বিজ্ঞান-ও-প্রযুক্তি
স্মার্টফোনের দাম কমালো অপো
স্টাইলিশ স্মার্টফোন এফ১৯ প্রো এর দাম কমালো অপো। সবার সাধ্যের মধ্যে হ্যান্ডসেটের মূল্য রাখতে এফ১৯ প্রো দুই হাজার টাকা কমে এখন ২৬ হাজার ৯৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
রেনো গ্লো ইফেক্ট, ভুক ফ্ল্যাশ চার্জ, গেম ফোকাস মোড, ডুয়াল-ভিউ ভিডিও ও এআই কালার পোর্ট্রটে ভিডিও ফিচারসমৃদ্ধ মিড রেঞ্জের'র ফোন অপো এফ১৯ প্রো। অপোর অন্যান্য ফোনের মতো এর রয়েছে শক্তিশালী ক্যামেরা সেগমেন্ট। আছে পুরো কোয়াড ক্যামেরা সেট-আপ। ফোনটির এআই কালার পোর্ট্রটে ভিডিও মোড এর সাথে রয়েছে ডুয়েল ভিউ ভিডিও ফিচার। এর কালার পোর্ট্রেইট ভিডিও মূলত মনোক্রমে ব্যাকগ্রাউন্ড প্রদর্শনের সময় ন্যাচারাল কালারে সাবজেক্ট ম্যাটার ঠিক রাখে। আর এর ডুয়াল ভিউ ভিডিও এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে, এটি দিয়ে একসাথে উভয় পাশের ভিডিও করা যায়। কারণ এর ফ্রন্ট ফেসিং ও রিয়্যার ক্যামেরা একসঙ্গে কাজ করে। এর ক্যামেরাগুলোর মধ্যে চারটি রিয়ার ও একটি ফ্রন্ট ক্যামেরা। ৩২ মেগাপিক্সেলের পাঞ্চ হোল সেলফি-শুটার দিয়ে দারুণ সব সেলফি তোলা যাবে।
৬.৪৩ ইঞ্চি ডিজাইনের আল্ট্রা স্লিম ফোনটির ওজন মাত্র ১৭২ গ্রাম এবং পুরত্ব ৭.৮ মিলিমিটার। সুপার এমোলেড পাঞ্চ হোল ডিসপ্লে ফোনটির স্ক্রিন টু বডি রেশিও ৯০.৮ শতাংশ। তাই নিজের মতো করে এইচডি কোয়ালিটির ভিডিও কনটেন্ট উপভোগ করা যাবে।
অররও পড়ুন: স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে ১০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে হুয়াওয়ে
রিয়েলমি নিয়ে এল দ্রুত ম্যাগনেটিক ওয়্যারলেস চার্জিং সল্যুশন 'ম্যাগডার্ট’
মিডিয়া টেক হেলিও পি-৯৫ প্রসেসরের ফোনটিতে রয়েছে ৮ জিবি র্যাম এবং ১২৮ জিবি রম। হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার মিলে শক্তিশালী পারফরমেন্সের কারণে ব্যবহারকারী নির্বিঘ্নে যেকোনো গেম খেলতে পারবেন। ৪৩১০ এমএইচ ব্যাটারির ফোনটিতে রয়েছে ৩০ ওয়াট দ্রুত চার্জিং ভুক ফ্ল্যাশ চার্জার। যা দিয়ে মাত্র ৫ মিনিট চার্জে কথা বলা যাবে ৩.২ ঘণ্টা। ক্রিস্টাল সিলভার কালার এর সীমিত সংস্করণ ছাড়া ফোনটির আরও দুটি ভ্যারিয়েন্ট সারাদেশে অপোর সব আউটলেটে পাওয়া যাচ্ছে।
সারাদেশে কঠোর লকডাউন ও অপোর ফ্রি হোম ডেলিভারি সেবার মধ্যেই এই অফার চলমান রয়েছে। মহামারির মধ্যে অপো ভক্তদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে যা যা করা দরকার সবকিছু করার চেষ্টা করছে অপো। এছাড়াও লকডাউন শেষ হলে দেশের সকল অপো স্টোর থেকেও যে কেউ কিনতে পারবেন ফোনটি।
স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে ১০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে হুয়াওয়ে
স্টার্টআপ কোম্পানি ও সংস্থা সমূহের সহায়তায় ১০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে হুয়াওয়ে। সম্প্রতি সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ে একযোগে অনুষ্ঠিত হওয়া স্পার্ক ফাউন্ডার্স সামিটেরর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ পরিকল্পনার কথা জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে হুয়াওয়ে জানায়, এ বিনিয়োগটি হবে তাদের স্পার্ক প্রোগ্রামের মাধ্যমে, যার লক্ষ্য হবে আগামী তিন বছরে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে একটি টেকসই স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম তৈরি করা।
হুয়াওয়ে ২০২০ সাল থেকে সিঙ্গাপুরকে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রথম স্টার্টআপ হাব তৈরিতে সহায়তা করে আসছে এবং গত এক বছরে এ অঞ্চলের অনেক দেশেই এ কর্মসূচি সম্প্রসারণ করেছে।
সামিটে হুয়াওয়ে জানায়, তাদের এ কর্মসূচিটি ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা ও ভিয়েতনামে চারটি অতিরিক্ত স্টার্টআপ হাব গড়ে তোলার দিকে আলোকপাত করবে, যার লক্ষ্য হবে স্পার্ক এক্সিলারেটর প্রোগ্রামে মোট ১ হাজার স্টার্টআপ নিযুক্তকরণ করা, যার মধ্যে ১০০টি স্টার্টআপ হবে স্কেলআপ।
হুয়াওয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বোর্ড সদস্য ক্যাথরিন চেন সামাজিক অগ্রগতির জন্য স্টার্টআপের গুরুত্ব এবং স্টার্টআপের সহায়তায় হুয়াওয়ে কী করছে তা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা সবাই জানি স্টার্টআপ ও এসএমই কতোটা গুরুত্বপূর্ণ। এরা আমাদের যুগের উদ্ভাবক, পরিবর্তনকারী এবং পথিকৃৎ। বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ কর্মসংস্থানই এ প্রতিষ্ঠানগুলোতে, এরা দুই-তৃতীয়াংশ নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি করে এবং বৈশ্বিক জিডিপির প্রায় ৫০ শতাংশ এখান থেকেই আসে।’
পড়ুন: রিয়েলমি নিয়ে এল দ্রুত ম্যাগনেটিক ওয়্যারলেস চার্জিং সল্যুশন 'ম্যাগডার্ট’
ডিজিটাল দক্ষতা বিষয়ে ইউসিবির কর্মশালা
তিনি বলেন, ‘৩৪ বছর আগে হুয়াওয়ে ছিল মাত্র ৫ হাজার ডলারে নিবন্ধিত মূলধনের একটি স্টার্টআপ। সম্প্রতি, আমরা ভাবছি কীভাবে আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা ও রিসোর্স দিয়ে আরও স্টার্টআপের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তায় করতে পারি। এতে তারা ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে তৈরি হওয়া সুযোগগুলোকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জন এবং বিশ্বের জন্য আরও উদ্ভাবনী পণ্য ও সমাধান বিকাশে কাজ করতে পারবে।’
হুয়াওয়ের ক্লাউড বিজনেস ইউনিটের সিইও ঝ্যাং পিং'আন বলেন, ‘২০১৭ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে হুয়াওয়ে ক্লাউড বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতবর্ধনশীল ক্লাউড, এটি অগণিত স্টার্টআপের প্রবৃদ্ধিকে চালিত করেছে। গত বছর আমরা এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে স্পার্ক প্রোগ্রাম চালু করেছি। এ কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা স্থানীয় সরকার, নেতৃস্থানীয় ইনকিউবেটর, সুপরিচিত ভিসি ফার্ম এবং শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কাজ করে অনেক অঞ্চলে স্টার্টআপের জন্য সহায়তা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছি। এখন আমাদের কর্মসূচিতে ৪০টি স্টার্টআপ অংশগ্রহণ করছে।’
হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিকের প্রেসিডেন্ট জেফারি লিউ বলেন, ‘গত দুই দশক ধরে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতি অপরিবর্তিত রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘হুয়াওয়ের গ্লোবাল কাস্টমার বেস ও ফুল-স্ট্যাক টেকনোলজিকে কাজে লাগিয়ে স্পার্ক প্রোগ্রাম আগামী তিন বছরে এ অঞ্চলে ১০ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি বেশি বিনিয়োগ করবে এবং একটি টেকসই স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম নির্মাণে ও ডায়নামিক অঞ্চলের জন্য নতুন মান তৈরি করতে সামগ্রিক সহায়তা প্রদান করবে।’
অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে স্টার্টআপ সম্পর্কিত আরও তিনটি উদ্যোগ চালু করে। সেগুলো হলো: দ্য স্পার্ক ডেভেলপার প্রোগ্রাম, যার লক্ষ্য হলো এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে হুয়াওয়ে ক্লাউড দ্বারা চালিত একটি ডেভেলপার ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে সহায়তা করা, দ্য স্পার্ক পিটস্টপ প্রোগ্রাম, যা পণ্য উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে হুয়াওয়ে ক্লাউডে অনবোর্ড ও স্টার্টআপগুলোকে সহায়তার জন্য তৈরি করা হয়েছে এবং দ্য স্পার্ক ইনোভেশন প্রোগ্রাম (এসআইপি), যা স্পার্ক স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের মাধ্যমে এন্টারপ্রাইজ উদ্ভাবনকে সহজতর করতে সহায়তা করে।
পড়ুন: আস্থা অর্জনে অপোর ট্রাস্টিওর্দি ক্যাম্পেইন
স্পার্ক ফাউন্ডার্স সামিটে এশিয়ার স্বনামধন্য স্টার্টআপ, অ্যাকাডেমিয়া, বিভিন্ন খাত ও সরকার এবং মিডিয়ার প্রতিনিধিরা সহ ৫০ জনেরও বেশি আঞ্চলিক ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট এবং ৩০০টিরও বেশি স্টার্টআপের প্রতিষ্ঠাতারা উপস্থিত ছিলেন। এতে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের সামাজিক মূল্য এবং স্থানীয় কমিউনিটিতে অবদান রাখার ক্ষেত্রে এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে স্টার্টআপ কীভাবে প্রযুক্তিগত ও ইকোসিস্টেম উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করতে পারে সে ব্যপারে আলোচনা করা হয়েছে।
রিয়েলমি নিয়ে এল দ্রুত ম্যাগনেটিক ওয়্যারলেস চার্জিং সল্যুশন 'ম্যাগডার্ট’
সম্প্রতি স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি বাজারে এনেছে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের মধ্যে সর্বপ্রথম ম্যাগনেটিক ওয়্যারলেস চার্জিং সল্যুশন ‘ম্যাগডার্ট’। ম্যাগনেটিক ওয়্যারলেস চার্জিং, ইকোসিস্টেমে নেতৃত্ব দিতে ৩রা আগস্ট ম্যাগনেটিক ইনোভেশন ইভেন্টের মাধ্যমে বৈশ্বিক বাজারে সল্যুশনটি উন্মোচন করে রিয়েলমি। বিস্তারিত জানতে ক্লিকঃ https://cutt.ly/realme_MagDart_Launch
আরও পড়ুনঃ এখন বাংলাদেশেই তৈরি হচ্ছে রিয়েলমি সি২১
এ সল্যুশনে রয়েছে বিশ্বের দ্রুততম ৫০ ওয়াট ম্যাগনেটিক ওয়্যারলেস চার্জার, ম্যাগনেটিক ওয়্যারলেস চার্জিং সাপোর্টেড প্রথম অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন রিয়েলমি ফ্ল্যাশ ও অন্যান্য বেশ কিছু ম্যাগনেটিক চার্জিং পণ্য। ম্যাগডার্ট সল্যুশনটি ম্যাগনেটিক ওয়্যারলেস চার্জিংকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
রিয়েলমির প্রথম কনসেপ্ট ফোন ‘রিয়েলমি ফ্ল্যাশ’ এ রয়েছে ৪৫০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার আওয়ার ক্ষমতার ব্যাটারি। ম্যাগডার্ট ওয়্যারলেস চার্জিং এর ৫০ ওয়াট এর সাহায্যে এই ব্যাটারি মাত্র ৫ মিনিটে ০ থেকে ২০ শতাংশ এবং মাত্র ৫৪ মিনিটে সম্পূর্ণ চার্জ দেওয়া সম্ভব।
আরও পড়ুনঃ রিয়েলমির ‘৫জি একাডেমি’ চালু
৫০ ওয়াট ম্যাগডার্ট চার্জারে একটি সক্রিয় এয়ার কুলিং সিস্টেম রয়েছে, যা চার্জ দেওয়ার সময় তাপমাত্রা অনুকূলে রাখে এবং দীর্ঘ সময় উচ্চ স্তরে চার্জিং পাওয়ার বজায় রাখে। অন্যদিকে, ১৫ ওয়াট ম্যাগডার্ট চার্জারটি মাত্র ৩.৯ মিলিমিটার পুরু যা বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা ওয়্যারলেস ম্যাগনেটিক চার্জার; এটি তাপ উৎপাদন কমাতে ও দীর্ঘ হাই-পাওয়ার চার্জিং সময় প্রদানে সক্ষম।
রিয়েলমির এই ইনোভেশন ইভেন্টে ম্যাগডার্ট পাওয়ার ব্যাংক ও একটি বিশেষ চার্জিং বেসও উন্মোচন করা হয়েছে। একসঙ্গে এই দুটি স্মার্ট সল্যুশন ভার্টিক্যাল চার্জিং স্টেশন হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। চলতি পথে চার্জ দিতে চাইলে রিয়েলমির ম্যাগডার্ট পাওয়ার ব্যাংক স্মার্টফোনের সঙ্গে সংযুক্ত করে চার্জ দেয়া যাবে।
আরও পড়ুনঃ বাজারে এলো সাশ্রয়ী ৫জি স্মার্টফোন রিয়েলমি ৮ ৫জি
এছাড়া, ম্যাগডার্টের সঙ্গে অন্যান্য স্মার্ট সল্যুশনও লঞ্চ করা হয়েছে। পোর্ট্রেট ফটোগ্রাফির জন্য রয়েছে ম্যাগডার্ট বিউটি লাইট। সিনেমা দেখার সময় বা ভিডিও কল করার সময় ফোনকে ধরে রাখার জন্য ম্যাগডার্ট ওয়ালেটকে কিকস্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। রিয়েলমি জিটি ম্যাগডার্ট চার্জিং কেস; ম্যাগডার্ট টেকনোলজিতে রিয়েলমি জিটি-কে চার্জিং সমর্থন করবে।
প্রতিনিয়ত রিয়েলমি বিশ্বব্যাপী তরুণ ব্যবহারকারীদের জন্য লিপ-ফরওয়ার্ড প্রযুক্তি নিয়ে আসছে। তাই আগামী তিন বছরের মধ্যে তরুণ ব্যবহারকারীদের কাছে ১০ কোটি ফাইভ জি ফোন সরবরাহের লক্ষ্যে রিয়েলমি ৫জি পণ্যের এক বিস্তৃত পোর্টফলিও তৈরিতে কাজ করছে। রিয়েলমি তাদের উন্নত ‘১+৫+টি’ কৌশলের সঙ্গে এআইওটি ২.০ বিকাশের পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। এর ফলে সাশ্রয়ী মূল্যের ৫জি ফোন ছাড়াও রিয়েলমি আরও বেশি এআইওটি পণ্য তরুণ ক্রেতাদের জন্য বাজারে নিয়ে আসবে। ৫জি প্রযুক্তির অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে এবং সবার জন্য ৫জি নিশ্চিত করতে রিয়েলমি আগামী দিনে আরও অনেকগুলো স্মার্ট ডিভাইস বাজারে নিয়ে আসবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ডিজিটাল দক্ষতা বিষয়ে ইউসিবির কর্মশালা
বাংলাদেশে মোনাশ কলেজ অস্ট্রেলিয়ার একমাত্র অংশীদার ইউনিভার্সাল কলেজ বাংলাদেশ (ইউসিবি) শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় ডিজিটাল দক্ষতা প্রদানের লক্ষ্যে ‘ডিজিটাল স্কিলস ফর এ গ্রেট ক্যারিয়ার অ্যান্ড হায়ার এডুকেশন’ শীর্ষক একটি কর্মশালার আয়োজন করে।
দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ব্যাপক অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে কর্মশালাটি সম্পন্ন হয়েছে।
কর্মশালাটি পরিচালনা করেন মোনাশ কলেজ ডিপ্লোমার এডুকেশন স্ট্র্যাটেজি, লার্নিং অ্যান্ড টিচিংয়ের ম্যানেজার ড. শ্যানন রিওস।
তিনি ডিজিটাল জ্ঞান, উচ্চশিক্ষায় প্রত্যাশিত বিষয়সমূহ, মড্যুলার অবজেক্ট-ওরিয়েন্টেড ডায়নামিক লার্নিং এনভায়রনমেন্ট (মুডল), ও থ্রিডি প্রিন্টিং, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডিজাইনের মতো ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় ডিজিটাল দক্ষতাসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
পড়ুন: আস্থা অর্জনে অপোর ট্রাস্টিওর্দি ক্যাম্পেইন
অপোর ‘ফ্ল্যাশ চার্জ ওপেন ডে’ পালন
ফেসবুকে জানা যাবে নিকটস্থ টিকাকেন্দ্রের খোঁজ
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা তাদের অংশগ্রহণের জন্য মোনাশ কলেজ এবং ইউনিভার্সাল কলেজ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যৌথ সনদ লাভ করেন।
ইউসিবি মোনাশ কলেজ অস্ট্রেলিয়ার সাথে অংশীদারিত্ব করেছে, যাতে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা তাদের ও/এএস/এ লেভেল/এইচএসসি প্রথম বর্ষের পরপরই বিশ্বের শীর্ষ-১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকাভুক্ত (কিউএস ২০২১ র্যাঙ্কিং অনুযায়ী) মোনাশ ইউনিভার্সিটির ডিগ্রি অর্জনের ক্ষেত্রে তাদের যাত্রা শুরু করতে পারেন।
আস্থা অর্জনে অপোর ট্রাস্টিওর্দি ক্যাম্পেইন
বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ গ্রাহকের মন জয় করতে সম্প্রতি ট্রাস্টিওর্দি ক্যাম্পেইন শুরুর মাধ্যমে আস্থা অর্জনের প্রক্রিয়াকে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে গেছে অপো যা মানুষ দারুণভাবে গ্রহণ করেছে। ২০টির বেশি দেশ, অঞ্চলে চলছে এই ক্যাম্পেইন ।
এছাড়া তারা নিয়ে এসেছে একগুচ্ছ ডাটা সুরক্ষা সেবা যার মাধ্যমে মানুষ অনলাইন নিরাপত্তা সম্পর্কে নিশ্চিন্ত হতে পারে। বহুমুখী সেবা দিয়ে মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করাই ছিল এসব ক্যাম্পেইনের মূল উদ্দেশ্য।
আরও পড়ুনঃ অপোর ‘ফ্ল্যাশ চার্জ ওপেন ডে’ পালন
অপোর অন্যান্য গ্রাহক সেবার মধ্যে রয়েছে আউটসোর্সিংয়ের বদলে নিজস্ব সার্ভিস সেন্টার নির্মাণ। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৬০টির বেশি দেশে আড়াই হাজারের বেশি সার্ভিস সেন্টার খোলা হয়েছে এবং ২০২০ সাল থেকে একস্থানে সব ধরনের সেবা দিতে পরীক্ষামূলকভাবে ‘এক্সপেরিয়েন্স স্টোর’ চালু করেছে অপো । এসব সার্ভিস সেন্টারে গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে কঠোরভাবে মান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুনঃ অপোর ‘ট্রাস্টি রাস্টি’ ক্যাম্পেইন শুরু
তাছাড়া, এই পর্যন্ত অপো ৩৪টি ভাষায় হটলাইন সেবা দিয়ে আসছে। ব্যবহারকারী চাইলে যেকোন সময় এসব হটলাইনে ফোন দিয়ে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে ডিভাইস সম্পর্কিত সব ধরনের সেবা নিতে পারবেন যার উদ্দেশ্য গ্রাহককে সর্বোচ্চ বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করা। এর সঙ্গে রয়েছে আন্তর্জাতিক ওয়্যারেন্টি সেবা, ফেস-টু-ফেস রিপ্যায়ার এবং ওয়ান আওয়ার ফ্ল্যাশ ফিক্স সেবাও ।
এছাড়া, চলমান মহামারি বিবেচনায় অপো কন্টাক্ট-লেস সেবায় জোর দিচ্ছে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারী ঘরে বসে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা মাই অপো অ্যাপে ভিজিট করে স্পেয়ার পার্টস এর মূল্যসহ যাবতীয় তথ্যাদি জেনে ফোন মেরামত করাতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ অপো রেনো৫ ও এ১৫ এর দাম কমলো
এক তথ্যে দেখা গেছে, ২০২০ সালে ১০ কোটির বেশি অপো ব্যবহারকারী কন্টাক্ট-লেস সেবা গ্রহণ করেছে। আর গ্রাহকদের এসব ধরনের প্রশ্নের জবাব ও পণ্য, সেবা ও নীতি সম্পর্কে জানাতে অপো প্রতিষ্ঠা করেছে ‘নলেজ বেজ’।
অপোর ‘ফ্ল্যাশ চার্জ ওপেন ডে’ পালন
বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোনে ফ্ল্যাশ চার্জিংয়ের পথিকৃত অপো সম্প্রতি পালন করেছে ‘ফ্ল্যাশ চার্জ ওপেন ডে’। ‘ফ্ল্যাশ চার্জের পর কি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিবসটি পালিত হয়। সেখানে ফ্ল্যাশ চার্জ প্রযুক্তির সর্বশেষ নানা অগ্রগতির কথা তুলে ধরে অপো।
অপো ভুক ফ্ল্যাশ চার্জের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জেফ ঝাং এই প্রযুক্তি সম্পর্কে বলেন, অপো চার্জিং অ্যাডাপটর, ক্যাবল, পিএমআইসি, ব্যাটারিসহ পুরো দ্রুত চার্জিং পদ্ধতিতে একটা পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। তারবিহীন বা তারযুক্ত মানুষ যে চার্জিং পছন্দ করুক না কেন ভুক ফ্ল্যাশ চার্জ প্রযুক্তি মানুষের সব ধরনের চাহিদা মেটাতে সক্ষম। আর সেটা যেকোন কঠিন পরিস্থিতিই হোক না কেন।
আরও পড়ুনঃ অপোর ‘ট্রাস্টি রাস্টি’ ক্যাম্পেইন শুরু
ভুক ফ্ল্যাশ চার্জ প্রযুক্তিতে পাঁচস্তর বিশিষ্ট সুরক্ষিত নিরাপত্তা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। ভবিষ্যতে কিভাবে ফ্ল্যাশ চার্জিংয়ে এআই অ্যালগরিদম, চার্জিং আর্কিটেকচার এবং অন্যান্য বিষয় সংযুক্ত করা যায় সেটা নিয়ে অপো কাজ করছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তূপক্ষ।
আরও পড়ুনঃ এআই ক্যাটাগরিতে ১২টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার জিতল অপো
একটি স্মার্ট চার্জিং প্রযুক্তির উপর ব্যাটারির পারফরমেন্স বিশেষ করে এর আয়ুষ্কাল (১৫০০ বার চার্জ সাইকেল ব্যবহার করার পরও ৮০ ভাগ সক্ষমতা অটুট থাকে) এবং এটি চার্জিং গতি ও ফোনের তাপমাত্রার মধ্যে সামঞ্জস্য রক্ষা করে। তবে চার্জিং গতি অনেকটাই বাড়ানো যায় বিশেষ পরিবেশ-পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। ৬৫ ওয়াটের সুপার ভুক চার্জিংয়ের ক্ষেত্রে ২০ ভাগ পর্যন্ত চার্জিং গতি বাড়ানো সম্ভব এবং মাত্র ৩০ মিনিটে ৪৫০০ এমএইচ ব্যাটারি পরিপূর্ণ চার্জ হয়। প্রচন্ড শীতের মতো বৈরি পরিবেশে অপোর ফ্ল্যাশ চার্জ প্রযুক্তি স্মার্ট অলগরিদম ব্যবহার করে চার্জিংয়ের আগে তাপমাত্রা বাড়িয়ে নিতে সক্ষম।
আরও পড়ুনঃ অপো রেনো৫ ও এ১৫ এর দাম কমলো
পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে যে, এ প্রযুক্তি মাত্র কয়েক সেকেন্ডে মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে তাপমাত্রা বাড়িয়ে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নিয়ে আসতে পারে। তারপর স্বাভাবিকের মতো চার্জ হতে পারে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ভুক ফ্ল্যাশ চার্জ যাত্রা শুরুর পর থেকেই নিরাপত্তা, দক্ষতা ও ব্যবহার উপযোগীতা এই তিনটি বিষয় সর্বাধিক গুরুত্ব পেয়েছে ব্যাটারি ও চার্জিং প্রযুক্তি নিয়ে অপোর গবেষণা ও উন্নয়নে।
ফেসবুকে জানা যাবে নিকটস্থ টিকাকেন্দ্রের খোঁজ
বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাথে যৌথভাবে দেশে ভ্যাকসিন ফাইন্ডার চালু করেছে ফেসবুক। নতুন এই টুলটির মাধ্যমে বাংলাদেশিরা জানতে পারবেন কারা টিকা নিতে পারেন। একই সাথে টুলটি নিকটস্থ টিকাদান কেন্দ্র খুঁজে পেতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: টিকা নিয়ে ফেসবুকে ‘সুখবর’ দিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ফেসবুক জানায়, স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি, মানুষকে কোভিড-সম্পর্কিত তথ্য পেতে সাহায্য করা ও দেশে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা করার জন্য ফেসবুকের সামগ্রিক প্রকল্পের একটি অংশ এই ভ্যাকসিন ফাইন্ডার টুল। ফেসবুক নিউজ ফিডে এই টুলটি প্রয়োজনীয় তথ্যের সাথে মানুষকে যুক্ত করে। কারা টিকা নিতে পারবে, কোথায় টিকা দেয়া যাবে এবং টিকার জন্য নিবন্ধন প্রক্রিয়া কী - এই সকল তথ্য টুলে দেয়া আছে। ফেসবুকের কোভিড-১৯ তথ্যকেন্দ্রে ইংরেজির পাশাপাশি বাংলাতেও ভ্যাকসিন ফাইন্ডার টুলটি পাওয়া যাবে।
পৃথিবীজুড়ে টিকাদান কার্যক্রমে সহায়তা এবং নিরাপদ স্বাস্থ্যবিধি পালনে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কোভিড-১৯ তথ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে ফেসবুক বিশ্বজুড়ে ২০০ কোটিরও বেশি মানুষকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দেয়া তথ্যের সাথে যুক্ত করেছে। পাশাপাশি কোভিড-১৯ ও অনুমোদিত টিকা সম্পর্কিত ১ কোটি ৮০ লাখেও বেশি ভুল তথ্য সরিয়ে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা বিষয়ে সচেতনতা ও টিকাদানে সহায়তা করবে ফেসবুক
মহামারি চলাকালীন স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে ও মানুষকে সর্বশেষ তথ্যের সাথে সংযুক্ত করতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিশেষজ্ঞদের সাথে কাজ করছে ফেসবুক। এ পর্যন্ত ১ কোটিরও বেশি বাংলাদেশি ফেসবুকের ব্লাড ডোনেশনস টুল ব্যবহার করে সাইন আপ করেছেন যেন তারা দেশে রক্তের সঙ্কট কমিয়ে আনার প্রচেষ্টায় ভূমিকা রাখতে পারেন।
লঞ্চ হলো ত্রিমাত্রিক ভেগান লেদার প্রযুক্তির রিয়েলমি জিটি মাস্টার এডিশন
চীনে জিটি মাস্টার এডিশন সিরিজ লঞ্চ করেছে স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি। জাপানের বিখ্যাত ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইনার নাওতো ফুকাসাওয়া’র ডিজাইন করা রিয়েলমি জিটি মাস্টার এডিশন এই বছরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ডিজাইনের ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন সিরিজ। এর মাধ্যমে রিয়েলমি ইন্ডাস্ট্রিতে প্রথমবারের মতো ত্রিমাত্রিক ভেগান লেদার প্রযুক্তির প্রচলন করলো।
দুর্দান্ত পারফরমেন্স ও ট্রেন্ডসেটিং ডিজাইনের রিয়েলমি জিটি, রিয়েলমির ফ্ল্যাগশিপ সিরিজ। এ সিরিজটি খুব শিগগিরই গ্লোবাল লঞ্চ করা হবে।
আরও পড়ুনঃ এখন বাংলাদেশেই তৈরি হচ্ছে রিয়েলমি সি২১
রিয়েলমি জিটি মাস্টার এডিশন সিরিজের ব্যাকশেলে ট্র্যাভেল স্যুটকেসের মত দুর্দান্ত আউটলুক দেয়া হয়েছে এবং স্মার্টফোন ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে সর্বপ্রথম ত্রিমাত্রিক ভেগান লেদার ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
রিয়েলমি জিটি মাস্টার এডিশন সিরিজের দুটি স্মার্টফোন রয়েছে। এর মধ্যে রিয়েলমি জিটি মাস্টার এডিশন স্মার্টফোনে রয়েছে স্ন্যাপড্রাগন ৭৭৮জি ফাইভ জি প্রসেসর, ৬৪ মেগাপিক্সেল মেইন সেন্সর, ৮ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা-ওয়াইড-এঙ্গেল লেন্স এবং একটি ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট পোর্ট্রেট লেন্স সম্বলিত ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপ।
আরও পড়ুনঃ রিয়েলমির '৫জি একাডেমি’ চালু
অন্যদিকে, রিয়েলমি জিটি এক্সপ্লোরার মাস্টার এডিশনে রয়েছে স্ন্যাপড্রাগন ৮৭০ ৫জি প্রসেসর, ৫০ মেগাপিক্সেল সনি আইএমএক্স৭৬৬ ওআইএস ক্যামেরা, ১৬ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা-ওয়াইড-এঙ্গেল লেন্স ও একটি ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট পোর্ট্রেট লেন্স সম্বলিত ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপ।
পাশাপাশি, দুটি স্মার্টফোনেই রয়েছে ১২০ হার্টজ অ্যামোলেড ডিসপ্লে, স্টেইনলেস-স্টিল লিকুইড কুলিং প্রযুক্তি এবং ৬৫ ওয়াট সুপার ডার্ট চার্জিং টেকনোলজি।
আরও পড়ুনঃ বাজারে এলো সাশ্রয়ী ৫জি স্মার্টফোন রিয়েলমি৮ ৫জি
প্রত্যেকের জন্য ফাইভ জি প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে রিয়েলমি স্থানীয় বাজারে সবচেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যের ফাইভ জি স্মার্টফোন নিয়ে আসতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রান্তিক পর্যায়ে ডিজিটাল কানেক্টিভিটি বাড়ানোর আহ্বান বিশেষজ্ঞদের
এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে দারিদ্র্য দূরীকরণে প্রান্তিক পর্যায়ে ডিজিটাল কানেক্টিভিটি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি, ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস ও হুয়াওয়ের আয়োজিত ‘স্ট্র্যাটেজি ফর অ্যাড্রেসিং দ্য এশিয়া প্যাসিফিক ডিজিটাল ড্রাইভ-ইনক্রিজিং কানেক্টিভিটি টু ড্রাইভ ইকোনোমি রিকোভারি’ শীর্ষক সেমিনারে এ আহ্বান জানান তারা।
গ্রামীণ অঞ্চলে ইন্টারনেট সংযোগের খরচ কমাতে ও ডিজিটাল শিক্ষার বিকাশে সকল খাতের অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা প্রয়োজন; যা বৈশ্বিক মহামারিকালীন সময়ে ডিজিটাল বৈষম্য হ্রাসে ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুনঃ থাইল্যান্ডে ‘প্রাইম মিনিস্টার অ্যাওয়ার্ড’ পেলো হুয়াওয়ে
হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিকের চিফ ডিজিটাল অফিসার মাইকেল ম্যাকডোনাল্ড বলেন, ‘এটা শুরুই হবে যারা এখনও ডিজিটাল মাধ্যমে সংযুক্ত নয়, তাদের সংযুক্ত করার মাধ্যমে।’
তিনি এ অঞ্চলে ডিজিটাল বৈষম্য কমাতে তিনটি প্রধান স্তম্ভকে একত্রিত করে হুয়াওয়ের এজেন্ডা তুলে ধরেছেন। সেগুলো হলোআইসিটি সংযোগ, দক্ষতার প্রয়োজনীয়তা ও সবুজ প্রযুক্তি।
সাংহাই জিয়াও টং বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্টাই কলেজ অব ইকোনমিকস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের অধ্যাপক ইয়িন হাইতাও এর বক্তব্যেও ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির গুরুত্ব উঠে এসেছে। সম্প্রতি, তার অর্থনৈতিক বিকাশ এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে আইসিটি সমাধান ব্যবহারের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রফেসর ইন ও কর্নেল ইউনিভার্সিটির স্যামুয়েল সি জনসন কলেজ অব বিজনেসের প্রফেসর ক্রিস মারকুইস ‘ডিজিটাল ইনভলবমেন্ট অ্যান্ড প্রোভার্টি অ্যালেভিয়েশন: এ হুয়াওয়ে অ্যাপ্রোচ’ শীর্ষক প্রতিবেদনটির সহ-রচয়িতা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুরালস্টার প্রোগ্রামের লক্ষ্য উদ্ভাবনের মাধ্যমে আইসিটি ব্যয় হ্রাস করা, যাতে স্থানীয় ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলো প্রত্যন্ত ও গ্রামীণ অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে টেকসই ডিজিটাল সংযোগ সেবা সরবরাহ করতে সক্ষম হন।
অনুন্নত অঞ্চলে পৌঁছাতে ও ডিজিটাল কভারেজ উন্নত করতে হুয়াওয়ে ২০১৭ সাল থেকে থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়াসহ বিশ্বব্যাপী স্থানীয় অপারেটরদের সাথে রুরালস্টার প্রোগ্রাম শুরু করে। এ সমাধানটি আগের টাওয়ারগুলোর পরিবর্তে সাধারণ টাওয়ার প্রতিস্থাপন করে এবং ডিজেল জেনারেটর শক্তি থেকে সৌরবিদ্যুতে স্থানান্তরিত করে। ২০২০ সালের মধ্যে, ৬০টিরও বেশি দেশে রুরালস্টার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছিল এবং ৫ কোটি মানুষ এই উদ্যোগ থেকে উপকৃত হয়েছে।
ডিজিটাল বৈষম্যের অন্যতম মূল কারণ আইসিটি সংশ্লিষ্ট প্রতিভার সঙ্কট। ডিজিটাল অবকাঠামো ব্যবহারের সুযোগ সম্পর্কে হুয়াওয়ের কৌশলের সাথে সহমত হওয়া ছাড়াও শ্রম আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ বিষয়ে সিঙ্গাপুর ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি অ্যান্ড ডিজাইনের (এসইউটিডি) লি কুয়ান ইইউ সেন্টার ফর ইনোভেটিভ সিটির পরিচালক পুন কিং ওয়াং মানুষের দক্ষতা বৃদ্ধিতে ও সময়পোযোগী করতে দীর্ঘমেয়াদী কৌশল ও টেকসই সহযোগিতা এবং ডিজিটাল রূপান্তরে শ্রমিকদের সুস্থতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন বক্তারা ।
এশিয়া ফাউন্ডেশনের ইকোনোমিক প্রোগ্রামের পরিচালক সোফিয়া শাকিল নারী বেকারত্বের ওপর মহামারির নেতিবাচক প্রভাব এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে বক্তব্য রেখেছেন।
২০১৭ সালে হুয়াওয়ে, বাংলাদেশ সরকার (আইসিটি বিভাগ) ও রবি আজিয়াটা যৌথভাবে দেশের গ্রামীণ পর্যায়ের কেন্দ্রে নারীদের ডিজিটাল দক্ষতা বৃদ্ধিতে ডিজিটাল ট্রেনিং বাস প্রকল্প চালু করে। এখন পর্যন্ত ৬০ হাজারেরও বেশি নারী এখান থেকে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন এবং ২০২৩ সালের মধ্যে আরও ১ লাখ ৬০ হাজার জন এর থেকে উপকৃত হবেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
মাইকেল ম্যাকডোনাল্ডের মতে, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে আসন্ন শ্রম ঘাটতি কমিয়ে আনার জন্য হুয়াওয়ের শিক্ষা বিষয়ক ফ্ল্যাগশিপ কর্মসূচির মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরে আরও ৪ লাখ ডিজিটাল দক্ষ ব্যক্তি তৈরি হবে হবে আশা করা যায়। এমন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সিডস ফর দ্য ফিউচার, আসিয়ান অ্যাকাডেমি ইত্যাদি।
সেমিনারে বিভিন্ন খাতের বিশেষজ্ঞরা ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির জন্য সরকার, সংশ্লিষ্ট খাত, তৃতীয় পক্ষের চিন্তাশীল নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণ নিশ্চিতের মাধ্যমে একসাথে ইকোসিস্টেম তৈরির বিষয়ে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।
স্যামসাং ঈদুল আজহার বিশেষ ক্যাম্পেইন বিজয়ীদের নাম ঘোষণা
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে চলমান স্যামসাং বাংলাদেশের বিশেষ ক্যাম্পেইনের প্রথম ব্যাচের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
এই পাঁচজন বিজয়ীরা হলেন- মাসুদ রানা শিকদার, রবিউল ইসলাম, ঈশা হাবিব, মো. বাবুলুর রহমান এবং আজিজ সাঈদ সালমান। এই ঈদ ক্যাম্পেইনের অধীনে, বিজয়ীরা স্যামসাং পণ্য কিনে ইতোমধ্যেই আকর্ষণীয় পুরস্কার জিতে নিয়েছেন এবং এ ব্যাপারে তাদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুনঃ ঈদে স্যামসাংয়ের ‘বিগ অফার ঈদ জমবে এবার’
এ ব্যাপারে বিজয়ী ব্যবসায়ী মাসুদ রানা শিকদার বলেন, ‘হঠাৎ এমন উপহার পেতে সবসময়ই ভালো লাগে।’ তিনি স্যামসাং এস২১ আল্ট্রা কিনে জিতে নিয়েছেন একটি স্যামসাং এস২১+ হ্যান্ডসেট। তিনি আরও বলেন, ‘এই অসাধারণ উপহারের জন্য স্যামসাং বাংলাদেশকে অসংখ্য ধন্যবাদ।’
আরেক বিজয়ী চাকরিজীবী রবিউল ইসলামও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি একটি স্যামসাং এস২১ আল্ট্রা হ্যান্ডসেট কিনে স্যামসাং বাডস প্রো ব্লুটুথ ইয়ারবাডস পেয়েছি। এখন এই অসাধারণ ইয়ারবাডের সাথে আমি আমার ফ্ল্যাগশিপ ফোনটি আরও ভালভাবে উপভোগ করতে পারবো।’
আরও পড়ুনঃ সকল পণ্যে ওয়ারেন্টির মেয়াদ বাড়াল স্যামসাং
ঈশা হাবিব, মো. বাবুলুর রহমান এবং আজিজ সাঈদ সালমান স্যামসাং এস২১ আল্ট্রা ও স্যামসাং এস২১ আল্ট্রা ফাইভজি কিনে প্রত্যেকে জিতে নিয়েছেন স্যামসাং এস২১+ স্মার্টফোন।
স্যামসাং বাংলাদেশ ঈদুল আযহা ক্যাম্পেইনের অধীনে ক্রেতারা গ্যালাক্সি এম০১ কোর, গ্যালাক্সি এম০২, গ্যালাক্সি এম০২এস ও গ্যালাক্সি এম১২ স্মার্টফোনগুলো কিনলে পাবেন কমপক্ষে ১ হাজার টাকার ক্যাশব্যাক। এছাড়াও, গ্যালাক্সি এম২১ কিনলে পাবেন কমপক্ষে ২ হাজার টাকা ক্যাশব্যাক এবং প্রমোশনাল অফারে গ্যালাক্সি এম৩১ স্মার্টফোন কিনলে সাথে থাকছে ৪ হাজার টাকার আকর্ষণীয় ছাড়।
আরও পড়ুনঃ স্যামসাং বাজারে নিয়ে এলো গ্যালাক্সি এ১২
শুধু তাই নয়, গ্যালাক্সি নোট ১০ লাইট স্মার্টফোনের সাথে ক্রেতারা পাবেন কমপক্ষে ৫ হাজার টাকা ক্যাশব্যাক। আরও থাকছে স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৩২ স্মার্টফোন কেনার পরে ৬ মাসের সহজ কিস্তিতে মূল্য পরিশোধের সুবিধা। ক্রেতারা গ্যালাক্সি এস২১ আল্ট্রা ফাইভজি কিনলে, জিতে নিতে পারবেন বাডস প্রো, এস২১ প্লাস অথবা তাৎক্ষণিক ২৫ হাজার টাকার ক্যাশব্যাক।
এছাড়াও, ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে, একটি গ্র্যান্ড ইনভাইট অফারে ক্রেতাদের জন্য লটারির মাধ্যমে ফ্রিজ, টেলিভিশন, এছাড়া কন্ডিশনার বা ওয়াশিং মেশিন জিতে নেয়ার সুযোগ থাকছে।
উল্লেখ্য পুরো জুলাই মাসজুড়েই চলবে এ ক্যাম্পেইন।