ফখরুল
এবারের ঈদে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হয়েছে সাধারণ মানুষ: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সব পণ্যের চড়া দামের কারণে এবারের ঈদুল ফিতর দেশের সাধারণ মানুষের জন্য আনন্দের হয়নি।
বৃহস্পতিবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, এবারের ঈদ বাংলাদেশের মানুষের জন্য দুঃখ বয়ে এনেছে।
তিনি বলেন, 'ঈদে সাধারণত পরিবারের সদস্যদের জন্য নতুন জামাকাপড় কেনার চেষ্টা করে এবং ভালো খাবারের ব্যবস্থা করে। কিন্তু এ বছর নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যের (বস্ত্র, খাবার) দাম তাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় এক শ্রেণির মানুষ তাদের ঈদের চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হয়েছে।
এ অবস্থার জন্য সরকারই দায়ী বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।
বর্তমান সরকার তাদের গভীর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংস করছে।
গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি পরনির্ভরশীল হয়ে পড়েছে বলে দাবি তার।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান ফখরুল।
তিনি বলেন, দেশ কঠিন সময় পার করছে। শুধু বিএনপির নেতা-কর্মীরাই নয়, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সমর্থক-কর্মীরাও কারাগারে বন্দি রয়েছেন।
তিনি বরেন, ক্ষমতাসীন মহল বিএনপির উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে, গুম করেছে। এছাড়া বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রায় দেড় লাখ মামলা দিয়ে ৫০ লাখ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অমানবিক নির্যাতনের মধ্যেও দেশের মানুষ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এই জালিম সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে।
এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের আশাবাদ ব্যক্ত করে ফখরুল বলেন, 'আমরা বিশ্বাস করি, দেশের জনগণের সহযোগিতায় এই ভয়াবহ পরিবেশ বদলে যাবে।’
তিনি বলেন, বিএনপি গণতন্ত্র, মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনবে।
গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিলে পুলিশি পদক্ষেপের নিন্দা ফখরুলের
বুধবার গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিলে পুলিশি পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার সচিবালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিলে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের তীব্র নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতি দেন।
তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের পর দখলদার আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী মানুষের ভোটের অধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো ক্ষুণ্ণ করে জনগনসহ বিরোধী দলগুলোর ওপর আরও তীব্র মাত্রায় দমনপীড়ন চালাচ্ছে, নির্মম নিষ্ঠুরতা দেখাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে ছিল আ. লীগ সরকার: রিজভী
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আজকে আরও একটি নির্মম বহিঃপ্রকাশ ঘটল গণতন্ত্র মঞ্চের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের বর্বরোচিত হামলা, গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা জোনায়েদ সাকিসহ ৫০ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে আহত করা এবং একজন নেতাকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করার মধ্যে দিয়ে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এহেন পুলিশি হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং গ্রেপ্তারদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।’
বিএনপি মহাসচিব আহত জোনায়েদ সাকিসহ নেতা-কর্মীদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: পিলখানা বিদ্রোহের বিচার দীর্ঘায়িত হওয়ায় প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি
সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য বিএনপিকে দায়ী করছেন প্রধানমন্ত্রী: রিজভী
মার্কিন উপসহকারী মন্ত্রী আফরিনের সঙ্গে ফখরুলের সাক্ষাৎ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে এক ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন সফররত মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী মন্ত্রী আফরিন আখতার ও বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
শনিবার বিকেল ৩টায় গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চলবে: জেল থেকে বেরিয়ে ফখরুল
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ, স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও ইউএসএআইডির একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল সকালে ঢাকায় পৌঁছেছে।
সেখানে বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
সাড়ে তিন মাস কারাগারে বন্দি থেকে মুক্তি পাওয়ার পর বিদেশিদের সঙ্গে এটাই বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুর প্রথম বৈঠক।
আরও পড়ুন: সোমবার রাতে খালেদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ফখরুল
ফখরুলের স্বাস্থ্যের অবনতিতে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের
ফখরুলের স্বাস্থ্যের অবনতিতে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের
দুর্বল শরীর ও অসুস্থতার নানা উপসর্গ নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে (বিএসএইচ) চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করেছেন।
শনিবার(১৭ ফেব্রুয়ারি তিনি চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন জানান, হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শামসুল আরেফিন তাকে প্রয়োজনীয় ওষুধ লিখে দিয়েছেন এবং তার গুলশানের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘কারাগারে থাকা অবস্থায় বিএনপি মহাসচিব অসুস্থ ছিলেন। তার প্রায় ৬ কেজি ওজন কমেছে এবং তার শরীরে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিয়েছে।’
ডা. জাহিদ বলেন, মির্জা ফখরুল বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে গেলে অধ্যাপক শামসুল আরেফিন তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ দেন।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে এবং বাসায় থেকেই তার চিকিৎসা চলছে। ফলোআপ চিকিৎসার জন্য আগামী বৃহস্পতিবার তাকে আবার হাসপাতালে যেতে হবে।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চলবে: জেল থেকে বেরিয়ে ফখরুল
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাগারে বন্দি থাকার পর জামিনে মুক্তি পান ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
এর আগে গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের মামলায় বুধবার(১৪ ফেব্রুয়ারি) মির্জা ফখরুল ও খসরুকে জামিন দেন ঢাকার একটি আদালত।
গত ২৯ অক্টোবর ফখরুল, খসরুসহ বিএনপির ৫৯ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করে পুলিশ।
সমাবেশে সহিংসতার ঘটনায় ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১টি ও খসরুর বিরুদ্ধে ১০টি মামলা হয়। গত ২৯ অক্টোবর ফখরুল ও ৩ নভেম্বর গুলশানের বাসা থেকে খসরুকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: দখলদারিত্বের নতুন নজির স্থাপন করেছে আ.লীগ সরকার: বিএনপি
ফখরুলের জামিনের রুল শুনানি পিছিয়েছে
প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলার ঘটনায় রমনা থানায় করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিনের উপর করা রুলের শুনানি এক সপ্তাহ পিছিয়েছে।
মির্জা ফখরুলের পক্ষে সময় চেয়ে আবেদন করার পর বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর রুল শুনানির জন্য ৩ জানুয়ারি দিন নির্ধারণ করেছিলেন হাইকোর্ট। এদিকে আজ শুনানির জন্য এক সপ্তাহ সময় চেয়ে আদালতে আবেদন জানান ফখরুলের আইনজীবী ওয়ালী উদ্দিন।
আরও পড়ুন: নাশকতা মামলায় মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুর জামিন নামঞ্জুর
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিএম আব্দুর রাফেল। তিনি জানান, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে জামিন আবেদনকারীপক্ষ সময় চেয়েছেন। আদালত এক সপ্তাহ সময় দিয়েছেন।
ক্রম অনুসারে উঠলে আবেদনকারীর পক্ষের আইনজীবী বলেন, ব্যক্তিগত অসুবিধার জন্য চলতি সপ্তাহে না করার জন্য আরজি জানাচ্ছি।
তখন আদালত এই আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, কার পক্ষে বলছেন? তখন এই আইনজীবী বলেন, আইনজীবী সগীর হোসেনের পক্ষে।
আরও পড়ুন: ফখরুলের জামিন শুনানির দিন ধার্য
আদালত বলেন, জামিন আবেদন দায়েরকারী আইনজীবী কে? তখন এই আইনজীবী বলেন, সগীর হোসেন।
এ সময় আদালত বলেন, ‘তখন এত আর্জেন্সি (তাড়া) দেখালেন, এখন নেই কেন?’
তখন এই আইনজীবী বলেন, ‘পারসোনাল ডিফিকাল্টিস’ (ব্যক্তিগত অসুবিধা)।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বি এম আবদুর রাফেল হলফনামা (রুলের জবাবসংক্রান্ত) দাখিল করেন। পরে আদালত চলতি সপ্তাহের জন্য শুনানি মুলতবি করে আদেশ দেন।
মামলাটিতে গত ২২ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়। এরপর তিনি জামিন চেয়ে গত ৫ ডিসেম্বর হাইকোর্টে আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল জামিন আবেদন আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তির নির্দেশ বহাল
এ মামলায় তাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে গত ৭ ডিসেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে এক সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয় রাষ্ট্রপক্ষকে।
রুলের শুনানির দিন ধার্য করতে ১৭ ডিসেম্বর আদালতে আবেদন করেন মির্জা ফখরুলের আইনজীবীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ রুল শুনানির জন্য ৩ জানুয়ারি তারিখ ধার্য করেছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি কার্যতালিকায় ওঠে। বিষয়টি শুনানির জন্য বেলা ১১টায় সময় ধার্য ছিল।
আরও পড়ুন: শুধু সরকারপন্থী দলগুলোই 'পাতানো' নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে: বিএনপি
ফখরুলের জামিন শুনানি ৩ জানুয়ারি: হাইকোর্ট
২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে করা রুলের শুনানির জন্য ৩ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির দিন ধার্য করেন।
এর আগে ৭ ডিসেম্বর ফখরুলকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
সরকারকে এক সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুর ও হামলার অভিযোগে ২৯ অক্টোবর রমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।
মামলায় মির্জা ফখরুল ছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৫৯ জন নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়।
এ মামলায় ২৯ অক্টোবর ফখরুলকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তখন থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফখরুলকে কেন জামিন নয়, জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল
মির্জা ফখরুলের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুলের শুনানি রবিবার
ফখরুলকে কেন জামিন নয়, জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) এ মামলায় ফখরুলের জামিন চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যৈষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুর মামলা: ফখরুলের জামিন আবেদনের শুনানি ৭ ডিসেম্বর
এ সময় আদালতে মির্জা ফখরুলের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী, আইনজীবী ফজলুর রহমান খান, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার কায়সার, আইনজীবী গাজী কামরুল ইসলাম সজল ও আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বি এম রাফেল।
এর আগে গত ২২ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক এ মামলায় বিএনপি মহাসচিবের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। রবিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করেন আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন। এ আবেদনের ওপর শুনানির জন্য পরদিন সোমবার দিন ধার্য করেন আদালত।
উল্লেখ্য, ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে ২৯ অক্টোবর রমনা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। সেই মামলায় মির্জা ফখরুল ছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৫৯ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ফখরুলের জামিন আবেদন
প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুর মামলা: ফখরুলের জামিন আবেদনের শুনানি ৭ ডিসেম্বর
২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশে প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের মামলায় সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদনের শুনানির জন্য ৭ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে ফখরুলের পক্ষে আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন জামিন আবেদন করলে বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নুরুদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
এর আগে ২২ নভেম্বর একই মামলায় বিএনপি মহাসচিবের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ফখরুলের জামিন আবেদন
২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ চলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুর ও হামলার অভিযোগে ২৯ অক্টোবর রমনা থানায় একটি মামলা করে পুলিশ।
মামলায় মির্জা ফখরুল ছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৫৯ জন নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়।
এ মামলায় ২৯ অক্টোবর বিএনপি মহাসচিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন আবেদন করা হয়। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ফখরুলের জামিন নামঞ্জুরে সরকারের কোনো প্রভাব নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
হাইকোর্টে ফখরুলের জামিন আবেদন
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের অভিযোগে পুলিশের করা মামলায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) মির্জা ফখরুলের পক্ষে জামিন আবেদন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় দাখিল করেন আইনজীবী সগীর হোসেন লিয়ন।
আবেদনটির উপর বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরিউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের জামিন নামঞ্জুর
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা আইনজীবী গাজী কামরুল ইসলাম সজল জানিয়েছেন, সোমবার (৪ ডিসেম্বর) আবেদনটি আদালতের কার্যতালিকায় আসবে। তারপর কবে শুনানি হবে সেটা তালিকার সিরিয়াল দেখে বলা যাবে।
এর আগে গত ২২ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক এ মামলায় বিএনপি মহাসচিবের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। এরপর রবিবার (৩ ডিসেম্বর) তার জামিন আবেদন করা হলো হাইকোর্টে।
গত ২৮ অক্টোবর (শনিবার) বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে গত ২৯ অক্টোবর রমনা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে।
সেই মামলায় মির্জা ফখরুল ছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৫৯ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন— বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, আহমেদ খান, আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ভিপি জয়নাল, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার ও সদস্য সচিব আমিনুল হক।
গত ২৯ অক্টোবর এ মামলায় গ্রেপ্তার হন মির্জা ফখরুল। পরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে জামিন আবেদন করা হয়। আদালত সেদিন তার জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরপর গত ২ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে মির্জা ফখরুলের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। পরে ২২ নভেম্বর ওই আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের জামিন শুনানি পেছাল
মির্জা ফখরুলের মুক্তির দাবি ৬৮ জন বিশিষ্ট নাগরিকের
ফখরুলের জামিন নামঞ্জুরে সরকারের কোনো প্রভাব নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বলেছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের জামিন নামঞ্জুরে সরকারের কোনো প্রভাব নেই।
তিনি বলেন, স্বাধীন বিচার বিভাগ এবং বিচারকেরা যথাযথ যাচাই-বাছাইয়ের পর সিদ্ধান্ত নেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গুইন লুইস সচিবালয়ে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ক্ষমতায় আসতে হলে নির্বাচনে আসতে হবে। অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতা করে সম্ভব নয়। ক্ষমতার পরিবর্তন চাইলে নির্বাচনে আসতে হবে।
আজাদুজ্জামান বলেন, বিএনপি থেকে কিছু নেতা জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে তৃণমূল বিএনপি ও বিএনএমের মতো দল গঠন করছেন। ‘আমরা তাদের বলেছি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে, কোনো দল কোনো অযৌক্তিক সুবিধা পাবে না।’
তিনি বলেন, নতুন দলগুলোর ওপর বাইরের কোনো চাপ নেই; তারা স্বেচ্ছায় নতুন জোট গঠন করছে।
আরও পড়ুন: সব দল সম্পৃক্ত করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের চেষ্টা করছি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ‘যখন গুয়েন লুইস নির্বাচনের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, আমি তাকে বলেছি নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের সর্বত্র আনন্দঘন পরিবেশ রয়েছে। তবুও, আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো সতর্ক থাকবে যাতে কোথাও কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি না হয়।’
এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশের আগে প্রতিদিন গড়ে ৫৬৫টি মামলা হয় এবং ২৮ অক্টোবরের পর প্রতিদিন গড়ে ৪৩৮টি মামলা হয়, প্রতিদিন ১২৭টি মামলা কমেছে।
তিনি দৈনিক গ্রেপ্তারের সংখ্যাও উল্লেখ করে বলেছেন, ২৮ অক্টোবরের আগে ছিল ১ হাজার ৯৫৬ জন, আর ওই তারিখের পরে থেকে ১ হাজার ৮১৬ তে নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই সংলাপে উৎসাহ দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সহিংসতার দায় বিএনপির নেতারা এড়াতে পারবেন না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী