সরকার
আরও ৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার
বাজারে দাম স্থিতিশীল রাখতে রবিবার ৫টি কোম্পানিকে আরও ৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. হায়দার আলীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিটি কোম্পানি এক কোটি ডিম আমদানি করতে পারবে।
কোম্পানিগুলো হলো- ইউনিয়ন ভেঞ্চার লিমিটেড, জেএফজে প্যারাডাইস কানেকশন, লায়েক এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স লাকি এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স পিংকি ট্রেডার্স।
আরও পড়ুন: আরও ৬ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন: বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
তবে যেসব দেশ থেকে ডিম আমদানি করা হবে সেসব দেশের নাম উল্লেখ করা হয়নি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
এর আগে ২৩ আগস্ট বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ঘোষণা দেন, প্রয়োজনে ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ডিমের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সদস্যরা নগরীর বিভিন্ন পাইকারি বাজারে অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করছেন।
আরও পড়ুন: ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার: বাণিজ্য সচিব
আলু, পেঁয়াজ, চিনি, সয়াবিন ও ডিমের দাম নির্ধারণ করেছে সরকার
৩ বছরে ২৪৩২২ একর দখল করা বনভূমি পুনরুদ্ধার করেছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ২০২০ সালের অক্টোবর ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত ২৪ হাজার ৩২২ একর জবরদখল করা বনভূমি পুনরুদ্ধার করে বনায়ন করেছে বর্তমান সরকার।
তিনি বলেন, অবৈধ বনভূমি পুনরুদ্ধারে সফলতার এ ধারা চলমান। যারা বৈধ কাগজপত্র ছাড়া বনের জমি দখলে রাখবে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনা অনুসরণে দেশে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ হচ্ছে: পরিবেশমন্ত্রী
শনিবার (৭ অক্টোবর) ইকোট্যুরিজম উন্নয়ন ও টেকসই ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় টাঙ্গাইলের মধুপুর জাতীয় উদ্যানের দোখলা রেঞ্জে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নবনির্মিত ম্যুরাল উন্মোচনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে ২২ দশমিক ৩৭ শতাংশ বনভূমি আছে। এটি ২৫ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। এজন্য সরকারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জনগণের মধ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে পারলে অবৈধ দখল কমে যাবে এবং মানুষ বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধ হবে। এ বিষয়ে তিনি গণমাধ্যমের সহায়তা কামনা করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, টাঙ্গাইল ৮ আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মো. জোয়াহেরুল ইসলাম, উপপ্রধান বন সংরক্ষক গোবিন্দ রায় এবং কেন্দ্রীয় সার্কেলের বন সংরক্ষক হোসাইন মুহম্মদ নিশাদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: প্লাস্টিক দূষণ রোধে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পকে নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব করতে কাজ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
আ. লীগ ছাড়া বাকি সবাই এ সরকারের অধীনে নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে: ফখরুল
আ. লীগ ছাড়া বাকি সবাই এ সরকারের অধীনে নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ছাড়া সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এ সরকারের অধীনে কেউ নির্বাচন করবে না। তাই সময় থাকতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে দ্রুত পদত্যাগ করুন।’
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বিকাল ৫টায় কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে বিএনপির রোডমার্চ নিয়ে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে পৌছে পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, জনগণ বর্তমান সরকারকে ভোট না দেওয়ার শপথ নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি, অহিংস আন্দোলন করছি। তবে এখনো সময় আছে আমাদের দাবি মেনে নেন, পদত্যাগ করেন।’
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসাকে ঘিরে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমাদের নেত্রী খুব অসুস্থ, তাকে সুচিকিৎসা করতে দিচ্ছে না। আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম জিয়াকে মুক্ত করে তার ঋণ শোধ করব।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে সরকার আটকে রেখেছে। তাকে মিথ্যা মামলা থেকে মুক্ত করে বাঁচাতে হবে।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র থেকে খালি হাতে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী: ফখরুল
তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দোষী সাব্যস্ত করা ভিত্তিহীন অভিযোগ প্রত্যাহার এবং দেশে ফেরার সুবিধার্থে একটি শক্তিশালী আন্দোলনের আহ্বান জানান।
বক্তৃতায় ফখরুল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জনগণের অধিকার হরণ করার অভিযোগ তোলেন।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশের জনগণের অধিকার হরণ করেছে। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। আমরা দু’টি নির্বাচন দেখেছি। এবারের নির্বাচন আগের মতো করতে দেওয়া হবে না।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘আজ কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত যুবসমাজের মিছিলে মানুষ রাজপথে মিছিল করেছে। বর্তমানে সরকারের কোনো বন্ধু বিদেশে নেই, দেশেও নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করা অপরিহার্য। যারা এদেশে নির্বাচনে জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত তাদের সহ্য করা হবে না।’
আগের দিন সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নোয়াখালী থেকে কুমিল্লা, ফেনী ও চট্টগ্রামের মিরসরাই পর্যন্ত রোডমার্চ শুরু করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
রোডমার্চটি সন্ধ্যায় বন্দর নগরীতে এসে পৌঁছায়। প্রতিকূল আবহাওয়া সত্ত্বেও হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মী মিছিলে যোগ দেন।
রোডমার্চ চলাকালে ফেনী ও মিরসরাইয়ে দুটি সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপি নেতারা।
মিরসরাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপত্বে ও সদস্য সচিব গাজী নিজাম উদ্দিনের সঞ্চালনায় সভায় আরও ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মো. শাহাজাহান, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক বেলাল আহম্মদ, কেন্দ্রীয় সাইফ মাহমুদ জুয়েল, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কর্নেল (অব:) আজিম উল্লাহ বাহার, উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল আউয়াল চৌধুরী, বারইয়ারহাট পৌর বিএনপির আহ্বায়ক দিদারুল আলম মিয়াজী, মিরসরাই পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন, সদস্য সচিব জাহিদ হুসাইনসহ জেলা, উপজেলা ও পৌর বিএনপি নেতারা।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘গোপন’ সম্পর্ক নিয়ে কাদেরের দাবি উড়িয়ে দিল বিএনপি
নির্বাচনে জিততে ভোট চুরিই শেখ হাসিনার একমাত্র ভরসা: আমির খসরু
চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও চলতি অর্থবছরে অর্থনীতিকে কোভিড পূর্ব অবস্থায় ফেরানোর আশা সরকারের
অর্থনৈতিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) শেষ নাগাদ অর্থনীতিকে কোভিড-১৯-পূর্ব প্রবৃদ্ধির গতিতে ফিরিয়ে আনার আশা করছে সরকার।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন অর্থ বিভাগের ম্যাক্রোইকোনমি উইং প্রণীত 'মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতিতে ২০২৩-২৪ থেকে ২০২৫-২৬'-এ অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরা হয়েছে।
সংস্থাটি বলছে, ২০২০ সালে মহামারি শুরুর সঙ্গে সঙ্গে গত তিন বছরের বড় অংশের জন্য অর্থনীতি তার দ্রুতগতির প্রবৃদ্ধির গতিপথ থেকে ছিটকে পড়েছিল। উহানে প্রাদুর্ভাবের তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ২০২০ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশে প্রথম কোভিড-১৯ আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছিল।
সম্প্রতি প্রকাশিত ত্রৈমাসিক জিডিপি ডেটা (আইএমএফ নির্ধারিত শর্ত অনুসারে) এটি প্রমাণ করে। এতে দেখা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে (এপ্রিল থেকে জুন ২০২০) অর্থনীতি ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে, কারণ ভাইরাসটি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল।
আরও পড়ুন: দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণমান নেতিবাচকে নামাল ফিচ
গত মাসে পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত আংশিক ত্রৈমাসিক তথ্য অনুসারে, ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৫ থেকে ৮ শতাংশ। চতুর্থ ত্রৈমাসিকে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির (সংকোচন) কারণে অর্থনীতি কতটা ছিটকে পড়েছিল তা এটিতে প্রতিফলিত হয়েছে।
কোভিড-১৯-এর কারণে সৃষ্ট মন্দা আগামী অর্থবছরের (২০২০-২১) প্রথম ৬ মাসের অর্থনৈতিক কর্মক্ষমতাকে হতাশাজনক করে তুলে। এটি তৃতীয় তিন মাসেও (জানুয়ারি থেকে মার্চ,২০২১) পুনরুদ্ধারের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।
২০২১-২২ অর্থবছর শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ একটি সফল টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং লকডাউন বিধিনিষেধ তুলে নিয়ে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় প্রস্তুত বলে মনে হয়েছিল। তৃতীয় ত্রৈমাসিকে (জানুয়ারি থেকে মার্চ, ২০২২) জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশ ছুঁয়েছে।
তবুও যখন পুনরুদ্ধারের কাজ চলছিল, তখন ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বজুড়ে হোঁচট খাওয়া শুরু হয়। আন্তর্জাতিক জ্বালানি বাজারে অস্থিতিশীলতা এবং সরবরাহ শৃঙ্খল বিঘ্নিত হওয়ার ফলে কোভিড পরবর্তী দেশের পুনরুদ্ধারের গতি আবারও হ্রাস পায়।
যদিও কোভিড-১৯-এর কারণে সৃষ্ট সংকোচনের মতো কিছুই ছিল না, তবুও ২০২২ অর্থবছরের শেষ ত্রৈমাসিকে অর্থনীতি মারাত্মক মন্দার সম্মুখীন হয়েছিল, যা আগের ত্রৈমাসিকের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ থেকে মাত্র ২ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'বাংলাদেশও তার অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে প্রস্তুত। তবে প্রকৃত তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা যায়, কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের সময়ও বাংলাদেশ প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শেষ নাগাদ কোভিড-১৯-পূর্ব প্রবৃদ্ধির পথে ফিরে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: বাংলদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ২১.১৫ বিলিয়ন ডলার, যা বলছেন অর্থনীতিবিদরা
সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী চলতে থাকলে এবং তা ধরে রাখতে পারলে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে আবারও ৮ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব।
অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় পরিকল্পিত প্রবৃদ্ধি থেকে প্রকৃত বিচ্যুতি সামান্য রয়ে গেছে বলেও প্রতিবেদনটিতে উঠে এসেছে।
ম্যাক্রোইকোনমিক পলিসি বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মূলধন সংগ্রহ উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি এবং তাই সরকার তার লক্ষ্য পূরণের জন্য সরকারি বিনিয়োগের পাশাপাশি বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার লক্ষ্য নিয়েছে।
২০২১-২২ অর্থবছরে মোট বিনিয়োগ ছিল জিডিপির ৩২ শতাংশ, যেখানে বেসরকারি ও সরকারি খাতের অবদান ছিল যথাক্রমে ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ ও ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। দীর্ঘ ও মধ্যমেয়াদি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিনিয়োগের মাত্রা আরও বাড়াতে হবে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সরকারি বিনিয়োগের বাস্তবায়নের হার বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি বাড়াতে পারলে প্রয়োজনীয় মাত্রায় বিনিয়োগ অর্জন করা সম্ভব।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘বিষয়টি চিহ্নিত করে প্রকল্পের নকশা ও বাস্তবায়ন উভয় স্তরেই কিছু কাঠামোগত পরিবর্তন আনার পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।’
অর্থ বিভাগের নথিতে বলা হয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সরবরাহকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। রাশিয়া বিশ্বব্যাপী জ্বালানির একটি প্রধান সরবরাহকারী দেশ। তাই যখন যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, তখন পণ্যের দাম দ্রুত বেড়েছিল।
প্রায় সব দেশের মতো বাংলাদেশও এ সমস্যায় ভুগতে পড়ে যায়। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৭ শতাংশে এবং ২০২৩ সালের মার্চের মধ্যে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৩ শতাংশে।
এদিকে বিশ্বব্যাপী পণ্যের দাম ইতোমধ্যেই কমছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো নীতিগত হার বাড়িয়েছে এবং এর কারণে আশা করা হচ্ছে যে আগামী মাসগুলোতে মুদ্রাস্ফীতি কমে আসবে।
আরও পড়ুন: অর্থনীতিকে করোনা পূর্ববর্তী অবস্থায় ফেরাতে চায় সরকার
আইএমএফ অনুমান করেছে, গৃহীত পদক্ষেপগুলো মাঝারি মেয়াদে মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস করতে সরকারগুলোকে সহায়তা করবে। অর্থ বিভাগ পূর্বাভাস দিয়েছে, ২০২৩-২৪ সালে গড় মুদ্রাস্ফীতি উল্লেখযোগ্যভাবে ৬ দশমিক শূন্য শতাংশে নেমে আসবে। যদিও প্রথম তিন মাসে (জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর) এর কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ও দরিদ্রদের আয় সুরক্ষায় সরকার ধীরে ধীরে মুদ্রানীতি কঠোর করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়ানোর উপর জোর দিয়েছে।
নথিতে বলা হয়েছে, খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি দরিদ্রদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। এটি মাথায় রেখে সরকার ভর্তুকি ও প্রণোদনাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে উৎসাহিত করেছে।
কৃষি খাতকে সহায়তা করতে এ খাতে ঋণ বিতরণ বাড়ানো হয়েছে।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারির শেষে গত অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে কৃষিঋণ ও অকৃষি পল্লি ঋণ বিতরণের পরিমাণ ছিল ২১ হাজার ৬৬ কোটি টাকা, যা এক বছর আগের তুলনায় প্রায় ১৪ শতাংশ বেশি।
সরকারের সহায়ক নীতির সহায়তায় শিল্প উৎপাদনের সাধারণ সূচক (মাঝারি এবং বৃহৎ আকারের উৎপাদন) বাড়ছে, যা সম্প্রসারিত শিল্প উৎপাদনকে প্রতিফলিত করে।
আরও পড়ুন: শিগগিরই এসক্রো বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও পাবলিক পলিসি বিশ্লেষক ড. মাসরুর রিয়াজ মনে করেন, বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচক অস্থিতিশীল হয়ে পড়ায় চলতি অর্থবছরের মধ্যে কোভিড পূর্ব প্রবৃদ্ধির গতি ফিরে পাওয়া খুব চ্যালেঞ্জিং হবে।
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে, তিনি সরকারকে প্রথমে সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার দিকে মনোনিবেশ করার পরামর্শ দেন, যা দীর্ঘমেয়াদে অর্থনীতিকে আরও টেকসই করে তুলবে।
উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রা/ডলারের তীব্র সংকট প্রতিরোধ, এলসি খোলা ও দেশীয় মুদ্রা টাকার ওঠানামার বিষয়টি আগে সমাধান করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন ড. রিয়াজ।
তিনি বলেন, ‘অর্থনীতিকে কোভিড-পূর্ব প্রবৃদ্ধির হারে ফিরিয়ে আনতে হলে প্রথমে এই সমস্যাগুলোর সমাধান করা উচিত, যা স্বল্প সময়ের মধ্যে খুব চ্যালেঞ্জিং ও কঠিন হবে।
ড. রিয়াজ আরও বলেন, 'প্রবৃদ্ধির দিকে মনোনিবেশ না করে অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার সময় এসেছে। দীর্ঘমেয়াদে নন-পারফর্মিং লোনের উচ্চ হার কমানো, মুদ্রাস্ফীতি যৌক্তিক সীমার মধ্যে রাখা এবং বিনিময় হারে স্থিতিশীলতা অর্জনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়বে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ২০২৪ অর্থবছরের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমাল বিশ্বব্যাংক
অবিলম্বে খালেদাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান বিএনপির
প্রবীণ নাগরিকের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করে দলের অসুস্থ চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে যত দ্রুত সম্ভব উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সঠিক চিকিৎসা পাওয়া একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকার। বেগম খালেদা জিয়া দেশের একজন প্রবীণ নাগরিক। সংবিধান তার জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসার অধিকার নিশ্চিত করেছে।’
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দলের চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ফখরুল।
তিনি বলেন, দেশে যে রোগের চিকিৎসা করা যায় না, তার চিকিৎসার জন্য খালেদাকে বিদেশে যেতে বাধা দেওয়া সংবিধানকে উপেক্ষা করার শামিল।
বিএনপি নেতা অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে আমাদের নেত্রীকে (খালেদা) সংবিধানে দেওয়া চিকিৎসা সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এটা অন্যায্য, অমানবিক ও অসাংবিধানিক।’
তিনি বলেন, আইনের অজুহাতে গুরুতর অসুস্থ সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করার কোনো সুযোগ নেই।
ফখরুল বলেন, দেশে বিএনপি চেয়ারপার্সনের চিকিৎসা অসম্ভব। ‘সরকার অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে আইনের অজুহাতে তাকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’
আরও পড়ুন: খালেদাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ক্ষমতা রয়েছে সরকারের: আইন বিশেষজ্ঞরা
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে অন্যায়ভাবে হত্যার পরিণতি কখনোই ভালো হতে পারে না। তাই আমরা আবারও সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, আমাদের নেত্রীকে নাগরিক হিসেবে তার মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিন।
অন্যথায়, একজন গুরুত্বপূর্ণ ও জনপ্রিয় প্রবীণ নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার অস্বীকার করা এবং তার প্রতি অবৈধ, অমানবিক ও নিষ্ঠুর মনোভাব দেখানোর জন্য সরকার দায়ী থাকবে।
এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার তার নিঃশর্ত মুক্তি এবং তার জীবন বাঁচাতে জরুরি ভিত্তিতে একটি ‘উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে’ চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে একটি আবেদন জমা দেন।
তবে, আইন মন্ত্রণালয় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি প্রত্যাখ্যান করেছে পরামর্শ দিয়েছে যে তাকে প্রথমে কারাগারে ফিরতে হবে এবং এরপরই এই বিষয়ে অনুমতি পেতে আদালতে আবেদন করতে পারেন তিনি।
লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন বলে গত ৯ আগস্ট থেকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন খালেদা।
সরকার খালেদাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি না দেওয়ায় বিএনপি কী করতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, চিকিৎসকরা তাকে দেশেই সম্ভাব্য সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা তাকে জোর করে বিদেশে নিয়ে যেতে পারি না। এটা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়... আমরা বিশ্বাস করি জনগণের আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন নিশ্চিত হবে এবং তারপর তার উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’
ফখরুল বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ১৯৭৯ সালে ১০ বছরের সাজা ভোগ করে কারাগারে থাকা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের নেতা আ স ম আবদুর রবকে চিকিৎসার জন্য জার্মানিতে যেতে দেওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, একইভাবে ১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিম ২০০৮ সালে ১/১১ সরকার তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দিয়েছিল। ‘এমন আরও উদাহরণ রয়েছে।’
লন্ডনে খালেদাকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘অশালীন’ মন্তব্যের জন্য ফখরুল বলেন, এটা বর্তমান সরকারের স্বৈরাচারী মনোভাবের প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমি লন্ডনে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই... একজন দায়িত্বশীল প্রধানমন্ত্রী এমন অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতে পারেন তা আমরা কল্পনাও করতে পারি না।’
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে খালেদা জিয়াকে নিয়ে মিথ্যা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী: ফখরুল
বিএনপি নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যও প্রমাণ করে যে তিনিই এই দেশের একমাত্র মালিক এবং তিনিই বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করেন। ‘তিনি আইন ও প্রশাসনের পরোয়া করেন না এবং সমস্ত অপকর্মের আদেশদাতা।’
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন তা অমানবিক ও প্রতিহিংসাপরায়ণ বলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে এবং খালেদাকে বাদ দিয়ে বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে না। ‘এটা আমাদের স্পষ্ট অবস্থান। আমি আবার এটি পুনরাবৃত্তি করেছি।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও ভাইস চেয়ারম্যান বরকতুল্লাহ বুলু।
আরও পড়ুন: খালেদার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি না দেওয়ায় সরকারকে ‘কাপুরুষ’ বললেন ফখরুল
সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত জনগণ রাজপথ ছাড়বে না: মঈন খান
সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত জনগণ রাজপথ ছাড়বে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
রবিবার (১ অক্টোবর) সকালে ময়মনসিংহের ত্রিশালের বাঘার বাজার এলাকায় নির্ধারিত রোডমার্চের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সরকার ক্ষমতাকে অন্যায় ও অগণতান্ত্রিকভাবে দীর্ঘায়িত করতে চায়: মঈন খান
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা রাস্তায় নেমেছি, শপথ নিয়েছি, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত এবং জনগণের ম্যান্ডেট বিহীন সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা দাবি করেন, দেশের জনগণ সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছে এবং তাদের (সরকারের) ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই। ‘যত তাড়াতাড়ি তারা ক্ষমতা ছাড়বে, দেশের জন্য যত ভালো হবে।’
স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আগামী দিনগুলোতে আন্দোলন আরও তীব্র হবে। ‘কারণ মানুষ বাঁচতে চায়, এ দেশের গরিব মানুষের আর বাঁচার উপায় নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের এমন মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে মানুষ বাঁচতে পারবে না।’
সুতরাং আপনি (জনগণ) আপনার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে, উন্নত জীবনযাপন করতে এবং মর্যাদার সঙ্গে বাঁচতে চাইলে সরকারকে পতন করতে হবে এবং একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সরকারের পদত্যাগ, বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত করা, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এই রোডমার্চের আয়োজন করে বিএনপি।
এর আগে ২১ সেপ্টেম্বর সিলেটে, ২৩ সেপ্টেম্বর বরিশালে ও ২৬ সেপ্টেম্বর খুলনায় একই ধরনের রোডমার্চ করেছে দলটি।
ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. মাহবুবুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কোষাধ্যক্ষ রশিদুজ্জামান মিল্লাত, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ও সহসাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল আলম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করাই একমাত্র লক্ষ্য: মঈন খান
আওয়ামী লীগ আজকে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে ভয় পায়: মঈন খান
তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ফেরার উপায় নেই, ভয়েস অব আমেরিকার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উচ্চ আদালতের রায়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সংবিধান সংশোধন করে বাতিল করা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘একমাত্র জনগণের ভোট দেওয়ার অধিকার রয়েছে। জনগণ যাকে নির্বাচিত করবে সে সরকার গঠন করবে। এটিতে (তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা) ফিরে যাওয়ার কোনো উপায় নেই।’
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) প্রচারিত ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা পরিষেবাকে দেওয়া একটি সাক্ষাত্কারে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্র সফরে থাকা প্রধানমন্ত্রী মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা, মানবাধিকার, বিদেশে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও সংবিধানসহ বিভিন্ন বিষয়ে বেশ কয়েকটি প্রশ্নের জবাব দেন।
সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের উদ্যোগ নেওয়া বা বিরোধী জোটের সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাইলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নির্বাচন জনগণের অধিকার। ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হলে হাইকোর্ট একটি রায় দেয় যে কখনোই আর অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসবে না। হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী, নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে। রায়ের পর সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এখন হাইকোর্টের রায় কীভাবে বাতিল করব? নাকি সংবিধান সংশোধন করবেন? এবং কেন আমরা তা করব? আমাদের অনেক তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল। আমাদের দেশের ইতিহাসে আমরা দেখেছি সামরিক আইন, সামরিক স্বৈরাচার এবং তাদের অধীনে বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে প্রহসনমূলক নির্বাচন।’
বিএনপি একসময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে ছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যখন বিএনপির ভোট কারচুপির প্রতিবাদ করেছিলাম; তখন বিএনপি নেত্রী (খালেদা জিয়া) বলেছিলেন, শিশু ও পাগল ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়। তারা এটা বলেছিল, তারা এর বিরুদ্ধে ছিল।’
আরও পড়ুন: বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার আগে খালেদাকে কারাগারে ফিরতে হবে: ভয়েস অফ আমেরিকাকে প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘হাইকোর্টের রায়ের ভিত্তিতে সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে। তারা তখন এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে এবং এখনও তারা একই জিনিস দাবি করছে। ভবিষ্যতে তারা কী করবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।’
বিএনপির কারণে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা তাদের পছন্দের সরকার গঠন করতে চেয়েছিল। তার জন্য বিচারকের বয়স বাড়ানো, ভুয়া ভোটার তালিকা তৈরি এবং অনেক ভয়ঙ্কর অপরাধ করেছে। কিন্তু কোনোটাই কাজ করেনি, কারণ মানুষ তা গ্রহণ করেনি।’
২০০৮ সালের নির্বাচন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশ ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেখেছিল। তারা ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত তাদের শাসনামলে অনেক ভয়ঙ্কর অপরাধ করেছিল। এরপর একটি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিল এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেছিল। তারা দুই বছর কোনো নির্বাচন করেনি এবং আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট সংসদে মাত্র ২৯টি আসন পেয়েছিল এবং পুনর্নির্বাচনে আরও একটি আসন পেয়েছিল। ‘তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেও এটাই তাদের বাস্তবতা। এজন্য তারা ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করেছিল এবং অগ্নিসংযোগের অবলম্বন করেছিল…তারা তিন হাজার মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছিল। তারা ৫০০টি ভোটকেন্দ্র ও বিদ্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও সংঘর্ষ করেছে। তারা নির্বাচন বয়কট করেছে।’
তিনি বলেন, ‘এখন তারা হঠাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করছে কেন? আর প্রশ্ন হল তাদের নেতা কে? কাকে (জনগণ) ভোট দেবে? জনগণ নেতৃত্ব দেখতে চায়। দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তাদের কোনো ভাল নেতা নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন একটি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে... ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য অনেক প্রচেষ্টা করা হয়েছিল। সেসব কাটিয়ে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। এটি বজায় রাখার জন্য আমাদের একটি নির্বাচিত সরকার দরকার।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী
খালেদাকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে আইনি জটিলতা রয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ক্ষমতায় থাকার জন্য খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে: ফখরুল
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে সরকারের ক্ষমতায় থাকা কঠিন হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফরখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। কারণ তিনি মুক্ত হলে সরকারের পক্ষে ক্ষমতায় থাকা কঠিন হবে।
তিনি বলেন, বেগম জিয়া কারাগার থেকে বের হলে দেশের গণতন্ত্র মুক্তি পাবে এবং জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া যাবে না।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঢাকার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহার এবং সরকার পতনের একদফা দাবিতে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আজীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করা খালেদা জিয়াকে আজ ঘরে বন্দি করে রাখা হয়েছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ‘উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে যে আবেদন করা হয়েছে তা সরকার বাস্তবায়ন করবে।’
আরও পড়ুন: আবারও সিসিইউতে খালেদা জিয়া
ফখরুল বলেন, এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে সারাদেশের মানুষ যখন জেগে উঠেছে তখন, এই নারী সমাবেশ তাদের আরও সাহস যুগিয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, এই সরকারের দমন-পীড়ন থেকে মা-বোনেরাও রক্ষা পায়নি। সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের নামে তাদের আটকে রাখা হয়েছে। লেখালেখির মাধ্যমে সত্য তুলে ধরার জন্য তাদের পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণের দুর্ভোগের কথা জানিয়ে এই বিএনপি নেতা বলেন, সরকারের নির্ধারিত মূল্য কেউ মানছে না এবং সব জায়গায় আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেট।
সরকার উৎখাতে নারী-পুরুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার ফের ক্ষমতায় এলে দেশের স্বাধীনতা বিলীন হয়ে যাবে।
মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আফরোজা আক্তার রিতা, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, দলের নেত্রী হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনে চুরি করলে রেহাই নেই: আমীর খসরু
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার দায়ী: ফখরুল
ডিএনসিসি মেয়র জাতিসংঘের স্থানীয়-আঞ্চলিক সরকারের উপদেষ্টা মনোনীত
জাতিসংঘের স্থানীয় ও আঞ্চলিক সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
সোমবার(২৫ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সেই করা এক চিঠিতে জাতিসংঘের স্থানীয় ও আঞ্চলিক সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে মেয়র আতিকুল ইসলামের মনোনয়নের বিষয়টি জানানো হয়।
আরও পড়ুন: জননিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে কোনো প্রকল্প চলতে দেয়া হবে না: আতিকুল
পরে সম্মতি প্রদান করলে ডিএনসিসি মেয়রকে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে চূড়ান্তভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
জাতিসংঘের মহাসচিব তার চিঠিতে উল্লেখ করেন, 'আন্তঃসরকার ও জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নে স্থানীয় ও আঞ্চলিক সরকারের সম্পৃক্ততা জোরদার করার ক্ষেত্রে এই উপদেষ্টা পরিষদের সময়োপোযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে এবং আধুনিক শহর গড়তে স্থানীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে এই উপদেষ্টা পরিষদ করণীয় বিষয় নির্দিষ্ট করতে ভূমিকা রাখবে।'
আরও পড়ুন: ১০ দিনের মধ্যে সব ভবনের মালিককে কাগজপত্র দিতে হবে: মেয়র আতিকুল
চিঠিতে আরও বলা হয়, 'উপদেষ্টা পরিষদ স্থানীয় ও আঞ্চলিক সরকারের সংশ্লিষ্টতা ও কর্মকাণ্ডসংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ দেবে, সমন্বয় ও সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য আমাদের বৈশ্বিক লক্ষ্য অর্জনের প্রয়োজনীয় বিষয় সংশোধনে ভূমিকা রাখবে।
উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা জাতীয় পর্যায়ে যেসব বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত, জাতীয় লক্ষ্য বাস্তবায়নে স্থানীয় ও আঞ্চলিক সরকারগুলোর ধারাবাহিকভাবে ভূমিকা পালন এবং বৈশ্বিক পদক্ষেপেও অবদান রাখবে।
উল্লেখ, ১৫ সদস্যের এই উপদেষ্টা পরিষদের মধ্যে এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে দুইজন সদস্য মনোনিত হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এবং ফিলিপাইনের মাকাতি শহরের মেয়র অ্যাবি বিনায়। অন্যান্য সদস্যগুলো হলো ইউরোপ থেকে তিন জন, আফ্রিকা মহাদেশ থেকে তিনজন, উত্তর আমেরিকা থেকে দুইজন, ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয় অঞ্চল থেকে তিনজন, মধ্য প্রাচ্য ও মধ্য আফ্রিকা (এমইএনএ) থেকে দুইজন।
আরও পড়ুন: ‘সুস্থ, সচল, আধুনিক’ ঢাকা গড়ার প্রতিশ্রুতি আতিকুলের
বাংলাদেশকে ‘হীরক রাজার দেশে’ পরিণত করেছে সরকার : আব্বাস
সরকার দেশকে ‘হীরক রাজার দেশে’ পরিণত করেছে এবং হীরক রাজার মতোই পরিণতি হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
তিনি বলেন, কারো একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি। গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা ও ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। এটা কোনো রাজা বা রানির রাজ্য নয় এবং 'হীরক রাজার দেশ'-এ পরিণত হবে না।’
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঝিনাইদহ বাস টার্মিনালে দলের রোডমার্চ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি নেতা এসব কথা বলেন।
বিএনপির রোডমার্চ সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে ঝিনাইদহ শহর থেকে শুরু হয়ে যশোর ও মাগুরা হয়ে খুলনায় গিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
তিনি সরকার পতনের জন্য বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে: ফখরুল
আব্বাস আরও বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সরকার মানি লন্ডারিং করে দেশকে দেউলিয়া করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা। তিনি বলেন, ‘আমরা সেটি বললেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠায়। স্বাধীন দেশে এসব সহ্য করা হবে না।’
গতকাল অনুমতি না পেয়ে আমিনবাজারের সমাবেশ স্থগিত করেছে বিএনপি।
আরও পড়ুন: আমিনবাজারের সমাবেশ স্থগিত করেছে বিএনপি
তিনি আরও বলেন, একসময় বাংলাদেশের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২১ হাজার কোটি টাকা আর এখন তা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৯ হাজার কোটি টাকা। ‘জনগণ জানতে চায় এই টাকা কোথায় গেল?’
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর সরকারের পদত্যাগের দাবিতে চলমান এক দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে রোডমার্চসহ ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ১৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার কর্মসূচি দুই দিন বাড়িয়ে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত করে দলটি।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে বাঁচাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান রিজভীর