প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ হাইকোর্টের ছয় মাসের স্থগিতাদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন নাকচ করে দেন।
এর আগে গত ২০ নভেম্বর মামলার কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে হাইকোর্ট।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত বছরের ৪ আগস্ট কাজী নওশাবা নিজের ফেসবুক থেকে অত্যন্ত আবেগময় কণ্ঠে লাইভ ভিডিও সম্প্রচার করে বলেন, ‘জিগাতলায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে একজনের চোখ উঠিয়ে ফেলেছে এবং চারজনকে মেরে ফেলেছে। আপনারা যে যেখানে আছেন কিছু একটা করুন।’
জিগাতলায় এ ধরনের ঘটনা নিয়ে তার এ ভিডিও মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়। ওই দিনই রাজধানীর উত্তরার বাসা থেকে তাকে আটক করেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র্যাব) সদস্যরা।
ফেসবুক লাইভে নওশাবা দাবি করেন, জিগাতলায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া একজনের চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে। তিনি সবাইকে এক হয়ে রাস্তায় নেমে শিক্ষার্থীদের ‘রক্ষা’ করার আহ্বান জানান। ছাত্রলীগের কর্মীরা এ হামলা চালায় বলে দাবি করেন এ অভিনেত্রী।
এ ঘটনায় ওই বছরের ৫ আগস্ট তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। এ মামলায় চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদকে স্থায়ী জামিন দেন নিম্ন আদালত। এছাড়া গত ৩ সেপ্টেম্বর এ মামলায় আদালত তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। পরে অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন এই অভিনেত্রী।