রাজনীতি
রাজধানীর জলাবদ্ধতা সরকারের অপরিকল্পিত মেগা প্রকল্পের ফল: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন যে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর কারণে সৃষ্ট ভারি বর্ষণে রাজধানীর বিভিন্ন অংশ এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে জলাবদ্ধতার জন্য সরকারের অপরিকল্পিত মেগা প্রকল্প দায়ী।
তিনি বলেন, ‘আজ (মঙ্গলবার) উত্তরা সড়ক বন্ধ থাকায় অনেক অসুবিধার মধ্যে এখানে এসেছি। ডিএমপি কমিশনার এই সড়ক ব্যবহার না করার জন্য সার্কুলার জারি করেছেন।’
মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিলে দৈনিক নয়াদিগন্তের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে সৃষ্ট বৃষ্টিতে বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী। ‘এটি অপরিকল্পিত মেগা প্রকল্প এবং মেগা উন্নয়নের ফল। তাদের (সরকার) মেগা প্রকল্পের কারণে এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।’
সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ১০ বছর ধরে চলমান বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) নির্মাণের কাজের পয়েন্টগুলোতে জলাবদ্ধতায় দীর্ঘ যানজটের কারণে খিলক্ষেত থেকে উত্তরা হয়ে গাজীপুর পর্যন্ত রুট এড়াতে যাত্রীদের অনুরোধ করেছিল।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তরা ট্রাফিক বিভাগ সতর্কতা জারি করে বলেছে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর কারণে সৃষ্ট ভারী বর্ষণে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের গাজীপুরের বিভিন্ন পয়েন্টে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
ফখরুল বলেন, সরকার জনগণের ভোট ও অন্যান্য সকল অধিকার হরণ করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দেয়ায় জাতি এক ভয়াবহ সময় পার করছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপি কর্মীদের বহনকারী ট্রলারে আ.লীগের হামলা
তিনি বলেন, জনগণের সর্বাত্মক অধিকার নিশ্চিত করে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে তারা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
বিএনপি নেতা আক্ষেপ করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ প্রথমে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে এবং ১৯৭৫ সালে সংবাদপত্র বন্ধ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করেছে। আমাদের এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে হবে অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে, বড় সাহসের সঙ্গে এবং আমাদের জিততে হবে।’
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের আশা, স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে বর্তমান সংবিধান আরও সংশোধন করতে হবে।
বিএনপি নেতা বলেন, ক্ষমতাসীন দল সংবিধান সংশোধন করে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের পথ নিশ্চিত করতে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান চালু করা হয়েছিল তা বাতিল করেছে। তাই সংবিধান সংশোধন করে এই ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করতে হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশ উপলক্ষে মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়েছে খুলনা
ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে নির্বাচনে জিততে পারলে আমরা একটি সাংবিধানিক কমিশন গঠন করব। সংবিধানে যে সব অগণতান্ত্রিক ও গণবিরোধী জিনিস অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, আমরা তা বাতিল করে দেব... আমরা সত্যিকারের সময় নিয়ে আসার চেষ্টা করব। ‘জনগণের যা প্রয়োজন তার ভিত্তিতে উপযুক্ত সংবিধান।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, তিনি মনে করেন দেশের বর্তমান সংবিধান জনগণের আশা-আকাঙ্খা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। ‘দেশের জনগণ যা চায় তার ওপর ভিত্তি করে সংবিধান হওয়া উচিত।
বাংলাদেশকে একটি প্রগতিশীল দেশে পরিণত করতে বাক স্বাধীনতা ও মুক্ত চিন্তার পরিবেশ সৃষ্টি এবং প্রকৃত অর্থে সাম্য ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সাংবাদিকদের ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান ফখরুল। বাংলাদেশকে ন্যায়বিচার ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন একটি কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে অতীতে আপনারা যে ভূমিকা রেখেছেন তা অব্যাহত রাখুন।
আরও পড়ুন: দেশের রাজনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করেছে আ.লীগ: ফখরুল
ইসি নিজেই স্বীকার করেছেন ইভিএম দিয়ে সঠিকভাবে নির্বাচন করা সম্ভব হচ্ছে না: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, এর আগে নির্বাচন নিয়ে আমরা যে কথা বলেছি তা সত্য প্রমাণিত হয়েছে। অন্ততপক্ষে ইভিএমের ক্ষেত্রে প্রমাণিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিজেই স্বীকার করেছেন যে, ইভিএম দিয়ে নির্বাচন সঠিকভাবে করা সম্ভব হচ্ছে না, আয়ত্বে আনা সম্ভব হচ্ছে না।
মঙ্গলবার দুপুরে রংপুর নগরীর পল্লীনিবাসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: উন্নয়নের নামে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করছে সরকার: জিএম কাদের
জিএম কাদের বলেন, প্রেসিডিয়াম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনের আগে যে সব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তার সবগুলোতে আমরা অংশগ্রহণ করবো। এর অর্থ হলো যে, নির্বাচনে যে সব অনিয়ম হয় তা প্রত্যক্ষভাবে দেখার জন্য এবং দেশবাসীকে দেখানোর জন্য আমরা নির্বাচনগুলোতে যাচ্ছি।
ভবিষ্যতে সরকারের পক্ষে বিপক্ষে কথা বলতে গেলে আমরা এসব বিষয় প্রমাণ স্বরূপ তুলে ধরতে পারবো বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোট গঠনের বিষয়ে জিএম কাদের বলেন, আমরা কারো সঙ্গে জোট করবো কি করবো না, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।নির্বাচনের কাছাকাছি সময়ে এসে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
কাদের বলেন, তবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সেভাবে প্রার্থী নির্বাচন করা হচ্ছে।
জিএম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টির একটা অতীত ঐতিহ্য আছে। অতীতে আমরা যে সুশাসন দিয়েছি, পরবর্তীতে কোনো সরকার তুলনামূলকভাবে সে রকম সুশাসন দিতে পারেনি। আমরা জনগণের কাছে এসব বিষয় নিয়ে যাচ্ছি। দলকে শক্তিশালী করতে আমরা কাজ করছি।
এসময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিকালে রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন জিএম কাদের।
আরও পড়ুন: দেউলিয়া হওয়ার পথে দেশ: জিএম কাদের
দেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে দূরে সরে গেছে: জিএম কাদের
দেশের রাজনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করেছে আ.লীগ: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দেশের রাজনৈতিক কাঠামোকে ধ্বংস করেছে।
তিনি বলেন, ‘ আমরা ১৯৯১ সালে অনেক আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যে রাজনৈতিক কাঠামো গড়ে তুলেছিলাম তা আওয়ামী লীগ ধ্বংস করেছে। সেই রাজনৈতিক কাঠামো অনুযায়ী গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও সরকার গঠন করা হবে।
সোমবার ইন্সটিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ-এ জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘জামায়াত ও জাতীয় পার্টিকে সঙ্গে নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রবর্তনের দাবিতে ১৭৩ দিন হরতাল করেছে আওয়ামী লীগ।’
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করে এবং এর অধীনে চারটি বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ‘কিন্তু যখন তারা (আ.লীগ) বুঝতে পারে যে ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত তাদের অপকর্মের জন্য জনগণ তাদের ভোট দেবে না, তখন তারা বিচারপতি খায়রুল হকের সহায়তায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দেয়।’
পরে তিনি বলেন, সরকার বিচার বিভাগকে রাজনীতিকরণ করেছে, ফলে দেশের রাজনৈতিক কাঠামো কেমন হবে তা এখন নির্দেশ করে। ‘এভাবে তারা আমাদের রাজনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করেছে।’
আরও পড়ুন: পুলিশ ‘অবৈধভাবে’ বিরোধীদের তথ্য সংগ্রহ করছে: মির্জা ফখরুল
টাকা কোথায় গেছে
ফখরুল বলেন, সরকার ব্যাপক লুটপাট ও চুরির মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোকেও ধ্বংস করেছে। ‘এখানে চুরি ছাড়া কিছুই হচ্ছে না। সব মেগা প্রকল্পের পিছনে মূল উদ্দেশ্য চুরি। এভাবে তারা পুরো বাংলাদেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। ‘আমাদের অবশ্যই বাংলাদেশকে আবারও দুঃশাসন থেকে মুক্ত করতে হবে এবং জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দল দীর্ঘদিন ধরে গর্ব করে আসছিল যে দেশ প্রায় ২৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতায় বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।
‘কিন্তু আমরা এখন লোডশেডিংয়ের সম্মুখীন হচ্ছি। তাদের জ্বালানি উপদেষ্টা ও আমার শিক্ষক ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, টাকা না থাকায় আমরা কীভাবে বিদ্যুৎ দেব? কিন্তু তারা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছিল যে ৪২ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ নিয়ে অর্থের কোনও সংকট নেই। কোথায় গেল সেই টাকা?
বিএনপি নেতা বলেন, তৌফিক-ই-এলাহী ব্যবসায়ীদের এক অনুষ্ঠানে অসহায়ভাবে স্বীকার করেছেন যে, তারা দিনে বিদ্যুৎ দিতে পারবেন না, রাতে দেয়া হবে। ‘এটি তাদের উন্নয়নের একটি উদাহরণ এবং এভাবেই বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।
দুঃশাসনের অবসান ঘটাতে হবে ঐক্য
ফখরুল অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ বারবার বাংলাদেশের ক্ষতি করেছে এবং তারা আবারও গণতন্ত্র হরণ ও জনগণের অধিকার হরণ করে দেশকে ধ্বংস করছে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও অন্যান্য দমনমূলক আইনের কারণে মানুষ এখন স্বাধীনভাবে তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারে না। ‘এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য আমরা আন্দোলন শুরু করেছি। আমরা আমাদের গণতন্ত্র, ভোটদান এবং অন্যান্য অধিকার পুনরুদ্ধার করতে চাই। আমরা আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে চাই। আমরাও চাই সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার হোক।
দুঃশাসনের অবসান ঘটাতে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাস্তবে রূপ দিতে তরুণসহ সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ লুণ্ঠন-দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়ে জাতির সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে ভেস্তে দিয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের শাসনামলে জাতি যা হারিয়েছে তা ফিরে পেতে তাদের দল আরেকটি যুদ্ধ শুরু করেছে। ‘আমরা একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ ফিরে পেতে
চাই। যেখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ জনগণের সকল অধিকার নিশ্চিত করা হবে এবং তাদের জান-মাল সুরক্ষিত থাকবে।’
ফখরুল বলেন, তারা ক্ষমতায় গেলে প্রথমেই সততা ও সুশাসনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধশালী দেশে পরিণত করার পদক্ষেপ নেবেন।
আরও পড়ুন: ক্ষমতা হারানোর ভয়ে কর্মকর্তাদের অপসারণ করছে সরকার: মির্জা ফখরুল
বাংলাদেশকে তারা শ্মশান করে দিয়েছে: চট্টগ্রামে মির্জা ফখরুল
‘সামনে একটি সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি দেখতে পাচ্ছি’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আশঙ্কা করেছেন যে, সরকার নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় বিরোধ নিষ্পত্তির দায়িত্ব না নিলে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যেভাবে বিবর্তিত হচ্ছে তাতে রাজপথে মারাত্মক সংঘাতের সৃষ্টি হতে পারে।
রবিবার বিদেশি সংবাদমাধ্যমে কর্মরত ঢাকা-ভিত্তিক সাংবাদিকদের প্ল্যাটফর্ম ওভারসিজ করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের(ওকাব) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি সামনে একটি সংঘর্ষের পরিস্থিতি দেখতে পাচ্ছি। সমস্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করার দায়িত্ব সরকারের রয়েছে।’
ফখরুল বিএনপির অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন যে রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তাদের অংশগ্রহনের কোনও সুযোগ নেই।
তিনি সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দল বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি এবং সরকারবিরোধী সমাবেশে যোগ দিতে বাধা দেয়ার অভিযোগ করেন।
২০১৮ সালের নির্বাচনে বগুড়া-৬ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েও সংসদ সদস্য(এমপি) হিসেবে শপথ নিতে অস্বীকার করা বিএনপির এই নেতা বলেন, বিরোধীদের সমাবেশ বানচাল করতে গোয়েন্দা সংস্থা এবং প্রশাসনের দ্বারা বাধা তৈরি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, তাদের লোকজনকে ভয় দেখানো হচ্ছে।গোয়েন্দারা ডিসি ও এসপিদের সঙ্গে বসে আমাদের কর্মসূচি বানচালের সিদ্ধান্ত দিচ্ছে।
সরকারের অধীনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে: হানিফ
আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধানের আলোকে বর্তমান সরকারের অধীনেই হবে।
রবিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে স্থানীয় সরকারি হাজী আব্দুল জলিল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো সুযোগ নেই। তবে নির্বাচনকে আরও গ্রহণযোগ্য করতে সংবিধানের আলোকে কোনো পরামর্শ দিলে সরকার ও নির্বাচন কমিশন অবশ্যই বিবেচনা করবে।
আরও পড়ুন: জনগণ যতদিন চাইবে ততদিন আ.লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকবে: হানিফ
তিনি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অল অ্যাটাক আন্দোলন ঘোষণার সমালোচনা করে বলেন, বিএনপির নেতারা ১০ ডিসেম্বরের স্বপ্ন দেখছেন। তাদের স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই, আওয়ামীলীগ কোনো ভুঁইফোড় সংগঠন নয়। জাতির পিতার হাতে গড়া দল। ৭৩ বছরের আওয়ামীলীগের শিকড় বাংলার মাটির অনেক গভীরে। সুতরাং সরকার পতনের এসব হুংকার দিলে লাভ নেই। বর্তমান সরকারের পতন ঘটানোর শক্তি বিএনপি বা কারও নেই।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহবুব উল আলম হানিফ আরও বলেন, আওয়ামীলীগের মূল শক্তি ক্ষমতা নয়, আওয়ামীলীগের মূল শক্তি হচ্ছে জনগণ। এজন্য আওয়ামী লীগের মাধ্যমে এ দেশের পরিবর্তন এসেছে। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে দরিদ্র দেশ থেকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করছে। দেশের সব উন্নয়নের সঙ্গে আওয়ামীলীগ জড়িত। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে আগামী ২০৩১ সালে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের রাষ্ট্রে উন্নীত হবে। বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের রাষ্ট্রে উন্নীত করতে হলে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে হবে। তাই সংগঠনকে নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে।
অথচ বিগত ১৩ বছরে বারবার আন্দোলন সংগ্রামের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার অপচেষ্টা করেছে বিএনপি-জামায়াত। সবকিছু মোকাবিলা করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আন্দোলনের দোহাই দিয়ে দেশে সন্ত্রাস, সহিংসতা, নাশকতা করে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে চাইলে তাদের কঠোরভাবে দমন করা হবে।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী এমপি।
আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক হাজী মো. সফিউল্লাহ মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল-মাহমুদ স্বপন এমপি, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুস সবুর।
সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার।
আরও পড়ুন: চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি মানবিকতার সঙ্গে বিবেচনা করুন: হানিফ
আগামী নির্বাচনও আ.লীগ সরকারের অধীনে বিএনপির অংশগ্রহণে হবে: হানিফ
খুলনায় বিএনপি কর্মীদের বহনকারী ট্রলারে আ.লীগের হামলা
খুলনা মহানগরীতে শনিবার অনুষ্ঠিত বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার পথে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের হামলায় ফুলতলা উপজেলা বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
সড়কে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় শনিবার সকাল ৯টায় ভৈরব নদীর ফুলতলা ও শিকিরহাট ঘাট দিয়ে নয়টি ট্রলারে করে যাত্রা শুরু করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। সড়কে পরিবহন ধর্মঘটের মধ্যে বিএনপি সমর্থকরা যাত্রায় বেশ কয়েকটি ট্রলার ভাড়া করেছিল।
ফুলতলা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক এনামুল ভূইয়া পারভেজ বলেন, দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ট্রলার বহরটি খুলনার ৫ নং ঘাট এলাকায় পৌঁছালে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হামলায় বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবুল বাশার, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ লুৎফর রহমানসহ অন্তত ৫০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
আহতরা স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। হামলার সময় শত শত নেতাকর্মী নিজেদের বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দেন। তাদের অনেককে এখনো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে তিনি দাবি করেন।
দলের বিভাগীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার খুলনা মহানগর বিএনপি নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশটি দুই কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মর্জিা ফকরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনও সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হবে না। ‘তাই শেখ হাসিনাকে সরে যেতে হবে। এই শাসন দেশের সকল অর্জনকে ধ্বংস করে দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভয়ংকর ফ্যাসিবাদী’ ও ‘স্বৈরাচারী’ শাসনকে উৎখাত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ছাড়া তাদের দলের আর কোনও বিকল্প নেই।
পড়ুন: বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ: খুলনায় মোবাইল ইন্টারনেটে ধীরগতি
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে আ. লীগ ১০ আসনও পাবে না: খুলনায় ফখরুল
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে আ. লীগ ১০ আসনও পাবে না: খুলনায় ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিরুদ্ধে, কারণ এ ধরনের প্রশাসনের অধীনে আগামী নির্বাচন হলে তারা ১০টি আসনও পাবে না।
শনিবার খুলনার জনসভায় তিনি আরও অভিযোগ করেন, সরকার জনগণের ভোট ছাড়া ক্ষমতায় যেতে ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের মতো আরেকটি নির্বাচন করার চেষ্টা করছে।
ফখরুল বলেন, ‘জনগণ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া অন্য কোনও ব্যবস্থা মানবে না (পরবর্তী নির্বাচন তদারকি করার জন্য)। এই দাবি মানতে চান না কেন? কারণ তারা জানেন যে তাদের কোনও অস্তিত্ব থাকবে না এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আপনারা ১০টি আসনও পাবেন না।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগই তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রবর্তনের জন্য ১৭৩ দিন হরতাল করেছিল, কিন্তু দলটি ক্ষমতা গ্রহণের পর আবারও ক্ষমতায় আঁকড়ে সেই ব্যবস্থা বাতিল করেছে।
আরও পড়ুন: পুলিশ ‘অবৈধভাবে’ বিরোধীদের তথ্য সংগ্রহ করছে: মির্জা ফখরুল
বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা খুলনা রেলস্টেশনে হামলা চালিয়েছে: আ.লীগ
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দাবি করেছে, খুলনা রেলওয়ে স্টেশনে বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে।
শনিবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাদের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে এক বার্তায় বলেছে, ‘রেলওয়ে আমাদের জাতীয় সম্পদ। এটা রক্ষা করা সকলের দায়িত্ব।’
আরও পড়ুন: জনগণ যতদিন চাইবে ততদিন আ.লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকবে: হানিফ
শনিবার দুপুর ১টার দিকে খুলনায় বিভাগীয় সমাবেশ শুরু করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি)।
এদিকে ক্ষমতাসীন দল বলছে, বিএনপি-জামায়াতের ‘সন্ত্রাসী বাহিনী’ রেলস্টেশনে হামলা চালিয়েছে এবং বিএনপি রাজনৈতিক সমাবেশের নামে সন্ত্রাসের পথে হাঁটছে। ‘তাদের ভাষা ও কার্যকলাপ রাজনীতির সঙ্গে যায় না।’
খুলনা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টারের বরাত দিয়ে আ.লীগ জানায়, নিজেদের মধ্যে কথা কাটাকাটির জের ধরে বিএনপির সমাবেশে নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
একপর্যায়ে তারা স্টেশনের কাচ ভেঙ্গে ফেলে জানিয়ে আওয়ামী লীগ জানায়, পুলিশকে খবর দিলে তারা আরও উত্তেজিত হয়ে পড়ে।
আওয়ামী লীগের দলীয় ওই ফেসবুক পোস্টে হামলার ছবিও প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: পকেটমার সন্দেহে যুবককে গণপিটুনি দিল আ.লীগ নেতা
হলে আসন নিয়ে বাণিজ্য আ.লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে, ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি কাদেরের
খুলনায় নির্ধারিত সময়ের আগেই বিএনপির সমাবেশ শুরু
বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা ও পরিবহন ধর্মঘট উপেক্ষা করে শনিবার খুলনা মহানগরীতে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী দলটির বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।
বিএনপির খুলনা মহানগর শাখার আয়োজনে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সোনালী ব্যাংক চত্বরে নির্ধারিত সময়ের আড়াই ঘণ্টা পূর্বে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হয়।
যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সমাবেশস্থলের আশপাশে ও শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোতায়েন করা হয়েছে।
আয়োজকরা জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, ভোলা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও যশোরে পুলিশের অভিযানে পাঁচ দলীয় নেতাকর্মীর মৃত্যু এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।
বিএনপি দীর্ঘদিন ধরেই আগামী জাতীয় নির্বাচন কোনো রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে। সংবিধান অনুমোদন করে না বলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্যসহ জ্যৈষ্ঠ নেতারা বক্তব্য দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
গতকাল রাত থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে জড়ো হতে শুরু করে এবং অনেকেই সেখানে রাত কাটান।
বিভিন্ন প্রবেশপথে লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নিতে দেখা গেছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের।
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন অভিযোগ করেন যে খুলনায় যাওয়ার পথে তাদের নেতাকর্মীরা নানা বাধার মুখে পড়েছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার থেকে পুলিশ তাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৪৭ জনকে আটক করেছে।
চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহের পড়ে আজকের সমাবেশটি বিভাগীয় পর্যায়ে বিএনপির তৃতীয় সমাবেশ।
আগামী বছরের শেষের দিকে বা ২০২৪ সালের শুরুতে অনুষ্ঠিতব্য পরবর্তী নির্বাচনের জন্য সমর্থন জোগাতে অন্যান্য বিভাগেও অনুরূপ সমাবেশের পরিকল্পনা করা হয়েছে দলটির।
আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগরীতে গণসমাবেশের মধ্য দিয়ে বিভাগীয় সমাবেশ শেষ করবে বিএনপি।
সমাবেশকে কেন্দ্র করে আজ সকাল থেকেই মিছিলের নগরীতে পরিণত হয় খুলনা শহর।
'বিএনপির ডিসেম্বরের স্বপ্ন, রঙিন স্বপ্নই থেকে যাবে'
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ডিসেম্বর মাস আওয়ামী লীগের মাস, বিজয়ের মাস এবং যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী তাদেরও মাস।
তিনি বলন, ‘বিএনপি এই চেতনার সঙ্গে যায় না এবং ডিসেম্বরে তাদের রাজপথের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার স্বপ্নটি একটি রঙিন স্বপ্নই থেকে যাবে।’
শুক্রবার(২১অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত ‘দ্য মাইন্ড বিহাইন্ড দ্য মিরাকল: শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন’ অনুষ্ঠানে ঢাকায় অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, ক্ষমতাসীন দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ জমির, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ।