%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF
আওয়ামী লীগের ভিত অনেক গভীরে প্রোথিত: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগের ভিত অনেক গভীরে প্রোথিত।
তিনি বলেন, বিএনপি যে দিনের বেলায় পদযাত্রা আর রাতের বেলায় কূটনীতিকদের পদলেহন করে, এই সব করে আওয়ামী লীগ সরকারকে বিদায় দেয়া যাবে না।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে 'সারাহ ইসলাম ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট সেল' উদ্বোধন সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি সব মহানগরে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই কর্মসূচি আসলে পদযাত্রা নয়, বিএনপি এই পদযাত্রার নামে সারাদেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চায়। কয়েকদিন আগে ইউনিয়নে ইউনিয়নে পদযাত্রা করে তারা বিশৃঙ্খলা করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক পাহারায় এবং প্রশাসনের সতর্ক দৃষ্টির কারণে যেভাবে করতে চেয়েছিল সেভাবে করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না : তথ্যমন্ত্রী
এরপরও বিভিন্ন জায়গায় তাদের অস্ত্রধারীদের, সন্ত্রাসীদেরকে দেখা গেছে। এখন আবার ১৮ তারিখ কর্মসূচি দিয়েছে।
ড. হাছান বলেন, করোনা মহামারির মধ্যেও প্রত্যেক মানুষকে বিনামূল্যে করোনার টিকার প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে এবং এখন চতুর্থ ডোজ দেয়া হচ্ছে।
এছাড়া বিশ্বমন্দার মধ্যে, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অর্থনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এটি আমার বক্তব্য নয়, বিশ্বব্যাংকের এ অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট, বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসে বলে গেছেন।
এদিকে আইএমএফের রিপোর্টে আমরা করোনা মহামারির মধ্যেও মাথাপিছু আয়ে ভারতকে ছাড়িয়েছি।
আমাদের সরকার যখন এইভাবে দেশকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, তখন বিএনপি এবং তার মিত্ররা নানা ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে' উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো এ সমস্ত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা না চালিয়ে আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে, সেটিই তাদের জন্য মঙ্গলজনক হবে।
এর আগে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মরণোত্তর অঙ্গদানের মাধ্যমে নিজের মৃত্যুর পরও আরও মানুষকে বাঁচিয়ে রাখার উদ্যোগটি অসাধারণ। মরণোত্তর অঙ্গদান করে চারজন মানুষকে সুস্থ করে তোলা সারাহ ইসলামের মা এখানে উপস্থিত আছেন। আমি সারাহ ইসলামের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বলবো, তিনি যে অসাধারণ কাজ করে গেছেন তা আমাদের সামনে এক অনন্য উদাহরণ।
বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারি হাসপাতালগুলোর উন্নয়নের জন্য অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত একটি হাসপাতাল তৈরি ও চালু হয়েছে, কিছুদিনের মধ্যেই পুরোদমে চালু হবে।
এছাড়া সেটি যে কোনো উন্নত দেশের চিকিৎসার চেয়ে কম নয় বরং অনেক ক্ষেত্রেই উন্নততর সেবা দেবে।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রতি ছয় হাজার মানুষের জন্য একটি কমিউনিটি ক্লিনিক গড়ে দিয়েছেন।
এছাড়া ৩০ প্রকারের ওষুধ বিনামূল্যে সেখানে দেয়া হয়। এই অসাধারণ কাজটি উপমহাদেশে অন্য কোন দেশে নেই, এগুলো আমাদের সরকার করেছে।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোহম্মদ শারফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে মরণোত্তর অঙ্গদানকারী সারাহ ইসলামের মাতা শবনম সুলতানা এবং মানব অঙ্গ প্রতিস্থাপন সার্জনরা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: একজন অসাধারণ ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি আন্দোলন নয়, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে: তথ্যমন্ত্রী
পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে আ.লীগ: বিএনপি
পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে আওয়ামী লীগ সারাদেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
রবিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, শনিবার দেশব্যাপী ইউনিয়ন পর্যায়ের পদযাত্রা কর্মসূচি পালনকালে ৪৩ জেলায় তাদের দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ পাল্টা কর্মসূচির নামে সহিংসতা উসকে দিয়ে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
এছাড়া আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিয়ে সর্বত্র বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে এবং সহিংসতার উসকানি দিচ্ছে।
তিনি বলেন, বিএনপির চলমান আন্দোলনে আতঙ্কিত হওয়ায় ক্ষমতাসীনরা পাল্টা কর্মসূচি নিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিষয়ে বিএনপির কোনো আগ্রহ নেই: মোশাররফ
মোশাররফ বলেন, আওয়ামী লীগ যে কোনো দিন বিরোধীদের প্রতিবাদ না করে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে পারে। আমরা যেদিন কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করি সেদিন তাদের কর্মসূচি দিতে হবে কেন? এটা প্রমাণ করে যে, সরকার ব্যর্থতা ও অপকর্ম ঢাকতে নারাজ হওয়ায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করছে।
তিনি বলেন, তাদের দল শান্তিপূর্ণভাবে জনসাধারণের ইস্যুতে আন্দোলন করছে। সরকার যেভাবে আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে তা জনগণ মেনে নেবে না।
শনিবার সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে দলের মার্চ কর্মসূচিতে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের হামলা ও বাধার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, বিরোধীরা যে কোনো সড়ক কর্মসূচি দিলে আওয়ামী লীগ ‘শান্তি মিছিল ও শান্তি সমাবেশ’ করছে।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বলেছেন, নির্বাচন পর্যন্ত বছরব্যাপী কর্মসূচি দেবেন।
আমি আওয়ামী লীগ নেতাকে অনুরোধ করতে চাই যে আপনারা অনুগ্রহ করে এখনই আপনার কর্মসূচির সময়সূচি ঘোষণা করুন যাতে আমরা পরবর্তীতে শান্তিপূর্ণভাবে নিরাপদ স্থানে আমাদের কর্মসূচি পালন করতে পারি।
কিন্তু আওয়ামী লীগ যদি আমাদের কর্মসূচি ঘোষণার পর পাল্টা কর্মসূচি দেয়, তাহলে বুঝতে হবে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই সরকার আমাদের ওপর হামলা করে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। বাংলাদেশের জনগণই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে।
মোশাররফ বলেন, শনিবার সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, ফেনী, নওগাঁ, কুষ্টিয়া, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, মানিকগঞ্জ, নোয়াখালী, ঝালকাঠি, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নেত্রকোণা, বরগুনা, বাগেরহাট, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গাসহ ৪৩ জেলায় তাদের দলের নেতাকর্মীরা হামলার শিকার হয়েছেন।
ঠাকুরগাঁও, নাটোর, টাঙ্গাইল, চাঁদপুর, ময়মনসিংহ, ভোলা, বরিশাল, খুলনা, লক্ষ্মীপুর, নরসিংদী, মাগুরা, যশোর, রাজশাহী, নারায়ণগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ঢাকা, পঞ্চগড়, কক্সবাজার, পাবনা, রংপুর, লালমনিরহাট, নওগাঁ ও চট্টগ্রাম।
তিনি দাবি করেন, ওই হামলায় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন এবং শনিবার বিরোধী দলের দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
মোশাররফ বলেন, ক্ষমতাসীন দলের ‘ক্যাডাররা’ বিরোধী নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও হামলা চালিয়েছে।
এছাড়া বিভিন্ন বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে বিপুল অংশগ্রহণে তাদের ইউনিয়ন পর্যায়ের কর্মসূচি সফল করার জন্য তিনি জনগণকে অভিনন্দন জানান।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বিএনপির ৫০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দুই মামলা, গ্রেপ্তার ১০
সিরাজগঞ্জে বিএনপির ৩৭ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিষয়ে বিএনপির কোনো আগ্রহ নেই: মোশাররফ
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ব্যাপারে তাদের দলের কোনো আগ্রহ নেই।
তিনি বলেন, ‘এই সরকার কী করছে বা করছে না, সে বিষয়ে আমরা কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’
শনিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়নের বিষয়ে তার মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এই বিএনপি নেতা বলেন, তাদের সংবাদ সম্মেলনের উদ্দেশ্য ছিল শনিবার ইউনিয়ন পর্যায়ে তাদের দলের দেশব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচিতে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হামলা ও বাধার বিষয়ে গণমাধ্যমকে অবহিত করা।
আরও পড়ুন: এবার ১৮ ফেব্রুয়ারি বিভাগীয় শহরে পদযাত্রার ঘোষণা বিএনপির
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেছেন, দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি কে হবেন তা নিয়ে তারা চিন্তিত নন, কারণ তাদের মূল ফোকাস এখন সংসদ ভেঙে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ তাদের ১০ দফা দাবি আদায়ে চলমান আন্দোলনের দিকে।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হতে চলেছেন। কারণ ক্ষমতাসীন দল তাকে দলের রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল সকালে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দেন।
অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ সাহাবুদ্দিন দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: হামলা ও বাধার মধ্যেই ইউনিয়নে ইউনিয়নে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করল বিএনপি
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দেশব্যাপী বিএনপির ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা শুরু
এবার ১৮ ফেব্রুয়ারি বিভাগীয় শহরে পদযাত্রার ঘোষণা বিএনপির
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে সকল ইউনিয়নে অনুরূপ কর্মসূচি পালনের পর আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) সকল বিভাগীয় শহরে মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
রবিবার রাজধানীর শ্যামলী এলাকায় ঢাকা উত্তর সিটি ইউনিটের পদযাত্রা কর্মসূচিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেয়া এবং ১০ দফা দাবি আদায়ে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে শনিবার বিএনপির সব বিভাগের সব সিটি ইউনিট মিছিল করবে বলে জানান তিনি।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ঢাকায় তাদের দলের দক্ষিণ ও উত্তর সিটি ইউনিটগুলো দিবসটি উপলক্ষে পৃথক মিছিল কর্মসূচির আয়োজন করবে।
এছাড়া বিএনপির সমমনা দল ও জোট যারা যুগপৎ আন্দোলন করে আসছে, তারা শনিবার সকল শহরে একই কর্মসূচি পালন করবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: হামলা ও বাধার মধ্যেই ইউনিয়নে ইউনিয়নে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করল বিএনপি
পরে বিএনপির ঢাকা উত্তর মহানগর শাখার নেতাকর্মীদের নিয়ে মোশাররফ তাদের ১০ দফা দাবি মেনে নিতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে শ্যামলী থেকে রাজধানীর বসিলার দিকে মিছিল শুরু করেন।
ব্যানার, জাতীয় ও দলীয় পতাকা, ফেস্টুন ও দলের শীর্ষ নেতাদের প্রতিকৃতি নিয়ে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী এ কর্মসূচিতে যোগ দেন।
এর আগে দলটির ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর শাখার নেতাকর্মীরা তাদের ১০ দফা দাবি আদায়ে যথাক্রমে ২৮, ৩১, ৩০ ও ১ ফেব্রুয়ারি পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেন।
ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলা ও বাধার অভিযোগের মধ্যে গতকাল (শনিবার) সারাদেশের সব ইউনিয়নে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে দলটি।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দেশব্যাপী বিএনপির ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা শুরু
দেশব্যাপী ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলন করতে চায় বিএনপি
বিএনপি আন্দোলন নয়, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি আন্দোলন করতে পারেনা, পারে শুধু বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে।
তিনি বলেন, বিএনপির কাজ হচ্ছে দিনের বেলায় 'পদযাত্রা', রাতের বেলায় 'অ্যাম্বাসি যাত্রা'। রাতের বেলা বিভিন্ন অ্যাম্বাসিতে গিয়ে কূটনীতিকদের হাতে পায়ে ধরে পদলেহন করা। এই হচ্ছে তাদের কাজ। কিন্তু এদেশে কোনো কূটনীতিক কাউকে ক্ষমতায় বসাতে পারে নাই, পারবেও না।
তিনি বলেন, বিএনপির কতটুকু শক্তি আছে আমাদের জানা আছে। রাজনীতির নামে কাউকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে আমরা দিতে পারি না।
এছাড়া সারাদেশে পদযাত্রার উদ্দেশ্য হলো অগ্নি সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করা।
দেশব্যাপী ইউনিয়ন পর্যায়ে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের অংশ হিসেবে শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ফতেহপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ফতেহপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে' প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'এই দেশের ক্ষমতার মালিক জনগণ। আগামী নির্বাচনে জনগণের রায় নিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে আবার সরকার গঠন করবে আওয়ামী লীগ।'
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি বুঝতে পেরেছে আগামী নির্বাচনেও তাদের কোন সম্ভাবনা নাই। তাই তাদের নির্বাচন ভীতি পেয়ে বসেছে। এখন সবাইকে নিয়ে ঐক্য করে কখনও বলে ৩২ দল, কখনও ১২ দল, কখনও ২২ দল, আবার বলে ৫৪ দল। আসলে বিএনপির জোট যে কত দলের, সেটা বলা মুশকিল। ২২ দল এবং ১২ দল মিলে ঢাকা শহরে এক জায়গায় সমাবেশ করলে সেখানে মানুষ পাওয়া যায় পঞ্চাশ জন। আর সাংবাদিক থাকে এক’শ জন। এই হচ্ছে তাদের সমাবেশ।
ফতেহপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট মোহাম্মদ শামীমের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান।
হামলা ও বাধার মধ্যেই ইউনিয়নে ইউনিয়নে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করল বিএনপি
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে সারাদেশের সব ইউনিয়ন পর্যায়ের পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি।
শনিবার দেশের বিভিন্ন জায়গায় কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বাধা দেয় বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
নারায়ণগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, ভোলা, বগুড়া জামালপুর, গাজীপুর, বরগুনা ও নরসিংদীতে ইউএনবির সংবাদদাতারা জানিয়েছেন, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংঘর্ষে এবং বিভিন্ন স্থানে দল বাধার মুখে পড়ে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
সিরাজগঞ্জে বিএনপি-আ’লীগের সংঘর্ষে ১২টি মোটরসাইকেল ভাংচুর ও তিনটি জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দেশব্যাপী বিএনপির ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা শুরু
এছাড়া গণতন্ত্র মঞ্চ, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, ১২ দলীয় জোট, সমমনা জোট, এলডিপি, গণফোরাম, পিপলস পার্টিও তাদের যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় একই কর্মসূচি পালন করে।
বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে কর্মসূচি পালন করে গণতন্ত্র মঞ্চ।
বিএনপির সিনিয়র নেতারা জানান, তাদের চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনে তৃণমূল থেকে জনগণকে সম্পৃক্ত করার দলের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে শুধুমাত্র ইউনিয়ন পর্যায়ে তাদের কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সব ইউনিয়নে তাদের পদযাত্রা কর্মসূচির মূল লক্ষ্য ছিল চলমান আন্দোলনকে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়া।
২৪ ও ৩০ ডিসেম্বরের গণমিছিল,১১ জানুয়ারির অবস্থান কর্মসূচি এবং ১৬জানুয়ারির মিছিল, ২৫ ও ৪ ফেব্রুয়ারি সমাবেশের পর এটি ছিল যুগপৎ আন্দোলনের পঞ্চম কর্মসূচি।
আরও পড়ুন; সিরাজগঞ্জে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ১৯; ১২টি মোটরবাইক ভাঙচুর ৩টিতে আগুন
বাংলাদেশে ২ মানুষের মৃত্যু নেই: সেতুমন্ত্রী
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশে দু’জন মানুষের মৃত্যু নেই। একজন হলেন শেখ মুজিব, যিনি স্বাধীনতা দিয়েছেন। আরেকজন হলেন শেখ হাসিনা, যিনি দেশের অর্থনীতির রূপকার।
তিনি বলেন, তিনি দেশকে বদলে দিয়েছেন। এছাড়া সুনামগঞ্জ শহর একসময় গ্রামীণ বাজার ছিল। এখন সেই দৃশ্য আর নেই।
শনিবার সকালে সুনামগঞ্জ শহরের জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দীর্ঘ সাত বছর পর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আমরা রাজনীতিকে ভালো মানুষের জন্য উপযুক্ত করতে পারিনি: সেতুমন্ত্রী
তিনি বলেন, হিংসা করে কোন লাভ নেই। বিএনপি’র জ্বালা শুধু বাড়ছেই। পদ্মা সেতুর জ্বালা, মেট্রোরেলের জ্বালা, ফ্লাইওভার, ট্যানেল, একদিনে একশ’ সেতু উদ্বোধনের জ্বালা।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি’র গণ অভ্যুত্থান গেল কোথায়? ১০ ডিসেম্বর সরকারের পতন হাক ডাক আর নেই। আর কত লালকার্ড দেখাবেন। বিএনপি’র গনতন্ত্র গোপালগঞ্জের গরুর হাটে গিয়ে আহত হয়েছে। আমরা ডাকি সমাবেশ হয়ে যায় মহাসমাবেশ। বিএনপি ডাকে মহাসমাবেশ হয়ে যায় সমাবেশ।
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, খালেদা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন রাস্তায় দাঁড়াতে দেয়নি আমাদের। ১৪৪ ধারা জারি করা হতো। অফিসের সামনে সমাবেশ করতে পারিনি। ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল। আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন গঠন করে এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার করা হয়েছিল। কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে।
এছাড়া পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দেশ। দুর্নীতিবাজদের মুখে গণতন্ত্র মানে ভুতের মুখে রাম। আমাদেরকে পালানোর ভয় দেখায়! আ’লীগ পালানোর দল নয়। সাহস থাকলে রাজপথে মোকাবিলা করুন। খেলা হবে। আগামী খেলা হবে ফাইনাল খেলা।
আরও পড়ুন: বিএনপির ১০ দফার মধ্যে মেনে নেয়ার মতো দাবি আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী
সিন্ধুর মধ্যে বিন্দুর পদত্যাগে কিছু আসে-যায় না: সেতুমন্ত্রী
সিরাজগঞ্জে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ১৯; ১২টি মোটরবাইক ভাঙচুর ৩টিতে আগুন
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে চলমান আন্দোলন কমসূচি পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৯ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় ১২টি মোটরসাইকেল ভাঙচুরর ও তিনটিতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, সকাল ১০টার দিকে পাইকপাড়িয়া বাজারে বিকালে শান্তি সমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি সভা চলাকালে বিএনপির মিছিল থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়।
একপর্যায়ে উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে।
মোট ১২টি মোটরসাইকেল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং অন্য তিনটিতে আগুন দেয়া হয়েছে, ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দেশব্যাপী বিএনপির ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা শুরু
কালিয়া হরিপু ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আ.লীগ নেতা মো. আব্দুস সবুর মন্ডল অভিযোগ করেন, সকালে তাদের বিকালের কর্মসূচি নিয়ে প্রস্তুতি সভা করার সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের উপর হামলা করে।
তিনি দাবি করেন, ‘বিএনপি সদস্যরা ঘটনাস্থলে বাইক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
অপরদিকে, ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম মনির দাবি করেন, আ.লীগের সভা থেকে তাদের মিছিলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা শুধু ঘটনার প্রতিবাদ করেছি কিন্তু কোনো ভাঙচুর করা হয়নি।
আরও পড়ুন: বিএনপির পদযাত্রা: নারায়ণগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ১২ নেতাকর্মী আহত
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দেশব্যাপী বিএনপির ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা শুরু
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে দেশের সব ইউনিয়নে পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু করেছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এছাড়া গণতন্ত্র মঞ্চ, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), গণফোরাম ও পিপলস পার্টি যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় একই ধরনের কর্মসূচি পালন করছে। গণতন্ত্র মঞ্চ বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে এ কর্মসূচি পালন করছে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা বলেছেন, চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনে তৃণমূল পর্যায়ের জনগণকে সম্পৃক্ত করার অংশ হিসেবে তাদের কর্মসূচি শুধুমাত্র ইউনিয়ন পর্যায়ে পালন করা হচ্ছে।
৪ ফেব্রুয়ারি নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ের এই পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আরও পড়ুন: তুরস্ক-সিরিয়া ভূমিকম্প: বিএনপির বৃহস্পতিবারের পদযাত্রা কর্মসূচি স্থগিত
সেদিন তিনি বলেন, ‘আমাদের এবারের কর্মসূচি হবে ইউনিয়ন পর্যায়ে। গ্যাস-বিদ্যুৎ, চাল, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, সরকারের পদত্যাগ ও আমাদের ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা করব।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন শুক্রবার ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে বলেন যে সকল ইউনিয়নে তাদের পদযাত্রা কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হচ্ছে চলমান আন্দোলনকে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়া।
তিনি আরও বলেন, ‘ইউনিয়ন পর্যায়ে আমাদের পদযাত্রা কর্মসূচির মাধ্যমে আমাদের আন্দোলন নতুন মাত্রা পাবে।’
২৪ ও ৩০ ডিসেম্বর গণমিছিল, ১১ জানুয়ারি অবস্থান কর্মসূচি, ১৬ জানুয়ারি সমাবেশ এবং ২৫ ও ৪ ফেব্রুয়ারির পদযাত্রার পর এটি হচ্ছে যুগপৎ আন্দোলনের পঞ্চম কর্মসূচি।
আরও পড়ুন: নাটোরে বিএনপির পদযাত্রায় হামলার অভিযোগ
রাজধানীতে ৯ ও ১২ ফেব্রুয়ারি আরও দুটি পদযাত্রার ঘোষণা বিএনপির
নির্বাচনের জন্য কর্ণফুলী পেপার মিল থেকে ৭০০ মেট্রিক টন কাগজ কিনবে ইসি
আগামী জাতীয় নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপানোর জন্য রাষ্ট্রায়াত্ত কর্ণফুলী পেপার মিল (কেপিএম) থেকে প্রায় ৭০০ মেট্টিক টন কাগজ কিনবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
কেএমপির ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম আনিসুজ্জামান বলেন, জাতীয় নির্বাচনে ব্যালট পেপার হিসেবে ব্যবহারের জন্য ইসি মিল থেকে কাগজ সংগ্রহ করেছে। ইসি ৭০০ মেট্রিক টন কাগজ চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে এবং তাদের চাহিদা অনুযায়ী সময়মতো ইসিকে কাগজ দেয়া হবে।
জানা গেছে, নির্বাচনে ব্যালট পেপার ছাপানোর জন্য তিন রঙের কাগজ প্রয়োজন হয়। সাধারণত হলুদ, নীল ও গোলাপী রঙের কাগজ দিয়ে ব্যালট পেপার ছাপানো হয়ে থাকে। তবে, এ বছর ইসির চাহিদা অনুযায়ী রঙিন কাগজ দেবে কেপিএম।
শুধু নির্বাচন কমিশন নয় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানও কেপিএম থেকে কাগজ সংগ্রহ করে থাকে।
এছাড়াও, সরকার শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা পাঠ্যবইয়ে কেপিএম-এর কাগজ ব্যবহার করছে।
কিছু সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও কেপিএম গত ৭৫ বছর ধরে বিভিন্ন সংস্থাকে উচ্চ মানের কাগজ সরবরাহ করে আসছে।
আরও পড়ুন: কর্ণফুলী পেপার মিলে ফের কাগজ উৎপাদন শুরু
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও আংশিকভাবে ইভিএম ব্যবহার করা হবে: ইসি
৬টি আসনের উপনির্বাচনে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ভোট পড়েছে: সিইসির অনুমান