পঞ্চগড়
বিয়ের কথা বলে ডেকে নিয়ে কিশোরিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ!
পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে দশম শ্রেণির এক কিশোরীকে বিয়ের কথা বলে ডেকে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার পুরাতন আটোয়ারী এলাকার বন্দর পাড়া গ্রামের একটি চা বাগানে এই ঘটনা ঘটে।
ওই কিশোরীর বাড়ি তেঁতুলিয়া উপজেলায়। বর্তমানে সে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এই ঘটনায় আটোয়ারী থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ধর্ষকরা হলো- আটোয়ারী উপজেলার পুরাতন আটোয়ারী মালগোবা গ্রামের হাসান (২৫), একই উপজেলার ফতেহপুর গ্রামের মো. সবুজ (৩০), আমিনুল ইসলাম ওরফে ডিপজল (২৫), মো. নজরুল (৪০), কৈলাসের ছেলে অমর (৩০) ও রহমান (৫০)।
জানা গেছে, মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক হয় কিশোরীর। এরপর একবছর ধরে কিশোরী তার মামার বাড়িতে যাওয়া আসার সুবাদে প্রেমিক হাসানের সঙ্গে দেখা হয়। এক পর্যায়ে কিশোরী গভীর প্রেমের সর্ম্পকে জড়িয়ে পড়ে। শনিবার সকাল দশটায় সে বাড়ি থেকে বের হয়ে স্কুলে যায়। এরমধ্যে তাকে মোবাইল ফোনে কল করে বিয়ে করবে বলে পঞ্চগড়ে ডেকে নেয় প্রেমিক হাসান। বিকালে পঞ্চগড় পৌঁছালে কাজী অফিসে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রাত ৮ টার দিকে আটোয়ারী উপজেলার পুরাতন আটোয়ারী এলাকার বন্দরপাড়া গ্রামে সড়কের পাশে চা বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে প্রথমে প্রেমিক হাসান ও তার বন্ধু আব্দুর রহমান তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে ধামোর ইউনিয়নের আরও কয়েকজন সেখানে উপস্থিত হলে হাসান ও আব্দুর রহমান ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। কিশোরীকে একা পেয়ে তারাও ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে কিশোরীকে ফেলে তারা সবাই পালিয়ে যায়। ধর্ষক অমর সেখান থেকে বন্দরপাড়ার রাস্তার পাশে কিশোরীকে অসুস্থ অবস্থায় রেখে পালিয়ে যায়। গভীর রাতে মান্নান নামে এক পথচারী কিশোরীকে অসুস্থ অবস্থায় দেখে উদ্ধার করে বন্দর পাড়া গ্রামের নায়েব আলীর বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে কিশোরী নায়েব আলীকে সব ঘটনা খুলে বললে কিশোরীর খালুকে সংবাদ দেয়। তার খালু ভোর রাতে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে তাকে ভর্তি করেন।
পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার মো. ইউসুফ আলী জানান, ধর্ষকদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে। দুই একজনকে ধরাও হয়েছে। অভিযান শেষে থানায় মামলা দায়ের করা হবে এবং বিস্তারিত জানানো হবে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে চলন্ত বাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: ৫ আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
যৌন হয়রানির অভিযোগে নেত্রকোনায় সরকারি কর্মকর্তার স্ট্যান্ড রিলিজ
পঞ্চগড়ে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু
পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে বলে মঙ্গলবার পুলিশ জানিয়েছে।
তেতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)জাহাঙ্গীর আলম জানান, নিহতরা হলো-শালবাহান ইউনিয়নের খালপাড়া এলাকায় আব্দুল হান্নানের ছেলে মজিবর রহমান (৮) ও মেয়ে হাবিবা (৬)।
সোমবার সন্ধ্যায় বাবা আব্দুল হান্নান নতুন করে বাড়ি করার জন্য শালবাহান ইউনিয়নের খালপাড়া এলাকার একটি পুকুরের পাড় থেকে ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে নালাগছ এলাকায় ইট নিয়ে আসার সময় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বন্যার পানিতে ডুবে সিলেটে কিশোরের মৃত্যু
ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, সোমবার সন্ধ্যায় বাবা আব্দুল হান্নান নতুন করে বাড়ি করার জন্য শালবাহান ইউনিয়নের খালপাড়া এলাকার একটি পুকুরের পাড় থেকে ব্যাটারি চালিত ভ্যানে করে নালাগছ এলাকায় ইট নিয়ে যান। এই সময় তার সাথে মজিবর ও হাবিবা যায়। একপর্যায়ে তিনি মজিবর ও হাবিবাকে খালপাড়া পুকুরের পাড়ে রেখে পার্শ্ববর্তী নতুন বাজার এলাকায় যান এবং ফিরে এসে তাদের না পেয়ে পরিবারের সদস্যরাসহ অনেক খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় পরিবারের সদস্যরা ওই পুকুরের পানিতে নেমে তাদের ডুবন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: শিশু কন্যাকে বাঁচাতে গিয়ে পানিতে ডুবে মায়ের মৃত্যু
এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফের মতে, বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৪ হাজার শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়।
দেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ হচ্ছে পানিতে ডুবে যাওয়া।
ট্রেনে সেলফি তুলতে গিয়ে কিশোরের মৃত্যু
জয়পুরহাটে চলন্ত ট্রেনে সেলফি তোলার সময় ব্রিজের রেলিংয়ের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে নিখোঁজ এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করেছে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস।
রবিবার জয়পুরহাটের আাক্কেলপুর উপজেলার হলহলিয়া ব্রিজে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মেহেদী হাসান (১৬) পঞ্চগড় জেলা সদরের রাজমহল এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রবিবার ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সন্ধ্যা ৬টার দিকে আক্কেলপুর উপজেলার হলহলিয়া রেল ব্রিজ অতিক্রম করছিল। এসময় ট্রেনের ভিতর থেকে মাথা বের করে সেলফি তোলার সময় ওই ব্রিজের রেলিংয়ের সঙ্গে মেহেদীর ধাক্কা লাগে এবং সে ব্রিজের নিচে তুলশীগঙ্গা নদীতে পড়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাত ১০টা পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চালিয়ে লাশ উদ্ধার করতে পারে নি। পরে সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল মেহেদীর লাশ উদ্ধার করে।
সান্তাহার রেলওয়ের থানার উপপরির্দশক (এসআই) দোলোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনার প্রায় সাড়ে ১৪ ঘণ্টা পর লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের পর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় নদীতে পড়ে স্কুলছাত্র নিহত
সেলফি তুলতে গিয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে কিশোরের মৃত্যু
মহানন্দায় ধরা পড়লো ৩২ কেজির বাঘাইড় মাছ
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় মহানন্দা নদীতে সম্প্রতি একদল যুবকের জালে ৩২ কেজি ওজনের একটি বাঘাইড় মাছ ধরা পড়েছে।
এ ব্যাপারে বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদরত ই খুদা মিলন জানান, তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের দক্ষিণ কাশিমগঞ্জ গ্রামের সোহাগ, আনিছুর, মনছুর, বকুলসহ কয়েকজন যুবক মহানন্দা নদীতে মাছ ধরতে যায়। নদীর পানিতে বড় মাছের অবস্থান টের পেয়ে তারা জাল ফেলেন। এক পর্যায়ে জাল দিয়ে মাছটি ধরে নদীর পাড়ে নিয়ে আসেন। মাছটি বাসায় নিয়ে আসলে উৎসুক জনতা মাছটি এক নজর দেখতে ভিড় জমান।
আরও পড়ুন: সিলেটের বাজারে ২০০ কেজি ওজনের বাঘাইড় মাছ!
মাছ ধরা দলের সদস্য বকুল, আনিছুর ও মনছুর জানান, শখের বসে বন্ধুরা মিলে প্রতিবছর মহানন্দায় মাছ ধরতে যাই। এর আগেও বাঘাইড় মাছ ধরেছি। তবে এবারের বাঘাইড় মাছটি বড়। কিছু মাছ নিজেদের জন্যে রেখে অবশিষ্ট মাছ প্রতি কেজি ১৫০০ টাকা দরে বাজারে বিক্রি করা হয়েছে। নদী থেকে বড় মাছ ধরতে পারাটা সত্যিই আনন্দের।
পঞ্চগড়ে পৃথক ঘটনায় নিহত ৩
পঞ্চগড়ে পৃথক ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সদর ও তেঁতুলিয়া উপজেলায় এসব ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-তেতুঁলিয়া উপজেলার শালবাহানহাট ইউনিয়নের লোহাকাচি গ্রামের জহিরুল ইসলাম (৫০), সদর উপজেলার আজাদপুর এলাকার মৃত কানজু মোহাম্মদের ছেলে শহীদুল ইসলাম (৪০) এবং একই উপজেলার বুড়িমুটকি এলাকার মৃত মোশাররফ হোসেনের ছেলে শহিদ (৪০)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কের ট্রাক টার্মিনাল এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী জহিরুল ইসলাম নিহত হয়েছেন। এ সময় তার ছেলে এনামুল হক (৩৫) গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। আহত এনামুলকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বড় ভাইয়ের ইটের আঘাতে ছোট ভাই নিহত!
পঞ্চগড় সদর উপজেলার আজাদপুর এলাকায় ডিস-ক্যাবলের সংযোগ বিছিন্ন করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শহীদুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। বিদ্যুতায়িত হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে তেতুঁলিয়া উপজেলার বুড়িমুটকি এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহীদ নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ সময় শহীদের ভগ্নিপতি সাদ্দাম আহত হন।
পুলিশ জানায়, তেঁতুলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের বুড়িমুটকি এলাকার শান্তি রানী নামে এক নারীর বাড়িতে সলিম উদ্দীন নামে এক ব্যক্তির যাতায়াত ছিল। এ নিয়ে সোমবার রাতে সলিমের সঙ্গে শহীদ ও সাদ্দামের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে সলিমের লোকজনের মারধরে শহীদ ও সাদ্দাম আহত হন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের তেতুঁলিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শহীদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শহীদের স্ত্রী ফেন্সি আক্তার বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামি করে তেতুঁলিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে মাছধরা নিয়ে বিরোধে ২ ভাই নিহত
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়া ও তেতুঁলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ছায়েম মিয়া পৃথক পৃথক ঘটনায় তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পঞ্চগড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৩
পঞ্চগড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ইব্রাহিম হোসেন (৬৫) নামে এক পথচারী নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছে তিন মোটরসাইকেল আরোহী।
শনিবার পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কের সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের পঞ্চগড় ফিলিং স্টেশনের সামনে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত ইব্রাহিম সদর উপজেলার পঞ্চগড় ইউনিয়নের ডুডুমারি ফকিরপাড়া গ্রামের মৃত দজির উদ্দিনের ছেলে এবং পেশায় একজন মৌসুমী ব্যবসায়ী।
এ ঘটনায় আহতেরা হলো- নাহিদ (১৮), রাকিব (১৭) এবং রাফি (১৮)। আহতদের বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার গড়েয়া এলাকায়।
ধাক্কামারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম দুলাল জানান, নিহত ইব্রাহিম পঞ্চগড় ফিলিং স্টেশন থেকে হাতমুখ ধুঁয়ে মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। তিনজন আরোহী একটি মোটরসাইকেলে করে পঞ্চগড় থেকে ঠাকুরগাঁওয়ের দিকে যাচ্ছিল। মোটরসাইকেলটি রাস্তা পার হওয়ার সময় ইব্রাহিমকে ধাক্কা দেয়। এতে মহাসড়কে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। মোটরসাইকেল আরোহী তিনজনও মহাসড়কে পড়ে আহত হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের চিকিৎসক ইব্রাহিমকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের তিনজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়া সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত ও তিনজন আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মোটরসাইকেলটিকে জব্দ করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: রাজনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় এসআই নিহত, আসামিসহ আহত ৭
মৌলভীবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় এসআই নিহত, আহত ৮
রোহিনীর ঘরে এখন এক বউ
এক সঙ্গে দুই প্রেমিকাকে বিয়ে করে ভাইরাল হয়েছিলেন পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীদার ইউনিয়নের যামিনী চন্দ্র রায়ের ছেলে রোহিনী চন্দ্র রায়। তবে বিয়ের ২২ দিনের মাথায় তার দ্বিতীয় স্ত্রী মমতা রানীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গেছে।
গত বৃহস্পতিবার (১২ মে) উভয়পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে বিচ্ছেদ হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
মমতা রানীর ভাই পলাশ চন্দ্র রায় বলেন, ‘দুই বিয়ের বিষয়টি আমরা আর বাড়াবাড়ি করতে চাই না। সমাজে এমনিতেই আমাদের অনেক কথা শুনতে হয়েছে। বোনের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের পরিবারের পক্ষে এ নিয়ে কোন অভিযোগ নেই।’
পড়ুন: বিয়ের দাবিতে সেনা সদস্যের বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থান
পঞ্চগড়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এক স্কুল শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার উপজেলার দেবীগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষিখামার ধরধরা সেতু এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ইশাদ (১৫) ওই ইউনিয়নের কলেজপাড়া এলাকার কুরবান আলীর ছেলে এবং জমিরউদ্দিন দাখিল মাদরাসার অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। ।
আহতরা হলো-দেবীগঞ্জ উপজেলার দেবীগঞ্জ ইউনিয়নের কলেজপাড়া এলাকার রাজু ইসলামের ছেলে শাহীন (২৫) ও একই এলাকার সামিনুরের ছেলে জীবন (১০)।
আরও পড়ুন: পাবনায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
দেবীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম এমু জানান, ইশাদসহ তার দুই প্রতিবেশী শাহীন ও জীবন মোটরসাইকেলে করে সোনাহার এলাকায় ঘুরতে যাচ্ছিল। এসময় ধরধরা সেতু এলাকায় মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর সঙ্গে ধাক্কা লাগে। স্থানীয়রা তাদের তিনজনকে উদ্ধার করে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ইশাদকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত শাহিন ও জীবনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদেরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
দেবীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. হেলাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: রংপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫
বিচারকের হস্তক্ষেপে ফের ১৭ বছরের পুরনো সংসারে ফিরলেন তারা
পঞ্চগড়ে দাম্পত্য কলহের জেরে ধরে রাগের বশবতি হয়ে স্বামী শাহানুর ইসলাম (৪২) প্রায় ছয় মাস আগে স্ত্রী আকতারা বানুকে (৩৬) তালাক দেন। এতে ভেঙে যায় ওই দম্পতির ১৭ বছরের সংসার।
এদিকে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী গত ৩০ মার্চ আদালতে যৌতুক ও নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করলে অবশেষে বিচারকের হস্তক্ষেপে পুনরায় বিয়ের মাধ্যমে আবারও সংসার শুরু করলেন তারা।
রবিবার পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মতিউর রহমানের হস্তক্ষেপে বিচ্ছেদ থেকে মুক্তি পান ওই দম্পতি।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বৃদ্ধ দম্পতিকে নিজ বাড়িতে ফিরিয়ে দিল পুলিশ
বিচারকের খাস কামরায় মৌলভী ডেকে দুই আইনজীবী ও পরিবারের লোকজনের সামনে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক ১ হাজার টাকা নগদ দেন মোহরানায় তাদের পুনরায় বিয়ে পড়ানো হয়।
জেলার বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের বারপাটিয়া গ্রামে বসবাস করে আসছেন এই দম্পতি।
আদালত, আইনজীবী ও দম্পতি জানায়, দাম্পত্য কলহের জেরে ১৭ বছরের সংসার জীবনে গত ছয় মাস আগে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। দুই মেয়েকে নিয়ে আকতারা বানু বাবার বাসায় ফিরে যান। ছেলে সন্তান রয়ে যায় বাবার সঙ্গে। এ ঘটনার পর আকতারা বানু স্বামীর বিরুদ্ধে গত ৩০ মার্চ আদালতে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলা করেন। রবিবার আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন শাহানুর। তার ইচ্ছে ছিল আদালতেই দেনমোহরের ১ লাখ ১ হাজার টাকা পরিশোধ করবেন। কিন্তু আদালতের এজলাসে জামিন নিতে উপস্থিত হলে নাটকীয়তার মোড় নেয়। তিন সন্তানকে দেখে ওই দম্পত্তি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। জামিন আবেদনের শুনানির সময় বিচারকও তিন সন্তানের মুখ চেয়ে এই দম্পতিকে কলহ ভুলে আবার সংসারে ফেরার অনুরোধ করেন। বিচারকের কথায় কিছুক্ষণ চিন্তা ভাবনা করে ওই দম্পতি আবারও সংসারে ফিরতে সম্মতি জানান। পরে বিচারকের খাস কামরায় আদালত মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল খালেক তাদের বিয়ে দেন। পরে আপোষনামা দাখিলের পর আদালতের আইনী প্রক্রিয়া শেষে তিন সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফিরে যান শাহানুর ও আকতারা বানু দম্পতি।
আকতারা বানু বলেন, ‘আমি আমার সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। এখন আমরা আবারও এক সাথে থাকবো। আমি বিচারকের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে নদীতে গোসল করতে নেমে নব দম্পতির মৃত্যু
শাহানুর রহমান বলেন, ‘আমরা সুখে ছিলাম কিন্তু পারিবারিক কাজ কর্ম নিয়ে একটু ঝগড়া বিবাদ হলেই আমার স্ত্রী তার বাবার বাড়িতে চলে যেতো। তাই রাগে আমি স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলাম।’ তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রী আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা করায় আমি আরও রেগে যাই। আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক আমাকে তিন সন্তানের দিকে চেয়ে আপোষের কথা বলেন। তখন ভেবে চিন্তে আমি আপোষ করার সিদ্ধান্ত নেই।’
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাজিজুর রহমান বলেন, খুব সামান্য বিষয়ে তালাক দিয়েছিলেন শাহানুর। এই বিচারে একটি সংসার রক্ষা পেয়েছে। আমরা বাদী বিবাদী আইনজীবীরাও এতে খুশি।
পঞ্চগড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্য নিহত, আটক ৪
পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় সোমবার সড়ক দুর্ঘটনায় ৫২ বছর বয়সী এক চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নারীসহ চার জনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত মইনুল হক ওই এলাকার মৃত আব্দুল ওয়াহাবের ছেলে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন-আনিসুর রহমান (৩৫), তার স্ত্রী লাকী আক্তার (৩৪), আনিসুরের চাচাতো ভাই মাসুদ রানা (৩৫) ও আকিবুল (৩৪)। তাদের সবার বাড়িও একই এলাকায়।
আরও পড়ুন: চবি শাটলে পাথর নিক্ষেপ, আটক ৩
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ধামোর ইউনিয়নের দানাবীর গ্রামের কৃষক আনিসুর রহমানের পাট খেত দিয়ে নিহত মইনুলের বড় ভাই আনোয়ার হোসেন বাচ্চু গমের বোঝা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এ নিয়ে আনিসুরের সঙ্গে বাচ্চুর কথা কাটাকাটি হয়। এসময় ওই পুলিশ সদস্য উপস্থিত হলে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আনিসুরের পরিবারের সদস্যরা লাঠিসোটা নিয়ে মইনুলকে ধাওয়া করে। এসময় মইনুল মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়া সময় রাস্তার পাশের একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে আহত হন বলে দাবি করা হয়।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মঈনুলকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশের সুরহতাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
আরও পড়ুন: মায়ের লাশ আটকে রেখে দুই ছেলেকে পুলিশে দিল ইন্টার্ন চিকিৎসকরা
আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা জানান, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার জনকে আটক করা হয়েছে।
তিনি জানান, এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।