রাজনীতি
ইলিয়াস আলীর পরিবার অনেক বিপদে আছে: ফখরুল
গুম হওয়া ইলিয়াস আলীর পরিবার অনেক বিপদে আছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ইলিয়াস আলীসহ গুমের শিকার পরিবারের সদস্যরা তাদের নিকটাত্মীয়দের অনুপস্থিতিতে চরম সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন।
শনিবার নিখোঁজ বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর বনানী এলাকার বাড়ি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, এসব ঘটনায় নিজেদের জড়িত থাকার কারণে সরকার এখনও পর্যন্ত গুমের শিকার ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। যদি এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতো তাহলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতো।
আরও পড়ুন: আ’লীগ একদলীয় শাসনের সঙ্গে এক ব্যক্তির শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে: ফখরুল
তিনি বলেন, জনগণ দেখেছে এক দশক আগে রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী ও তার গাড়িচালককে ধরে নিয়ে গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এটা খুব স্পষ্ট যে এই ঘটনাটি এই সরকারের মাধ্যমে ঘটেছে।
ফখরুল বলেন, গুমের শিকার ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে সরকারের কোনো পদক্ষেপ না থাকায় তাদের পরিবারকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে এবং কঠিন সময়ের সম্মুখীন হচ্ছে।
দুপুরে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে সঙ্গে নিয়ে ফখরুল ইলিয়াস আলীর বাসায় যান এবং তার স্ত্রী তাহসিনা রুশদির লুনাসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তাদের ঈদ উপহার দেন।
লুয়ানের সঙ্গে কথোপকথনের উদ্ধ্বৃতি দিয়ে ফখরুল বলেন, তারা খুব সমম্যায় পড়েছেন। তারা (ইলিয়াস আলীর) ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতে পারছেন না। তারা তার গাড়ির ট্যাক্সও দিতে পারেনি। এই জিনিসগুলো পরিবারকে অনেক কষ্ট দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: নিউমার্কেটে সহিংসতায় পুলিশ নিজেদের ব্যর্থতা ও ছাত্রলীগকে আড়ালের চেষ্টা করছে: ফখরুল
বিএনপি নেতা বলেন, কিছু কলেজ ভর্তির অনুমতি না দেয়ায় মেয়ের কলেজে ভর্তির বিষয়ে ইলিয়াসের পরিবারকে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়েছে। শুধু ইলিয়াস আলীর পরিবারই নয়, গুমের শিকার সব পরিবারই অনেক কষ্টের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তাদের দল নিখোঁজদের পরিবারের সদস্যদের উপহার ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল মধ্যরাতে রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী তার গাড়িচালক আনসার আলীসহ নিখোঁজ হন।
আরও পড়ুন: জার্মান রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য প্রত্যাখান বিএনপির
এএমএ মুহিতের প্রথম নামাজে জানাজা সম্পন্ন
সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এএমএ মুহিতের প্রথম নামাজে জানাজা রাজধানীর গুলশানের আজাদ মসজিদে সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সর্বস্তরের মানুষ যাতে শ্রদ্ধা জানাতে পারে সেজন্য দুপুর ১২টায় তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হবে। পরে তার মরদেহ দাফনের জন্য সিলেটে নিয়ে যাওয়া হবে।
শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে দীর্ঘ অসুস্থতাজনিত কারণে মুহিত মারা যান বলে ইউএনবিকে জানান তার ভাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
আরও পড়ুন: এএমএ মুহিত: আওয়ামী লীগের উন্নয়ন যুগের স্থপতি আর নেই
২০২১ সালের ২৫ জুলাই তিনি করোনা আক্রান্ত হন এবং এর সঙ্গে লড়াই করেছিলেন। তারপরে মার্চ মাসে বার্ধক্যজনিত কারণে তাকে আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শোক
মুহিতের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৎকালীন পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসের সদস্য মুহিত ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তান দূতাবাসে চাকরিরত অবস্থায় পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের প্রথম সরকারে যোগদান করেন।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত সফল এ অর্থনীতিবিদ ও রাজনীতিবিদ তাঁর স্ব কাজের মধ্য দিয়ে আমাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনও তার ভাই সাবেক অর্থমন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা এএমএ মুহিতের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
পৃথক আরেক বার্তায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও মুহিতের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।
মুহিতের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনও।
আরও পড়ুন: এএমএ মুহিতের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
এক শোকবার্তায় এফবিসিসিআইয়ের প্রধান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তার অতুলনীয় অবদানের জন্য জাতি তাকে মনে রাখবে।
তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
কর্মজীবন
আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে টানা ১০ বছর সংসদে বাজেট পেশ করেন মুহিত।
তার আমলেই বাজেটের আকার প্রসারিত হয়।
২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি মুহিত বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নেন।
মুহিত ১৯৩৪ সালের ২৫ জানুয়ারি সিলেটের ধোপাদিঘীতে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি ছিলেন পাকিস্তান আন্দোলনের নেতা এবং সিলেট জেলা মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডভোকেট আবু আহমদ আবদুল হাফিজের তৃতীয় সন্তান।
তার মা সৈয়দ শাহার বানু চৌধুরীও রাজনীতি ও সমাজসেবায় সক্রিয় ছিলেন।
মুহিত দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, আইডিবি, এডিবি ও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থায় প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব ছিলেন।
তিনি ১৯৫১ সালে সিলেট এমসি কলেজ থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রদেশে প্রথম স্থান অধিকার করেন।
মুহিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৪ সালে ইংরেজি সাহিত্যে বিএ-তে প্রথম হন এবং ১৯৫৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে এমএ পাস করেন।
চাকরিকালীন তিনি ১৯৫৭ থেকে ৫৮ সাল পর্যন্ত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন এবং ১৯৬৪ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমপিএ ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৫৬ সালে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে যোগদানের পর তিনি পূর্ব পাকিস্তান, পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার এবং তারপর বাংলাদেশ সরকারে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: এএমএ মুহিতের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
মুহিত পাকিস্তানের ওয়াশিংটন দূতাবাসের প্রথম কূটনীতিক যিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় জুনে বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন।
তিনি ১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে পরিকল্পনা সচিব এবং ১৯৭৭ সালের মে মাসে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বহিরাগত সম্পদ বিভাগের সচিব হিসেবে নিযুক্ত হন।
মুহিত ১৯৮১ সালে চাকরি থেকে অবসরে যান এবং ফোর্ড ফাউন্ডেশন, ইফাদ, জাতিসংঘ,ইউএনডিপি, এডিবি এবং বিশ্বব্যাংকের অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন বিষয়ক পরামর্শক হিসেবে কর্মজীবনের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু করেন।
তিনি ১৯৮২ সালের মার্চ থেকে ১৯৮৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী ছিলেন।
মুহিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের পথিকৃৎ এবং ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত বাপা’র প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ছিলেন।
তিনি ২০০১ সালে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন এবং ২০০৯ সালে সিলেটের নিজ নির্বাচনী এলাকা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
মুক্তিযুদ্ধে অবদান ও জনসেবার নিবেদিত রেকর্ডের জন্য মুহিত ২০১৬ সালে সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন।
এএমএ মুহিত: আওয়ামী লীগের উন্নয়ন যুগের স্থপতি আর নেই
সাবেক অর্থমন্ত্রী এএমএ মুহিত মারা গেছেন। শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
মুহিতের ভাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ইউএনবিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
৮৮ বছর বয়সী মুহিত বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। ২০২১ সালের জুলাই মাসে তিনি করোনা আক্রান্ত হন এবং এর সঙ্গে লড়াই করেছিলেন।
তারপরে মার্চ মাসে বার্ধক্যজনিত কারণে তাকে আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিতের শারীরিক অবস্থার উন্নতি
মুহিতের প্রথম জানাজা শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় গুলশান আজাদ মসজিদে এবং দ্বিতীয় জানাজা বেলা সাড়ে ১১টায় সংসদ চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান মোমেন।
এরপর দুপুর 1২টায় তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য এবং এরপর সিলেটে দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে।
মুহিতের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক প্রকাশ করেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন শনিবার তার ভাইয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
এক শোক বার্তায় তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
মোমেন মুহিতের অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, মানবিক গুণাবলী, দেশপ্রেম এবং দেশ ও জনগণের কল্যাণে অবদানের কথা স্মরণ করেন।
পৃথক আরেক বার্তায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও মুহিতের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে টানা ১০ বছর সংসদে বাজেট পেশ করেন মুহিত।
তার আমলেই বাজেটের আকার প্রসারিত হয়।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিত সিএমএইচে ভর্তি
২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি মুহিত বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নেন।
মুহিত ১৯৩৪ সালের ২৫ জানুয়ারি সিলেটের ধোপাদিঘীতে জন্মগ্রহণ করেন।
সড়ক-মহাসড়ক আগের চেয়ে ভালো: ওবায়দুল কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিগত যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার দেশের সড়ক-মহাসড়ক অনেক ভালো।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল পরিদর্শন শেষ তিনি কথা জানান।
পথে যাত্রীরা যাতে কোনো ধরনের ভোগান্তির শিকার না হয় সেদিকে কঠোর নজর দিতে বিআরটিএ ও আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর প্রতি নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিদিন খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।
জাতীয় স্বার্থে ঈদে ঘরমুখো মানুষের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া না নিতে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি: কাদের
বিএনপি মহাসচিবের সরকার পতন আন্দোলনের ঘোষণা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘দেখতে দেখতে ১৩, বিএনপির আন্দোলন হবে কোন বছর?’
তিনি আবারও বিএনপি নেতাদের কাছে জানতে চান তাদের আন্দোলনের নেতা কে?
বিএনপিকে পথহারা পথিকের সঙ্গে তুলনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির নেতারা কখন যে কি বলে, তা তারা নিজেরাও জানে না।’
আরও পড়ুন: বিএনপিকে গরীব-দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর
বিদেশিদের সঙ্গেও বিএনপির মিথ্যাচারের প্রমাণ জার্মান রাষ্ট্রদূতের ক্ষোভ: তথ্যমন্ত্রী
এম এ মান্নানের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা বিএনপির
দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনে প্রথম মেয়র এম এ মান্নানের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিএনপি।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মান্নানের কফিন বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়ে আসা হলে সেটি দলীয় পতাকায় মুড়িয়ে দেয়া হয়।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের সিনিয়র নেতারা দলের পক্ষ থেকে গাজীপুরের সাবেক মেয়রের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারাও মান্নানের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মান্নান আর নেই
সেখানে জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি ও দেশে মান্নানের অবদানের কথা স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, মান্নানের মৃত্যুতে দলের যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।
এসময় ফখরুল মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যান মান্নান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। এশার নামাজের পর বারিধারা ডিওএইচএস মসজিদ প্রাঙ্গণে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার বাদ আসর গাজীপুরের সালনা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
আরও পড়ুন: সাবেক এমপি আব্দুল মান্নানের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
এম এ মান্নান ১৯৭৮ সালে বিএনপিতে যোগ দেন, ১৯৯১ সালে গাজীপুর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯১ সালে ধর্ম বিষয়ক এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়ার মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হন। গাজীপুর সিটি করপোরেশন হলে প্রথম নির্বাচনে ২০১৩ সালে মেয়র নির্বাচিত হন মান্নান।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মান্নান আর নেই
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এম এ মান্নান বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
মান্নানের ছেলে মঞ্জুরুল করিম রনি ইউএনবিকে বলেন, মান্নান ইউনাইটেড হাসপাতালে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মান্নান ধর্ম প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বুধবার রাতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর গাজীপুরের সাবেক মেয়রকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
তিনি বলেন, ২০১৫ সালে কারাগারে পাঠানোর পর থেকে মান্নান উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।
২০১৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের অভিযোগে করা মামলায় মান্নানকে রাজধানীর বারিধারার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তিনি ২০১৭ সালের ৬ জানুয়ারি জামিনে জেল থেকে মুক্তি পান। পরে বিভিন্ন অসুস্থতার কারণে তিনি রাজনৈতিকভাবে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন।
২০১৩ সালের জুলাইয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন মান্নান।
উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন-অর্জনে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপিসহ অনেকেই তাঁকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকালে শহীদ শেখ জামালের ৬৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে তাঁর সমাধিতে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী ও পরে আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
এসময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে গণতন্ত্র এবং প্রগতির পথে বাধাই হচ্ছে বিএনপি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমানের সংশ্লিষ্টতা এবং পরবর্তীতে দেশের রাজনীতিতে কর্মসম্পর্কের যে অলংঘনীয় দেয়াল তা গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পড়ুন: অপরাজনীতির চর্চার কারণে বিএনপির রাজনৈতিক ভবিষ্যত প্রশ্নবিদ্ধ: কাদের
ওবায়দুল কাদের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকল গণতন্ত্র দেশপ্রেমিক শক্তিকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বাংলার মাটি থেকে চিরতরে বন্ধ করে দিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
গত কয়েকদিনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সরকার বিরোধী বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন দেশকে ধ্বংস করে গেছে, তাই তারা এখন শুধু ধ্বংসই দেখে এবং এটাই তারা বুঝিয়ে দিচ্ছে এখনো ধ্বংসই চায় বিএনপি।
বিএনপির জাতীয় সরকারের দাবি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের জাতীয় সরকারের নামে গতবার লেজে গোবরে অবস্থা ছিল, এবারও বিএনপির জাতীয় সরকার কি হবে তা তাদের রাজনীতি থেকেই বুঝা যায়।
পড়ুন: জুনে পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে: কাদের
বিএনপিকে গরীব-দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর
ক্ষমতায় যেতে চাইলে আন্দোলন না করে বিএনপিকে গরীব দুঃখী মানুষরে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘আপনাদের জনসমর্থন নেই। রাজনীতির নামে, গণতন্ত্রের নামে আন্দোলন করে, জ্বালাও-পোড়াও আর হরতাল করে আপনারা ক্ষমতায় যেতে পারবেন না। ক্ষমতায় যেতে চাইলে আপনাদেরকে গরীব দুঃখী মানুষের পাশে থাকতে হবে, তাদেরকে সহযোগিতা করতে হবে। জনগণের সমর্থন না পেলে কোনদিন ক্ষমতায় যেতে পারবেন না।’
বুধবার (২৭ এপ্রিল) সকালে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী পৌরসভা প্রাঙ্গণে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসাবে অতিদরিদ্র ও অসহায় দুঃস্থ পরিবারের মাঝে ভিজিএফ চাল বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএনপিকে গঠনমূলক সমালোচনা করার আহ্বান জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আপনারা জনগণের জন্য রাজনীতি ও গঠনমূলক সমালোচনা করেন। কিন্তু রাজনীতির নামে, আন্দোলনের নামে গাড়িতে আগুন দেবেন, মানুষকে পুড়িয়ে মারবেন, হরতাল করবেন, রেললাইন উপড়ে ফেলবেন, সেটি আমরা করতে দিব না। এটি গণতন্ত্র না, রাজনীতি না। আন্দোলন করে অতীতে আপনারা সফল হন নাই, ভবিষ্যতেও কখনও সফল হবেন না।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপির আমলে দেশে সার পাওয়া যেতো না। চালের দাম বেশি ছিল, মানুষ চাল কিনতে পারত না। প্রতিবছর উত্তরবঙ্গে মঙ্গা হতো, মানুষ ৩-৪ দিন পর্যন্ত না খেয়ে থাকতো, না খেয়ে অনেক মানুষ মারাও যেতো। সেখানে আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের কৃষি উন্নয়ন ও ব্যাপক খাদ্য সহায়তার ফলে দেশে খাওয়ার কোন কষ্ট নেই, মঙ্গা নাই; বরং সব মানুষ খাবার পায়।
তিনি বলেন, তারপরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদ উপলক্ষে গরীব ও দুঃস্থ মানুষকে চাল দিচ্ছেন, যাতে করে কোনক্রমেই একটি মানুষও যেন খাদ্যের কষ্ট না করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে ভালবাসেন, মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত আছেন।
অনুষ্ঠানে ধনবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনার রশিদ হীরা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসলাম হোসাইন, পৌর মেয়র মনিরুজ্জামান বকলসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: আগামী নির্বাচন হবে সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য: কৃষিমন্ত্রী
হাওরের ফসলের ঝুঁকি কমাতে কাজ চলছে: কৃষিমন্ত্রী
আ’লীগ একদলীয় শাসনের সঙ্গে এক ব্যক্তির শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে: ফখরুল
আওয়ামী লীগ এখন দেশে একদলীয় শাসনের সঙ্গে এক ব্যক্তির শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখন একদলীয় শাসনের সঙ্গে এক ব্যক্তির শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। তারা আন্তর্জাতিকভাবে এখন স্বৈরতন্ত্র কায়েম করছে। পত্র পত্রিকা ও বিভিন্ন দেশ আওয়ামী লীগকে এবং এ সরকারকে স্বৈরাচারী দল হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তার প্রমাণ আমরা পাচ্ছি যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা সুনির্দিষ্ট একটি প্রতিষ্ঠানের ওপরে।’
মঙ্গলবার শহরের হাজীপাড়াস্থ নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করেছে: মির্জা ফখরুল
এসময় ফখরুল বলেন, দেশের মানুষ নিজেরাই টের পাচ্ছেন তারা এখন সম্পূর্ণ একটি ফ্যাসিবাদী সরকারের অধীনে রয়েছে। সুতরাং এটা নতুন করে রাষ্ট্রদূতদের ডেকে কথা বলার মতো না। আমরা কখনোই কোনো রাষ্ট্রদূতকে ডাকি না। রাষ্ট্রদূতরা আমাদের অফিসে এসে আমাদের সঙ্গে কথা বলেন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। এটি নিয়মিতভাবে আগে যেমন করছেন এখনও তেমনই করছেন। সেখানে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করার কিছুই নাই। আপনাদের পত্র পত্রিকায় যেসব খবর প্রকাশিত হয় সেগুলো যথেষ্ট প্রমাণ যে বাংলাদেশের এখন কী অবস্থা চলছে।
তিনি বলেন, দুঃখজনক ব্যাপার আওয়ামী লীগ সরকার পুরোপুরিভাবে আমলা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপরে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। কারণ জনগণ থেকে তারা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এখন মূলত তারা সম্পূর্ণ সামরিক-বেসমারিক আমলাতন্ত্রের ওপরেই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। যার ফলে তারা যখন গণতন্ত্রের কথা বলে তখন আমাদের কাছে হাস্যকর মনে হয় এবং জনগণের কাছেও হাস্যকর মনে হয়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ঢাকার কলাবাগানের খেলার মাঠ রক্ষার বিষয়ে একজন নারী ও তার কিশোর ছেলে প্রতিবাদ করতে গিয়ে তাদের জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় প্রমাণ করে তারা কতটা স্বৈরাচারি ও পাওয়ারফুল।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য `অপ্রত্যাশিত’: মির্জা ফখরুল
সম্প্রতি নিউমার্কেটের ঘটনা সম্পর্কে ফখরুল বলেন, ঢাকা কলেজের ছাত্র ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে যে সংঘর্ষ হয়েছে তার প্রত্যেকটি সংবাদমাধ্যমে পরিষ্কারভাবে উঠে এসেছে যে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আক্রমণগুলোর সঙ্গে সরাসরি জড়িত। ব্যবসায়ীদের মধ্যে যারা সংঘর্ষে জড়িত ছিল তারাও আওয়ামী লীগের অনুসারী। অযথা কাকে নিয়ে গেলো, বিএনপির নেতাকে অ্যারেস্ট করে নিয়ে গেলো। তিনদিনের রিমান্ডও দিলো। এই যে একটা পুরোপুরি দলীয়করণ প্রশাসনকে, বিচার বিভাগকে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীকে এ সব ঘটনা নতুন করে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হয় না। প্রতিনিয়ত ঘটছে।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান, সহ সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, সদর উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিনসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠের নেতারা।
বিদেশিদের সঙ্গেও বিএনপির মিথ্যাচারের প্রমাণ জার্মান রাষ্ট্রদূতের ক্ষোভ: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি প্রায় সময় বিদেশিদের উদ্ধৃতি দিয়ে নানা ধরনের বক্তব্য দেয়, যার বেশিরভাগই মিথ্যা এবং বানোয়াট। বিএনপি যে বিদেশিদের সঙ্গেও মিথ্যাচার ও অপরাজনীতি করে সেটির প্রমাণ হচ্ছে সম্প্রতি তাদের বক্তব্যে জার্মান রাষ্ট্রদূতের ক্ষোভ প্রকাশ।
শনিবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাটের আর বি কনভেনশন সেন্টারে তথ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দাদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে যোগদানের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
একজন রাষ্ট্রদূত প্রকাশ্যে একটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন -এমন ঘটনা আমাদের দেশে আগে কখনও আমরা দেখি নাই উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, 'জার্মান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপির যে বৈঠক ছিল সেই বৈঠকে রাষ্ট্রদূত যা বলেছেন, বিএনপি সেটিকে বিকৃতভাবে মিডিয়ার সামনে উপস্থাপন করেছে। তিনি যা বলেননি সেটি তারা মিডিয়ার সামনে বলেছেন। সে কারণে জার্মানির মত একটি দেশের রাষ্ট্রদূত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।'
তিনি বলেন, 'বিএনপির রাজনীতি তো জনগণের সঙ্গে নয়, তারা ক্ষণে ক্ষণে বিদেশিদের কাছে দৌড়ে যায়, বিদেশিদের কাছে চিঠি লেখে বাংলাদেশকে সাহায্য বন্ধ করার জন্য। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব নিজের স্বাক্ষরে আমেরিকার কংগ্রেসম্যানদের কাছে চিঠি লিখেছিলেন বাংলাদেশকে সাহায্য বন্ধ করার জন্য।'
বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য 'ঢাকা নিউমার্কেটের ঘটনায় ছাত্রলীগ যুক্ত' এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, 'মির্জা ফখরুল সাহেব মিথ্যাচারে চ্যাম্পিয়ন এবং যে কোনো গন্ডগোলকে আশ্রয় করে বিএনপি যে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে চায়, নিউমার্কেটের ঘটনাটা সেটির একটি প্রমাণ। পুলিশ ভিডিও ফুটেজ দেখে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেই আসামিদের গ্রেপ্তার করছে এবং এখন নিজেদের মুখোশ উম্মোচিত হয়েছে বিধায় বিএনপি নেতারা নানা ধরনের কথা বলছেন।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা আবোল-তাবোল বলছেন: তথ্যমন্ত্রী
মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকার চাকুরে ছিলেন জিয়াউর রহমান: তথ্যমন্ত্রী