%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%BE
ইউরোপে পোশাক রপ্তানিতে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোতে পোশাক রপ্তানিকারক শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় পরিসংখ্যান সংস্থা, ইউরোস্ট্যাট ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত প্রকাশিত পোশাক আমদানির সর্বশেষ পরিসংখ্যানে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানিতে সরবরাহকারী সকল শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে বাংলাদেশের। উল্লেখিত সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশ থেকে ১৫ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে। যেখানে বিশ্ব থেকে তাদের মোট আমদানির পরিমাণ ছিল ৬৭ দশমিক ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের মোট পোশাক আমদানিতে ২২ দশমিক ৮৯ শতাংশ অংশ নিয়ে বাংলাদেশ ইউরোপের পোশাক আমদানির দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস হিসেবে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে।
আরও পড়ুন:রপ্তানিতে সামগ্রিক পতন সত্ত্বেও অক্টোবরে তৈরি পোশাকে আয় বেড়েছে
২০২২ সালের প্রথম আট মাসে ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় বাংলাদেশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানি ৪৫ দশমিক ২৬ শতাংশ বেড়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানির প্রধান শীর্ষস্থানীয় উৎস চীন। দেশটি ২৮ দশমিক ০৬ শতাংশ শেয়ার নিয়ে চীনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
২০২২ সালের জানুয়ারি-আগস্টে চীন থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানি ১৮ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌছেঁছে। একই সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানির তৃতীয় বৃহত্তম উৎস তুরস্কের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
তুরস্ক থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানি বেড়েছে ১৬ দশমিক ৯৭ ভাগ। একই সময়ে, ইইউ ভারত থেকে তিন দশমিক ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে। ভারত থেকে ইইউ এর আমদানি আগের বছরের তুলনায় ২৮ দশমিক ৮৫ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
উচ্চ প্রবৃদ্ধিসহ অন্যান্য শীর্ষ দেশগুলো হলো কম্বোডিয়া ৪২ দশমিক ২১ ভাগ, পাকিস্তান ৩১ দশমিক ৩৪ ভাগ এবং ইন্দোনেশিয়া ৩৫ দশমিক ৪১ ভাগ।
আরও পড়ুন: ইতালির সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির সুযোগ আছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
মোবাইল আর্থিক পরিষেবা প্রদানকারীরা সরাসরি আনতে পারবে রেমিটেন্স: বাংলাদেশ ব্যাংক
রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক মোবাইল আর্থিক পরিষেবা (এমএসএফ) প্রদানকারীদের অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্স আনার অনুমতি দিয়েছে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, অনুমোদিত ডিলাররা বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমতি ছাড়াই বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউসের সঙ্গে বন্দোবস্ত করতে পারবে।
অনুমোদিত ডিলারদের বাংলাদেশ দূতাবাস বা সংশ্লিষ্ট দেশের হাই কমিশন থেকে সুপারিশপত্র বা সনদপত্র ছাড়াই বন্দোবস্ত করার অনুমতি থাকছে।
আরও পড়ুন: মোবাইলে রপ্তানি আয় ও রেমিটেন্স আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন
প্রজ্ঞাপনের বলা হয়েছে, এমএফএস প্রদানকারীদের জন্য আরও বেশি সহজ করতে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে পরিষেবা প্রদানকারী, ব্যাংক, ডিজিটাল ওয়ালেট, কার্ড স্কিম ও বিদেশে আর্থিক পরিষেবা সমন্বয়কারীদের সঙ্গে মিলিতভাবে রেমিটেন্স উপার্জনকারীদের অর্থ দেশে পাঠানোর অনুমতি দেয়া হবে।
এই প্রেক্ষাপটে, এমএফএস প্রদানকারীদের অবশ্যই তাদের অ্যাকাউন্টে বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়ার জন্য বিদেশি পেমেন্ট ও সেটেলমেন্ট সিস্টেমের (পিএসপি) সঙ্গে স্থায়ী ব্যবস্থা থাকতে হবে এবং সমতুল্য অর্থ মজুরি উপার্জনকারীদের এমএফএস অ্যাকাউন্টে জমা হবে।
পরবর্তীকালে, বিদেশি পিএসপিগুলো মনোনীত ডিলারের নস্ট্রো অ্যাকাউন্টে ক্রেডিট প্রদান করবে (একটি অ্যাকাউন্ট যা একটি ব্যাংক অন্য ব্যাংকে
বৈদেশিক মুদ্রায় ধারণ করে)। টাকায় মজুরি পাওয়ার পর উপার্জনকারীরা সমস্ত লেনদেন করতে বিদেশ থেকে এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে পারেন।
যারা মোবাইল আর্থিক পরিষেবা প্রদান করতে চায় তাদেরকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ওপরে বর্ণিত ফ্রেমওয়ার্ক বা অনুরূপ সুবিধাজনক পদ্ধতি অনুসারে প্রস্তাবিত ব্যবস্থার বিবরণসহ বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগে আবেদন করতে হবে।
উদ্যোগটি ছোট পরিসরে পর্যালোচনার প্রাথমিকভাবে অনুমতি দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ২০১১ সালে এমএফএস চালু করে। তখন থেকেই পরিষেবাটি নিয়ে দেশে যথেষ্ট গুঞ্জন হয়েছে। বর্তমানে ১৩টি এমএফএস অপারেটর ১৮ কোটিরও বেশি অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকে পরিষেবা প্রদান করছে, যারা প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা আদানপ্রদান করছে।
আরও পড়ুন: ব্যাংকে অতিরিক্ত তারল্য আছে ১.৬৯ লাখ কোটি টাকা: বাংলাদেশ ব্যাংক
জানুয়ারি থেকে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট থাকবে না: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর
মঙ্গলবার বাজারে আসছে ২ ও ৫ টাকার নতুন নোট
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বাজারে এই ধরনের নোটের চলমান ঘাটতি মেটাতে মঙ্গলবার ২ টাকা ও ৫ টাকার নতুন নোট আসছে।
জ্যেষ্ঠ অর্থ সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত নতুন মুদ্রিত নোটগুলো মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ছাড়া হবে।
আরও পড়ুন: ঈদে ২৩০০০ কোটি টাকার নতুন নোট ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি শাখা, এই নোটগুলো প্রকাশের আনুষ্ঠানিক আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছে।
প্রস্তুত করা এসব নোট মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে ইস্যু করা হবে।
পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও তফসিলি ব্যাংকের অন্যান্য অফিস থেকে পর্যায়ক্রমে নতুন নোট ইস্যু করা হবে।
নতুন নোটের রং, মাত্রা, ওয়াটারমার্ক, ডিজাইন এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য বর্তমান নোটের মতোই থাকবে। নতুন ছাপানো নোটের পাশাপাশি দুই ও পাঁচ টাকার কাগজের নোট এবং ধাতব মুদ্রাও ব্যবহার করা হবে।
আরও পড়ুন: ২৯ জুন বাজারে নতুন নোট ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক
নতুন নোট বাজারে ছাড়া শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংকে তারল্য সংকট নেই, বলছে বিএবি
বেসরকারি ব্যাংকগুলোর উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) এক বিবৃতিতে বলেছে, বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট নেই।
সোমবার দেয়া ওেই বিবৃতিতে বিএবি আরও বলেছে যে ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকট নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণা চলছে। কিন্তু এটা সত্য না; এতে আরও বলা হয়, ব্যাংকগুলোতে তারল্য স্থিতিশীল রয়েছে।
আরও পড়ুন: হালাল অ্যাক্রেডিটেশন স্কিম চালু করবে বিএবি
বিএবি ও এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
তিনি বলেন, বর্তমানে ব্যাংকিং খাতে এক দশমিক ৭০ লাখ কোটি টাকার তারল্য অবশিষ্ট রয়েছে।যা প্রয়োজনের চেয়ে বেশি। বৈঠকে ব্যাংকিং খাতের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পর বিএবি এ বিবৃতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ২৬ লাখ কম্বল দিল বিএবি
ঋণ পেতে আইএমএফের শর্ত মেনে কাজ করছে সরকার
আইএমএফ থেকে বাংলাদেশ সাড়ে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা পেতে সংস্থাটির দেয়া শর্ত মেনে কাজ করছে সরকার।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বৈশ্বিক ঋণদাতার বোর্ড সভার আগে আর্থিক ও জ্বালানি খাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) কর্তৃক নির্ধারিত কিছু শর্ত বাস্তবায়ন শুরু করেছে সরকার।
এর অংশ হিসেবে ঋণের সুদের সীমা শিগগিরই প্রত্যাহার করা হবে এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোকে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১২ শতাংশ কমিয়ে আনতে বলা হয়েছে। যা বর্তমান গড় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ রয়েছে।
রবিবার আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা ইউএনবিকে এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: জিডিপি প্রতিবেদন প্রতি ৩ মাসে হালনাগাদ করার পরামর্শ আইএমএফের
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে তিনি এবং অন্যান্য সূত্র এসব কথা বলেছেন, কারণ গণমাধ্যমের সঙ্গে তাদের কথা বলার অনুমতি নেই।
সরকার রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল এবং শ্রীলঙ্কার ঋণ বাদ দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের হিসাব সংশোধন করেছে। বেশ কয়েকজন মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) গভর্নর বলেছেন যে মোট রিজার্ভ এখন ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সূত্র জানায়, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি আইএমএফের অন্যতম শর্ত। তাই বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) সম্প্রতি বিদ্যুতের পাইকারি মূল্য ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়িয়েছে। এটি বিতরণ কোম্পানিগুলোকে ভোক্তা পর্যায়ে ২০ শতাংশ বৃদ্ধির জন্য অনুরোধ করেছে।
ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে আইএমএফের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠেয় বোর্ড সভায় বাংলাদেশের জন্য আইএমএফের ঋণ অনুমোদনের কথা রয়েছে।
এর আগে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলারের ঋণ নিয়ে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে আইএমএফের একটি দল চলতি বছরের ২৬ অক্টোবর থেকে ৯ নভেম্বর ঢাকা সফর করেছেন।
দলটি অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, ন্যাশনাল বোর্ড অব রেভিনিউ(এনবিআর), বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন(বিএসইসি), বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এবং আরও কিছু সংস্থার সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করেছে।
ফলে ঋণের চূড়ান্ত অনুমোদনের আগেই এ নিয়ে কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ। বিশদভাবে বলতে গেলে, আইএমএফের দাবির মধ্যে ব্যাংকিং খাতে সংস্কার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যার মধ্যে খেলাপি ঋণ হ্রাস করা, সরকারি ভর্তুকি ব্যয় হ্রাস এবং রাজস্ব খাতের সংস্কার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আইএমএফের সাবেক কর্মকর্তা ও গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর এ প্রসঙ্গে ইউএনবিকে বলেন, ‘আইএমএফের শর্ত মেনে নেয়া উচিত। এগুলোর সঙ্গে কারো দ্বিমত করা ঠিক নয়।’
তিনি বলেন, ‘এবারের শর্তগুলো খুবই নমনীয়। আমরা যদি এগুলো মেনে নিতে না পারি, তাহলে বুঝতে হবে আমরা সমস্যার সমাধান করতে চাই না।’
আরও পড়ুন: আইএমএফ’র সঙ্গে বাংলাদেশের সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলারের প্রাথমিক ঋণচুক্তি
বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের সক্ষমতা বৃদ্ধির পরামর্শ দিলো আইএমএফ
আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য ২ মাস চেয়ে আইনজীবীদের আবেদন
বাংলাদেশ কর আইনজীবী সমিতি (বিটিএলএ) জানিয়েছে, কর বছরের ২০২২-২০২৩ এর সার্কুলার প্রাপ্তিতে বিলম্বের কারণে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য দেশের ৬৭টি কর আইনজীবী সমিতি দুই মাস সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছে।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে অর্থনীতিতে যে প্রতিকূল পরিস্থিতি রয়েছে তাও বিবেচনায় নেয়ার দাবি জানান তারা। কর আইনজীবীদের কেন্দ্রীয় সংগঠন বিটিএলএ অ্যাসোসিয়েশনের দাবি মেনে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ল
বিটিএলএ সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম বলেন, এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে পৃথক আবেদন করা হয়েছে।
কর আইনজীবীদের সংগঠনগুলো বলছে, অর্থনৈতিক মন্দা ছাড়াও এ বছর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রচারণায় বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে। এ কারণে, ৮০ লাখেরও বেশি ই-টিআইএন বাহক থাকলেও এখন পর্যন্ত রিটার্ন ফাইলিংয়ের সংখ্যা কম।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে করদাতাদের রিটার্ন দাখিলের সুযোগ দিতে দুই মাস সময় বাড়ানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আয়কর আইনজীবীদের একটি শক্তিশালী নিয়ন্ত্রক সংস্থা থাকা দরকার: আইনমন্ত্রী
আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার পদ্ধতি
পুলিশের সার্জেন্ট পদে চাকরি: জনবল নিয়োগ দেবে বাংলাদেশ পুলিশ
বাংলাদেশ পুলিশে সার্জেন্ট পদে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইন আবেদন করতে হবে। আবেদন করা যাবে আগামী ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
বাংলাদেশ পুলিশে ‘সার্জেন্ট’ পদে জনবল নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ পুলিশ
পদের নাম: সার্জেন্ট
পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক
দক্ষতা: মোটরসাইকেল চালনায় দক্ষতা ও কম্পিউটার চালনায় পারদর্শী
বেতন: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ পুলিশে নিয়োগ: ৬ পদে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চে চাকরির সুযোগ
শারীরিক যোগ্যতা
উচ্চতা: পুরুষ ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি এবং নারী ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি
বুকের মাপ: স্বাভাবিক ৩২ ইঞ্চি ও সম্প্রসারিত ৩৪ ইঞ্চি
ওজন: বয়স ও উচ্চতার সঙ্গে অনুমোদিত পরিমাপ অনুসারে
দৃষ্টিশক্তি: ৬/৬
চাকরির ধরন: স্থায়ী
প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ
বৈবাহিক অবস্থা: অবিবাহিত (তালাকপ্রাপ্ত/তালাকপ্রাপ্তা নয়)
আরও পড়ুন: খুলনায় বিডিজবস চাকরি মেলায় ১ হাজার জনের চাকরির সুযোগ
বয়স: ২২ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে ১৯-২৭ বছর। বিশেষ ক্ষেত্রে ৩২ বছর
আবেদনের জন্য প্রার্থীর বয়স ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর তারিখে ১৯ থেকে ২৭ বছর হতে হবে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়স ৩২ বছর। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তারিখে যাদের বয়স ২৭ বছর পার হয়নি, তারাও আবেদন করতে পারবেন।
পুরুষ প্রার্থীর উচ্চতা কমপক্ষে ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি। বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩২ ইঞ্চি, সম্প্রসারিত অবস্থায় ৩৪ ইঞ্চি। নারী প্রার্থীর উচ্চতা কমপক্ষে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি হতে হবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: আবেদনের জন্য কমপক্ষে স্নাতক পাস হতে হবে আগ্রহী প্রার্থীদের। মোটরসাইকেল চালনায় দক্ষ হতে হবে। কম্পিউটারে দক্ষতা থাকতে হবে। প্রার্থীকে অবশ্যই অবিবাহিত হতে হবে। তালাকপ্রাপ্ত হলে এ পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
আবেদনপদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে এ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। এরপর প্রার্থীদের কয়েক ধাপে নির্বাচন করা হবে। ২৫ নভেম্বর থেকে আবেদন শুরু হবে। আবেদন করা যাবে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সার্জেন্ট পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার আর্থিক লেনদেন করলে গ্রেপ্তার ও নিয়োগ বাতিল করা হবে।
আরও পড়ুন: ব্যাংক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি: পূবালী ব্যাংকে ৭৭ পদে চাকরি, আবেদন ফি নেই
আরও ২০ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দিতে চিঠি
বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণে আরও ছয়টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ২০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির জন্য অনুমতি দিতে চিঠি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এতে ১৩ হাজার টন সিদ্ধ চাল এবং সাত হাজার টন আতপ চাল আমদানি করার কথা বলা হয়েছে।
চিঠিতে সই করেছেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মজিবর রহমান।
আরও পড়ুন: দেশের বাজারে ঊর্মি গ্রুপের নতুন পণ্য ‘টুর্যাগ অ্যাক্টিভ’
এতে বলা হয়েছে, এসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে উল্লেখিত পরিমাণ (সর্বোচ্চ পাঁচ শতাংশ ভাংগাদানা বিশিষ্ট) সিদ্ধ চাল ও আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।
চাল আমদানির শর্তে বলা হয়েছে, বরাদ্দ পাওয়া আমদানিকারকদেরকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সমুদয় চাল বাংলাদেশে বাজারজাত করতে হবে। আমদানি করা চালের পরিমাণ, গুদামজাত ও বাজারজাতকরণের তথ্য সংশ্লিষ্ট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে অবহিত করতে হবে।
এছাড়া বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি ইস্যু করা যাবে না বলেও চিঠিতে শর্ত দেয়া হয়েছে।
বলা হয়েছে, আমদানি করা চাল সত্ত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের নামে ফের প্যাকেটজাত করা যাবে না এবং আমদানি করা বস্তায় চাল বিক্রি করতে হবে।
এর আগে প্রথম দফায় ৩০ জুন বেসরকারিভাবে চার লাখ ৯ হাজার টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য ৯৫টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছিল।
আর ৪ জুলাই দ্বিতীয় দফায় ১২৫টি প্রতিষ্ঠানকে দুই লাখ ৪৬ হাজার টন এবং তৃতীয় দফায় ৭ জুলাই ৬২টি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৮২ হাজার টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য অনুমতি দিতে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ‘বৈধ পথে আরও বেশি রেমিট্যান্সের জন্য ডিজিটাল অবকাঠামোর উন্নয়ন জরুরি’
আইএমএফের ৪৫০ কোটি ডলার ঋণের প্রথম কিস্তি ফেব্রুয়ারিতে পাওয়া যাবে: অর্থমন্ত্রী
ইতালির সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির সুযোগ আছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ইতালির সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ইতালি বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বড় বাজার। ইতালিতে অনেক বাংলাদেশি সুনামের সঙ্গে কাজ করছে।
সোমবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত ইতালির এ্যাম্বাসেডর এনরিকো নুনজিয়াতা - এর সঙ্গে মতবিনিময়কালে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইতালির তৈরি শিল্প কল-কারখানার যন্ত্রপাতি এবং মেডিকেল মেশিনারিজ বাংলাদেশে প্রচুর ব্যবহার করা হয়। উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করার অনেক সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগকে কাজ লাগাতে হবে।
আরও পড়ুন: মিজোরামের মন্ত্রীর সঙ্গে সীমান্ত বাণিজ্য নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির বৈঠক
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে।
অনেকগুলোর কাজ এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। ইতোমধ্যে অনেকগুলো কারখানা উদ্বোধন করা হয়েছে।
ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেষ্ট(এফডিআই) এর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। বাংলাদেশে কম খরচে দক্ষ জনশক্তি ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে। এখানে কম খরচে বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদন করা সম্ভব।
ইতালি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবে। উভয় দেশের ব্যবসায়ীগণ পারস্পরিক দেশ সফর করে বিনিয়োগের ক্ষেত্র নির্বাচন করতে পরেন। বাংলাদেশ সরকার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় সবধরনের সুবিধা প্রদান করবে।
ঢাকায় নিযুক্ত ইতালির এ্যাম্বাসেডর এনরিকো নুনজিয়াতা বলেন, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক উৎপাদনে বেশ সফল হয়েছে। বিশ্ববাজারে মেড ইন বাংলাদেশ ভালো ব্রান্ড। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ইতালিতে বেশ জনপ্রিয়।
ইতালির অনেক পণ্য বাংলাদেশ আমদানি করে। উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। উভয় দেশের পর্যটক বিনিময় হতে পারে। ইতালি সরকার পর্যটনের বিষয়ে খুবই গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
উল্লেখ্য, এখন উভয় দেশের চলমান বাণিজ্যের পরিমান দুই লাখ ২৬ হাজার দুই দশমিক ৯৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক পণ্য, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিংসহ বিভিন্ন পণ্য ইতালিতে রপ্তানি করে এক লাখ ৭০ হাজার আট দশমিক ২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে। একই সময়ে বাংলাদেশ আমদানি করেছে ৫৫৪ দশমিক ৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।
বাণিজ্যমন্ত্রী এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর জিএসপি ইস্যুতে বাংলাদেশের পক্ষে ইতালির সমর্থন প্রত্যাশাও করেন।
আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি
পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি ‘যৌক্তিক’: বাণিজ্যমন্ত্রী
বিজিএমইএ’র আরও দুটি সবুজ কারখানার স্বীকৃতি ইউএসজিবিসি’র
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) অধীনে পরিচালিত দু’টি নতুন তৈরি পোশাক (আরএমজি) কারখানা ইউনাইটেড স্টেটস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) থেকে এলইইডি সার্টিফিকেশন তথা সবুজ কারখানার (নিরাপদ কারখানার সনদ) স্বীকৃতি পেয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের বর্ণালী কালেকশনস লিমিটেড ১১০ এর মধ্যে ৬৪ পয়েন্ট এবং গাজীপুরের বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড (বেক্সিমকো) ১১০ এর মধ্যে ৮৫ পয়েন্ট পেয়ে সবুজ কারখানার সনদ পায়।
শনিবার বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: পোশাক কারখানায় দিনে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে: বিজিএমইএ সভাপতি
রুবেল বলেন, ‘দুটি নতুন কারখানা এলইইডি সার্টিফিকেশন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশে এখন মোট নিরাপদ হিসেবে স্বীকৃত সবুজ কারখানার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭৮টি। এই অর্জন আমাদের আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছে আমাদের ব্র্যান্ডের ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। মোট ৫৮টির মধ্যে ১৩টি কারখানা ইতোমধ্যে এই বছর প্ল্যাটিনাম সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে।
রুবেল আরও বলেছেন, সবুজ কারখানাগুলো বাংলাদেশ থেকে আরএমজি পণ্য কেনার ব্যাপারে ক্রেতাদের আস্থা বাড়ায়।
রুবেল বলেন, ‘চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে আমাদের অর্ডার যখন ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কমেছে, ঠিক সেসময়ে আমাদেরকে আবার নিরাপদ কারখানার জন্য স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। যা আমাদের ব্যবসাকে বাড়িয়ে তুলবে। এছাড়াও সবুজ কারখানাগুলোতে অন্যান্য সাধারণ কারখানার তুলনায় কম জ্বালানি খরচ হয়।’
রুবেল আরও বলেন, এলইইডি সার্টিফিকেশন দেশের আরএমজি উৎপাদকদের বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা করতে এবং সেরা দাম পেতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: আমরা বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না, তবে রপ্তানি বাড়াতে চাই: বিজিএমইএ সভাপতি
৩০ হাজার গার্মেন্টস শ্রমিকের সুস্থতায় বিজিএমইএ-আয়াত এডুকেশনের চুক্তি