ব্যবসা
বড় মাইক্রোবাসেও সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার চায় বারভিডা
২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মাইক্রোবাস এবং হাইব্রিড কার ও জিপ আমদানিতে শুল্ক কমানো ও পুনর্বিন্যাস করায় প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিকারকদের সংগঠন বারভিডা।
একই সাথে গণপরিবহন হিসেবে বহুল ব্যবহৃত ১০-১৫ আসন সেগমেন্টের মাইক্রোবাস (এইচ এস কোড ৮৭ দশমিক ০২), যা নগর ও গ্রামীণ জীবনে বিশেষ প্রভাব রাখছে তা আমদানির ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
বুধবার সংগঠনের কার্যালয়ে বাজেট পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে বারভিডা মহাসচিব মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম এ দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের প্রেসিডেন্ট আবদুল হক।
বারভিডা মহাসচিব বলেন, রিকন্ডিশন্ড মোটরযান আমদানির ক্ষেত্রে আমরা ৪৫ শতাংশ অবচয় সুবিধা এবং বছরভিত্তিক অবচয় সুবিধা চেয়েছিলাম। কিন্তু তা প্রস্তাবিত বাজেটে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। আসন্ন বাজেটে সুবিধাটি প্রদানে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর আর্তমানবতামূলক কার্যক্রমে অ্যাম্বুলেন্স দিল বারভিডা
তিনি বলেন, নতুন ও রিকন্ডিশন্ড গাড়ির শুল্কায়ন মূল্যে চরম বৈষম্যের ফলে নতুন গাড়ির চেয়ে রিকন্ডিশন্ড গাড়ির দাম কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেশি হয়ে যাচ্ছে। ফলে ক্রেতা কমে যাচ্ছে, আমদানি হ্রাস পাচ্ছে এবং এ খাতের ব্যবসায়ীরা মারাত্মক আর্থিক সঙ্কটে পড়ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আমদানি ক্রমাগত কমতে থাকায় যেখানে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ২০ হাজার ১৪৯টি এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২৩ হাজার ৭৫টি গাড়ি আমদানি হয়, সেখানে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আমদানি কমে ১২ হাজার ৫০২টিতে নেমে আসে। ২০১৯-২০ অর্থবছরেও আমদানি হ্রাসের ধারা অব্যাহত রয়েছে।
৯৭ ভাগ পণ্য রপ্তানিতে বাণিজ্য সুবিধা দিচ্ছে চীন: বাণিজ্যমন্ত্রী
চীন ৯৭ ভাগ পণ্য রপ্তানিতে ডিউটি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বুধবার ঢাকায় ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) এবং বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-চায়না ইকোনমিক অ্যান্ড ট্রেড রিলেশনস ইন দি আফটারমান্থ অফ দি কোভিড-১৯ গ্লোবাল পেন্ডামিক’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ২০২০ সালের জুলাই মাস থেকে এই সুবিধা কার্যকর হয়েছে। উভয় দেশের বাণিজ্য ব্যবধান কমানোর প্রচেষ্টা চলছে। চীন বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সহযোগী। এছাড়া চীন বাংলাদেশের বৃহৎ উন্নয়ন সহযোগী। পদ্মা বহুমূখী সেতু প্রকল্প, ঢাকায় মেট্রো রেল প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু কর্ণফুলী টানেল প্রকল্প, ঢাকা-চট্রগ্রাম চার লেন প্রকল্পসহ অনেক মেঘা প্রকল্প বাস্তবায়নে চীন বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: করোনা ভ্যাকসিন ক্রয়, যৌথ উৎপাদনের লক্ষ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা চলছে: চীনা-রাষ্ট্রদূত
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বেসরকারি সেক্টরে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের প্রচুর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার শিল্প স্থাপন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, ২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফর এবং ২০১৯ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের মাধ্যমে উভয় দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হয়েছে।
এসময় চায়না বাংলাদেশ ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট (এফটিএ) স্বাক্ষরের বিষয়ে জয়েন্টলি সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়েছে।
ইতোমধ্যে উভয় দেশের বাণিজ্য সহযোগিতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। চীন বাংলাদেশের বৃহৎ ব্যবসায়ীক অংশীদার। বাংলাদেশের সাথে চীনের গতবছরের বাণিজ্য ছিল ১২.০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের। এসময় বাংলাদেশ চীনে রপ্তানি করেছে ০.৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মুল্যের পণ্য, একই সময়ে আমদানি করেছে ১১.৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।
চীনের দেয়া বাণিজ্য সুবিধা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ বাণিজ্য ব্যাবধান কমানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। তাছাড়া, বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশের সাথে বাণিজ্য চুক্তি করে এলডিসি গ্রাজুয়েশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সেমিনারে বিষয়ের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউট অফ বাংলাদেশ(পিআরআই) রিসার্স ডিরেক্টর ড. আব্দুল রাজ্জাক। গেস্ট অফ অনারের বক্তব্য রাখেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’র নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামান।
অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট গাজী গোলাম মর্তুজা, সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ড শাহ মো. সুলতান উদ্দীন আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল মামুন মৃধা এবং ইআরএফের প্রেসিডেন্ট শারমিন রিনভি বক্তব্য দেন।
ভ্যাকসিনের স্বত্ত্ব মওকুফের কথা ভাবছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা
উন্নয়নশীল দেশগুলোকে করোনা মহামারি মোকাবিলায় সহায়তা করার জন্য বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতরা ভ্যাকসিনের স্বত্ত্বসহ অন্যান্য বুদ্ধিবৃত্তিক সুরক্ষা সহজ করার লক্ষ্যে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত ওই প্রস্তাবনাটির বিরোধিতা করছে ওষুধশিল্পে প্রভাবশালী বিশ্বের ধনী দেশগুলো।
মঙ্গলবার বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার প্যানেলের দু'দিনের বৈঠকের উদ্বোধনী দিনে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের ওপর সাময়িক স্বত্ত্ব মওকুফের জন্য ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা যৌথভাবে একটি সংশোধিত প্রস্তাবনা উত্থাপন করা হয়েছে। প্রস্তাবটি চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র সহ বিশ্বের ৬০-এর অধিক দেশের সমর্থন পেয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কিছু সদস্য দেশ এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। ইইউ শুক্রবার একটি বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছে। বিকল্প প্রস্তাবটি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বিদ্যমান বিধিগুলোর ওপর নির্ভর করেই দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফাইজারের পর মর্ডানার ভ্যাকসিনকে সবুজ সংকেত দিল ইউরোপীয় কমিশন
২৭ দেশের সমন্বিত জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, এই বিধিগুলি সরকারকে জরুরি ভিত্তিতে পেটেন্টধারীদের সম্মতি ছাড়াই তাদের দেশের উৎদনকারীদের উৎপাদন লাইসেন্স দেওয়ার অনুমতি দেয়।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে উৎসাহিত এডভোকেসি গ্রুপগুলো এই পরিকল্পনাটিকে সমর্থন দিয়েছে এবং জোর দিয়ে বলেছে, যারা এর বিরোধী, তাদের কথা মতো কাজ করা যাবে না।
আরও পড়ুন: কোভ্যাক্সের সাথে করা চুক্তিকে অগ্রাধিকার দেয়ার আহ্বান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
নোবেল শান্তি পুরষ্কারপ্রাপ্ত সংস্থা ডক্টর্স উইদাউট বর্ডারস অভিযোগ করেছে, গত সোমবার স্বত্ত্ব মওকুফের প্রস্তাব বিলম্বিত করার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন সুইজারল্যান্ড, নরওয়েসহ কয়েকটি দেশকে দায়ী করেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ১৭ কোটি ৩৫ লাখ ছাড়ালো
তবে ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থাগুলির দাবি, স্বত্ত্ব মওকুফের ফলে গবেষকদের এবং উদ্যোক্তাদের বেশ ক্ষতি হতে পারে। পরবর্তীতে তারা এমন কাজে আগ্রহ হারাতে পারেন। তারা মনে করে, ধনী দেশগুলো উন্নয়নশীল বিশ্বের স্বাস্থ্যকর্মীদের ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সাথে ভ্যাকসিন শেয়ার করলে, টিকাদান কার্যক্রম আরও বেগবান হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বরাবরই ভ্যাকসিনের অসম বণ্টনের বিরুদ্ধে উদ্বেগ জানিয়ে আসছে।
উপায় ও গার্ডিয়ান লাইফ ইনস্যুরেন্স এর চুক্তি স্বাক্ষর
দেশের অন্যতম শীর্ষ ডিজিটাল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান উপায় এবং গার্ডিয়ান লাইফ ইনস্যুরেন্স এর সাথে সম্প্রতি একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় উপায় গ্রাহকরা উপায় অ্যাপের মাধ্যমে গার্ডিয়ান লাইফ থেকে বীমা পলিসি ক্রয় করতে পারবেন।
উপায় এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সাইদুল হক খন্দকার এবং গার্ডিয়ান লাইফ ইনস্যুরেন্স এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত সিইও শেখ রাকিবুল করিম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
গ্রাহকরা এখন থেকে উপায় অ্যাপ ব্যবহার করে গার্ডিয়ান লাইফ এর জনপ্রিয় ‘ইজিলাইফ’ স্কিম কিনতে পারবেন।
আরও পড়ুন: চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ: ডিসিসিআই-বুয়েটের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে ৩১.৪ কোটি টাকা জমা দিল গ্রামীণফোন
সব শ্রেণীর জনগনকে আরও বৃহৎ পরিসরে আর্থিক সেবা দেওয়া লক্ষ্য নিয়ে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সাবিসিডিয়ারী উপায় চলতি বছরের মার্চ মাসে যাত্রা শুরু করে।
গার্ডিয়ান লাইফ এর পক্ষে চীফ অপারেটিং অফিসার শামীম আহমেদ, হেড অব ডিজিটাল চ্যানেলস্ ও এডিসি ইয়াসিন আরাফাত, কী লিড (ডিজিটাল চ্যানেলস্ ও এডিসি) শাহরিয়ার আকন্দ, এভিপি (ডিজিটাল চ্যানেলস্ ও এডিসি) আরিফুল হক এবং উপায় এর পক্ষে চীফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী, ডাইরেক্টর (বিজনেস সেলস্) সাদ মোহাম্মদ ফজলুল করিম, ডেপুটি ডাইরেক্টর (বিজনেস সেলস্) নাজিম উদ্দিন আহমেদ, অ্যাসিস্ট্যান্ট ডাইরেক্টর (বিজনেস সেলস্) মো. রেজওয়ানুল হক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠনে উপস্থিত ছিলেন।
শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে ৩১.৪ কোটি টাকা জমা দিল গ্রামীণফোন
চলমান কোভিড-১৯ সংক্রমণে দুর্যোগময় পরিস্থিতিতেও শ্রমিকদের কল্যাণে ব্যয় করার জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তাহবিলে ৩১ কোটি ৪০ লাখ ৪ হাজার ৪০৩ টাকা দিয়েছে গ্রামীণফোন।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের হাতে গ্রামীণফোনের প্রধান মানব সম্পদ কর্মকর্তা (সিএইচআরও) সৈয়দ তানভির হোসনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল চেক হস্তান্তর করেন।
চেক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, ‘শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের কল্যাণের জন্য বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী সরকার ফাউন্ডেশন তহবিল গঠন করে। এ তহবিল থেকে প্রাতিষ্ঠানিক অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুতে, আহত, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শ্রমিকের চিকিৎসা এবং শ্রমিকের মেধাবী সন্তানের উচ্চশিক্ষায় সহায়তা দেয়া হয়। করোনার এই দুর্যোগকালীন সময়ে এ বছর প্রায় দুই হাজার শ্রমিককে এ তহবিল থেকে প্রায় সোয়া ছয় কোটি টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।’
শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন সবসময় শ্রমিকদের কল্যাণে পাশে থাকবে বলে প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
গ্রামীণফোনের পক্ষে প্রধান মানব সম্পদ কর্মকর্তা সৈয়দ তানভির হোসন বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর এই প্রতিকূল সময়ে আমরা দেশের মানুষের পাশে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। আমাদের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। জাতিগতাভাবে আমরা যেভাবে কোভিডকে মোকাবিলা করে দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছি তা সত্যিই দৃষ্টান্তমূলক। আমরা বিশ্বাস করি শ্রমীক কল্যানে আমাদের অবদানে অন্যরা উৎসাহিত হবেন এবং শ্রমিকদের প্রয়োজনে পাশে দাড়াঁবেন।’
গ্রামীণফোনসহ দেশি, বিদেশি এবং বহুজাতিক মিলে ১৬৫টি প্রতিষ্ঠান তাদের লভ্যাংশের নিদিষ্ট অংশ নিয়মিত এ তহবিলে জমা দিয়ে আসছে। লভ্যাংশের নির্দিষ্ট অংশ জমা দেয়া প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রতি মাসে বাড়ছে বলে চেক প্রদান অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অভিযোজন: ১০০ বিলিয়ন ডলার তহবিলের ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশ
বর্তমানে, এ তহবিলে জমার পরিমাণ প্রায় ৪৪২ কোটি টাকা। গ্রামীণফোন তাদের লভ্যাংশের একটি নির্দিষ্ট অংশ বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে নিয়মিতভাবে জমা প্রদান করে আসছে। এ তহবিলে সর্বোচ্চ জমাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে, গ্রামীণফোন এখন পর্যন্ত ১৮৩ কোটি ৮৪ হাজার ৩৬৩ টাকা জমা দিয়েছে।
চেক প্রদান অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক বেগম জেবুন্নেছা করিম, শাকিলা জেরিন আহমেদ, পরিচালক ওয়ার্কাস ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশান, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গৌতম কুমার, গ্রামীণফোনের পাবলিক অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স প্রধান হোসেন সাদাত, গ্রামীণফোনের এইচ আর বিজনেস পার্টনার অ্যান্ড সার্কেল এইচ আর প্রধান ইয়াসির মাহমুদ খান, গ্রামীণফোনের ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস প্রধান কে. এম. সাব্বির আহমেদ এবং গ্রামীণফোনের ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস বিভাগের সদস্য মো. আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
নূন্যতম খরচে ইউএস-বাংলার আকর্ষণীয় হলিডে প্যাকেজ
যাত্রীদের ভ্রমণকে আরও স্বাচ্ছন্দময় করে তুলতে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ইউএস-বাংলা বিভিন্ন গন্তব্যের ক্ষেত্রে নূন্যতম খরচে দিচ্ছে আকর্ষণীয় হলিডে প্যাকেজ। স্বল্প খরচে নিজের দেশকে দেখার ও জানার সুযোগ করে দিচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
হলিডে প্যাকেজগুলো আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
ভ্রমণ পিপাসু বাংলাদেশি পর্যটকদের সংখ্যা প্রতি মূহূর্তেই বাড়ছে। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স দেশিয় পর্যটকদের এই ভ্রমণকে আরও আকর্ষণীয় করার জন্য কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সিলেটে ও বরিশালে দিয়েছে হলিডে প্যাকেজ। পাহাড় আর সমুদ্রের অপূর্ব সৌন্দর্য্য একসাথে উপভোগ করার জন্য কক্সবাজারের প্রায় সব আন্তর্জাতিক মানের পাঁচ তারকা হোটেলে দুই রাত তিন দিন থাকা, ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা এয়ার টিকেট, এয়ারপোর্ট-হোটেল- এয়ারপোর্ট যাতায়াত, সকালের নাস্তাসহ আরো নানাবিধ সুবিধা রয়েছে ট্যূর প্যাকেজে।
আরও পড়ুন: ৫ জুন থেকে ওমানে ফ্লাইট শুরু ইউএস বাংলার
সবুজ আর পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য্য উপভোগ করার জন্য সিলেটে দুই রাত তিন দিনের প্যাকেজ দিচ্ছে ইউএস-বাংলা। এছাড়া বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম ও বাংলাদেশের অন্যতম নদীবন্দর বরিশালে ভ্রমণের জন্য ইউএস-বাংলা দুইরাত তিনদিনের হলিডে প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।এতে থাকছে পছন্দমতো আন্তর্জাতিক মানের হোটেল ও রিসোর্টে থাকার সুবিধা, রিটার্ণ এয়ার টিকেট, এয়ারপোর্ট-হোটেল-এয়ারপোর্ট যাতায়াত, ব্রেকফাস্টসহ নানাবিধ হোটেল সার্ভিসের উপর আকর্ষণীয় ডিসকাউন্ট সুবিধা।
এছাড়াও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স পর্যটকদের সুবিধার্থে বিনা সুদে ৬ মাসের ইএমআই সুবিধাও দিচ্ছে।
আারও পড়ুন: অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট বাড়াল ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
বর্তমান ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স অভ্যন্তরীণ গন্তব্য ঢাকা থেকে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সিলেট, যশোর, সৈয়দপুর. বরিশাল ও রাজশাহী রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক গন্তব্য মাস্কাট, দোহা, গুয়াংজু রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। করোনা মহামারির কারনে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তে কলকাতা, চেন্নাই, সিঙ্গাপুর, কুয়ালালামপুর, ব্যাংকক ও দুবাই রুটে ফ্লাইট পরিচালনা সাময়িকভাবে স্থগিত আছে।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ: ডিসিসিআই-বুয়েটের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার নিয়ে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মধ্যকার একটি সমঝোতা স্মারক সাক্ষর হয়েছে।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান এবং বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সোমবার এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, উভয় প্রতিষ্ঠানই দেশের অর্থনীতির বৃহত্তর স্বার্থে শিল্পখাতে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের পাশাপাশি শিল্পখাত ভিত্তিক গবেষণা কার্যক্রম সম্প্রসারণ, ডিসিসিআই এবং বুয়েট যৌথ উদ্যোগে সেমিনার, কর্মশালা, চাকরি মেলা, ব্যবসায়ী সম্মেলন, শিল্প-শিক্ষার সমন্বয়ের জন্য মডেল উন্নয়নে একসাথে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে অন্তর্ভুক্তিমূলক বাজেট: ডিসিসিআই
অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, গত ছয় দশক ধরে বিশেষ করে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্পের উদ্যোক্তাদের উন্নয়নের লক্ষ্যে ঢাকা চেম্বার নিরলসভাবে কাজ করার পাশাপাশি সরকারের শিল্পবান্ধব নীতি প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট সংস্থার সাথে একযোগে কাজ করছে।
তিনি বলেন, দেশের বৃহৎ অকাঠামোখাতে উন্নয়ন ও পরামর্শ প্রদান এবং বিশেষ করে প্রাকৃতিক দূযোর্গ মোকবেলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণে বুয়েট সবসময়ই নেতৃত্ব দিয়ে থাকে।
বাংলাদেশের শিল্পায়নের গতি তরান্বিতকরণে নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুতি গ্রহণ এবং সর্বোপরি শিল্পখাতের প্রয়োজনের নিরিখে যৌথভাবে খাতভিত্তিক গবেষণা কার্যক্রম বাড়ানোর জন্য ডিসিসিআই সভাপতি আহ্বান জানান।
ডিসিসিআই সভাপতি উল্লেখ করেন, 'শিল্প-শিক্ষার সমন্বয়ের মাধ্যমে ভবিষৎ প্রজন্মকে একটি দক্ষ মানবসম্পদে রুপান্তরের ক্ষেত্রে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকটি একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। এছাড়াও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের মানব সম্পদকে পুনঃদক্ষ করার লক্ষ্যে, এখনই কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ ও তার কার্যকর বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।
বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, বাংলাদেশকে একটি শিল্পন্নোত দেশ হিসেবে পরিণত হতে হলে, শিল্পখাতের বিদ্যমান সমস্যা চিহ্নিতকরনের পাশাপাশি নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করার কোন বিকল্প নেই।
তিনি জানান, আগামীতে বুয়েটের শিক্ষা কার্যক্রমে বিশেষকরে শিল্পখাত বিষয়ক গবেষণা আরো বৃদ্ধি করবে।
উপাচার্য বলেন, শিল্পখাতের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পাশাপাশি শিল্পখাতের সমস্যা সমাধানে শিল্প ও শিক্ষা খাতের সমন্বয় বাড়ানো বিকল্প নেই।
এছাড়া তিনি সমঝোতা চুক্তিটির যথাযথ বাস্তবায়নে বছর ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নেরও প্রস্তাব করেন।
এসময় তিনি দক্ষতা উন্নয়নে বুয়েটের শিক্ষার্থীদের আরও বেশি হারে শিল্পখাতের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে ডিসিসিআইয়ের ঊর্ধ্বতন সহ সভাপতি এন কে মবিন, বুয়েটের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল জাব্বার খান, ফ্যাকাল্টি’র ডীন ও বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা, ডিসিসিআই’র সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ভারত থেকে ১৩০ মেট্রিক টন বিস্ফোরক দ্রব্য আমদানি
ভারত থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে সোমবার সকালে আট ট্রাকে করে ১৩০ মেট্রিক টন বিস্ফোরক দ্রব্য আমদানি করেছে দিনাজপুরের মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান। যার মূল্য দেড় কোটি টাকা।
সোমবার বিকালে বন্দর ও কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিস্ফোরকের চালানটি দিনাজপুরের উদ্দেশে নেয়া হবে।
এর আগে রবিবার রাতে ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে এ বিস্ফোরক দ্রবের চালানটি বেনাপোল বন্দরের ৩১ নম্বর ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডে প্রবেশ করে। এ চালানের কাগজপত্র বন্দর ও কাস্টমসে দাখিল করেছেন এএস ইন্টারন্যাশনাল নামে এক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সচল
এএস ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজার আল আমিন জানান, বিস্ফোরকটির চালান খালাসের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কাস্টমসে দাখিল করা হয়েছে। কাস্টমসের কাজ সম্পন্ন হলে ভারতীয় ট্রাক থেকে এসব বিস্ফোরক দ্রব্য খালাস করে বাংলাদেশি ট্রাকে নেয়া হবে। পরে ট্রাকগুলো দিনাজপুরের উদ্দেশে বেনাপোল বন্দর থেকে ছেড়ে যাবে বলে জানান তিনি।
বন্দর সূত্র জানায়, এক লাখ ৪৩ হাজার ৪৩৬ ডলার মূল্যে ১৩০ মেট্রিক টন ওজনের বিস্ফোরক দ্রব্য দিনাজপুর মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড ভারত থেকে আমদানি করেছে। যার মূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় এক কোটি ৫৩ লাখ ২ হাজার ৫৮২ টাকা। এদিকে এর আগে গত ১৪ মার্চ ৮ ট্রাকে ১১১ মেট্রিকটন ও গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর ১০ ট্রাকে ১২০ মেট্রিক টন বিস্ফোরক আমদানি করেছিল প্রতিষ্ঠানটি।
বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল জানান, দিনাজপুরের মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড খননকাজ পরিচালনার জন্য ভারতের নাগপুর থেকে এই বিস্ফোরক দ্রব্য আমদানি করেছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বন্দর এলাকায় প্রশাসনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
৬ দিন পর বন্ধের পর বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ও ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণ রোধে পাঁচ দিন বন্ধের পর শনিবার (৫ জুন) থেকে দেশের একমাত্র চতুদেশীয় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু হয়েছে।
শনিবার দুপুরে ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে ভুট্টাসহ বিভিন্ন কৃষি পণ্য আমদানি করা হয়েছে। তবে পাথর আমদানি হয়নি।
ভারতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি ও নতুন করে ভ্যারিয়েন্ট ও ফাঙ্গাস সংক্রমণ এড়াতে স্থানীয়দের চাপে মুখে পড়ে ৩১ মে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ৪ জুন থেকে স্থলবন্দটি চালু হওয়ার কথা থাকলেও শুক্রবার সপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় আজ শনিবার থেকে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু হয়।
দুপুরে ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে ভুট্টাসহ বিভিন্ন কৃষি পণ্য নিয়ে কিছু ট্রাক ভারতের ফুলবাড়ি- বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এ বন্দরে পাথরের আমদানি বেশি হলেও আজকে পাথরের কোন ট্রাক বন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করতে দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে অন্তর্ভুক্তিমূলক বাজেট: ডিসিসিআই
পঞ্চগড় আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলা বলেন, গত ৪ জুন আমাদের বন্দর খোলার কথা ছিল। গতকাল শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির কারনে স্থলবন্দর বন্ধ ছিল। শনিবার দুপুর থেকে অন্যান্য পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। পাথরের গাড়ি টেন্ডার করা হয়নি এ কারণে আজকে পাথর আমদানি করা যাবে না।
আগামীকাল থেকে স্থলবন্দর পুরোদমে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু হবে বলে তিনি জানান।
অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে অন্তর্ভুক্তিমূলক বাজেট: ডিসিসিআই
প্রস্তাবিত ২০২১-২২ জাতীয় বাজেটকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে অন্তর্ভুক্তিমূলক বাজেট উল্লেখ করে এটি বাস্তবায়ন, ঘাটতি মোটানো এবং রাজস্ব আদায় ও সম্প্রসারণে আরও বেশি নজর দিতে হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
বৃহস্পতিবার প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ প্রতিক্রিয়া জানায় ঢাকা চেম্বার।
এতে বলা হয়, বিশ্ব অর্থনীতি যখন কোভিড-১৯ এ বিপর্যস্ত, এই কঠিন সময়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে ঘোষিত জাতীয় বাজেট ২০২১-২২ এ প্রবৃদ্ধি এবং মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে যথাক্রমে ৭.২ শতাংশ ও ৫.৩ শতাংশ। এই সময়ে এরূপ অগ্রগতিমূলক ও অর্জনযোগ্য প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা আমাদের মাঝে আশার সঞ্চার করছে। কোভিডকালীন সময়ে বাংলাদেশ জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৬.২ শতাংশ অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। যেখানে সারাবিশ্বে জিডিপির প্রবৃদ্ধি নেগেটিভ। তাই এ ধরনের উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে অর্থনীতির সকল ক্ষেত্রে উত্তরণ ঘটাতে হবে যা অনেকাংশে চ্যালেঞ্জিং।
তবে বাজেটে কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত বরাদ্দ, প্রণোদনা ও ক্ষতিপূরণ দেয়া, বিনিয়োগ বাড়ানো, কৃষি পুনর্বাসন, সামাজিক নিরাপত্তাবলয় বৃদ্ধিকরণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগকে সাধুবাদ জানায় ডিসিসিআই।
বিশেষ করে আয়কর ও ভ্যাট হার হ্রাস, গ্রস রিসিট, গবেষণা এবং আমদানি কাঁচামালের উপর অগ্রীম কর হ্রাস করা, স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় বৃদ্ধি ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির সুপারিশ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করায় ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তাছাড়া, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি সময়োপযোগী।
তবে প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ঘোষিত সরকারি সহায়তা সহজতর উপায়ে ব্যবসায়ীদের প্রদান করা গেলে বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঘোষিত বাজেট সহায়ক হবে বলে ডিসিসিআই মনে করে। পাশাপাশি, অর্থনৈতিক ক্ষতি যথাযথভাবে নিরূপণ করে প্রণোদনা প্যাকেজের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধি করার প্রস্তাব করছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান বাজেটে রাজস্ব ঘাটতি ও অর্থায়ন একটি চ্যালেঞ্জ। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী জিডিপির এই উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে করোনা সংক্রমণ রোধ করা এবং সবার জন্য করোনা টিকা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরী। যদিও এটি একটি ব্যয়বহুল বাজেট, এর মাধ্যমে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, ব্যবসায়ীদের আর্থিক প্রণোদনা, সামাজিক নিরাপত্তা ব্যয় বৃদ্ধি ও জনগণকে করোনা পরবর্তী পরিস্থিতি থেকে রক্ষায় বরাদ্দে উদ্যোগ থাকার কারণে জীবন জীবিকার ভারসাম্য রক্ষায় এটি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক বাজেট হয়েছে বলে ডিসিসিআই বিশ্বাস করে। তবে এত বড় বাজেট বাস্তবায়ন অনেকটা চ্যালেঞ্জিং হবে, তাই রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ জানাচ্ছে ঢাকা চেম্বার।
২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটের আয়তন ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা যা বিগত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ১১.৯৫ শতাংশবেশি এবং মোট জিডিপির আকার দাড়াবে আনুমানিক ৩৪৫.৬ বিলিয়ন ডলার। মোট আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকা যা গত বছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ৯.৬৩ শতাংশ বেশি। তাই এই অতিরিক্ত রাজস্ব আহরণের জন্য করের আওতা বাড়ানো, অনাদায়ী কর আদায়, জেলা শহরের রাজস্ব আদায় বাড়ানো, স্বচ্ছতা ও কর প্রদান প্রক্রিয়ায় অটোমেশন প্রয়োজন। বেসরকারি বিনিয়োগের ধারা অব্যাহত রাখতে বিদ্যমান করদাতাদের উপর নতুন করে করের বোঝা আরোপ না করে রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে। সেভিংস সার্টিফিকেট, সমবায় নিবন্ধন, পোস্টাল সেভিংস এর ক্ষেত্রে ই-টিন বাধ্যতামূলক করায় কর সংগ্রহের আওতা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় বাজেটে ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব
নতুন বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ রয়েছে ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা যা মোট জিডিপির ৬.২ শতাংশ। সাধারণত ঘাটতি বাজেট ৫ শতাংশ হয়ে থাকে, যা গত বছর ৬.১ শতাংশছিল। তাই করোনাকালীন সময়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রাখতে এই ঘাটতি বাজেট সহনশীল বলে ঢাকা চেম্বার মনে করে, যা জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণে ব্যয় হতে পারে। ২০২১-২২ অর্থবছরে ঘাটতি বাজেট পূরণে অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ঋণ নেয়া হবে ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা। যার মধ্যে ব্যাংকিং খাত থেকে সরকার ঋণ নিবে ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা কোটি টাকা যা বিগত অর্থবছরে সংশোধিত ঘাটতি বাজেটের ঋণের তুলনায় ১৪.৮১ শতাংশ কম।
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে এ অর্থবছরে লিস্টেড ও নন-লিস্টেড কোম্পানির ২.৫ শতাশ করপোরেট কর হার হ্রাস করা হয়েছে। এই ব্যবসাবান্ধব উদ্যোগের জন্য ডিসিসিআই সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছে। তবে করপোরেট কর হার পর্যায়ক্রমে আরও হ্রাস করা প্রয়োজন, যাতে কোভিড পরবর্তী সময়ে ব্যবসায়ীরা টিকে থাকতে পারেন। পাশাপাশি, বাজেটে নতুন শিল্পে যেমন: হোম অ্যাপলায়েন্স, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, অটোমোবাইল, তথ্যপ্রযুক্তি কর অবকাশ সুবিধা দেয়া হয়েছে। ওয়ান পার্সন কোম্পানির ক্ষেত্রে করপোরেট কর হার ২৫ শতাংশ র্নিধারণ করা হয়েছে। এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানায় ঢাকা চেম্বার।
তবে পর্যায়ক্রমে এই কর হার আরও কমানোর জোর দাবি জানায় সংগঠনটি, তাতে করে ক্ষুদ্র ও ছোট বিনিয়োগকারীরা উৎসাহিত হবে।
বাজেটে দেশীয় শিল্পের বিকাশে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশে হোম অ্যাপ্লায়েন্স সামগ্রী, তথ্যপ্রযুক্তি, সিমেন্ট, স্টিল, ইলেকট্রনিক ও আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে, যা একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। করোনাকালীন বিশ্বব্যাপী রপ্তানি চাহিদা হ্রাস পেয়েছে। তাই রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্প, চামড়া, পাট ও পাটজাত দ্রব্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাতপণ্য এবং ওষুধ পণ্যসমূহের কাঁচামাল আমদানিতে অগ্রিম আয়কর অব্যাহতি যৌক্তিককরণের পাশাপাশি আমদানিকৃত ফল ও সবজিতে ৫ শতাংশ হারে কর বাড়ানো হয়েছে।