংবেদনশীল, দেশপ্রেমিক ও প্রকৃত রাজনীতিবিদ বলে অভিহিত করে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কখনো কল্পনাও করতে পারেনি জাপানের মতো দেশে এ রকম নারকীয় হত্যাকাণ্ড ঘটবে।
আবের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: আবের মৃত্যুর পরও জাপানের ক্ষমতাসীন দলের বিপুল জয়
গত ৮ জুলাই জাপানের নারা শহরে একটি প্রচারণা সমাবেশে বক্তব্য দেয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান আবে।
এ ঘটনায় বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় শোক পালন করে এবং বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আবের জন্য প্রার্থনা করে।
জাপানের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী আবে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে বাংলাদেশের প্রতি তার সমর্থন জানিয়েছেন বলে স্মরণ করেন শেখ হাসিনা।
‘জাপানের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি শিনজো আবে বাংলাদেশের উন্নয়নের পাশে দাঁড়িয়েছেন’, যোগ করেন তিনি।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৬০
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা সাতজনে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৬০ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ২৭৬ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নতুন ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ঢাকার ৪০ জন এবং ঢাকার বাইরের ২০ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ৬৫ জন হাসপাতালে
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছর এখন পর্যন্ত দুই হাজার ২০৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকায় এক হাজার ৮৭৭ জন এবং ঢাকার বাইরে ৩২৯ জন ভর্তি হয়েছেন।
এছাড়া ডেঙ্গু থেকে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৯২৩ জন। সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ঢাকার এক হাজার ৬৬২ জন এবং ঢাকার বাইরের ২৬১ জন।