রাজনীতি
ইসি গঠনের নামে জনগণকে ধোঁকা দিচ্ছে সরকার: বিএনপি
সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের নামে সরকার জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ তাদের ভোটের ন্যূনতম অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। নতুন ইসি গঠিত হচ্ছে। আমরা আগেই বলেছি নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকার না হলে এই ইসি কোনো কাজে আসবে না।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের জীবন ও কর্মের ওপর ‘স্মৃতি অ্যালবাম’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করা বিএনপির অভ্যাস: দীপু মনি
বিএনপির এই নেতা বলেন, একদলীয় বাকশাল শাসন পুনরুদ্ধার করতে ক্ষমতা সংহত করতে চায় সরকার। ‘তারা জনগণকে প্রতারিত করে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন গঠন করতে যাচ্ছে।
সংবাদপত্রের প্রতিবেদনের উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, কিছু দুর্নীতিবাজ চিহ্নিত করায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাদের একজন কর্মকর্তাকে অপসারণ করেছে। তার বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত না করেই তাকে অপসারণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, সরকারের মদদে দুর্নীতি দেশকে গ্রাস করেছে।’
বিএনপি নেতা আরও বলেন, চাঁদপুরে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি অধিগ্রহণের নামে শিক্ষামন্ত্রীর আত্মীয়রা প্রায় ৩০০ কোটি টাকা লুটপাট করেছে।
আরও পড়ুন: দুবাই পালিয়ে যাওয়ার সময় বিমানবন্দর থেকে বিএনপি নেতার ভাই গ্রেপ্তার
তিনি আরও বলেন, ‘আমি পত্রিকায় পড়েছি ঢাকা বিমানবন্দর থেকে টঙ্গী পর্যন্ত প্রতি কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ ব্যয় ২১৩ কোটি টাকা দেখানো হয়েছে যা বিশ্বে নজিরবিহীন। সর্বত্রই এখন ব্যাপক দুর্নীতি। দুর্নীতি এখন ক্যান্সারের মতো ছড়িয়ে পড়ছে।’
এমনকি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরাও দুর্নীতিতে লিপ্ত বলে দুঃখ প্রকাশ করে ফখরুল বলেন, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ এমন কোনো জায়গা বা খাত নেই, যেটাতে দুর্নীতি নেই।’
দেশের এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সরকার আবারও গুম, অপহরণে লিপ্ত হচ্ছে: বিএনপি
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেছেন, সরকার আবারও ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে বিরোধী কর্মীদের গুম করার মতো জঘন্য অপরাধে লিপ্ত হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ‘সাবেক এবং বর্তমান সাতজন র্যাব কর্মকর্তার ওপর সাম্প্রতিক মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এবং দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংস্থার তীব্র চাপের ফলে জোর করে গুম ও হত্যার ভয়ে থাকা পরিবারগুলোতে কিছুটা স্বস্তি এসেছে। কিন্তু, সরকার আবারও বলপ্রয়োগের মতো জঘন্য অপরাধে জড়াতে শুরু করেছে।’
উদাহরণ টেনে এই বিএনপি নেতা বলেন, খুলনা জেলা শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের (জেসিডি) সাধারণ সম্পাদককে কয়েকদিন আগে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং বরগুনা উপজেলা শাখার আরেক জেসিডি নেতাকে গুম করে থানায় সোপর্দ করা হয়। এই সরকার বারবার অমানবিক আচরণ করছে, যা অগ্রহণযোগ্য।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশ বন্ধ করতে নতুন বিধিনিষেধ: রিজভী
রিজভী অভিযোগ করেন, গুমের ঘটনায় পুলিশ বাহিনীর পাশাপাশি র্যাবকে ব্যবহার করছে সরকার।
তিনি বলেন, অতীতেও সরকারের নির্দেশে র্যাবের সদস্যরা জঘন্য অপরাধে জড়িত ছিল এবং এলিট ফোর্সকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত বাহিনীতে পরিণত করেছে।
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, ‘তারা (সরকার) পরে গোয়েন্দা পুলিশ ও পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার করে সারাদেশে বন্দুকযুদ্ধের নামে অপহরণ, গুম এবং মানুষ হত্যা করেছে। এখন এই ধরনের অপরাধে সিআইডিকে ব্যবহার করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রথমে বিরোধী দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে তুলে নিয়ে চিরতরে গুম করে দেয় অথবা অস্ত্র উদ্ধারের নামে ক্রসফায়ারে মেরে ফেলে। কখনও কখনও নিহতদের লাশ রাস্তার ধারে বা নদীতে পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে বিএনপির সমাবেশে পুলিশের হামলায় ৩০০ জন আহত হয়েছে: রিজভী
বিএনপির এই নেতা সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেন, অপহরণ ও গুম করে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার পরিণতি হবে ভয়াবহ।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও জনগণের হারানো অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের পর অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানান রিজভী।
অন্যথায় বর্তমান সরকারের পতন নিশ্চিত করতে তারা আবারও রাজপথে আন্দোলন শুরু করবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘মধ্যরাতে ভোটের সরকারের বিদায়ের গণনা শুরু হয়েছে। আওয়ামী দুঃশাসনের ভয়ঙ্কর শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পেতে চায়, জনগণের এমন তীব্র আন্দোলন দেখে সরকার আতঙ্কিত।’
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু ভোটের পরিস্থিতি বাংলাদেশ থেকে নিরুদ্দেশ: রিজভী
একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
২১ ফেব্রুয়ারি যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
মাতৃভাষার জন্য বাঙালি জাতির সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ একুশে ফেব্রুয়ারি একই সঙ্গে পালিত হবে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে।
১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: সার্চ কমিটির কার্যক্রম তামাশা ছাড়া আর কিছু না: বিএনপি
রিজভী জানান, কর্মসূচির অংশ হিসেবে তাদের দল ২০ ফেব্রুয়ারি দিবসটি উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভার আযোজন করবে।
তিনি বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টায় বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দল ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখবেন এবং কালো পতাকা উত্তোলন করবেন।
ওইদিন সকাল ৬টায় নীলক্ষেতের বলাকা সিনেমা হলের সামনে কালো ব্যাজ ধারণ করে জড়ো হবেন দলটির নেতাকর্মীরা। পরে তারা প্রথমে আজিমপুর কবরস্থানে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের কবরে ফাতেহা পাঠ এবং পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
এছাড়া সারাদেশে বিএনপির কয়েকটি ইউনিট বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করবে।
আরও পড়ুন: সার্চ কমিটি সরকারের আরেকটি 'আজ্ঞাবহ' ইসি গঠনে কাজ করছে: বিএনপি
সার্চ কমিটি ‘নাটকের’ অংশ: বিএনপি
বিএনপির নাম জমা না দিলেও দেশের মানুষের কোনো যায় আসে না: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যে নির্বাচন কমিশন গঠন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, আশেপাশের কোন দেশে এভাবে অংশগ্রহণমূলক ভাবে উদ্যোগ নেয়া হয় নাই। যেখানে ৩০০ মানুষের বেশি নাম জমা পড়েছে। সেখানে বিএনপির ঘরে বসে থাকলেও কোন লাভ নেই। নাম জমা না দিলেও কোনো যায় আসে না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নওগাঁর জিলা স্কুল মাঠে নওগাঁ পৌর-আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি সরাসরি নাম জমা না দিয়ে গোপনে অন্যদের মাধ্যমে নাম জমা দিয়েছে এবং তাদের বুদ্ধিজীবীরা সেখানে গিয়েছে। দেশের মানুষ বলছেন তারা যে নামগুলো দিয়েছেন আসলে সেগুলো বিএনপির নাম।
হাছান মাহমুদ বলেন, এমন একটি নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে যার মাধ্যমে দেশে সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যে নির্বাচনে জনগণের মতামত প্রতিফলিত হবে। তাই বিএনপিকে অনুরোধ জানাব এই ভাবে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে কোন লাভ হবে না। আপনারা সরাসরি নাম না দিয়ে এখন আসামির কাঠগড়ায় দাড়িয়েছেন।
আরও পড়ুন: সাহায্য বন্ধের চিঠি লেখায় মির্জা ফখরুলের বিচার হওয়া দরকার: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সার্চ কমিটির মাধ্যমে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। বিএনপি কখনোই খুশি হবে না। ফেরেশতা বসিয়ে কমিশন গঠন করা হলেও তারা মানবে না।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সমাজের সকল স্তরের মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করে একটি নির্বাচন কমিশন গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যখন সবাই গিয়ে সার্চ কমিটির সঙ্গে দেখা করলো, সবাই নাম জমা দিলো; বিএনপি তখন এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত না হয়ে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছি। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের সংবাদ সম্মেলনে আমরা আসামির জবানবন্দি শুনেছি। সারা দেশের রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজ সার্চ কমিটিতে নাম জমা দেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি আজকে আসামির কাঠগড়ায়। নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করার প্রক্রিয়াকে বিতর্কিত করার চেষ্টায় সংবাদ সম্মেলন ডেকে একের পর এক মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে যাচ্ছে।’
সার্চ কমিটির মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন গঠন হবে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সার্চ কমিটিতে নির্বাচন কমিশনের জন্য ৩০০ এর অধিক নাম জমা পড়েছে। যারা সার্চ কমিটিতে আছেন তাঁরা এমন একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন যে কমিশন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। যে নির্বাচন কমিশন আগামীতে নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেবেন এবং জনগণের রায়ে আওয়ামী লীগই আবারও ক্ষমতায় আসবে। বিএনপি কখনই খুশি হবে না। জয়ের নিশ্চিয়তা না দিলে ফেরেশতা বসিয়ে কমিশন গঠন করলেও বিএনপি খুশি হবে না। স্বয়ং আল্লাহ পাক যদি ফেরেশতা পাঠিয়ে কমিশন গঠন করে দেন তখন বিএনপি সেই ফেরেশতাদের সঙ্গে কথা বলবেন, আমরা জয়লাভ করব সেই নিশ্চিয়তা দিতে পারবেন কিনা? যদি ফেরেশতা তারা জয়লাভ করবে সেই নিশ্চিয়তা দিতে পারে তখন কেবল বিএনপি সেই কমিশন মানবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপির হুমকি শুনে মানুষ হাস্যরস করে: তথ্যমন্ত্রী
পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতাদের আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বসানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে সম্মেলনে উপস্থিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সব সময় সুদিন থাকবে সেটি মাথায় রাখবে না। সব সময় একটি রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকবে সেটি মনে করার কোনো সুযোগ নেই। জনগণ যদি আমাদের পক্ষে রায় দেন, আবারও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে। যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। যারা ক্ষমতার হালুয়া-রুটি নেয়ার জন্য দল করে তাদের নেতৃত্বে আনা যাবে না। যারা পিঠ বাঁচানোর রাজনীতি করে তাদেরকে নেতৃত্বে আনা যাবে না। মূল নেতৃত্বে তাদের হাতেই থাকবে যারা ত্যাগী এবং পরীক্ষিত সৈনিক। যারা জায়গা দখল, যারা মাদকের সাথে যুক্ত, দল ক্ষমতায় গেলে উধ্যত আচরণ করে তাদের নেতৃত্বে আনা সমুচীন নয়। ক্ষমতায় থাকলে বিনয়ী হতে হয়। উধ্যত আচরণ করলে যতই উন্নয়ন করা হোক না কেন মানুষ ভোট দেবে না।’
এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মালেক। সম্মেলনে প্রধন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, খাদ্যমন্ত্রী ও নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাধন চন্দ্র মজুমদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, সদস্য নূরুল ইসলাম, সাংসদ ইমাজ উদ্দিন প্রামানিক, শহীদুজ্জামান সরকার, ছলিম উদ্দিন তরফদার, নিজাম উদ্দিন জলিল, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সুস্থতায় কর্মীদের স্বস্তি, নেতারা হতাশ: তথ্যমন্ত্রী
সার্চ কমিটির কার্যক্রম তামাশা ছাড়া আর কিছু না: বিএনপি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সার্চ কমিটির কার্যক্রমকে ‘তামাশা’ আখ্যায়িত করে বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সার্চ প্যানেলে নাম পাঠানো অর্থহীন।
তিনি বলেন, ‘এর (অনুসন্ধান কমিটির) কার্যক্রমে রসিকতা ছাড়া আর কিছুই নেই। এটির একমাত্র উদ্দেশ্য মানুষকে বিভ্রান্ত করা। এটি সম্পূর্ণরূপে একটি আইওয়াশ।’
বুধবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্ভব না।
আরও পড়ুন: সার্চ কমিটি ‘নাটকের’ অংশ: বিএনপি
তিনি বলেন, তাই বিএনপি মনে করে সার্চ কমিটিতে নাম পাঠানো এবং নির্বাচন কমিশন গঠন সম্পূর্ণ অর্থহীন।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, সার্চ কমিটির মাধ্যমে গত দুইবারের মতো নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে, যাতে ক্ষমতাসীন দলকে অতীতের মতোই নির্বাচন নিয়ন্ত্রণের সুযোগ দেয়া হয়।
তিনি বলেন, বিএনপি মনে করে জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া ক্ষমতায় থাকা অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো অবস্থাতেই একটি নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব না।
ফখরুল বলেন, তাদের দল মনে করে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর এবং এভাবে একটি প্রতিনিধিত্বমূলক সংসদ ও সরকার প্রতিষ্ঠাই দেশের বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায়।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ আইন-২০২২’-এর অধীনে ছয় সদস্যের একটি সার্চ কমিটি গঠন করা হয়। নতুন সিইসি ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে ১০টি নাম প্রস্তাব করবে সার্চ কমিটি।
সরকারি প্রকল্প নিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের মধ্যে এক ফোনালাপের কথা উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘যেহেতু আইনমন্ত্রী কথোপকথনের সত্যতা স্বীকার করেছেন, তাই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সত্য উন্মোচন করা অপরিহার্য।’
আরও পড়ুন: সার্চ কমিটি সরকারের আরেকটি 'আজ্ঞাবহ' ইসি গঠনে কাজ করছে: বিএনপি
এ বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত করে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, তাদের দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে চাল, ডাল, তেলের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ক্রমবর্ধমান মূল্য এবং জ্বালানি তেল, গ্যাস ও পানির দাম ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধির বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
ফখরুল বলেন, ‘প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং ইউটিলিটি পরিষেবার শুল্ক বৃদ্ধির কারণে মধ্যবিত্ত, নিম্ন আয়ের মানুষ এবং শ্রমিকরা গুরুতর বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমাতে এবং পানি, গ্যাস ও তেলের শুল্ক বাড়ানোর পদক্ষেপ বন্ধে অবিলম্বে সরকারকে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান।
আরও পড়ুন: সার্চ কমিটির নামে ‘আওয়ামী খাস কমিটি’ গঠিত: বিএনপি
বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই সার্চ কমিটি ও সংলাপকে অবজ্ঞা করছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই রাষ্ট্রপতি, সার্চ কমিটি এবং সংলাপকে অবজ্ঞা করছে। তাদের এ আচরণ দেশের গণতন্ত্রের জন্য, দেশের জন্য অত্যন্ত হুমকিস্বরূপ।’
তিনি বলেন, 'আসলে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে ধ্বংস করে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া আর ফেরেশতাও যদি তাদেরকে নির্বাচনে জয়লাভের নিশ্চয়তা না দেয় তার আগ পর্যন্ত তারা নির্বাচন মানবে না -এই তাদের উদ্দেশ্য।' বুধবার সকালে রাজধানীতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল মিলনায়তনে ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল-২০২০ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।সার্চ কমিটি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে বসে তাদের কাছ থেকে নাম নিয়ে একটি অসাধারণ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছে, যা দেশের মধ্যে সাড়া জাগিয়েছে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্রপতি তার ক্ষমতাটা সার্চ কমিটির হাতে দিয়েছেন। সার্চ কমিটি সেখান থেকে বাছাই করে ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবেন, যেখান থেকে তিনি পাঁচ জনকে নিয়োগ দেবেন। বিএনপি’র ঘরোনা বুদ্ধিজীবীরাও সার্চ কমিটিকে বলেছেন, বিএনপির আসা প্রয়োজন, কিন্তু বিএনপি শুরু থেকেই পুরো প্রক্রিয়াকেই না করেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির হুমকি শুনে মানুষ হাস্যরস করে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সার্চ কমিটি যেভাবে কাজ করছে এজন্য তারা সত্যিকার অর্থেই দেশবাসীর ধন্যবাদ পাওয়ার অধিকার রাখে এবং ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা এমনকি কন্টিনেন্টাল ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও এতো অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিতে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয় না।এর আগে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশকে ওআইসির সদস্যভূক্ত করেছিলেন। যে কারণে আজকে আমরা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটালের অনুষ্ঠানাদি আয়োজন করতে সক্ষম হয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক আগ্রহেই আজ বাংলাদেশ ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিশ্বে স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে। যখন আমাদের যুব ক্রিকেট দল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়, আমাদের নারী ক্রিকেট দল এশিয়া কাপ জিতে নেয়, নারী ফুটবল দল ১১ গোলে পাকিস্তানকে হারিয়ে দেয়, এমনকি আমাদের শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদ যখন এশীয় অলিম্পিক থেকে পদক নিয়ে আসে তখন আমরা বিশ্ব সংবাদ হই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্রীড়ায় উৎকর্ষ সাধনের যে নানা উদ্যোগ ও পদক্ষেপ নিয়েছেন সেজন্যই এই অর্জন সম্ভব হয়েছে।তারুণ্যই শক্তি, তারুণ্যই সমৃদ্ধি এবং তারুণ্যের শক্তি দিয়ে দেশ ও বিশ্বকে আমরা সমৃদ্ধির সোপানে উন্নীত করবো উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ এসময় ঢাকাকে ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল হিসেবে নির্বাচিত করায় ওআইসি ইয়ুথ ফোরামকে এবং প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
সভাশেষে অতিথিরা ওআইসি ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত শিল্প-সংস্কৃতি বিষয়ে ১০টি প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
আরও পড়ুন: সাহায্য বন্ধের চিঠি লেখায় মির্জা ফখরুলের বিচার হওয়া দরকার: তথ্যমন্ত্রী
ইসি গঠনের সার্চ কমিটি সুন্দর ও নিরপেক্ষ: তথ্যমন্ত্রী
সার্চ কমিটি সরকারের আরেকটি 'আজ্ঞাবহ' ইসি গঠনে কাজ করছে: বিএনপি
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মঙ্গলবার অভিযোগ করেছেন, সার্চ কমিটি বিদায়ী কমিশনের মতো সরকারের আজ্ঞাবহ আরেকটি নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘আমি দেখলাম ৩২২ জনের তালিকা। কথাটা হচ্ছে যে, নির্বাচন কমিশনে যারা যাবেন তারা অত্যন্ত যোগ্য দক্ষ লোক হবেন। আগে দেখেছি, নাম প্রস্তাব করা হয়, তাদেরকে বলা হয়, তারপর তারা রাজি হন। এখন সব একেবারে মিছিল করে যাচ্ছেন সার্চ কমিটির কাছে নির্বাচন কমিশনে সদস্য হওয়ার জন্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার হওয়ার জন্য। এ যে আবেগীপনা। এই লোকগুলো নির্বাচন কমিশনে এলে আমরা সহজেই বুঝতে পারব দেশে গণতন্ত্র, ভোট ও নির্বাচনের পরিণতি কী হবে ?’
সোমবার এক আলোচনা সভায় রিজভী এসব কথা বলেন। আগামী সাধারণ নির্বাচন সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে বিএনপিপন্থী প্ল্যাটফর্ম ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী প্রকল্প ৭১’ জাতীয় প্রেসক্লাবে এই আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
রিজভী বলেন, বিদায়ী কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন ইসির চেয়েও খারাপ হবে এমন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি কাজ করছে। আগের সার্চ কমিটি হুদাকে (কেএম নুরুল হুদা) খুঁজে পেয়েছিল। এবারের সার্চ কমিটি হুদার চেয়েও খারাপ আরেকজনকে খুঁজে পাবে।
সেই হুদাকে দিয়ে ভোট ডাকাতির নির্বাচন, কেন্দ্র দখলের নির্বাচন, প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচন, নিশিরাতে নির্বাচন হয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা আশঙ্কা করেন, এবার সরকারের প্রতি অনুগত ব্যক্তিদের নিয়ে একটি কমিশন গঠন করা হবে যারা গভীর রাতের পরিবর্তে সন্ধ্যায় নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে।
আরও পড়ুন: সার্চ কমিটি ‘নাটকের’ অংশ: বিএনপি
তিনি বলেন, ‘বর্তমান 'অবৈধ' সার্চ কমিটির সুপারিশ নিয়ে গঠিত ইসিকে তাদের দল আগাম প্রত্যাখ্যান করছে। অবৈধ সরকারের সব কর্মকাণ্ডই বেআইনি। এর সঙ্গে জনগণ ও স্বচ্ছতার কোনো সম্পর্ক নেই।’
রিজভী জানান, আওয়ামী লীগ শাসনের পতন নিশ্চিত করতে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে তাদের দল আন্দোলন জোরদার করার আহ্বান জানাবে।
এর আগে সোমবার, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ পরবর্তী নির্বাচন কমিশনের জন্য সার্চ কমিটিতে রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংস্থা এবং ব্যক্তিদের প্রস্তাবিত ৩২২টি নাম প্রকাশ করেছে।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ আইন-২০২২’-এর অধীনে ছয় সদস্যের একটি সার্চ কমিটি গঠন করা হয়। নতুন সিইসি ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে ১০টি নাম প্রস্তাব করবে সার্চ কমিটি।
আরও পড়ুন: সার্চ কমিটির নামে ‘আওয়ামী খাস কমিটি’ গঠিত: বিএনপি
সার্চ কমিটি একটি অর্থহীন চর্চা: বিএনপি
সরকারবিরোধী ঐক্য শিগগিরই গড়ে তোলা হবে: বিএনপি
দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন জোরদার করতে বিএনপি একটি শক্তিশালী ‘সরকারবিরোধী ঐক্য’ গড়ে তুলবে বলে জানিয়েছেন দলটির জ্যৈষ্ঠ নেতা নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি আমরা সবাই মিলে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পারব। ইনশাআল্লাহ, বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা হবে।’
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে নব্বইয়ের ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের যৌথ উদ্যোগে ‘স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিএনপির এই নেতা।
আরও পড়ুন: সার্চ কমিটি ‘নাটকের’ অংশ: বিএনপি
তিনি বলেন, যারা গণতন্ত্র চায় তারা বিএনপির নেতৃত্বে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনে যোগ দেবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হবো যারা সরকারের সুবিধাভোগী নয়; যারা ব্যক্তিগত স্বার্থের কথা চিন্তা করে না এবং ওই সব সংস্থা ও দল যারা বাংলাদেশকে ভালোবাসে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আমরা তাদের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই করবো।’
সামরিক স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদ ক্ষমতায় আসার মাত্র এক বছরের মাথায় মজিদ খান শিক্ষা কমিশনের প্রতিবেদন বাতিলের দাবিতে ১৯৮৩ সালের এই দিনে রাজধানীতে স্বৈরাচার বিরোধী বিক্ষোভের সময় কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়। নিহতদের অধিকাংশই শিক্ষার্থী ছিলেন।
এ সময় নজরুল ইসলাম খান গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার চলমান আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের আরও সক্রিয় হওয়ায় আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: পুলিশের কাজে বাধা: বিএনপির ১০ নেতাকর্মী রিমান্ডে
বিএনপির বিরুদ্ধে মোটা অঙ্কের অর্থ পাচারের অভিযোগ জয়ের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে বড় অঙ্কের অর্থপাচারের অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। বৈশ্বিক বেশ কিছু সংস্থার প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি এক ভিডিও পোস্টের মাধ্যমে এ দাবি করেন তিনি।
জয় তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে বিএনপি সরকারের ২০০১-০৬ সাল মেয়াদে ‘বাংলাদেশ থেকে কে, কিভাবে, কখন ও কোথায় অর্থপাচার করেছে’ এমন একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন।
ভিডিও প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক জিয়া তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের অ্যাকাউন্টে ২০ কোটি টাকা পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় এফবিআইয়ের এক কর্মকর্তা তারেক জিয়ার অর্থ পাচার মামলায় সাক্ষ্য প্রদান করেছে বলেও দাবি করা হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের ‘বাংলাদেশ বিরোধী কার্যকলাপ’ নিয়ে ভিডিও শেয়ার জয়ের
খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান (কোকো) ২০০১-০৬ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে সিঙ্গাপুরে বড় অঙ্কের অর্থ পাচার করেছে। তার মাধ্যমে পাচার হওয়া অর্থের মধ্যে থেকে তিন ধাপে ৩০ লাখ সিঙ্গাপুর ডলার ফেরত আনতে সক্ষম হয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার দুর্নীতির তথ্য এফবিআইয়ের ওয়েবসাইটেও রয়েছে বলে দাবি করেন সজীব ওয়াজেদ।
ভিডিও প্রতিবেদনে বলা হয়, প্যারাডাইজ পেপারেও অসংখ্য বিএনপি নেতার নাম এসেছে। তাদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করা আব্দুল আওয়াল মিন্টু, তার স্ত্রী ও তিন ছেলের নাম রয়েছে। বিশ্বের যেখানেই দুর্নীতি নিয়ে কোনো তদন্ত হয়েছে সেখানেই বিএনপি নেতাদের নাম উঠে এসেছে।
ফাঁস হওয়া পানামা পেপারস এ অর্থ পাচার করা ৩৪ বাংলাদেশি ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে। তাদের মধ্যে বিএনপির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোর্শেদ খান ও তার ছেলে ফাইসাল মোর্শেদ খান রয়েছেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের কারাগারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যাচেষ্টার ইতিহাস জানতে জয়ের আহ্বান
ভিডিওতে বলা হয়েছে, এই বৈশ্বিক অনুসন্ধানকারীরা কে ক্ষমতায় আছে তাতে কিছু যায় আসে না। তারা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একই রকম দুর্নীতির তথ্য পেলে এভাবেই প্রচার করবে। কিন্তু তেমন কিছু তারা করেনি।
সম্প্রতি প্যান্ডোরা পেপারস ফাঁস হওয়ার পর সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে এক কোটি ২০ লাখের বেশি গোপন নথি রয়েছে। কিন্তু পানামা পেপারস বা প্যান্ডোরা পেপারস কোনটিতেই দুর্নীতি অনুসন্ধানে আওয়ামী লীগের শীর্ষ কোনো নেতার নাম উঠে আসেনি। কিন্তু প্রতিটি পেপারসে বিএনপি নেতাদের নাম মিলছে বলে ভিডিও প্রতিবেদনে বলা হয়।
দক্ষ, যোগ্য ইসি চায় জাতীয় পার্টি: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, জাতীয় পার্টি একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন (ইসি) চায়, যেটা একটি বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন করতে পারবে।
তিনি বলেন, আমরা এমন একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন চাই যারা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে সক্ষম হবে।
জাতীয় পার্টির প্রধান বলেন, পরবর্তী প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য কমিশনারদের নিয়োগের জন্য সার্চ কমিটি কার নাম প্রস্তাব করবে, তা দেখার জন্য জনগণ উৎসুক।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ এখন 'বন্ধুহীন': জিএম কাদের
শনিবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যানদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব মন্তব্য করেন তিনি।
জিএম কাদের বলেন, ‘তাদের দল নির্বাচন কমিশন গঠনে সংবিধান অনুযায়ী একটি আইন চায়। বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ ক্ষমতা নিশ্চিত করতে আমরা আইনটিও চেয়েছি।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ক্ষমতাহীন নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারে না। তবে সিইসি নিয়োগের আইন নতুন বোতলে পুরানো মদ ছাড়া আর কিছুই নয়।
তিনি অবশ্য বলেন, রাষ্ট্রপতি মনোনীত সার্চ কমিটির সকল সদস্যই সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। ‘আমি আশা করি তারা নির্বাচন কমিশনের জন্য যোগ্য ও গ্রহণযোগ্য লোকদের নির্বাচিত করবে।’
উল্লেখ্য নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত নতুন আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গত ৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি সার্চ কমিটি গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার ইস্যুতে আপস করবে না জাপা: জিএম কাদের