রাজনীতি
বিএনপির সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনাল শেষ, এখন সেমিফাইনালের সময়: কাদের
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনাল শেষ, এখন সেমিফাইনালের সময়। এরপর নির্বাচনে হবে ফাইনাল খেলা।
সাত বছর পর চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সোমবার বেলা ১১টার দিকে শহরের টাউন ফুটবল মাঠে বক্তব্য দেয়ার সময় এসব কথা বলেন কাদের।
তিনি বলেন, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে ক্ষমতায় আসা যায় না। মানুষের আস্থা অর্জন করা যায় না। বিএনপির কাজই হচ্ছে লুটপাট ও সন্ত্রাস করা। তারা দেশে কী করেছে তা আপনারা দেখেছেন।
আরও পড়ুন: অক্টোবর-নভেম্বরে দুই ভাগে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন: সেতুমন্ত্রী
তিনি বলেন, দেশ থেকে অর্থ লুটপাট করে বিদেশ পাঠিয়েছেন পলাতক তারেক রহমান। তারা আবার রিজার্ভ নিয়ে কথা বলে। দেশে যথেষ্ট পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এছাড়া যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রধান বক্তা এবং খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, কেন্দ্রীয় অন্য নেতৃবৃন্দের বক্তৃতা করেন।
এই সম্মেলনকে ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। পদপ্রত্যাশী, নেতা-কর্মীদের বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণে তোরণে ছেয়ে গেছে পুরো জেলা শহর। সম্মেলনে অর্ধলাখ মানুষের সমাগম হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২ ডিসেম্বর টাউন ফুটবল মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: সিন্ধুর মধ্যে বিন্দুর পদত্যাগে কিছু আসে-যায় না: সেতুমন্ত্রী
কালনা সেতুর নাম এখন মধুমতি সেতু: সেতুমন্ত্রী
বিএনপি মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিক্ষোভ করবে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের তৎপরতার প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ করবে বিএনপি। মঙ্গলবার দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এছাড়া তাদের দলের সকল মহানগর ও জেলা শাখা গোলাপবাগের সমাবেশ থেকে ঘোষিত পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী একই মাঠে একই দিনে গণমিছিল করবে।
আরও পড়ুন: ২৪ ডিসেম্বর থেকে সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলন শুরু করবে বিএনপি
দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের অভিযানের পর এটিই হবে বিএনপির নয়াপল্টনে প্রথম কর্মসূচি।
পুলিশি অভিযানের চারদিন পর রবিবার দুপুরে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয় খুলে দেয়া হয়।
এর আগে, ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের আগে ৭ ডিসেম্বর দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত ও প্রায় ৫০ জন আহত হন।
গত ৮ ডিসেম্বর ঢাকার একটি আদালত ৭ ডিসেম্বর সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা দু’টি মামলায় এ্যানি ও সালামসহ ৪৪৫ বিএনপি নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠায়।
এছাড়া গত ৯ ডিসেম্বর ভোরে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মির্জা ফখরুল ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।
ওই মামলায় মির্জা ফখরুল ও আব্বাসকে জামিনের আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠান ঢাকার একটি আদালত।
পরে সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আরও পড়ুন: পুলিশি অভিযানের ৪ দিন পর খুলল বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়
স্পিকারের কাছে বিএনপির ৭ সংসদ সদস্যের পদত্যাগপত্র জমা
বিএনপির চাওয়ায় নির্বাচন হবে না, দেশও চলবে না: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিএনপি কী চাইল আর কী চাইল না-সে অনুযায়ী নির্বাচন হবে না, দেশও চলবে না। সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনেই দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সংবিধান অনুযায়ী দেশ চলবে।
তিনি বলেন, বিএনপির ১০ দফা নতুন কিছু নয়। পুরনো ভাঙা রেকর্ড তারা বাজিয়েই চলেছে।
এছাড়া ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর থেকেই তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাই, নিরপেক্ষ সরকার চাই, সরকারের পতন চাইসহ নানা দফা-দাবি জানিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: সরকারি শিল্প কারখানা যেন উৎপাদনশীলতার মডেল হয়: কৃষিমন্ত্রী
রবিবার টাঙ্গাইল শহরের পৌর উদ্যানে টাঙ্গাইল হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগে সংসদের কিছু হবে না। সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি রয়েছে। সংসদ যথানিয়মে চলবে।
বিএনপি-জামায়াতের যুগপৎ আন্দোলনকে হাস্যকর বলে অভিহিত করে মন্ত্রী বলেন, এরা একই বৃন্তের ফুল। যত কথাই শোনা যাক, বিএনপি-জামায়াত পরস্পরকে কখনো ছেড়ে যাবে না।
ড. রাজ্জাক বলেন, বিদেশিদের ও স্বাধীনতাবিরোধীদের উস্কানিতে বিএনপি মনে করে, সন্ত্রাস করে, অরাজকতা করে সরকারের পতন ঘটাবে। এটি কোন দিনই হবে না। ২০১৩ সালে তারা পারেনি, ২০১৪ সালে নির্বাচন হয়েছে। ২০১৫ সালে একটানা ৯০ দিন হরতাল দিয়েছিল বিএনপি, তখনও তারা সফল হয় নি। ২০২২-২৩ সালেও তারা সফল হবে না। কাজেই, বিএনপি আন্দোলন করে কখনো সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না। বর্তমান সরকার একটি ন্যায়সঙ্গত, জনগণের নির্বাচিত সাংবিধানিক সরকার, মেয়াদের শেষ দিন পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে।
অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম, সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের ঋণপ্রাপ্তি সহজ করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
অসাংবিধানিক পদ্ধতিতে সরকারের পতন হবে না: কৃষিমন্ত্রী
সিন্ধুর মধ্যে বিন্দুর পদত্যাগে কিছু আসে-যায় না: সেতুমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সিন্ধুর মধ্যে বিন্দুর পদত্যাগে কিছু আসে-যায় না। এতে সংসদের কিছুই হবে না।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির ২৬ জন এমপি সংসদে আছেন, তারা যাচ্ছেন না।
এছাড়া বিএনপির সংসদ সদস্যরা ভুল করেছেন এমন মন্তব্য করে কাদের বলেন, এই পরামর্শ বিএনপিকে যারা দিয়েছে তারা অচিরেই পস্তাবে।
রবিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকালে মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: অযাচিত মন্তব্য করে বন্ধুত্ব নষ্ট করবেন না: মার্কিন রাষ্ট্রদূতের প্রতি কাদের
কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের শিকড় অনেক নিচে, এটা ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া সম্ভব না। বিএনপির সমাবেশ নিয়ে আতঙ্ক ছিল। ১০ তারিখ চলে গেছে, সব ভয়ের মেঘ চলে গেছে।
আওয়ামী লীগ নোংরা রাজনীতি করে না উল্লেখ করে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ ভদ্র দল। এখানে খালেদা জিয়ার নামও বেগম খালেদা বলার চর্চা চলছে।
এসময় যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আজকে দূতাবাসও পুলিশের ওপর হামলায় উদ্বেগ জানায়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন নারী ধর্ষিত হয়, তখন কোথায় যায় যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার।
এছাড়া ফিলিস্তিনে প্রকাশ্যে হত্যা করা হলো, কী বিচার করেছে আমেরিকা? ইসরায়েলকে আদর করেন, তাদের অন্যায়ের বিচার করেন না, তখন মানবাধিকার কোথায় যায়?
তিনি বলেন, উন্নয়ন আর অর্জনে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। ৭৫ এর পরে বাংলাদেশে এতো ভালো মানুষ জন্মায়নি।
করোনা ও এর পরে অর্থনৈতিক সঙ্কট শেখ হাসিনা সামলে নিয়েছেন উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের কাছে এখনও পাঁচ মাসের রিজার্ভ আছে। বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবেই।
কাদের বলেন, স্টকে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ আছে। আগে মানুষ বাঁচাতে হবে, তাই এখন উন্নয়ন কাজ একটু বন্ধ রাখা হয়েছে, তবে আবারও শুরু হবে।
এছাড়া আওয়ামী লীগের মধ্যে গণতন্ত্র আছে বিএনপির ঘরেই গণতন্ত্র নেই তারা দেশে গণতন্ত্র কিভাবে দেবে।
বিদেশিদের কাছে প্রশ্ন আপনারা খবর নেন জিজ্ঞেস করেন কীভাবে তারা (বিএনপি) দেশে গণতন্ত্র দেবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, এবার সেমিফাইনাল খেলা হবে ভোট চুরি, ষড়যন্ত্র, অপশক্তির বিরুদ্ধে। এরপর ফাইনাল খেলা হবে আগামী বছর ডিসেম্বরে।
আরও পড়ুন: গোলাপবাগে সমাবেশ করে বিএনপি ‘অর্ধেক পরাজিত’: ওবায়দুল কাদের
বিএনপি সমাবেশে লাঠি-আগুন নিয়ে আসলে ‘খেলা হবে’: কাদের
গেজেট হলেই শূন্য আসনে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন: ইসি
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেন, গেজেট হলেই শুন্য আসনে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন।
তিনি বলেন, আমরা মিডিয়ায় দেখেছি, তারা পদত্যাগ করেছেন। এজন্য আসন শূন্য হওয়ার কোনো গেজেট পাইনি। যদি সত্যিকার অর্থেই তারা পদত্যাগ করে থাকেন, তাহলে আসন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হবে। স্পিকার বা তার অনুপস্থিতিতে যদি ডেপুটি স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র দেন, তখন গেজেট হবে।
রবিবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, গেজেট হলে তাদের কাজ শুরু হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত গেজেট না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের কাজ শুরু করার সুযোগ নেই।
এছাড়া কোনো সংসদ সদস্য পদত্যাগ করলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে, এটাই ইসির দায়িত্ব।
আরও পড়ুন: শর্ত পূরণ হলে নিবন্ধন পেতে পারে জামায়াত: নির্বাচন কমিশনার
আসন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন করার বাধ্যবাধকতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা তো সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। নির্বাচন করতেই হবে। কারণ আসন শূন্য রাখার তো কোনো সুযোগ নেই।’
এমপিদের পদত্যাগ নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘তাদের পদত্যাগ ভিন্ন একটি ইস্যু। যতটা না নির্বাচন সম্পর্কিত, ততটা রাজনৈতিক। এটা স্বাভাবিক হিসেবেই দেখছি। একজন সংসদ সদস্য তিনি পদত্যাগ করতে পারেন। এটা সংবিধানে বলা আছে, যে কীভাবে পদত্যাগ করবেন সেটা বলা আছে। এখানে ইসির উৎসাহিত, নিরুৎসাহিত করার কোনো সুযোগ নেই।’
জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির সাত জন সংসদ সদস্য (এমপি)।
রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তারা।
পদত্যাগের ঘোষণা দেয়া সাতজন এমপি হলেন-চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের মো. আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের মো. হারুন অর রশিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের আবদুস সাত্তার, বগুড়া-৪ আসনের মো. মোশাররফ হোসেন, বগুড়া–৬ আসনের গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের জাহিদুর রহমান এবং সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা।
বিদেশে থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদ এবং অসুস্থতার কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার সশরীরে উপস্থিত ছিলেন না। তাদের পক্ষে পদত্যাগপত্র জমা দেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) বিকালে রাজধানীর গোলাপবাগে দলের ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ থেকে বিএনপির দলীয় সাতজন এমপি পদত্যাগ করবেন বলেও ঘোষণা দেয়া হয়।
গণসমাবেশে বিএনপির এমপিরা ধারাবাহিকভাবে বক্তব্য দিয়ে এই পদত্যাগ করার ঘোষণা দেন।
তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. হারুন অর রশিদ অস্ট্রেলিয়ায় থাকায় তিনি গণসমাবেশে উপস্থিত ছিলেন না।
আরও পড়ুন: জানুয়ারিতে প্রস্তাব পাস না হলে ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট সম্ভব না: নির্বাচন কমিশনার আলমগীর
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন ১৫ জানুয়ারির মধ্যে হতে পারে: নির্বাচন কমিশনার
গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করতেই বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করেছেন: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে নস্যাৎ করার উদ্দেশ্য নিয়েই বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করেছেন।
তিনি বলেন, বিএনপি তাদের সমাবেশে ক্রমাগত সরকারকে পদত্যাগ করতে বলছে। কিন্তু এখন তাদের নিজস্ব সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করেছেন। এতেই বোঝা যায় বিএনপির রাজনীতিবিদরা কতটা অগণতান্ত্রিক।
রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, সরকার বা সংসদ তাদের এই পদত্যাগে প্রভাবিত হবে না।
আরও পড়ুন: কপ-২৭ সম্মেলনে লস এন্ড ড্যামেজ স্বীকৃতি পেয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, সাতজন সদস্য পদত্যাগ করলে সংসদের কিছু হবে না। নিয়ম অনুযায়ী সেখানে উপনির্বাচন হবে। আর তাদের ১০ দফা দাবি গতানুগতিক। এগুলো বহুদিন ধরে বলে আসছে।
গোলাপবাগে বিএনপির সমাবেশ সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ১০ লাখ মানুষের সমাবেশের কথা বলে তারা বড়জোড় ৫০ হাজার মানুষের সমাবেশ করেছে। যে মাঠে তারা সমাবেশ করেছে সেমাঠে গরুর হাট বসে। তারা সে মাঠই পছন্দ করেছে। তাদের আরও অনেক বিকল্প বড় মাঠের কথা বলা হয়েছিলো। কিন্তু তাদের গরুর বাজারের মাঠই পছন্দ। যে মাঠে তারা সমাবেশ করেছে সেটার আয়োতন হলো ৫০ হাজার বর্গফুট। ফলে সেমাঠে কতো মানুষ ধরে সেটা সহজে অনুমেয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যতটা ম্যানেজ করতে পেরেছিল তার চেয়ে বেশি লোক আমাদের ছোট আকারের, স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দেয়। এছাড়া আমাদের থানা সম্মেলনেও এর চেয়ে বেশি মানুষ হয়।
মন্ত্রী বলেন, শনিবার মানুষ শঙ্কার মধ্যে ছিলো তারা আবার অগ্নিসন্ত্রাস ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান এবং সরকারিদল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঠে সরব উপস্থিতি কারণে তারা যে ভাবে করতে চেয়েছিলো সেভাবে করতে পারে নাই। অথ্যাৎ সন্ত্রাস, নৈরাজ্য যেভাবে করতে চেয়েছিলো সেভাবে করতে পারে নাই। এরপরও তারা বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর করেছে, সাধারণ মানুষের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে এবং মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, সরকারের প্রস্তাবিত বড় ভেন্যু প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি প্রমাণ করেছে যে তারা তাদের অনুষ্ঠানে মানুষকে আকৃষ্ট করার ক্ষমতায় বিশ্বাস করে না। এছাড়া বিএনপির ১০ দফা দাবি দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির আরেকটি চক্রান্ত।
২৪ ডিসেম্বর সারা দেশে বিএনপির গণমিছিলের ডাক নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২৪ ডিসেম্বর গণমিছিল ডাকা এটি দুরভিসন্ধিমূলক। ওদিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল। সেদিন সারা দেশে সমাবেশ ডাকা আমি মনে করে এটি দুরভিসন্ধিমূলক।
আরও পড়ুন: তথ্যমন্ত্রী সম্পর্কে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
ঢাকার প্রধান সড়কে বিএনপি কেন সমাবেশ করতে চায়: তথ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন
পুলিশি অভিযানের ৪ দিন পর খুলল বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়
রাজধানীর নয়াপল্টনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি)কেন্দ্রীয় কার্যালযয়ে পুলিশি অভিযানের পর চার দিন বন্ধ থাকার পর রবিবার দুপুরে আবার খুলে দেয়া হয়।
দুপুর ১টার দিকে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের নেতৃত্বে কয়েকজন বিএনপি নেতা বিএনপি কার্যালয়ে যান এবং দুপুর সোয়া ১টার দিকে কয়েকজন আইনজীবী ও সাংবাদিক নিয়ে কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।
পরে তারা পুরো কার্যালয় পরিদর্শন করেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমরান সালেহ বলেন, পুলিশ অফিসের আসবাবপত্র ও মূল্যবান জিনিসপত্র ভাঙচুর করেছে। তারা অফিসের কম্পিউটার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি জব্দ করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ অফিসে যে ক্ষতি করেছে, আমরা তার একটি তালিকা তৈরি করব।’
ভাঙচুরের কারণে কার্যালয়ের সর্বত্র কাঁচের টুকরো ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় আইনজীবী, সাংবাদিক ও দলীয় নেতাকর্মীদের সাবধানে অফিসে প্রবেশ করতে বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: স্পিকারের কাছে বিএনপির ৭ সংসদ সদস্যের পদত্যাগপত্র জমা
স্পিকারের কাছে বিএনপির ৭ সংসদ সদস্যের পদত্যাগপত্র জমা
সংসদ ভেঙে দেয়াসহ ১০ দফা দাবিতে সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে বিএনপির সাত সংসদ সদস্য রবিবার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সিরাজ ইউএনবিকে জানান, দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে বিএনপির সংসদ সদস্যরা তাদের পদত্যাগপত্র জমা দেন।
এর আগে শনিবার গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ থেকে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা পদত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা জানান।
আরও পড়ুন: বিএনপির ৭ সংসদ সদস্যের পদত্যাগ
পদত্যাগকারী সংসদ সদস্যরা হলেন- মো. জাহিদুর রহমান, ঠাকুরগাঁও-৩; মো. মোশারফ হোসেন, বগুড়া-৪; গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, বগুড়া-৬; মো. আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২; মো. হারুনুর রশীদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩; আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ এবং রুমিন ফারহানা, মহিলা সংরক্ষিত আসন।
তাদের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের মো. হারুনুর রশীদ, যিনি বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় আছেন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের অসুস্থ সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া রুমিন ফারহানার মাধ্যমে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
এর আগে, শনিবার ই-মেইলের মাধ্যমে সংসদ সদস্যরা পদত্যাগপত্র পাঠান।
আরও পড়ুন: ২৪ ডিসেম্বর থেকে সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলন শুরু করবে বিএনপি
জনগণ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার রায় দিয়েছে: খসরু
স্পিকারকে সশরীরে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন বিএনপির ৭ সংসদ সদস্য
বিএনপির সাত সংসদ সদস্য সংসদের স্পিকারের কাছে রবিবার সশরীরে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন।
সকাল ১১টার দিকে বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার কথা রয়েছে বলে বিএনপি সূত্রে জানা গেছে।
শনিবার গোলাপবাগ মাঠে দলের সমাবেশে পদত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা জানান বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা।
পদত্যাগকারী সংসদ সদস্যরা হলেন: মো. জাহিদুর রহমান, ঠাকুরগাঁও-৩; মো. মোশারফ হোসেন, বগুড়া-৪; গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, বগুড়া-৬; মো. আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২; মো. হারুনুর রশীদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩; আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩; এবং রুমিন ফারহানা, মহিলা সংরক্ষিত আসন।
শনিবার ই-মেইলের মাধ্যমে সংসদ সদস্যরা পদত্যাগপত্র পাঠান।
আরও পড়ুন: বিএনপির ৭ সংসদ সদস্যের পদত্যাগ
২৪ ডিসেম্বর থেকে সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলন শুরু করবে বিএনপি
জনগণ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার রায় দিয়েছে: খসরু
জামায়াতের ১০ দফা দাবি ঘোষণা, গণমিছিল ২৪ ডিসেম্বর
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ১০ দফা দাবি ঘোষণা করেছে। যেখানে ২৪ ডিসেম্বর ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে গণমিছিলের কথা উল্লেখ করা হয়। তাদের এই দাবি শুক্রবার বিএনপির সমাবেশে ঘোষণা দেয়ার পরে পেশ করা হয়।
দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে ১০ দফা দাবির ভিত্তিতে দেশব্যাপী যুগপৎ গণআন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেন জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। বিষয়টি শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে শফিকুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ এক ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আছে। দেশ অব্যাহতভাবে নতুন নতুন সংকটের দিকে ধাবিত হচ্ছে। দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা-সংস্কৃতি ও সামাজিক অঙ্গণে এক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি বিদ্যমান।’
আরও পড়ুন: ২০১৩-১৫ সালের বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার কথা ভুলে যাবেন না: প্রধানমন্ত্রী
দেশে বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসের সংকটে মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিভিন্ন আর্থিক কেলেঙ্কারি দেশকে আর্থিক সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে। দেশ থেকে প্রায় আট লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্প ও মেগা প্রকল্পের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।’
১০ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ ভেঙে দেয়া; ১৯৯৬ সালে অন্তর্ভুক্ত করা সংবিধানের ৫৮ অনুচ্ছেদের খ, গ ও ঘ ধারা অনুসারে একটি নিরপেক্ষ ও অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন; তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে একটি নতুন, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন, যা সব দলের জন্য সমান অংশগ্রহণের ক্ষেত্র তৈরি করবে এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইভিএম ও দলীয় প্রতীকের ব্যবহার বাতিল করবে; বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, জামায়াতের নায়েবে আমীর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী ও ধর্মীয় আলেমসহ সকল বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীর সাজা বাতিল ও সকল রাজনৈতিক বন্দীর মুক্তি; অবিলম্বে জামায়াতের কার্যালয় খুলে দেয়া, মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
দাবিগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮, সন্ত্রাস দমন আইন-২০০৯ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪ সহ মৌলিক মানবাধিকার হরণকারী সকল কালা-কানুন বাতিল করতে হবে; বিদ্যুৎ, জ্বালানি, গ্যাস, সার ও পানিসহ সেবা খাতসমূহে মূল্যবৃদ্ধির গণবিরোধী সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে; গত ১৫ বছরে ব্যাংকিং ও জ্বালানি খাতে এবং শেয়ারবাজারে দুর্নীতি শনাক্ত করতে একটি কমিশন গঠন করতে হবে; গত ১৫ বছরে বলপূর্বক গুমের শিকার সকলকে উদ্ধার করতে হবে এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে হবে; আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের উপযোগী করার লক্ষ্যে সরকারি হস্তক্ষেপ পরিহার করে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে।
এর আগে, শুক্রবার ক্ষমতাসীন সরকারের পদত্যাগ ও বর্তমান জাতীয় সংসদ ভেঙে দেয়ার দাবিসহ ১০ দফা দাবি ঘোষণা করে বিএনপি।
গোলাপবাগ মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন দাবিগুলো তুলে ধরেন এবং ২৪ ডিসেম্বর ‘যুগপৎ সরকারবিরোধী আন্দোলন’ ঘোষণা করেন।
বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে সকল জল্পনা-কল্পনা শেষে শনিবার সকালে ঢাকায় গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ২০০১ সালে হত্যাযজ্ঞ চালাতে জঙ্গিদের ভাড়া করেছিল বিএনপি-জামায়াত সরকার: সজীব ওয়াজেদ
২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকার গঠনের পর হত্যাকাণ্ড চালাতে জঙ্গিদের ভাড়া করে: জয়