বাংলাদেশ
দেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ১, আক্রান্ত ৩৬৯
দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি দিনদিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে এডিস মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু এবং শনাক্তের হার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এসময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩৬৯ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে শুধুমাত্র ঢাকার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছেন ২৭৮ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৯১ জন।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৩২৩
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১ হাজার ৩৫৭ জন রোগী চিকিৎসাধীন। এরমধ্যে ১ হাজার ৪৯ জন ঢাকায় এবং ৩০৮ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ২১ জুন ২০২৩ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৬ হাজার ২৯৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৪ হাজার ৮৯৯ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৩৯৪ জন ডেঙ্গু রোগী।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৩৩৪ জন
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৪ হাজার ৮৯৭ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে ৩ হাজার ৮২০ জন ঢাকার ও বাকি ১ হাজার ৭৭ জন অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।
এছাড়া চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৯ জন।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৩৬০
ঢাকা বিশ্বের ৭ম কম বসবাসযোগ্য শহর, যুদ্ধবিধ্বস্ত কিয়েভ থেকেও এর অবস্থান নিচে!
সর্বশেষ ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) গ্লোবাল লাইভবিলিটি ইনডেক্স ২০২৩ অনুযায়ী, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকেও দুই ধাপ নিচে বিশ্বের সপ্তম সবচেয়ে কম বসবাসযোগ্য শহর হিসেবে স্থান পেয়েছে ঢাকা।
তবে ইআইইউ’র প্রকাশিত সূচক অনুযায়ী,, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার স্কোর গত বছরের তুলনায় ব্যাপক উন্নতি করেছে।
ঢাকা সর্বমোট ১০০ এর মধ্যে ৪৩.৮ স্কোর করেছে, যা জিম্বাবুয়ের রাজধানী হারারে’র সমান।
সে হিসেবে ঢাকা এই সূচকে ১৭৩টি শহরের মধ্যে ১৬৭তম স্থানে রয়েছে।
ইআইইউ পাঁচটি ক্যাটাগরিতে ৩০টিরও বেশি গুণগত এবং পরিমাণগত বিবেচনা অনুযায়ী শহরগুলোকে তালিকাবদ্ধ করেছে। এগুলো হলো- স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ, শিক্ষা এবং অবকাঠামো।
একটি শহরের এই প্রত্যেকটি উপাদান গ্রহণযোগ্য, সহনীয়, অস্বস্তিকর, আপত্তিকর বা অসহনীয় হিসাবে রেট করা হয়েছে।
স্থিতিশীলতার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা ১০০ এর মধ্যে ৫০ স্কোর করেছে; যা ২০২২ সালের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে।
আরও পড়ুন: পরিবেশবান্ধব লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘বর্ণন’ এর যাত্রা শুরু
স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের রাজধানী স্কোরে ব্যাপক উন্নতি দেখেছে। ২০২২ সালে স্কোর ছিল ২৯.২ ও ৪১.৭; এর তুলনায় ঢাকা স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষায় এই বছর যথাক্রমে ৪১.৭ ও ৭৫ স্কোর করেছে।
২০২২ সালে, ঢাকার সামগ্রিক স্কোর ১০০ এর মধ্যে ৩৯.২ ছিল।
তবে, ২০২৩ সালে শহরের সংস্কৃতি ও পরিবেশের (৪০.৫) এবং অবকাঠামো (২৬.৮) ক্ষেত্রে কোনো উন্নতি দেখা যায়নি।
যদিও ২০২৩ সালের ইআইইউ এর লাইভবিলিটি ইনডেক্সে অনেক এশিয়ান শহর স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে ভাল স্কোর করেছে, তবে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার শহরগুলো কোভিড-১৯ মহামারি এবং পরবর্তী নানা প্রতিকূলতার কারণে গত বছর থেকে পিছিয়ে গেছে।
রিপোর্টটিতে দেখা যায়, সমীক্ষায় ১৭২টি শহরে (কিয়েভ বাদে) গড় স্কোর এখন ১০০ এর মধ্যে ৭৬.২-এ পৌঁছেছে, যা এক বছর আগে ছিল ৭৩.৩।
অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা ১০০ এর মধ্যে ৯৮.৪ স্কোর নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বাসযোগ্য শহর হিসেবে তার শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে।
বিপরীতে, সিরিয়ার দামেস্ক ১০০-এর মধ্যে ৩০.৭ স্কোর নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে কম বসবাসযোগ্য শহরের স্থান পেয়েছে।
পশ্চিম ইউরোপীয় শহরগুলো ২০২৩ সালের র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে গেছে, কারণ শ্রমিক ধর্মঘট এবং অন্যান্য নাগরিক অস্থিরতা তাদের স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করেছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ফলে কিয়েভ এই বছরের শীর্ষ কম বসবাসযোগ্য শহরের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। যুদ্ধের কারণে এর স্থিতিশীলতা ও অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় শহরটি সূচকে ১৭৩টি শহরের মধ্যে ১৬৫তম স্থানে ছিল।
ইআইইউ রিপোর্টে দেখা যায়, ২০২২ সালে রাশিয়ার রাজধানী মস্কো ৯৬তম স্থানে নেমে আসার পর, এই বছরও তার অবস্থান স্থিতিশীল রয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৬০ দেশ ভ্রমণের রেকর্ড গড়লেন নাজমুন নাহার
শীর্ষ ১০ সবচেয়ে বাসযোগ্য শহর
১. ভিয়েনা (৯৮.৪)
২. কোপেনহেগেন (৯৮.০)
৩. মেলবোর্ন (৯৭.৭)
৪. সিডনি (৯৭.৪)
৫. ভ্যাঙ্কুভার (৯৭.৩)
৬. জুরিখ (৯৭.১)
৭. ক্যালগারি (৯৬.৮)
৮. জেনেভা (96.8)
৯. টরন্টো (৯৬.৫)
১০. ওসাকা (৯৬.০)
শীর্ষ ১০ কম বাসযোগ্য শহর
১. দামেস্ক (৩০.৭)
২. ত্রিপোলি (৪০.১)
৩. আলজিয়ার্স (৪২.০)
৪. লাগোস (৪২.২)
৫. করাচি (৪২.৫)
৬. পোর্ট মোরসবি (৪৩.৪)
৭. ঢাকা (৪৩.৮)
৮. হারারে (৪৩.৮)
৯. কিইভ (৪৪.০)
১০. ডুয়ালা (৪৬.৪)
আরও পড়ুন: ইয়ুথ গ্লোবালের পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে শিল্প-সংস্কৃতির ১৪ প্লাটফর্ম
স্কাইট্র্যাক্স ওয়ার্ল্ড এয়ারলাইন অ্যাওয়ার্ড ২০২৩: দক্ষিণ এশিয়ায় ইউএস-বাংলার অনন্য স্বীকৃতি
স্কাইট্র্যাক্স ওয়ার্ল্ড এয়ারলাইন অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ এ বাংলাদেশের অন্যতম বেসরকারি বিমানসংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স দক্ষিণ এশিয়ার এয়ারলাইনগুলোর মধ্যে পঞ্চম স্থান অর্জন করেছে।
২০১৪ সালের ১৭ জুলাই যাত্রা শুরু করে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। বাংলাদেশের বিমান পরিবহন শিল্পে একের পর এক অনন্য নজির স্থাপন করে চলেছে। অর্জন করেছে বিভিন্ন সাফল্যের মাইলফলক।
স্কাইট্র্যাক্স ওয়ার্ল্ড এয়ারলাইন স্টার রেটিং ১৯৯৯ সালে শুরু হয়েছিল এবং এটি মানসম্পন্ন অর্জনের মর্যাদাপূর্ণ, দীর্ঘতম প্রতিষ্ঠিত ও অনন্য চিহ্ন এবং এয়ারলাইন এক্সিলেন্সের একটি বৈশ্বিক বেঞ্চমার্ক, পেশাদার অডিট বিশ্লেষণ ও এয়ারলাইন পণ্য এবং ফ্রন্ট-লাইন সেবার মানগুলোর মূল্যায়নের পরে পুরস্কৃত করা হয়।
আরও পড়ুন: ব্যাংকক ভ্রমণে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের আকর্ষণীয় প্যাকেজ
এয়ারলাইন স্টার রেটিংগুলো অডিট অফিস দ্বারা একটি এয়ারলাইনের মানের মানের বিশদ, পেশাদার বিশ্লেষণের পরে প্রদান করা হয়। মানগুলোর একটি সাধারণ রেটিং ৫০০ থেকে ৮০০টির মধ্যে পণ্য এবং সেবা মূল্যায়ন আইটেমের বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে। এটি এয়ারলাইনের এয়ারপোর্ট সেবা এবং সমস্ত প্রযোজ্য কেবিন এয়ারক্রাফট-এর ওপর ভিত্তি করে অনবোর্ড স্ট্যান্ডার্ডগুলোকে বিবেচনা করে থাকে৷
১৯৯৯ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী এয়ারলাইনের সেবা ও মানের ওপর অ্যাওয়ার্ড দেয় স্কাইট্র্যাক্স। স্কাইট্র্যাক্স ওয়ার্ল্ড এয়ারলাইন অ্যাওয়ার্ডসের জন্য কোনো এয়ারলাইনকে আবেদন করতে হয় না, কোনো ফি দিতে হয় না, বিজয়ী এয়ারলাইন্সকে পুরস্কার ইভেন্টে যোগদানের জন্য কোনো অর্থও দিতে হয় না। আর এসব কারণে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে স্কাইট্র্যাক্স ওয়ার্ল্ড এয়ারলাইন অ্যাওয়ার্ডসকে বলা হয় ‘এভিয়েশন শিল্পের অস্কার’।
আরও পড়ুন: শাহ আমানতে নেপাল এয়ারলাইন্সের জরুরি অবতরণ
মালদ্বীপে বাংলাদেশের সেরা এয়ারলাইন্স এর পুরস্কার পেল ইউএস-বাংলা
চাঁপাইনবাবগঞ্জে নারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রতি চেয়ারম্যানের অসদাচরণ, বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্কের প্রতিবাদ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলায় সংঘটিত সাম্প্রতিক একটি ঘটনার প্রতি বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্ক এর দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।
সোমবার (১৯ জুন) ভোলাহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রাববুল হোসেন উন্মুক্ত জনসভায় ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে তাবাসসুমের উদ্দেশে অপেশাদার ও অশোভন বক্তব্য প্রদান করেন।
তার এ অশালীন বক্তব্যে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস উইমেন নেটওয়ার্ক-এর সকল সদস্য সংক্ষুব্ধ ও উদ্বিগ্ন। কারণ জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মচারীগণের সমন্বয়েই সরকারি সকল কর্মকাণ্ড বাস্তবায়িত হয়।
সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হয়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ মাঠ পর্যায়ের কর্মচারীবৃন্দ জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, ভূমি ব্যবস্থাপনা, আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন, নির্বাচন ও পরীক্ষা পরিচালনা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসহ উন্নয়নমূলক বহুবিধ কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে, নারী কর্মচারীগণ তাদের দক্ষতা, বিচক্ষণতা, দৃঢ়তা এবং সাহসিকতার সঙ্গে অসংখ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে তাদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখছেন।
আরও পড়ুন: উইমেন লিডার অব দ্য ইয়ার-২০২৩ হলেন শেয়ারট্রিপের সাদিয়া হক
সরকারি দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় একজন উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে মানহানিকর অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি প্রদর্শন করায় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সরকারি কর্মচারীদের সমন্বয়ে বিঘ্ন সৃষ্টি হবে এবং সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাহত হবে।
রাববুল হোসেন একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে যে সকল উক্তি করেছেন তা অশোভন এবং অভদ্রজনোচিত। তাছাড়া তিনি একজন নারীর প্রতি যে ধরনের অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করেছেন তা বাঙালি সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের প্রতিও চরম অবমাননাকর।
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বপ্রাপ্ত নারী কর্মচারীর প্রতি উক্ত জনপ্রতিনিধির এরকম অসংবেদনশীল ও অশোভন আচরণ অগ্রহণযোগ্য ও নিন্দনীয়। এরুপ আচরণ ও উক্তি মাঠ পর্যায়ে কর্মরত সরকারি কর্মচারীদের কর্মোদ্দীপনার প্রতিবন্ধকতার কারণ হতে পারে।
এরকম পরিস্থিতি ও আচরণের প্রতি বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্ক-এর পক্ষ হতে তীব্র নিন্দা জানানো হচ্ছে। এরূপ আচরণ একজন দায়িত্বরত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে উপজেলা পরিষদ আইন, ১৯৯৮ অনুযায়ী অসদাচরণের শামিল।
তার অসদাচরণের বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষ আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন- বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্ক এমনটাই প্রত্যাশা করে।
এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলে একদিকে মাঠ পর্যায়ের কর্মচারীগণ তাদের সম্মান ও মনোবল সমুন্নত রেখে পেশাদারিত্বের সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালনে তৎপর থাকবে এবং পাশাপাশি এ জাতীয় নেতিবাচক মনোভাবসম্পন্ন যে কোনো ব্যক্তি নারীর প্রতি সংবেদনশীল ও দায়িত্বশীল আচরণ করতে সচেতন হবেন।
আরও পড়ুন: এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর নতুন ভিসি রুবানা হক
যুক্তরাষ্ট্রের উইমেন বিল্ডিং পিস অ্যাওয়ার্ডের চূড়ান্ত তালিকায় রানী ইয়ান
ঢাবি’র ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৯১৩ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ বুধবার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৯১৩ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেছে।
গবেষণার জন্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা বা মোট বাজেটের ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্য খাতে মাত্র ৭০ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বেতন-ভাতা ও পেনশন বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৭২৪ কোটি ১২ লাখ টাকা বা ৬৮ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং পণ্য ও সেবার জন্য রাখা হয়েছে ২০৮ কোটি ৪ লাখ ৩৯ হাজার টাকা।
বুধবার বিকাল ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে সিনেটের বার্ষিক অধিবেশনে এ বাজেট ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান।
আরও পড়ুন: ঢাবির ব্যবসায় ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বাজেট বক্তৃতার মাধ্যমে অধিবেশনের উদ্বোধন করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাকসুদ কামাল, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী, সিনেট সদস্য, শিক্ষক প্রতিনিধি, ছাত্র প্রতিনিধি, দীপঙ্কর তালুকদার (সংসদ সদস্য), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ৭ কলেজের অধ্যক্ষরা সেশনে উপস্থিত ছিলেন।
প্রস্তাবিত বাজেটের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) দেবে ৭৬৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে আসবে ৮৫ কোটি টাকা।
প্রস্তাবিত বাজেটে বলা হয়েছে, ২০২০-২৪ অর্থবছরে ঘাটতি হবে ৬০ কোটি ৯ লাখ টাকা বা ৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ঢাবির ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক লুৎফর রহমানের ছাত্র ডরমেটরির গেস্টরুমে নির্যাতনের অভিযোগের বিষয়ে যে বক্তৃতা দিয়েছেন তা বাদ দেওয়ায় বিএনপি সমর্থিত শিক্ষকরা আলোচনাসভা থেকে ওয়াকআউট করেন।
অধ্যাপক লুৎফর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত শিক্ষক সমিতির সাদা প্যানেলের আহ্বায়ক।
ওয়াকআউটের পর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘ঢাবি ভিসি প্রধান অভিভাবক হলেও তিনি তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছেন না। তিনি একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন। তিনি তার সব শিক্ষার্থীর সঙ্গে সমান আচরণ করেন না।’
আরও পড়ুন: ঢাবির কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
ফিনল্যান্ডের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার ফিনল্যান্ডের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী পেটেরি অর্পোকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এক চিঠিতে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনার দায়িত্ব গ্রহণের জন্য আমি বাংলাদেশের জনগণ, সরকার এবং আমার নিজের পক্ষ থেকে আপনাকে অভিনন্দন জানাই।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও ফিনল্যান্ডের মধ্যকার দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব বিগত বছরগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে জোরদার করেছে এবং দুই সরকারকে বিভিন্ন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যুতে বিশেষ করে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা, অভিবাসন, জলবায়ু পরিবর্তন, নারীর ক্ষমতায়ন ও টেকসই উন্নয়নে পারস্পরিক সহায়ক ভূমিকা পালনে উৎসাহিত করেছে।
আরও পড়ুন: ব্রিটিশ সিংহাসনে আরোহণে তৃতীয় চার্লসকে রাষ্ট্রপতির অভিনন্দন
তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে আমাদের দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্ব, সমঝোতা ও সহযোগিতার বন্ধন আগামী দিনগুলোতে আরও গভীর ও সুসংহত হবে।’
তিনি দু'দেশের জনগণের অভিন্ন সমৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে বহুমাত্রিক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও উন্নত করতে পেটেরি অর্পোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য আগ্রহী।
শেখ হাসিনা ফিনল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য, সুখ ও সাফল্য এবং ফিনল্যান্ডের জনগণের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে অভিনন্দন পত্র পাঠিয়েছেন শি জিনপিং
নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে নরেন্দ্র মোদির অভিনন্দন
২০০৯ থেকে ৪৫টি ওষুধ কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বুধবার বলেছেন, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ৪৫টি ওষুধ (অ্যালোপ্যাথিক) কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।
সংসদে চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে রিপোর্ট করা এইচআইভি রোগীর সংখ্যা ৯ হাজার ৭০৮ জন। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬ হাজার ৭৫ জন এবং মারা গেছেন ১ হাজার ৮২০ জন।
মানিকগঞ্জ থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ইতোমধ্যে সারাদেশের নদী দখলকারীদের একটি বিস্তৃত খসড়া তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে এবং জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের (এনআরসিসি) ওয়েবসাইটে জেলাভিত্তিক দখলদারদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে ৫০ হাজারেরও বেশি নদী দখলকারীর পরিচয় পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: ভিসিভি ভ্যাকসিনের ৩য় ও ৪র্থ ডোজ দেওয়া শুরু হবে এ সপ্তাহেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যাসহ বিভিন্ন নদী থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করে অনেক নদী দখলমুক্ত করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাকি অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের কাজ চলছে। এ পর্যন্ত ১৫ হাজারের বেশি অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদের তথ্য জেলা প্রশাসকদের পক্ষ থেকে এনআরসিসিতে পাঠানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, নদীর তীরে অবৈধ দখলদারদের তালিকা প্রণয়ন এবং উচ্ছেদ সংক্রান্ত অগ্রগতি তালিকা প্রণয়নের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন: গত বছরের চেয়ে এ বছর ডেঙ্গুরোগী পাঁচগুণ বেশি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা চালু করায় দেশের মানুষ খুশি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সরকারের পদক্ষেপে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়তে পারে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার কর্তৃক অপ্রয়োজনীয় আমদানি নিরুৎসাহিত করা এবং রেমিট্যান্স আয়কে উৎসাহিত করার মতো বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ায় আগামী দিনে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের উন্নতি হতে পারে।
বুধবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে নওগাঁর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার।
তিনি বলেন, মুদ্রাস্ফীতির চাপ এবং কোভিড-পরবর্তী চাহিদা বৃদ্ধির কারণে ২০২১-২২ অর্থবছরে আমদানি বেড়েছে, যা বাংলাদেশের বাণিজ্য ভারসাম্যের ওপর কিছুটা চাপ সৃষ্টি করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘ফলস্বরুপ, যদিও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০২২ সালের আগস্টে সর্বকালের সর্বোচ্চ ৪৮ দশমিক ০৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছিল। তবে পরবর্তীতে এই চাপের সঙ্গে মানিয়ে নিতে এটি হ্রাস পেতে শুরু করে।’
আরও পড়ুন: ইউক্রেন সংকটের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তির আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান বজায় রাখতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ব্যবহার শুরু করলে রিজার্ভ হ্রাসের হার বাড়ে।
তিনি আরও বলেন, ‘৩১ মে এর সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রিজার্ভের পরিমাণ ২৯ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার। যা দিয়ে চার মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।’
লক্ষ্মীপুরের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাংসদ নূর উদ্দিন চৌধুরীর অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যোগাযোগ খাতের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে তার সরকারের সাফল্য এখন সর্বজন স্বীকৃত ও প্রশংসিত।
তার উত্তরে প্রধানমন্ত্রী যোগাযোগ খাতে বিভিন্ন প্রকল্প ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সেতু বিভাগ বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
এর মধ্যে রয়েছে- ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা পূর্ব-পশ্চিম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, ঢাকা শহরে ২৫৮ কিলোমিটার সাবওয়ে নির্মাণ, ঢাকা শহরে ৮৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা ইনার এলিভেটেড সার্কুলার রোড নির্মাণ এবং মেঘনা নদীর উপর প্রায় সোয়া ২ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ। ঢাকা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভুলতা-আড়াইহাজার-বাঞ্ছারামপুর-নবীনগর সড়ক।
আরও পড়ুন: স্থানীয়ভাবে তৈরি কোস্ট গার্ডের অত্যাধুনিক ৫ জাহাজ কমিশনিং করলেন প্রধানমন্ত্রী
পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে: বরিশাল-ভোলা সড়কে তেঁতুলিয়া ও কলাবাদর নদীর ওপর প্রায় সাড়ে১০ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ; বরিশাল জেলার রহমতপুর-বাবুগঞ্জ-মুলাদী হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ সড়কে আড়িয়াল খা নদীর উপর ১ দশমিক ৫৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ।
চট্টগ্রাম থেকে আ.লীগের আরেক সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই জমি চাষের উদ্যোগ নেওয়ার ফলে প্রায় ৫৫ হাজার হেক্টর অব্যবহৃত জমি ইতোমধ্যেই চাষের আওতায় আনা হয়েছে।
কৃষি খাতে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের কৃষিবান্ধব নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে ধান, ভুট্টা, আলু, শাকসবজি ও ফলমূলসহ অন্যান্য ফসলের উৎপাদন বেড়েছে, ক্রমাগত বাড়ছে।
বিশ্বে ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে। এছাড়া বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে ২২টি কৃষিপণ্য রয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সংকট মোকাবিলায় সরকার কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রাখার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: সাম্প্রতিক সুইজারল্যান্ড ও কাতার সফর বহুমাত্রিক সম্পর্ককে ত্বরান্বিত করবে: প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণে ফ্রান্সের আগ্রহ প্রকাশ
মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণে বাংলাদেশকে সহযোগিতা প্রদানে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ফ্রান্স।
বুধবার (২১ জুন) সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই।
সাক্ষাতকালে রাষ্ট্রদূত এ আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: অ্যান্ড্রয়েড ফোনে বিজয় কি-বোর্ড ব্যবহারকারীর জন্য বাধ্যতামূলক নয়: মোস্তাফা জব্বার
সাক্ষাতকালে তারা দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে টেলিযোগাযোগ ও ডিজিটাল প্রযুক্তি সম্প্রসারণ ও অগ্রগতি সম্পর্কে মতবিনিময় করেন।
বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যকার বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্ক তুলে ধরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ‘ফ্রান্স বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার এবং অকৃত্রিম বন্ধু।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশে গত সাড়ে ১৪ বছরে ডিজিটালাইজেশনের ধারাবাহিকতায় বিস্ময়কর অগ্রগতি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সফল উৎক্ষেপণ বর্তমান সরকারের অন্যতম অর্জন। এর মাধ্যমে স্যাটেলাইট ক্লাবের ৫৭তম গর্বিত সদস্যে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ দেশের টেলিভিশন চ্যানেলসমূহের সম্প্রচারসহ দুর্গম অঞ্চলে ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগকালীন সময়ে নিরবচ্ছিন্ন ডিজিটাল সংযোগ স্থাপনে অভাবনীয় ভূমিকা রাখছে।
বর্তমান সরকারের নির্বাচনি ইশতেহারে দেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ঘোষণা বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ফাইভ-জি যুগে প্রবেশ করেছে।
তিনি আরও বলেন, তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ স্থাপনের কার্যক্রম চলছে।
মন্ত্রী টেলিযোগাযোগ খাতসহ বিভিন্ন খাতে সরকারের অগ্রগতি তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত লাভজনক একটি জায়গা। তাই সরকারের বিনিয়োগ বান্ধব নীতি কাজে লাগিয়ে টেলিযোগাযোগ খাতে ফ্রান্স বিনিয়োগে এগিয়ে আসবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।
এসময় জনাব মোস্তাফা জব্বার বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে স্যটেলাইট যুগে বাংলাদেশের প্রবেশে ফ্রান্সের ভূমিকারও প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: প্রচলিত গণমাধ্যমের বিদ্যমান ধারা ভবিষ্যতে সম্পূর্ণরূপে বদলে যাবে: মোস্তাফা জব্বার
আমরা ডাকঘর ডিজিটাল করার কাজ শুরু করেছি: মোস্তাফা জব্বার
হিট প্রকল্পের প্রথম মিশন সভা: উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়ন ও রুপান্তরের আশাবাদ ইউজিসির
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক বাস্তবায়িতব্য ‘এডুকেশন এক্সিলারেশন এন্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট)’ প্রকল্প দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নসহ উচ্চশিক্ষার রূপান্তর, গতি ত্বরান্তিতকরণ, আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক শক্তিশালীকরণ ও উদ্যোক্তা হিসেবে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে।
বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব ব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে হিট প্রকল্পের প্রথম ইমপ্লিমেন্টেশন সাপোর্ট মিশন (আইএসএম) সভায় সভাপতির বক্তব্যে ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মঙ্গলবার(২০ জুন) ইউজিসি ভবনে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের (এইউডব্লিউ) উপাচার্য ড. রুবানা হক, বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র অপারেশন্স অফিসার মোখলেসুর রহমান, ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়াসহ ইউজিসি, বিশ্ব ব্যাংক ও এইউডব্লিউ এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষা খাতে ১২ হাজার ২৬২ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন ইউজিসি’র
প্রফেসর আলমগীর বলেন, হিট প্রকল্প দেশের শিক্ষা ও গবেষণাসহ উচ্চশিক্ষার বিভিন্নখাতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষায় আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নেটওয়ার্কে যুক্ত হবে।
তিনি বলেন, এর মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের উচ্চশিক্ষায় গৃহীত কার্যকর উদ্যোগসমূহ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতিতে শিক্ষাখাতের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা এবং উচ্চশিক্ষা সম্পন্নকারীদের জন্য মর্যাদাপূর্ণ কর্মক্ষেত্রের সুযোগ তৈরি করা।
এছাড়া গৃহীত এ প্রকল্পটি এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের নারীদের উন্নয়নের একটি বিরাট সম্ভাবনা ও সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষায় নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি ও তাদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করাও প্রকল্পটির অন্যতম উদ্দেশ্যে।
এটি নারীর ক্ষমতায়ন ও নারীকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করবে। এর মাধ্যমে নারীদের উচ্চশিক্ষার ব্যাপক রূপান্তর ঘটাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের উপাচার্য ড. রুবানা হক বলেন, হিট প্রকল্পের মাধ্যমে আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক শক্তিশালী হবে এবং এই প্রকল্পের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নের পথ সুগম হবে।
বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র অপারেশন্স অফিসার ড. মোখলেসুর রহমান ইউজিসিকে হিট প্রকল্পের কাজ দ্রুত শুরু এবং প্রকল্প পরিচালক নিয়োগে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ করেন।
প্রকল্প বাস্তবায়নে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ থাকলেও ইউজিসি’র সঙ্গে বিশ্ব ব্যাংক এ লক্ষ্যে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে বলে তিনি জানান।
সভা শেষে বিশ্ব ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি দল ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
উল্লেখ্য, পাঁচ বছর মেয়াদী প্রকল্প শুরু হবে চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ১৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে ইউজিসি। মোট ব্যয়ের মধ্যে ২ হাজার ৩৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বাংলাদেশ সরকার এবং ১ হাজার ৯৮৩ কোটি ১১ লাখ টাকা বিশ্ব ব্যাংক বহন করবে।
প্রকল্পে বাজার চাহিদাভিত্তিক শিক্ষা কোর্স প্রবর্তন, উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ডিজিটাল সংযোগ বৃদ্ধি, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ও প্রশিক্ষণ অ্যাকাডেমি প্রতিষ্ঠা, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের জন্য অ্যাকাডেমিক ও আবাসিক ভবন নির্মাণ এবং দেশের উচ্চশিক্ষা প্রদানকারী মহিলা কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক স্থাপন, বাংলাদেশ গবেষণা ও শিক্ষা নেটওয়ার্ক (বিডিরেন) এর সক্ষমতা বৃদ্ধি, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল এর কার্যাবলি বাস্তবে রুপান্তর করা, ইনোভেশন ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা, প্রতিযোগিতামূলক গবেষণার উদ্ভাবনী প্রকল্প চালু করা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রফেসর সাজ্জাদ ও আলমগীরকে পুনরায় ইউজিসির সদস্য নিয়োগ
ইউজিসিকে কর্মমুখী পাঠ্যক্রম চালু করার আহ্বান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের