%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের মতো একটি দেশের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে আওয়ামী লীগ জাতিকে বিশৃঙ্খলার দিকে ঠেলে দিয়েছে। দেশের মানুষ এখন জানে না কিভাবে নির্বাচন হবে এবং তারা তাদের ভোট দিতে পারবে কি না।
রবিবার বিএনপি ও ১২-দলীয় জোটের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ দাবি করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান শাসনের পতনের জন্য তাদের চলমান যুগপৎ আন্দোলন জনগণের ব্যাপক আস্থা অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: খালেদা, তারেককে নিয়ে সময় টিভির প্রতিবেদন সম্পর্কে যা বললেন ফখরুল
তিনি বলেন, দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ব্যবস্থাই দেশের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা।
ফখরুল বলেন, বিগত নির্বাচনগুলো প্রমাণ করেছে আওয়ামী লীগ সরকার ও দলীয় প্রশাসনের অধীনে কোনো বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না। আমরা আরও খুশি হতাম যদি দেশের আরও বিশিষ্ট নাগরিক, রাজনৈতিক দল এবং সংগঠনগুলি সত্যিই এই বিষয়গুলি নিয়ে কথা বলত।
আমি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য তাদের আওয়াজ তোলার আহ্বান জানাচ্ছি।
ফখরুল বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে যুগপৎ আন্দোলন ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। অন্যান্য রাজনৈতিক দল আমাদের ১০ দফা দাবিতে একমত হওয়ায় এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ায় যুগপৎ আন্দোলনে জনগণের মধ্যে নিশ্চিতভাবে আস্থা তৈরি হয়েছে।
আওয়ামী লীগ একটি ‘ডাবল স্ট্যান্ডার্ড পার্টি’
ফখরুল অভিযোগ করেন, রবিবার রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে এবং পাবলিক ট্রেন ভাড়া করে সমাবেশ করলেও তারা বিরোধী দলের অনুরূপ কর্মসূচিতে নানা ধরনের বাধা সৃষ্টি করেছে।
বিএনপির ১০টি বিভাগীয় সমাবেশের আগে পরিবহন ধর্মঘট, পুলিশি অভিযান এবং বিরোধী দলের নেতাদের গ্রেপ্তারের মতো বাধার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বিরোধী দলগুলোকে যেকোনো মূল্যে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে বাধা দিতে নানা অপকৌশল অবলম্বন করে।
আওয়ামী লীগ সরকারের চরিত্র ও কর্মকাণ্ড ইতোমধ্যে জনগণের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে। তারা এদেশে সম্পূর্ণ একদলীয় শাসন জারি করছে।
এছাড়া আওয়ামী লীগ সব সময় ‘ডাবল স্ট্যান্ডার্ড পার্টি ’। তারা বলে এক, করে আরেক।
‘এটা বিএনপির পদযাত্রা নয়, মরণযাত্রা’ বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের করা মন্তব্য প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, বিএনপির পদযাত্রার কর্মসূচি দেখে হয়তো ক্ষমতাসীন দলের নেতার কিশোর কুমারের ‘মরণযাত্রা’ গানের কথা মনে পড়ে গেছে। আমি জানি না তিনি নিজের (তার রাজনৈতিক মৃত্যু) সম্পর্কে ভাবছিলেন কি না।
১২ দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, চলমান আন্দোলন ও দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে।
এছাড়া আমরা পরবর্তী কর্মসূচি এবং কীভাবে আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করা যায় সে সম্পর্কেও কথা বলি।
বিএনপি নেতা বলেন, গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে আরও জনসমর্থনের ঢোল বাজিয়ে তারা যুগপৎ আন্দোলন জোরদার করতে সম্মত হয়েছেন।
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু ও এম শাহজাহান, ১২ দলের সমন্বয়ক মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, এলডিপি’র সালমান শাহজাদা, এলডিপির আবু তাহের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহিউদ্দিন ইকরাম, জাগপার রাশেদ প্রধান, ইসলামী ঐক্যজোটের আবদুল করিম, ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম ও মুসলিম লীগের তোফাজ্জল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ক্ষমতাচ্যুতি এড়াতে এখনই পদত্যাগ করুন, সরকারকে ফখরুল
'ফ্যাসিস্ট' সরকার গণতন্ত্রের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনকে বানচাল করতে চাইছে: ফখরুল
আ.লীগ নেতারা কখনো দেশ ছেড়ে পালাবেন না: ওবায়দুল কাদের
সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতারা কোনো প্রতিকূল পরিস্থিতিতেই দেশ ছেড়ে পালাবেন না।
তিনি বলেন, বিএনপি এখন সরকারকে পালিয়ে যেতে বলছে। তারা (বিএনপি নেতারা) বলেছেন, সরকার পালানোর কোনো পথ খুঁজে পাবে না, এটা হাস্যকর।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন ওবায়দুল কাদের
ঐতিহাসিক রাজশাহী মাদরাসা মাঠে রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল জনসভায় রবিবার আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
দর্শকদের হাসি ও উল্লাসের মধ্যে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমি পালাবো না, প্রয়োজনে ফখরুল সাহেবের বাসায় যাব। তুমি কি আমাদের আশ্রয় দেবে না?
যদি না হয়, ঠাকুরগাঁওয়ে তার একটি বাড়ি আছে এবং আমরা সেই বাড়িতে যাব,
কাদের বলেন, জনরোষ থেকে নিজেদের চামড়া বাঁচাতে বিএনপি নেতাদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার ইতিহাস রয়েছে। এছাড়া লন্ডনে পালানোর আগে তারেক রহমান একটি বন্ডে সই করেছিলেন যে তিনি আর রাজনীতি করবেন না।
এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, দণ্ডিত পলাতক এখন বিরোধী দলের নেতা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি এ দেশে জন্মেছেন এবং এ দেশেই মৃত্যুবরণ করবেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শনিবার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, তারা নতুন কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারের কাছে একটি বার্তা পাঠাতে চান।
তা হল অবিলম্বে পদত্যাগ করে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা এবং একটি নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে জনগণকে তাদের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করার অনুমতি দেয়া।
আরও পড়ুন: বড় ধরনের হামলা ও নাশকতার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
বিএনপি ক্ষমতায় এলে একাত্তরের চেতনা বিলুপ্ত হয়ে যাবে: ওবায়দুল কাদের
রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে নেতাকর্মীদের ঢল
রাজশাহীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিভাগীয় সমাবেশে নেতাকর্মীদের ব্যাপক সমাগম ঘটেছে। সকাল থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা দলে দলে সমাবেশেস্থলে প্রবেশ করেন।
সকাল ৯টার দিকে উন্মুক্ত করে দেয়া হয় ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠ (হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠ)। দুপুর ২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাষণ প্রদান করার কথা আছে। তবে নির্ধারিত সময়ে তিন ঘন্টা আগেই বেলা ১১টার মধ্যেই পুরো জনসভা মাঠ জনসাধারণ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঢলে পরিপূর্ণ হয়।
রবিবার বেলা ১১টা ৫০মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের জনসভা শুরু হয়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী ২৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন রবিবার
উক্ত সমাবেশ থেকেই এক হাজার ৩১৭ কোটি টাকার ২৫টি প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া ৩৭৬ কোটি টাকার আরও ছয়টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
ভোর থেকেই জনসভা এলাকায় আসতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। জেলার বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি উপজেলা থেকেও মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে আসছেন। এ সময় তাদের স্লোগানে-স্লোগানে মুখর রাজশাহী নগরী।
জনসভাকে কেন্দ্র করে কয়েক ধাপে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামাল জনসভার সভাপতিত্ব করছেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী সারদা পুলিশ একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে ৩৮তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। পরে তিনি প্রশিক্ষণে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী কর্মকর্তাদের মাঝে ট্রফি বিতরণ করেন। এরপর নবীন এ পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য ছাড়াও মহাপরিদর্শকসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিন, তাদের আস্থা অর্জন করুন: পুলিশের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী
অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকার প্রস্তুতি নিচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
পেছন দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এছাড়া নেতাবিহীন দলের ক্ষমতায় আসারও কোনো সুযোগ নেই। তাই আগে নেতা খুঁজুন, তারপর রাজনীতিতে আসুন।
শনিবার বিকালে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জাগীর উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের উদ্বোধন ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশের সকল জেলা হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সার্ভিস চালু করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, পরিচ্ছন্ন রাজনীতি করতে হবে। পেছনের দরজা দিয়ে রাজনীতি করা, ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করা চলবে না। নির্বাচনে আসুন, নির্বাচনে এসে জনগণের ভোট প্রার্থনা করুন, ভোটের মাধ্যমে জনগণ ক্ষমতায় নিলে আপনারা ক্ষমতায় যাবেন।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি শুধু ক্ষমতায় আসতে চায়। তার জন্য দেশে বিশৃঙ্খলা করছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলেই লুটপাট শুরু করবে।
কাজেই বিএনপিকে ক্ষমতায় আনা যাবে না।
জাহিদ মালেক বলেন, শিক্ষা ছাড়া যেমন ভালো মানুষ হওয়া যায় না তেমনি, স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা যায় না। লেখাপড়ার মাধ্যমে প্রকৃত মানুষ হতে পারবে। নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে পারবে। তাহলে জীবনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারবে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা রাজনীতি করে উন্নয়নের জন্য। দেশের মানুষের শান্তির জন্য। কাজেই আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে। রাজনীতিতে ঐক্য থাকতে হবে। রাজনীতিতে ঐক্য না থাকলে তৃতীয় শক্তি ক্ষমতা নিয়ে যাবে।
জাগীর উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. শামীম মিয়ার সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আবদুল লতিফ, পৌর মেয়র মো. রমজান আলী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব কুমার সাহা, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যখাতে অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
পহেলা মার্চ থেকে নিজ প্রতিষ্ঠানেই রোগী দেখতে পারবেন সরকারি চিকিৎসকরা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ক্ষমতাচ্যুতি এড়াতে এখনই পদত্যাগ করুন, সরকারকে ফখরুল
দলের পদযাত্রা কর্মসূচিকে সরকারবিরোধী আন্দোলনের নতুন রূপ আখ্যায়িত করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারকে অবিলম্বে ক্ষমতা ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
শনিবার রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় পদযাত্রা কর্মসূচি শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আজ (শনিবার) ঢাকা শহরে এই নীরব প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে আমরা নতুন আন্দোলন শুরু করেছি। জনগণের সঙ্গে একত্রে নীরব মিছিলের মাধ্যমে আমরা এই ভয়ঙ্কর, দানব সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করব।’
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের মুক্তির দাবি ৬০ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের
বিএনপি নেতা আরও বলেন, অবিলম্বে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে এবং একটি নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে নতুন কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারকে বার্তা দিতে চান তারা।
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘অন্যথায় আপনাদেরকে খুব মর্মান্তিক ক্ষমতাচ্যুতির মুখোমুখি হতে হবে এবং আপনারা পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না।’
দলের চারদিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপি নেতাকর্মীরা নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে বাড্ডার সুবাস্তু নজর ভ্যালি বাজার থেকে রাজধানীর মালিবাগের আবুল হোটেল এলাকা অভিমুখে মিছিল করেন।
দুপুর আড়াইটার দিকে ফখরুল আনুষ্ঠানিকভাবে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন যা চার কিলোমিটার সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিকাল ৪টার দিকে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়।
তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের কোনো উসকানির জবাব না দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করতে বলেন। ‘আমরা এখন পর্যন্ত আমাদের সকল কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করেছি এবং শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের (সরকার) পতন নিশ্চিত করব।’
সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ তুলে বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে হটিয়ে তারা জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনবে।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন কোনও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। তাই, আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে এবং সংসদ ভেঙে দিয়ে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। যাতে মানুষ একটি নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে তাদের ভোট দিতে পারে।’
ফখরুল বলেন, নির্দলীয় প্রশাসনের অধীনে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি ও সরকারকে নির্বাচিত করবে। ‘নির্বাচিত সরকারই দেশ চালাবে।’
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, চাল, তেল, লবণ, ডিমসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় মানুষ কষ্ট পাচ্ছে।
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, দমনমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে জনগণ এখন সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে পারে না। ‘বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা ও কাল্পনিক মামলায় ফাঁসিয়ে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। তারা (সরকার) পুরো বাংলাদেশকে কারাগারে পরিণত করেছে।
তাদের দলের প্রায় ৩৫ লাখ মানুষ রাজনৈতিক মামলার শিকার হয়েছেন দাবি করে তিনি বলেন, দেশে সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের জন্য এসব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং গ্রেপ্তারকৃত সব নেতাকর্মীকে মুক্তি দিতে হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ২৮, ৩০, ৩১ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে চারদিনের পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।
আগামী ৩১ জানুয়ারি গাবতলী থেকে মিরপুর-১০ মোড় পর্যন্ত মিছিল করবে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি।
এছাড়া ৩০ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থেকে শ্যামপুর এবং ১ ফেব্রুয়ারি মুগদা থেকে মালিবাগ পর্যন্ত পদযাত্রা করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।
আরও পড়ুন: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল হাসপাতালে ভর্তি
মির্জা ফখরুল ও আব্বাসের জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা শুধুমাত্র পাকিস্তানে আছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি যে জিততে পারবে না তা বুঝতে পেরেছে, আর সে কারণেই তারা নির্বাচনে অংশ না নেয়ার অজুহাত দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিএনপির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত করতে চাই। এছাড়া তারা ২০১৪ সালের মতো তাণ্ডব ঘটানোর সুযোগ পাবে না। তারা চেষ্টা করলে দেশবাসী তাদের সমুদ্রে ফেলে দেবে।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শিক্ষার্থীর মৃত্যু মানবাধিকারের লঙ্ঘন: তথ্যমন্ত্রী
শনিবার রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ চায় প্রতিটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক উল্লেখ করে তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা শুধুমাত্র পাকিস্তানে বিদ্যমান।
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে, বিএনপি পাকিস্তানকে অনুসরণ করতে চায়, কিন্তু আমাদের নির্বাচনী প্রক্রিয়া হবে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের মতো।’
আওয়ামী লীগ নেতা আরও বলেন, ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা ৫০০ ভোট কেন্দ্র পুড়িয়ে দিয়েছে এবং বেশ কয়েকজন নির্বাচন কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সব আসনে ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ব্যবহার করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন ইভিএম কেনার জন্য প্রায় এক মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প প্রস্তাব করেছে। যাইহোক, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে, আমরা প্রকল্পে অগ্রসর না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারে হওয়ায় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর সরকার কোনো ওসি, ইউএনও বা কনস্টেবলকে বদলি করতে পারবে না।
সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, সংসদ সদস্য মো. আয়েন উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দুর্যোগে বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যায় না, তারা শীতের পাখি: তথ্যমন্ত্রী
সরকারকে আবার ধাক্কা দিতে গেলে বিএনপির পা ভেঙে যাবে: তথ্যমন্ত্রী
শাহজাদপুর থেকে মালিবাগ বিএনপির পদযাত্রা শুরু
বিএনপির চার দিনের কর্মসূচির অংশ হিসাবে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ তাদের ১০ দফা দাবি জানাতে রাজধানীর শাহজাদপুর থেকে মালিবাগ পর্যন্ত পদযাত্রা শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি ইউনিট।
শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে শাহজাদপুরের হোসেন মার্কেটের সামনে এ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আরও পড়ুন: বরিশালে বিএনপির সমাবেশে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সংঘর্ষ
কর্মসূচি শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ফখরুল দলের নেতাকর্মীদের কোনো উসকানি না দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান।
ফখরুল বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত আমাদের সকল কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করেছি এবং শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের (সরকার) পতন নিশ্চিত করব।
এছাড়া তাদের পদযাত্রা কর্মসূচিকে সরকারের বিরুদ্ধে নীরব প্রতিবাদ হিসাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তারা সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করবেন।
সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ তুলে বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে হটিয়ে তারা জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনবে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। তাই, আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে এবং সংসদ ভেঙে দিয়ে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে যাতে মানুষ একটি নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে তাদের ভোট দিতে পারে।
বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী দলের শীর্ষ নেতাদের ব্যানার, ফেস্টুন ও প্রতিকৃতি হাতে নিয়ে কর্মসূচিতে যোগ দেন।
তারা সরকারের পদত্যাগ ও দলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগানও দিচ্ছেন।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়া বেলা ১টা থেকে হোসেন মার্কেট এলাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের ভিড় দেখা যায়, অন্যদিকে দলের সিনিয়র নেতারা বারবার যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বলছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার ২৮, ৩০, ৩১ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে চারদিনের পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।
আগামী ৩১ জানুয়ারি গাবতলী থেকে মিরপুর-১০ মোড় পর্যন্ত মিছিল করবে ঢাকা উত্তর মহানগর বিএনপি।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ২৮ জানুয়ারি থেকে ৪ দিনব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচির ঘোষণা বিএনপির
চট্টগ্রামে পুলিশের ৪ মামলায় বিএনপির ১০২ নেতাকর্মীর আগাম জামিন লাভ
'ফ্যাসিস্ট' সরকার গণতন্ত্রের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনকে বানচাল করতে চাইছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, সরকার ও তার দালালরা বিভিন্ন 'অশুভ' কৌশল অবলম্বন করে এবং বানোয়াট গল্প তৈরি করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে চাইছে। বিরোধী জোটের মধ্যে ফাটল সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে থাকা বিরোধী দলগুলোর মধ্যে ঐক্য অটুট রয়েছে এবং তারা 'ফ্যাসিস্ট' সরকাকে উৎখাত করতে এগিয়ে যাচ্ছে।
ফখরুল বলেন, ‘আমাদের মধ্যে (বিরোধী জোটের) কোনো সমস্যা নেই...স্বাভাবিকভাবেই সরকার ও তার দালালরা বিরোধী দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনকে দমন ও বানচাল করতে মিডিয়াকে ব্যবহার করে নানা অশুভ কৌশল অবলম্বন করছে এবং নানা রকম গল্প তৈরি করছে।’
বিরোধী দলগুলোর ঐক্য বিনষ্ট করার জন্য সরকারের প্রচেষ্টা নিয়ে তারা কম চিন্তিত বলে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মূল ফোকাস এখন মানুষকে আরও একত্রিত করা এবং ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারী শাসনকে উৎখাত করার জন্য আমাদের আন্দোলনে তাদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করা।’
বিকাল ৪টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শুরু হয়ে দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলে।
বৈঠকে ফখরুল বলেন, চলমান যুগপৎ আন্দোলনকে আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: খালেদা, তারেককে নিয়ে সময় টিভির প্রতিবেদন সম্পর্কে যা বললেন ফখরুল
‘আমাদের বৈঠকে আমরা বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চের একযোগে আন্দোলনের আগের কর্মসূচি পর্যালোচনা করেছি। আমাদের আন্দোলনকে সফল করার জন্য আমরা আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়েও আলোচনা করেছি’, তিনি বলেন।
বিএনপি নেতা বলেন, গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে তারা বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে সম্মত হয়েছেন।
তিনি বলেন, যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য দল ও জোটের সঙ্গেও তারা একই ধরনের বৈঠক করবেন।
গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আন্দোলনকে ধীরে ধীরে বিজয়ের দিকে নিয়ে যাওয়ার কৌশল ও নীতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, তারা বিরোধী দলগুলোর মধ্যে ঐক্য জোরদার করার উপায় নিয়েও কথা বলেছেন। কেউ যেন কোনো বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে আমাদের ঐক্যে কোনো ফাটল সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য আমাদের সজাগ থাকতে হবে।
মান্না বলেন, রাজধানী ঢাকায় বিরোধী জোটের তৎপরতা কীভাবে বাড়ানো যায় সে বিষয়েও তারা কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, ঢাকায় বিএনপি স্বতন্ত্রভাবে কিছু কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ‘আমরা মনে করি যে প্রোগ্রামগুলি কার্যকর হতে পারে। আমরাও কর্মসূচিতে আমাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। এ ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা গণঅভ্যুত্থান ঘটানোর চেষ্টা করব। আমরা আশাবাদী যে আমরা বিপুল জনসমর্থন পাচ্ছি বলে আমরা বিজয়ী হব।’
খালেদাকে নিয়ে সেলিমের মন্তব্য 'ভিত্তিহীন'
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া রাজনীতি করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন বলে সংসদে আওয়ামী লীগ নেতা শেখ সেলিমের বক্তব্যের বিষয়ে মন্তব্য করতে চাইলে ফখরুল বলেন, এটা একটি বানানো গল্প।
‘তিনি (সেলিম) হঠাৎ করেই এই গল্পটা তৈরি করলেন। এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বানোয়াট মন্তব্য’, বিএনপি নেতা যোগ করেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ২৮ জানুয়ারি থেকে ৪ দিনব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচির ঘোষণা বিএনপির
‘বিএনপি নির্বাচনের আগে শীতের পাখির মতো আসে, খায়দায়, মোটাতাজা হয়ে আবার চলে যায়’
বিএনপির নেতাকর্মীদের অতিথি পাখির সঙ্গে তুলনা করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, বিএনপির তারা নির্বাচনের আগে শীতের পাখির মতো আসে, খায়দায়, মোটাতাজা হয়ে আবার চলে যায়।'শুক্রবার বিকালে রাজশাহীর মাদরাসা মাঠে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাস্থল আগাম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির দম ফুরিয়ে গেছে বলে তারা এখন হাঁটার পথ ধরেছে বলেও মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, 'মানুষ যেমন দম ফুরিয়ে গেলে আর দৌড়াতে পারে না, তেমনি মনে হচ্ছে বিএনপির দম ফুরিয়ে গেছে তাই তারা ঢাকায় এখন নিরব পদযাত্রা অর্থাৎ হাঁটার কর্মসূচি দিয়েছে। আসলে গাড়ি পুরনো হয়ে গেলে মাঝে মাঝে স্টার্ট না দিলে গাড়ি অচল হয়ে যায়। সে কারণেই বিএনপিও ক'দিন পরপরই নানা কর্মসূচি ঘোষণা করে।'
আগামী সংসদ নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, 'আমরা আওয়ামী লীগ সারা বছর মানুষের কাছে যাই, তাদের পাশে থাকি। গত ১৪ বছর ধরে আমরা মানুষের পাশে আছি, আগেও ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকবো। মানুষের সুখে-দুঃখে অভাব অভিযোগে শুধু আওয়ামী লীগকেই পাওয়া গেছে।'
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, 'করোনা মহামারির সময় খাদ্যসামগ্রী বলুন আর করোনা প্রতিরোধসামগ্রী বলুন, সরকারের পাশাপাশি এই আওয়ামী লীগই সারাদেশের মানুষের কাছে সেগুলো পৌঁছে দিয়েছে। সেটা করতে গিয়ে অনেক নেতাকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন। বিএনপিকে সেই সময় খুঁজেও পাওয়া যায়নি। ঝড়-বন্যা-ঘুর্ণিঝড়সহ যে কোনো দুর্বিপাকেও আওয়ামী লীগই সবসময় মানুষের পাশে ছিল, আছে।’ রবিবার প্রধানমন্ত্রীর রাজশাহী সফর নিয়ে দলের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার এই সফর নিয়ে সমগ্র রাজশাহী বিভাগের মানুষ ও নেতাকর্মীদের মধ্যে যে উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে, তাতে জনসভাস্থল মাদরাসা মাঠে কোনোভাবেই মানুষের স্থান সংকুলান সম্ভব নয়। সমগ্র রাজশাহীর জনগণ শেখ হাসিনাকে বরণ করতে উন্মুখ হয়ে আছে। লাখ লাখ মানুষের আগমনে পুরো শহরই জনসমুদ্রে পরিণত হবে।'
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শিক্ষার্থীর মৃত্যু মানবাধিকারের লঙ্ঘন: তথ্যমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজশাহী সফর ও জনসভার প্রস্তুতি উপলক্ষে আওয়ামী লীগের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ শুক্রবার বিকালে ঢাকা থেকে রাজশাহী পৌঁছান। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি জনসভা ময়দান মাদরাসা মাঠে উপস্থিত হন এবং কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে মাঠ পরিদর্শন করেন তিনি।
আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, সংসদ সদস্য মো. আয়েন উদ্দিন, দলের কেন্দ্রীয় সদস্য বেগম আকতার জাহান, রাজশাহী মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল সরকার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সরকারকে আবার ধাক্কা দিতে গেলে বিএনপির পা ভেঙে যাবে: তথ্যমন্ত্রী
খালেদা, তারেককে নিয়ে সময় টিভির প্রতিবেদন সম্পর্কে যা বললেন ফখরুল
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানের উদ্ধৃতি দিয়ে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান সম্পর্কে সম্প্রতি প্রকাশিত সময় টিভির প্রতিবেদনের সমালোচনা করেছেন বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
‘বিএনপির ২৭ দফা ঘোষণায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থানের কথা বলা হলেও তাদের নেতৃত্বের শীর্ষে আদালতের রায়ে সাজাপ্রাপ্তদের রাখাকে ‘সাংঘর্ষিক ও নৈতিক অবক্ষয়’- ইফতেখারুজ্জামানের এই মন্তব্যে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় সময় টিভিকে কটাক্ষ করেছেন এই বিএনপি নেতা।
ফখরুলের বক্তব্য তুলে ধরে, সময় টিভি বৃহস্পতিবার আবার আগের প্রতিবেদন প্রচার করেছে এবং প্রতিবেদনটির পিছনে তার অবস্থান এবং ন্যায্যতা রক্ষা করতে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলায় মার্কিন ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এজেন্টের সাক্ষ্যের কথাও উল্লেখ করা হয়। .
সংবাদ সম্মেলনে সময় টিভি সম্পর্কে ফখরুল বলেন, ‘আমাদের নেতা তারেক রহমান ও বেগম জিয়া সম্পর্কে ওই প্রতিবেদন সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পিঠে ছুরিকাঘাতের শামিল। যেহেতু আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি, তাদের উচিত এই ধরনের প্রতিবেদন প্রচার করা থেকে বিরত থাকা।’
আরও পড়ুন: বরিশালে বিএনপির সমাবেশে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সংঘর্ষ
ফখরুল আরও স্বীকার করে বলেছেন, ‘চ্যানেলটি একটি মূলধারার সংবাদমাধ্যম এবং দেশের মানুষ বিশ্বাসযোগ্য হিসাবে গ্রহণ করে।’
গত ১৬ জানুয়ারি ঢাকার নয়াপল্টনে অনুষ্ঠিত দলের সমাবেশ কভার করার সময় সময় টিভি’র এক সাংবাদিক তার ওপর ‘হামলা করার’ জন্য বিএনপিকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার পর এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
সময় টিভির ওই প্রতিবেদনেন বলা হয়, তারেক রহমান ও খালেদা জিয়া উভয়কেই আদালত সাজা দিয়েছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যাবতীয় সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত ব্যক্তিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কিনা সে বিষয়েও প্রতিবেদনে আইনের উল্লেখ করা হয়েছে।
এটিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালকের পর্যবেক্ষণও রয়েছে যে বিএনপি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাহসী অবস্থান নেয়ার কথা বলছে এবং একই সঙ্গে শীর্ষ নেতৃত্বে দণ্ডিতদের নিয়ে দল পরিচালনা করছে।
বিএনপির ২৭ দফার কথা উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক এর আগে দলটির সেগুলো বাস্তবায়নের সামর্থ্য আছে কিনা তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির ইতিহাস এবং দেশের মানুষের সঙ্গে এর অভিজ্ঞতা বিবেচনা করে বলা যেতে পারে যে রাজনৈতিক দলগুলো ইশতেহার তৈরি করে। তারা ক্ষমতায় এলেও চিত্র ভিন্ন। সেই অর্থে, এটি একটি ইচ্ছা তালিকা। যদিও উল্লিখিত অনেক বিষয় বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: সরকারের দিন ঘনিয়ে আসছে: ফখরুল
২০১১ সালের নভেম্বরে, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান এবং তার ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে দায়ের করা ২০ দশমিক ৪১ কোটি টাকার মানি লন্ডারিং মামলায় এফবিআই এজেন্ট সাক্ষ্য দেন। এই প্রথম কোনো মার্কিন এফবিআই এজেন্ট বাংলাদেশের কোনো আদালতে সাক্ষ্য দিলেন।
এফবিআই-এর তত্ত্বাবধায়ক বিশেষ এজেন্ট ডেব্রা ল্যাপ্রেভোট, ঢাকার একটি আদালতের সামনে বর্ণনা করেছেন যে কীভাবে তিনি পাচারের অভিযোগে তারেক রহমান এবং মামুনের সিঙ্গাপুরের একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ট্র্যাক করেছিলেন।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিশেষ আদালত খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। পরে তিনি দ্বিতীয় দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন।
মহামারির মধ্যে, সরকার ২০২০ সালে ২৫ মার্চ এ একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে তার জেলের মেয়াদ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে। সরকার দুটি দুর্নীতির মামলায় তার শর্তসাপেক্ষ মুক্তির মেয়াদ কয়েকবার বাড়িয়েছিল।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ২৮ জানুয়ারি থেকে ৪ দিনব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচির ঘোষণা বিএনপির