ব্যবসা
হিলি স্থলবন্দরে ভারতীয় ট্রাক চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আধাবেলা পর আমদানি-রপ্তানি শুরু
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্টে আমদানিকৃত পণ্য নিয়ে অবস্থান করা ভারতীয় ট্রাক চালকদের দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুজন চালক আহত হয়েছেন।
এদিকে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত আধাবেলা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। পরে দুই দেশের ব্যবসায়ী, ট্রাক পরিবহন চালক ও পুলিশের মধ্যস্থতায় বিষয়টির সুরাহা হলে দুপুর ২টা থেকে ফের আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়।
হিলি স্থলবন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক জানান, ‘গতকাল বুধবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিকৃত বিভিন্ন পণ্যবাহী শতাধিক ভারতীয় ট্রাক পানামা পোর্টে প্রবেশ করে। এসময় কিছু পণ্যবাহী ট্রাক থেকে পণ্য খালাস করা হলেও অন্য ট্রাকগুলো পণ্য খালাসের অপেক্ষায় পানামা পোর্টে অবস্থান করছিল। গতরাত ১১টার দিকে ভারতের হিলির ট্রাক চালকরা কোনো কারণ ছাড়াই উত্তর প্রদেশের ট্রাক চালকদের ওপর চড়াও হয়। এসময় উত্তর প্রদেশের চালকরা বাধা দিলে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে উত্তর প্রদেশের চালক খুরশিদের হাত এবং মাথা ফেটে যায় এবং আনাস অজ্ঞান হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে পানামা পোর্টের নিরাপত্তা কর্মীরা এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন।’
আরও পড়ুন: ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক বিকল, ৪ ঘণ্টা পর হিলি দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
তিনি আরও জানান, ‘পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে আহত দুজন চালককে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়।’
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সংঘর্ষের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে উত্তর প্রদেশের চালকরা সকাল থেকে হিলি স্থলবন্দরের গেটে অবস্থান নেয়। এতে করে সকাল থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে দুপুরে চেকপোস্টের জিরোপয়েন্টে দুই দেশের ব্যবসায়ী, পুলিশ, ট্রাক চালক ও বন্দর কর্তৃপক্ষের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি আরও জানান, বৈঠকে আহতদের ক্ষতিপূরণসহ নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিতের আশ্বাস দিলে উত্তর প্রদেশের ট্রাক চালকেরা ব্যারিকেড তুলে নেয়। এরপর দুপুর ২টা থেকে বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ভারতীয় ট্রাক চালকদের আকস্মিক ধর্মঘটে হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি বন্ধ
হিলিতে চালকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার, পণ্য আমদানি শুরু
সামিট গ্রুপ আরেকটি এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের অনুমোদন পেল
স্থানীয় কোম্পানি সামিট গ্রুপ দেশে তৃতীয় তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল স্থাপনের জন্য অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে।
বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের সঙ্গে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) বৈঠকে সামিট গ্রুপের ‘সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেডকে’ কক্সবাজারের মহেশখালীতে টার্মিনাল স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে।
সভা শেষে ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাঈদ মাহবুব খান বলেন, প্রস্তাবিত টার্মিনালের রি-গ্যাসিফিকেশন ক্ষমতা প্রতিদিন ৫০ কোটি ঘনফুট এলএনজি (এমএমসিএফডি) হবে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলা রি-গ্যাসিফিকেশন সেবা নেওয়ার প্রস্তাব জমা দিয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: মহেশখালীর দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকেই গ্যাস সরবরাহ শুরু
তিনি বলেন, এই অনুমোদন পেট্রোবাংলাকে টার্মিনাল স্থাপন প্রক্রিয়া শুরু করতে সহায়তা করবে।
প্রকল্পের ব্যয় ও বাস্তবায়নের সময় সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেননি তিনি।
দেশে ইতোমধ্যে দু’টি এলএনজি টার্মিনাল রয়েছে - একটি কক্সবাজারের মহেশখালীতে ইউনাইটেড স্টেটের এক্সেলরেট এনার্জি ৫০০ এমএমসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন স্থাপন করেছিল এবং অন্যটি একই এলাকায় একই ক্ষমতাসম্পন্ন সামিট গ্রুপ স্থাপন করেছিল।
অর্থমন্ত্রী সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) সভায় সভাপতিত্ব করেন এবং স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি, সার, ওষুধ, চিনি ও সয়াবিন তেল সংগ্রহের প্রস্তাব অনুমোদন করেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক্সেলরেট এনার্জি এলপি প্রতি ইউনিটের দাম ১৩ দশমিক ৯ মার্কিন ডলার দামে ৩৩ দশমিক ৬০ লাখ এমএমবিটিইউ এলএনজি সরবরাহ করবে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির মাধ্যমে প্রায় ২৪৯ দশমিক ৯৯ কোটি টাকার ওষুধ সরবরাহ করবে এবং প্রায় ১৪ হাজার ২০০টি কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যবহার করবে।
বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন ব্যাগযুক্ত দানাদার ইউরিয়া প্রতি টন ৩১৯ দশমিক ৮৭ ডলার মূল্যে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড থেকে ৩০ হাজার টন ক্রয় করবে।
আরও পড়ুন: পেট্রোবাংলা ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা মেটাতে আরও ৩টি এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করতে চায়
এটি সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে একই পরিমাণ বাল্ক দানাদার ইউরিয়া কিনবে প্রতি টন ৩১৯ দশমিক ৮৭ ডলার মূল্যে।
বিসিআইসি কাতার থেকে একই পরিমাণ ব্যাগযুক্ত দানাদার ইউরিয়া আমদানি করবে প্রতি টন ৩০৩ দশমিক ৩৩ ডলার মূল্যে।
মাহবুব খান বলেন, টেবিলে দুটি প্রস্তাব জমা পড়েছিল।
এর মধ্যে একটি ছিল সিঙ্গাপুরের একটি বেস সরবরাহকারীর কাছ থেকে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ কর্তৃক সাড়ে ১২ হাজার টন চিনি ক্রয় করা একটি উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে প্রতি টনের মূল্য ৪৭৭ দশমিক ৯ ডলার।
অন্যটি ছিল সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেড সরবরাহ করার জন্য ৮০ লাখ টন সয়াবিন তেল ক্রয় করার। প্রতি লিটারের দাম ধরা হয়েছে ১৬১ দশমিক ৩৭ টাকা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে এলএনজি আনায় সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যানের প্রশংসায় ট্রুডো
৬০ টাকায় থমকে আছে দেশি পেঁয়াজ, ভারতীয় ৪০ টাকা
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে গত পাঁচদিন ধরে থমকে আছে দেশি পেঁয়াজের বাজার। ভারত থেকে আমদানি হওয়ার পর খুচরা পর্যায়ে কেজিতে ২০-২৫ টাকা কমলেও এখনও ৬০ টাকায় স্থির হয়ে আছে এই নিত্যপণ্যটির দাম।
সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা দরে। আজ শুক্রবার (৯ জুন) সকালে বন্দরের মোকাম ও খুচরা বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
এদিকে, হিলি স্থলবন্দরের কাস্টমস কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ জুন থেকে গতকাল (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় ৭২টি ট্রাকে মোট ১ হাজার ৬৩৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি না হওয়ার আগে দেশি পেঁয়াজ ৮০-৮৫ টাকায় বিক্রি হলেও আমদানি হওয়ার পর বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। তবে গত পাঁচদিন ধরে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ টাকার কাছাকাছি বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভোমরা বন্দর দিয়ে ২৮৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি
বন্দরের বাংলাহিলি বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী সাকিল ও মঈনুল জানান, যখন পেঁয়াজের দাম বাড়ে তখন ক্রেতার সংখ্যাও বাড়ে। এখন পেঁয়াজের দাম কমে গেছে কিন্তু ক্রেতার অভাবে পেঁয়াজ ভালো বিক্রি করতে পারছি না।
তারা আরও বলেন, বর্তমানে ভারতীয় আমদানি করা পেঁয়াজ ৩৮-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ ২০-২৫ টাকা কমে ৬০ টাকায় বিক্রি করছি। গত পাঁচদিন ধরে এভাবেই দেশি ও আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম থমকে আছে। ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি আরও বেড়ে গেলে ৩০ টাকার নিচে চলে আসবে। তবে আগে বেশি দামে কেনার জন্য দেশি পেঁয়াজের দাম কোরবানির ঈদের আগে সহসাই কমছে না।
পেঁয়াজের ক্রেতা আসাদ হোসেন জানান, কোনো কিছুর দাম বাড়লে আমরা বাঙ্গালিরা কেনার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ি। পেঁয়াজের ক্ষেত্রে সেটাই দেখা গেছে। ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে এসেছে। দাম অনেক কমে গেছে। এখন চাহিদা মতো পেঁয়াজ কিনতে পারছি। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি না হলে এটা সম্ভব তো না।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু, কেজিতে কমল ২০ টাকা
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক সেলিম উদ্দীন জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত ৫ জুন হতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। এ কারণে বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমে মানভেদে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৬ টাকার মধ্যে। আরও দাম কমে যাবে। আশা করছি কোরবানির ঈদে ৩০ টাকার মধ্যে চলে আসবে।
বন্দরের আরেক পেঁয়াজ আমদানিকারক শহীদুল ইসলাম জানান, সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানোর কারণেই দেশি পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছিল। ফলে ভোক্তাদের বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে হয়েছে। দাম এতো হওয়ার কথা না। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় তারা এই সুযোগ নিয়েছিল। আমদানিকৃত পেঁয়াজ দেশে আসায় বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসছে।
এদিকে হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকার চলতি বছরের ১৫ মার্চ পর্যন্ত ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে (আইপি) অনুমতি দিয়েছিল। এরপর ১৬ মার্চ থেকে আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। গত ৫ জুন অনুমতি দিলে ভারত থেকে আবারও পেঁয়াজের আমদানি শুরু হয়।
আরও পড়ুন: হিলি ও সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু
ঢাকায় ৩ দিনব্যাপি রোসা দ্বিতীয় কিচেন, বাথ অ্যান্ড লিভিং এক্সপো বাংলাদেশ-২০২৩ শুরু
রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) শুরু হলো রোসা দ্বিতীয় কিচেন, বাথ অ্যান্ড লিভিং এক্সপো বাংলাদেশ-২০২৩। যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইটালি, আরব আমিরাত, শ্রীলংকা, ভারত ও স্বাগতিক বাংলাদেশসহ ৭টি দেশের ৭০টি ব্র্যান্ড একই ছাদের নিচে অংশ নিচ্ছে তিনদিনব্যাপী এ মেলায়।
বৃহস্পতিবার সকালে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আয়োজক প্রতিষ্ঠান ওয়েম বাংলাদেশের চেয়ারম্যান লুৎফল করিম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মো. আরিফ, পরিচালক মার্কেটিং নাসিমুর রহমান, আকিজবসির গ্ৰুপের মার্কেটিং ম্যানেজার শাহরিয়ার জামান, রোসা'র ব্র্যান্ড প্রধান গোলাম রাব্বানী , ইন্টেরিয়র ডিজাইনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি সাফিউল ইসলাম বাবু, বাংলাদেশ ইন্টেরিয়র কোম্পানিজ এসোসিয়েশন এর ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ শাহরিয়ার খান ও এয়ারলাইন্স পার্টনার ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের জেনারেল ম্যানেজার মো. কামরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: বই মেলা, পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস: দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত ঢাবি ক্যাম্পাস এলাকা
দেশের অন্যতম ইভেন্ট প্রতিষ্ঠান ওয়েম বাংলাদেশের আয়োজনে মেলার স্ট্রাটেজিক পার্টনার রিহ্যাব ও সহযোগিতায় রয়েছে ইন্টেরিয়র ডিজাইনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, এসোসিয়েট পার্টনার বাংলাদেশ ইন্টেরিয়র কোম্পানিজ এসোসিয়েশন এবং এয়ারলাইন্স পার্টনার ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স।
প্রস্তুতকারক, রপ্তানিকারক এবং সরবরাহকারীরা তাদের নতুন পণ্য, আধুনিক প্রযুক্তি এবং নিজেদের দক্ষতা বিশ্বব্যাপী তুলে ধরার সুযোগ পাচ্ছেন এ এক্সপোতে। সেই সঙ্গে থাকছে স্পট অর্ডারের সুযোগ।
তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী দর্শনার্থী ও ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত।
মেলার প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে থাকছে রোসা , প্লাটিনাম স্পন্সর আরএকে ও সুইস প্লাস, গোল্ড স্পন্সর স্টেলা ও হুইদা এবং সিলভার স্পন্সর হ্যাকার , গ্যাসডাম এন্ড জ্যাকুয়ার। মেলায় এয়ারলাইন্স পার্টনার ইউ এস বাংলা এয়ারলাইন্স।
পণ্য প্রদর্শনীর পাশাপাশি ৩দিন ব্যাপী এই এক্সপোতে স্টুডেন্ট ডিজাইন কম্পিটিশন, ওয়ার্কশপ, বায়ার সেলার মিটিং, ইনোভেশন এক্সচেঞ্জ ও জব সার্চ। এছাড়া প্রতিদিন থাকছে র্যাফেল ড্রতে আকর্ষনীয় পুরস্কার।
উল্লেখ্য ওয়েম বাংলাদেশ ২০১২ সাল থেকে দেশি-বিদেশি ইভেন্ট আয়োজন করে আসছে। সবসময় ওয়েম নতুন কিছু দেওয়ার চেষ্টা করে। বাংলাদেশে প্রথম হেলথ অ্যান্ড বিউটি, সিরামিক, ফুড অ্যান্ড হসপিটালিটিস মেলার সফল আয়োজন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার রোসা দ্বিতীয় কিচেন, বাথ অ্যান্ড লিভিং এক্সপো বাংলাদেশ-২০২৩ আয়োজন করছে প্রতিষ্ঠানটি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন
বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাল ব্যাংক নীতি অনুমোদন করবে ১৪ জুন
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) সকল স্তরের জনগণকে ব্যাংকিং সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে ১৪ জুন তার বোর্ড সভায় অনুমোদনের জন্য ‘ডিজিটাল ব্যাংক’ নীতিমালার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
দেশে ডিজিটাল ব্যাংক কার্যক্রমের রূপরেখা ও নীতিমালা প্রণয়নের কাজ শেষ হয়েছে।
আগামী ১৪ জুন অনুষ্ঠিতব্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরবর্তী পর্ষদ সভায় ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া হবে।
সারাদেশে শাখা ছাড়াই চলবে এই ব্যাংক।
আরও পড়ুন: বিদেশি বিনিয়োগ প্রতিবেদন দ্রুত পাঠাতে ব্যাংকগুলোকে বিবি’র নির্দেশ
বিবি সূত্র জানায়, প্রযুক্তিনির্ভর এই আধুনিক ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে ন্যূনতম ১৫০ কোটি টাকা মূলধন প্রয়োজন।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি প্রচেষ্টাকে সম্প্রসারণ ও ত্বরান্বিত করতে একটি ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের কথা বলেছেন।
এ লক্ষ্যে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ডিজিটাল ব্যাংকের নীতিমালা প্রণয়নের কাজ শেষ হয়েছে। এই নীতিমালা এবং ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী ডিজিটাল ব্যাংক পরিচালিত হবে।
আরও পড়ুন: এমএফএসের দৈনিক লেনদেন ৩২০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে: বিবি
ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদন পেলেই স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে ব্যাংকটির যাত্রা আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে।
বর্তমানে প্রচলিত ব্যাংক লাইসেন্স পেতে ন্যূনতম মূলধনের প্রয়োজন ৫০০ কোটি টাকা। ডিজিটাল ব্যাংকের আমানত সংগ্রহ, ঋণের আবেদন এবং ঋণ অনুমোদন অনলাইন ভিত্তিক হবে এবং এতে ভুয়া ঋণগ্রহীতা ও প্রকৃত ঋণগ্রহীতা শনাক্ত করা সহজ হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, ডিজিটাল ব্যাংকের রূপরেখা ও নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। এটি ১৪ জুন বোর্ড সভায় পাঠানো হবে।
বোর্ড সভায় অনুমোদনের পর পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংক আর্থিক খাতের ডিজিটালাইজেশনে বিপ্লব ঘটিয়েছে: ড. আতিউর
ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু, কেজিতে কমল ২০ টাকা
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি শুরু হওয়ায় কমতে শুরু করেছে দেশি পেয়াজের দাম। ফলে ৮০ টাকার পেঁয়াজ আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে কেজিতে ২০ টাকা কমে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। আর আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ এখনো পুরোপুরি বাজারে আসেনি। তবে ৪০ টাকায় কিছু পেঁয়াজ বন্দরের মোকামে পাইকারী বিক্রি হয়েছে। আর এই এই পেঁয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে।
সরকার ৮০ দিন পর পেঁয়াজ আমদানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৩টি ট্রাকে ৬০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। যা আজও ভারত থেকে আমদানি অব্যাহত থাকবে।
এদিকে হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক সেলিম উদ্দিন জানান, আজ সন্ধ্যা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ সরবরাহ করা হবে। এরপর থেকে দাম অনেক কমে আসবে। পাশাপাশি দেশি পেঁয়াজের দামও অনেক কমবে। ফলে কয়েকদিনের মধ্যেই পেঁয়াজের বাজার ৩০-৪০ টাকার মধ্যে চলে আসবে।
আরও পড়ুন: হিলি ও সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু
আরেক আমদানিকারক শহীদুল ইসলাম জানান, আমদানিকারকরা হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য প্রায় ১৮ হাজার মেট্রিকটনের এলসি করেছেন। যা গতকাল থেকে আমদানি করা হচ্ছে।
স্থানীয় খুচরা ব্যবসায়ী মঈনুল হোসেন জানান, আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ এখনো পুরোপুরি বাজারে আসেনি। তবে আমদানি হচ্ছে এই খবরে দাম কেজিতে ২০ টাকা কমে বিক্রি করা হচ্ছে দেশি পেঁয়াজ। দু-একজন খুচরা ব্যবসায়ী ভারতীয় আমদানি করা পেঁয়াজ ৫০ টাকায় বিক্রি করছে।
বাজারে বিকাল বা সন্ধ্যা নাগাদ ভারতীয় পেঁয়াজ পুরোপুরি চলে আসবে। কাল থেকে দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজের দাম আরও কমে যাবে। এতে ভোক্তারা পেঁয়াজের দামে স্বস্তি পাচ্ছে।
এদিকে সরকার দেশের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমুল্য নিশ্চিত করতে চলতি বছরের ১৬ মার্চ থেকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে অনুমতি বন্ধ রাখে। এরপর থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজের সংকট দূর হবে, পেঁয়াজ নিয়ে রাজনীতি বন্ধ হবে: কৃষিমন্ত্রী
শিগগিরই পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে: কৃষি সচিব
হিলি ও সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু
দীর্ঘ ২ মাস ২০ দিন বন্ধ থাকার পর আজ সোমবার থেকে আবারও দিনাজপুরের হাকিমপুরে হিলি ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।
সোমবার (৫ জুন) হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ এবং সোনামসজিদ স্থলবন্দর কাস্টমসের সহকারী কমিশনার প্রভাত কুমার সিংহ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: ১৫ মার্চের পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ জানান, সরকারের অনুমতির সঙ্গে সঙ্গে দিনাজপুরের হাকিমপুরে স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।
তিনি জানান, দীর্ঘ আড়াই মাস পর আজ সোমবার বিকাল পৌনে ৬ টার দিকে ৪০ মেট্রিক টন ভারতীয় পেঁয়াজবাহি ২টি ট্রাক হিলি স্থলবন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা ল্যান্ডেপার্টে প্রবেশ করেছে।
তিনি আরও জানান, সোমবার দুপুরে ১৮ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র হাতে পার হিলির সততা বাণিজ্যালয়, রায়হান ট্রেডার্স, এন আলম ট্রেডার্স, সালাম ট্রেডার্স, সালেহা ট্রেডার্স, বিকে ট্রেডার্স ও বিএস ট্রেডিং নামের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের ৭ জন আমদানিকারক।
এছাড়া দেশীয় কৃষকের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে চলতি বছরের ১৫ মার্চ থেকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করেছিল সরকার।
তিনি আরও জানান, দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রাখতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের খামারবাড়ি থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির জন্য অনুমতিপত্র পেয়েছেন কয়েকজন আমদানিকারন প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা এলসি খুলেছেন৷ এলসির পেঁয়াজ বাজারে পৌঁছালে দাম অর্ধেকে নেমে আসবে।
এছাড়া দুই-একদিনের মধ্যে কয়েকশ’ পেঁয়াজবাহী ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করবেন বলে আশা করছেন তারা।
অপরদিকে, সোনামসজিদ স্থলবন্দর কাস্টমসের সহকারী কমিশনার প্রভাত কুমার সিংহ জানান, দীর্ঘ দুই মাস ২০ দিন পর চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।
সোমবার বিকাল থেকে পেঁয়াজবোঝাই ভারতীয় ট্রাক বন্দর দিয়ে আসতে শুরু করে। সন্ধ্যা পর্যন্ত পেঁয়াজ ভর্তি ৫৭ টি ভারতীয় ট্রাক সোনামসজিদ স্থলবন্দরে প্রবেশ করেছে।
তিনি জানান, পেঁয়াজবাহী ৫৭ টি ভারতীয় ট্রাক প্রবেশ শুরু করেছে। এতে মোট ১ হাজার ৯৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছে। আইপি অনুমোদন পাওয়া নথিপত্র পেলেই বন্দরে ট্রাক প্রেবেশের অনুমোদন দেয়া হচ্ছে।
সোনামসজিদ স্থলবন্দর পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের ম্যানেজার মাইনুল ইসলাম জানান, ২ মাস ২০ দিন বন্ধ ছিল পেঁয়াজ আমদানি। তবে আজ সোমবার বিকালের পর থেকে স্থল বন্দরে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে সর্বশেষ গত ১৫ মার্চ পেঁয়াজ এসেছিল সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে। এরপরই বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: আমদানির অনুমতি না দেওয়ায় ফের পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছে ব্যবসায়ীরা
হিলিতে বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম
বাংলাদেশ মে মাসে ৪.০৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি করেছে
বাংলাদেশ মে মাসে পোশাক রপ্তানিতে লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি পৌঁছে ৪ দশমিক ০৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
গতমাসে বাংলাদেশ ১ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার মূলের ওভেন পোশাক রপ্তানি করেছে যা লক্ষ্যমাত্রার ২৩ দশমিক ১৫ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
আর নীট পোশাক রপ্তানি করেছে ২ দশমিক ৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা লক্ষ্যমাত্রার ৩২ দশমিক ৫৩ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিল্পের প্রবৃদ্ধি ছাড়া ৭.৫% জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন অসম্ভব: বিজিএমইএ সভাপতি
সোমবার বিজিএমইএ –এর পরিচালক মহিউদ্দিন এই তথ্য জানান।
মে মাসে মোট পোশাক রপ্তানিতে ৪ দশমিক ০৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ২৮ দশমিক ৩৩ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার।
এতে দেখা যায় বাংলাদেশ গত মাসে পোশাক খাতে প্রবৃদ্ধি অর্জনে পিছিয়ে রয়েছে ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরে (২০২২-২৩) পোশাক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৬ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার বা ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
সেই আলোকে চলতি ১১ মাসে(জুলাই-মে) পর্যন্ত পোশাক রপ্তানি করে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৪২ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার।
যেখানে গত ২০২১-২২ অর্থবছর (জুলাই-মে) প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৩৮ দশমিক ৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থাৎ জুলাই-মে সময়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১০ দশমিক ৬৭ শতাংশের বেশি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ড: ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ১ কোটি টাকা অনুদান দিল এফবিসিসিআই
১১ মাসে রপ্তানি থেকে বাংলাদেশ ৫০.৫২ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে: ইপিবি
বাংলাদেশ মে মাসে পণ্য রপ্তানি করে ৪ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা বছরে ২৬ দশমিক ৬১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
দেশে ২০২২ সালের মে মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে ৩ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে।
বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের মধ্যে রপ্তানি খাত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছে।
রবিবার প্রকাশিত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি বছরের এপ্রিলে পণ্য রপ্তানি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়, কারণ হঠাৎ করেই রপ্তানি ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ কমে ৩ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়। তবে মে মাসে রপ্তানি বেড়েছে ৮৯০ মিলিয়ন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের ২০২২-২৩ সালের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) ৫০ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে।
গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ রপ্তানি ৭ দশমিক ১১ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে রপ্তানি হয়েছে ৪৭ দমমিক ১৭ বিলিয়ন ডলারের।
আরও পড়ুন: আইসিটি খাত থেকে রপ্তানি আয় ১.৭ বিলিয়ন ডলার: প্রধানমন্ত্রী
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, নন-লেদার জুতা ও প্লাস্টিক পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে।
তবে পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, হিমায়িত খাদ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্য এবং প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি কমেছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ৪২ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত অর্থবছর ২০২১-২২ এর একই সময়ের তুলনায় ১০ দমমিক ৬৭ শতাংশ বেশি।
অন্যদিকে, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি পণ্য ছিল ১ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। এইখাতে প্রবৃদ্ধি ৪২ শতাংশ।
তৃতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানিকৃত পণ্য হল ১ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের হোম টেক্সটাইল পণ্য। এ খাতের রপ্তানি কমেছে ৩০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: এলডিসি-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাধার সম্মুখীন হতে পারে: বাণিজ্য সচিব
২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিলে তৈরি পোশাক রপ্তানি ৩৮.৫৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে
শিল্প উৎপাদন সচল রাখতে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করুন: এফবিসিসিআই
দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংস্থা ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) আর্থিক বরাদ্দের সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে শিল্পখাতে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
এছাড়া কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু রাখা এবং কারখানাগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার সম্প্রসারণের আহ্বান জানানো হয়।
শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআইয়ের নিজস্ব সম্মেলন কক্ষে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন এ আহ্বান জানান।
একই সঙ্গে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর জোর দিয়ে কাঁচামালের ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহারেরও আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ড: ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ১ কোটি টাকা অনুদান দিল এফবিসিসিআই
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘সরকারের রাজস্ব আহরণ নিশ্চিত করতে শিল্প উৎপাদন সচল রাখতে হবে। সুতরাং, সাশ্রয়ী মূল্যের এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের কোনো বিকল্প নেই।’
তিনি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আর্থিক সম্পদ বরাদ্দের ক্ষেত্রে সরকারকে আরও কৌশলী হওয়ার আহ্বান জানান।
প্রস্তাবিত বাজেটে বাজেট ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেবে সরকার। এর মধ্যে ব্যাংকিং খাত থেকে ১ লাখ ৩২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হবে।
এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম বলেন, এই ঋণ নেওয়ার ফলে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হবে।
এমতাবস্থায় ব্যাংকিং খাতের পরিবর্তে তহবিলের ব্যয় বিবেচনা করে সম্ভাব্য সর্বনিম্ন সুদে বৈদেশিক উৎস থেকে অর্থায়ন গ্রহণের জন্য তিনি সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সংকট নিরসনের চেষ্টা চলছে: নসরুল হামিদ
তাপপ্রবাহের মধ্যে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বেড়েছে মানুষের দুর্ভোগ