������������������������
দেশে দেড় হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং, দুর্ভোগে মানুষ
বিদ্যুৎ উৎপাদন নতুন রেকর্ড গড়লেও সারাদেশে লোডশেডিং কমার কোনো লক্ষণ নেই। বরং আগের তুলনায় লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) রেকর্ডে দেখা যায়, বুধবার (২৪ এপ্রিল) দেশে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে, যা মঙ্গলবারে ছিল ১ হাজার ৪৯ মেগাওয়াট।
এনএলডিসির তথ্যে আরও দেখা যায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টায় লোডশেডিং ছিল ১ হাজার ৪৬৮ মেগাওয়াট। তবে বুধবার দিনের বেলায় বিদ্যুৎ ঘাটতির মাত্রা কমে সকাল ৭টায় ৫৪২ মেগাওয়াটে নেমে আসে।
কিন্তু আবারও লোডশেডিংয়ের মাত্রা বেড়ে যায় এবং বুধবার বিকাল ৩টায় তা বেড়ে ৮২১ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়।
আরও পড়ুন: হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ও পিজিসিবির তথ্য অনুযায়ী, ১৫ হাজার ২০০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে বিকাল ৫টায় দেশে সন্ধ্যার গুরুত্বপূর্ণ সময় বিদ্যুৎ উৎপাদন ১৪ হাজার ৪৭৩ মেগাওয়াট হয়েছে।
অন্যদিকে বুধবার সন্ধ্যায় চাহিদার পূর্বাভাস ছিল ১৬ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট এবং সরবরাহের পূর্বাভাস ছিল ১৬ হাজার ৫৩০ মেগাওয়াট।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য বড় শহরে লোডশেডিং এড়াতে গিয়ে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়েছে।
বিভিন্ন এলাকা থেকে পাওয়া সংবাদে জানা যায়, এই গ্রীষ্মে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিংয়ের মাত্রা গ্রামীণ মানুষের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে তুলছে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলার সরকারি তথ্যে দেখা যায়, ৩ হাজার ৭৬০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে দেশে গ্যাস উৎপাদন হয়েছে দৈনিক ৩ হাজার ৫৬ মিলিয়ন ঘনফুট।
এতে দেখা যায়, বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিশেষ করে যেগুলো প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে গ্যাস ব্যবহার করে, গ্যাস সংকটের কারণে সেগুলোতে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ২ হাজার ৩১৬ দশমিক ৯ মিলিয়ন ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে ১ হাজার ৩৪৯ দশমিক ৯ মিলিয়ন ঘটফুট গ্যাস সরবরাহ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে
ডেঙ্গুতে আরও ৩৩ জন আক্রান্ত
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশে বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কারো মৃত্যু হয়নি। তবে এই সময়ের মধ্যে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৩ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন আরও ২০ জন রোগী।
চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। এদের মধ্যে পুরুষ ১১ জন ও ১৩ জন নারী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২ হাজার ৮৪ জন।
এদের মধ্যে পুরুষ ১ হাজার ২৮৩ জন ও নারী ৮০১ জন।
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ভূমিকা রাখতে ইউজিসির আহ্বান
২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্য বাস্তবায়নে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্ম-পরিকল্পনা ২০২৩-২৪ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য বাতায়ন হালনাগাদ নিশ্চিতকরণে এক কর্মশালায় এ আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট নিয়মিত হালনাগাদ করা হয় না। এছাড়া, বৈশ্বিক র্যাঙ্কিংয়ে স্থান পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্তের ঘাটতি রয়েছে ওয়েবসাইটগুলোতে।
তিনি দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গবেষণা, উদ্ভাবন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতসহ র্যাঙ্কিংয়ের যাবতীয় সূচকের তথ্য হালনাগাদ করার পরামর্শ দেন।
এ সময় দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন উদ্ভাবনে নেতৃত্ব দেওয়ারও পরামর্শ দেন ইউজিসির এই সদস্য।
ইউজিসির গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ড. মো. ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান।
অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য দেন গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শাহীন সিরাজ।
ইউজিসির আইএমসিটি বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও ইনোভেশন কমিটির ফোকাল পয়েন্ট দ্বিজেন্দ্র চন্দ্র দাসের উপস্থাপনায় কর্মশালায় অংশ নেন ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন কমিটির ফোকাল পয়েন্ট ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
জাপান আইটি উইকে বেসিসের অংশগ্রহণ
এশিয়ার তথ্যপ্রযুক্তি খাতের মিলনমেলা হিসেবে খ্যাত জাপানের টোকিও বিগসাইটে অনুষ্ঠিত জাপান আইটি উইক ২০২৪-এ বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) ২১টি সদস্য প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে।
আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) এটি শুরু হয়ে আগামী ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এই আয়োজন।
বিনিয়োগকারী তথ্যপ্রযুক্তিবিদদের মধ্যে মেলবন্ধন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই মিলনমেলা।
জাপানের এই ট্রেড শোতে অংশগ্রহণকারী বেসিস সদস্যরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য বিটুবি মিটিং, সেমিনার এবং নেটওয়ার্কিং ইভেন্টে অংশগ্রহণ করবে।
এছাড়াও অংশগ্রহণকারী স্টলগুলোতে বেসিস সদস্যদের তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য এবং পরিষেবা সম্পর্কে জানানো এবং বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্র্যান্ডিং করার মাধ্যমে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা তুলে ধরা হবে।
মেলার অংশ হিসেবে বুধবার জাপান আইটি উইক ২০২৪-এ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ: আপনার আইটি গন্তব্য’ শীর্ষক সেমিনার আয়োজিত হয়।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ।
সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের দূতাবাসের বাণিজ্যিক কাউন্সিলর আরিফুল হক এবং ডেসটেনি ইংকের সিওও রেজওয়ানুর কবির। এতে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিএসএম জাফরুল্লাহ।
আরও পড়ুন: অনুষ্ঠিত হলো বেসিস নির্বাচনের প্রার্থী পরিচিতি সভা
সেমিনারে বলা হয়, তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের জন্য পরবর্তী গন্তব্য হলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানিগুলো যেকোনো আন্তর্জাতিক চাহিদা অনুযায়ী পণ্য ও সেবা প্রদানে সক্ষম। আন্তর্জাতিক সফটওয়্যার ও অ্যাপ মার্কেটেও বাংলাদেশের সাফল্য ঈর্ষণীয়।
এবারের জাপান আইটি উইকে বেসিসের সদস্য ১৬টি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে নিজেদের সেবা প্রদর্শন করবে। প্রতিষ্ঠান গুলো হলো- ন্যাসেনিয়া লিমিটেড, ব্রেইন স্টেশন ২৩ পিএলসি, কাওয়াই অ্যাডভান্সড টেকনোলজি অ্যান্ড সলিউশন লিমিটেড, বিজেআইটি লিমিটেড, ড্রিমঅনলাইন লিমিটেড, এট্রাবিট আইসিটি সলিউশন, এডুসফট কনসালট্যান্টস লিমিটেড, বাইনেট সলিউশন্স লিমিটেড, ফ্রনচার টেকনোলজিস লিমিটেড, এসটিআইটিবিডি, পেন্টা গ্লোবাল লিমিটেড, ন্যানোসফট সিস্টেম, হ্যালো ওয়ার্ল্ড কমিউনিকেশন্স লিমিটেড, বিডিকলিং আইটি লিমিটেড, ইন্টেলিয়ার লিমিটেড এবং রেভো ইন্টারেক্টিভ।
প্রথম দিনে ‘ভিজিটর’ হিসেবে অংশ নিচ্ছেন বেসিসের পাঁচটি সদস্য প্রতিষ্ঠান। সেগুলো হলো- প্রাইডসিস আইটি লিমিটেড, দেশলিংক লিমিটেড, কিউ এ হার্বার লিমিটেড, বিটেক্স টেকনোলজিস লিমিটেড ও হাইপার ট্যাগ সলিউশন্স লিমিটেড।
বাংলাদেশ থেকে জাপান আইটি উইকে অংশগ্রহণে সার্বিক বিষয়ে সমন্বয় করেন বেসিস পরিচালক ও বেসিস জাপান ডেস্কের চেয়ারম্যান একেএম আহমেদুল ইসলাম বাবু।
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের প্রকৃত উন্নয়নে বেসিস জাপানের আইটি মার্কেট অন্বেষণ এবং বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগের সুবিধার্থে বেশ কয়েক বছর ধরে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: পর্দা নামলো বেসিস সফটএক্সপোর
মিয়ানমার থেকে ফিরেছে ১৭৩ বাংলাদেশি
মিয়ানমারের রাখাইনে কারাগারে বন্দী থাকা ১৭৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার অনুবিভাগের বিশেষ উদ্যোগে দেশে ফেরেন তারা।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) মিয়ানমারের জাহাজ চিন ডুইন তাদের নিয়ে বাংলাদেশে আসে।
কমল জেটিঘাটে আগত বাংলাদেশি নাগরিকদের অভ্যর্থনা জানান কক্সবাজার সদরের স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার।
অন্যদিকে মিয়ানমারে চলমান অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষকালে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ২৮৮ জন মিয়ানমারের বিজিপি, সেনা, ইমিগ্রেশন ও অন্যান্য সদস্যরা আগামী ২৫ ও ২৬ এপ্রিল প্রত্যাবাসনের কার্যক্রম শেষে তাদের নিজ দেশে ফিরে যাবেন।
কক্সবাজারে বিআইডাব্লিউটিএ ঘাটে প্রত্যাবাসন কার্যক্রম আয়োজন করা হয়েছে।
মিয়ানমার ও বাংলাদেশের নাগরিকদের ফেরতের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে একাধিক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়। এরপর দুই দেশের নাগরিকদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হয়।
বাংলাদেশে অবস্থিত মিয়ানমারের দূতাবাস ও ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে মিয়ানমারের কাছে প্রত্যাবাসনের প্রস্তাব করা হয়।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় মিয়ানমারে বন্দী বাংলাদেশি নাগরিকদের নাগরিকত্ব যাচাই কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।
প্রথমে মিয়ানমার কারাভোগ শেষ করেছেন অথবা সাধারণ ক্ষমা পেয়েছেন এমন ১৪৪ জন যাচাইকৃত বাংলাদেশি নাগরিকদের ফেরত পাঠাতে রাজি হয়। পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ তৎপরতায় মিয়ানমারে কারাভোগ শেষ, কারাভোগরত এবং বিচারাধীন সকল নাগরিকত্ব যাচাই করা বাংলাদেশিদের দেশে ফেরত পাঠাতে রাজি হয় দেশটি। পরে আরও ২৯ বাংলাদেশি নাগরিককে মুক্তি দেয়।
ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাসের যোগাযোগ এবং সিতওয়েতে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের প্রতিনিধি মিয়ানমারের সঙ্গে সমন্বয় করে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।
মিয়ানমারের জাহাজযোগে আসা বাংলাদেশি নাগরিকদের ইমিগ্রেশন, স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কার্যক্রম এবং মিয়ানমারের সেনা ও অন্যান্য সদস্যদের পাঠাতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শেষ হলে বাংলাদেশি নাগরিকদের তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
১৭৩ বাংলাদেশির মধ্যে কক্সবাজারের ১২৯ জন, বান্দরবানের ৩০ জন, রাঙামাটির ৭ জন এবং খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী ও নীলফামারী জেলার একজন করে রয়েছেন।
বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বিজিপি ও অন্যান্য সদস্যদের দ্রুত শনাক্তকরণ ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশন শেষে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমার দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে তাদের হস্তান্তর করা হবে।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত ছয়শ’র বেশি আশ্রয়প্রার্থী মিয়ানমারের বিজিপি ও সামরিক বাহিনীর সদস্যকে মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় দেওয়া ও প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার সীমান্তে আগের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
চীনের আনহুই প্রদেশের সঙ্গে ডিএনসিসি’র সমঝোতা স্মারক সই
চীনের আনহুই প্রদেশের সঙ্গে ডিএনসিসি’র একটি চুক্তি সই হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর গুলশান ডিএনসিসির নগরভবনে সম্মেলন কক্ষে এই সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
ডিএনসিসি মেয়রের উপস্থিতিতে এই চুক্তি সই হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন- চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
সমঝোতা স্মারকে সই করেন ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক ও আনহুই প্রদেশের ফরেন অ্যাফেয়ারস বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল ইয়াং জায়োলিন।
এসময় ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আজকের এই চুক্তির ফলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এর ফলে দুই সিটির মধ্যে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হবে। এই চুক্তির ফলে দুই শহর একে অপরকে অর্থনৈতিক ও কারিগরি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, শিক্ষা, সংস্কৃতি, পর্যটন বিষয়ে জ্ঞান বিনিময় ও সহযোগিতা করবে।
তিনি আরও বলেন, দুই সিটির উত্তম কার্যক্রমগুলো শেয়ার করা হবে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে যে কোন ধরনের সহযোগিতা করতে পারবে আনহুই প্রদেশ। অন্য দিকে ডিএনসিসির উত্তম কার্যক্রমগুলোও শেয়ার করতে পারবে।
মেয়র বলেন, চীন দূতাবাসের সঙ্গে ডিএনসিসি দীর্ঘদিন ধরে যৌথভাবে কাজ করছে। গত বছর চীন দূতাবাসের সহযোগিতায় বনানী কড়াইল বস্তির নারীদের মাঝে অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। গত রমজান মাসেও চীন দূতাবাসের সহযোগিতায় মিরপুর ভাসানটেক বস্তিতে এক হাজার পরিবারের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। ডিএনসিসির বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্রকল্পটিও বাস্তবায়ন করছে চীনের একটি প্রতিষ্ঠান। আজকের এই নতুন চুক্তিতে ডিএনসিসির সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ডিএনসিসি'র প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মরিশাসকে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান তথ্য প্রতিমন্ত্রীর
বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য মরিশাসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) মরিশাসের স্থানীয় সময় সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মনিশ গোবিনের সঙ্গে বৈঠককালে এ আহ্বান জানান তিনি।
বৈঠকে বাংলাদেশ ও মরিশাসের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, নৃতাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে বাংলাদেশ ও মরিশাসের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। দুই দেশের সম্পর্ককে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেন।
বাংলাদেশ থেকে মরিশাসে আরও বেশি শ্রমিক ও পেশাজীবীদের নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন এম এ আরাফাত।
এছাড়া মরিশাসে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকরা যাতে দ্রুত দেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারে সে ব্যাপারে মরিশাস সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
আরও পড়ুন: মরিশাসে বঙ্গবন্ধুর স্মরণে বৃক্ষরোপণ
আফ্রিকা মহাদেশের প্রবেশদ্বার মরিশাসে বাংলাদেশের বিনিয়োগের মাধ্যমে আফ্রিকা মহাদেশে বাংলাদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর সম্ভাবনার কথা বৈঠকে তুলে ধরেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
পশ্চিম ভারত মহাসাগর অঞ্চলে মাদক পাচার এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার নিয়ে প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে বর্তমানে মরিশাসে আছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
আরও পড়ুন: মরিশাসের সাথে সম্পর্ক দৃঢ় করার প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রীর
শিশুদের হাইড্রেটেড-নিরাপদ রাখতে বাড়তি সতর্ক হওয়ার আহ্বান ইউনিসেফের
দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ ও উত্তপ্ত তাপমাত্রার কারণে শিশুদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়ে ইউনিসেফ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির বাংলাদেশ প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট।
বুধবার(২৪ এপ্রিল) ইয়েট এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আপনার প্রতিবেশীদের দিকে নজর রাখুন- দুর্বল পরিবার, প্রতিবন্ধী শিশু, গর্ভবতী নারী এবং বৃদ্ধরা তাপপ্রবাহের সময় অসুস্থতা বা মৃত্যুর উচ্চ ঝুঁকিতে থাকে। সময় নিয়ে প্রতিবেশীদের খোঁজখবর নিন- বিশেষ করে যারা একা থাকেন।’
ইউনিসেফের ২০২১ সালের শিশুদের জলবায়ু ঝুঁকি সূচক (সিসিআরআই) অনুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের 'অত্যন্ত উচ্চ ঝুঁকিতে' রয়েছে বাংলাদেশের শিশুরা।
তাপমাত্রার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে, বিশেষ করে নবজাতক, শিশু এবং ছোট বাচ্চাদের জন্য যারা তাপজনিত অসুস্থতা যেমন হিট স্ট্রোক এবং ডিহাইড্রেশনের কারণে বিশেষভাবে ডায়রিয়া ঝুঁকিপূর্ণ জনসংখ্যা হিসেবে বিবেচিত হয়।
আরও পড়ুন: সার্বজনীন জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিতে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা ইউনিসেফের
ইয়েট বলেন, ‘যেহেতু শিশুদের ওপর ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার প্রভাবের উদ্বেগের কারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে, তাই ইউনিসেফ অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের হাইড্রেটেড ও নিরাপদ রাখতে অতিরিক্ত সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।’
এই তাপপ্রবাহের তীব্রতা জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব থেকে শিশুদের রক্ষা করার জন্য জরুরি পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়।
তাপমাত্রা নজিরহীনভাবে বাড়তে থাকায় অবশ্যই শিশু এবং সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সুস্থতাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে বলে জানান ইয়েট।
এই তাপপ্রবাহ থেকে ইউনিসেফ কর্মী, বাবা-মা, পরিবার, যত্নগ্রহণকারী এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে শিশু ও গর্ভবতী নারীদের রক্ষায় নিম্নের পদক্ষেপগুলো নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে-
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা: শিশুরা যেখানেই থাকুক না কেন, শিশুদের বসার বা খেলার জন্য শীতল জায়গা তৈরি করুন। গরমের দুপুর এবং বিকালের সময় বাইরে থাকা এড়িয়ে চলুন। নিশ্চিত করুন যে শিশুরা হালকা, বাতাস প্রবেশ করে এমন পোশাক পরবে এবং সারা দিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করবে।
প্রাথমিক চিকিৎসা: যদি কোনো শিশু বা গর্ভবতী নারীর হিটস্ট্রেসের লক্ষণগুলো দেখা যায়, যেমন- মাথা ঘোরা, অতিরিক্ত ঘাম, বমি বমি ভাব, হালকা জ্বর, নাক দিয়ে রক্তপাত, পেশি খিঁচুনি, ফুসকুড়ি), ব্যক্তিকে ভালো বায়ু চলাচলসহ শীতল, ছায়াযুক্ত জায়গায় রাখুন এবং ভেজা তোয়ালে বা শীতল পানি দিয়ে শরীর মুছে দিন।
পানি বা ওরাল রিহাইড্রেশন লবণ (ওআরএস) গ্রহণ করুন।
হিটস্ট্রেসের গুরুতর লক্ষণগুলোতে (যেমন বিভ্রান্তি বা প্রতিক্রিয়া জানাতে অক্ষমতা, অজ্ঞান হওয়া, শরীরের উচ্চ তাপমাত্রা, দ্রুত হৃদস্পন্দন, খিঁচুনি এবং চেতনা হ্রাস) হলে জরুরিভিত্তিতে হাসপাতালে নেওয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ।
আরও পড়ুন: শিশু শিক্ষায় বাংলাদেশের অর্জনের প্রশংসা ইউনিসেফের
দেশে আরও ১৮ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি।
তবে এ সময় নতুন করে ১৮ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৯১৫ জনে।
এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৪ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ২৩ জনের করোনা শনাক্ত
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। একই সময় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৭ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৫ জনে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ১২ জনের করোনা শনাক্ত
নারীদের আইসিটিতে দক্ষ করে তুলতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
নারীদের তথ্য ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার চাঁপা।
তিনি বলেন, দেশে ফ্রিল্যান্সিংয়ের চাহিদা বাড়লেও এই সেক্টরে নারীদের অংশগ্রহণ অত্যন্ত কম। নারীদের এই সেক্টরের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সমাজ এবং দেশের অগ্রগতির জন্য নারীদের কর্মক্ষম হওয়া অত্যন্ত জরুরি।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফফর আহমেদ অডিটোরিয়ামে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের আয়োজনে ‘এমপাওয়ারিং গার্লস উইথ আইসিটি স্কিলস অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড অপরচুনিটি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ভবিষ্যতের কর্মসংস্থানের সুযোগ ও চাহিদার কথা মাথায় রেখে নারীদের জন্য কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: আইসিটি খাতে ১০ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে: পলক
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে প্রযুক্তিতে আরও উন্নত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই ডিজিটাল প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করা আছে।
শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুফল ঘরে তুলতে সরকার আইসিটি খাতে নজর দিচ্ছে এবং নতুন প্রযুক্তি নিয়ে আসছে। বাংলাদেশে প্রযুক্তির বিকাশ ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ এবং সামগ্রিকভাবে দেশের সমৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ( শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক তানিয়া হক।
সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষণা পরিচালক ড. মনজুর হোসেন।
এ সময় তিনি বলেন, আরএমজি ও রেমিট্যান্সের পরে বাংলাদেশের জিডিপিতে আইসিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এই সেক্টরে কম বিনিয়োগ লাগে তাই এটি একটি সম্ভাবনাময় খাত।
ড. মনজুর আরও বলেন, ‘নারীদের আইসিটি ক্ষেত্রে অবদান রাখা খুবই সহজ, কারণ এখানে কাজের সময়টা স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ (ফ্লেক্সিবল)। নারীরা চাইলেই দিনের যেকোনো সময় কাজ করতে পারে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের আইসিটি খাতে অংশীদারিত্বে সৌদির আগ্রহ প্রকাশ