বাংলাদেশ
জাবিতে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সেমিনার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ সিওয়াইএআরকে-এর সহযোগিতায় বাংলাদেশে 'ভবিষ্যত' সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সুরক্ষা ও ব্যবস্থাপনার জন্য 'অতীত'কে ডিজিটাইজ করার বিষয়ে একটি সেমিনারের আয়োজন করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান অডিটোরিয়ামে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক শিক্ষা সচিব ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের তত্ত্বাবধায়ক ড. নজরুল ইসলাম খান বলেন, যেখানে ইতিহাসের যাত্রা শেষ, সেখানে প্রত্নতত্ত্বের যাত্রা শুরু হয়। অতীতের অনেক কিছুই আমরা হারিয়ে ফেলেছি। আমরা দেখেছি যে উপসাগরীয় যুদ্ধে সুমেরীয় সভ্যতার অনেক নিদর্শন হারিয়ে গেছে। আমরা চাই না আমাদের ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো কোনো ঘটনায় হারিয়ে যাক।
আরও পড়ুন: জাবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস অনেক সমৃদ্ধ। আমাদের এ অঞ্চলে ইউরোপের অনেক আগেই মানুষ এসেছে। ইউরোপে যেখানে ৪০ হাজার বছর আগে মানুষ এসেছে, এ অঞ্চলে সেখানে ৬০ হাজার আগে মানুষের বসতি ছিল। ইতিহাসবিদদের পাশ্চাত্যকে প্রাধান্য দেয়ার প্রবণতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. নুরুল কবির ভুঁইয়া বলেন, আমরা এখন আমাদের মধ্যে 3D ফটোগ্রামেট্রি এবং রিলেলিটি ক্যাপচার প্রযুক্তির মাধ্যমে ঐতিহাসিক স্থাপনা সংরক্ষণ করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা আমাদের নিজস্ব সম্পদে তা করি। আমাদের কাজ বিশ্ব স্বীকৃত। আমরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে আমাদের ঐতিহ্য এবং প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সংরক্ষণ করতে পারি। এটিই একমাত্র আমরা আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সংরক্ষণের বর্তমান যুগে যুগোপযোগী পন্থা যা বিশ্বের অন্যান্য দেশে হয়ে আসছে।আমরাই বাংলাদেশে প্রথম যারা এই ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার করেছি।
সিওয়াইএআরকে-এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার কেসি হ্যারি বলেন, আমি তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশে এসেছি এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কাজ করছি। আমি তাদের আগ্রহ এবং কাজের স্প্রীহা দেখে আনন্দিত। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগ এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগিতা ছাড়া ডিজিটালাইজেশন সম্ভব ছিল না। আমরা ছাত্রদের ফটোগ্রামমেট্রি এবং বাস্তবতা ক্যাপচার ডিজিটাল প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত করার চেষ্টা করেছি যা থেকে একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপত্যের সাম্যক ধারণা পাওয়া যেতে পারে। কম ত্রুটিসহ ঐতিহ্যগত দৃশ্যের একটি থ্রিডি ভিউ পাওয়া যাবে। ম্যানুয়াল পদ্ধতি থেকে সময়ে ভিডিও এবং ছবির নতুন ডিজিটাল প্রযুক্তি থেকে আমরা কম ত্রুটিসহ সম্পূর্ণ ভিউ পাই।
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিক বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. মোজাম্মল হক বলেন, আমরা সাতক্ষীরা, বাগেরহাটে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সিওয়াইএআরকে-এর ড্রোন এবং থ্রিডি স্ক্যানার দিয়ে কাজ করি। সিওয়াইএআরকে তাদের উন্নত প্রযুক্তিতে আমাদের সাহায্য করে। আমরা আমাদের ছাত্রদের প্রত্নতাত্ত্বিক খনন ও থ্রিডি ম্যাপিংয়ে বিশেষজ্ঞ করতে সক্ষম হয়েছি। এখন আমরা সরকারের কাছে আমাদের উত্তরাধিকারী হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি আমাদের প্রত্নতাত্ত্বিক খননে শিক্ষার্থীরা৷ আমাদের কাজ এখন বিশ্বমানের৷ আমাদের বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনার প্রয়োজন নেই৷
আরও পড়ুন: জাবিতে বর্ণিল আয়োজনে প্রজাপতি মেলা
তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে জাবি শিক্ষার্থীর ৭ বছরের কারাদণ্ড
বগুড়ায় পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
বগুড়ার সোনাতলায় পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টার দিকে দিগদাইড় ইউনিয়নের দিগদাইড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া দুই শিশু হলো-ওই গ্রামের পল্লী চিকিৎসক আব্দুল আলীমের মেয়ে আয়েশা ছিদ্দিকা (৪) এবং পিস্তা মিয়ার ছেলে আহসান হাবীব (৪)।
আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের গর্তের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল ১০টার দিকে নিজ বাড়ির উঠানে খেলছিল আয়শা ও আহসান। এ সময় পরিবারের লোকজন বাড়ির কাজে ব্যস্ত ছিলেন।
তাদের বাড়িতে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুজির একপর্যায়ে বাড়ির পাশের একটি ডোবায় লাশ ভেসে ওঠতে দেখে পরিবারের লোকজন।
এ বিষয়ে সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈকত হাসান জানান, পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
কৃষকদের সফল ব্যবসায়ী হিসাবে গড়ার উদ্যোগ লাল তীরের
লাল তীর সীড লিমিটেড দক্ষিণ বঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলের সাতটি জেলায় কেএফডব্লিউ-ডিইজি এর সহযোগিতায় আধুনিক প্রযুক্তিতে সবজি চারা উৎপাদনের ওপর ডেভেলপ প্রকল্পটি জানুয়ারি ২০২১ সাল থেকে বাস্তবায়ন করে আসছে।
প্রকল্পটির মূল লক্ষ্য হচ্ছে:
উপকূলীয় অঞ্চলের কৃষকদের মাঝে গুণগত মানসম্পন্ন চারা সরবরাহ করার মাধ্যমে দক্ষ নার্সারিম্যান তৈরি করা, তাদের আর্থিক উন্নয়ন ঘটানো এবং পারিবারিক খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
সর্বোপরি প্রত্যেক নার্সারিম্যানকে একজন সফল ব্যবসায়ী হিসাবে গড়ে তোলা।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিহীন, তীব্র তাপদাহে রোপা আমন ও সবজি নিয়ে বিপাকে নওগাঁর কৃষকরা
এ লক্ষ্যে লাল তীর সীড লিমিটেড উপকূলীয় অঞ্চলের সাতটি জেলায় প্রকল্পের মানদণ্ড অনুযায়ী প্রথম ধাপে ১২ জন, দ্বিতীয় ধাপে ১৮ জন এবং তৃতীয় ধাপে ১০ জন হিসাবে মোট ৪০জন নার্সারিম্যান প্রতিষ্ঠা করে।
উক্ত কার্যক্রমকে অধিক সম্প্রসারণ করার লক্ষ্যে মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৩টায় বাগেরহাট জেলার সদর উপজেলার কবিতা মন্ডল, গ্রাম: কররী, ইউনিয়ন-রাখালগাছি, উপজেলা-বাগেরহাট সদর, জেলা-বাগেরহাট লাল তীর সীড লিমিটেডের সার্বিক সহায়তায় এক কৃষক মাঠ দিবসের আয়োজন করেন।
উক্ত মাঠ দিবসে সভাপতিত্ব করেন অত্র এলাকার কৃষক প্রশান্ত কুমার, প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মাহাবুব আনাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, লাল তীর সীড লিমিটেড, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মো. মেহেদী হাসান, উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা টিংকু রানী দাস এবং আবু রায়হান, সিনিয়র ম্যানেজার, লাল তীর।
মাঠ দিবসের কার্যক্রম উপস্থাপনা করেন লাল তীর সীড লিমিটেডের প্রকল্প সমন্বয়কারী ফোরকান আহমেদ।
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অত্র এলাকার দুই শতাধিকের বেশি কৃষক-কৃষাণী।
প্রকল্পের কার্যক্রমকে অধিক সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সীড-ট্রে’তে লবণ সহনশীল সবজির চারা উৎপাদন কৌশল ও চারা বিক্রয় কার্যক্রম বিষয়ক আলোচনা করা হয় এবং লাল তীর সীড লিমিটেডের প্রাতিষ্ঠানিক বিভিন্ন কার্যক্রম উপস্থাপন করা হয়।
নার্সারি মালিক কবিতা মন্ডল জানান, লাল তীর সীড লিমিটেডের সার্বিক সহায়তায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে লবণ সহিষ্ণু গুণগত মান সম্পন্ন উৎপাদন করে আজ আমি স্বাবলম্বী।
লবণ সহনশীল গুণগত মানসম্পন্ন চারা উৎপাদন কার্যক্রম অত্র এলাকার কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে এবং কবিতা মন্ডল একজন স্বাবলম্বী নার্সারিম্যান হিসাবে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছেন এবং তার কার্যক্রম দেখে অন্যান্য কৃষকেরাও আধুনিক পদ্ধতিতে চারা উৎপাদন করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
উপস্থিত কৃষকেরা লাল তীর সীড লিমিটেড এমন কার্যক্রমকে আরও সম্প্রসারণ করার জন্য অনুরোধ করেছেন।
আরও পড়ুন: ঘেরের পাড়ে সবজি চাষে স্বাবলম্বী তেরখাদার চাষিরা
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিতে বিপর্যস্ত যশোরের সবজির বাজার
ফারদিন আত্মহত্যা করেছে: ডিবি
বুয়েটের ছাত্র ফারদিন নূর পরশ আত্মহত্যা করে মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ।
বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
আর পড়ুন: নারায়ণগঞ্জের চনপাড়ায় ফারদিনকে হত্যা করা হয়নি: পুলিশ
ফারদিন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র এবং নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কুতুবপুর এলাকার বাসিন্দা।
নিখোঁজ হওয়ার তিনদিন পর ৭ নভেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জে একটি কটন মিলের পেছনে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ময়নাতদন্ত করা নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক শেখ ফরহাদ জানান, ফারদিনের মাথায় ও শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ওই দিনই ফারদিনের বাবা কাজী নুরুদ্দিন রানা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় ছেলে হত্যার ঘটনায় মামলা করেন এবং পরে মামলাটি গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আর পড়ুন: এটা হতাশাজনক, এক মাসেও তদন্তে কোনো অগ্রগতি নেই: ফারদিনের বাবা
ফারদিন হত্যার তদন্তে অগ্রগতি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: র্যাব
আমরা বাংলাদেশে মানবাধিকার সমুন্নত রাখি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের পরিবর্তে মানবাধিকার রক্ষা করে।
বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস-২০২২ উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার মাছ ধরার ছবি নেটিজেনদের মন ছুঁয়েছে
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে না, বরং সুরক্ষা দেয়। আওয়ামী লীগ জনগণের অধিকার নিশ্চিত করে।’
হত্যা ও জোরপূর্বক গুমের বিষয়ে কথা বলার জন্য বিরোধী বিএনপি নেতাদের নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমানই (বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা) দেশে জোরপূর্বক গুমের সংস্কৃতি শুরু করেছিলেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর অনেক অফিসার ও সৈন্যকে হত্যার জন্য দায়ী। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকে হত্যার পেছনেও তিনি ছিলেন এবং তাদের গুম করেছেন বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, নিহতদের পরিবার ও স্বজনরা কখনো লাশ দেখতে পায়নি। বিএনপি কিভাবে গুম ও হত্যার কথা বলে?
আরও পড়ুন: তথ্য প্রযুক্তিখাতে বিনিয়োগ বাড়াতে শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার পার্ক
আ. লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশের অনেক পরিবর্তন হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মার্কিন রাষ্ট্রদূত শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে স্মৃতিসৌধে যাননি, অন্য কোথাও গেছেন: কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার ও প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে ‘যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সরকারকে রাজি করাতে বিএনপির পরিকল্পনা’ ব্যর্থ হয়েছে।
বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় কাদের এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনাল শেষ, এখন সেমিফাইনালের সময়: কাদের
কাদের বলেন, ‘বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ওয়াশিংটন মিশন ব্যর্থ হয়েছে। তাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করার পরও বাংলাদেশের কেউ যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদিত ব্যক্তি ও সংস্থার তালিকায় ছিল না। তারপরও টাকা কোথা থেকে আসে আমরা জানি না ভেবে বিএনপি লবিস্ট নিয়োগ করেছে। দুবাই থেকে টাকা ভর্তি বস্তার... ঘটনাটা আমরা জানি।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের, জামায়াতের আইন উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্রিটিশ আইনজীবী টবি ক্যাডম্যানের তীব্র সমালোচনা করেন।
কাদের বলেন, ‘টবি ক্যাডম্যান আল জাজিরাকে বলেছেন যে তিনি সেই দলের অংশ ছিলেন যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের সরকারকে বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছিল। র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এই তদবিরের ফল।’
বলপূর্বক গুমের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে কাদের বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে তার নিজের দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রশ্ন করেন।
কাদের বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতিসৌধে না গিয়ে হাস শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে মায়ের ডাক প্রতিষ্ঠাতাদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। আমি তাকে জিজ্ঞেস করতে চাই- আপনার দেশে প্রতি মাসে কত মানুষ গুম হয়? বিরক্ত করবেন না, আমাদের কাছে ইতোমধ্যেই সিএনএন থেকে পরিসংখ্যান রয়েছে।’
কাদের আরও বলেন, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করার আগে পিটার হাসকে গুম ও হত্যার প্রকৃত ইতিহাস জানতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অতীতে বিএনপি নেতারা বলেছিলেন বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মজহার নিখোঁজ হয়েছেন। পরে আমরা তাকে খুলনাগামী একটি বাসে পাই। আমি সালাহউদ্দিনের কথাও বলতে চাই। প্রথমে সবাই বলছিলেন তিনি নিখোঁজ হয়েছেন। কিন্তু পরে আমরা জানতে পারি যে তিনি তার বিরুদ্ধে বিচারাধীন মামলা এড়াতে স্বেচ্ছায় ভারতে গিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ড ও জোরপূর্বক গুমের ঘটনাগুলো পিটার হাসকে অবশ্যই জানতে হবে।’
আরও পড়ুন: একাত্তরের পরাজিত শক্তি প্রতিশোধ নিতে সক্রিয় হচ্ছে: কাদের
বিএনপিকে ২৪ ডিসেম্বর ঢাকায় বিশৃঙ্খলা না করার আহ্বান কাদেরের
আত্মস্বীকৃত খুনিদের যেন কোন দেশ আশ্রয় না দেয় সে জন্য জাতিসংঘে প্রস্তাব তোলা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আত্মস্বীকৃত খুনিদের যেন কোন দেশ আশ্রয় না দেয় সে জন্য জাতিসংঘে প্রস্তাব তোলা হবে।
মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা আত্মস্বীকৃত খুনীদের কোন দেশ যেন আশ্রয় না দেয় সে বিষয়ে দাবি জানালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে জাতিসংঘে একটা প্রস্তাব উত্থাপন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: ডা. এস এ মালেকের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত কিছু খুনি বিভিন্ন দেশে পালিয়ে রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে আমরা একজনকে ফিরিয়ে আনতে পেরেছি। কিন্তু এখনও পাঁচজন আত্মস্বীকৃত খুনি বিভিন্ন দেশে রয়ে গেছে।’
গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের মানুষের ত্যাগের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেখানে গণতন্ত্রের জন্যে, মানবাধিকারের জন্যে, ন্যায়বিচারের জন্যে, মানবিক মর্যাদার জন্যে ৩০ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েছে। পৃথিবীর অন্য কোথাও এতো মানুষ ন্যায়বিচারের জন্যে, গণতন্ত্রের জন্যে, মানবিক মর্যাদা ও মানবাধিকারের জন্যে রক্ত দেয় নাই।
ড. মোমেন ৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের কথা উল্লেখ করে বলেন, আওয়ামী লীগের পক্ষে জনগণের রায়কে তৎকালীন পাকিস্তানি সামরিক জান্তা প্রত্যাখ্যান করে গণহত্যা শুরু করলে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।
সুতরাং আমরা যুদ্ধ করেছি গণতন্ত্রের জন্যে। আমরা যুদ্ধ করেছি ন্যায়বিচারের জন্যে। আমরা যুদ্ধ করেছি মানবিক মর্যাদা সমুন্নত রাখতে। আমরা যুদ্ধ করেছি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের জাতির পিতা হিসাবে যা যা করার করে দিয়ে গেছেন। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য মাত্র নয় মাসের মধ্যে একটি উন্নত শাসনতন্ত্র দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছর দেশ পরিচালনা করেছেন। এই সাড়ে তিন বছরে তিনি ১২৬টি দেশের স্বীকৃতি আদায় করেছেন। বঙ্গবন্ধুর ডায়নামিক ও কারিশম্যাটিক নেতৃত্বের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছিল।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে এদেশে আইনের শাসন ভূলুণ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আবার কাজ শুরু করে। আর ১৩ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনামলে আর্থসামাজিক সূচকগুলোতে প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় আমরা অনেক অগ্রগতি অর্জন করেছি।
তিনি বলেন, ‘দারিদ্র একটা অভিশাপ। এই দারিদ্রকেও আমরা মোটামুটি অর্ধেকে নামিয়ে এনেছি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশের উন্নয়নের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতার ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা দেখেছি দুনিয়ায় যেখানেই সরকার স্থিতিশীল, যেখানে শান্তি বিরাজ করে সেখানে মানুষের মঙ্গল হয় এবং উন্নয়ন হয়।’
আরও পড়ুন: ঢাকায় দূতাবাস খুলবেন বলে জানিয়েছেন আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ড. মোমেন সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, রুয়ান্ডা, সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদাহরণ টেনে বলেন, ‘এসব দেশে দীর্ঘদিন স্থিতিশীল সরকার থাকার কারণে অনেক উন্নয়ন করতে পেরেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেসব অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নাই সেখানে উন্নত দেশও ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।’
ইরাক ও লিবিয়ার উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এসব দেশের অবস্থা একসময় অনেক ভাল থাকলেও ওই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা না থাকায় তারা এখন কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন। সুতরাং যেখানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নাই সেখানে মানুষের কল্যাণ হয় না, মানুষের বড় কষ্ট হয়।’
সবাইকে শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে থাকার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনি যদি আপনার পরিবারের উন্নয়ন চান, আপনারা যদি দেশের মঙ্গল চান, জনগণের কল্যাণ চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই শান্তি ও স্থিতিশীলতার দিকে নজর দিতে হবে।’
ড. মোমেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কর্মীদের দেশে ও বিদেশে যারা গুজব রটায় তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান। কিছু কিছু লোক দেশে ও বিদেশে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা ভঙ্গের জন্য বহুরকমের বানোয়াট গল্প তৈরি করেছে এবং অনেক ধরনের উল্টাপাল্টা কথা বলে গুজব রটাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে কয়েকটি বিষয়ে সোচ্চার থাকতে হবে।
প্রথমত, দারিদ্র ও ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে দারিদ্রমুক্ত করার যে ঘোষণা দিয়েছেন আমরাও এ বিষয়ে সোচ্চার থাকবো।
দ্বিতীয়ত, গুণগত শিক্ষা ও মানব সম্পদের উন্নয়ন।
তৃতীয়ত, মানুষের চাকরি ও কর্মসংস্থান এবং চতুর্থত, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, ‘আমরা এগুলো যদি অর্জন করতে পারি, তবে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ করতে পারবো। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটা বাস্তবায়নের পথেই কাজ করে যাচ্ছেন।
এজন্য আমাদের স্লোগান হবে- ‘শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু।
অন্যদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ঠান্ডু।
ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সভাপতি ড. মশিউর মালেকসহ বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নেতারা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: উন্নয়নের জন্য আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা অপরিহার্য : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জাপার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না জিএম কাদের: আপিল বিভাগ
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসাবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
বুধবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এছাড়া আপিল বিভাগ ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ আদালতকে জাপা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়ার রায়ের বিরুদ্ধে কাদেরের করা আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বলেছেন।
আদালতে আবেদনকারী জিয়াউল হক মৃধার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা এবং জিএম কাদেরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনের নিষেধাজ্ঞা হাইকোর্টে স্থগিত
এছাড়া আপিল বিভাগের আদেশ জাপা সিসিইফ হিসাবে কাদেরকে কাজ করতে বাধা দেয়। সিরাজুল বলেন, এখন আমাদের মৃধার বিরুদ্ধে দায়ের করা আবেদনের শুনানি করতে হবে।
এর আগে সোমবার, আপিল বিভাগ ১৩ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সাময়িক নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন।
৩০ নভেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার জজ এম ইনায়েতুর রহিম জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে তার পদে দায়িত্ব পালনের অনুমতি দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন।
২৯ নভেম্বর হাইকোর্ট একটি পুনর্বিবেচনার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিম্ন আদালতের নিষেধাজ্ঞা ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসাবে জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনের পথ পরিষ্কার করেন।
৪ অক্টোবর জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন জিয়াউল হক মৃধা।
৩০ অক্টোবর ঢাকার যুগ্ম জেলা দায়রা জজ আদালত-১ জিএম কাদেরের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
শেখ সিরাজুল ইসলাম ও কলিম উল্লাহ মজুমদারসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী ৬ অক্টোবর আদালতে জিএম কাদেরের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন নিয়ে আদালতে আবেদন করেন।
আবেদনে, ১৬ নভেম্বর আইনজীবীরা একই আদালত কর্তৃক বরখাস্ত করা দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চেয়ারম্যান হিসাবে তার ভূমিকা পালনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার জন্য আদালতের প্রতি আহ্বান জানান।
পরে নিম্ন আদালতের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন কাদের।
মামলার এজাহারে বলা হয়, দলটির প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মারা যান।
হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় (২৮ ডিসেম্বর ২০১৯) কাউন্সিলে জালিয়াতির মাধ্যমে কাদের নিজেকে দলের চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন।
পরে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ক্ষমতা প্রয়োগ করে দলের চেয়ারম্যান হিসাবে কাদের রাঙ্গা, গাজীপুর মহানগর শাখার উপদেষ্টা আতাউর রহমান সরকার ও সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর সিকদারসহ বেশ কয়েকজন নেতাকে বরখাস্ত করেন।
এছাড়া ১৪ সেপ্টেম্বর রাঙ্গাকে পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ এবং ১৭ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকে দল থেকে অপসারণ করা হয়।
মামলায়, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ পর্যন্ত সমস্ত অপসারণ এবং কাউন্সিলকে অবৈধ ঘোষণা করার আদেশ চাওয়া হয়েছিল এবং হাইকোর্টের রিট পিটিশন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দলের পরবর্তী কাউন্সিল স্থগিত রাখতে বলা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা থাকবে কিনা জানা যাবে আগামীকাল
জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা বহাল
করোনা: দেশে মৃত্যু নেই, শনাক্ত ২১
দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে কারও মৃত্যু হয়নি। এই সময়ে নতুন করে ২১ জনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়।
এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় ২৯ হাজার ৪৩৭জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৩৬ হাজার ৮৬৬ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনাভাইরাসে শনাক্ত ২৯
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ৭০০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময়ে শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৭৮ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৫ শতাংশ। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৩৭ জন।
এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৮৬ হাজার ৫৫৬ জনে।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনা: দেশে শনাক্ত ২০, মৃত্যু নেই
দেশে করোনায় মৃত্যু ১, শনাক্ত ১৯
ডেঙ্গু: মৃত্যুশূন্য দিন, শনাক্ত ১৮৪
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে কারও মৃত্যু হয়নি। একই সময়ে নতুন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ১৮৪ জন।
এছাড়া চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট ২৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: মৃত্যুশূন্য দিন, শনাক্ত ২২০
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে ১০০ জন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং বাকি ৮৪ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৯১৬ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ৪৯৪ জন এবং অন্যান্য বিভাগের হাসপাতালগুলোতে ৪২২ জন রোগী ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ১৪ ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৬০ হাজার ৯২৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকায় ৩৮ হাজার ৪৩১ জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ২২ হাজার ৪৯৫ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৫৯ হাজার ৭৪৩ জন ছাড়পত্র নিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন।
এদের মধ্যে ৩৭ হাজার ৭৭২ জন ঢাকার এবং বাকি ২১ হাজার ৯৭১ জন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: মৃত্যু ১, আক্রান্ত ২২০
ডেঙ্গু: আরও একটি মৃত্যুশূন্য দিন পেলো দেশ, শনাক্ত ২২৪