বাংলাদেশ
প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে আসা ভারতীয় সেই তরুণীকে ফিরতেই হলো
প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা এক ভারতীয় তরুণীকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতে হস্তান্তর করা হয়ছে। দীর্ঘ ৮ মাস বাংলাদেশের সেফহোমে থাকার পর মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১টার দিকে দর্শনা স্থলবন্দর দিয়ে প্রীতি পন্ডিত নামের ওই তরুণীকে ভারতীয় থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে বাংলাদেশ পুলিশ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ভারতের পক্ষে বিএসএফ’র গেঁদে কোম্পানী কমান্ডার অশোক মেহি, ইমিগ্রেশন ইনচার্জ গোপাল চন্দ্র দে, কাস্টমস ইন্সপেক্টর অজয় নারায়ণ, কৃষ্ণগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর বাপিন মূর্খাজি, ডিআইও সাধন মণ্ডল ও মানবাধিকার কর্মী চিত্তরঞ্জন দে। বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন বিজিবির আইসিপি কমান্ডার সুবেদার শহিদুল ইসলাম, দর্শনা ইমিগ্রেশন ইনচার্জ এসআই আব্দুল আলিম, দর্শনা থানার (উপপরিদর্শক) এসআই হারুন অর রশীদ, রংপুর সিআইডি ইন্সপেক্টর এনায়েতুর রহমান ও এসআই রাব্বি।
আরও পড়ুন: প্রেমের টানে সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে ভারতীয় তরুণী
জানা যায়, প্রেমের টানে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছিল প্রীতি পন্ডিত। প্রেমিক মিলনের বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলায়। তারপর তার পরিবার কৃষ্ণনগর থানায় জিডি করে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। অবশেষে সন্ধান মেলে প্রীতির। রংপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশ প্রীতিকে উদ্ধার করে রংপুর শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে রাখে। সেখানেই ৮ মাস ছিল প্রীতি।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা ও কৃষ্ণনগর মিলনীনি গার্লস হাইস্কুলের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে। তার বাবা মণ্টু পন্ডিত ও মা ইতি পন্ডিত থাকতেন কৃষ্ণনগর শহরের ভাতজংলা এলাকায়।
রংপুরের সিআইডি ইন্সপেক্টর এনায়েতুর রহমান জানান, ২৬ জুন সকালে রংপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশ উদ্ধার করে প্রীতিকে। সেই থেকে তাকে রাখা হয় রংপুর শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে। প্রেমিক মিলনের সঙ্গে বেনাপোল বর্ডার দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছিল প্রীতি। প্রীতিকে উদ্ধারের পর তার প্রেমিক মিলন (২২) ও তার সহযোগী হাবিবুরের (২৩) বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মামলা করে পুলিশ। পরে তাদের আটক করা হলে জামিনে মুক্তি পায় তারা।
আরও পড়ুন: প্রেমের টানে বাংলাদেশে আসা ভারতীয় কিশোরীকে ফেরত
জ্যোতিষী কাওসার আহমেদ চৌধুরী আর নেই
প্রখ্যাত গীতিকার ও জ্যোতিষী কাওসার আহমেদ চৌধুরী (৭৫) মারা গেছেন। মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর গ্রিন রোডের একটি ক্লিনিকে তিনি মারা যান।
মঙ্গলবার রাতে ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ভাতিজি শাতিলা আহমেদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘আমার চাচা, গীতিকার ও জ্যোতিষী কাওসার আহমেদ চৌধুরী মারা গেছেন। আল্লাহ তাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান দান করুন, আমীন।’
গত ৯ ফেব্রুয়ারি কাওসার আহমেদ চৌধুরীকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যালিয়েটিভ সেন্টারে ভর্তি করা হয়। পরদিন পারিবারিক চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে ধানমন্ডি ক্লিনিকে নেয়া হয়।
১১ ফেব্রুয়ারি শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়।
কাওসার আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে কিডনির সমস্যা ও রক্তের সংক্রমণসহ একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিলেন। এছাড়া এর আগে তিনি দুইবার স্ট্রোক করেছেন।
দীর্ঘদিন ধরে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় ‘আপনার রাশি’ নামে রাশিফল গণনার মধ্য দিয়ে কাওসার আহমেদ চৌধুরী পাঠকদের কাছে একটি পরিচিত নাম হয়ে উঠেছেন।
এছাড়া তিনি এলআরবি, মাইলস, সামিনা চৌধুরী, লাকী আখন্দ, নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরীর মতো অনেক বিখ্যাত গায়ক ও ব্যান্ডের জন্য বেশ কয়েকটি বিখ্যাত গানের কথা লিখেছেন।
‘কবিতা পড়ার প্রহর’, ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’, ‘রূপালী গিটার’, ‘আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে’ প্রভৃতি তার জনপ্রিয় কিছু গান।
আরও পড়ুন: গীতিকার-জ্যোতিষী কাওসার আহমেদ চৌধুরী আইসিইউতে
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আইনি সিদ্ধান্ত এ সপ্তাহে
র্যাব ও এর সাত বর্তমান-সাবেক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গত বছরের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে এ সপ্তাহে সরকার আইনি সিদ্ধান্ত নিবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার জন্য কূটনৈতিক উপায় বের করা ছাড়াও কীভাবে আইনি পথে এগোবে সে বিষয়ে সরকার এখন সিদ্ধান্তের কাছাকাছি। আমরা আশা করছি এই সপ্তাহে একটি সিদ্ধান্তে আসব।’
মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান।
তিনি আরও জানান, তারা তিনটি আইনি সংস্থার সঙ্গে ইতোমধ্যে কথা বলেছেন এবং সেই সংস্থাগুলোর কাছ থেকে সেরা পরামর্শ নেবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইনি বা কূটনৈতিক উপায়ে বিষয়টি মোকাবিলা করার জন্য তাদের যথেষ্ট সক্ষমতা রয়েছে এবং বাংলাদেশ সরকার এই প্রক্রিয়ায় তৃতীয় কোনো দেশকে জড়াতে চায় না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র আগামী মাসগুলোতে ‘পার্টনারশিপ ডায়ালগ’ সহ বেশ কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আরও বেশি সম্পৃক্ততা দেখতে পাবে।
এর আগে, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বর্তমান ও সাবেক কিছু কর্মকর্তার ওপর মার্কিন ট্রেজারি ও স্টেট বিভাগের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে বাংলাদেশ তার ‘অসন্তোষ’ জানিয়েছিল।
বাংলাদেশ বলেছে যে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই মার্কিন প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত ‘একতরফাভাবে’ নিয়েছে।
বাংলাদেশ সংলাপ, সম্পৃক্ততা এবং সহযোগিতার পথ অনুসরণ করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দিয়েছে।
আর পড়ুন: মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বাড়ানোর সম্ভাবনা নেই: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশের ওপর গণহারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বলে বিশ্বাস করি না: মার্কিন কংগ্রেসম্যান
জেব্রা মৃত্যুর ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে
গাজীপুরের শ্রীপুরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে গত জানুয়ারি মাসে ১১টি জেব্রা মৃত্যুর ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উল্লেখিত মতামত অনুযায়ী দায়ীদের সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার লক্ষ্যে ফৌজদারী মামলা দায়েরের এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
একই সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিভাগীয় মামলাও করা হবে। এছাড়াও, তদন্ত কমিটির করা ২৪ টি সুপারিশ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় অন্যদের মধ্যে উপ-মন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব মো. মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত সচিব(প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মো. মিজানুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ও তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ) কেয়া খান এবং উপসচিব ও তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
গত রবিবার মন্ত্রণালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। ওই প্রতিবেদনের ওপর পর্যালোচনায় বলা হয়, ঘাসে অতিরিক্ত নাইট্রেটের প্রভাব ও মিশ্র ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে সকল জেব্রার মৃত্যু হয়েছে।
তবে, প্রথম দিকের তিনটি জেব্রার (২ ও ৩ জানুয়ারি) মৃত্যু ধামাচাপা দেয়া এবং আঘাত জনিত কারণ প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে ওই মৃত তিনটি জেব্রার পেট ধারালো কিছু দিয়ে কাটা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কে বা কারা ওই মৃত তিনটি জেব্রার পেট কেটেছে তা উদঘাটন করার জন্য নিবিড় তদন্তের প্রয়োজন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, কর্তব্যরত ভেটেরিনারি অফিসারের চাহিদা মোতাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সাফারি পার্ক মেডিকেল বোর্ডের সভা ডাকার কথা থাকা সত্ত্বেও এতগুলো জেব্রার অস্বাভাবিক মৃত্যুর পরও জরুরিভিত্তিতে মেডিকেল বোর্ডের সভা ডাকা হয়নি, যা সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতার শামিল। কোন প্রাণীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় জিডি করার প্রচলন থাকলেও এক্ষেত্রে থানায় কোন জিডি করা হয়নি, যা রহস্যজনক। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব গত ২২ জানুয়ারি সাফারি পার্ক পরিদর্শন করেন। ওই দিন পর্যন্ত আটটি জেব্রা মারা গেলেও প্রকল্প পরিচালক, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ভেটেরিনারি কর্মকর্তা বা কর্মরত অন্য কেউ জেব্রার মৃত্যুর ঘটনাটি সচিবকে অবহিত করেননি। এতে প্রতীয়মান হয় প্রথম থেকেই জেব্রা মৃত্যুর ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা করা হয়েছে। বিষয়টি অস্বাভাবিক, অগ্রহণযোগ্য ও সরকারি কর্মচারী আচরণের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়, যা দায়িত্ব অবহেলার শামিল। তদন্ত কমিটির এ সকল মতামত বিবেচনায় নিয়ে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে ফৌজদারী মামলা ও বিভাগীয় মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: জেব্রার মৃত্যুতে সাফারি পার্ক পরিদর্শনে তদন্ত কমিটি
এছাড়াও, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক, গাজীপুরের প্রাণী মৃত্যুরোধ ও ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের জন্য করণীয় বিষয়ে তদন্ত কমিটির সুপারিশকৃত ১১ টি স্বল্পমেয়াদী, চারটি মধ্য-মেয়াদী এবং ৯টি দীর্ঘ মেয়াদি সুপারিশ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য, জেব্রা মৃত্যুর ঘটনার কারণ উদ্ঘাটন, দায়-দায়িত্ব নিরূপণ ও ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সুপারিশের জন্য পরিবেশ, বন পরিবর্তন জলবায়ু মন্ত্রণালয় ২৬ জানুয়ারি পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করে। কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়। পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ৩০ জানুয়ারি ঘটনাস্থল সরেজমিন পরিদর্শন করেন। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে পরবর্তীতে কমিটিতে আরও দুজন বিশেষজ্ঞ সদস্য এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জেলা প্রশাসক, গাজীপুরের প্রতিনিধি হিসেবে একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে কো-অপ্ট করা হয়। তাছাড়া পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে গঠিত তদন্ত কমিটিকে কাজের সহায়তা এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ দেয়ার জন্য তিনজন কর্মকর্তাকে মনোনয়ন দেয়া হয়। আট সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি এবং তিন সদস্য বিশিষ্ট সহায়ক প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি ও ১২ ফেব্রুয়ারি সরেজমিন তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। সর্বশেষ ১৯ ফেব্রুয়ারি কমিটির সভা ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য যে তদন্ত কমিটির আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের মেয়াদ ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে আরও সাত কার্যদিবস বৃদ্ধি করা হয়। সার্বিক তদন্ত শেষে ২০ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তদন্ত কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।
আরও পড়ুন: জেব্রার মৃত্যু: সাফারি পার্কে নতুন প্রকল্প পরিচালক
‘এরা জমির আগাছা’- দেশের অর্জনকে অস্বীকার করে যারা তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা দেশের অর্জনের প্রশংসা করতে ব্যর্থ হয় তারাই ‘জমির আগাছা’ এবং জনগণকে ভাবতে হবে তারা এই দলকে নিয়ে কী করবে।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা একটা কথা বলতেন, দেশের জমি এতই উর্বর যে প্রচুর ফসলের সঙ্গে আগাছাও হয়। এটাই বাস্তবতা; এই আগাছাগুলো থেকে যাবে। তবে বাঙালিদের ভাবতে হবে তারা এই আগাছাগুলো দিয়ে কী করবে।’
মঙ্গলবার অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, একটি বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে, যখনই বাঙালি কিছু অর্জন করেছে বা মর্যাদা অর্জন করেছে বা উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তখনই নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাঙালিদের মধ্যে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল রয়েছে যাদের কাছে এই অর্জনগুলো গর্ব করার মতো কিছু নয়। তারা পরাধীনতার শৃঙ্খলে থাকতে পছন্দ করে।’
তিনি বলেন, মানুষের একটি অংশ আছে, তারা কখনই আত্মমর্যাদা নিয়ে বাঁচতে জানে না, তারা তাদের মর্যাদা বিক্রি করেই সন্তুষ্টি পায়।
আরও পড়ুন: গ্যাস ও বিদ্যুতে ভর্তুকি ধাপে ধাপে কমানো উচিত: প্রধানমন্ত্রী
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘সেই শ্রেণি এখনও আমাদের সমাজে রয়ে গেছে……. এমনকি সারা বিশ্ব বাংলাদেশের প্রশংসা করে আমাদের দেশের কিছু মানুষ অন্ধই থেকে যায় এবং তারা কখনও উন্নয়ন দেখতে পায় না।’
তিনি বলেন, এসব অর্জনের কথা বলতে গিয়ে এই অংশের মানুষ বিব্রতবোধ করে। এই ধরনের মানুষেরা কেন এমন মানসিকতা রাখে বুঝতে পারছি না।
প্রধানমন্ত্রী ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা ও অবদানের কথা সংক্ষেপে বর্ণনা করে উল্লেখ করেন যে, বুদ্ধিজীবীদের একটি অংশ ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস থেকে তার নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে।
তিনি বলেন, ‘আফসোসের বিষয় যে, দেশের এই বুদ্ধিজীবী মহল কখনোই (বঙ্গবন্ধুর) এই অবদানের যথাযথ কৃতিত্ব দেয়নি।
তিনি উল্লেখ করেন যে, তৎকালীন পাকিস্তানের গোয়েন্দা শাখার রিপোর্ট থেকে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা ধরা পড়ে।
নীলক্ষেতে বইয়ের মার্কেটে আগুন
রাজধানীর নীলক্ষেত এলাকায় বইয়ের মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সন্ধ্যা ৭টা ৪৩ মিনিটে মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় লাভলী হোটেলে এই আগুনের সূত্রপাত হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের উপ-সহকারী পরিচালক (মিডিয়া সেল) শাহজাহান সিকদার জানান, ফায়ার সার্ভিসের নয়টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। আগুন মার্কেটের নিচতলার অন্যান্য দোকানেও ছড়িয়ে পড়ছে।
তবে আগুনের সূত্রপাতের কারণ এখনও জানা যায়নি বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কলাবাগানে রেস্তোরাঁয় গ্যাসের চুলার আগুনে দগ্ধ ৬
ফতুল্লায় বিসিকের নিটওয়ার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে
রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় ফার্নিচার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে
কলাবাগানে রেস্তোরাঁয় গ্যাসের চুলার আগুনে দগ্ধ ৬
রাজধানীর কলাবাগানে এফ এ আল বোরাক নামক একটি রেস্তোরাঁয় গ্যাসের চুলার আগুনে ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার(২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন- রেস্তোরাঁর দুই বাবুর্চি সবুজ (৩০) ও নাহিদ (২২), দুই ওয়েটার মো. ফারহান (২০) ও মো. ফয়সাল আহমেদ (১৫) এবং বাবুর্চির সহকারী সরোয়ার হোসেন (২০) ও চা তৈরির কারিগর মো. তামিম(১৭)।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় বিসিকের নিটওয়ার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে
উক্ত প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার হাবিবুর রহমান জানান, সিলিন্ডারে গ্যাসের চুলায় রান্না করার সময় আগুন বাড়িয়ে দিতে গেলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে এরা দগ্ধ হয়। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাই। এদের মধ্যে সবুজ ও নাহিদকে স্কয়ার হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বাকি চারজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারী ইনস্টিটিউটে চিকিৎসার জন্য আনা হয়েছে।
ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল জানিয়েছেন, দগ্ধদের মধ্যে সরোয়ার হোসেনের শরীরে ১৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাকে ভর্তি করানো হয়েছে। বাকি তিন জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে মো. তামিমের শরীরের দুই শতাংশ, ফারহানের ২ শতাংশ ফয়সালের এক শতাংশ পুড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় ফার্নিচার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে
রাজধানীর শ্যামপুরে প্লাস্টিক কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে
পল্লবীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে পোশাক শ্রমিক নিহত
রাজধানীর পল্লবীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এক পোশাক শ্রমিক নিহত হয়েছে। সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টায় এ ঘটনা ঘটে। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে চিকিৎসক রাত সাড়ে ১১টায় তাকে মৃত বলে জানান।
নিহত রায়হান হোসেন (২৬) পল্লবী থানার সেকশন ১১ পলাশ নগর এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। চার ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। তাদের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের শিবচর এলাকায়।
রায়হানের বাবা রাজু মিয়া বলেন, আমার ছেলে একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতো। একুশে ফেব্রুয়ারির ছুটি থাকায় সে বাসা থেকে বিকেলে ঘুরতে বেরোয়। রাতে বাসায় ফিরে। রাত ৯টার দিকে আমার আরেক ছেলে অসুস্থ তার জন্য ওষুধ আনতে যায়। পরে পল্লবীর লালমাটিয়া ট্রাক স্ট্যান্ডে গেলে ছিনতাইকারীরা তাকে আক্রমণ করে। তার কাছে থাকা বেতনের টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা। এরপর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে এতে সে বাধা দেয়। পরে ছিনতাইকারীরা তার পেটে ছুরিকাঘাত করে ট্রাক স্ট্যান্ডে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, পরে লোকজনের মুখে খবর পেয়ে ট্রাক স্ট্যান্ডে ছুটে গিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে একটি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাই। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে চিকিৎসক আমার ছেলেকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, পল্লবী থেকে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এক যুবককে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে স্বজনরা নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি পল্লবী থানাকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছেলের সড়ক দুর্ঘটনার খবর শুনে মায়ের মৃত্যু
বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় এনজিও কর্মকর্তার মৃত্যু
ফতুল্লায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: দগ্ধ ২ জনের মৃত্যু
ইউজিসির পোস্ট ডক্টরাল ফেলোশিপ পেলেন শাবিপ্রবি অধ্যাপক ফারুক মিয়া
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক ‘পোস্ট ডক্টরাল ফেলোশিপ (২০২১-২২)’-এ মনোনীত হয়েছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ফারুক মিয়া।
তার গবেষণার শিরোনাম ‘হিস্টোরিকাল অ্যারকিটেকচার ফর অভজারভিং টিস্যু ফিজিওলজি অব হিলশা স্বাদ, ট্যানুলোসা হিলশা ইন ডাইভারস হেবিট্যাটস অব বাংলাদেশ’। এই গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক একই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: শামসুল হক প্রধান।
সম্প্রতি ইউজিসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১০ জন শিক্ষক এ ফেলোশিপে মনোনীত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির প্রক্টরিয়াল টিমে নতুন ৪ সদস্য
ফেলোশিপে মনোনীত অন্যরা হলেন- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সরোয়ার আলী, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারাসিটোলজি সহযোগী অধ্যাপক ড. অনিতা রাণি দে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুমন গাঙ্গুলী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. হালিমা খাতুন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোস্তাক আহমেদ, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল হক, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো খালেদ হোসেন, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. কাওছার হোসেন এবং নোয়াখালী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. বকুল ভট্টাচার্য।
অনুভূতি প্রকাশ করে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফারুক মিয়া বলেন, এটি গবেষণার একটি সর্বোচ্চ ধাপ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তথা গবেষকদের জন্য এটি একটি স্বপ্ন। তাই আমি অত্যন্ত আনন্দিত এবং আমাকে পোস্ট ডক্টরাল ফেলো নির্বাচন করার জন্য ইউজিসিকে ধন্যবাদ। এই গবেষণার মাধ্যমে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর গবেষণার আরেকটি যাত্রা শুরু হবে এবং গবেষণার ধারাবাহিকতায় একসময় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শ্রেষ্টত্ব অর্জন করবে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে অনলাইনে ক্লাস শুরু
গত বছর ২৩ সেপ্টেম্বর সব পাবলিক/প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারি কলেজের শিক্ষকদের কাছ থেকে ফেলোশিপের জন্য দরখাস্ত আহ্বান করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
গ্যাস ও বিদ্যুতে ভর্তুকি ধাপে ধাপে কমানো উচিত: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যুৎ ও গ্যাস থেকে ধীরে ধীরে ভর্তুকি প্রত্যাহারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘ভর্তুকি একটি গুরুতর বিষয়। আমাদের অবশ্যই এই সিস্টেম থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এনইসি সম্মেলন কক্ষের সঙ্গে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে আলোচনাকালে ভর্তুকি নিয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেন, এখন একটি বিশাল ভর্তুকি দেয়া হয়। আমাদের ভর্তুকি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ভর্তুকি শুধু একটা জিনিস নয়... কিছু লোক এটি (ভর্তুকি) পাচ্ছেন এবং কেউ কেউ এর জন্য অর্থ প্রদান করছেন।
আরও পড়ুন: অমর একুশের স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী
ভর্তুকি ব্যবস্থা থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসার জন্য একটি কৌশল তৈরি করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, বৈঠকে কৃষি ভর্তুকি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
তিনি বলেন, কৃষি ভর্তুকি অব্যাহত থাকবে। কারণ এটি উত্পাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুত এবং গ্যাস ভর্তুকি সম্পর্কে কথা বলেছেন। কারণ এগুলো কেবল দরিদ্ররা নয়, শিল্পও ব্যবহার করে।
শেখ হাসিনা বলেন, অনেকেই বিদ্যুৎ ব্যবহার করে এয়ার কন্ডিশনার চালান, যা ব্যয়বহুল।
তিনি আরও বলেন, আন্তরিকতার অভাবে বিদ্যুৎ অপচয় হচ্ছে।
বিদ্যুতের বিলাসবহুল ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভর্তুকি ধীরে ধীরে কমানোর কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, নিম্ন আয়, কৃষক এবং দরিদ্রদের মতো সঠিক জায়গায় ভর্তুকি দেয়া উচিত।
আরও পড়ুন: বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রীর
দেশের প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে দিন: শেখ হাসিনা