বিশ্ব
মহাকাশ স্টেশনে ৬ মাস অবস্থানের পর ফিরলেন ৩ চীনা নভোচারী
চীনের তিন নভোচারী দেশটির নতুন মহাকাশ স্টেশনে ছয় মাস থাকার পর পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন। শনিবার মহাকাশ যান শেনঝু ১৩-তে করে তারা মঙ্গোলিয়ার উত্তরাঞ্চলের গোবি মরুভূমিতে অবতরণ করেন।
চীনের রাষ্ট্রীয় টিভিতে সরাসরি তাদের অবতরণের ভিডিও দেখানো হয়েছে।
এই মিশনের তিন মহাকাশচারী হলেন- ওয়াং ইয়াপিং, ক্রুমেট ঝাই ঝিগাং ও ইয়ে গুয়াংফু।
এর আগে গত মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং হাইনানের দক্ষিণ দ্বীপের ওয়েনচাং-এ উৎক্ষেপণ স্থান পরিদর্শন করেন। যেখান থেকে তিয়ানহে মডিউলটি কক্ষপথে নিক্ষেপ করা হয়েছিল।
এই তিন মহাকাশচারী চীনের মহাকাশ স্টেশন তিয়ানগং বা স্বর্গীয় প্রাসাদে থাকা দ্বিতীয় ধাপের মহাকাশযাত্রী। ২০২১ সালের এপ্রিলে এর মূল মডিউল তিয়ানহে চালু করা হয়েছিল।
তিয়ানগং এর উদ্দেশে পরবর্তী মহাকাশযাত্রার তারিখ কর্তৃপক্ষ এখনও ঘোষণা করেনি।
আরও পড়ুন: তিন নভোচারী নিয়ে চীনের প্রথম মহাকাশ যাত্রা
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের অস্বস্তির কারণে চীনকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে বাদ দেয়া হয়। কারণ চীনের সামগ্রিক মহাকাশ কর্মসূচি ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির সামরিক শাখা পিপলস লিবারেশন আর্মি পরিচালনা করে।
তিয়ানগং চীনের তৃতীয় মহাকাশ স্টেশন। এর আগে ২০১১ সালে এবং ২০১৬ সালে চীন দুটি মহাকাশ স্টেশন উৎক্ষেপণ করে। ২০২০ সালে দেশটির সরকার ঘোষণা করেছিল চীনের প্রথম পুনঃব্যবহারযোগ্য মহাকাশযানটি একটি পরীক্ষামূলক ফ্লাইটের পরে সফলভাবে মহাকাশে অবতরণ করেছে।
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের পর তৃতীয় দেশ হিসেবে চীন মহাকাশে নভোচারী পাঠায়।
২০০৩ সালে চীন প্রথমবারের মতো মহাকাশে নভোচারী পাঠায় এবং ২০১৩ সালে চাঁদে এবং ২০২১ সালে মঙ্গলে চীনের রোবট রোভার অবতরণ করে।
আরও পড়ুন: মহাকাশ পরিভ্রমণ করা চীনের প্রথম নারী ওয়াং ইয়াপিং
মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফিরলেন ৪ নভোচারী
ফিলিপাইনে ঝড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬৭, নিখোঁজ ১১০
ফিলিপাইনে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় মেগির প্রভাবে হওয়া ভূমিধস ও বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় এখনও ১১০ জন নিখোঁজ রয়েছে। শনিবার দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ফিলিপাইনের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কাউন্সিল জানিয়েছে, মধ্য ফিলিপাইনে ১৬৪ জন এবং দক্ষিণ ফিলিপাইনে তিনজন মারা গেছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকায় বন্যায় ৩৪০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত
গত ১০ এপ্রিল মেগি আঘাত হানার আগে এবং পরে মধ্য ও দক্ষিণ ফিলিপাইন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে অনেক এলাকা প্লাবিত হয়। এ সময় লেইতে প্রদেশের বেবে সিটি এবং আবুযোগ শহরে বেশ কয়েকটি গ্রামে ভূমিধস হয়।
শুক্রবার ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং ঝড়ের কবল থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।
প্রধানত প্যাসিফিক রিং অফ ফায়ার এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় টাইফুন বেল্টে অবস্থানের কারণে ফিলিপাইন বিশ্বের সবচেয়ে দুর্যোগ-প্রবণ দেশগুলোর মধ্যে একটি। এই দ্বীপদেশটিতে গড়ে প্রতি বছর ২০টি টাইফুন আঘাত হানে, যার মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রলয়ংকারী প্রভাব ফেলে। চলতি বছর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে প্রথম আঘাত হানা ঝড় মেগি।
আরও পড়ুন: যুদ্ধজাহাজ ‘মস্কোভা’ ডুবে গেছে, স্বীকার করল রাশিয়া
ব্রাজিলে ভারী বৃষ্টিপাতে নিহত ৮, নিখোঁজ ১৩
ঘানায় নৌকাডুবিতে অন্তত ৭ জন নিহত
পূর্ব ঘানার ভোল্টা হ্রদে একটি যাত্রীবাহী নৌকা ডুবে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ।
ঘানা পুলিশ সার্ভিসের পূর্বাঞ্চলীয় আঞ্চলিক কমান্ডের মুখপাত্র ইবেনেজার তেতেহ বলেছেন, শুক্রবার ভোররাতে ২০ জন যাত্রী নিয়ে নৌকাটি প্রবল ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়।
আরও পড়ুন: কিয়েভ অঞ্চলে ৯ শতাধিক মানুষের লাশ উদ্ধার: পুলিশ
তেতেহ বলেন, এতে সাতজন নিহত হন এবং একজন নিখোঁজ রয়েছে। এছাড়া বাকিদের উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতদের লাশ উদ্ধার করে দ্বীপের একটি বেসরকারি মর্গে রাখা হয়েছে এবং দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনে তদন্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।
কিয়েভ অঞ্চলে ৯ শতাধিক মানুষের লাশ উদ্ধার: পুলিশ
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের আশ-পাশের এলাকা থেকে ৯ শতাধিক বেসামরিক মানুষের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের অধিকাংশকেই মারাত্মকভাবে গুলি করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেনীয় পুলিশ।
কিয়েভের আঞ্চলিক পুলিশ বাহিনীর প্রধান আন্দ্রিয়ে নেবিটোভ বলেছেন, কিয়েভের আশ-পাশে মৃতদেহ রাস্তায় ফেলে রাখা হয়েছে বা অস্থায়ীভাবে দাফন করা হয়েছে। পুলিশের তথ্যের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, নিহতদের ৯৫ শতাংশ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন।
নেবিটোভ বলেন, ‘ফলে আমরা বুঝতে পারি (রুশ) দখলদারিত্বের অধীনে মানুষকে কেবল সড়কে হত্যা করা হয়েছিল।’
আরও পড়ুন: রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা শান্তির প্রধান পদক্ষেপ: জেলেনস্কি
সর্বোচ্চ মৃতদেহ বুচায় পাওয়া গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে ও গণকবরে প্রতিদিন আরও মৃতদেহ পাওয়া যাচ্ছে। বুচায় ৩৫০ জনের বেশি মানুষের লাশ পাওয়া গিয়েছিল।
নেবিটভ জানান, ইউটিলিটি কর্মীরা কিয়েভের শহরতলিতে মৃতদেহ জড়ো করে কবর দেয় যখন অঞ্চলটি রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে ছিল। তিনি বলেন, রুশ সেনারা এমন মানুষদের ‘খুঁজে বের করে’ যারা দৃঢ় ইউক্রেনপন্থী মতামত প্রকাশ করেছিল।
রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা শান্তির প্রধান পদক্ষেপ: জেলেনস্কি
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার ওপর বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞা ‘বেদনাদায়ক’ হলেও তা রুশ সামরিক বাহিনীকে থামানোর জন্য এখনও যথেষ্ট নয়।
এ সময় জেলেনস্কি ‘গণতান্ত্রিক বিশ্বের’ প্রতি রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ইউরোপ রুশ জ্বলানি সরবরাহের ওপর অনেকটা নির্ভর করে। এদিকে ভারতকে রুশ জ্বালানি ব্যবহার বাড়ানো থেকে বিরত রাখতে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার রাতে এক ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, ‘সাধারণভাবে গণতান্ত্রিক বিশ্বকে অবশ্যই মেনে নিতে হবে রাশিয়ার জ্বালানি সম্পদের অর্থ আসলে গণতন্ত্রের ধ্বংসের জন্য অর্থ।’
তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক বিশ্ব যত তাড়াতাড়ি স্বীকার করবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে তেল নিষেধাজ্ঞা এবং তার ব্যাংকিং খাতের সম্পূর্ণ অবরোধ শান্তির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ, তত তাড়াতাড়ি যুদ্ধ শেষ হবে।’
বিশ্বে করোনায় ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ২ হাজার ৫৯৬
২৪ ঘণ্টায় বিশ্ব করোনায় দুই হাজার ৫৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে ৬১ লাখ ৯৫ হাজার ছাড়াল।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ কোটি ৩৪ লাখ ৯১ হাজার ৯২১ জনে ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ৬১ লাখ ৯৫ হাজার ৫০৬ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা আট কোটি ছয় লাখ ১২ হাজার ৭২১ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৯ লাখ ৮৮ হাজার ৫৫৯ জন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় একদিনে মৃত্যু ৩ হাজার ৮৯৩
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট চার কোটি ৩০ লাখ ৩৯ হাজার ৯৭২ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ২১ হাজার ৭৪৩ জনে।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কারো মৃত্যু হয়নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এসময় নতুন শনাক্ত হয়েছে ২৭ জন। এ পর্যন্ত দেশে মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১২৪ জন এবং মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ৫২ হাজার ২২৪ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৫ হাজার ৩৫৯
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় চার হাজার ১৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এইদিন শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ।
দেশে মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ০৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৯ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১৮০ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৯০ হাজার ২৬৪ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
প্রতিদিন ইউক্রেনে ফিরছেন ৩০ হাজার মানুষ: জাতিসংঘ
ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পর থেকে দেশ ত্যাগ করা আট লাখ ৭০ হাজারের বেশি ইউক্রেনীয় নাগরিক দেশে ফিরে এসেছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
রাষ্ট্রীয় বর্ডার গার্ড সার্ভিসের বরাত দিয়ে জাতিসংঘের সাহায্য সমন্বয় অফিস ওসিএইচএ জানিয়েছে, প্রতিদিন ৩০ হাজার মানুষ ইউক্রেনে ফিরে আসছেন।
ওসিএইচএ বলছে, ‘এই পরিসংখ্যান ইঙ্গিত দেয় ইউক্রেনে প্রত্যাবাসন বাড়তে পারে। এর ফলে মানবিক সাড়াদানের ক্ষেত্রে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে। কেননা সম্প্রদায়ের সঙ্গে পুনরায় একীভূত হতে কিংবা তাদের বাড়ি ফেরা টেকসই না হলে উপযুক্ত হোস্ট সম্প্রদায় খুঁজে পেতে সহায়তার প্রয়োজন হবে।’
আরও পড়ুন: যুদ্ধজাহাজ ‘মস্কোভা’ ডুবে গেছে, স্বীকার করল রাশিয়া
ইউক্রেনের এক কোটি ২০ লাখ মানুষের সহযোগিতার প্রয়োজন। তাদের মধ্যে ২১ লাখ মানুষের কাছে মানবিক সহযোগিতা পৌঁছেছে। এছাড়া জাতিসংঘ ইউক্রেনের জন্য এক দশমিক এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের যে আবেদন করেছে তার মধ্যে ৬৪ শতাংশ অর্থায়ন হয়েছে।
এদিকে ওসিএইচএ আরও জানিয়েছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রায় দেড় লাখ শিশুসহ সাত লাখ ৮৩ হাজারের বেশি মানুষ ইউক্রেন থেকে রাশিয়ায় প্রবেশ করেছেন।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে চার দশমিক সাত মিলিয়নেরও বেশি মানুষ মানুষ ইউক্রেন ত্যাগ করেছেন এবং আরও সাত মিলিয়ন মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকায় বন্যায় ৩৪০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত
ভারী বর্ষণ ও বন্যায় ডারবানসহ দক্ষিণ আফ্রিকার পূর্ব কোয়াজুলু-নাটাল প্রদেশে কমপক্ষে ৩৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। পুরো পরিবারসহ অনেক লোক নিখোঁজ হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী দিনে আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
অবিরাম বর্ষণের ফলে অনেক ভবন ধসে পড়ে এবং প্রধান রাস্তগুলো ভেসে গিয়ে মারাত্মক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ইথেকউইনির মেয়র ম্যাক্সলোসি কাউন্ডা বলেছেন, ডারবান এবং আশেপাশের এলাকার ক্ষতি আনুমানিক ৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। কমপক্ষে ১২০টি স্কুল প্লাবিত হয়েছে, যার ফলে আনুমানিক ২৬ মিলিয়নেরও বেশি ক্ষতি হয়েছে।
এক বিবৃতিতে শিক্ষামন্ত্রী অ্যাঞ্জি মোতশেকগা জানিয়েছেন, বন্যায় বিভিন্ন স্কুলের অন্তত ১৮ জন শিক্ষার্থী ও একজন শিক্ষক মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: জিম্বাবুয়ে বাস দুর্ঘটনায় ৩২ জন নিহত
মোতশেকগা আর বলেছেন, ‘এটি একটি বিপর্যয় এবং এর ক্ষতি নজিরবিহীন। এর চেয়েও বড় উদ্বেগের বিষয় হল, ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোতে আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স উদ্ধার ও মপ-আপ অপারেশনে সহায়তার জন্য সেনা মোতায়েন করেছে। বন্যার কারণে ডারবান এবং আশেপাশের ইথেকউইনি মেট্রোপলিটন এলাকার অনেক অংশে পানি এবং বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কর্মকর্তাদের মতে, এই পরিষেবাগুলো পুনরুদ্ধার করতে কমপক্ষে এক সপ্তাহ সময় লাগবে।
বুধবার দেশটির প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি বন্যাকে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করার জন্য মন্ত্রিসভার একটি জরুরি বৈঠক ডেকেছেন, যাতে বন্যার ক্ষয়-ক্ষতি মোকাবিলা করার জন্য তহবিল নির্ধারণ করা যেতে পারে।
অন্যদিকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কর্মকর্তারা জানান, ডারবানের উত্তরে টোঙ্গাট এলাকার একটি খামার থেকে ১৪টি কুমির বন্যার পানিতে লোকালয়ে চলে গিয়েছিল। তবে পরবর্তীতে সেগুলোকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আল-আকসায় ইসরায়েলি পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, ১৫০ ফিলিস্তিনি আহত
যুদ্ধজাহাজ ‘মস্কোভা’ ডুবে গেছে, স্বীকার করল রাশিয়া
জিম্বাবুয়ে বাস দুর্ঘটনায় ৩২ জন নিহত
জিম্বাবুয়ে বাস দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৩২ জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় চিপিঙ্গের জোপা মার্কেটের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার সময় যাত্রীবাহী বাসটিতে জিওন খ্রিস্টান চার্চের সদস্যরা ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভারতে কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ৬ জনের মৃত্যু
রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম জেডবিসি শুক্রবার জানিয়েছে, এ দুর্ঘটনায় প্রায় ৪০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
আল-আকসায় ইসরায়েলি পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, ১৫০ ফিলিস্তিনি আহত
জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ইসরায়েলি পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ১৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি চিকিৎসকরা।
ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, আতশবাজি, পাথর ও অন্যান্য বস্তুর দ্বারা তারা আঘাতের শিকার হলে কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে প্রবেশ করেন।
এ ঘটনায় তিনজন ইসরায়েলি পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলেও দাবি করেন তারা।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর অভিযানে ২ ফিলিস্তিনি নিহত
আল-আকসা মসজিদটি মুসলমান ও ইহুদিদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মুসলমানদের কাছে এটি তৃতীয় পবিত্র স্থান এবং ইহুদিদের কাছে এটা টেম্পল মাউন্ট নামে পরিচিত।
ইসরায়েলে বেশ কয়েকটি মারাত্মক হামলা এবং এসব হামলার জেরে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি অভিযানে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি নিহতের পর ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর ফের হামলা
বৃহস্পতিবার তেল আবিবে এক ফিলিস্তিনির হাতে তিন ইসরায়েলি নিহত হওয়ার পর ইসরায়েলি অভিযানে এখন পর্যন্ত ২০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এদিকে গত দুই সপ্তাহে ইসরায়েলে আরব ও ফিলিস্তিনিদের চার হামলায় ১২ জন ইসরায়েলি নাগরিক এবং দুজন ইউক্রেনীয় নাগরিক নিহত হয়েছেন।