বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় এক নম্বর নতুন বার ভবনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার বিরতি দিয়ে ভোটগ্রহণ চলে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। বারের ৬০৩ জন ভোটার মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ৫৫৫ জন।
রাত ১০টার দিকে ভোট গণনা শেষে নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম সেলিম ফলাফল ঘোষণা করেন।
এবার নির্বাচনে ২১টি পদের বিপরীতে দুটি প্যানেল থেকে ৪২ জন প্রার্থী অংশ নেন। প্যানেল দুটি হলো- সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের (আওয়ামী লীগপন্থী) ব্যানারে আবু বাকার-বজলে তৌহিদ আল হাসান বাবলা এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের (বিএনপিপন্থী) মোজাম্মেল হক-পারভেজ তৌফিক জাহেদী প্যানেল।
নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম সেলিম জানান, সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন মোজাম্মেল হক (বিএনপি)। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন পারভেজ তৈফিক জাহেদী (বিএনপি)।
সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন- একে মিজানুর রহমান (বিএনপি), মাহাবুল ইসলাম (বিএনপি) ও অশিত কুমার শান্যাল (আওয়ামী লীগ)। আর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন আতিকুর রহমান ইতি (বিএনপি) ও মাজেমান আলী (আওয়ামী লীগ)।
এছাড়াও হিসাব সম্পাদক পদে সেলিম রেজা মামুন (বিএনপি), লাইব্রেরী সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন (বিএনপি), সম্পাদক অডিট আজিমুসান উজ্জল (বিএনপি), সম্পাদক প্রেস অ্যান্ড ইনফরমেশন হাসিবুল ইসলাম কচি (আওয়ামী লীগ) এবং সম্পাদক ম্যাগাজিন অ্যান্ড কালচার পদে জয় পেয়েছেন রজব আলী (বিএনপি)।
সদস্য পদে নির্বাচিতরা হলেন- ইরশাদ আলী ইসা (বিএনপি), আবতাবুর রহামন (বিএনপি), মোজাম্মেল হক (বিএনপি), রাকিবুল ইসরঅম রাকিব (বিএনপি), সিফাত জেরিন তুলি (বিএনপি), সেকেন্দার আলী (বিএনপি), আব্দুল বারি (বিএনপি), আহসান হাবিব রঞ্জু (আওয়ামী লীগ) ও সোমা খাতুন (আওয়ামী লীগ)।
প্রসঙ্গত, বিগত দুই বছর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সংখ্যাগরিষ্ঠ পদে জয় পেয়েছিল ক্ষমতাসীনরা। এর মধ্যে ২০১৮ সালে ১৮টি পদে এবং ২০১৯ সালে ২০টি পদে জয় পায় আওয়ামী লীগপন্থী প্যানেল।