শনিবার সকাল ৮টার দিকে টাউন জামে মসজিদে খুলনায় ঈদুল-আযহার প্রধান ও প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। তবে করোনা সংক্রমণের কারণে উন্মুক্ত স্থানে বা মাঠে কোন ঈদের জামাত হয়নি।
টাউন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোহম্মদ সালেহ জামাতে ইমামতি করেন। একই স্থানে সকাল ৯টায় দ্বিতীয় ও শেষ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল সাড়ে ৮টায় কোর্ট জামে মসজিদে একটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। বায়তুন নূর জামে মসজিদ কমপ্লেক্স-এ পবিত্র ঈদের দু’টি জামায়াত হয়। সকাল ৮টায় প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা ইমরান উল্লাহ এবং সকাল ৯টায় দ্বিতীয় জামায়াতে ইমামতি করেন মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা আব্দুল গফুর।
খুলনা বিশ্বদ্যিালয়ে পবিত্র ঈদুল আযহার নামাজের জামাত সকাল ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন নতুন কেন্দ্রীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় জামে মসজিদে সকাল ৮টায়, একই সময় সরকারি বিএল কলেজ জামে মসজিদে জামাত অনুষ্ঠি হয়। আল-হেরা জামে মসজিদ প্রথম জামাত সকাল ৭টায় দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায়, ইসলামপুর জামে মসজিদে সকাল ৮টায়, রায়পাড়া জামে মসজিদে সকাল ৮টায়, মজিদিয়া খানজাহান নগর জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, গিলাতলা গাজীপাড়া বায়তুন নাজাত জামে মসজিদে সকাল ৮টায়, গিলাতলা বায়তুল হামদ্ জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, মোল্লাপাড়া জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, শেখপাড়া বায়তুল আমান জামে মসজিদে সাড়ে ৭টায়, গিলাতলা বাজার (ফাঁড়ি) মসজিদে সকাল ৭টায়, শিরোমনি পূর্বপাড়া বায়তুল আক্সা জামে মসজিদে সকাল ৮টায়, শিরোমণি বায়তুল মা’মুর (বাজার) জামে মসজিদে সকাল ৭টায়, ৮টায় ও ৯টায়, ফুলবাড়ীগেট বাজার জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, ফুলবাড়ীগেট বায়তুল আমান জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনা আলিয়া কামিল মাদরাসা জামে মসজিদ, রূপসা বায়তুশ শরীফ জামে মসজিদ, সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকা (২য় ফেজ) বায়তুল্লাহ জামে মসজিদসহ খুলনা সিটি করপোরেশনের ৩১টি ওয়ার্ডের মসজিদসমূহে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৮টা মধ্যে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া জেলার নয় উপজেলার মসজিদসমূহে শান্তিপূর্ণভাবে ঈদুল-আযহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়। যারা মাস্ক না পরে আসেননি তাদের মসজিদে ঢুকতে দেয়া হয়নি। অনেক মসজিদের পক্ষ থেকে মাস্ক না নিয়ে আসা মুসল্লিদের মাস্ক দেয়া হয়েছে। নামাজের কাতার হয়েছে ফাঁকা ফাঁকা দাঁড়িয়ে। মসজিদের প্রবেশ মুখেই স্যানিটাইজার দেয়া হয়েছে মুসল্লিদের।
জামাত শেষে খুতবা পেশ করা হয়। এরপর দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বৈশ্বিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতদের জন্য দোয়া করা হয়েছে। একই সাথে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য মহান আল্লাহর কাছে সাহায্য কামনা করা হয়েছে। নামাজ শেষে কোথাও কাউকে কোলাকুলি করতে দেখা যায়নি।