ভক্ত
যেভাবে ‘ওস্তাদ’ হয়ে ওঠেন রশিদ খান
উপমহাদেশের শাস্ত্রীয় সংগীতের ইতিহাস যাকে ছাড়া অপূর্ণ থেকে যাবে তিনি ওস্তাদ রশিদ খান। তার জাদুকরী কণ্ঠ মাতিয়েছে অজস্র ভক্তদের। সেই মানুষটি ৫৫ বছর বয়সে ৯ জানুয়ারি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন।
সংগীত জগতে উস্তাদ রাশিদ খানের অবদান কতখানি, তা নতুন করে বলে দিতে হয় না। সকলের অন্তরেই যেন তার কণ্ঠ আর গানের বাস। পদ্মশ্রী, বঙ্গ ভূষণ, সংগীত নাটক অ্যাকাডেমির মতো পুরস্কার রয়েছে তার ঝুলিতে। এমন এক শিল্পীর অকালে প্রয়ানে স্তব্ধ সংগীতপ্রেমীরা।
যার নামের আগে ‘ওস্তাদ’ শব্দটি জড়িয়ে আছেন তিনিই শৈশবে গান খুব একটা পছন্দ যে করতেন এমনটা নয়। তবে তার মাঝে যে সংগীতের জ্ঞান তীব্র রয়েছে সেটি বুঝতে পারেন চাচা গোলাম মুস্তফা খান।
১১ বছর বয়সে প্রথম সংগীতানুষ্ঠান করেন রশীদ খান। আর তার কয়েক বছর পরে যুবক রাশিদ খানকে বিরাট ‘সার্টিফিকেট’ দিয়েছিলেন পণ্ডিত ভীমসেন যোশী। গান শুনে মন্তব্য করেন ‘ভারতীয় কণ্ঠ সংগীতের ভবিষ্যত উজ্জ্বল’।
উত্তর প্রদেশে জন্ম হলেও রশিদ খান এক সময় বাংলার মানুষ হয়ে যান। চলতি শতাব্দীর প্রথম দশক থেকেই তিনি ভারতীয় রাগ সংগীতের অন্যতম মুখ হয়ে ওঠেন। বিলম্বিত খেয়ালে বিশেষভাবে পারদর্শী ছিলেন এই শিল্পী। শাস্ত্রীয় সংগীতের গায়ক হলেও রশিদ খান ছিলেন আশ্চর্য ব্যতিক্রম, ধ্রুপদী সংগীতের ‘শিক্ষিত’ শ্রোতাদের বাইরেও বেড়ে ওঠে তার ভক্তকুল।
উত্তরপ্রদেশের সম্ভ্রান্ত সংগীতিক পরিবার জন্ম হলেও রশিদ খান আসলে ছিলেন বাঙালি। এই দাবি করতেই পারেন বাংলার মানুষ। কারণ রাগ সংগীতের আশ্চর্য আলোকিত গায়নে রবীন্দ্রনাথের গানকেও নতুন মাত্রা দিয়ে গিয়েছেন তিনি। অন্যতম উদাহরণ হয়ে থাকবে নচিকেতা চক্রবর্তীর সঙ্গে যৌথ অ্যালবাম ‘যাত্রা’। যেখানে রবীন্দ্রসংগীত ও হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় বন্দিশের আশ্চর্য মেলবন্ধন ঘটেছিল।
শাস্ত্রীয় সংগীতে রশিদ খানের ভিত্তি হলেও বলিউড ও টালিউডের অনেক সিনেমায় গান গেয়েছেন। প্রতিটি গান শ্রোতাদের হৃদয়ে গেঁথে থাকবে অনন্তকাল।
শাস্ত্রীয় সংগীতে অসামান্য অবদান রাখায় একাধিক পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন রাশিদ খান। ২০০৬ সালে তিনি পদ্মশ্রী, পাশাপাশি ‘সংগীত নাটক আকাদেমি’ পুরস্কারে ভূষিত হন।
এছাড়াও পেয়েছেন বঙ্গভূষণ পুরস্কার, গ্লোবাল ইন্ডিয়ান মিউজিক অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস, মহাসংগীত সম্মান পুরস্কার আর ২০২২ সালে রশিদ খান ভূষিত হন শিল্পকলার ক্ষেত্রে ভারত সরকার কর্তৃক ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মভূষণ।
সামান্থার জন্য মন্দির বানালেন এক ভক্ত!
দক্ষিণী অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভুর জন্মদিন উপলক্ষে তার জন্য মন্দির বানালেন তার ভক্ত। ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের বাপাতলা জেলার আলাপাদু গ্রামের বাসিন্দা তেনালি সন্দীপ এই মন্দিরটি বানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ওয়েবফিল্মে শ্রীলেখা মিত্র
সামান্থার রুথ প্রভুর জন্মদিন উপলক্ষে শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) মন্দিরে সামান্থার একটি মূর্তি উন্মোচন করেন তিনি। এছাড়া ৩৬ বছর বয়সী এই অভিনেত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে একটি কেকও কাটেন তিনি।
দেখা যায়, সামান্থার মূর্তিটিতে সবুজ ব্লাউজের সঙ্গে লাল রঙের শাড়ি পড়ানো হয়েছে।
হযরত শাহজালাল (রহ.) এর ‘লাকড়ি তোড়া’ উৎসবে ভক্ত অনুরাগীর ঢল
চিরাচরিত নিয়মানুসারে হযরত শাহজালাল (রহ.) উরস মোবারককে সামনে রেখে সিলেটে লাকড়ি তোড়া উৎসব সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার লাকড়ি তোড়া উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রচুর সংখ্যক ভক্ত অনুরাগীর ঢল নেমেছিলো শাহজালালের দরগা প্রাঙ্গনে।
লাকড়ি তোড়া উৎসব উপলক্ষে ভক্তিমূলক গান ও বাদ্যযন্ত্রের সুরে মুখরিত ছিলো গোটা মাজার এলাকা।এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার জোহরের নামাজের আগে থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত হাজারও ভক্ত-অনুরাগীরা জড়ো হন দরগাহ প্রাঙ্গণে। নামাজের পর দরগাহে মিলাদ শেষে নাগারা বাজার সঙ্গে সঙ্গে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে হাজার হাজার শাহজালাল ভক্তের বর্ণাঢ্য মিছিল লাক্কাতোড়া চা বাগানের নির্দিষ্ট পাহাড়ের দিকে ছুটে যায়। সেখানে গিয়ে আবারও মিলাদ পড়া হয়। এরপরই শুরু হয় লাকড়ি সংগ্রহ। সেই লাকড়ি কাঁধে নিয়ে পুনরায় মিছিল নিয়ে দরগাহ প্রাঙ্গনে ফিরে আসেন ভক্তরা।
আরও পড়ুন: হযরত শাহজালাল (রহ.) এর লাকড়ি তোড়া উৎসব শনিবার
সাকিবকে ফুল দিতে গিয়ে আটক যুবক, বিসিবি’র মামলা
চট্টগ্রাম, ০৭ সেপ্টেম্বর (ইউএনবি)- বাংলাদেশের সঙ্গে আফগানিস্তানের টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন সময়ে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মাঠে ঢুকে সাকিব আল হাসানকে ফুল দেয়ার অপরাধে আটক হয়েছেন ফয়সাল নামে এক ভক্ত।
শুক্রবার রাতে সেই ভক্তের বিরুদ্ধে ভীতি সঞ্চারের অভিযোগে মামলা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।