রাষ্ট্রপতি
মুক্তিযুদ্ধ-স্বাধীনতা বিরোধীদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকুন: রাষ্ট্রপতি
মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার বিরোধীরা যাতে ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সেক্টর কমান্ডার ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ '৭১-এর ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।
সারাদেশের মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের তরুণ প্রজন্ম কাউন্সিলে যোগ দেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও উন্নয়নে মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা তুলে ধরেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন।
তিনি বলেন, দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা অর্জন করলেও স্বাধীনতাবিরোধীদের ষড়যন্ত্র থামেনি। তারা এখনও সক্রিয়।
আরও পড়ুন: ৪৩তম আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দিতে জাকার্তার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন রাষ্ট্রপতি
১৯৭১ সালের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের দাবি তোলায় সেক্টর কমান্ডার ফোরামের ভূমিকার প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতেও এই দাবি আদায়ে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দেশীয় মিত্রদের দ্বারা একাত্তরে সংঘটিত গণহত্যা, ধর্ষণ, মানবতাবিরোধী অপরাধের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি হচ্ছে ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের দাবি।
মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি এখনো সক্রিয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে এ দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধবিরোধীরা যত বাধাই সৃষ্টি করুক না কেন, আমরা তাদের প্রতিহত করব।
কৃষক, শ্রমিক ও যুবকদের যুদ্ধক্ষেত্রে উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য সেক্টর কমান্ডার ফোরামের অনেক অবদান রয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সবাইকে দেশের উন্নয়নের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে কাজ করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন:মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বঙ্গবন্ধুর খুনিরা এবং মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত বাহিনী সংবিধানের মূল চেতনাকে ধ্বংস করেছে,’ বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রপতি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন ও অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘গত ১৫ বছরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রখর হয়েছে। এই সরকার জনগণের সরকার। এর সব কর্মকাণ্ডই জনবান্ধব।’
১৯৭১ সালের গণহত্যার জন্মলগ্ন থেকেই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করছে ফোরামটি।
এতে বক্তব্য দেন সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের কার্যকরী সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল আলম, উপদেষ্টা সারোয়ার আলী, সহসভাপতি এম হামিদ ও সাধারণ সম্পাদক হারুন হাবিব।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বিষয়ে সেক্টর কমান্ডার ফোরাম কর্তৃক প্রকাশিত ‘জেনোসাইড ৭১’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ভিয়েতনামের বিনিয়োগ চান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
বাংলাদেশে ভিয়েতনামের বিনিয়োগ চান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে ভিয়েতনামের বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
শুক্রবার (২২ সেপ্টম্বর) দুপুরে সফররত ভিয়েতনামের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির প্রেসিডেন্ট ভুয়ং দিন হুয়ে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: জাকার্তায় রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে আইওআরএ সেক্রেটারি জেনারেলের সৌজন্য সাক্ষাৎ
ভিয়েতনামের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে অত্যন্ত চমৎকার সম্পর্ক বিদ্যমান।
বাংলাদেশে ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট ও ভিয়েতনামে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির সফরের উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে দু দেশের মধ্যে সম্পর্ক দৃঢ় হয়েছে । রাষ্ট্রপতি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বিনিয়োগ বাড়াতে বাংলাদেশ থেকে ওষুধ, তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, সিরামিকসসহ বিশ্বমানের পণ্য আমদানি করতে ভিয়েতনামের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়লগ পার্টনার হতে বাংলাদেশের প্রতি ভিয়েতনামের সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করেন।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আশা করেন, রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক স্বদেশ প্রত্যাবাসনে ভিয়েতনাম বড় ভূমিকা পালন করবে।
সাক্ষাৎকালে ভিয়েতনামের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির প্রেসিডেন্ট ভুয়ং দিন হুয়ে বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক বাড়াতে গভীরভাবে আগ্রহী তার দেশ।
বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে সরকারের লক্ষ্য বাস্তবায়নে তার দেশ সহযোগিতা দিয়ে যাবে।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া , সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম , প্রেস সচিব জয়নাল আবেদন, সচিব সংযুক্ত মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান ও ভিয়েতনামের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির প্রেসিডেন্টের সফরসঙ্গীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর বিদায়ী সাক্ষাৎ
১২ দিনের সফর শেষে দেশে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
রোহিঙ্গাদের নিজেদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও স্থায়ী প্রত্যাবাসনে জরুরি পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর প্যান-প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (বিডিআরসিএস) সপ্তম অংশীদারি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ মানবিক কারণে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের জন্য এর সীমান্ত খুলে দিয়েছে। বর্তমানে দেশটি মিয়ানমার থেকে প্রায় ১ দশমিক ২ মিলিয়ন জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষকে আশ্রয় দিচ্ছে। এছাড়া তাদের খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয়তা সরবরাহ করছে।
আরও পড়ুন: ৪৩তম আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দিতে জাকার্তার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন রাষ্ট্রপতি
তিনি আরও বলেন, ‘এই সংকটের ভার যে কেবল আমাদের কাঁধেই বর্তাবে না তা বোঝা অপরিহার্য। যদিও আমরা তাদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। এখন সময় এসেছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মিয়ানমারে এই সংকটের একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করার।’
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সতর্ক করে বলেছেন যে- রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও স্থায়ী প্রত্যাবাসন শুরু করতে বিলম্ব এবং মানবিক সহায়তার অভাব সমগ্র অঞ্চলকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে।
রাষ্ট্রপতি জলবায়ু পরিবর্তনকে একটি বৈশ্বিক সংকট হিসেবে উল্লেখ করেছেন, যা বৈশ্বিক সহযোগিতার দাবি রাখে।
তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে এবং বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতিকে সম্মান করার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন শুরু হয় ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে যখন এই সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে এবং 'ডিজিটাল বাংলাদেশ'-এর মতো কৌশল গ্রহণ করে; 'রূপকল্প-২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১' এবং 'স্মার্ট বাংলাদেশ' যা আমাদের অর্জিত উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে।’
তিনি বলেন, দারিদ্র্য ও প্রতিকূলতাকে পেছনে ফেলে উন্নয়নের যাত্রায় বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে।
আরও পড়ুন: ১২ দিনের সফর শেষে দেশে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিকে আশা, সহানুভূতি ও নিঃস্বার্থতার বাতিঘর আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, এটি মানবতার মূল মর্মকে প্রতিনিধিত্ব করে।
তিনি আরও বলেন, ‘সপ্তম অংশীদারিত্ব সভার মাধ্যমে, আমরা কেবল রেড ক্রিসেন্টের স্থায়ী চেতনাই উদযাপন করছি না, বরং অগণিত ব্যক্তি, সংস্থা এবং স্বেচ্ছাসেবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে উদযাপন করছি যারা এটি সম্ভব করেছে।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- বিডিআরসিএস মহাসচিব শফিকুল আলম।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুল ওয়াহাদ রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে সম্মানসূচক ক্রেস্ট প্রদান করেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান, রেড ক্রসের ইন্টারন্যাশনাল কমিটির বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের প্রধান অ্যাগনেস ধুর, আঞ্চলিক পরিচালক (এশিয়া-প্যাসিফিক) ইন্টারন্যাশনাল রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি আলেকজান্ডার ম্যাথাউও বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: জাকার্তায় ১৮তম পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলন: দ্রুত রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানের আহ্বান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের
১২ দিনের সফর শেষে দেশে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
সিঙ্গাপুর ও ইন্দোনেশিয়ায় ১২ দিনের সফর শেষে শনিবার ঢাকায় পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন ইউএনবিকে বলেন, রাষ্ট্রপতিকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি বিমান (ফ্লাইট নম্বর বিজি-৫৮৫) সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
আরও পড়ুন: জাকার্তায় ১৮তম পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলন: দ্রুত রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানের আহ্বান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের
মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, কূটনৈতিক কোরের ডিন, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু এইচ সুবলো, তিন বাহিনীর প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: জাকার্তায় রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে আইওআরএ সেক্রেটারি জেনারেলের সৌজন্য সাক্ষাৎ
৮ সেপ্টেম্বর, ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে চেক-আপের জন্য সিঙ্গাপুরে যান রাষ্ট্রপতি।
ইন্দোনেশিয়ায়, তিনি ৪৩তম অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ-ইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান) শীর্ষ সম্মেলন, ১৮তম পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন। এ ছাড়া ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাইডলাইনে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পাশাপাশি অন্যান্য কর্মসূচিতে যোগ দেন।
এর আগে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও আসিয়ান চেয়ার ২০২৩ জোকো উইডোডোর আমন্ত্রণে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ৪ সেপ্টেম্বর জাকার্তার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: জাকার্তায় আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
জাকার্তায় আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ৪৩তম আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার জাকার্তার একটি কনভেনশন সেন্টারে ‘এশিয়ান ম্যাটারস : এপিসেন্ট্রারাম অব গ্রোথ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়।
স্বাগতিক ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো আনুষ্ঠানিকভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১১টি দেশের অ্যাসোসিয়েশনের শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
রাষ্ট্রপতি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরে কনভেনশন সেন্টারের প্লেনারি হলে রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে একটি গ্রুপ ফটোশুটেও অংশ নেন। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রয়েছেন তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা।
রাষ্ট্রপতির সফরসঙ্গীদের মধ্যে আছেন অটিজম ও নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার বিষয়ক বাংলাদেশের জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর বাণী ছড়িয়ে দিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করুন: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
প্রেসিডেন্ট রবিবার জাকার্তায় পৌঁছেছেন। এছাড়াও তিনি এখানে ৫ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ১৮তম ইষ্ট এশিয়া সম্মেলনেও যোগ দেবেন।
বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতিকে ফুল দিয়ে বরণের পাশাপাশি ইন্দোনেশিয়ার ঐতিহ্যবাহী নৃত্যের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয়।
রাষ্ট্রপতি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে জাকার্তা পৌঁছেছেন।
রাষ্ট্রপতি ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো এবং থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং তিমুর-লেস্তের রাষ্ট্রীয় নেতাদের সঙ্গেও পৃথক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
৬ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি হুতান কোটা গেলোরা বুং কার্নোতে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট আয়োজিত 'গালা ডিনার'-এ যোগ দেবেন।
জাকার্তা থেকে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন তার স্ত্রীকে নিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরে যাবেন।
সূচি অনুযায়ী আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রধান স্কাউট হিসেবে শপথ নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
আসিয়ান সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেবেন
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ৪৩তম আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলন এবং ১৮তম পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত উড়োজাহাজ রাষ্ট্রপতি ও তার স্ত্রী অধ্যাপক ডা. রেবেকা সুলতানা এবং অন্যান্য সফরসঙ্গীদের নিয়ে সকাল সাড়ে ৮টায় হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাকার্তার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে।
অটিজম ও নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার বিষয়ক বাংলাদেশের জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপার্সন সায়মা ওয়াজেদ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনও সফরে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে থাকবেন।
প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন বলেন, রাষ্ট্রপতি জাকার্তা কনভেনশন সেন্টারে (জেসিসি) আসিয়ান (অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস) শীর্ষ সম্মেলন এবং পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন।
‘আসিয়ান ম্যাটার্স: এপিসেন্ট্রাম অব গ্রোথ’ থিম নিয়ে তিন দিনের আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলাকারী ১৬ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি চুয়াডাঙ্গায় গ্রেপ্তার
আসিয়ান সম্মেলনের পাশাপাশি তিনি ৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় ‘ইস্ট এশিয়া সামিট’-এও যোগ দেবেন।
পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন গেস্ট অব চেয়ার হিসেবে আইওআর এর দৃষ্টিকোণ থেকে বৃদ্ধির কেন্দ্রকে সমর্থন করার জন্য আঞ্চলিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করার বিষয়ে সমাপনী ভাষণ দেবেন।
এছাড়াও তিনি তার ইন্দোনেশিয়ার প্রতিপক্ষ জোকো উইডোডো এবং থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও তিমুর-লেস্তের রাষ্ট্রীয় নেতাদের সঙ্গে পৃথক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
৬ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি হুতান কোটা গেলোরা বুং কার্নোতে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি কর্তৃক আয়োজিত গালা নৈশভোজে যোগ দেবেন।
জোকো উইডোডো ৪৩ তম আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে ১২টি বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন।
এএসইএএন হল ১১টি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির একটি আন্তঃসরকারি সংস্থা- ব্রুনাই দারুসসালাম, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, লাও পিডিআর, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও তিমুর লেস্টে বা পূর্ব তিমুর।
আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলন হল এর সদস্যদের দ্বারা অনুষ্ঠিত একটি দ্বিবার্ষিক সভা।
আসিয়ান সচিবালয় অনুসারে, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি ১৮তম পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনের (ইএএস) সভাপতিত্ব করবেন।
১০টি আসিয়ান দেশ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়ান ফেডারেশন, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভারতসহ ১৮ সদস্য নিয়ে এটি গঠিত।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ ফোরামের নেতা, কানাডার প্রধানমন্ত্রী, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্বাহী পরিচালক এবং বিশ্বব্যাংক (বিশ্বব্যাংক)ও আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন বলে জানা গেছে।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের সফরে বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে জ্বালানি ও স্বাস্থ্য সহযোগিতার বিষয়ে বিভিন্ন খাতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা ছাড়াও দুটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলন এবং পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলন শেষ করে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন তার স্ত্রীসহ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে জাকার্তা ত্যাগ করবেন।
সংশোধিত সময়সূচি অনুসারে রাষ্ট্রপতি ১৬ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রেবেকা মমিন ও আব্দুল কুদ্দুসের মৃত্যুতে সংসদে শোকপ্রস্তাব গৃহীত
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পাকিস্তানের হাইকমিশনারের বিদায়ী সাক্ষাৎ
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পাকিস্তানের হাইকমিশনারের বিদায়ী সাক্ষাৎ
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন গণমাধ্যমকে বলেন, সাক্ষাতের সময় হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের কাছে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের একটি শুভেচ্ছাপত্র হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জাভেদ তানভীর
তিনি বাংলাদেশে তার মেয়াদ পূরণে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের জন্য রাষ্ট্রপতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশে তার দায়িত্ব সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য পাকিস্তানের বিদায়ী হাইকমিশনারকে ধন্যবাদ জানান।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাহ উদ্দিন ইসলাম ও সচিব (সংযুক্তি) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধান বিচারপতির সৌজন্য সাক্ষাৎ
আগামী নির্বাচনে পাবনা-৫ আসনে লড়তে আগ্রহী রাষ্ট্রপতির ছেলে
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছেলে আরশাদ আদনান রনি পাবনা-৫ আসন থেকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) রাতে পাবনা শহরের নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রনি এ কথা বলেন।
রনি বলেন, আমি জেলার জনগণকে জানাতে চাই যে- আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাবনা-৫ (সদর) আসনে মনোনয়ন চাইব এবং তিনি রাজি হলে জনগণের জন্য কাজ করতে পারব।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলাদেশিদের গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চায় সহায়তা করবে: ব্রিটিশ হাইকমিশনার
তিনি বলেন, আমার বাবা বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর পাবনার মানুষের জন্য কাজ করছেন।
রনি বলেন, আমার বাবা আমাকে পাবনায় গিয়ে জেলার মানুষের জন্য কাজ করতে বলেছেন।
বাবা আমাকে বললেন, দয়া করে পাবনায় গিয়ে দেখ জনগণ তোমাকে মেনে নেয় কি না।
নিজের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতির ছেলে বলেন, আমি ছাত্র থাকা অবস্থায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগে যোগদান করি। তারপর যুবলীগে যোগদান করি।
তিনি বলেন, কখনো কখনো ব্যবসার কারণে দূরে থাকতাম। বর্তমানে আমি আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক উপকমিটির সদস্য। যেহেতু আমি আওয়ামী পরিবারের একজন সদস্য এবং আমি পাবনার সন্তান তাই আমি বিশ্বাস করি আমার দাবির জায়গা আছে।
রনি আরও বলেন, নৌকাকে বিজয়ী করতে তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন।
তবে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেলে দল যাকেই মনোনয়ন দেবে তার পক্ষে কাজ করবেন বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বিএনপি নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করলে দেশের মানুষ তা প্রতিহত করবে: হাছান মাহমুদ
নির্বাচনের আগে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি আইজিপির
রাষ্ট্রপতির এপিএস সাগর হোসেনের নিয়োগ বাতিল
২২ দিন যেতে না যেতেই রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মোহাম্মদ সাগর হোসেনের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর এপিএস চাকরিচ্যুত
রবিবার (২৭ আগস্ট) এপিএস পদে সাগর হোসেনের নিয়োগ বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
তবে কেন সাগরের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে, সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে কিছু বলা হয়নি।
এর আগে গত ৬ আগস্ট সাগর হোসেন ও আজিজুল হককে এপিএস পদে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির এপিএস হলেন আজিজুল হক ও সাগর হোসেন
রাজধানীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রীর এপিএস আহত
সাবেক ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমানের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
সাবেক ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।
সোমবার (২৮ আগস্ট) এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও শিক্ষাখাতে মতিউর রহমানের অবদান জাতি চিরদিন স্মরণ করবে।
তিনি আরও বলেন, এই একুশে পদক বিজয়ীর মৃত্যুতে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হল।
রাষ্ট্রপতি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা ও সাবেক ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান রবিবার (২৭ আগস্ট) ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
তার ছেলে মুহিত-উর-রহমান শান্ত ইউএনবিকে জানান, সোমবার (২৮ আগস্ট) বাদ আসর ময়মনসিংহ নগরীর আঞ্জুমান ঈদগাহ ময়দানে মতিউর রহমানের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি জানান, তার দুই বোন অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন। তারা দেশে আসছেন। তারা পৌঁছানোর পর আগামীকাল (মঙ্গলবার) দ্বিতীয় আরও পড়ুন: স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও সংগঠকের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোকনামাজে জানাজা শেষে তার বাবাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
১৯৪২ সালে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার আকুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণকারী মতিউর রহমান মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া, তিনি জামালপুরের নান্দিনা কলেজ এবং পরে ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ কলেজে অধ্যাপনা করেন।
তিনি ১৯৮৬ ও ২০০৮ সালে ময়মনসিংহ-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে তিনি ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী নিযুক্ত হন।
তার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
তিনি ১৯৬৯ সালে আলমগীর মনসুর মিন্টু মেমোরিয়াল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন এবং ২০০২ সাল পর্যন্ত এর অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: বীর উত্তম সুলতান মাহমুদের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
পান্না কায়সারের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক