জীবনধারা
দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি চলছে মাগুরায়
শরৎমানেই শারদীয় দুর্গোৎসবের বার্তা। শারদীয় দুর্গাপূজার আর মাত্র ১৪ দিন বাকি। আশ্বিনে আসছেন দেবী দুর্গা।
আগামী ১ অক্টোবর ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা শুরু হবে। ০৫ অক্টোবর দশমীর মধ্যদিয়ে শেষ হবে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। আসন্ন দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে মাগুরায় বিভিন্ন মন্দিরে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা।
আরও পড়ুন: পহেলা বৈশাখের মতো দুর্গাপূজাও সবার উৎসব: শিক্ষামন্ত্রী
সরেজমিনে দেখা গেছে , কেউ মাটি আনছেন, কেউবা মূল কাঠামো তৈরি করছেন, কেই আবার তুলি দিয়ে নকশা করতে ব্যস্ত। দেখে মনে হচ্ছে দম ফেলার ফুরসত নেই তাদের।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজায় পূজা মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা বাধ্যতামূলক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
শিল্পীরা বলেন, বাপ দাদার পেশার এখন তিনিই উত্তরসূরী। দুর্গাপূজার দুই মাস আগ থেকেই নাওয়া-খাওয়ার সময় থাকে না। তবে অন্যবারের তুলনায় এবার প্রতিমার অর্ডার অনেক বেশি। কাজের চাপও বেশি। অন্যবার করোনার কারণে কম মন্দিরে পূজা হয়েছে। কিন্তু এবার প্রত্যেকটা মন্দিরে দুর্গাপূজা হচ্ছে যার ফলে কাজের চাপও বেড়েছে।
পাশাপাশি প্রতিমা তৈরির কাজ ৭০ শতাংশ হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিমা তৈরির শিল্পীরা।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে ৪১ মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু
মাগুরা জেলার পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাশুদেব কুন্ডু জানান, এবার জেলার ৩৬টি ইউনিয়নে ১৬২টি পূজা মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
অ্যান্টিবায়োটিক-এর অপপ্রয়োগ: কেন অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ করছে না?
১৯২৮ সালে আলেকজান্ডার ফ্লেমিং-এর পেনিসিলিন আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে পৃথিবীতে আবির্ভূত হয় অ্যান্টিবায়োটিক। গিণিপিগ হিসেবে পশুর উপর সর্বপ্রথম অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ শুরু হয় ১৯৮০-এর দশকে। অ্যান্টিবায়োটিকগুলো ক্যান্সারের চিকিৎসা, অঙ্গ প্রতিস্থাপন এবং অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে বড় অগ্রগতির পথ প্রশস্ত করেছে, যা ওষুধ শিল্পে অভাবনীয় পরিবর্তন এনেছে। কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিকের অপপ্রয়োগ এবং কার্যকারিতা হ্রাস পাওয়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটছে।
ভুল সময়ে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার রোগাক্রান্ত অবস্থার আরো অবনতি ঘটায়। প্রেসক্রিপশন ছাড়া রোগীদের অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ তো আছেই, কোন কোন ক্ষেত্রে অনেক ডাক্তারও ছোট ছোট ক্ষেত্রে শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক নেয়ার পরামর্শ দেয়। মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে অ্যান্টিবায়োটিকটি এক সময় কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে। চলুন, অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ না করার সাথে অ্যান্টিবায়োটিক-এর অপপ্রয়োগের সম্পর্কটি নিরূপণ করা যাক।
বিশ্বজুড়ে অ্যান্টিবায়োটিক-এর অপপ্রয়োগ
শিশুদের আপাত ভাইরাল শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা প্রায়ই অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ প্রধানত ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট হওয়া সত্ত্বেও, ৭৫ শতাংশ ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। শিশুদের কানে টিউবযুক্ত সমস্যায় কানে অ্যান্টিবায়োটিক ইয়ারড্রপ না দিয়ে মুখে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানোহয়। এতে অবাঞ্ছিত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। সাঁতারুদের কানে অ্যান্টিবায়োটিক ইয়ারড্রপ দিয়ে চিকিৎসা করা উচিত, মুখে অ্যান্টিবায়োটিক খাইয়ে নয়।
পড়ুন: তীব্র গরমে হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে করণীয়
মানসম্মত নির্দেশিকা ছাড়া অনেক দেশে এমনকি উন্নত বিশ্বেও প্রায়শই স্বাস্থ্যকর্মী এবং চিকিৎসকরা জনসাধারণকে অ্যান্টিবায়োটিক নেয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
চিকিৎসা ছাড়াই সমাধানযোগ্য সাইনোসাইটিস-এর সমস্যার ক্ষেত্রেও অ্যান্টিবায়োটিক নিতে বলা হয়। প্রায়ই রোগীর ব্যাকটেরিয়াজনিত কনজাংটিভাইটিস আছে কিনা তা নিশ্চিত না হয়েই অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়। বয়স্ক ব্যক্তিদের প্রস্রাবে ব্যাকটেরিয়া থাকে যা নিয়মিত প্রস্রাব পরীক্ষায় সনাক্ত করা হয়। এখানে ব্যক্তির মূত্রনালীর সংক্রমণের লক্ষণ না থাকলেও অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে ধাবিত করা হয়। মুখ দিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ একজিমার চিকিৎসা নয়। শুষ্ক ত্বক বা অন্যান্য উপসর্গের চিকিৎসায় লোশন ব্যবহার করা যেতে পারে।
অস্ত্রোপচারের ক্ষতগুলো সারানোর জন্য নন-অ্যান্টিবায়োটিক মলম বা কোনও মলমের চেয়ে ভালো কাজ না করলেও টপিক্যাল অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়।
পড়ুন: উচ্চ রক্তচাপ (হাই প্রেশার) হলে যা এড়িয়ে চলা উচিত: ক্ষতিকর খাবার, পানীয়, অভ্যাস
অ্যান্টিবায়োটিক-এর অপপ্রয়োগের কুফল
যখন প্রথম সারির অ্যান্টিবায়োটিক দ্বারা সংক্রমণের চিকিৎসা করা যায় না, তখন আরও ব্যয়বহুল ওষুধ ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে। এতে অসুস্থতা এবং চিকিৎসার দীর্ঘ সময়কাল প্রায়ই হাসপাতালটিতে চিকিৎসা খরচ বাড়ায়; সেইসাথে পরিবার এবং সমাজের উপর আর্থিক বোঝা গেড়ে বসে। কখনো কখনো এর কারণে মৃত্যুর আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে অ্যান্টিবায়োটিক কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলায় সমূহ ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হয়। অঙ্গ প্রতিস্থাপন, কেমোথেরাপি এবং সিজারিয়ানের মত অস্ত্রোপচারগুলো অনেক বেশি বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। এন্টিবায়োটিকগুলো কম কার্যকর হওয়ার কারণে সংক্রমণের ক্রমবর্ধমান তালিকা - যেমন নিউমোনিয়া, যক্ষ্মা, রক্তে বিষক্রিয়া, গনোরিয়া এবং খাদ্যজনিত রোগের চিকিৎসা করা কঠিন এবং কখনও কখনও অসম্ভব হয়ে উঠছে।
যে কোনো ধরনের অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতি আগে থেকেই অ্যালার্জি থাকলে, সেই রোগীদের অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া যাবে না। অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়াগুলোর মধ্যে ত্বকের ফুসকুড়ির মতো উপসর্গগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকে, যাকে অ্যানাফিল্যাক্সিস বলা হয়। এই রোগে শ্বাস নিতে অসুবিধা হতে পারে এবং ঠোঁট বা জিহ্বা এবং মুখ ফুলে যেতে পারে।
পড়ুন: ডায়রিয়া বা উদরাময়: কারণ, লক্ষণ, প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উপায়
অ্যান্টিবায়োটিক-এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া স্বরূপ পেট খারাপ বা ফুসকুড়ির মতো হালকা উপসর্গ থেকে শুরু করে মারাত্মক অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া, কিডনির আঘাত এবং লিভারের ক্ষতি পর্যন্ত হতে পারে।
অ্যান্টিবায়োটিক কাজ না করার কারণ: অ্যান্টিবায়োটিক নিরোধক
অ্যান্টিবায়োটিক নিরোধক হল সেই অবস্থা, যখন ব্যাকটেরিয়াকে তাকে ধ্বংস করার জন্য ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে আর ধ্বংস করা যায় না। অ্যান্টিবায়োটিকের অতিরিক্ত ব্যবহার এবং অপব্যবহারের ফলাফল-ই হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক নিরোধক।
অ্যান্টিবায়োটিকগুলো ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত ওষুধ। অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ তখনি ঘটে যখন ব্যাকটেরিয়া এই ওষুধগুলো ব্যবহারের প্রতিক্রিয়াতে আর সাড়া দিতে পারে না। আর এই সময়টি হলো যখন অ্যান্টিবায়োটিক অত্যধিক হারে ব্যবহার করা হয়।
পড়ুন: হঠাৎ প্রেসার কমে গেলে করণীয়
যতবারই একটি নতুন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রবর্তিত হয়, তার সাথে সাথে ঔষধের প্রতিরোধী হিসেবে অ্যান্টিবায়োটিকও আসে। পেনিসিলিনের প্রথম ক্লিনিকাল ট্রায়ালের এক দশকের মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক নিরোধকের আবির্ভাব ঘটে। অতঃপর এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতেই থাকে।
শেষাংশ
অ্যান্টিবায়োটিক-এর অপপ্রয়োগ সমগ্র জাতিকে ঠেলে দিচ্ছে এক পোস্ট-অ্যান্টিবায়োটিক যুগের দিকে, যেখানে ছোটখাটো আঘাতই মৃত্যু ঘটাতে পারে। চিকিৎসকদের অপর্যাপ্ত পেশাদার দক্ষতা অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের সাথে সম্পর্কিত জটিলতাগুলোকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে। প্রেসক্রিপশন বা রোগ নির্ণয় ছাড়াই শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিকের সহজলভ্যতা এবং উচ্চ কার্যকারিতা অত্যধিক ব্যবহার বিশেষ করে অপব্যবহারের দিকে পরিচালিত করছে। তাই এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের নিমিত্তে শিগগিরই অ্যান্টিবায়োটিক নিরোধকের ব্যাপকতা রুখতে হবে। আর তার জন্য প্রয়োজন অ্যান্টিবায়োটিকের অপপ্রয়োগ স্থায়ীভাবে বন্ধ করা।
পড়ুন: টেক্সট নেক সিন্ড্রোম: অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলাফল
আজ মধু পূর্ণিমা: খাগড়াছড়ির বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে উৎসব পালন
আজ মধু পূর্ণিমা। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে মধু পূর্ণিমা একটি। ভাদ্র মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এ উৎসবটি উদযাপন করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রবারণা পূর্ণিমা: পাহাড়ে সম্প্রীতির কল্প জাহাজ ভাসলো
এই উপলক্ষ্যে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ ধর্মালবম্বীদের মধু পূর্ণিমা পালন করা হচ্ছে। মধু পূর্ণিমা উপলক্ষে বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: আজ পবিত্র বুদ্ধ পূর্ণিমা
শুক্রবার সকালে পঞ্চশীল, অষ্টশীল গ্রহন, বুদ্ধপুজা, ফুলপুজা, বুদ্ধ মুর্তি দান, অষ্ট পরিস্কার দান, সংঘদান, মধুদান, বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পিন্ডসহ নানাবিধ দান করা হয়।
ভারতের মেডিকেল ভিসা: আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ভিসা প্রসেসিং ফি
স্বাস্থ্যসেবার দিক থেকে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে প্রসিদ্ধ দেশ হওয়ায় ভারতের মেডিকেল ভিসা বাংলাদেশিদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি নথি। ২০২১ সালের হিসাব অনুযায়ী, দেশটির স্বাস্থ্যসেবা খাতে প্রায় ৪৭০ লক্ষাধিক লোক নিয়োগ করা হয়েছিলো, যা খাতটিকে দেশের সর্বোচ্চ নিয়োগকারি খাতে পরিণত করেছিল।
এক নজরে ভারতীয় পর্যটন পরিসংখ্যান-২০২০ সালের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে প্রায় ছয় লাখ ৯৭ হাজার ৩০০ বিদেশি পর্যটক ভারতে চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন। বিশ্বব্যাপী মেডিকেল ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচিত ৪৬টি গন্তব্যের মধ্যে ২০২০-২০২১ মেডিকেল ট্যুরিজম ইনডেক্স (এমটিআই)-এ ভারত দশম স্থানে রয়েছে। ভারতের মেডিকেল ভিসার আদ্যোপান্ত নিয়েই আজকের নিবন্ধ।
আরও পড়ুন: ভারতের টুরিস্ট ভিসা কীভাবে পাবেন: আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, প্রসেসিং ফি
ভারতের মেডিকেল ভিসার জন্য আবেদনের নিয়ম
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
→ প্রিন্ট করা ভিসার আবেদনপত্র
→ ফাঁকা দুই পৃষ্ঠাসহ নূন্যতম ছয় মাস মেয়াদী পাসপোর্টের ফটোকপি। সঙ্গে বর্তমান পাসপোর্টের মূলকপির সঙ্গে পুরনো পাসপোর্টও (যদি থাকে) নিতে হবে। অনেক সময় নতুন পাসপোর্টে পুরনো পাসপোর্টের নাম্বারটি উল্লেখ থাকে না। সেক্ষেত্রে থানায় একটি জিডি (জেনারেল ডায়রি) করে তার কপি ভিসার আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে।
→ সদ্য তোলা দুই কপি ভারতীয় ভিসা সাইজের তথা দুই ইঞ্চি বাই দুই ইঞ্চি সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডযুক্ত ছবি লাগবে।
→ ভোটার আইডি কার্ড অথবা অনলাইনে নিবন্ধনকৃত জন্মসনদপত্র; যেটা দিয়ে পাসপোর্ট তৈরি করা হয়েছে তার ফটোকপি লাগবে।
আরও পড়ুন: অনিবন্ধিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
→ আবাসস্থলের প্রমাণস্বরূপ বর্তমান ঠিকানার সাম্প্রতিক গ্যাস/পানি/বিদ্যুৎ/টেলিফোন বিলের ফটোকপি সংযুক্ত করতে হবে। প্রিপেইড মিটারের ক্ষেত্রে মিটার কার্ডের দুই দিকের ফটোকপি দেয়া যেতে পারে।
→ শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ইস্যুকৃত স্টুডেন্ট আইডি কার্ডের ফটোকপি দিবেন। সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য সরকারি আদেশ এর কপি আর বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য এনওসি (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) দিতে হবে। ব্যবসায়ীরা তাদের ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপি সরবরাহ করবেন। অন্যান্য পেশাজীবী যেমন- ডাক্তার, প্রকৌশলী, আইনজীবীদের ক্ষেত্রে নিজ নিজ পেশাজীবী সংগঠন থেকে সদস্য সার্টিফিকেট লাগবে।
এসময় খেয়াল রাখতে হবে যে পাসপোর্ট যদি স্টুডেন্ট হিসেবে করা হয়ে থাকে তাহলে স্টুডেন্ট আইডি কার্ডই যথেষ্ট। কিন্তু প্রাইভেট সার্ভিস হিসেবে করা হয়ে থাকলে সেখানে এনওসি দিতে হবে। চাকরিজীবী বা ব্যবসায়ীদের জন্য ভিজিটিং কার্ড সংযুক্তি ভিসা প্রাপ্তির সম্ভাবনা বাড়াবে।
আরও পড়ুন: উচ্চ রক্তচাপ (হাই প্রেশার) হলে যা এড়িয়ে চলা উচিত: ক্ষতিকর খাবার, পানীয়, অভ্যাস
→ ভারতীয় যে কোনো ভিসায় সর্বনিম্ন ১৫০ ডলার এন্ডোর্সমেন্ট করা যায়। আর এই এন্ডোর্সমেন্ট অবশ্যই কোনো ব্যাংক থেকে করতে হবে। কোনো মানি এক্সচেঞ্জারের এন্ডোর্সমেন্ট গ্রহণযোগ্য নয়। আর এন্ডোর্সমেন্টটি অবশ্যই আবেদন জমা দেয়ার দিন থেকে বিগত এক মাসের মধ্যে করতে হবে।
এন্ডোর্সমেন্টের পর ব্যাংক একটি গ্রাহক কপি দিবে, যার একটি ফটোকপি আবেদনের সঙ্গে দিতে হবে। এছাড়া আবেদনকারী নিজের কিংবা বাবার ব্যাংক স্টেটমেন্টও জমা দিতে পারেন। এর জন্য অ্যাকাউন্টটিতে নূন্যতম ছয় মাস ধরে সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা থাকতে হবে।
→ ভিসা ফি জমা রশিদের ফটোকপি
→ আবেদনকারীর রোগ সংক্রান্ত বাংলাদেশি ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন কিংবা প্রত্যয়নপত্র
আরও পড়ুন: টেক্সট নেক সিন্ড্রোম: অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলাফল
→ ভারতের কোন হাসপাতাল থেকে আবেদনকারীকে দেয়া ভিসা আমন্ত্রণপত্র। এর মাধ্যমে ভারতের সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল আবেদনকারীকে তাদের সম্ভাব্য সমস্ত চিকিৎসা অনুমোদন করে। এছাড়া এই প্রমাণপত্রের মাধ্যমে ভারতীয় অ্যাম্বেসি বুঝতে পারে যে রোগী হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর হাসপাতালটি সেখানে তার চিকিৎসা করতে সম্মত হয়েছে। এই আমন্ত্রণপত্রে রোগীর অসুস্থতার বিবরণ, চিকিৎসার পদ্ধতি ও সময়কাল লিপিবদ্ধ থাকে।
→ আবেদনকারী অপ্রাপ্তবয়স্ক হলে তার বাবা-মাকে মেডিকেল মেডিকেল অ্যাটেন্ডেন্ট ভিসা নিতে হবে। এ সময় অ্যাটেন্ডেন্টের পাসপোর্টের পাশাপাশি রোগীর সঙ্গে সম্পর্কের প্রমাণপত্রও দাখিল করতে হবে।
→ বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ প্রতিস্তাপনের ক্ষেত্রে আইন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ছাড়পত্র নিতে হবে।
আরও পড়ুন: এয়ার কন্ডিশনার ছাড়াই গরমে ঘর ঠান্ডা রাখার কার্যকরী উপায়
অনলাইনে ভারতের মেডিকেল ভিসার জন্য আবেদন
ভারত সরকারের ইন্ডিয়ান ভিসা অনলাইন সাইট থেকে এই ভিসার জন্য আবেদন করা যায়। এর জন্য আগে থেকেই কিছু বিষয় আগে থেকেই প্রস্তুত রাখা জরুরি। এগুলো হলো- নূন্যতম ছয় মাস মেয়াদী পাসপোর্টের স্ক্যান কপি, সদ্য তোলা ভারতীয় ভিসা সাইজের ছবির স্ক্যান কপি, ভারতীয় হাসপাতাল থেকে ভিসা আমন্ত্রণপত্রের স্ক্যান কপি।
এ নথিগুলোর সবই পিডিএফ ফরম্যাটে প্রস্তুত করতে হবে; শুধু ছবিটা হবে জেপিইজি ফরম্যাটে। আবেদনকারীর যাবতীয় তথ্যাদি নির্ভুলভাবে উল্লেখ করে উপরের নথিগুলো আপলোড করলে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
ভিসা প্রসেসিং ফি কীভাবে জমা দিবেন
টুরিস্ট ভিসার ন্যায় মেডিকেল ভিসা প্রসেসিং ফি ৮০০ টাকা। এই ফি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ও বিকাশ দিয়ে সহজেই পরিশোধ করা যাবে। এছাড়া সরাসরি আইভ্যাকে (ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার) গিয়েও তার আশেপাশে এই ফি জমা দেয়া যাবে।
আরও পড়ুন: তীব্র গরমে হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে করণীয়
ভিসার আবেদন কোথায় জমা দিতে হয়
সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদনপত্র জমাদানের জন্য সকাল সকাল বিভাগীয় ভারতীয় ভিসা সেন্টারে চলে যেতে হবে। ভিসার আবেদনের জন্য এখন বাংলাদেশে আর ই-টোকেন প্রচলন নেই। সরকারি ছুটির দিন ছাড়া যে কোনো কার্যদিবসে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা নাগাদ ভিসার আবেদন জমা নেয়া হয়। বাংলাদেশের ভারতের ভিসা আবেদনের কেন্দ্রগুলো হচ্ছে- ঢাকা (যমুনা ফিউচার পার্ক), ময়মনসিংহ, চট্রগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালী, সিলেট, রাজশাহী, রংপুর, বরিশাল এবং খুলনা।
ভারতীয় চিকিৎসা ভিসা পেতে কত দিন সময় লাগে
সাধারণত আবেদন জমাদানের পর থেকে প্রায় ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ভিসা হাতে পাওয়া যায়। জরুরি অবস্থাগুলোর প্রতি অধিকতর গুরুত্ব দেয়া হয়। এক্ষেত্রে আবেদন জমা নেয়ার দিনেই ভিসা পাওয়া যেতে পারে। একাধিক দিনগুলোর ক্ষেত্রে সাধারণ ভিসা প্রসেসিংয়ের মতই অ্যাম্বেসি থেকে একটা টোকেন দেয়া হয়। এই টোকেনটির মাধ্যমে নির্ধারিত দিনে ভিসা-পাসপোর্ট সংগ্রহ করা যায়।
ভারতের চিকিৎসা ভিসার মেয়াদ
চিকিৎসার জন্য প্রযোজ্য এই ভিসার সময়কাল এক বছর। এই সময়ে ভিসাধারি তিন বার ভারতে যেতে আসতে পারবেন। প্রায় সময় দেখা যায়, রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসার প্রয়োজনে মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে হয়। সেজন্যে ভারত স্বীকৃত হাসপাতাল কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট পাওয়ার পর রাজ্য সরকার বা এফআরআরও (বিদেশি আঞ্চলিক নিবন্ধন অফিস) এর আদেশানুক্রমে মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ডায়রিয়া বা উদরাময়: কারণ, লক্ষণ, প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উপায়
তাই এই ধরনের রোগীদের জন্য ভারতে প্রবেশের ১৪ দিনের মধ্যে এফআরআরও-তে নিবন্ধন করা অপরিহার্য। মেয়াদ বৃদ্ধির এই কার্যক্রমটি এফআরআরওর সাইটে যেয়ে অনলাইন নিবন্ধনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা যাবে।
ভারতের মেডিকেল ভিসা সংক্রান্ত কিছু সতর্কতা
ভারতীয় অ্যাম্বেসির ভেতরে কোনো ধরনের ব্যাগ অনুমিত নয়। তাই ভিসা আবেদন জমা দেয়ার মুহূর্তে শুধু দরকারি কাগজপত্রগুলো একটা স্বচ্ছ ফাইলে নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে হবে। ভারতে প্রবেশের সময় ভ্রমণ কর বাবদ ৫০০ টাকা দিতে হয়। এই খরচটা আগেই সোনালী ব্যাংকে জমা দিয়ে সঙ্গে রশিদ নিয়ে গেলে ভারত প্রবেশের সময় আর বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না।
ভারতের বাইরে থেকে আগত লোকেরা প্রায়ই ভারতে ঢোকার সময় অতিরিক্ত ডলার নিয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশদের জেরার মুখে পড়েন। তাই পাসপোর্টে এন্ডোর্সকৃত পরিমাণের চেয়ে বেশি ডলার বহন করতে চাইলে তা মানিব্যাগে রাখা থেকে বিরত থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: কান পেতে রই: দেশের প্রথম মানসিক সহায়তা হেলপলাইন
শেষাংশ
শেষ কথাটি হলো-দেশের বাইরে চিকিৎসার বিষয়ে বিশেষ করে গুরুতর ক্ষেত্রগুলোতে হাজারো শঙ্কা কাজ করে। তাই ভারতের মেডিকেল ভিসা আবেদনের প্রতিটি ধাপ সতর্কতার সঙ্গে নিষ্পন্ন করা উচিত। প্রগতিশীল চিকিৎসা ব্যবস্থার কারণে ভারতের বাইরে থেকে আগত রোগীরা সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবার নিশ্চয়তা পেয়ে থাকে। উন্নত ডায়াগনস্টিক সুবিধার জন্য প্রচুর পুঁজি বিনিয়োগসহ উচ্চ পর্যায়ের পরিষেবাগুলোর জন্যও দেশটি একটি নেতৃস্থানীয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে ভারত সরকার জনস্বাস্থ্য খাতে ব্যয়কে জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশতে উন্নীত করার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে।
ভারতে ‘দুর্গা সম্মাননা’ পেলেন সিমা হামিদ
ভারতের কোলকাতায় অরিজিৎ অফিশিয়াল থেকে ‘দুর্গা সম্মাননা’ পেলেন বাংলাদেশি সফল নারী সমাজসেবী সিমা হামিদ।
রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) কোলকাতার হোটেল দ্যা স্টেডেলে অরিজিৎ অফিশিয়ালের ‘দুর্গা সম্মান ২০২২ অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে এ সম্মাননা দেয়া হয়।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশে সমাজসেবা, উদ্যোক্তাসহ সামাজিক নানা কর্মকাণ্ডে সিমা হামিদের ভূমিকার কথা তুলে ধরা হয়। পরে তার হাতে সম্মাননা তুলে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: নারী দিবসে ৩ সম্মাননা পেলেন বিশ্বজয়ী বাংলাদেশি পর্যটক নাজমুন নাহার
অনুষ্ঠানে তাকে ছাড়াও আরও ১৬ নারীকে এই সম্মাননা দেয়া হয়। তারা হলেন, রাজলক্ষী স্যাম, সর্বানী দাস রায়, রঞ্জিত সিনহা, লুনা চ্যাটার্জী, রুনা বন্দ্যোপাধ্যায়, রঞ্জনা ভঞ্জ, নীলাঞ্জনা চ্যাটার্জী, সুরঞ্জনা দাসগুপ্ত, নিধি পোদ্দার, ড. ডলি গুপ্তা, সুপর্ণা মুখার্জী, মিনু চাঁদ, পূজা ঢেনকি, মধুসত্তা চৌধুরী ও অর্য্যানী ব্যানার্জী।
পরে বক্তারা বলেন, এই সম্মাননার মধ্যে দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মৈত্রী আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।
তারা বলেন, এমন সম্মাননা নতুন কিছু গড়ে তুলতে আমাদের প্রেরণা যোগায়। এজন্যে অরিজিৎ অফিসিয়ালের কর্ণধার অরিজিৎ মুখার্জীকে বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে প্রয়াত ৩ ভাষা সৈনিককে সম্মাননা প্রদান
কৃষিতে আজীবন সম্মাননা পেলেন কৃষিমন্ত্রী
ভারতের টুরিস্ট ভিসা কীভাবে পাবেন: আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, প্রসেসিং ফি
গন্তব্য যখন ভারত সেখানে ভ্রমণপিপাসুদের দ্বিতীয়বার চিন্তা করার কোনো অবকাশ থাকে না। এলাকার দিক থেকে পৃথিবীর বৃহত্তম দেশগুলোর মধ্যে সপ্তম অবস্থানে থাকা এই দেশটি প্রাকৃতিক নিদর্শনের সবটুকুই যেন বক্ষে ধারণ করে আছে। করোনা মহামারিতে মুষরে পড়লেও পরের বছরেই পর্যটনখাতের ক্ষতি পুষিয়ে নিয়েছে তাজমহলের এই দেশ। বিশ্বের ২৫তম সর্বাধিক পরিদর্শনকারী দেশ হওয়ায় ভারতের টুরিস্ট ভিসা অনেক পরিব্রাজকদের অতি আকাঙ্ক্ষিত বস্তু।
২০২১ সালে বিশ্বের এই দ্বিতীয় জনবহুল দেশটির জিডিপি’র (গ্রস ডমেস্টিক প্রোডাক্ট) পাঁচ দশমিক আট শতাংশ ছিল পর্যটনখাতের অবদান। গত এক বছর ধরে আবারো সরব হয়ে উঠেছে হাজারো ঐতিহাসিক স্থাপনার ধারক দেশটি। আজকের নিবন্ধের মাধ্যমে ভারতীয় টুরিস্ট ভিসা লাভের সামগ্রিক দিক সম্বন্ধে বলা হয়েছে।
ভারতের টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদনের নিয়ম
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
→ ভিসার আবেদনপত্রের সাদাকালো অথবা রঙ্গিন প্রিন্ট কপি
→ সর্বনিম্ন ছয় মাস মেয়াদ সম্পন্ন পাসপোর্টের ফটোকপি; সঙ্গে মূলকপিও নিতে হবে। পুরনো পাসপোর্ট থাকলে সেটাও লাগবে। অনেক সময় পুরনো পাসপোর্টের নাম্বার নতুন পাসপোর্টে থাকে না। সেক্ষেত্রে থানায় জিডি (জেনারেল ডায়রি) করে তার কপি জমা দিতে হবে। নতুবা ভিসার আবেদন জমা নেয়া হয় না।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম ভ্রমণ গাইড: ঘুরে আসুন বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বন্দর নগরী
→ ইঞ্চি পরিমাপে দুই বাই দুই সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে দুই কপি ছবি লাগবে। ছবির সাইজ সাধারণ পাসপোর্ট সাইজ থেকে কিছুটা ভিন্ন হয়। (স্টুডিওতে ভারতীয় ভিসা সাইজ বললে ওরা প্রস্তুত করে দেবে)
→ অনলাইনে নিবন্ধনকৃত জন্মসনদ বা এনআইডি (ন্যাশনাল আইডি) কার্ড; যেটা দিয়ে পাসপোর্ট করা হয়েছিল সেটার ফটোকপি দিতে হবে। এর কোনো ব্যতিক্রম হলে ভিসা বাতিল হওয়ার সম্ভবনা বাড়ে।
→ ঠিকানা প্রমাণপত্র হিসেবে বর্তমান ঠিকানার সর্বোচ্চ ৩ মাস পুরনো গ্যাস/পানি/বিদ্যুৎ/টেলিফোন বিলের ফটোকপি। প্রিপেইড মিটার গ্রাহকগণ মিটার কার্ডের উভয় পাশের ফটোকপি দিয়ে কাজ চালাতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ভিমরুলি ভাসমান পেয়ারা বাজার: বাংলার ভেনিস বরিশালের সৌন্দর্য্যে সেরা সংযোজন
→ শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে স্টুডেন্ট আইডি কার্ডের ফটোকপি আর চাকরিজীবী হলে এনওসি (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) লাগবে। এক্ষেত্রে মনে রাখা বাঞ্ছনীয় যে পাসপোর্টে যদি স্টুডেন্ট হিসেবে করা হয়ে থাকে তবে আইডি কার্ড দিতে হবে। আর যদি প্রাইভেট সার্ভিস হিসেবে করা হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে এনওসি দেয়াই উত্তম। ভিজিটিং কার্ড থাকলে সেটাও সংযুক্তি হিসেবে দেয়া যেতে পারে। এটা অতিরিক্ত নথি নয়; বরং ভিসা প্রাপ্তির সম্ভাবনা বাড়াবে।
→ সর্বনিম্ন ১৫০ ডলার এন্ডোর্সমেন্ট করতে হবে। এই এন্ডোর্সমেন্ট করতে হবে অবশ্যই ব্যাংক থেকে; কোনো মানি এক্সচেঞ্জার থেকে নয়। এন্ডোর্সমেন্ট করার পর ব্যাংক থেকে সরবরাহকৃত গ্রাহক কপিটির ফটোকপি দিতে হবে। এছাড়া প্রার্থীর নিজের বা বাবারব্যাংক স্টেটমেন্টও জমা দেয়া যাবে। সেক্ষেত্রে বিগত ছয়মাস ধরে অ্যাকাউন্টে সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা থাকতে হবে।
→ ৮০০ টাকা ভিসা ফি দেয়ার রশিদের ফটোকপি|
আরও পড়ুন: ঢাকার সেরা ১০টি জাদুঘর: ইতিহাস রোমন্থনের সঙ্গে জ্ঞান আহরণের অভাবনীয় সুযোগ
অনলাইনে ভারতের টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন
টুরিস্ট ভিসার আবেদনের জন্য প্রথমে যেতে হবে ভারত সরকারের ইন্ডিয়ান ভিসা অনলাইন সাইটে। এখানে অনলাইন ভিসা অ্যাপ্লিকেশনে ক্লিক করে প্রতিটি ঘর পাসপোর্ট অনুযায়ী সতর্কতার সঙ্গে পূরণ করতে হবে। অধিকাংশ ভিসার আবেদন প্রত্যাখানের পেছনে এই আবেদনপত্র ভুলভাবে পূরণ করাই দায়ী।
অনলাইনে ভারতের টুরিস্ট ভিসা আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
আবেদনপত্র পূরণ করার সময় কিছু কাগজপত্র আগে থেকেই প্রস্তুত রাখতে হবে।
এগুলো হলো- কমপক্ষে ছয় মাস মেয়াদি পাসপোর্ট, প্রার্থীর ভারতীয় ভিসা সাইজের ছবির সফট বা স্ক্যান কপি এবং ভারতে যাওয়ার পর যে হোটেলে ওঠা হবে তার ঠিকানা এবং ফোন নাম্বার।
আরও পড়ুন: হাকালুকি হাওর ভ্রমণ: এক নিঃসীম জলজ মুগ্ধতা
হাতে বেশ কিছুটা সময় নিয়ে আবেদনপত্র পূরণ করতে বসতে হবে। সঠিকভাবে পূরণ করতে সর্বসাকূল্যে প্রায় এক ঘণ্টা সময় নিতে পারে।
আবেদন ফর্মের ইন্টার্ফেসটি আসার পর আবেদনকারীর পুরো নাম, বাবা-মায়ের নাম, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, অফিস বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তথ্যাদি সব নির্ভুলভাবে দিতে হবে। এরপর ভারতে কোনো পোর্ট দিয়ে যাওয়া হবে সেটা নির্বাচন করতে হবে। বেনাপোল দিয়ে গেলে নির্বাচন করতে হবে হরিদাশপুর পোর্ট। তামাবিল দিয়ে বের হলে বাছাই করতে হবে ডাউকি। চেংড়াবান্দাতে টিক দিতে হবে যদি বুড়িমারী রুট ব্যবহার করা হয়। দর্শনা পোর্টটি রেলপথের যাত্রীদের জন্য। আর ফুলবাড়ী পোর্টটি বাংলাবান্দা অতিক্রমকারী যাত্রীদের জন্য।
অনলাইন আবেদনপত্র পূরণে রেফারেন্স দেয়ার ক্ষেত্রে এমন কারো নাম ও ফোন নাম্বার উল্লেখ করতে হবে, যার আবেদনকারীর সঙ্গে ভারত যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। এতে ভারতে কোনো সমস্যায় পড়লে বাংলাদেশে আবেদনকারীর বাসায় যোগাযোগের নিশ্চয়তা থাকবে। আর ভারতের রেফারেন্স হিসেবে তো হোটেলের নাম, ঠিকানা ও ফোন নাম্বার তো থাকছেই। একদম শেষের দিকে হোটেলটি ভারতের কোন এলাকায় সেটিও উল্লেখ করতে হয়।
আরও পড়ুন: ফ্লাই ডাইনিং: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বাংলাদেশের প্রথম ঝুলন্ত রেস্টুরেন্ট
এবার আবেদনপত্রটি সফলভাবে সাবমিট হয়ে গেলে সেটার প্রিন্ট নিতে হবে। আবেদনপত্রের মোট দুই স্থানে স্বাক্ষর করতে হয়। একটি ছবির নিচে; আরেকটি একেবারে শেষ পৃষ্ঠায়। এ সময় খেয়াল রাখতে হবে যে স্বাক্ষরটি যেন পাসপোর্টে দেয়া আবেদনকারীর স্বাক্ষরের অনুরূপ হয়। প্রিন্ট করা আবেদনপত্রে একটি দুই বাই দুই ইঞ্চি ছবি আঠা দিয়ে লাগাতে হবে।
ভিসা প্রসেসিং ফি কীভাবে জমা দিবেন
এবার ভিসার প্রসেসিং ফি জমা দেয়ার পালা। আগে ভিসা ফি আইভ্যাকে (ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার) জমা দেয়া লাগতো, কিন্তু এখন সেটা অনলাইনেই দেয়া যায়। ৮০০ টাকা ভিসা প্রসেসিং ফির সঙ্গে ব্যাংক বা বিকাশ চার্জ দিতে হয়। অফলাইনে ফি দিতে হলে যে কোনো আইভ্যাকে বা তার আশেপাশে এই ফি জমা দেয়া যাবে।
ভিসার আবেদন কোথায় জমা দিতে হয়
এবার আবেদনপত্রটির সঙ্গে সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ভারতীয় ভিসা সেন্টারে চলে যেতে হবে। ভারতীয় ভিসা সেন্টারের ভিড় খুব একটা নতুন ব্যাপার নয়। তাই তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করার জন্য সকাল সকাল যাওয়াটাই উত্তম। আবেদনকারীর বর্তমান ঠিকানা যে বিভাগে তাকে সেই বিভাগের ভারতীয় আবেদন সেন্টারে ভিসা আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও খরচ
ভিসার আবেদনের জন্য এখন দেশের কোথাও আর ই-টোকেন লাগে না। সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত যে কোনো দিনে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে যেকোনো সময় আবেদন জমা দেয়া যায়।
বাংলাদেশের ভারতীয় সেন্টারগুলো হচ্ছে- ঢাকা (যমুনা ফিউচার পার্ক), চট্রগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ, রংপুর, ও নোয়াখালী।
ভারতীয় টুরিস্ট ভিসা পেতে কত দিন সময় লাগে
রাজধানীতে ভিসা ডেলিভারি পেতে প্রায় তিন থেকে সাত দিন সময় লাগে। ঢাকার বাইরে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যেই ভিসা হাতে পাওয়া যায়। আবেদনের পর ইন্ডিয়ান ভিসা অনলাইন সাইট থেকেই ভিসা আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানা যাবে। ভারতীয় অ্যাম্বেসিতে কাগজপত্র জমা দেয়ার পর একটা টোকেন দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: কলকাতা ভ্রমণ: দর্শনীয় স্থানে যাওয়ার উপায় ও খরচ
পরবর্তীতে এই টোকেনটি দেখিয়ে পাসপোর্ট ভিসা সংগ্রহ করতে হবে। ভিসা নেয়ার জন্য আবেদনকারীকেই সশরীরে যেতে হবে। যদি কোনো কারণে তিনি না যেতে পারেন তবে তার পক্ষ থেকে অন্য কেউ যেতে পারেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে তার হাতে আবেদনকারীর স্বাক্ষর দেয়া একটি মনোনয়নপত্র দিতে হবে, যেখানে আবেদনকারীর উপস্থিত হতে না পারার কারণসহ উক্ত ব্যক্তিকে ভিসা সংগ্রহের পূর্ণ ক্ষমতা দেয়ার কথা উল্লেখ থাকবে।
পরিশেষে
সবশেষে, ভারতের টুরিস্ট ভিসা আবেদন জমা দেয়ার মুহূর্তে ভারতীয় অ্যাম্বেসীর ভেতরে কোনো ব্যাগ নিতে দেয়া হয় না। তাই শুধু কাগজপত্রগুলো একটা স্বচ্ছ ফাইলে নিয়ে ভেতরে ঢুকতে হবে। ভারতীয় টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ সাধারণত ছয় মাস থেকে সর্বোচ্চ এক বছর থাকে। একাধিক ভিসার এই সময়ের মধ্যে ভিসাধারী যতবার ইচ্ছা ততবার ভারতে যেতে আসতে পারবেন।
ভারতে প্রবেশের সময় ৫০০ টাকা ভ্রমণ কর দিতে হয়। এটা প্রয়োজনে আগে থেকেই সোনালী ব্যাংকে জমা দেয়া যেতে পারে। এতে করে ভারত প্রবেশের সময় আর সমস্যা হবে না। ভারতে প্রবেশের মুহূর্তে ইমিগ্রেশন পুলিশ পর্যটকের কাছে অতিরিক্ত ডলার আছে কিনা তা চেক করতে পারে। পাসপোর্টে অ্যান্ডর্সকৃত ডলার অপেক্ষা বেশি ডলার পাওয়া গেলে ইমিগ্রেশনে ঝামেলা হয়। তাই বিশেষ করে মানিব্যাগে অতিরিক্ত ডলার না রাখাই শ্রেয়।
আরও পড়ুন: হিমাচল, জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ ভ্রমণ: দর্শনীয় স্থান ও খরচ
পাকিস্তানে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার কারণ
২০২২ সালের জুনের মাঝামাঝি সময় থেকে পাকিস্তান স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার সম্মুখীন হয়েছে। প্রায় ২২ কোটি জনসংখ্যার এই দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পানিতে অর্ধনিমজ্জিত অবস্থায় আছে। বিধ্বংসী এই বন্যায় এখন পর্যন্ত ১২ শতাধিক মানুষ মারা গেছে, ১০ লক্ষাধিক বাড়িঘর নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে এবং প্রায় ২,২০০ মাইল রাস্তা ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রায় ৫ লক্ষাধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত শিবিরে রয়েছে এবং আরও অনেকের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মতে পাকিস্তানের এই বন্যা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে এখনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সারা বিশ্বের কাছে সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বড় সতর্ক সংকেত। পাকিস্তানের এই ভয়াবহ বন্যার নেপথ্যের কারণ নিয়ে আজকের নিবন্ধ।
পাকিস্তানে এই ভয়াবহ বন্যার কারণ
বৈশ্বিক জলবায়ুর সংকট সামগ্রিকভাবে প্রভাব ফেলেছে পাকিস্তানের বন্যায়। আশঙ্কাজনক প্রাণঘাতী অবস্থাকে ক্রমাগত ভয়াবহতার দিকে ঠেলে দেয়ার পেছনে প্রাকৃতিক ও মনুষ্য সৃষ্ট বিপর্যয়গুলো যুগপৎ ভূমিকা রেখেছে।
অতিবৃষ্টি
বন্যার প্রধান কারণ হিসেবে সুস্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হয়েছে পুরো শতাব্দিতে পাকিস্তানের রেকর্ড ভাঙা বৃষ্টিপাত। আট সপ্তাহের বিরতিহীন অতিবৃষ্টি দেশের বিশাল অংশকে পানির নিচে ফেলে দিয়েছে। জুন মাসের শুরু থেকেই সিন্ধু প্রদেশে বৃষ্টিপাত ছিলো সাধারণ গড়পড়তার চেয়ে নয় গুণ বেশি এবং সমগ্র পাকিস্তানে পাঁচ গুণ বেশি। এ যেন সারা দেশ জুড়ে দানবীয় মৌসুমী বৃষ্টির প্রলয় লীলা।
পড়ুন: পাকিস্তানে বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১২শ’ ছাড়িয়েছে
অত্যধিক তাপের দাবদাহ
বৃষ্টিপাতের তীব্রতা বৃদ্ধির মৌলিক কারণ হলো উষ্ণ বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকা। যে অতিবৃষ্টি বন্যার সৃষ্টি করছে তার পেছনে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দায়ী। এর আগে পাকিস্তানে প্রাণঘাতী বন্যা হয়েছিলো ২০১০ সালে। সেই সুপারফ্লাড-এর জন্য মুল কারণ ছিলো উত্তাপ বৃদ্ধি, যার ফলে সে বছর প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত ঘটিয়েছিল।
আর্কটিকের উষ্ণ মহাসাগরীয় বাতাসও এর সাথে জড়িত ছিল, কারণ এটি জলীয়বাষ্পকে প্রভাবিত করতে পারে। ফলে আকাশে ভাসমান বাতাস অত্যধিক গরম ও ভারী হয়ে যায়। এই জলীয়বাষ্পের বৃহত্তর গতিপথ পাকিস্তানে দীর্ঘায়িত বৃষ্টিপাতের প্রেক্ষাপট তৈরি করে। আর এখন বৈশ্বিক উত্তাপ দক্ষিণ এশিয়ার বৃষ্টিকে আরও তীব্র এবং আরও অনিয়মিত করে তুলছে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা প্রতি ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস বৃদ্ধির ফলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়ে ৫ শতাংশেরও বেশি।
বন উজাড়
সিন্ধু নদীতে মিশে যাওয়া কাবুল নদীতে বাঁধ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সময় বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্টি হয় পাহাড়ী ঢল। আর বন উজাড়ের কারণে এই ঢলের গতি আরো বেড়ে যায়। এতে অসহায় মানুষ নিরাপদ অবস্থানে যাওয়ারও সময় পায় না। তাই উচ্চ মৃত্যুর সংখ্যার জন্য আকস্মিক বন্যা ও নদীর বাঁধ ধ্বংসের পাশাপাশি বন উজাড়ও দায়ী। কিছু জায়গা এতটাই খাড়া ছিলো যে, ঢল কোন বাধা ছাড়াই দ্রুত প্রবাহিত হয়ে সমতল ভূমিতে আঘাত করেছে।
পড়ুন: পাকিস্তানে বন্যা: ১৬ কোটি ডলারের জরুরি সহায়তার আবেদন জাতিসংঘের
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তাপমাত্রা ও বাতাসের তারতম্য
এল নিনো–সাউদার্ন অসিলেশন (ইএনএসও) জলবায়ুর এমন একটি সংকটপূর্ণ অবস্থা যেখানে ক্রান্তীয় পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে বায়ু এবং সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রার অনিয়মিত পরিবর্তন ঘটে। এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গ্রীষ্মমন্ডলীয় এবং উপক্রান্তীয় অঞ্চলের জলবায়ুকে প্রভাবিত করে। সমুদ্রের তাপমাত্রার উষ্ণ পর্যায়কে এল নিনো এবং শীতল পর্যায়কে লা নিনা বলা হয়। ইএনএসও এখন লা নিনা পর্যায়ে রয়েছে ঠিক যেমনটি ছিলো ২০১০ সালে। লা নিনার অত্যন্ত দৃঢ় প্রভাব পাকিস্তানের সাধারণ মৌসুমী বৃষ্টিকে দানবীয় অতিবৃষ্টির রূপ দিয়েছে।
শেষাংশ
পাকিস্তানে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা শুধু দক্ষিণ এশিয়াই নয়; গোটা পৃথিবীবাসীর জন্য সাবধানবাণী। আকস্মিক বন্যার পাশাপাশি প্রচন্ড তাপের দাবদাহ, দাবানল, মেরু অঞ্চলে ক্রমাগত বরফ গলতে থাকা এখন গোটা বিশ্বকে জলবায়ুর ব্যাপারে গ্রাউন্ড জিরোর দিকে ঠেলে দিয়েছে। আবহাওয়াবিদরা বর্ষা মৌসুমের শেষ ঘনিয়ে আসায় আগামী দিনে আর কোনো উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাতের আশা করছেন না। কিন্তু এটি সৌভাগ্যজনক কোন খবর নয়। আপাত দৃষ্টে এ বছর বেঁচে গেলেও পরের বছরে কি হবে, যেখানে দুর্যোগগুলো প্রতি বছর দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে আঘাত হানছে! তাই জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার এখনি সময়।
পড়ুন: পাকিস্তানে বন্যা: ৩ কোটি ৩০ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
‘আঁরা রোহিঙ্গা’ বিষয়ক আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর এবং কক্সবাজার আর্ট ক্লাবের যৌথ আয়োজনে কক্সবাজারে আঁরা রোহিঙ্গা বিষয়ের ওপর ১৪ দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজার সংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন কক্সবাজারের শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন বিষয়ক কমিশনার অতিরিক্ত সচিব শাহ রেজওয়ান হায়াত।
আরও পড়ুন: ‘ব্রেভহার্ট’: বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে গ্যালারি কসমস
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ইউএনএইচসিআর এর বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ জোহানেস ভন ডার ক্ল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কক্সবাজার আর্ট ক্লাবের সভাপতি তানভীর সরওয়ার রানা সূচনা বক্তব্য রাখেন।
প্রদর্শিত আলোকচিত্র বিষয়বস্তু হচ্ছে ‘আঁরা রোহিঙ্গা’। কক্সবাজারে অবস্থিত শরণার্থী শিবিরের ১০ জন মেধাবী রোহিঙ্গা আলোকচিত্রী তাদের সামষ্টিক কর্ম ও কুশলতা এই প্রদর্শনীতে উপস্থাপন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘আমরা রোহিঙ্গা’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী
প্রদর্শনীতে একটি শরণার্থী সম্প্রদায়ের দৈনন্দিন জীবনের দৃশ্যগুলো তুলে ধরে রোহিঙ্গাদের আত্মপরিচয় ঘিরে প্রদর্শনীটি আবর্তিত হয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্মৃতি, তাদের প্রত্যাশা, বিশ্বাস, সৌন্দর্য্য, কর্মযজ্ঞ, সন্তাপ (মানসিক যন্ত্রণা), বেদনা এবং ভালোবাসার সমুজ্জ্বল অনুভূতিসমূহ মেলে ধরে এই যৌথ আয়োজন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সামর্থ্য, সহনশীলতা ও ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তিকে শ্রদ্ধা জানায়।
আরও পড়ুন: গ্রিসে বিশেষ প্রদর্শনীতে 'হাসিনা: এ ডটারস টেল'
প্রদর্শনীটি কিউরেট করেছেন আন্তর্জাতিক শিল্পী ডেভিড পালাজন, রোহিঙ্গা আলোকচিত্রী সাহাত জিয়া হিরো, এবং বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের কিউরেটর আমেনা খাতুন। প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে রোহিঙ্গা আলোকচিত্রীদের তোলা ৫০টি ছবি, এবং ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাস্তুচ্যুত হওয়া বাংলাদেশীদের ১০টি ছবি।
অনিবন্ধিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সারাদেশে অনিবন্ধিত, অব্যবস্থাপনা এবং স্বাস্থ্যসম্মতভাবে চিকিৎসা সেবা না দেয়া সব হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লা নগরীর সদর জেনারেল হাসপাতালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে কুমিল্লা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে বৃহত্তর কুমিল্লা ও বৃহত্তর নোয়াখালীসহ ছয় জেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য স্থাপনা উদ্ধোধন এবং প্রান্তিক পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই টিকা পাবে শিশুরা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে দেয়া হবে অব্যবস্থাপনা হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগেুলো। এছাড়া বহু বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে লাইসেন্স নবায়ন করতে নোটিশ দেয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিবন্ধন নবায়ন না করলে এবং সংশোধন না হলে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোও বন্ধ করে দেয়া হবে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মীর মোবারক হোসাইন বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: ওষুধের দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
হোটেল ও রেস্টুরেন্ট রাত ১০টার পর বন্ধ থাকবে: ডিএসসিসি
জন্ম নিবন্ধন ইংরেজি করার ডিজিটাল পদ্ধতি: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, আনুষঙ্গিক খরচ ও সংশোধন
একজন নাগরিকের জন্য তার জন্মের পর থেকে শুরু করে মৃত্যু অবধি যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র তৈরিতে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় কাগজটি হলো জন্ম সনদ। এক সময় ছিলো শুধু হাতে লিখেই দেয়া হতো এই সনদপত্রটি। তারপরে এলো কম্পিউটারে টাইপ করা বাংলায় জন্ম নিবন্ধন সনদ। আর এখন বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক জন্ম নিবন্ধন ইংরেজি করা বাধ্যতামুলক করা হয়েছে। অনলাই বা ডিজিটাল পদ্ধতিতে জন্ম নিবন্ধনের বিষয়টি ইতোমধ্যেই জন্ম সনদ প্রাপ্তির পূর্ব শর্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ এখন একজন বাংলাদেশি নাগরিককে ডিজিটাল পদ্ধতিতে এই দরকারি নথিটির ইংরেজি সংস্করণের জন্য আবেদন করতে হবে। আজকের নিবন্ধটিতে সেই ডিজিটাল জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেটের ইংরেজি ভার্শনের আবেদন পদ্ধতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হবে।
ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন যাচাই
প্রথমেই যে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে তা হচ্ছে, সনদটি অনলাইন করা আছে কিনা। এর মানে হচ্ছে বাংলাদেশে সরকারের অনলাইন ডাটাবেসে ব্যক্তির জন্ম সনদ অন্তভূক্ত আছে কিনা। তা না হলে সবার আগে অনলাইনে জন্ম পরিচয় সংযুক্ত করতে হবে।
ডাটাবেসে সংযুক্ত আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্ট্রারের কার্যালয় ওয়েবসাইট-এ যেতে হবে।
অতঃপর ১৭ অঙ্কের জন্ম নিবন্ধন সংখ্যা এবং জন্ম তারিখ দিতে হবে। জন্ম সনদে উল্লেখিত ১৭ অঙ্কের পার্সনাল আইডেন্টিফিকেশন নাম্বারই হচ্ছে জন্ম নিবন্ধন সংখ্যা। তথ্যগুলো দেয়ার পর যদি কোন রেকর্ড না দেখায় তবে বুঝতে হবে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন বা ডিজিটাল করা নেই। তখন প্রথম কাজ হবে এই ডিজিটালকরণটি সম্পন্ন করার জন্য আবেদন করা। আর থাকলে তার ইংরেজি সংস্করণ তৈরির জন্য আবেদন করা যাবে।
পড়ুন: পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে করণীয়
জন্ম নিবন্ধন ইংরেজি করতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে আবেদনের উপায়
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
আবেদন যেহেতু অনলাইনে করতে হবে, সেহেতু যাবতীয় কাগজপত্রের সফ্ট কপি দরকার হবে। তাই আগে থেকে নিম্নলিখিত নথিগুলো স্ক্যান করে প্রস্তুত রাখতে হবে, যেন অনলাইনের আবেদনের নির্দিষ্ট পর্যায়ে সহজেই তা আপলোড করে দেয়া যায়।
→ আবেদনকারীর ন্যূনতম এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার সনদপত্র
→ পিতা মাতার অনলাইনে নিবন্ধিত জন্ম সনদপত্র
→ যদি ইতোমধ্যে আবেদনকারির জাতীয় পরিচয়পত্র করা হয়ে থাকে তবে তা দিতে হবে
এই কাগজপত্রের স্ক্যান বা ছবি সাইজ সর্বোচ্চ ১ এমবি(মেগাবাইট) হবে। তবে ওয়েবসাইটে ৯৭৬ কেবি(কিলোবাইট)-এর বেশি আপলোড নেয় না। ছবিগুলো প্রস্তুত করার সময় এ বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।
অনলাইন নিবন্ধন প্রক্রিয়া
এই কাজটি সম্পন্ন করার সময় সতর্কতার সাথে প্রতিটি তথ্য সরবরাহ করতে হবে। ৪ বারের বেশি জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য আবেদন করা যায় না।
আবেদন প্রক্রিয়া শুরুর প্রথম ধাপে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের ওয়েবসাইট-এ প্রবেশ করতে হবে। এখানে সামগ্রিক নীতিমালার নিচের প্রথম বক্সটিতে আবেদনকারির ১৭ অঙ্কের জন্ম নিবন্ধন নাম্বার আর দ্বিতীয় বক্সে জন্ম তারিখ দিতে হবে। তারপর অনুসন্ধান বাটনে ক্লিক করলে ব্যক্তির জন্ম সনদ দেখাবে। এবার নির্বাচন করুন বাটনে ক্লিক করে কনফার্ম করতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন কার্যালয় বাছাইয়ের মুহূর্তে ব্যক্তি ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভায় যেখানে জন্ম নিবন্ধন করেছিলেন তা উল্লেখ করতে হবে। দেশ, বিভাগ, জেলা, উপজেলা বা সিটি কর্পোরেশন দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন করে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করতে হবে।
পড়ুন: যেভাবে পাসপোর্টের ভুল তথ্য সংশোধন করবেন
এরপরের ইন্টারফেসেই জন্ম নিবন্ধনের ইংরেজি ফরম দেখা যাবে। এসময় বিষয়ে ক্লিক করে শুধু ইংরেজি অপশনগুলো আলাদা আলাদা করে বাছাই করে সেগুলোতে ইংরেজিতে তথ্য সরবরাহ করতে হবে। একাধিক বিষয়ের জন্য আরো তথ্য সংযোজন করুন বাটনে ক্লিক করতে হবে। সংশোধনের কারণের অপশনগুলো থেকে ভুলভাবে লিপিবদ্ধ হয়েছে নির্বাচন করতে হবে। এরপর নিচে ব্যক্তির বর্তমান ও স্থায়ী সহ জন্মস্থানের ঠিকানা ইংরেজিতে দিতে হবে। সবশেষে দিতে হবে আবেদনকারির যোগাযোগের তথ্য। আবেদনটি নিজের জন্য হলে নিজ নির্বাচন করতে হবে। সন্তানের জন্য হলে পিতা-মাতা বাছাই করতে হবে। অতঃপর আবেদনকারীর ফোন নাম্বার দিতে হবে।
পিতা-মাতা ব্যতীত অন্য কেউ যেমন- দাদা-দাদী, নানা-নানী আবেদন করলে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা জন্ম নিবন্ধন নাম্বার দিতে হবে। এরপর সবুজ রঙের সংযোজন বাটনে ক্লিক করে আগে স্ক্যান করে রাখা প্রয়োজনীয় নথিগুলোর ছবি আপলোড করতে হবে।
সবশেষে ফি আদায় অপশনটিকে অপরিবর্তিত রেখে সাবমিট বাটনে ক্লিক করলেই আবেদন সম্পন্ন হয়ে যাবে। আবেদন সফল হলে একটি কোড প্রদান করা হবে, যেটি পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে। প্রিন্ট করুন বাটনে ক্লিক করে আবেদনটির একটি হার্ড কপি নিজের কাছে রেখে দিতে হবে।
পড়ুন: জন্ম নিবন্ধন করার নিয়ম: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, খরচ ও সময়
আনুষঙ্গিক খরচাদি
জন্ম নিবন্ধনের আবেদনপত্র সহ দরকারি নথিগুলো জমা দেওয়ার সময় ১০০ টাকা ফি জমা দিতে হবে। এছাড়া প্রিন্ট, ফটোকপিসহ কার্যালয়ের অন্যান্য কাজে প্রায় ৩০০ টাকার মত খরচ হতে পারে।
আবেদনপত্র কোথায় জমা দিতে হবে
প্রিন্ট করা আবেদনপত্র সংযুক্তি কাগজপত্রের ফটোকপিসহ স্থানীয় সিটি কর্পোরেশন/ইউনিয়ন/ পৌরসভার কার্যালয়ে গিয়ে জমা দিয়ে আসতে হবে। এবার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আবেদনটি যাচাই বাছাই করে তথ্যগুলো সংশোধনপূর্বক পুরো জন্ম সনদটি ইংরেজি সংস্করণে তৈরি করে দিবে। কার্যালয় থেকে একটি টোকেন দেয়া হবে যেখানে সনদপত্র সংগ্রহের তারিখ উল্লেখ থাকবে। অতঃপর সেই তারিখে যেয়ে চূড়ান্তভাবে ইংরেজিতে জন্ম নিবন্ধনের সনদ হাতে পাওয়া যাবে।
পরিশিষ্ট
জন্ম সনদ পাওয়া একজন ব্যক্তির নাগরিক অধিকারের বিষয়টিকে সুনিশ্চিত করে। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন কাজের জন্য এর ইংরেজি সংস্করণ অতীব জরুরি হয়ে পড়েছে। তাই জন্ম নিবন্ধন ইংরেজি করার ডিজিটাল পদ্ধতি সহজ-সরল হওয়ার পাশাপাশি আরো বাস্তবসম্মত হওয়া বাঞ্ছনীয়। যে কোন প্রক্রিয়ার ডিজিটালকরণ সেই কাজকে আরো সহজ এবং সময়ের স্বল্পতার দিকে নির্দেশ করে। কিন্তু জন্ম সনদ পেতে সেখানে মাসের পর মাস লেগে যাওয়াটা ব্যবস্থার অবনতির নিদর্শন। যে কোন পরিষেবায় নতুনত্বের আবির্ভাব ঘটানো উচিত গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সন্তুষ্টির লক্ষ্যে। আর যখন সেখানে একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকারের প্রশ্ন আসে, তখন তা আরো বেশি গুরুত্ব সহকারে দেখার প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি হয়।
পড়ুন: ট্রেড লাইসেন্স করার পদ্ধতি: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, খরচ ও সময়