রাজনীতি
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরছেন খালেদা জিয়া
হৃদরোগসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতায় ১৩ দিন চিকিৎসা শেষে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে আজ (শুক্রবার) বাসায় ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘কোভিডের সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে বলে এভারকেয়ারের মেডিকেল বোর্ড ম্যাডামকে (খালেদা) হাসপাতাল থেকে ছাড়ার কথা ভাবছে।’
তিনি বলেন, চিকিৎসকরা বাসায় তার যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করবেন।
জাহিদ বলেন, ‘আশা করি, ম্যাডামকে বিকালের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: বন্যার্ত মানুষকে অভুক্ত রেখে উৎসব করছে সরকার: অভিযোগ ফখরুলের
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড আজ বিকাল ৩টায় সংবাদ সম্মেলনে তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করবে।
গত ১০ জুন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় খালেদাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খালেদা জিয়ার বাম ধমনীতে ৯৫ শতাংশ ব্লকের কারণে তিনি হার্ট অ্যাটাক করেন। ব্লক সরিয়ে সেখানে একটি স্টেন্ট (রিং) বসানো হয়েছে।
করোনারি এনজিওগ্রামে বিএনপি চেয়ারপার্সনের ধমনীতে আরও দুটি ব্লক পাওয়া গেছে।
১৫ জুন খালেদা জিয়াকে করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগদানের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান বিএনপির
বন্যার্ত মানুষকে অভুক্ত রেখে উৎসব করছে সরকার: অভিযোগ ফখরুলের
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৃহস্পতিবার অভিযোগ করে বলেছেন, দেশের মানুষকে অভুক্ত রেখে সরকার পদ্মা সেতু নিয়ে উৎসব করছে।
তিনি বলেন, ‘আমার মানুষ বন্যাকবলিত এলাকায় অনাহারে না খেয়ে আছে। বিনা চিকিৎসায় আছে, অথচ তারা (সরকার) পদ্মাসেতু নিয়ে ব্যস্ত।’
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) দুপুরে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার খাজার মোকাম উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বন্যার্ত মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ শেষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুলের দাবি, সিলেটের ৩০ লাখ বানভাসি মানুষের জন্য মাত্র ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। অথচ পদ্মা সেতু উদ্বোধনে শতকোটি টাকা খরচ করছে।
বিএনপি নেতা বলেন, পদ্মা সেতুর জন্য গান-বাজনা হবে। কিন্তু জনগণ না খেয়ে আছে, মারা যাচ্ছে-সেদিকে তাদের খেয়াল নাই। কারণ, জনগণকে তারা তোয়াক্কা করে না।
ত্রাণের জন্য মানুষ হাহাকার করছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন , বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে ব্যার্থ হয়েছে সরকার। লাখ লাখ মানুষ ত্রাণের জন্য হাহাকার করলেও প্রধানমন্ত্রী গুটিকয়েক মানুষকে ত্রাণ দিয়ে দায়িত্ব শেষ করেছেন।
তিনি বলেন, ২০০৪ সালের বন্যায় খালেদা জিয়া মানুষের দ্বারে দ্বারে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন-কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হেলিকপ্টারে করে ঘুরে গেছেন বন্যাকবলিত এলাকা।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ দুর্নীতির জন্য বড় বড় প্রজেক্ট করে লুটেপুটে খাওয়ার জন্য। কিন্তু জনগণের জন্য প্রজেক্ট করে না।
শেয়ালের কাছে যেমন মুরগি দেয়া যায় না, তেমনি শেখ হাসিনার হাতে নির্বাচনের দায়িত্ব দেয়া যায় না। তাই তত্বাবধায়ক সরকারের অধীন ছাড়া বিএনপি কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না।
জনগণের ভোটের অধিকার ফেরাতে এই সরকারকে রুখে দেয়ার জন্য আন্দোলনের প্রস্তুতি নেয়ার জন্য নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, মাওয়ায় ৯০টি পশ্রাব খানা ৯ কোটি টাকা দিয়ে তৈরি করেছে। এই টাকা যদি সিলেটের বন্যার্তদের দেয়া হত তাহলে মানুষকে এত দুর্ভোগ পোহাতে হত না। আওয়ামী লীগ যত দিন ক্ষমতায় থাকবে তত দিন তারা মানুষের জন্য কোন কাজ করবে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গৃহবন্দি করে রেখেছে। আমাদের নেতা তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্বাসনে রেখেছে। এই সরকার ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরীর সঞ্চলনায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
পড়ুন: আ’লীগের হাত ধরে বাঙালি জাতির সব অর্জন এসেছে: তথ্যমন্ত্রী
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগদানের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান বিএনপির
আ’লীগের হাত ধরে বাঙালি জাতির সব অর্জন এসেছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দীর্ঘ ৭৩ বছরের পথচলায় আওয়ামী লীগের হাত ধরেই বাঙালি জাতির সব অর্জন এসেছে।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশে, স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু উদ্বোধন নিয়ে কোনো উৎসব করছে না সরকার: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্বাধীনতার পর আরও একটি বড় অর্জন হচ্ছে আওয়ামী লীগ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে বিশ্ববেনিয়াদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে। তাই আওয়ামী লীগের ইতিহাস প্রকৃত পক্ষে বাঙালি জাতিরই ইতিহাস। বাঙালি জাতির সব অর্জনের সঙ্গে আওয়ামী লীগ জড়িয়ে আছে।
আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এখনো স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বাংলাদেশে আস্ফালন করে এবং তাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি। বিএনপি এখনো জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে রাজনীতি করে এবং তারা এখনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি, স্বাধীনতার বিরুদ্ধে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলাম এখনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমস্ত ষড়যন্ত্রকে পরাস্ত করে আমরা বাংলাদেশকে উন্নতি সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগদানের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান বিএনপির
ঢাকা, ২২ জুন (ইউএনবি)- পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সরকারের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, যারা মানুষ হত্যা করে এবং দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে পদ্মা নদীতে চুবিয়ে মারতে চায়; যারা বিশিষ্ট ব্যক্তি ড. ইউনূসকে চুবিয়ে মারতে চায় তাদের আমন্ত্রণে বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী কখনো সেখানে যেতে পারে না।’
বুধবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে বুধবার সকালে ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানায় সরকার।
সেতু মন্ত্রণালয়ের উপসচিব দুলাল চন্দ্র সূত্রধর বুধবার বেলা ১১টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর হাতে আমন্ত্রণপত্র তুলে দেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানাল সরকার
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য বিএনপির সাতজন নেতা-দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে- আমন্ত্রণ জানানো হয়।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দুলাল চন্দ্র বলেন, তিনি সেতু বিভাগের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণপত্র নিয়ে বিএনপি কার্যালয়ে আসেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর উভয় পাশে ২ থানার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত মাসে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, খালেদা জিয়া একবার বলেছিলেন পদ্মা সেতু জোড়তালি দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে এবং এটি ব্যবহার করতে গিয়ে ভেঙে পড়বে। ‘এখন তাদের কী করা উচিত? তাদের পদ্মা সেতুতে নিয়ে যেতে হবে এবং সেখান থেকে নদীতে ফেলে দিতে হবে।’
বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যকে খালেদা জিয়ার প্রাণনাশের হুমকি বলে বর্ণনা করে আসছে।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানাল সরকার
২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বুধবার বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে সরকার।
সেতু মন্ত্রণালয়ের উপসচিব দুলাল চন্দ্র সূত্রধর বুধবার বেলা ১১টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর হাতে আমন্ত্রণপত্র তুলে দেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য বিএনপির সাতজন নেতা-দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে- আমন্ত্রণ জানানো হয়।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দুলাল চন্দ্র বলেন, তিনি সেতু বিভাগের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণপত্র নিয়ে বিএনপি কার্যালয়ে আসেন।
রিজভী বলেন, একজন উপসচিব বিএনপি কার্যালয়ে তিনি উপস্থিত থাকার সময় আমন্ত্রণপত্র দেন। ‘আমি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। এতে আমাদের কোনো আগ্রহ নেই।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের দলের নেতাদের এ কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার কোনো কারণ নেই।
সাতক্ষীরায় আ’লীগ নেতা গুলিবিদ্ধ, হাসপাতালে ভর্তি
সাতক্ষীরা সদরে দুর্বৃত্তের ছোড়া গুলিতে আওয়ামী লীগের এক নেতা আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বাঁশদহা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
আহত মোশাররফ হোসেন মোশা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও শহীদ স্মৃতি কলেজের অধ্যক্ষ এবং উপজেলার ঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন: বেগমগঞ্জে চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ গুলিবিদ্ধ ৩
বাঁশদহা শহীদ স্মৃতি কলেজের উপাধ্যক্ষ দীপক কুমার মল্লিক জানান, অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন কলেজের কাজ শেষে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হন। কলেজের গেট থেকে একটু দূরেই বাঁশদহা গ্রামে পৌঁছালে পেছন থেকে মাথায় হেলমেট পরিহিত অজ্ঞাত মোটরসাইকেল আরোহী গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। এতে তিনি পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মোটরসাইকেল থেকে পড়েন যান। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সুজিত রায় জানান, মোশাররফ হোসেন মোশার পায়ে যে গুলি লেগেছে, তা ভেদ করে বেরিয়ে গেছে। পায়ে এক্স-রে করে তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রচারণার সময় হঠাৎ হামলায় পিরোজপুরে যুবলীগ নেতা গুলিবিদ্ধ
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইউম জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। গুলি করার কারণ এবং কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সরকারের নিষ্ক্রিয়তায় বন্যার্তরা ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে: বিএনপি
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেছেন, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্যা কবলিত মানুষ তাদের দুর্দশা লাঘবে সরকারের নিষ্ক্রিয়তায় ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বন্যা কবলিত মানুষের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণের দাবিতে গণতন্ত্র ফোরাম আয়োজিত প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণায় ভয়াবহ বন্যার জন্য হাওর অঞ্চলে সরকারের অপরিকল্পিত বাঁধ ও সড়ক নির্মাণকে দায়ী করেন।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণার মানুষ ভাত ও খাবারের জন্য হাহাকার করছে। চারপাশের সবকিছু পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় তারা খাবার পাবে কোথায়? তাদের কাছে খাবার পৌঁছাবে কী করে?’
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, সরকার দেশের ৫০ লাখ বন্যা কবলিত মানুষের জন্য মাত্র এক দশমিক পাঁচ টাকা বরাদ্দ করেছে। অথচ ভারতীয় শিল্পী মিমি চক্রবর্তীকে তিন কোটি টাকায় বাংলাদেশে আনা হয়েছে।
বন্যার জন্য সরকার দায়ী উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘আপনি (প্রধানমন্ত্রী) এখন রঙিন আলোয় পদ্মা সেতু দেখবেন এবং মানুষকে ক্ষুধার্ত, অনাহারে ও জলমগ্ন রেখে আনন্দে মনের আনন্দে ক্ষমতায় থাকবেন। দেশের জনগণ এটা আর মেনে নেবে না।’
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর উদ্বোধন বাতিল করে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান বিএনপির
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে হাওরাঞ্চলে অকাল বন্যার কারণ জানার চেষ্টা করেছেন কি? আমরা জানি, রাষ্ট্রের প্রভাবশালী এক কর্মকর্তার আত্মীয়-স্বজন হাওর এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ ও একটি সড়ক নির্মাণ করেছেন; যা রাষ্ট্রপতির বাড়ি বলে পরিচিত।
তিনি বলেন, অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ ও রাস্তা নির্মাণের জন্য ৫০-৬০ লাখ মানুষ এখন বন্যার পানিতে আটকা পড়েছে।
তিনি বলেন, ‘পুরো সিলেট ও সুনামগঞ্জ পানিতে তলিয়ে গেছে, কিন্তু আপনি (প্রধানমন্ত্রী) পদ্মা সেতু নিয়ে আনন্দে উদ্বেলিত। আপনি পদ্মা সেতু নিয়ে মানুষের সঙ্গে তামাশা করছেন।’
রিজভী রাত ৮টার পরে দোকান ও শপিং মল বন্ধ করার পদক্ষেপের জন্যও সরকারের সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, তারা (সরকার) দীর্ঘদিন ধরে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষমতা রয়েছে বলে দাবি করে আসছে। ‘তবে আপনারা কেন রাত ৮টার পর দোকানপাট ও শপিং মল বন্ধ করার নির্দেশ দিচ্ছেন? কোথায় গেল আপনাদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ?’
তিনি বলেন, সরকার প্রতিটি পদক্ষেপ নেয় এবং আইন ও নীতিমালা তৈরি করে। তারা এটা করে শুধুমাত্র ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সুবিধা নিশ্চিত করতে এবং তাদের অর্থ উপার্জনের সুযোগ তৈরি করতে।
আরও পড়ুন: বন্যা কবলিত এলাকাগুলোকে ‘বন্যাদুর্গত এলাকা’ ঘোষণার দাবি বিএনপির
অর্থমন্ত্রীর কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সংবিধান ও নৈতিকতার সংযোগ নেই: ফখরুল
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন বাতিল করে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান বিএনপির
বন্যার্তদের জন্য অর্থ ও ত্রাণসামগ্রীর অপর্যাপ্ত বরাদ্দের জন্য সরকারের নিন্দা জানিয়ে বিএনপি পদ্মা সেতুর উদ্বোধন বন্ধ করে দুর্যোগ কবলিত মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে মনোনিবেশ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে শত শত কোটি টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে। কিন্তু দেশের সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা ও উত্তরাঞ্চলের প্রায় এক কোটি বন্যা কবলিত মানুষের জন্য বরাদ্দ একেবারেই অপ্রতুল।
তিনি বলেন, সরকার বন্যার্তদের জন্য এ পর্যন্ত ১০০ টন চাল, ৩০ লাখ টাকা ও পাঁচ হাজার টাকার শুকনো খাবার দিয়েছে। ‘তারা ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দেরও আশ্বাস দিয়েছেন। মানে জনপ্রতি মাত্র এক দশমিক পাঁচ টাকা।’
রবিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের জনসভাস্থলে ৫০০ অস্থায়ী টয়লেট বসানোর খরচের এক দশমাংশও বন্যার্তরা পাননি।
আরও পড়ুন: বন্যা কবলিত এলাকাগুলোকে ‘বন্যাদুর্গত এলাকা’ ঘোষণার দাবি বিএনপির
সরকারের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আমরা পদ্মা সেতু উদ্বোধনের উৎসব বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি। আপনারা দয়া করে জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য লোক দেখানো প্রদর্শন বন্ধ করুন।’
বিএনপি নেতা বন্যা কবলিত এলাকাগুলোকে ‘দুর্গত অঞ্চল’ হিসেবে ঘোষণা এবং ক্ষতিগ্রস্ত লাখ লাখ মানুষের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী পাঠানোর জন্য তাদের দলের দাবি পুনরায় ব্যক্ত করেন।
তিনি দাবি করেন, তাদের দলের নেতাকর্মীরা ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করছেন এবং বন্যা কবলিত এলাকায় মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যেতে সহায়তা করছেন।
দেশের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের ব্যাপক পরিকল্পনার জন্য সরকারকে কড়া সমালোচনা করে রিজভী বলেন, একমাত্র স্বৈরাচারী সরকারই এমন কাজ করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা নিজেই তার দলের নেতাকর্মীদের পদ্মা সেতুর দুই পাশে লাখো মানুষের সমাগম উদযাপনের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। কয়েক হাজার বাস ও ৩০০টি লঞ্চ রিক্যুজিশন করা হয়েছে এবং জনসভাস্থলে পাঁচ শতাধিক টয়লেট স্থাপন করা হয়েছে। মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে ৪০ ফুট লম্বা দুটি ম্যুরাল স্থাপন করা হয়েছে।’
এছাড়া সেতু উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তায় কয়েক হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান এই বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, এসব দেখে দেশের মানুষ মনে করে শেখ হাসিনার শাসন প্রাচীন মিশরের ফারাওদের শাসনকে ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: আমরা জানতাম কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে এমন হবে: ফখরুল
অর্থমন্ত্রীর কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সংবিধান ও নৈতিকতার সংযোগ নেই: ফখরুল
বন্যা কবলিত এলাকাগুলোকে ‘বন্যাদুর্গত এলাকা’ ঘোষণার দাবি বিএনপির
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্যা কবলিত এলাকাগুলোকে অবিলম্বে ‘বন্যাদুর্গত এলাকা’ ঘোষণা এবং ক্ষতিগ্রস্ত সব মানুষকে পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী দেয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
শনিবার ঢাকা উত্তর সিটি ইউনিটের অধীন ভাটরায় বিএনপির তিন ওয়ার্ডের কাউন্সিলে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, হাজার হাজার বন্যার্ত মানুষ যখন অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, সরকার তখন পদ্মা সেতু উদ্বোধন নিয়ে এত ব্যস্ত।
তিনি বলেন, ‘দেশে বন্যা চলছে। সিলেট-সুনামগঞ্জ থেকে শুরু করে উত্তরের নীলফামারী, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।’
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের উল্লেখ করে এই বিএনপি নেতা বলেন, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ফারাক্কা ব্যারেজের সব গেট খুলে দেয়ায় পদ্মা, মেঘনা, যমুনাসহ বড় নদীগুলোর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে অনেক এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ‘বন্যার পানি ফসল, ঘরবাড়ি, গবাদিপশু এবং মানুষের মূল্যবান সম্পদ ধ্বংস করছে।’
তিনি বলেন,‘আমরা এই এলাকাগুলোকে অবিলম্বে বন্যাদুর্গত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করার এবং কোনও বিলম্ব ছাড়াই এইসব এলাকার মানুষকে ত্রাণ সরবরাহ করার দাবি জানাই। এই দুঃসময়ে সরকার উৎসব নিয়ে ব্যস্ত। তারা পদ্মা সেতু উদ্বোধন নিয়ে এতই ব্যস্ত যে জনগণের কল্যাণ ও জনদুর্ভোগের দিকে তাকানোর সময় নেই।’
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব হিসেবে দেশ বন্যার মুখে পড়ছে। ‘কিন্তু সেই বন্যা রোধ করা এবং ক্ষয়ক্ষতি কমানো সরকারের দায়িত্ব।’
আরও পড়ুন: আমরা জানতাম কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে এমন হবে: ফখরুল
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টন নিয়ে সরকার ভারতের সঙ্গে চুক্তি করতে পারেনি বলে আক্ষেপ করেন বিএনপি নেতা।
তিনি আরও বলেন, সরকার অনেকদিন ধরেই তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি করার কথা বলে আসছে, কিন্তু এখনো তা হয়নি।
ফখরুল বলেন, তারা (ভারত) যখন হঠাৎ করে ফারাক্কা ব্যারেজের গেট খুলে দেয়, তখন পানির চাপ সামলানো সম্ভব হয় না। ‘সিলেট, সুনামগঞ্জসহ অন্যান্য অঞ্চল এখন এই সমস্যার সম্মুখীন। এটা এই সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি এবং জনগণের প্রতি অবহেলার প্রমাণ’।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, বন্যা প্রতিরোধে বিভিন্ন হাওর ও অন্যান্য অঞ্চলে অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত অনেক বাঁধ, সেতু ও রাস্তা দুর্নীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বন্যা প্রতিরোধে এবং বন্যাপ্রবণ এলাকায় জনদুর্ভোগ কমাতে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান এই বিএনপি নেতা।
আরও পড়ুন: অর্থমন্ত্রীর কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সংবিধান ও নৈতিকতার সংযোগ নেই: ফখরুল
কুসিক নির্বাচন প্রমাণ করেছে নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: ফখরুল
রাজধানীতে ১৪ দলের সমাবেশ শনিবার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে শনিবার রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট।
বিকাল ৩টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ শুরু হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু।
শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিএনপি নেতাদের অশালীন মন্তব্য ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে ক্ষমতাসীন জোটের কেন্দ্রীয় কমিটি এ সমাবেশের আয়োজন করছে।
আরও পড়ুন: আমুই হলেন ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র
১৪ দল সংহত করতে নাসিমের ভূমিকা ছিল অনন্য: তথ্যমন্ত্রী