রাজনীতি
সরকারবিরোধী ঐক্য শিগগিরই গড়ে তোলা হবে: বিএনপি
দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন জোরদার করতে বিএনপি একটি শক্তিশালী ‘সরকারবিরোধী ঐক্য’ গড়ে তুলবে বলে জানিয়েছেন দলটির জ্যৈষ্ঠ নেতা নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি আমরা সবাই মিলে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পারব। ইনশাআল্লাহ, বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা হবে।’
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে নব্বইয়ের ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের যৌথ উদ্যোগে ‘স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিএনপির এই নেতা।
আরও পড়ুন: সার্চ কমিটি ‘নাটকের’ অংশ: বিএনপি
তিনি বলেন, যারা গণতন্ত্র চায় তারা বিএনপির নেতৃত্বে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনে যোগ দেবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হবো যারা সরকারের সুবিধাভোগী নয়; যারা ব্যক্তিগত স্বার্থের কথা চিন্তা করে না এবং ওই সব সংস্থা ও দল যারা বাংলাদেশকে ভালোবাসে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আমরা তাদের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই করবো।’
সামরিক স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদ ক্ষমতায় আসার মাত্র এক বছরের মাথায় মজিদ খান শিক্ষা কমিশনের প্রতিবেদন বাতিলের দাবিতে ১৯৮৩ সালের এই দিনে রাজধানীতে স্বৈরাচার বিরোধী বিক্ষোভের সময় কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়। নিহতদের অধিকাংশই শিক্ষার্থী ছিলেন।
এ সময় নজরুল ইসলাম খান গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার চলমান আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের আরও সক্রিয় হওয়ায় আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: পুলিশের কাজে বাধা: বিএনপির ১০ নেতাকর্মী রিমান্ডে
বিএনপির বিরুদ্ধে মোটা অঙ্কের অর্থ পাচারের অভিযোগ জয়ের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে বড় অঙ্কের অর্থপাচারের অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। বৈশ্বিক বেশ কিছু সংস্থার প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি এক ভিডিও পোস্টের মাধ্যমে এ দাবি করেন তিনি।
জয় তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে বিএনপি সরকারের ২০০১-০৬ সাল মেয়াদে ‘বাংলাদেশ থেকে কে, কিভাবে, কখন ও কোথায় অর্থপাচার করেছে’ এমন একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন।
ভিডিও প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক জিয়া তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের অ্যাকাউন্টে ২০ কোটি টাকা পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় এফবিআইয়ের এক কর্মকর্তা তারেক জিয়ার অর্থ পাচার মামলায় সাক্ষ্য প্রদান করেছে বলেও দাবি করা হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের ‘বাংলাদেশ বিরোধী কার্যকলাপ’ নিয়ে ভিডিও শেয়ার জয়ের
খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান (কোকো) ২০০১-০৬ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে সিঙ্গাপুরে বড় অঙ্কের অর্থ পাচার করেছে। তার মাধ্যমে পাচার হওয়া অর্থের মধ্যে থেকে তিন ধাপে ৩০ লাখ সিঙ্গাপুর ডলার ফেরত আনতে সক্ষম হয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার দুর্নীতির তথ্য এফবিআইয়ের ওয়েবসাইটেও রয়েছে বলে দাবি করেন সজীব ওয়াজেদ।
ভিডিও প্রতিবেদনে বলা হয়, প্যারাডাইজ পেপারেও অসংখ্য বিএনপি নেতার নাম এসেছে। তাদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করা আব্দুল আওয়াল মিন্টু, তার স্ত্রী ও তিন ছেলের নাম রয়েছে। বিশ্বের যেখানেই দুর্নীতি নিয়ে কোনো তদন্ত হয়েছে সেখানেই বিএনপি নেতাদের নাম উঠে এসেছে।
ফাঁস হওয়া পানামা পেপারস এ অর্থ পাচার করা ৩৪ বাংলাদেশি ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে। তাদের মধ্যে বিএনপির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোর্শেদ খান ও তার ছেলে ফাইসাল মোর্শেদ খান রয়েছেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের কারাগারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যাচেষ্টার ইতিহাস জানতে জয়ের আহ্বান
ভিডিওতে বলা হয়েছে, এই বৈশ্বিক অনুসন্ধানকারীরা কে ক্ষমতায় আছে তাতে কিছু যায় আসে না। তারা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একই রকম দুর্নীতির তথ্য পেলে এভাবেই প্রচার করবে। কিন্তু তেমন কিছু তারা করেনি।
সম্প্রতি প্যান্ডোরা পেপারস ফাঁস হওয়ার পর সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে এক কোটি ২০ লাখের বেশি গোপন নথি রয়েছে। কিন্তু পানামা পেপারস বা প্যান্ডোরা পেপারস কোনটিতেই দুর্নীতি অনুসন্ধানে আওয়ামী লীগের শীর্ষ কোনো নেতার নাম উঠে আসেনি। কিন্তু প্রতিটি পেপারসে বিএনপি নেতাদের নাম মিলছে বলে ভিডিও প্রতিবেদনে বলা হয়।
দক্ষ, যোগ্য ইসি চায় জাতীয় পার্টি: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, জাতীয় পার্টি একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন (ইসি) চায়, যেটা একটি বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন করতে পারবে।
তিনি বলেন, আমরা এমন একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন চাই যারা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে সক্ষম হবে।
জাতীয় পার্টির প্রধান বলেন, পরবর্তী প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য কমিশনারদের নিয়োগের জন্য সার্চ কমিটি কার নাম প্রস্তাব করবে, তা দেখার জন্য জনগণ উৎসুক।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ এখন 'বন্ধুহীন': জিএম কাদের
শনিবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যানদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব মন্তব্য করেন তিনি।
জিএম কাদের বলেন, ‘তাদের দল নির্বাচন কমিশন গঠনে সংবিধান অনুযায়ী একটি আইন চায়। বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ ক্ষমতা নিশ্চিত করতে আমরা আইনটিও চেয়েছি।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ক্ষমতাহীন নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারে না। তবে সিইসি নিয়োগের আইন নতুন বোতলে পুরানো মদ ছাড়া আর কিছুই নয়।
তিনি অবশ্য বলেন, রাষ্ট্রপতি মনোনীত সার্চ কমিটির সকল সদস্যই সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। ‘আমি আশা করি তারা নির্বাচন কমিশনের জন্য যোগ্য ও গ্রহণযোগ্য লোকদের নির্বাচিত করবে।’
উল্লেখ্য নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত নতুন আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গত ৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি সার্চ কমিটি গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার ইস্যুতে আপস করবে না জাপা: জিএম কাদের
মিহির ঘোষের মুক্তির দাবিতে সমাবেশ ও মশাল মিছিল
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) বাতিল ও কমিউনিস্ট পার্টি বাংলাদেশের (সিপিবি) প্রেসিডিয়াম সদস্য মিহির ঘোষের মুক্তির দাবিতে সমাবেশ ও মশাল মিছিল করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে ঢাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাগীব নাঈম বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কোনো আইন হিসেবে না, সরকার এটাকে মুক্ত কণ্ঠরোধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।
সমাবেশে বক্তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে গ্রেপ্তার হওয়া সমস্ত বন্দীর মুক্তি দাবি করেছে।
সমাবেশ শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক ও রাজু ভাস্কর্য প্রদক্ষিণ করে মিছিলটি পল্টন মোড়ের দিকে এগিয়ে যায়। সেখানে মিছিল পরবর্তী প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি ভিসির পদত্যাগের দাবিতে বরিশালে মশাল মিছিল
রাজধানীতে বিজয় মিছিলে যানজট, দুঃখ প্রকাশ আওয়ামী লীগের
বিএনপির মশাল মিছিল দেখে জনগণ আতঙ্কিত হয়: তথ্যমন্ত্রী
সার্চ কমিটি ‘নাটকের’ অংশ: বিএনপি
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন অভিযোগ করে বলেছেন, ‘ভোট ডাকাতির’ মাধ্যমে আবার ক্ষমতায় আসতে অনুগত নির্বাচন কমিশন গঠন করতে সরকার ‘নাটক’ এর অংশ হিসেবে সার্চ কমিটি গঠন করেছে।
তিনি বলেন, ‘সার্চ কমিটি বর্তমান সরকারের প্রতি অনুগত থাকবে। এই কমিটিতে শেখ হাসিনা বা সরকার যাদের নাম দেবেন তারাই নির্বাচন কমিশনার হবেন।’
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আগামী জাতীয় নির্বাচন নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আয়োজনের দাবিতে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) আয়োজিত কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি।
আলোচনায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, তাদের দল মনে করে বর্তমান সার্চ কমিটির অধীনে নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়ার কোনো মানে হয় না।
আরও পড়ুন: সার্চ কমিটির নামে ‘আওয়ামী খাস কমিটি’ গঠিত: বিএনপি
তিনি বলেন, ‘তাই এই সার্চ কমিটি গঠন হলো পুরনো স্টাইলে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় আসার জন্য সরকারের একটি নাটক।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ বলেছেন, তাদের দল ও জোটের শরিকরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ তার অধীনে অনুষ্ঠিত আগের দুটি নির্বাচন সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হয়নি।
জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে তিনি সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে আগামী নির্বাচন আয়োজনের পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা বলতে চাই আপনি যা করছেন তা দেশের জনগণ পর্যবেক্ষণ করছে। যথেষ্ট হয়েছে। শুধু বাংলাদেশের জনগণই নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও বলছে যথেষ্ট হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিকে এভাবে চলতে দেয়া যায় না।’
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বর্তমান 'স্বৈরাচারী' শাসকসকগোষ্ঠী যদি নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ প্রশস্ত না করে তাহলে তাদের দল জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।
মোশাররফ বলেন, ‘আমরা একটি জাতীয় ঐক্য গঠনের চেষ্টা করছি। ইনশাআল্লাহ, আমরা যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করব। সবাই সেই আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হোন।’
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার ১০ বছর পার হয়ে গেলেও কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘সাগর ও রুনি নিশ্চয়ই সরকারের কিছু গোপন খবর জানতেন। যে কারণে সেদিন তাদের হত্যা করা হয়েছিল। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে গত ১০ বছরেও মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়নি, বিচারের কথা তো বলাই বাহুল্য।’
আরও পড়ুন: সার্চ কমিটি একটি অর্থহীন চর্চা: বিএনপি
ইসি গঠনের সার্চ কমিটি সুন্দর ও নিরপেক্ষ: তথ্যমন্ত্রী
সার্চ কমিটিতে এককভাবে নাম পাঠাবে আ’লীগ: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য যোগ্য ব্যক্তিদের নাম সার্চ কমিটিতে জোটগতভাবে নয়, এককভাবে পাঠাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সার্চ কমিটিতে নামের তালিকা পাঠানো হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্টের (ইফাদ) কান্ট্রি ডিরেক্টর আর্নৌদ হামিলির্স এর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সার্চ কমিটিতে নাম পাঠানো বিএনপির দায়িত্ব। সার্চ কমিটিতে তারা নাম দিল কি দিল না- তাতে কিছু যায় আসে না। দেশের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সার্চ কমিটি দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এমন একটা কমিশন গঠন করবে, যা সকলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে। আমি বিশ্বাস করি, বিএনপি যতই আন্দোলন-সংগ্রামের হুমকি দিক না কেন, অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে তারা শিক্ষা নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে করার জন্য সরকার নির্বাচন কমিশনকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবে।
আ.লীগের প্রচারণায় বিদেশে মিশন ব্যবহার করছে সরকার: বিএনপি
আওয়ামী লীগের প্রচারণায় সরকার বিদেশে বাংলাদেশি দূতাবাস ও হাইকমিশন ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা করা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন সব দূতাবাস/মিশনের প্রাথমিক দায়িত্ব। জনগণের করের টাকায় এ সব মিশনের ব্যয় বহন করে রাষ্ট্র।’
বুধবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, লজ্জাজনক ও অপেশাদার উপায়ে এসব মিশন জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হচ্ছে। ‘এসব সংস্থা মিথ্যা ও জনগণকে প্রতারিত করতে ব্যবহৃত হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ‘খালেদাকে সম্মননা দেয়া প্রতিষ্ঠানটি বিএনপির হয়ে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছিল’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ মিশন মার্কিন কংগ্রেসম্যান ও দেশটির পররাষ্ট্র বিষয়ক হাউস কমিটির চেয়ারম্যান গ্রেগরি ডব্লিউ মিকসের বক্তব্যকে বিকৃত করেছে। তিনি নিউইয়র্কের কুইন্স এলাকায় একটি তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে (র্যাবের ওপর) নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছিলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘তার (মিকস) বক্তব্যকে বিকৃত করে এবং দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে ধুম্রজাল তৈরি করে ওয়াশিংটনে অবস্থিত মিশন শুধু সচেতন মানুষকেই প্রতারিত করেনি, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশকে হেয় করেছে।’
তিনি বলেন, ‘কংগ্রেসম্যান মিকস নিজেই ইতোমধ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম, তার নিজস্ব ওয়েবসাইট ও মার্কিন পররাষ্ট্র বিষয়ক হাউস কমিটির ওয়েবসাইটে তার বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন।’
মার্কিন পররাষ্ট্র বিষয়ক হাউস কমিটির ওয়েবসাইটে পোস্ট করা বিবৃতির কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মিকস স্পষ্টভাবে র্যাব ও এর কয়েকজন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে সমর্থন করেছেন। মিকস বলেছেন তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে বাইডেন প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেন। তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচন যেন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয় তা নিশ্চিত করাসহ মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সাহায্য করতে তিনি কাজ করবেন।’
আরও পড়ুন: পুলিশের কাজে বাধা: বিএনপির ১০ নেতাকর্মী রিমান্ডে
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত একটি বেসরকারি সংবাদ সম্মেলনের সূত্র ধরে সেখানে অবস্থিত দূতাবাসের পক্ষ থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছিল। যেখানে সুস্পষ্টভাবে আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মীর বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। যা দূতাবাসকে রাষ্ট্রের বদলে আওয়ামী লীগের প্রচার প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার প্রমাণ।’
তিনি বলেন, দুই দূতাবাসের এসব কর্মকাণ্ড রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করতে সরকারের ‘অশুভ’ প্রচেষ্টার সর্বশেষ প্রমাণ।
‘খালেদাকে সম্মননা দেয়া প্রতিষ্ঠানটি বিএনপির হয়ে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছিল’
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মাদার অব ডেমোক্রেসি উপাধি দেয়া কানাডীয় সংগঠন অর্গানাইজেশন ফর পিস এন্ড জাস্টিস বিএনপির হয়ে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছিল বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার সচিবালয়ে মঙ্গলবার ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামির সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই সংগঠন সম্পর্কে আপনাদের একটু তথ্য দেই। বিএনপি যে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছিল স্বনামে-বেনামে, আমরা গণমাধ্যমের সামনে এটা বেশ কয়েক বার বলেছি। একটি ফার্মের সঙ্গে বিএনপি নিজের নামে চুক্তি করেছিল। কিছু কিছু লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে আবার বিদেশিদের মাধ্যমে চুক্তি করেছিল।
সেখানে একটা চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী হচ্ছে যে প্রতিষ্ঠান থেকে খালেদা জিয়াকে পদক দেয়া হয়েছে বলা হচ্ছে, অর্গানাইজেশন ফর পিস এন্ড জাস্টিস। এটা বিএনপির পক্ষে লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে চুক্তি করেছে। অর্থাৎ এরা দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে চুক্তি করেছিল। সেখান থেকে তারা একটি সার্টিফিকেট নিয়েছেন সেটা আবার গণমাধ্যমের সামনে দেখাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সুস্থতায় কর্মীদের স্বস্তি, নেতারা হতাশ: তথ্যমন্ত্রী
পদক পাওয়ার সাড়ে তিন বছর পর তা গণমাধ্যমের সামনে এনে বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়াকে ‘লাফিং স্টকে’ পরিণত করেছেন বলেও মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে আমরা দেখলাম কানাডার একটি সংগঠন, যার নাম কেউ সহজে জানে না, যার জন্মও খুব বেশি দিন আগে না, তারা তাকে মাদার অব ডেমোক্রেসি বলে সনদ দিয়েছেন। এটি ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা ২০১৭-১৮ সাল থেকে বলা শুরু করেছেন।
সেটি দিয়েছে ৩১ জুলাই ২০১৮ সালে, সাড়ে তিন বছর পর বিএনপি হঠাৎ জানলো খালেদা জিয়াকে এরকম একটি সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছে। আসলে পুরো বিষয়টি হলো হাস্যকর। যেভাবে সাড়ে তিন বছর পর বিএনপি নেতারা এভাবে গণমাধ্যমের সামনে এসে এ কথাগুলো বললো সেটা হাস্যকর। বেগম খালেদা জিয়াকে একদম লাফিং স্টক হিসেবে বানিয়ে দেয়া হয়েছে এখানে।
তিনি বলেন, কানাডার ফেডারেল আদালত বিএনপিকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে রায় দিয়েছেন। সেখানে এটাও উল্লেখ করা হয়েছিল বিএনপি যেভাবে জ্বালাও পোড়াও করেছে, তারা ভবিষ্যতেও এরকম করতে পারে।
সেখানে আবার একটি তথাকথিক হিউম্যান রাইটস অরগানাইজেশন থেকে তারা (বিএনপি) আবার একটি সার্টিফিকেট কিনেছেন। বিএনপি একটা পদক কিনেছেন এটা আবার সাড়ে তিন বছর আগে।
আরও পড়ুন: সাহায্য বন্ধের চিঠি লেখায় মির্জা ফখরুলের বিচার হওয়া দরকার: তথ্যমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার সুস্থতাই প্রমাণ করে বিএনপি মিথ্যাচার করে: তথ্যমন্ত্রী
পুলিশের কাজে বাধা: বিএনপির ১০ নেতাকর্মী রিমান্ডে
পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার ঘটনায় করা মামলায় বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সদস্য সচিব রফিকুল আলমসহ ১০ জনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার আসামিদের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক শহিদুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
রিমান্ডে দেয়া অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আলী মান্নান, মো.মফিকুল ইসলাম, সোহেল শিকদার, জহিরুল ইসলাম, কাজী ইমতিয়াজ আহমেদ টিপু, মিন্টু, ফারহান আলী রছি, মনিরুল ইসলাম সজল ও সাদেকুর রহমান।
আরও পড়ুন: সার্চ কমিটির নামে ‘আওয়ামী খাস কমিটি’ গঠিত: বিএনপি
এর আগে রবিবার রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় রফিকুল আলমসহ ২৩ বিএনপি নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় পল্টন থানায় একটি মামলা করা হয়।
মায়া ও কামরুল আ.লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মনোনীত
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মনোনীত হয়েছেন মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া ও অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
সোমবার আওয়ামী লীগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ২০-২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় কাউন্সিলে প্রদত্ত ক্ষমতা অনুযায়ী লিটনকে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মনোনীত করেছেন। তিনি চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য এবং একাধিক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
অন্যদিকে কামরুল ইসলাম ২০০৮ সাল থেকে ঢাকা-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য এবং ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ঢাবি ছাত্রলীগের হল নেতাদের শ্রদ্ধা