মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সাথে বৈঠকের পর চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ এবং প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস এ সিদ্ধান্ত জানান।
আগামী ১২ এপ্রিল থেকে সিনেমা হল বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি।
এর আগে বৈঠকে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সিনেমা হলই যদি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে সিনেমা দেখানো হবে কোথায়! সে কারণে দেশের চলচ্চিত্র বাঁচাতে হলে সিনেমা হল বাঁচাতে হবে। একসময় সপ্তাহে দু’টোর বেশি সিনেমাও মুক্তি পেতো। এখন তা হয় না।’
হল মালিকদের দাবি প্রসঙ্গে ড. হাছান বলেন, হল মালিকেরা বিদ্যুৎ বিলের বাণিজ্যিক হার এবং ‘পিক আওয়ার’ হার রেয়াতের দাবি জানিয়েছেন। মন্ত্রণালয় থেকে পূর্বেই এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগে যোগাযোগ করা হয়েছে, নতুন করে আবারও বিষয়টি আলোচনা করা হবে। দেশি একটি ছবি রপ্তানির বিপরীতে ভারতীয় একটি সিনেমা আমদানির ছাড়পত্র পেতেও যে বিলম্ব হতো, তা দূর করা হবে।
‘নির্দিষ্ট সংখ্যক উপমহাদেশীয় ভিন্ন ভাষার অর্থাৎ মূলত হিন্দি ছবি আমদানির যে দাবি তারা রেখেছেন, চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পী-কলাকুশলী সকলের সাথে আলোচনা করে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেয়া হবে,’ বলেন তথ্যমন্ত্রী।
চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘তথ্যমন্ত্রীর সাথে ফলপ্রসূ বৈঠক শেষে আমরা সিনেমা হল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছি। চলচ্চিত্রকে শিল্প হিসেবে ঘোষণাটি কার্যকর করা এবং নির্দিষ্ট সংখ্যক হিন্দি সিনেমা আমদানি করলে মানুষ যেমন হলমুখী হবে, তেমনি দেশের চলচ্চিত্র শিল্পেরও দ্রুত বিকাশ ঘটবে। সরকার যুগোপযোগী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দেশের চলচ্চিত্র শিল্পকে বাঁচাবে বলে আমরা আশা করি।’
তথ্যসচিব আবদুল মালেক, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক এস এম হারুন-অর-রশীদ, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আজহারুল হক, যুগ্মসচিব মো. নজরুল ইসলাম, চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মো. নিজামুল কবীর, চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সহ-সভাপতি মো. আমির হামজা ও আর এম ইউনুছ রুবেল, যুগ্ম সম্পাদক শরফুদ্দিন সম্রাট, সদস্য মিয়া আলাউদ্দিন ও আবুল হোসেন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।