রাজনীতি
নোয়াখালীতে বিএনপির প্রতিবাদ সভার মঞ্চ ভাঙচুরের অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে
নোয়াখালীর চাটখিলে বিএনপির ডাকা প্রতিবাদ সভার মঞ্চ, চেয়ার ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় চাটখিল উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু হানিফ ও সদস্য সচিব শাহজাহান রানাসহ ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হওয়ার দাবি করছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা।
শুক্রবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে চাটখিল পৌরসভার চাটখিল আলিয়া মাদরাসা প্রাঙ্গণে ভাঙচুরের এই ঘটনা ঘটে।
কেন্দ্রীয় বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, জ্বালানি তেল এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে চাটখিল পৌরসভার এলাকার আলিয়া মাদরাসার সামনে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বিকাল ৪টার দিকে এই সভার জন্য সকাল থেকে প্যান্ডেল ও মঞ্চ বানানো হয়। জুম্মার নামাজের শেষে হঠাৎ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা কর্মী এসে হামলা চালিয়ে মঞ্চ ও চেয়ার ভাঙচুর করেন। প্রতিবাদ সভায় আসার পথে বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে আমাদের ৩০ জন নেতাকর্মীকে আহত করা হয়।
আরও পড়ুন: বরিশালে বিএনপির ১২ নেতা-কর্মী আটক
নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন বলেন, গত তিন দিন ধরে নোয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলায় বিএনপি প্রতিবাদ সভা করেছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিএনপির প্রতিবাদ সভা পণ্ড করার কোনো নির্দেশনা নেই। তবে চাটখিল উপজেলা বিএনপির মধ্যে দুটি গ্রুপ রয়েছে। তারা নিজেদের মধ্যে কোন্দলের কারণে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবাদ সভাস্থলে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কোনো নেতা-কর্মী হামলা করেনি বলে তিনি দাবি করেন।
এব্যাপারে চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.গিয়াস উদ্দিন বলেন, এই রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি।
ঐক্যবদ্ধভাবে অপপ্রচারের মোকাবিলা করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঐক্যবদ্ধভাবে অপপ্রচারকারীদের মোকাবিলা করার জন্য আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
শুক্রবার ( ২৬ আগস্ট) বিকালে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একটি মহল নানাভাবে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত। এর মাধ্যমে তারা সরকারের জনকল্যাণমূলক কাজকে আড়াল করতে চায়। জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াতে এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে তাদের এমন অপপ্রয়াস।
তিনি বলেন, ‘আমি আমার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের প্রতি আহ্বান জানাই, আপনারা ঐক্যবদ্ধভাবে এই চক্রটিকে মোকাবিলা করুন। তাদের অপপ্রচারের জবাব দিন। জনগণের কাছে গিয়ে তাদের বোঝাতে হবে, যুদ্ধকালীন এই বিরূপ পরিস্থিতিতেও বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে আমরা কতটা ভালো আছি। সবিস্তারে তা তুলে ধরতে হবে।’
তিনি ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রধান ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের নাম ছাত্রলীগ। দেশের এমন অনেক অর্জন আছে, যার সাথে ছাত্রলীগ অবশ্যই জড়িত। সেই ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে কাজ করতে হবে। সতর্ক হয়ে কাজ করতে হবে- যাতে আপনাদের কোন বদনাম না হয়।
তিনি সবার উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা বেশি বেশি বই পড়ুন। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধুকে আরও ভালো করে জানতে বা তার নীতি আদর্শ বুঝতে হলে তার লেখা প্রত্যেকটি বই মনোযোগ দিয়ে পড়তেই হবে।
পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য বিষয়ে মন্তব্যহীন দিল্লি
সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, মাত্র সাড়ে ৩ বছর সময় পেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। এই সময়ে জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফসহ বিশ্বের অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনের সদস্য হতে পেরেছিল বাংলাদেশ। মোট ১৭৩টি দেশের স্বীকৃতি অর্জনে সক্ষম হয়েছিল। আর মাত্র ৯ মাসে শাসনতন্ত্র তৈরি হয়েছিল। দ্রুত সময়ে এতসব অর্জন কেবল বঙ্গবন্ধুর কারণেই সম্ভব হয়েছিল।
সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশোয়ার জাহান সৌরভের সভাপতিত্বে ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজের পরিচালনায় শোকসভার শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম ও মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাইম আহমদ।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আসাদ উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিকসহ অন্যান্য নেতারা।
আরও পড়ুন: ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে লিগ্যাল নোটিশ
ভারতকে দেশে স্থিতিশীলতা বজায়ে সাহায্য করতে বলেছিলাম: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
চট্টগ্রামে বিএনপির মিছিলে বাধা, সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ৪০
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বিএনপির মিছিলে বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিনও রয়েছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বিএনপি একটি মিছিল বের করলে পুলিশ মিছিলে বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন:বরিশালে বাস-ট্রলি সংঘর্ষে নিহত ৩
বিএনপি নেতারা জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, জ্বালানি তেল ও পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি, অসহনীয় লোডশেডিং এবং ভোলায় দুই নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করে দল। এরই অংশ হিসেবে বাঁশখালী উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। এতে যোগ দিতে যাওয়ার সময় পুলিশ নেতাকর্মীদের বাধা দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আমরা আজ বাঁশখালীতে সমাবেশ করেছি। এরপর শান্তিপূর্ণ একটি মিছিল বের করলে পুলিশ আমাদের ওপর এলোপাতাড়ি লাঠিচার্জ ও গুলি করে। আমাদের ৩০ জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তার মধ্যে ৬ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বাঁশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম আরিফুর রহমান জানান, বিএনপির নেতাকর্মীরা একটি মিছিল নিয়ে রাস্তায় উঠে গাড়ি ভাঙচুর করতে চেয়েছিল। তখন তাদের রাস্তায় উঠা যাবে না বললে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করে। এসময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
তিনি আরও জানান, বিএনপির হামলায় আমাদের ওসি স্যার কামাল উদ্দিন, এসআইসহ ১৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে ১৫ জন আহত
ফেনীতে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের সংঘর্ষের ঘটনায় ২২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ঘাতকরা আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর চেষ্টা করছে: শিক্ষামন্ত্রী
ঘাতকরা আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২১ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে, আজও তারা আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর জন্য চেষ্টা করছে। একাত্তরের ঘাতক, পঁচাত্তরের ঘাতক, ২০০৪’র গ্রেনেড হামলাকারীরা এবং ২০১৩-২০১৪ এর অগ্নি সন্ত্রাসীরা এক ও অভিন্ন। এজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। নিজেদের মধ্যে ঐক্য বজায় রাখতে হবে।’
শুক্রবার দুপুরে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
পড়ুন: পাঠ্যপুস্তকে ধর্ম নিয়ে কোন কিছু পরিবর্তন হয়নি: শিক্ষামন্ত্রী
দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাংলার মাটি আর মানুষের সন্তান। অনেক নেতা থাকলেও বঙ্গবন্ধু বাঙালির হাজার বছরের বঞ্চনা, বৈষম্য, নিগ্রহ, শোষিত হওয়া, দারিদ্র্য ও সাম্প্রদায়িকতা দেখেছিলেন। তিনি বৈষম্য, বঞ্চনা ও অর্থনৈতিক মুক্তি চেয়েছিলেন। তিনি বাঙালির মুক্তির প্রাণের তৃষ্ণাকে ধারণ করে আন্দোলন সংগ্রাম করে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতা এনে দেন। তিনি বাঙালির প্রাণের আকাঙ্ক্ষা ধরতে পেরেছিলেন। তাই ২৪ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করে বাঙালির আর নিজের মুক্তির তৃষ্ণা এক কাতারে এনে ৭ মার্চের ভাষণ দান অতঃপর স্বাধীনতার আন্দোলন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর মত আর কেউ বাংলা আর বাঙালিকে ধারণ করতে পারেননি। বঙ্গবন্ধুর প্রিয় শব্দ ছিল মুক্তি। বাঙালির হাজার বছরের কাঙ্খিত মুক্তি তিনি এনে দিয়েছিলেন। বাঙালি রাষ্ট্রের বিনির্মাণ, অর্থনৈতিক মুক্তি, সাংস্কৃতিক তথা মুক্তির দূত হয়ে তিনি বাঙালি ও বাংলাদেশকে গড়ে তুলেছিলেন। শেখ মুজিবের নামে বাংলাদেশ পরিচিতি লাভ করেছে। শেখ মুজিব মানেই বাংলাদেশ। এ জন্য বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ জাতি-রাষ্ট্রের মহানায়ক।
পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞান সৃষ্টির জায়গা: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসা হচ্ছে। আমরা শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আনছি। শিক্ষাকে আনন্দময় করতে চেষ্টা করছি। শিক্ষা যেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় হয় সেই চেষ্টা করছি। এছাড়া শিক্ষা যেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবান্ধব হয় সেই চেষ্টাও করছি।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুনের সভাপতিত্বে ‘বঙ্গবন্ধু: বাংলাদেশ জাতি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মহানায়ক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুজ্জামান বিশ্বাস, পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির, স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেড ও স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস.এম মোস্তফা কামাল খান।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে কলেজ অধ্যক্ষ লাঞ্ছিতের ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রী বিব্রত
সরকারের পতনই এখন বিএনপির একমাত্র লক্ষ্য: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, আওয়ামী লীগের পতনই এখন বিরোধী দলের প্রধান লক্ষ্য।
তিনি বলেন, ‘সত্যিকার বাস্তবতা হলো ফ্যাসিস্ট একনায়কতান্ত্রিক শাসক আওয়ামী লীগ আমাদের যা ছিল তা সব ধ্বংস করে ফেলেছে। এখন আমাদের একমাত্র লক্ষ্যই হলো সরকারের পতন ঘটানো।’
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বিএনপির এই নেতা বিদ্রোহী কবির চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা নজরুলকে নতুনভাবে স্মরণ করি এবং তার চেতনাকে ধারণ করে সামনে অগ্রসর হই। তার মৃত্যুর এই দিনে এটিই আমাদের অঙ্গীকার হওয়া উচিৎ।’
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘নজরুলের রাজনীতি-বাংলাদেশের রাজনীতি’ শিরোনামে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
নজরুলকে ‘বিশ্বমানবতার কবি’ উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, তার সকল কবিতা নিপীড়িত মানুষকে জেগে উঠার অনুপ্রেরণা দিত।
পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে এশিয়া ও পশ্চিমা দেশগুলোর সক্রিয় ভূমিকার আহ্বান বিএনপির
তিনি বলেন, ‘আজকের এই সময়ে অবিচার, স্বৈরাচার, নির্যাতন ও নিষ্পেষনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে মানুষকে উজ্জীবিত করতে কাজী নজরুল ইসলাম প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। যখন ভোলায় আমার ভাই নূর-এ- আলম গুলিতে নিহত হন, যখন আমার ভাই ইলিয়াস আলী গুম হন এবং আমাদের অন্যান্য নেতা-কর্মীরা নির্যাতনের শিকার হন, যখন দেখি আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে তখন আমি নজরুলকে আরও বেশি অনুভব করি।’
আজকে বাংলাদেশে বিভিন্নভাবে নজরুলকে উপেক্ষা করা দেখে ফখরুল মর্মাহত হওয়ার কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘তার কবিতা ও রচনাসমূহ বাংলা সাহিত্যর শিক্ষাক্রমে অন্তভুর্ক্ত নাই। আমি নজরুলের গানগুলোকে খুব বেশি বেশি ইলেকট্রনিক চ্যানেলগুলোতে সম্প্রচারের আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিএনপি নেতা আরও বলেন, পত্রিকাগুলো আর নজরুলের মতো গুরুত্বপূর্ণ মৃত্যুবার্ষিকী বা জন্মদিনে বিশেষ সংখ্যা ছাপায় না। ‘আমি এরকম সংকীর্ণতা। এটি বাংলাদেশের মানুষের জন্য ভুলপথে চালিত করার নির্দেশনা।’
আগামী শনিবার কাজী নজরুল ইসলামের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালিত হবে।
এরমধ্যে বিদ্রোহী কবির রাজনৈতিক সামাজিক কাজকে মূল্যায়নে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ। তিনি বাংলা ১৩৮৩ সনের ১২ ভাদ্র (২৯ আগস্ট ১৯৭৬ সালে) ঢাকায় মারা যান। রাষ্ট্রীয় সম্মানের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।
নজরুল প্রেম, মানবতা, নাস্তিকতা, ধর্মীয় নীতি এবং সকল প্রকার জুলুমের বিরুদ্ধে আধ্যাত্মিক বিদ্রোহের বিষয়বস্তু নিয়ে অনেকগুলো কবিতা লিখেছেন।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে বিএনপির সমাবেশস্থলে আ.লীগের সমাবেশ, ১৪৪ ধারা জারি
১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারে ইসির সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান বিএনপির
আ.লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সোহেল তাজ
প্রায় শতাধিক সমর্থক নিয়ে সাবেক প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয় পরিদর্শন করেন। বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে গিয়ে তিনি দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। এ ঘটনার ফলে পুনরায় তার রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার জল্পনা আরও বেড়েছে।
ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোহেল তাজ রাজনীতিতে তার সক্রিয় হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
তিনি এখনও রাজনীতিতে সক্রিয় আছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সোহেল তাজ বলেন, ‘আমার জন্ম একটি রাজনৈতিক পরিবারে। আওয়ামী লীগ আমার রক্তে মিশে আছে। আমি কখনোই রাজনীতির বাইরে ছিলাম না। কিছুদিন ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত ছিলাম। আজ পার্টি অফিসে এসেছি, আমি এখানে নিয়মিত আসার চেষ্টা করব।’
সোহেল তাজ জানান, তিনি দলের জন্য কাজ করতে প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: ‘হটলাইন কমান্ডো’ নিয়ে আসছেন সোহেল তাজ
তিনি বলেন, ‘২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় আমি যেমন ছিলাম, এখনও তেমনই থাকব।’
সোহেল তাজ বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে। তিনি ২০০১ সালের গাজীপুর-৪ আসন থেকে প্রথমবারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে একই আসন থেকে আবারও নির্বাচিত হলে পরবর্তীতে শেখ হাসিনা তাকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বানান। তবে এর পাঁচ মাস পরে তিনি পদত্যাগ করেন।
২০১২ সালের এপ্রিলে আবারও তিনি এমপি পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর থেকেই সোহেল তাজ সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন।
আরও পড়ুন: সোহেল তাজের অপহৃত ভাগনে উদ্ধার
চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি মানবিকতার সঙ্গে বিবেচনা করুন: হানিফ
চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি মানবিকতার সঙ্গে বিবেচনা করার জন্য চা বাগান মালিকদের অনুরোধ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।
তিনি বলেন, সিলেট অঞ্চলে চা শিল্পে শ্রমিকরা চা বাগানে কাজ করেন। তারা অনেক দরিদ্র এবং অসহায়। মজুরি বৃদ্ধির জন্য দাবি জানাচ্ছেন। চা বাগানের মালিকদের অনুরোধ করেছি, আপনার চা শিল্পে যারা কাজ করেন তাদের মজুরি সহানুভূতি, মানবিকতার সঙ্গে বিবেচনা করুন। যতটুকু পারবেন আপনারা তাদের সঙ্গে বসে ঠিক করুন।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় দক্ষিণ ময়ূরকুঞ্জ কমিউনিটি সেন্টারে শোক দিবস উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এই সব কথা বলেন।
মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, আমি খুব হতাশ হয়েছি চা বাগানের শ্রমিকরা এখনও কাজে যোগ দেননি। আমি মনে করি মজুরি বৃদ্ধির বিষয়টি সহানুভূতি ও মানবিকাতর সঙ্গে বিবেচনা করলে শ্রমিকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজে যোগ দিবে এবং কাজ করে শিল্পকে অব্যাহত রাখবে।
আরও পড়ুন: হেফাজতের কাঁধে ভর করে বিএনপি-জামায়াত দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে: হানিফ
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া দল। প্রতিষ্টার পর থেকে আওয়ামী লীগ মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছি এবয় তার নেতৃত্বে আমরা সবাইকে নিয়ে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে চাই। তাই দুঃখ, দুর্দশায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।
সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর অথবা ২০২৪ সালের প্রথম দিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে সংসদ নির্বাচন হবে। সংবিধানের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।
আওয়ামী লীগের শেকড় বাংলার মাটির অনেক গভীরে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা রাজপথে লড়াইয়ের হুমকি দিচ্ছেন তাদের বলতে চাই পাকিস্তানের স্বৈরশাসকদের বিরুদ্ধে লড়াই, সংগ্রাম করে এই দলের জন্ম হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ লড়াই, সংগ্রাম মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে যাচ্ছে। যারা আওয়ামী লীগকে হুমকি দিয়ে ফায়দা লুটতে চাচ্ছে তাদের বলতে চাই, আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা এখন যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশের রাজনীতির ময়াদানে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলা করার কোনো শক্তি নেই।
তিনি বলেন, হুমকি-ধমকি পরিহার করে যদি ভাবেন জনপ্রিয়তা আছে তাহলে নির্বাচনে আসার প্রস্তুতি নিন। নির্বাচনে প্রমাণ হবে কতটুকু জনপ্রিয়তা আছে। আমরা যেকোনো অপশক্তির অপতৎপরতা মোকাবিলা করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখবো।
আরও পড়ুন: সরকার পতনের সক্ষমতা বিএনপির নেই: হানিফ
তিনি বলেন, হুমকি-ধমকি পরিহার করে যদি ভাবেন জনপ্রিয়তা আছে তাহলে নির্বাচনে আসার প্রস্তুতি নিন। নির্বাচনে প্রমাণ হবে কতটুকু জনপ্রিয়তা আছে। আমরা যেকোনো অপশক্তির অপতৎপরতা মোকাবিলা করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখবো।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি-জামায়াতকে রাজনৈতিকভাবে কোনঠাসা করে রাখতে হবে। আর না হলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে শান্তির পরিবেশ রাখা দুরূহ হবে।
নির্বাচন কমিশন নিজেই প্রশ্নবিদ্ধ: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতকে উপেক্ষা করে ১৫০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
তিনি বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত দ্বারা সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে নির্বাচন কমিশন।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীর দলের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার কাউন্সিলের প্রস্তুতি সভায় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা জিএম কাদের এসব কথা বলেন।
আগামী সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে ইসির সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখান করে তিনি বলেন, দেশের অশিক্ষিত ও কম শিক্ষিত মানুষ এখনও প্রার্থীদের নাম পড়তে পারে না, সাধারণ মানুষ নির্বাচনে প্রার্থীর প্রতীক দেখে ভোট দেয়।
জাতীয় পার্টির প্রধান বলেছেন, ‘অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষ মনে করে ইভিএম হলো ভোট জালিয়াতির যন্ত্র। তাই রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষ নির্বাচনে ইভিএম-এর ব্যবহার চায় না।’
এমন বাস্তবতায় সাধারণ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
জিএম কাদের বলেন, ‘সাধারণ মানুষ মনে করে যে একটি দলকে ক্ষমতায় আনতে কাজ করছে ইসি।’
এর আগে নির্বাচন কমিশন আগামী বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ নির্বাচনে প্রচলিত ব্যালটের পাশাপাশি সংসদীয় মোট ৩০০ আসনের ১৫০টিতে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে কমিশনের বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
আরও পড়ুন: পুলিশ হেফাজতে রবিউলের মৃত্যুর তদন্ত করতে হবে: জিএম কাদের
জনদুর্ভোগ নিয়ে সরকার খুব একটা চিন্তা করে না: জিএম কাদের
সরকার মোমেনের বক্তব্যের দায় এড়াতে পারে না: জিএম কাদের
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে এশিয়া ও পশ্চিমা দেশগুলোর সক্রিয় ভূমিকার আহ্বান বিএনপির
রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য বড় বোঝা হয়ে উঠছে উল্লেখ করে বিএনপি জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিশেষ করে প্রভাবশালী এশীয় ও পশ্চিমা দেশগুলোর সক্রিয় ভূমিকা ছাড়া মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের প্রত্যাবাসন সম্ভব হবে না।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার গত পাঁচ বছরে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে ব্যর্থ হয়েছে, কারণ তারা রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য বিষয়টি ব্যবহার করছে।
বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে মিয়ানমারে সহিংসতা ও নিপীড়নের শিকার হয়ে হাজার হাজার রোহিঙ্গা পুরুষ, নারী, ছেলে ও মেয়ের বাংলাদেশের কক্সবাজারে বিশ্বের সর্ববৃহৎ শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়ার প্রথম পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন,‘বাংলাদেশ ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গার বোঝা বহন করছে এবং প্রতি বছর গড়ে ৩০ হাজার রোহিঙ্গা শিশু এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। সে হিসেবে, গত চার বছরে রোহিঙ্গার সংখ্যা ১২ লাখের বেশি হয়েছে এবং এই সংখ্যা দিন দিন বাড়তেই থাকবে।
এই প্রেক্ষাপটে বিএনপি নেতা বলেন, বাংলাদেশ ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি আন্তর্জাতিক সংহতি এখন আগের চেয়ে বেশি প্রয়োজন।
আরও পড়ুন:আর কান্না নয়, জেগে উঠুন: কর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল
তিনি বলেন, ‘ভারত, চীন, জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আরও কার্যকর চাপ না দিলে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো সম্ভব না।’
তিনি বলেন, মিয়ানমারের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে চাপ দিতে বাংলাদেশ সরকারকে তার কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করতে হবে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘যদিও বিশ্বের অনেক দেশ রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার প্রতিবাদ করেছে, তবে এটা দুঃখজনক যে তাদের অনেকের সঙ্গে মিয়ানমারেরও ব্যাপক ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের উচিত দেশগুলোর এই দ্বৈত অবস্থান চিহ্নিত করা এবং জোরালো কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে এগুলো বন্ধ করা।’
ফখরুল আক্ষেপ করে বলেন, বর্তমান সরকার সংকীর্ণ রাজনীতির কারণে এ বিষয়ে স্পষ্ট, কার্যকর ও সুনির্দিষ্ট অবস্থান নিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
সরকার এ সংকট নিরসনে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশ বড় ধরনের সংকটে পড়তে যাচ্ছে বলে হুঁশিয়ারি দেন ফখরুল।
এই সংকট নিরসনে দেশে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে সরকার রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিকভাবে চাপ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই সরকার গণতান্ত্রিক না হওয়ায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সমর্থন পেতে পারেনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা স্থানীয় পরিবেশ ও সামাজিক জীবনে চরম অস্থিতিশীলতা ও অনিশ্চয়তা সৃষ্টির পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অসহনীয় চাপ সৃষ্টি করছে।
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক ব্যবসা, নারী পাচার এবং বিভিন্ন অসামাজিক ও অবৈধ কার্যকলাপ চলছে; যা পরিস্থিতিকে অশান্ত ও অস্থিতিশীল করে তুলছে। রোহিঙ্গারা মাদক চোরাচালান ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত এবং অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে লিপ্ত। এই বিষয়গুলি চরম উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
আরও পড়ুন:জনতার ঢেউয়ে সরকার ভেসে যাবে: ফখরুল
আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় থাকতে দেয়া যাবে না: ফখরুল
জিয়া মারা না গেলে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামি হতেন: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, জিয়াউর রহমান যে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তা প্রমাণের জন্য রকেট সায়েন্স লাগে না। তার কর্মকাণ্ডই প্রমাণ করে তিনি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। মারা না গেলে জিয়াউর রহমান এই মামলার আসামি হতেন বলেও জানান তিনি।
বুধবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে যারা ষড়যন্ত্র করেছেন, তাদেরকে চিহ্নিত করতে একটি কমিশন গঠনের বিষয়ে অনেকেই এখন সোচ্চার। তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, সময়মত এ কমিশন অবশ্যই গঠন করা হবে এবং এর মাধ্যমে ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করা হবে। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা কমবেশি চিহ্নিত। তাদের কর্মকাণ্ডকে দলিল হিসেবে সংরক্ষণের জন্য কমিশন প্রয়োজন।
আরও পড়ুন:সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ছাড় দেয়া হবে না: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘উইচ হান্টিং’ বা প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই কমিশন গঠন করা হবে না। ১৯৭৫ সালের বাংলাদেশের ভবিষ্যতকে বদলে দেয়ার জন্য যে কলঙ্কিত প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছিল, যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিলে তার সঙ্গে কারা কারা জড়িত ছিল, নতুন ও ভবিষ্যত প্রজন্মকে সেটা জানানোর জন্যই এই কমিশন গঠন করা হবে। এছাড়া কাদের ব্যাপারে তাদের সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার সেটা জানানোও এই কমিশনের উদ্দেশ্য।
বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম এমপি, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউর রহমান, আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, এডভোকেট আব্দুল্লাহ আবু প্রমুখ বঙ্গবন্ধুর জীবন-আদর্শ নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
আরও পড়ুন:আ.লীগ জনগণের দল, আমাদের শক্তি জনগণের শক্তি: আইনমন্ত্রী
সুষ্ঠু ভূমি ব্যবস্থাপনার অভাবেই মামলাজট: আইনমন্ত্রী